ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তাইওয়ানে শক্তিশালী টাইফুন হাইকুই’র তাণ্ডব, ৪০ জন আহত

প্রকাশ: ০১:১২ পিএম, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

শক্তিশালী টাইফুন ‘হাইকুই’ তাইওয়ানে আঘাত হেনেছে। তাইওয়ানের দক্ষিণ-পূর্বে পাহাড়ি এবং অল্প জনবসতিপূর্ণ এলাকায় রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেলে এটি আছড়ে পড়ে। এই টাইফুনে হাজার হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়ার পরেও ৪০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে। টাইফুনের জেরে ৩০ হাজারেরও বেশি পরিবার বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। হাইকুই তাণ্ডবে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) আরও প্রায় ২০০ অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের, বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার শহর ও কাউন্টিগুলোতে স্কুল এবং দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। টাইফুন হাইকুই আছড়ে পড়ার পর তাইওয়ানের পূর্ব এবং দক্ষিণাঞ্চলে ৩০ হাজারেরও বেশি পরিবার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যদিও বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় স্বাভাবিক করতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ।

এছাড়াও প্রবল বৃষ্টি ও বাতাসের মধ্যে, পাহাড়ী অঞ্চলে একটি গাছ পড়ে একটি গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগে দু'জন আহত হয়েছে। গত চার বছরের মধ্যে তাইওয়ানে সরাসরি আঘাত হানা প্রথম টাইফুন এটি। পরে টাইফুনটি দ্বীপের দক্ষিণ অংশে চলে যায়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হাইকুই আছড়ে পড়ার পর ২ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি পরিবারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তবে এর মধ্যে বেশির ভাগেরই সংযোগ পুনরায় চালু করা সম্ভব হলেও এখনো ৩৪ হাজারের কম পরিবার বিদ্যুৎহীন রয়েছে। সোমবার পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন থাকা পরিবারগুলোর প্রায় অর্ধেকই তাইতুংয়ের পূর্বাঞ্চলীয় কাউন্টির। 

তবে বিশ্বের বৃহত্তম চিপ প্রস্তুতকারক তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং বলেছে, তাইওয়ানে টাইফুনের আঘাতে তাদের প্ল্যান্টগুলো স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে। সেগুলো কোনো ক্ষতির মুখে পড়েনি।

আঘাত হানা দ্বীপটির সিভিল অ্যারোনটিক্স অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলেছে, তাইওয়ানের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে তেমন ব্যাঘাত ঘটেনি। শক্তিশালী এই টাইফুনের কারণে তাইওয়ানের কেবল ২৩টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।

তবে তাইওয়ানের সেন্ট্রাল ওয়েদার ব্যুরো জানিয়েছে, সোমবার সকাল থেকে হাইকুই তাইওয়ান প্রণালীতে প্রবেশ করে চীনের দিকে যেতে শুরু করেছে। তবে এই টাইফুনের প্রভাবে সপ্তাহের মাঝামাঝি পর্যন্ত তাইওয়ানজুড়ে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।

এদিকে টাইফুন হাইকুইয়ের জেরে চীনের বিভিন্ন এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির উপকূলীয় প্রদেশ ফুজিয়ান ও গুয়াংডংয়ের আশপাশে প্রবল বাতাস ও বিশাল ঢেউয়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সমুদ্রে চলাচলরত জাহাজগুলোকেও সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


টাইফুন   হাইকুই   তাইওয়ান   বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন   ৩০ হাজার পরিবার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাইডেন কি বিপদে পড়তে যাচ্ছেন!

প্রকাশ: ০৮:৪৬ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বর্বরতা নিয়ে এমনিতেই চাপে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর এটি যে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঘরোয়া ইস্যুতে পরিণত হয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ছয় মাস আগে তাকে আরও বিপাকে ফেলতে পারে, তা বোধ হয় বুঝতে পারেননি তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে যে আওয়াজ উঠেছে তাতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বড় ধরনের রাজনৈতিক বিপদে পড়তে যাচ্ছেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তাদের মতে, আগামী নির্বাচনে এর বড় খেসারত দিতে হতে পারে বাইডেনকে। দেশটিতে চলমান পরিস্থিতির মধ্যে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়ে সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স বলেছেন, ‘বাইডেনের ভিয়েতনাম’ হয়ে উঠতে পারে ইসরায়েল। এদিকে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষগুলো বেশ চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে। শনিবার মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনে বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনপন্থিরা। ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও সমাপনী অনুষ্ঠান চলাকালে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। সামনের দিনগুলোতে ক্যাম্পাস নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতা চলছে দশকের পর দশক ধরে। নিজভূমে পরবাসী হয়ে থাকা ফিলিস্তিনিদের প্রতি মুহূর্তে ইসরায়েলি গোলার মুখে বসবাস করতে হচ্ছে। কিন্তু ৭ অক্টোবরের ঘটনার পর গাজাজুড়ে যে বর্বরতা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী আর যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে তেল আবিবকে মদদ দিয়ে যাচ্ছে, তাতে খোদ ইসরায়েলি বন্ধু রাষ্ট্রগুলোও তাদের পাশ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে। অনেকেই ইসরায়েলে অস্ত্র ও গোলাবারুদ বিক্রি বন্ধ করার ঘোষণা দিচ্ছে।

অনেকেই দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলার ঘোষণাও দিচ্ছে। কিন্তু তাতেও দমছেন না ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেন যদি অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে ইসরায়েলকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখেন, তাহলে নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম সম্প্রদায় তার পাশে থাকবেন না বলে হুমকি দিয়ে রেখেছেন। গত রমজান মাসে হোয়াইট হাউসে বাইডেনের ইফতার পার্টি বর্জন করেন তারা। এর মধ্য দিয়ে তাকে কঠোরভাবে একটি বার্তা দেয় সেখানকার মুসলিম সম্প্রদায়। যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের বেশিরভাগ ভোট বরাবরই ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে যায়। কিন্তু নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুলসংখ্যক সেই মুসলিম ভোট বাইডেন হারাতে যাচ্ছেন বলে ডেমোক্র্যাট শিবিরেই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর সেরকমটা হলে হোয়াইট হাউসে তার দ্বিতীয়বারের মতো যাওয়ার স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই থেকে যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ছাত্র বিক্ষোভ। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যে ছাত্র বিক্ষোভ হয়েছিল দেশটিতে তারপর আর যুদ্ধের বিরোধিতায় সেরকম বড় ছাত্র বিক্ষোভ দেখা যায়নি যুক্তরাষ্ট্রে। সাম্প্রতিক এ বিক্ষোভ এক ধরনের কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে মার্কিন প্রশাসনযন্ত্রে। গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা ও দেশটিকে মার্কিন সহায়তা বন্ধের দাবি দিনের পর দিন আরও জোরালো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে। দেশটির তরুণ ও ছাত্রসম্প্রদায় যারা কিছুদিন আগেও ইসরায়েলের পাশে ছিলেন, তারা এখন দেশটির পাশ থেকে সরে যাচ্ছেন। সাম্প্রতিক বিভিন্ন জরিপেও ইসরায়েলের পাশ থেকে মার্কিন ছাত্রসমাজের সরে যাওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে, যা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে। এ ছাত্র বিক্ষোভ যদি শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে, তাহলে তা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সম্পর্ক নতুন করে ঠিক করে দিতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। এরই মধ্যে বিক্ষোভ দমনে পুলিশকে যেভাবে মারমুখী হতে দেখা গেছে, তা নিয়ে মারাত্মক সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিক্ষোভ দমাতে প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থীকে জেলে পুরে রাখা হয়েছে। ছাত্রদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাইডেন প্রশাসন কঠোর হাতে দমন করছে বলে খোদ ডেমোক্র্যাট শিবিরেই অভিযোগ উঠেছে। ভারমন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স বলেছেন, বাইডেনের ‘ভিয়েতনাম’ হয়ে উঠতে পারে ইসরায়েল। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বাইডেনকে তুলনা করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসনের সঙ্গে, যিনি ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়ে শিক্ষার্থী-বিক্ষোভের জেরে ১৯৬৮ সালে পুনর্নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। স্যান্ডার্স বলেছেন, এবার ইসরায়েল নিয়ে তার অবস্থানের জন্য যুব সম্প্রদায় ও ডেমোক্র্যাটদের বড় অংশের সমর্থন খুইয়ে বাইডেনের হেরে যাওয়ার সম্ভাবনাটাই বেশি।

এদিকে গত বুধবার দাঙ্গা পুলিশ দিয়ে ক্যাম্পাসগুলোর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর আবার কিছু কিছু ক্যাম্পাসে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা সেদিনই বলেছিলেন যে, এটাই শেষ নয়। তারা আবার ক্যাম্পাসে ফিরে আসবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা ও দেশটিকে মার্কিন সহায়তা বন্ধ হয়। শনিবার মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনে বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনপন্থিরা। এদিনের বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল। এখানে পুলিশকে বেশ সংযমী ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। তবে শনিবার শার্লটসভ্যালে ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের সঙ্গে বিবাদে জড়ান বিক্ষোভকারীরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের লনের ওপর দিয়ে টেনে আনতে দেখা যায় পুলিশকে। ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ২৫ বিক্ষোভকারীকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। সামনের দিনগুলোতে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান ঘিরে ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ পরিস্থিতি আরও অশান্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


যুক্তরাষ্ট্র   প্রেসিডেন্ট   জো বাইডেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিবাহবিচ্ছেদে উৎসব করে যে দেশের নারীরা

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিচ্ছেদ মানেই অসহনীয় এক পৃথিবী, বিচ্ছেদ মানেই ‘জীবনের শেষ’ এ রকম মনে করে না মৌরিতানিয়ার নারীরা। বিচ্ছেদের পর ওই নারীর সৌজন্যে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তার পরিবার। স্বামীর ‘যন্ত্রণা’ পেরিয়ে মেয়েরা নিজের ঘরে আরেকবার ফিরে আসার সুযোগ পাওয়ায় দেশটিতে বিচ্ছেদ উদ্যাপন করা হয়।

পরিবারের সব সদস্যরাই বিষয়টি স্বাভাবিক চোখেই দেখেন। তারা মনে করেন, ভালোর জন্যই মেয়ে আবার পরিবারে ফিরে এসেছে। এই ফিরে আসাকে তারা ‘কলঙ্কমুক্ত’ জীবনের সুযোগ হিসেবেও দেখেন। তাই একটি ব্যর্থ সম্পর্কের ইতি ঘটায় আনন্দে। সব আয়োজন শেষ হলে বিচ্ছেদী নারী অবিবাহিতদের কাতারে চলে যান।

আরও পড়ুন: নারীর প্রতি এক পৃথিবী সম্মান থাকুক প্রতিটি পুরুষের

মরুভূমির তরুণী মেহেদি শিল্পী একাগ্রচিত্তে আলপনা আঁকছেন তার আজকের খদ্দের ইসেলেখে জেইলানির হাতে। তিনি খুবই সতর্ক, কোনোভাবেই যেন ভেজা মেহেদিতে দাগ না পড়ে! ঠিক যেমনটি ছিলেন বিয়ের আগের দিন। এবার কিন্তু তার বিয়ে হচ্ছে না। হচ্ছে বিবাহ বিচ্ছেদ!

বিবাহ বিচ্ছেদ উপলক্ষে পরদিন হবে উৎসব। জেইলানির মা এই আনন্দে নিমন্ত্রণ করেছেন শহরবাসীকে। উল্লসিত কণ্ঠে বলছেন, তার মেয়ে এবং মেয়ের প্রাক্তন দুজনেই ভালোভাবে বেঁচে আছে।

মায়ের কথা শুনে হাসলেন জেইলানি। তিনি তখন সামাজিক প্ল্যাটফর্ম স্ন্যাপচ্যাটে মেহেদির ছবি পোস্ট করতে ব্যস্ত। মেহেদির ছবি পোস্ট করা বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণার আধুনিক সংস্করণ হয়ে উঠেছে। যদিও মৌরিতানিয়ায় এটি বহু পুরোনো সংস্কৃতি।

বিচ্ছেদের উৎসবে আগে ছিল নাচ, গান আর ভোজ। এখন সেলফি প্রজন্মে এসে যুক্ত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। আলপনা আঁকা কেক। মেয়েরা এখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় গর্ব ভরে আনন্দের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেয়।

আরও পড়ুন: বিচ্ছেদের কত দিন পরে নতুন সম্পর্কে জড়াবেন!

অনেক দেশের সংস্কৃতিতে বিবাহবিচ্ছেদকে লজ্জাজনক হিসেবে দেখা হয়। তবে পশ্চিম আফ্রিকার সুন্দর দেশ মৌরিতানিয়ায় এটি কেবল স্বাভাবিকই নয়, নারীদের কাছে আনন্দের উপলক্ষ! কারণ, শিগগিরই তার আবার বিয়ে হবে। বহু শতাব্দী ধরেই সেখানে নারীরা আরেক নারীর বিবাহ বিচ্ছেদে উৎসব করে।

মৌরিতানিয়ার ২০১৮ সালের এক সরকারি রিপোর্টে দেখা যায়, এক তৃতীয়াংশ বিয়ে ডিভোর্সের পরিণতি পেয়েছে। এর মধ্যে ৭৪ শতাংশ নারী আবার বিয়ে করেছেন। আর ২৫ শতাংশ বিয়ে করেনি।

মৌরিতানিয়া প্রায় শতভাগ মুসলিম দেশ। এখানে ঘন ঘন বিবাহবিচ্ছেদ হয়। অনেকে ৫ থেকে ১০ বার বিয়ে করে। কেউ কেউ ২০ বারেরও বেশি!

অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, দেশটিতে বিবাহবিচ্ছেদের হার বিশ্বে সর্বোচ্চ। তবে মৌরিতানিয়ায় এ প্রসঙ্গে খুব বেশি নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই। এর আংশিক কারণ হচ্ছে, এখানে বিবাহবিচ্ছেদ প্রায়শই মৌখিক হয়, নথিভুক্ত নয়।

দেশটিতে বিবাহবিচ্ছেদ এতটা সাধারণ কেন—সে প্রসঙ্গে দেশটির সমাজবিজ্ঞানী নেজওয়া এল কেত্তাব বলেন, মৌরিতানীয় সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ মৌর সম্প্রদায় তাদের বাবার পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে শক্তিশালী মাতৃতান্ত্রিক প্রবণতা পেয়েছে। দেশটির যাযাবর সম্প্রদায় নারীদের মর্যাদার কথা ছড়িয়ে দিয়েছে বহুদিকে। অন্যান্য মুসলিম দেশের তুলনায় মৌরিতানিয়ার নারীরা বেশ স্বাধীন।

তিনি আরো বলেন, দেশটিতে বিয়েকে পেশা হিসেবেও নেয়া যায়।

আরও পড়ুন: যুগের পরিবর্তনে আধুনিক সম্পর্কের দৃষ্টি ভঙ্গিতেই কি বাড়ছে বিবাহবিচ্ছেদ?

এখানে বিশেষ পরিস্থিতিতে নারীরাও বিবাহ বিচ্ছেদের পদক্ষেপ নিতে পারেন। অনেক নারী আছেন যারা কখনোই বিবাহবিচ্ছেদের কথা ভাবেন না। এরপরও বিচ্ছেদ যদি ঘটেই যায়, তাহলে নারীদের সমাজে সমস্যায় পড়তে হয় না। কারণে এখানে এমন নারীদের কেউ নিন্দা করে না, বরং সমর্থন জানায়। সমাজই পরিস্থিতিকে সহজ করে তোলে।

আরও পড়ুন: দাম্পত্যে বয়সের ব্যবধান কতটা ঝুঁকির?

উল্লেখ্য, মৌরিতানিয়া হলো যাযাবর, উট আর আকাশ ভরা তারা ও উজ্জ্বল চাঁদের দেশ। কখনো কখনো ১০ লাখ কবির দেশও বলায় একে। হয়তো এ কারণেই এখানে বিবাহবিচ্ছেদও কাব্যিক!


বিবাহবিচ্ছেদে   উৎসব   নারী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মোদী ফের প্রধানমন্ত্রী হলে ভারতের সর্বনাশ হবে: কংগ্রেস

প্রকাশ: ০৮:৪৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আবারও নরেন্দ্র মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলে একনায়ক হয়ে দেশকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেবেন। দেশটিতে মানুষের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তা নষ্ট করে ফেলবেন, হিন্দু-মুসলিম লড়াই বাধিয়ে দেবেন বলে দাবি করেছেন জাতীয় কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি ও 'ইন্ডিয়া' জোটের মুখ মল্লিকার্জুন খাড়গে। 

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে ইতিমধ্যে দুই দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ৭ মে তৃতীয় দফায় মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ। তার আগে রোববার (৫ মে) মালদার সুজাপুর হাতিমারি ময়দানে আয়োজিত জনসভায় উত্তর মালদা ও দক্ষিণ মালদা আসনগুলোতে বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম এবং ইশা খান চৌধুরীর সমর্থনে ভাষণ দেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে খাবার খান, তা হজম করার জন্য কংগ্রেসের নামে কু-কথা বলতে হয়। কু-কথা না বললে তার খাবার হজম হয় না।

কংগ্রেস সভাপতি বলেন, কংগ্রেস সরকার মনরেগার ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প তৈরি করেছে, গরিবদের পেট ভরার জন্য ফুড সিকিউরিটি অ্যাক্ট'র মাধ্যমে বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করেছে। নরেন্দ্র মোদী কি এ ধরনের কোনো প্রকল্প দিয়েছেন? আমাদের সরকার শিক্ষা সুরক্ষার জন্য কাজ করছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী ভারতে অশিক্ষার আলো জ্বালাতে চান। গরিবকে আরও গরিব করে রাখতে চান। এ ধরনের মানুষ তিনি।

মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ভাই এবং বোনেরা বলা ছাড়া নরেন্দ্র মোদী দেশের জন্য কিছুই করেননি। এখানে এসে বলেছিলেন, কংগ্রেসের নেতারা বিদেশে বেআইনি অর্থ রেখেছেন, সেই অর্থ আমি সুইস ব্যাংক থেকে আনবো, আর ভারতের প্রত্যেক নাগরিকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ রুপি দেওয়া হবে। কোথায় গেলো সেইসব অর্থ?

এরপর বিজেপি নেতাকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, প্রতি বছর দুই কোটি যুবককে চাকরি দেবো। ১০ বছরে কত চাকরি হওয়ার কথা ছিল? ২০ কোটি। ভারতে বেকার যুবকরা কি ২০ কোটি চাকরি পেয়েছে? পায়নি।

তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদী জনগণকে কখনো সত্যি কথা বলেন না। এ কারণেই বলতে হয়, মোদীজি, আপনি মিথ্যাবাদীদের সর্দার।

ইন্ডিয়া জোটের প্রধান আরও বলেন, এখন নরেন্দ্র মোদী আরও একটি মিথ্যা কথা বলছেন যে, জাতীয় কংগ্রেস জনগণনা প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণের সম্পত্তি ভাগ করে দিতে চায়। আর সেই সম্পত্তি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের দিতে চায়। কিন্তু আমি নরেন্দ্র মোদীকে বলবো, আপনি জেনে রাখুন, ভারতের সংবিধানে রয়েছে, সবার সমান অধিকার। মুসলিমদের যেমন সমান অধিকার, তেমনি হিন্দুদেরও সমান অধিকার। শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান- সবার জন্য সমান অধিকার, যা বাবা সাহেব বিআর আম্বেদকর লিখে গেছেন।

কংগ্রেসের বর্ষীয়ান এ নেতা বলেন, আমরা সবসময় দেশকে একজোট করে রাখতে চাই। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী কখনোই দেশকে একজোট করে রাখতে চান না। কখনো জাতির নামে, কখনো হিন্দু-মুসলিমদের নামে, কখনো নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের নামে দেশকে ভাগাভাগি করতে চান। তিনি আরও একবার প্রধানমন্ত্রী হলে একনায়ক হয়ে দেশকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেবেন। দেশে জাতিগুলোর মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তা নষ্ট করে ফেলবেন, হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে লড়াই বাধিয়ে দেবেন। কিন্তু জাতীয় কংগ্রেস কখনো দেশকে ভাঙতে দেবে না। আমরা সবাই এক হয়ে লড়াই করবো দেশের জন্য।


নরেন্দ্র মোদী   ভারত   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আল জাজিরা বন্ধ করতে ইসরায়েলের সংসদে ভোট

প্রকাশ: ০৮:২২ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা ইসরায়েলে আল জাজিরার কার্যক্রম বন্ধ করার পক্ষে সর্বসম্মতভাবে ভোট দিয়েছে। একটি সরকারি বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। 

চলমান গাজা যুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত বিদেশি টিভি চ্যানেল অস্থায়ীভাবে বন্ধ করার অনুমতি চেয়ে একটি আইন পাস করেছিল ইসরায়েলের সংসদ। এরপরই রবিবার দেশটির মন্ত্রিসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুমোদিত আইন অনুযায়ী নেতানিয়াহু ও নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ৪৫ দিনের জন্য ইসরায়েলে বিদেশি টিভির কার্যালয় বন্ধ করতে পারবে, যা নবায়নযোগ্য। এটি জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত বা গাজায় বড় সামরিক অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত বজায় থাকবে।

নেতানিয়াহু আল জাজিরাকে উস্কানিমূলক গণমাধ্যম বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলে উস্কানিমূলক চ্যানেল আল জাজিরা বন্ধ করে দেওয়া হবে। 


আল জাজিরা   বন্ধ   ইসরায়েল   সংসদ   ভোট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কেনিয়ায় বন্যা, প্রাণহানি বেড়ে ২২৮

প্রকাশ: ০৬:৫০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ২২৮ জনে পৌঁছেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে গত কয়েকদিনে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে বলে রোববার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিপাতে কেনিয়াজুড়ে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে। দেশটিতে মে মাসে আরও খারাপ আবহাওয়া পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

এক বিবৃতিতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বন্যায় আরও নিচু, নদী তীরবর্তী এলাকা ও শহরাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এ সময় খাড়া ঢালু, উঁচু পাহাড় ও গিরিখাত এলাকায় ভূমিধস অথবা কাদা ধস ঘটতে পারে।

বন্যায় পূর্ব আফ্রিকার বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটিতে অনেক বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, সেতু এবং অন্যান্য অবকাঠামো ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈরী আবহাওয়ায় আরও কমপক্ষে ১৬৪ জন আহত ও ২ লাখ ১৩ হাজার ৬৩০ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।


কেনিয়া   বন্যা   প্রাণহানি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন