ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাজকীয় আয়োজনে দিল্লিতে কাল জি-২০ সম্মেলন শুরু

প্রকাশ: ১২:১৭ পিএম, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail রাজকীয় আয়োজনে দিল্লিতে কাল জি-২০ সম্মেলন শুরু।

কাল থেকে ভারতের নয়াদিল্লিতে শুরু হচ্ছে জি-২০ সম্মেলন। শনিবার ও রোববার নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানের ‘স্টেট অব দ্য আর্ট’ ভারতমণ্ডপম কনভেনশন সেন্টারে বসছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের এবারের আসর। এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে চরম ব্যস্ততায় সময় কাটাচ্ছেন দিল্লির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এই সম্মেলনে অর্থনীতি, পরিবেশ, পরিকাঠামো, উন্নয়ন ইত্যাদি নিয়ে জি-২০ভুক্ত সদস্য দেশগুলো পরস্পরের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করবে। এ উপলক্ষ্যে ৮, ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর ৩ দিন দিল্লিকে যানজটমুক্ত রাখতে ছুটি দেওয়া হয়েছে সব স্কুল-কলেজ-অফিস।

এ সম্মেলনে যোগ দিতে ২ দিন আগেই ভারতে আসছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিশ্বের অন্য নেতারা শুক্রবার থেকে ভারতে আসা শুরু করবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ এতে আরও যোগ দেবেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁসহ অন্য দেশের রাষ্ট্রনেতারাও।

সবার সুরক্ষার কথা ভেবে কড়া নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা রাজধানীকে। ঢেলে সাজানো হয়েছে প্রগতি ময়দান চত্বর। সরকারি অতিথিদের জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে ভারত। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা এখন দিল্লির আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

বিভিন্ন জায়গায় বন্দুক নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন স্নাইপাররা। হেলিকপ্টার থেকে দিল্লির বিভিন্ন অলিগলিতে নজর রাখছেন সেনাবাহিনী এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের (এনএসজি) কমান্ডোরা। জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়া বিদেশি প্রতিনিধিদের থাকার জন্য যে বিলাসবহুল হোটেলে ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেগুলোর চারদিকে কড়া নজর রাখেছেন গোয়েন্দারা।

রাষ্ট্রনেতা এবং বিদেশি প্রতিনিধিদের থাকার জন্য দিল্লি ও গুরুগ্রামের বিভিন্ন হোটেলে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কক্ষ ভাড়া নেওয়া হয়েছে। তবে রাষ্ট্রপ্রধানরা দিল্লির হোটেলগুলোতে থাকবেন বলে জানা গেছে। জি-২০ দেশগুলোর পাশাপাশি অন্য বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদেরকেও অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দিল্লিতে।

এর মধ্যে রয়েছে-বাংলাদেশ, মিসর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। এসব দেশের রাষ্ট্রনেতাদেরও বিলাসবহুল হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম ‘নিউজ ১৮’ জানিয়েছে, আমেরিকার প্রসিডেন্ট বাইডেনের আপ্যায়নের ব্যবস্থা থাকছে আইটিসি মৌর্য শেরাটনে। ইডেন এবং তার প্রতিনিধিদলের জন্য হোটেলের প্রায় ৪০০টি কক্ষ ভাড়া নেওয়া হয়েছে। বাইডেন থাকবেন ১৪ তলায়। ১৪ তলা থেকে নিচে আসার জন্য থাকবে বিশেষ লিফটের ব্যবস্থা।

দিল্লির তাজ প্যালেস ভাড়া নেওয়া হয়েছে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের জন্য। তবে জিনপিং শীর্ষ সম্মেলনে না আসায় চীনের প্রতিনিধি হিসাবে সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। তাই জিনপিংয়ের পরিবর্তে কিয়াং সেই বিলাসবহুল হোটেলে থাকবেন।

দিল্লির কনট প্লেসের শাংরি-লা হোটেলে থাকতে পারেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী সুনাক। জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফসহ সে দেশের বাকি প্রতিনিধিদলেরও ওই হোটেলেই থাকার কথা রয়েছে। প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ফরাসি প্রেসিডেন্টের থাকার কথা বিলাসবহুল ক্লারিজেস হোটেলে। ইম্পেরিয়াল হোটেলে থাকবেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবেনিজ।

জি-২০ সম্মেলনে পুতিন যোগ দিতে আসবেন না বলে আগেই জানিয়েছে ক্রেমলিন। পুতিন জানিয়েছেন তার পরিবর্তে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। রাশিয়ার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে লাভরভও ওবেরয় হোটেলে থাকবেন।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, বিলাসবহুল হোটেলগুলোতে বিদেশি অতিথিদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কার কোন ধরনের খাবার পছন্দ, তা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে মেন্যু।

বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানরা ব্যক্তিগত জেটে নয়াদিল্লি আসছেন। তাদের আগমনের কথা মাথায় রেখে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আকাশ যানজটমুক্ত রাখতে বেশ কয়েকটি বিমানের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

বিলাসবহুল হোটেল ছাড়াও রাষ্ট্রপ্রধান এবং প্রতিনিধিদলের জন্য বিলাসবহুল গাড়ির ব্যবস্থা করেছে ভারত। ‘ইন্ডিয়া টুডে’ জানিয়েছে, জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আবহে দিল্লিতে মার্সিডিজ মেবাক, বিএমডব্লিউ এবং অডির মতো বিলাসবহুল গাড়ির চাহিদা তুঙ্গে। সেই গাড়িগুলোর প্রতিদিনের ভাড়া লাখ টাকার সীমা পেরিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে বাইডেনের নিরাপত্তার জন্য আমেরিকা থেকে আনা হচ্ছে প্রেসিডেন্টের সরকারি গাড়ি ‘দ্য বিস্ট’। এর পাশাপাশি চীনও নিজেদের প্রতিনিধিদলের গাড়ি আনতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তুরস্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ফ্রান্সের প্রতিনিধিদলও নিজস্ব গাড়ি নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।


রাজকীয় আয়োজন   দিল্লি   জি-২০   সম্মেলন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ঘুমিয়ে ছিলেন স্টেশন মাস্টার! সিগন্যালের অপেক্ষায় ট্রেন

প্রকাশ: ১২:১২ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

অনেক সময় চালকের ঘুমের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এবার ঘটেছে এক ভিন্ন ঘটনা। ডিউটির মধ্যেই ঘুমিয়ে গেছেন স্টেশন মাস্টার! এর ফলে প্রায় আধা ঘণ্টা সিগন্যালের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকে ট্রেন। এ ঘটনা ভারতের উত্তরপ্রদেশের। 

একটি স্টেশনে কর্তব্যরত অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন স্টেশন মাস্টার। এর ফলে প্রায় আধা ঘণ্টা সিগন্যালের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকে পাটনা-কোটা এক্সপ্রেস। 

গত ৩ মে (শুক্রবার) এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে ইটাওয়াহর কাছে উড়ি মোর রোড স্টেশনে। পরে অভিযুক্ত স্টেশন মাস্টারকে শোকজ করেছে রেল কতৃপক্ষ। 

জানা গেছে, পাটনা-কোটা এক্সপ্রেসের চালক বারবার হর্ন দিয়েও ঘুম ভাঙাতে পারছিলেন না স্টেশন মাস্টারের। শেষ পর্যন্ত ট্রেনটি প্রায় ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর স্টেশন মাস্টারের ঘুম ভাঙে এবং সেটি সবুজ সিগন্যাল পায়। 

ইতোমধ্যে দোষ স্বীকার করে ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন অভিযুক্ত। তিনি যুক্তি দেন, ঘটনার সময় পয়েন্টম্যান লাইন পর্যবেক্ষণে গিয়েছিলেন। ঘুম ভাঙাতে পাশে কেউ ছিলেন না। তার ফলেই বিপত্তি ঘটে।

আগ্রা রেলওয়ে ডিভিশন পি আর ও প্রশান্ত শ্রীবাস্তব বলেন, গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বিষয়টিকে। ইতোমধ্যে স্টেশন মাস্টারের বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরি করা হয়েছে। দোষ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


স্টেশন মাস্টার   ট্রেন   সিগন্যাল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী পানিশূন্যতায় ভুগছেন

প্রকাশ: ১১:২০ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রয়েছে। সেখানে সংঘাত বন্ধের কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। প্রতিদিনই নিরীহ ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারাচ্ছে। খাবার এবং আশ্রয়ের অভাবে দিন কাটছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনির। এ ধ্বংসযজ্ঞ যখন পুরো বিশ্বে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন সামনে এলো গাজার অন্তঃসত্ত্বা নারীদের করুণ চিত্র।

ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় দিন দিন পানির সংকট তীব্র হচ্ছে। এতে দেড় লাখেরও বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে গাজায় লাখ লাখ অন্তঃসত্ত্বা বা স্তন্যপান করানো নারী প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাচ্ছেন না। তারা স্যানিটেশন সমস্যায়ও ভুগছেন। প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার নারী খুবই কঠিন সময় পার করছেন। তাদের বেশির ভাগই পানিশূন্যতায় ভুগছেন বলে জানানো হয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউ-এর তথ্যানুযায়ী, গাজায় গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি নারীর প্রাণহানি হয়েছে। ১৯ হাজার ফিলিস্তিনি নারী আহত হয়েছেন। যেসব নারী মারা যাচ্ছেন তাদের অনেকেই সন্তানের মা। ফলে গড়ে প্রতিদিন মা হারাচ্ছে অন্তত ৩৭ ফিলিস্তিনি শিশু।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পালটা অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। অভিযানের নামে সেখানে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। বিশ্ব জুড়েই গাজা সংঘাত বন্ধের জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। বরং রাফা এবং অন্যান্য শহরে হামলার তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।

গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে প্রায় সাত মাস ধরে চলা সংঘাতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে ৭৭ হাজার ৮৬৭ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। হতাহতের শিকার এই বিপুল সংখ্যক মানুষের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।


গাজা   অন্তঃসত্ত্বা   নারী   পানিশূন্যতা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ: ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রেফতার ২৫

প্রকাশ: ১১:০৩ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়া এই বিক্ষোভ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বাইডেন প্রশাসন। চলছে ধরপাকড়।

সর্বশেষ শার্লটসভিলের ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শিবির ভেঙে দিয়েছে মার্কিন পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের তাদের ওপর পিপার (মরিচ) স্প্রে ব্যবহার করা হয়েছে। সেখান থেকে অন্তত ২৫ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট জিম রায়ান বলেন, বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাসে তাঁবু স্থাপন করে আন্দোলন করতে থাকে। তারা অবস্থান থেকে সরে যেতে অস্বীকার করার পর তাদের ছত্রভঙ্গ করতে স্থানীয় পুলিশ বাহিনীকে ডাকা হয়।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি শান্ত করতে তাদেরকে সরে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা সংঘর্ষ বাঁধানো ও হামলার চেষ্টা করে। ফলে পুলিশ ওই সমাবেশকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং যারা সেখান থেকে সরে যেতে অস্বীকার করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ক্যাম্পাসভিত্তিক এই আন্দোলন থেকে ইতোমধ্যে দুই হাজার চার শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে মার্কিন প্রশাসন। তবে তারপরও দমে যাননি শিক্ষার্থীরা। তারা অবিলম্বে ইসরায়েলের সঙ্গে ওই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক ছিন্ন ও গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।  


ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ   ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যাল   গ্রেফতার ২৫  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মেক্সিকোতে তাঁবু গেড়ে অবস্থান শিক্ষার্থীদের ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ

প্রকাশ: ১১:০১ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় চলমান ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, কানাডাসহ বিশ্বের আরও অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়। লন্ডন, প্যারিস ও রোম থেকে সিডনি, টোকিও, বৈরুতসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি একটাই- ‘গণহত্যা বন্ধ হোক’। পাশাপাশি ইসরায়েল ও গাজা যুদ্ধকে সমর্থন করে, এমন সব কোম্পানির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি তোলা হচ্ছে। সম্প্রতি ব্রিটেনের নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ভবনের বাইরে তাঁবু গেড়ে অবস্থান নেয় শত শত শিক্ষার্থী। ফিলিস্তিনের সহমর্মিতায় বিক্ষোভ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কানাডার মন্ট্রিলের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়েও। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ-কারীদের হটাতে যে দমনপীড়ন চালানো হচ্ছে, সেটাও তাদের প্রতিবাদে শামিলে উৎসাহিত করছে বলে জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়ে পড়েছে এই আন্দোলন।

এদিকে, মেক্সিকোর বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিদাদ ন্যাসিওনাল অটোনোমা ডি মেক্সিকোতে তাঁবু খাটিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। গত বৃহস্পতিবার থেকে কমপক্ষে ৪০টি তাঁবু খাটানো হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ‘গাজায় সাম্রাজ্যবাদী গণহত্যা’ বন্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন বলে জানান। এসব বিক্ষোভে আরবের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইহুদি শিক্ষার্থীরাও অংশ নিচ্ছেন। ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও মেক্সিকোর সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।


ইসরায়েলবিরোধী   বিক্ষোভ   মেক্সিকো  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানেও ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ

প্রকাশ: ১০:৫৬ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এরই মধ্যে দেশটির ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিক্ষোভ চলছে। মার্কিন প্রশাসনের ব্যাপক ধরপাকড় সত্ত্বেও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে বিক্ষোভকারীরা। তাদের দাবি- ‘গাজায় গণহত্যা বন্ধ হোক’। পাশাপাশি ইসরায়েল ও গাজা যুদ্ধকে সমর্থন করে, এমন সব কোম্পানির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি তোলা হচ্ছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানস্থলেও মঞ্চের সামনে বিক্ষোভ করেছেন ফিলিস্তিনপন্থীরা। তবে এই বিক্ষোভ ছিল শান্তিপূর্ণ। অন্যদিকে ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের মুখোমুখি হতে হয়েছে বিক্ষোভকারীদের।

স্থানীয় সময় শনিবার এসব ঘটনা ঘটে। আগামী দিনগুলোয় স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অ্যান আরবর স্টেডিয়ামে বসেছিল মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েক ডজন শিক্ষার্থী মাথায় ঐতিহ্যবাহী কেফিয়েহ আর স্নাতক টুপি পরে মঞ্চের সামনে দিয়ে হেঁটে যান। তাদের হাতে প্ল্যাকার্ড ও ফিলিস্তিনের পতাকা ছিল। এ সময় দর্শকেরা উল্লাস করে বিক্ষোভকারীদের উৎসাহ দেন।

ক্যাম্পাস পুলিশ দ্রুত বিক্ষোভকারীদের ঘিরে ফেলে স্টেডিয়ামের পেছনের অংশে নিয়ে যায়। তবে কাউকে আটক করা হয়নি এবং অনুষ্ঠানেরও কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি। বিশ্ববিদ্যালয়টির মুখপাত্র কলিন ম্যাসটনি এসব তথ্য জানান।

এক বিবৃতিতে কলিন বলেন, আগেও মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে।

তবে শনিবার চার্লটসভ্যালে ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের লনের ওপর দিয়ে টেনে আনতে দেখা যায় পুলিশকে।  


মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়   ইসরায়েলবিরোধী   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন