ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অস্ত্র কেনার আড়ালে যে উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টায় পুতিন!

প্রকাশ: ০৪:২৬ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের জন্য রাশিয়া সফরে গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই কিমের এ রাশিয়া যাত্রার কথা শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে রাশিয়ায় পৌঁছালেন তিনি। রুশ রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা ইন্টারফ্যাক্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কিম জং উন রাশিয়ার পূর্বাঞ্চল সফর করবেন। তবে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে কিমের মূল লক্ষ্য মূলত রাশিয়ায় অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে আলোচনা করা। জানা গেছে, রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কিনবে আর এ কারণেই পুতিনের সাথে বৈঠক করতে কিমের এই রাশিয়া সফর। কিন্তু পরাশক্তি রাশিয়ার মত পারমাণবিক অস্ত্র ভাণ্ডারে পরিপূর্ণ দেশ কেন অস্ত্রের জন্য উত্তর কোরিয়ার দ্বারস্থ হবে? নাকি এর পেছনে আছে আরও বৃহৎ স্বার্থ, যাতে লাভ হতে পারে উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়া দু’দেশেরই?

অতি নিভৃতিকামী উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতির অবস্থা সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন করলে এর উত্তর পাওয়া খুব কঠিন। কেননা, দেশটি কখনো তাদের বাণিজ্যের পরিসংখ্যান জানায় না। তেমনি জানায় না এর সম্পদের পরিমাণও।

কোভিড মহামারির কারণে কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় গত তিন বছর ধরে সীমান্ত বন্ধ রেখেছিল উত্তর কোরিয়া। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে এমনকী তাদের বাণিজ্যও স্থগিত করা হয়েছিল। মানবিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর মতে এর ফলেই দেশটিতে খাদ্য ও ওষুধের চরম ঘাটতি দেখা দেয়। দু বছর আগে মি. কিম দেশটিতে “খাদ্য সংকটেরকথাও স্বীকার করেছেন যা বেশ বিরল। সাথে সাথে দেশটির অর্থনীতিও পড়ে চরম ধ্বংসের মুখে, যে সংকট অবস্থা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি উত্তর কোরিয়া। আর এই সংকট অবস্থা কাটাতেই মি. কিমের এই রাশিয়া সফর বলে অনেকে মনে করছেন।

মূলত, রাশিয়ার কাছে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া দেশটির অর্থনৈতিক ভগ্নদশা কিছুটা হলেও কাটাতে চাইছে। অস্ত্রের দিক দিয়ে বেশ ভালো ক্ষমতাধর দেশটির এদিক দিয়ে কোনো কমতি নেই, যেরকম অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আছে। তাই, রাশিয়ার সাথে অস্ত্রের এ বাণিজ্য উত্তর কোরিয়ার জন্য ব্যাপক লাভজনক হবে।

অপরদিকে, রাশিয়া চাইছে বিশ্ব অর্থিনীতিতে ডলারের প্রভাব বিস্তার কমাতে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই বিশ্বের রিজার্ভ কারেন্সি হিসেবে মার্কিন ডলারের একাধিপত্য বজায় রয়েছেআন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের তথ্য অনুসারে (আইএমএফ) বর্তমানে বিশ্বের ৬০ শতাংশ রিজার্ভই মার্কিন ডলারে। বিশ্ব বাণিজ্যেও মার্কিন ডলারই সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যেসব নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তাতে বিশ্বের অনেক দেশই ডলারের রিজার্ভ ও লেনদেন নিয়ে বর্তমানে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ভারত ও বাংলাদেশের মতো দেশগুলো এখনই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ডলারের বিকল্প হিসেবে অন্য মুদ্রা ব্যবহারের তোড়জোড় শুরু করেছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে অন্য মুদ্রা ব্যবহারও শুরু করে দিয়েছে।

ডলারের আধিপত্য নিয়ে বিশ্বের দেশগুলোর এ অস্বস্তি বহু বছর ধরেই চলমান। মার্কিন মিত্র দেশগুলোও এই বিষয়টি নিয়ে নিজেদের অস্বস্তি প্রকাশ করেছে। কিন্তু বর্তমান ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এটি আরও বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর করার পরপরই ইউরোপ এবং আমেরিকা মিলে রাশিয়ার উপর নানা ধরণের অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। কিন্তু পুতিনের চমৎকার কুটনীতির প্রয়োগ এসকল নিষেধাজ্ঞাকে ম্লাণ করে দেয়।

যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের প্রবল নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে রাশিয়া তাদের প্রায় মূল্যহীন হয়ে পড়া মূদ্রা রুবলকে তাদের জীবাশ্ম জ্বালানী অর্থাৎ গ্যাস ও তেল রপ্তানির মাধ্যমে শক্তিশালী করে তোলে। রাশিয়া বলে, তাদের কাছ থেকে যারা তেল গ্যাস ক্রয় করবে, সেটির মূল্য পরিশোধ করতে হবে রাশিয়ার মুদ্রা রুবলের মাধ্যমে। এর ফলে ইউরোকে রুবলে পরিবর্তন করা হয়।

এছাড়াও যারা রুবল বিক্রি করে ডলার বা ইউরো কিনবেন না, অর্থাৎ রুবল সঞ্চয় করবেন, তাদের জন্য প্রণোদনাও ঘোষণা করে রাশিয়া। রাশিয়ার অনেক কোম্পানি বিদেশি কোম্পানিগুলোর সাথে ব্যবসা করে ডলার, ইউরো এবং ইয়েন আয় করে। কিন্তু এখন রাশিয়ার কোম্পানিগুলো বিদেশে ব্যবসা করে যে আয় করবে তার ৮০ শতাংশ রুবলে কনভার্ট করে নিতে হচ্ছে। এর ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে রাশিয়ার মুদ্রা রুবলের একটি বড় চাহিদা তৈরি হয়েছে। রাশিয়ার কোন নাগরিক যাতে দেশের বাইরে অর্থ নিতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নিয়েছে পুতিন সরকার। কারণ আগে দেশের বাইরে অর্থ পাঠাতে হলে সেটি ডলার বা ইউরোতে পাঠতে হতো। যেহেতু সেটি বন্ধ করা হয়েছে, সেজন্য ডলার বা ইউরোর চাহিদা কমেছে। ফলে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা দেশের ভেতরে রয়ে গেছে। আর এটি রুবলের দরপতন ঠেকাতে সাহায্য করেছে।

রাশিয়ার এ অবস্থা দেখে আন্তর্জাতিক বিশ্বের অন্য দেশগুলোও ডলারের বিকল্প খুঁজতে মরিয়া হয়ে উঠছে। কারণ মার্কিন মুদ্রানীতি বাকি বিশ্বের উপর খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই প্রভাবকে অস্বস্তিকর বলে মনে করে এবং তারা মার্কিন ডলারের বিকল্প হিসেবে অন্যান্য মুদ্রার ব্যবহারকে উৎসাহিত করছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ফ্রান্স ও ভারতও রয়েছে।

বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিমের সাথে অস্ত্র কেনা বিষয়ক বৈঠক করছেন পুতিন। মূলত, রাশিয়ান মূদ্রা রুবলের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কিনে বিশ্ব বাণিজ্যে রুবলের ব্যবহারের বিস্তার ঘটানোই পুতিনের মূল উদ্দেশ্য বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকগণ। কিম এই অস্ত্র বেচা অর্থ বা রুবল নিয়ে চীনের সাথে বাণিজ্য করলে রুবলের ব্যবহার বা প্রসার আরও বাড়বে।

মূলত প্রত্যেক দেশ তার নিজস্ব মূদ্রা ব্যবহার করে ব্যবসা বাণিজ্য করলে বিশ্ব অর্থনীতিতে ডলার বা ইউরোর চাহিদা কমবে এটিই পুতিনের আসল উদ্দেশ্য।

এদিকে মি. কিমের এই রাশিয়া সফর নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার পুতিনকে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, “সাহায্যের জন্য আন্তর্জাতিক ভাবে বিচ্ছিন্ন ও অস্পৃশ্য কিমের কাছে হাত পেতে পুতিন এটিই দেখাচ্ছেন যে, ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন চালানো তার (পুতিনের) অবশ্যই ‘কৌশলগত ব্যর্থতা’ ছিল।“

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে মিলারের এসব কথাবার্তা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো আর কিছু নয় বলেই মনে করেন বিশ্লেষকগণ। কারণ পুতিনের এসব কুটনৈতিক চাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অজানা কিছু নয়। বিশ্ব অর্থনীতিতে রুবলের ব্যবহারের প্রসার ঘটানো বা ডলারের প্রভাব বিস্তার রোধ করতে যে পুতিন বর্তমানে বদ্ধপরিকর। আর এ কারণেই ইউক্রেন যুদ্ধকে পুঁজি করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নানা রকম নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চলেছে দেশটি।


পুতিন   কিম জং উন   অস্ত্র আলোচনা   রাশিয়া   উত্তর কোরিয়া   রুবল   ডলার   বিশ্ব অর্থনীতি   বিশ্ব সংবাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মাঝরাতে আইসক্রিম খাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো ইতালি

প্রকাশ: ১২:৪৮ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যরাতের পর আইসক্রিম খাওয়া নিষিদ্ধ করে একটি আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে ইতালির মিলানে। বাসিন্দাদের প্রশান্তির স্বার্থে এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে মিলানের স্থানীয় সরকার। 

ইতালির সংস্কৃতির অংশ হয়ে আছে আইসক্রিম। অনেকেই গভীর রাতে আইসক্রিম খেয়ে থাকেন। প্রস্তাবিত নতুন আইনের অধীন এভাবে আইসক্রিম খাওয়াকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।

মিলান শহরের স্থানীয় সরকার ইতিমধ্যে আইনের খসড়া তৈরি করে আইনসভায় জমা দিয়েছে। যদি প্রস্তাবিত আইনটি পাস হয়ে যায়, তাহলে আগামী মাস থেকে মধ্যরাতের পর আইসক্রিম খাওয়া নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে।

মিলানের ১২টি এলাকায় আইনটি কার্যকর হবে। এই আইনের অধীনে মধ্যরাতের পর পিৎজা, পানীয়সহ সব ধরনের খাবার বাড়িতে সরবরাহ করা নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। শহরের সড়কে রাতের বেলায় যাতে হইচই না হয় এবং বাসিন্দারা প্রশান্তিতে থাকতে পারেন, সে জন্য এই আইন করা হচ্ছে।

মিলানের ডেপুটি মেয়র মার্কো গ্র্যানেলি বলেন, সামাজিকতা ও বিনোদনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা এবং বাসিন্দাদের শান্তি ও প্রশান্তির কথা বিবেচনায় নিয়ে এই আইনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত এই আইন 'মধ্য মে' থেকে কার্যকর এবং নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। 

সপ্তাহের কর্মদিবসে রাত সাড়ে ১২টা এবং সাপ্তাহিক ও অন্যান্য ছুটির দিনে রাত দেড়টা থেকে আইনটির প্রয়োগ শুরু হবে। সড়ককে কোলাহলমুক্ত রাখতে খোলা আকাশের নিচে বসানো খাবার টেবিলে এই আইনের প্রয়োগ করা হবে।

নাগরিকেরা চাইলে মে মাসের গোড়ার দিকে প্রস্তাবিত আইনের কোনো ধারার পরিবর্তন বা সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

মধ্যরাতে আইসক্রিম খাওয়া বন্ধে মিলানের স্থানীয় সরকার এবারই যে প্রথম উদ্যোগ নিচ্ছে, তা নয়। এর আগে ২০১৩ সালে তৎকালীন মেয়র জুইলিয়ানো পিসাপিয়া মধ্যরাতের পর আইসক্রিম নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তুমুল সমালোচনার মুখে তিনি পিছু হটতে বাধ্য হন।


আইসক্রিম   নিষিদ্ধ   ইতালি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জার্মানির বিরুদ্ধে মামলার রায় ৩০ এপ্রিল

প্রকাশ: ১১:৫৩ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল চলমান যুদ্ধে গণগত্যা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ইসরায়েলের এই অমানবিক কর্মকাণ্ডে সহায়তার অভিযোগ এনে জার্মানির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা করে মধ্য আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়া।

আগামী ৩০ এপ্রিল সেই মামলার রায়ের দিন ঘোষণা করেছে আইসিজে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইসিজে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে- ইসরায়েলকে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দিয়ে গণহত্যা ‘সহজতর’ করার দায়ে জার্মানিকে অভিযুক্ত করে ১ মার্চ নিকারাগুয়া যে মামলা করে তার রায় ৩০ এপ্রিল ঘোষণা করা হবে।

বিবৃতি অনুসারে, দ্য হেগের পিস প্যালেসে ওই দিন স্থানীয় সময় বিকাল তিনটায় আদালতের প্রধান বিচারপতি নওয়াফ সালাম মামলার রায় পাঠ করবেন।

নিকারাগুয়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের কাছে ‘জার্মানিকে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা বন্ধ করার নির্দেশ এবং গাজা উপত্যকায় আন্তর্জাতিক আইনের অন্যান্য বিধিনিষেধের বিষয়ে’ জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা জারি করার অনুরোধ জানিয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৪,৩৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। এছাড়াও আহত হয়েছে ৭৭,৩৬৮ ফিলিস্তিনি।


জার্মান   বিরুদ্ধে   মামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের সঙ্গে সশস্ত্র লড়াই বন্ধে ইচ্ছুক হামাস

প্রকাশ: ১১:৪৮ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের সঙ্গে সশস্ত্র লড়াই বন্ধে ইচ্ছুক ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তবে তাদের একটি শর্ত রয়েছে। সংগঠনটির কয়েকজন নেতা এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। তা হলো, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল যেসব অঞ্চল দখল করেছিল, ওই অঞ্চলগুলো নিয়ে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। 

২০০৭ সাল থেকে গাজা শাসন করেছে হামাস। ইসরায়েলের পতনের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। তবে গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় উপত্যকাটিতে হামাসের ভবিষ্যৎ অনেকটাই অনিশ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে সংগঠনটির নেতাদের এ ইঙ্গিতে বোঝা যায়, আগের অবস্থান নিয়ে সুর নরম করছেন তারা।

হামাসের এই নেতাদের একজন তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বসবাসকারী বাসেম নাইম। তিনি হামাসের রাজনৈতিক শাখার সদস্য। বৃহস্পতিবার নাইম যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, জেরুজালেমকে রাজধানী করে যদি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করা হয়, আর শরণার্থীদের সেখানে ফেরার অধিকার দেওয়া হয়, তাহলে আল কাশেম ব্রিগেডকে (হামাসের সামরিক শাখা) ভবিষ্যতে জাতীয় সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। 

হামাসের শর্তগুলো মেনে নেওয়া হলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াই 'অবশ্যই' বন্ধ করা হবে বলেও জানিয়েছেন বাসেম নাইম। তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) যদি তাদের গঠনতন্ত্র ও প্রশাসনে 'সংস্কার' আনে, তাহলে সংগঠনটির সঙ্গে যোগ দিতে চায় হামাস।

তবে হামাসের নেতারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শর্ত সাপেক্ষে অস্ত্র প্রত্যাহারের কথা বললেও আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এখনো কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। আর বিদেশে অবস্থান করা হামাসের নেতাদের বক্তব্য গাজায় থাকা সংগঠনটির সামরিক শাখার নেতাদের চিন্তাভাবনার সঙ্গে মেলে কি না, তা স্পষ্ট নয়।

হামাস বরাবরই স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠায় দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের বিরোধিতা করে আসছে। দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান অনুযায়ী, ইসরায়েলের পাশাপাশি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করা হবে। এর বিপরীতে এত দিন  ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক সব অঞ্চল নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ে তোলার কথা বলে এসেছে হামাস। এসব অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে আজকের ইসরায়েল, অধিকৃত পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা।


ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতে দ্বিতীয় ধাপে ভোট পড়েছে ৬৩ শতাংশ

প্রকাশ: ১১:০৪ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ১৩টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলজুড়ে নির্বাচনের এই ধাপে ৮৮টি আসনের জন্য ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভোট হওয়ার কথা ছিল ৮৯ আসনে। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের বেতুল কেন্দ্রের বিএসপি প্রার্থীর মৃত্যুতে সেখানে ভোট স্থগিত রাখা হয়। তৃতীয় দফায় সেখানে ভোট নেয়া হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছে ৬৩ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গ, মণিপুর ও আসামে রেকর্ড ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে। 

তবে তাপদাহের কারণে কেরালায় দুজন ভোটার ও একজন পোলিং এজেন্টের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। যদিও তীব্র গরম উপেক্ষা করেই দক্ষিণী সিনেমার বড় বড় তারকাদেরকে ভোট দিতে দেখা যায়।

দ্বিতীয় দফার ভোটদের দিন তৃতীয় দফার নির্বাচনী এলাকাগুলোতে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বিজেপি, কংগ্রেস ও তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। এদিন পশ্চিমবঙ্গের মালদায় নির্বাচনী জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

দ্বিতীয় দফার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থীদের মধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থীরা হলেন- রাহুল গান্ধী, শশী থারুর ও হেমা মালিনী। আগামী ৭ মে হবে লোকসভার তৃতীয় দফার ভোট গ্রহণ।


ভারত   ভোট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্কিন পররাষ্ট্র মুখপাত্রের পদত্যাগ

প্রকাশ: ১০:০৬ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গাজা যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির প্রতিবাদ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের আরবি ভাষার মুখপাত্র হালা রারিত পদত্যাগ করেছেন। গাজায় ইসরাইলি হামলা শুরুর পর থেকে এটি মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের তৃতীয় পদত্যাগ।

হালা রাহারিত লিঙ্কডইন পোস্টে জানিয়েছেন,'পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মানজনক পদে ১৮ বছর চাকরি করার পর ২০২৪ সালের এপ্রিলে আমি পদত্যাগ করেছি। গাজা ইস্যুতে মার্কিন সরকারের নীতিই এর কারণ।'

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, হালা রাহারিত একসময় মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত সংস্থা দুবাই রিজিওনাল মিডিয়া হাবের উপ-পরিচালক ছিলেন। আরব বিশ্বের সংবাদমাধ্যমগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে সংস্থাটি। তারপর ২০০৬ সালে রাজনৈতিক ও মানবাধিকার কর্মকর্তা এবং আরবি ভাষার মুখপাত্র হিসেবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগ দেন হালা রাহারিত।

অবশ্য হালা রাহারিতই প্রথম কর্মকর্তা নন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন। একই কারণে গত মার্চে পদত্যাগ করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের মানবাধিকার ব্যুরোর কর্মকর্তা অ্যানেলি শেলিন। এর আগে গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তারিক হাবাশ পদত্যাগ করেছিলেন।


মার্কিন পররাষ্ট্র   মুখপাত্র   পদত্যাগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন