ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের শক্তিশালী গোয়ান্দা সংস্থা 'মোসাদ' কেন ব্যর্থ?

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১০ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে সক্রিয়, শক্তিশালী ও চৌকস গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত মোসাদ। এটি ইসরাইলের সর্বোচ্চ গোয়েন্দা সংস্থা। বলা হয়ে থাকে, বিশ্বের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাথে ক্ষমতা, শক্তি আর প্রযুক্তিতে এই গোয়েন্দা সংস্থাটি বেশ দক্ষতার সাথেই টক্কর দিতে পারবে। একমাত্র আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ রয়েছে মোসাদের উপরে। কিন্তু বর্তমানে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের করা তাণ্ডবে এই শক্তিধর গোয়েন্দা সংস্থা মুখ লুকোনোর জায়গা খুঁজে পাচ্ছে না।

হামাসের আকস্মিক ও বিষ্ময়কর হামলায় তারা নিজেরাই স্তম্ভিত। তাদের কাছে বিন্দুমাত্র খবরও ছিল না এই ভয়াবহ হামলার ব্যাপারে। আর এ নিয়েই ইসারাইলের সক্রিয় এবং চৌকস এই গোয়েন্দা সংস্থাটির সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সবাই। এমনকি সরকারের শীর্ষ নেতারা পর্যন্ত মোসাদের কার্যক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন করছেন। এতো বড় হামলার পরিকল্পনা যেহেতু হামাস অনেক দিন ধরেই করছিলো, তবু কেন মোসাদ সেটি জানতে পারেনি এ নিয়ে সকলে দিশেহারা।

মোসাদ কি?

বিশ্বের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে একটি মোসাদ। মোসাদের বার্ষিক বাজেটের আকার তিন বিলিয়ন ডলার। রয়েছে প্রায় সাত হাজারের বেশি কর্মী। শুধু ইসরাইল নয়, ইহুদিদের স্বার্থ রক্ষায় দেশে দেশে রয়েছে মোসাদের শাখা অফিস কিংবা এজেন্ট। নানা দেশের নাগরিকরাও এই গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ করেন। গোয়েন্দা প্রযুক্তিতেও মোসাদ বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান। গোয়েন্দা নজরদারির দারুণ সব প্রযুক্তি বিশ্বের কাছে বিক্রি করে মোসাদ। 

তবু কেন বর্তমানে ইসরায়েলের এমন পরিস্থিতি? কি করে এত বড় হামলা ঘটাতে পারলো হামাস? কেমন করে এ তথ্য মোসাদের দৃষ্টিগোচর হলো না?

৬ অক্টোবর, হামাসের যোদ্ধারা ইসরাইলের ভেতরে ২২টি স্থানে স্থানে ঢুকে পড়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে আছড়ে পরে হাজার হাজার সবুজ রকেট। ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস গাজা থেকে ইসরাইলের মাটিতে বিধ্বংসী আক্রমণের পাশাপাশি প্রায় পাঁচ হাজার রকেট নিক্ষেপ করেছিলো। কিবুতজ সম্প্রদায় এবং এমনকি একটি সঙ্গীত উৎসবেও হামলা চালায় হামাসের যোদ্ধারা। হামাস যোদ্ধরা অনেকেকে জিস্মিও করে নেয়।

মোসাদের কার্যপদ্ধতি-

আমেরিকার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ছাড়া এতো বড় আকারের গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক বিশ্বের আর কোন দেশে নেই। সে কারণেই মোসাদের গোয়েন্দাদের বলা হয় বিশ্বসেরা। বিশ্বের অনেকে দেশেই কাজ করে মোসাদের বিভিন্ন এজেন্ট। বলা হয়, ইসরায়েল যে দেশ হিসেবে সুসংগঠিত ভাবে টিকে আছে তা অনেকটা মোসাদের কল্যাণেই।

মোসাদের বেশ কয়েকটি বিভাগ রয়েছে, তবে এর অভ্যন্তরীণ কাঠামো গোপনই থাকে। এটি শুধু ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর তথ্য সংগ্রহের জন্য গঠিত এজেন্টদের একটি নেটওয়ার্ক নয়, লেবানন, সিরিয়া এবং ইরানের মতো দেশগুলোতেও বিস্তৃত রয়েছে মোসাদের কর্মকাণ্ড। বিভিন্ন দেশে তাদের এজেন্টরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার কারণে এবং অন্যান্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাথে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্কিং থাকায় খুব সহজেই তারা তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম।

তবে এবার তথ্যের ঘাটতি পড়ে গেল কিসে?

লজ্জাজনক ব্যর্থতা:

বলা হয়ে থাকে, একমাত্র আমেরিকার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ মোসাদের চেয়ে বেশ শক্তিশালী। আর তাদের সাথেও প্রতিনিয়ত তথ্য আদান প্রদানের মধ্যেই থাকে মোসাদ। আর এভাবেই বিশ্বের বিভিন্ন গোয়ান্দা সংস্থাগুলো কাজ করে থাকে। গোয়ান্দা সংস্থার কার্যধারা এমনই। গোয়েন্দা সংস্থার বিশাল গুপ্তচর নেটওয়ার্ক তাদের প্রতিপক্ষ সম্পর্কে সব সময় নিবিড় ও পরীক্ষিত খবর ও তথ্য প্রদানের জন্য পরিচিত। শুধু তাই নয়, মোসাদ ইসরাইলের জন্য ক্ষতিকর মনে হলে যে কোন ব্যক্তিকে হত্যা করতেও কারো দ্বিধাবোধ করে না। গুপ্ত হত্যার লাইসেন্স নিয়ে চলে মোসাদের এজেন্টরা।

এছাড়াও এক দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আরেক দেশের কাছে গোপন বা আদান প্রদানের মাধ্যমেই গোয়ান্দা সংস্থাগুলো দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা করে থাকে। কিন্তু বর্তমানে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বহির্বিশ্বে বিরাজ করছে ব্যাপক রাজনৈতিক অস্থিরতা।

আর প্রায় দু বছর ধরে চলমান এ যুদ্ধ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ফোকাস পয়েন্ট হয়ে গেছে ভিন্ন। আমেরিকার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এর ফোকাস এখন এই ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরেই। বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের এই সর্বোচ্চ শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা এখন মূলত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে এই ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ অথবা বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে। তাদের কর্মকাণ্ডের মূল ফোকাস পয়েন্টটা এখন আর ইসরায়েল ফিলিস্তিন নিয়ে কাজ করছে না। আর এ কারণেই তাদের চোখের সামনে দিয়েই এত বড় হামলার পরিকল্পনা চালিয়ে যেতে পেরেছে হামাস, কিন্তু সিআইএর কাছে নেই কোনো তথ্য, না ছিল মোসাদের কাছে। এর ফলেই তথ্য বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে গেছে মোসাদ।

যে মোসাদের তথ্য সংগ্রহ বিভাগ হল সবচেয়ে বড়। সারা বিশ্বে গুপ্তচরবৃত্তি কার্যক্রমের জন্য দায়ী এই বিভাগ। এর পর আছে পলিটিক্যাল অ্যাকশন এবং লিয়াঁজো বিভাগ। তারাই পড়ে গেছে তথ্য বিপর্যয়ে। এটি আসলে তাদেরই ব্যর্থতা।

মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন সরকারের সাবেক ডেপুটি ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স অফিসার জনাথন প্যানিকফ এ বিষয়ে বলেন, "এটি একটি গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল; অন্যথায় এ হামলা হতে পারত না।“ এটি ইসরায়েলের নিরাপত্তা ব্যর্থতা ছিল বলেও তিনি অভিহিত করেন।

এদিকে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের ব্যর্থতা নিয়ে সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এ হামলার জন্য দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করেছে হামাস। কারণ ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার সম্পর্কে সবচেয়ে ভালো ধারণা আছে এই গোষ্ঠীটির। ফলে পরিকল্পিত এই হামলার তথ্য ফাঁস যাতে ঠেকানো যায় সেভাবেই কাজ করে গেছে হামাস। নানাভাবে ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের চোখ ফাঁকি দিতে হয়েছে এবং তাদের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করতে হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে হামাসের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র বলেছে, হামাস কয়েক মাস ধরেই ইসরায়েলকে বিভ্রান্ত করার জন্য একটি অভূতপূর্ব গোয়েন্দা কৌশল ব্যবহার করেছে। হামাস ইসরায়েলকে ধারণা দিয়েছিল যে তারা লড়াইয়ের জন্য একদমই প্রস্তুত নয়। কিন্তু আড়ালে তারা ব্যাপক অভিযানের প্রস্তুতি ঠিকই নিয়েছে। এমনকি এই দুই বছর ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সামরিক নিপীড়ন ঠিকই চলেছে কিন্তু এরপরও হামাস কোনো পপ্তিক্রিয়া দেখায়নি। আর সেটি কেন দেখায়নি তা এখন বলাইবাহুল্য।

হামাস এতটাই সংগোপনে এই হামলার পরিকল্পনা করেছে যে গোষ্ঠীটির প্রথম সারির অনেক নেতাও এই হামলার বিষয়ে অবগত ছিলেন না। হামাসের এ হামলা নিয়ে মোসাদের এ ব্যর্থতার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বড় ধরনের একটি তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এ তদন্ত শেষ করতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে।


মোসাদ   ইসরায়েল   গাজা   ফিলিস্তিন   হামাস   ব্যর্থতা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রাম্পের নির্দেশেই পর্ন তারকা স্টর্মিকে ঘুষ দিয়েছি: কোহেন

প্রকাশ: ০৩:৪৩ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে ট্রাম্পের নির্দেশেই পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দিয়েছেন বলে হাবি করেছেন ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেন।

সোমবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার সময় মাইকেল কোহেন এ কথা বলেন।

জবানবন্দি দেওয়ার সময় কৌঁসুলি সুসান হফিংগারের প্রশ্নের জবাবে কোহেন বলেন, “আমি যা করেছি, ট্রাম্পের নির্দেশনায় এবং তার লাভের জন্যই করেছি।' 

কোহেনের এই বক্তব্য ঘুষের অর্থ প্রদানের নেপথ্যে যে ট্রাম্প ছিলেন, সে বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে কৌঁসুলিদের সুবিধা হবে।

একপর্যায়ে ফোন রেকর্ড বের করেন কৌঁসুলিরা। তারা দেখান যে, ঘুষ দেওয়ার ওই সময় ফোনে কথা বলেছিলেন ট্রাম্প ও কোহেন। কোহেন ২০১৬ সালের ২৮ অক্টোবর ট্রাম্পকে কল দিয়ে পাঁচ মিনিটের বেশি সময় কথা বলেন। আর ওই দিনই স্টর্মির সঙ্গে সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছিল।

কোহেন আরও বলেন, শেষ পর্যন্ত তিনি স্টর্মির আইনজীবীর কাছে ব্যাংকের মাধ্যমে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার হস্তান্তর করেছিলেন। স্টর্মি সমঝোতা চুক্তি এবং অতিরিক্ত নথিতে স্বাক্ষর করেছিলেন যা তাকে নীরব হতে বাধ্য করেছিল।

বিষয়টি ট্রাম্প জানতেন কি না- কৌঁসুলি সুসানের এমন প্রশ্নের জবাবে কোহেন বলেন, 'তাৎক্ষণিকই' জেনেছেন। তিনি বিষয়টি ট্রাম্পকে জানিয়েছেন। তাকে দেওয়া কাজটি যে সম্পন্ন হয়েছে তিনি তা জানতেন।

মঙ্গলবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছেন আদালত। এ দিনও জবানবন্দি দেবেন কোহেন। সোমবার যখন কোহেন জবানবন্দি এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন, তখন আদালত কক্ষে বসা ট্রাম্পকে চোখ বন্ধ করে সেসব শুনতে দেখা যায়।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৬ সালে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। পরে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়া হয়েছিল স্টর্মিকে। ব্যবসায়িক রেকর্ডে এ তথ্য গোপন করেছিলেন ট্রাম্প।


মাইকেল কোহেন   পর্ন তারকা   ট্রাম্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গেটস ফাউন্ডেশনে আর থাকছেন না মেলিন্ডা গেটস

প্রকাশ: ১০:১১ এএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে তিনি।  

সোমবার (১৩ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) প্লাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেলিন্ডা নিজেই। খবর রয়টার্সের।

ওই পোস্টে মেলিন্ডা গেটস লিখেছেন, বিল ও আমি একসঙ্গে যে ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছিলাম, তার জন্য আমি অত্যন্ত গর্বিত। তবে বিল গেটসের সঙ্গে একটি চুক্তি মোতাবেক আমি ফাউন্ডেশন থেকে সরে যাচ্ছি। আমার হাতে বাড়তি ১২.৫ বিলিয় ডলার থাকবে নারী ও অসহায় পরিবারগুলোকে সহায়তায় কাজ করার জন্য।

মেলিন্ডার এ ঘোষণার পরপরই এক্স পোস্টে বিল গেটস লেখেন, মেলিন্ডার চলে যাওয়াতে আমি দুঃখিত। তবে আমি নিশ্চিত, ভবিষ্যতে সে তার জনহিতকর কাজে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে।

আগামী ৭ জুন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে শেষ কর্মদিবস কাটাবেন মেলিন্ডা। মেলিন্ডা গেটস ২০০০ সালে তার তখনকার স্বামী বিশ্বের অতি ধনী বিল গেটসকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন গঠন করেছিলেন। এ ফাউন্ডেশন থেকে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধরনের দাতব্য কার্যক্রম পরিচালনা ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। বিশ্বে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনাকারী সবচেয়ে বড় সংস্থা এই ফাউন্ডেশন।

২৭ বছরের সংসার জীবনের ইতি টেনে ২০২১ সালে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন বিল ও মেলিন্ডা গেটস। তবে দুজনই তাদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।

বর্তমানে বিশ্বে জনস্বাস্থ্য নিয়ে যেসব সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান কাজ করে, সেগুলোর অন্যতম বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় এই ফাউন্ডেশন থেকে প্রতিবছর শত শত কোটি ডলার ব্যয় করা হয়ে থাকে।

ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, বিল ও মেলিন্ডা গেটস দম্পতি নিজেদের অর্থ থেকে এই ফাউন্ডেশনে ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ দিয়েছেন।


গেটস ফাউন্ডেশন   মেলিন্ডা গেটস   বিল গেটস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মুম্বাইয়ে ভয়াবহ ধূলিঝড়ে ৮ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯:১৬ এএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মুম্বাইয়ের ধূলিঝড়ে ভেঙে পড়েছে বিশালাকৃতির একটি বিলবোর্ড। সোমবার সন্ধ্যার দিকে ঘাটকোপারে এক জ্বালানি স্টেশনে বিলবোর্ডটি ভেঙে পড়ে। এতে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫৯ জন। 

পুলিশ জানিয়েছে, ওই বিলবোর্ডের নীচে চাপা পড়েছিলেন অনেকেই। ৬৭ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

ভারতের জাতীয় দুযোর্গ মোকাবিলা বাহিনী ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) কর্মীদের প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় সরানো সম্ভব হয় ধ্বংসস্তূপ।

ধ্বংস্তূপ সরানোর পর মৃত অবস্থায় ৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে আরও ৫ জনের।

সেই সঙ্গে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৬৭ জনকে। এদের সবাই কম-বেশি আহত হয়েছেন। অনেককেই ভর্তি করাতে হয়েছে হাসপাতালে।


মুম্বাই   ধূলিঝড়   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: বিজেপির আসন বাড়ার পরীক্ষা হয়ে গেল

প্রকাশ: ১০:১৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

৪০০ পারের স্লোগান দিয়ে ভোট ময়দানে নামা বিজেপি আশা করেছিল দক্ষিণ ভারতে এবার গেরুয়া ঝড় উঠবে। সেই দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে ভোট শেষ হয়ে গেল আজ চতুর্থ দফায়। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুতে ভোট হয়েছে। কেরেলা, কর্নাটকেও মিটেছে ভোট-পর্ব। চতুর্থ দফায় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায় নির্বাচন। বিজেপির আশা, এই দুই রাজ্যেই আগেরবারের থেকে অনেক ভালো ফল করবে দল।

প্রথম তিন দফায় ভোটারদের মধ্যে সেভাবে উৎসাহ চোখে পড়েনি। তিন দফাতেই ভোটের হার কমেছে। ভোটের হার কমাটা বিজেপির জন্য মোটেই ভালো লক্ষণ নয় বলে মনে করছেন বিভিন্ন মহল। গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও গোবলয় নিয়ে উদ্বেগের আভাস রয়েছে। যদি উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান বা বিহারে আসন খোয়াতে হয়, তাহলে সেটা পুষিয়ে দেয়ার জন্য মূলত অন্ধ্র এবং তেলেঙ্গানাকে টার্গেট করছে গেরুয়া শিবির।

বিজেপির আশার উৎস প্রধানত অন্ধ্র প্রদেশ ও তেলেঙ্গানা। এই দুই রাজ্যের ৪২ আসনের ভোট আজ সোমবার হয়ে গেল। সেই সঙ্গে হলো অন্ধ্র প্রদেশের ১৭৫ বিধানসভা আসনেরও ভোট। লোকসভার গত দুটি ভোটে অন্ধ্র প্রদেশে বিজেপি একটি আসনেও জিততে পারেনি। তেলেঙ্গানায় পেয়েছিল ৪টি আসন। বিজেপির আশা, এবার দুই রাজ্য মিলিয়ে তারা জোট শরিকদের সঙ্গে নিয়ে ২২ থেকে ২৫টি আসন আদায় করে নেবে। তা হলে তারা তৃতীয়বার ক্ষমতা ধরে রাখার পথে এগিয়ে যাবে অনেকটাই।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নিয়েও আশাবাদী বিজেপি। উত্তরবঙ্গের ঘাঁটি ছেড়ে ভোট এসেছে দক্ষিণবঙ্গে। এই দফায় ৮ আসনে ভোটের গতিপ্রকৃতি বুঝিয়ে দেবে, গতবার পাওয়া ১৮ আসন তারা এবার ধরে রাখতে পারবে কি না। ৮ আসনের নিরাপত্তা রক্ষায় নির্বাচন কমিশন তৎপর। প্রায় চার হাজার বুথ তাদের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ ও স্পর্শকাতর।

পাশের রাজ্য অন্ধ্রে আগের দুই নির্বাচনে খাতা খুলতে পারেনি গেরুয়া শিবির। তবে এবার টিডিপি (টিডিপি) এবং জন সেনার সঙ্গে জোট রয়েছে বিজেপির। ২৫ আসনের মধ্যে লোকসভায় বিজেপি লড়ছে ৬ আসন। জোটে ভর করে অন্ধ্রেও এবার একাধিক আসন পাওয়ার আশায় গেরুয়া শিবির। জোট হিসাবে সেরাজ্যেও অন্তত ১৫-১৭ আসন পাওয়ার আশা রয়েছে গেরুয়া শিবিরের।

উত্তরপ্রদেশে যে ১৩টি আসনে ভোট হচ্ছে, তার মধ্যে ১১টিতে গত বার বিজেপি জেতে। এবার সে রাজ্যে সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস জোট ভালো লড়াই দিচ্ছে বিজেপিকে। প্রথম তিন পর্বে মুসলিম, যাদব এবং জাঠ, রাজপুতদের একাংশ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে বলেই দাবি বিরোধীদের। এই পর্বেও তেমন হলে চাপে পড়ে যাবে বিজেপি। মহারাষ্ট্র, বিহারেও এবার শক্তিশালী বিরোধী জোট বাধা হতে পারে বিজেপির জন্য। এই রাজ্যগুলিতে বিজেপির কিছু আসন ঘাটতি হবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। দক্ষিণের দুই রাজ্যে বাড়তি আসন পেয়ে সেই ঘাটতি পূরণ করতে চায় গেরুয়া শিবির।

এই ৯৬ আসনের মধ্যে উনিশে এনডিএ জোট পায় ৪৯ আসন। বিজেপি একা পায় ৪২টি। ৪৭টি আসন ছিল বিরোধী শিবিরের দখলে। গেরুয়া শিবির সার্বিকভাবে এই পর্বেই স্ট্রাইক রেট বাড়ানোর সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি দেখছে। সেটা মূলত তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে।


লোকসভা নির্বাচন   বিজেপি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মালয়েশিয়ায় বন্য হাতির আক্রমণে বাংলাদেশির মৃত্যু

প্রকাশ: ০৮:২২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

মালয়েশিয়ার পোস ব্লাউয়ের কাম্পুং ওম শহরে বন্য হাতির আক্রমণে বাংলাদেশি এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। 

স্থানীয় সময় রোববার বিকেল ৫টার দিকে হাতির আক্রমণে ওই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

ব্লাউ কাম্পুং জেলার প্রধান পুলিশ সুপার সিক সিক চুন ফু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, কাম্পুং ওম শহরে রোববার বিকেল ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেছেন, নিহত বৃক্ষরোপণ কর্মীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। মো. নওশের আলী (২৯) নামের ওই কর্মী তার এক সহকর্মীকে নিয়ে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে হাতির আক্রমণের শিকার হন। 

সোমবার দেশটির পুলিশের এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে হাতির আক্রমণের সময় পালিয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগ পাননি ওই ভুক্তভোগী। মরদেহের পাশেই হাতির পায়ে ছাপ পাওয়া গেছে।

পুলিশ সুপার সিক সিক চুন ফু বলেছেন, ওই ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য ওই ব্যক্তির মরদেহ গুয়া মুসাং হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় আকস্মিক মৃত্যুর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।


মালয়েশিয়া   বন্য হাতি   বাংলাদেশি   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন