ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যেভাবে ধীরে ধীরে বিশ্বকে গ্রাস করে চলেছে চীন

প্রকাশ: ০৫:০১ পিএম, ০১ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

গণপ্রজাতন্ত্রী চীন তথা নয়াচীন প্রতিষ্ঠার ৭৪তম বার্ষিকী আজ। ১৯৪৯ সালের পহেলা অক্টোবর দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে চীনে গণপ্রজাতন্ত্রী সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে দেশটির কমিউনিস্ট পার্টি। বিগত ৭৪ বছরে একটি চরম দরিদ্র দেশ থেকে চীন বর্তমানে পুরো বিশ্ব গ্রাস করে চলেছে। শুধু এশিয়াতেই নয় বরং বিশ্ব পরাশক্তি হিসেবে চীন এখন আমেরিকার চোখে চোখ রাঙ্গানি দিয়ে চলে। মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে আফ্রিকা প্রায় সবই চীনের দখলে। দিনের পর দিন যুদ্ধবিহীন সুকৌশলে একটার পর একটা রাষ্ট্র তারা তাদের পকেটে পুরে নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রকে টক্কর দেয়ার মতো বৈশ্বিক পরাশক্তি হয়ে উঠেছে চীন, মূলত বিশ্বকে এটিই দেখিয়ে দিতে চায় তারা।

চীনের এই সারা বিশ্ব দখল করতে পারার করার প্রধান কারণ হচ্ছে তাদের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ঋণ কূটনীতি বা ঋণের ফাঁদ। আর এই ঋণ কূটনীতির ফাঁদে ফেলে চীন ক্রমেই পুরো বিশ্ব জয় করে চলেছে। দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকার অনুন্নত রাষ্ট্রগুলোকে ঋণ ও অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে চীন সুকৌশলে সেদেশগুলোর রাজনৈতিক এবং সামাজিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা শুরু করেছে।

 শ্রীলঙ্কাকে যেভাবে গ্রাস করে নিল চীন:

চীন শ্রীলংকার হাম্বানটোটা বন্দর ১০০ বছরের জন্য লিজ নিয়েছে কারণ শ্রীলংকা চীনের ঋণ সঠিক সময় প্রদান করতে পারেনি। সাথে সাথে চীন শ্রীলংকার একটি রাজনৈতিক দলকে সমর্থন দিয়ে আরেকটি রাজনৈতিক দলকে তারা ভারতের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তুলেছে। শ্রীলঙ্কার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে চীন শ্রীলঙ্কাকে নিজেদের আয়ত্তে অর্থাৎ চায়নার ব্লকে রাখার চেষ্টা করছে।

চীনের মধ্যপ্রাচ্য দখল:

সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক সম্পর্কের পালাবদলে চীন যে এ অঞ্চল নিয়ে অনেক দূর এগিয়েছে তা টের পাওয়া যায় সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যকার সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তির মধ্য দিয়ে। গত মার্চেই চীনের মধ্যস্থতায় আয়োজিত সংলাপে অংশ নেন সৌদি আরব ও ইরানের প্রতিনিধিরা। চার দিন পর রিয়াদ ও তেহরান ঘোষণা দেয়, দুই দেশ সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খুলছে দুই দেশের বন্ধ থাকা দূতাবাসও। আর এই ঐতিহাসিক চুক্তির মধ্য দিয়েই মধ্যপ্রাচ্যে বৃহৎ বৈশ্বিক শক্তিগুলোর ভূমিকায় পরিবর্তন আসা শুরু করেছে। মধ্যপ্রাচ্যে চীনের নেতৃত্বদানের যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা, সে পথ সুগম করেছে তারা এ চুক্তির মাধ্যমেই। সৌদি আরব ও ইরানকে সমঝোতায় আনতে পারার মধ্য দিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মধ্যপ্রাচ্যে পুরোপুরিই এগিয়ে আছে বেইজিং। এছাড়া রিয়াদ ও তেহরান উভয়েই মনে করে, আঞ্চলিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে চীনের মাধ্যমে এগোলে তারা লাভবান হবে। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব-প্রতিপত্তি যে দ্রুত কমছে ইরান-সৌদি মীমাংসা চুক্তিকে তার জলজ্যান্ত একটি উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছেএক কথায়, কোনোরকম যুদ্ধ ছাড়াই অত্যন্ত সুকৌশলে চীন মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে ছাড়লো।

নেপাল-ভুটানে যেভাবে নব্য উপনিবেশ গড়ে তুলেছে চীন:

নেপাল এক সময় ভারতের সবচেয়ে কাছের একটি দেশ ছিল। সীমান্ত, অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক সব দিক দিয়েই। কিন্তু চীন তাদের নিজস্ব অর্থায়নে নেপালের বিভিন্ন উন্নয়ন ও অবকাঠামো নির্মাণ করা শুরু করে। একটা পর্যায়ে নেপালে তারা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ শুরু করে দেয় এবং এতে সেখানে ভারত বিদ্বেষী মনোভাব জন্ম নিয়ে দেশটি বর্তমানে চীনের দিকেই বেশি ঝুকে পড়েছে।

এদিকে মায়ানমার আর পাকিস্তান তো এক প্রকার চীনের অঘোষিত অঙ্গরাজ্য হিসেবেই বিশ্বের বিভিন্ন ফোরামে চীনের দেওয়া নির্দেশাবলীর ভিতরেই সীমাবদ্ধ থাকে। এর মাধ্যমে চীন একদিকে দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলোকে ঋণ ও অবকাঠামো এবং অর্থনৈতিক সাহায্য দিয়ে তাদেরকে দিয়ে নব্য উপনিবেশ তৈরি করেছে। যার মাধ্যমে এই সব অঞ্চলে চীন এক প্রকার সুপার পাওয়ার এর ভূমিকা পালন করছে।

আফ্রিকায় সামরিক ঘাটি স্থাপন ও আধিপত্য বিস্তার:

আফ্রিকাতে সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের পাশাপাশি অন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর মত আফ্রিকান দরিদ্র দেশগুলোকেও ঋণের জালে আটকে ফেলছে চীন। ইতোমধ্যে ‘জিবুতি’ নামক ছোট দ্বীপ দেশটিকে ঋণের ফাঁদে ফেলে দিয়েছে তারা। এই জিবুতিতেই ২০১৭ সালে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করে চীন। চীন পরিচালিত দোবালেহ বন্দরের পাশেই তাদের সামরিক ঘাটিটি অবস্থিত।

বৈশ্বিক নেতৃত্বে চীন তার অবস্থানকে পাকাপোক্ত করতে অত্যন্ত কৌশলে অগ্রসর হচ্ছে। তাদের পথচলায় আফ্রিকায় বেশি করে সামরিক ঘাঁটি গড়ার দিকে নজর দিয়েছে চীন। গোটা আফ্রিকাজুড়ে চীনের প্রায় ১০ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ সব প্রতিষ্ঠান থেকে বার্ষিক ১৮০ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় হচ্ছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ২৫০ বিলিয়ন আয়ের লক্ষ্য মাত্রা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে চীন। সামরিক ঘাঁটি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গিকে শানিত করে চলেছে। এ ক্ষেত্রে চীন এশিয়া ও আফ্রিকার দরিদ্র দেশগুলোকে টার্গেট করে অগ্রসর হচ্ছে। এসব দরিদ্র দেশের সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক এবং নিজ দেশীয় সম্পদ ভোগের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে চলেছে চীন। চীনের কৌশল হচ্ছে তারা আফ্রিকা মহাদেশে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করতে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছে এমনটা দেখানো।

এই যে দুনিয়ার যেখানেই অর্থসঙ্কট বা বিনিয়োগসঙ্কট সেখানেই কাঁড়ি কাঁড়ি ডলার নিয়ে ত্রাতার বেশে হাজির হয়ে যাচ্ছে চীন এর পেছনে দিন দিন নিজেদের প্রভাব প্রতিপত্তির বিস্তার ঘটানোই মূলত চীনের আসল উদ্দেশ্য। এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, লাতিন আমেরিকাসহপ্রায় সবখানেই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের বন্যা বইয়ে দিচ্ছে একালের অর্থনৈতিক পরাশক্তি শি জিনপিংয়ের দেশ। এমনকি উত্তর আমেরিকার ভেনেজুয়েলা, নিকারাগুয়াকেও আর্থিক বিনিয়োগে বাঁচিয়ে রাখছে চীন।

বলা যায়, সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন একরকম নিভৃতেই পুরো বিশ্বকে গ্রাস করে নেবে চীন কিন্তু কেউ টের পাবে না।


গণপ্রজাতন্ত্রী চীন   বিশ্ব রাজনীতি   নয়াচীন   ৭৪তম বার্ষিকী   বিশ্ব গ্রাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের নির্বাচনে ভোটের হার কেন এত কম?

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি আশানুরূপ হচ্ছে না। কম ভোটার উপস্থিতি নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছেন দেশটির ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপির নেতারা।   

দেশটিতে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য। অথচ অধিকাংশ ভোটারদেরই কোনো আগ্রহ নেই নির্বাচন নিয়ে। কিন্তু কেন নির্বাচন নিয়ে দিন দিন এত অনাগ্রহী হয়ে উঠেছেন ভারতের ভোটাররা? বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশেই কেন ভোট নিয়ে এত অনীহা জনগণের মাঝে?

টানা ৭৫ বছর ধরে গণতান্ত্রিক শাসনে থাকা দেশটিতে এবারের নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোটের হার ছিল মাত্র ৬৪ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ধাপে ভোটের হার ছিল ৬৩ শতাংশ। যা আগের বছরের নির্বাচন গুলোর তুলনায় অনেক কম। 

নির্বাচন কমিশন দাবি করছে, অসময়ের গরম আবহাওয়া এবং বিয়ের অনুষ্ঠানের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হচ্ছে। অবশ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার ভোটারদের কেন্দ্রে টেনে আনার মতো শক্তিশালী কোনো ইস্যু নেই মোদির কাছে। তাঁর হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভোটাররা আত্মতুষ্টি বা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে কেন্দ্রে আসছেন না। ফলে ভোটার সংখ্যা কম। 

দ্বিতীয় ধাপে দেশটির ১৩টি রাজ্যের মোট ৮৮টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর উত্তরবঙ্গের তিনটি আসন দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাটের ভোটের হার দেখা গেছে শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত বালুরঘাটে ভোটদানের হার ছিল ৭৯ দশমিক ৯ শতাংশ, দার্জিলিংয়ে ৭৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং রায়গঞ্জে ৭৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। অথচ ২০১৯ সালে বালুরঘাটে ভোট পড়েছিল ৮৩ দশমিক ৬০ শতাংশ, দার্জিলিংয়ে ৭৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং রায়গঞ্জে ৭৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশে ভোট পড়েছে ৫৫ শতাংশের মতো, যা প্রথম দফার ভোটের চেয়েও ৬ শতাংশ কম। বিহারেও ভোট পড়েছে ৫৫ শতাংশ। মহারাষ্ট্রে আরও কম, সাড়ে ৫৪ শতাংশের মতো। মধ্যপ্রদেশে সামান্য বেশি, সাড়ে ৫৭ শতাংশ। ফলে কম ভোটের এই হার সকল মহলকে কিছু হলেও উদ্বিগ্ন করছে। 

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের দিখৌলী নামের একটি গ্রামে ভোট পড়েছে মাত্র পাঁচ শতাংশ। ভোট কম পড়ার কারণ হিসেবে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ভোটদানে উৎসাহ নেই বেশির ভাগ গ্রামের মানুষের। অনেকেই আবার কৃষিকাজে ব্যস্ত।

ভারতের বিশ্লেষকরা দাবি করছেন, নরেন্দ্র মোদি টানা ১০ বছর ধরে ভারত শাসন করছেন। এবারের নির্বাচনে আবারও তিনিই জয়লাভ করবেন এবং তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করবেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনের ব্যাপারে জনগণের একটি বড় অংশ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। পাশাপাশি এবার ভোটারদের কেন্দ্রে টেনে আনার মতো শক্তিশালী কোনো ইস্যুও সামনে আনতে পারেননি এনডিএ বা ইন্ডিয়া জোটের কেউই। তাছাড়া এবারের লোকসভা নির্বাচনে আবহাওয়া একটা বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তীব্র গরমের কারণে অনেক ভোটার ভোট দিতে বের হচ্ছেন না। ফলে সব কিছু মিলিয়ে এবার উল্লেখযোগ্য হারে নির্বাচনে ভোটের হার কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে মনে করছেন ভারতের নিরপেক্ষ বিশ্লেষকরা।

ভারতের নির্বাচন   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারত সফর স্থগিতের পর চীনে গেলেন ইলন মাস্ক

প্রকাশ: ০৭:০৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বৈদ্যুতিক গাড়ির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক ইলন মাস্ক ভারতে তার নির্ধারিত সফর স্থগিত করেন এবং এই সফর স্থগিতের কয়েকদিন পরই হঠাৎ করে চীন সফরে গেছেন তিনি। 

রোববার(২৮ এপ্রিল) টেসলার একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে অনেকটা আকস্মিকভাবেই রোববার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছেছেন তিনি। টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার চীন সফরের বিষয়ে অবগত দুই ব্যক্তি ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন।  

২১ এপ্রিল ভারত সফরে যাবার কথা ছিল ইলন মাস্কের। সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে তার বৈঠক ও ভারতে টেসলার বিনিয়োগ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করার কথা ছিল।

কিন্তু নির্ধারিত সময়ের একদিন আগে এক্সে দেওয়া বার্তায় টেসলার এই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, 'দুর্ভাগ্যবশত টেসলায় ব্যাপক কাজ জমে যাওয়ায় ভারত সফর পিছিয়ে দিতে হচ্ছে। তবে আমি চলতি বছরের শেষের দিকে ভারতে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত মুখিয়ে আছি।' 

টেসলার সিইওর ভারত সফর স্থগিতের এক সপ্তাহ পর চীন সফরের তথ্য এলো। চীনে সফটওয়্যারের মাধ্যমে টেসলার স্বচালিত (এফএসডি) বৈদ্যুতিক গাড়ির যাত্রা শুরুর বিষয়ে আলোচনার জন্য বেইজিংয়ে চীনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করছেন। স্বচালিত ড্রাইভিং প্রযুক্তির উন্নতির জন্য অ্যালগরিদম প্রশিক্ষণে চীনে সংগৃহীত ডাটা বিদেশে স্থানান্তর করার অনুমতির বিষয়েও চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় মাস্ক বলেছেন, চীনে শিগগিরই ব্যবহারকারীদের জন্য এফএসডির সরবরাহ শুরু করবে টেসলা। রয়টার্স বলছে, ২০২১ সাল থেকে চীনা নিয়ন্ত্রকদের শর্ত অনুযায়ী সাংহাইতে টেসলার চীনা বহরের সংগৃহীত সব ডাটা সংরক্ষণ করেছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তা স্থানান্তর করেনি।


ভারত   সফর   স্থগিত   চীন   ইলন মাস্ক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গ্রেফতার আতঙ্কে নেতানিয়াহু, প্রতিরোধের সর্বাত্মক চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০৫:২৭ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি) মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন। আর সেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকাতে সর্বাত্মক কূটনৈতিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। 

বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ আরও কিছু ইসরায়েলি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে যাচ্ছে আইসিসি।

নিউজ সাইট ওয়ালায় বিশ্লেষক বেন কাসপিট লিখেছেন, নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে হেগের বিশ্ব আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আশঙ্কায় ‘অস্বাভাবিক চাপে’ রয়েছেন। নেতানিয়াহু এবং অন্যান্য ইসরায়েলি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির অর্থ হল- ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক সুনামে বড় ধরনের আঘাত।

কাসপিট লিখেছেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রতিরোধে নেতানিহুয়া ‘বিরতিহীনভাবে টেলিফোনে চেষ্টা করে’ যাচ্ছেন। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সাথে তিনি সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছেন।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎসের বিশ্লেষক অ্যামোস হারেল লিখেছেন, ইসরায়েলি সরকার এই ধারণা নিয়ে কাজ করছে যে আইসিসির প্রসিকিউটর করির খান চলতি সপ্তাহেই নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং আইডিএফ প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন।

হারেল জানিয়ছেন, আমেরিকা ইতোমধ্যেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকানোর জন্য জোর তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, আইসিসির রোম চুক্তিতে ১২৪টি দেশ সই করলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল তাতে স্বাক্ষর করেনি। যুদ্ধের ব্যাপারে নেতানিয়াহুর সর্বশেষ সরকারি বিবৃতিতে দাবি বলা হয়েছে, আইসিসির আসন্ন সিদ্ধান্ত ‘বিপজ্জনক নজির’ সৃষ্টি করতে পারে।


গ্রেফতার   নেতানিয়াহু   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গরমে ট্রাফিক পুলিশকে স্বস্তিতে রাখতে ‘এসি হেলমেট’

প্রকাশ: ০৪:৫২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রচণ্ড গরমে টানা রোদে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয় ট্রাফিক পুলিশদের। সড়কে দায়িত্বরত পুলিশদের কিছুটা শীতল ও স্বস্তিতে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ভারতের লখনৌর ট্রাফিক বিভাগ। ‘ঠান্ডা উদ্যোগ’ নামে পরিচিত এই প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে বেশকিছু ‘এসি হেলমেট’ উন্মোচন করা হয়েছে। লখনৌতে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক পর্বের অংশ হিসেবে চারটি এসি হেলমেট চালু করা হয়। 

সোমবার (২২ এপ্রিল) হজরতগঞ্জের অটল চক মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক কর্মীদের এসব হেলমেট দেয়া হয়। 

এই হেলমেটগুলোতে একটি স্বচ্ছ প্লাস্টিকের ঢালসহ মাথায় শীতলতা নিশ্চিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এসি ভেন্ট রয়েছে। চোখকে সূর্যের প্রখর আলো ও উত্তাপ থেকে রক্ষা করতে এটি গগলস হিসেবে কাজ করে। হেলমেটটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কোমরে বাঁধা একটি বড় ব্যাটারির সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে এলে উপরে থাকা একটি লাল আলো সতর্ক বার্তা দেবে।

এ বিষয়ে লাখনৌ পুলিশের এডিসিপি অজয় কুমার সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, ‘এই প্রকল্প সফল হলে হায়দরাবাদভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানকে কমপক্ষে পাঁচশ এমন এসি হেলমেট প্রস্তুতের দায়িত্ব দেয়া হবে। এই হেলমেটের ওজন সাধারণ হেলমেটের প্রায় অর্ধেক এবং আমাদের ট্র্যাফিক পুলিশ এটি ব্যবহার ও পরিধানে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন।’


ট্রাফিক   পুলিশ   প্রকল্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এবার পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান

প্রকাশ: ০৪:১৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানের পদত্যাগের পর এবার পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে পরাজিত করতে না পারা, হামাসের হাত থেকে ইসরায়েলি জিম্মিদের উদ্ধার করতে না পারা, ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের হামলার পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হওয়াসহ একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে পদত্যাগ করতে পারেন সামরিক বাহিনীর প্রধান।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে তুরস্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনীর ব্যর্থতার প্রতিবাদে ইসরায়েলজুড়ে চলছে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েল সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ পদত্যাগ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে গত সোমবার ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। হামাসের গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে চালানো হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগের এই ঘোষণা দেন তিনি।

ইসরায়েলের সেনাপ্রধান   হামাস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন