ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের যত ‘পরাজয়’

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৯ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

বিশ্বের যে কয়টি দেশ পরাশক্তির বিচারে সবসময়ই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকেছে তাদের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ দিয়েই পরাশক্তির দেশ হিসেবে দেশটির উত্থান। ব্রিটেনের কাছ থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পরাশক্তির এই তকমাটা গ্রহণ করে আমেরিকা। বুদ্ধি খাটিয়ে কারো সাথে ঝুটঝামেলা বা যুদ্ধে না জড়িয়ে নিজেদের গা বাঁচিয়ে চলেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে পরাশক্তির দেশগুলোর খাতায় নিজেদের নাম লিখিয়ে নিয়েছিল দেশটি। কিন্তু সে অবস্থান হয়তো আর ধরে রাখতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র। এই পরাশক্তি দেশটির সূর্য এখন অস্তাচলে চলে গেছে বললেই চলে।

পরাশক্তির তকমা পাওয়ার পর থেকেই হয়তো মতিভ্রম হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের। একের পর এক বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পরে নব্য ক্ষমতাবান দেশটি। যেন ক্ষমতা জাহির করাই হয়ে ওঠে তাদের মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব কমই কোনো বড় যুদ্ধে জয়ী হয়েছে। ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধ তর্কাতীতভাবে একটি সাফল্য হলেও, কোরিয়ার পর ভিয়েতনাম যুদ্ধ আমেরিকার সবচেয়ে কুখ্যাত পরাজয় বলে বিবেচিত। এছাড়া ইরাক, আফগানিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি বড় ব্যর্থতা।

 

কোরিয়া যুদ্ধ:

১৯৫০ সালে উত্তর কোরিয়া ৩৮ ডিগ্রি অক্ষরেখা লঙ্ঘন করে দক্ষিণ কোরিয়া আক্রমণ করলে কোরিয়া যুদ্ধ শুরু হয় যা ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত চলে। দুই কোরিয়ারি কোরিয়ান উপদ্বীপের উপর নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করার ইচ্ছা ছিল এবং এতে তদানীন্তন দুই পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়ন আর আমেরিকার সরাসরি জড়িয়ে পড়াই এ যুদ্ধের বড় কারণ।

উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধে চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জড়িয়ে যাওয়া এবং পরিশেষে একটি নিস্ফল ফলাফল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরাজয় বলেই ধরে নেয়া হয়। এই যুদ্ধের আপাত উদ্দেশ্য সফল হয় নি। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সংযুক্তিকরণ সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকেই কোরিয়ার রাজনৈতিক বিভাজন মেনে নিতে বাধ্য হয়। দীর্ঘসূত্রী এ যুদ্ধের ফলে কোরিয়ার দু'টি অংশকেই প্রচণ্ড মূল্য দিতে হয়। অসংখ্য মানুষ হতাহত হয়, অর্থনীতি বিধ্বস্ত হয় এবং দুই কোরিয়া যুদ্ধক্লান্ত ও রিক্ত হয়ে ওঠে। আর কোরিয়ার এ যুদ্ধে চীন যোগাদান করে তারা তাদের সামরিক সাফল্য প্রমাণিত করে এবং মার্কিন প্রতিশোধ থেকে চীন অগ্নি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোরিয়ার এ যুদ্ধের সূত্র ধরে চেয়েছিল চীনে সাম্যবাদী শাসনকে দুর্বল করতে, কিন্তু শেষপর্যন্ত তাদের কোন এই প্রত্যাশাই পূর্ণ হয় নি। উল্টো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে দীর্ঘসূত্রী যুদ্ধে সংশ্লিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনায় আশঙ্কিত হয়ে ওঠে।

কোরিয়ার যুদ্ধের প্রধানতম তাৎপর্য হ'ল এর ফলে ঠাণ্ডা লড়াই রাজনীতি এশিয়া ভুখণ্ডে সম্প্রসারিত হয়। এতদিন পর্যন্ত ঠাণ্ডা লড়াই রাজনীতির কেন্দ্রস্থল ছিল ইওরোপ মহাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। কিন্তু চীনে সাম্যবাদী শাসনের প্রতিষ্ঠা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিহ্বল করে তোলে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যৌথ চীন- সোভিয়েত চ্যালেঞ্জের সম্ভাবনায় আশঙ্কিত হয়ে ওঠে। কোরিয়ার যুদ্ধকে কেন্দ্র করেই সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীন পরস্পরের কাছাকাছি চলে আসে।

তবে কোরিয়ার এ যুদ্ধ মার্কিন কূটনীতির চরিত্রে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটায়। সোভিয়েত-বিরোধী চরিত্র থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৃহত্তর সাম্যবাদ-বিরোধী সক্রিয় প্রতিরোধ নীতি রূপায়ণে সচেষ্ট হয়।

 

ভিয়েতনাম যুদ্ধ:

আমেরিকার যুদ্ধের ইতিহাসের এক লজ্জাজনক পরাজয়ের ইতিহাস হল ভিয়েতনাম যুদ্ধ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছিল বিশ্বের অবিসংবাদিতভাবে প্রধান অর্থনৈতিক শক্তি এবং দেশটি বিশ্বাস করতো যে তার সামরিক বাহিনীও একইভাবে সর্বশক্তিমান। তবুও ভিয়েতনাম যুদ্ধে বিপুল অর্থ ও জনবল ক্ষয়ের পরও যুক্তরাষ্ট্র উত্তর ভিয়েতনামের বাহিনী এবং তাদের গেরিলা মিত্র ভিয়েত কং-এর কাছে পরাজিত হয়েছিল। ১৯৫৫ সালে শুরু হয়ে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধে আমেরিকা হারিয়েছে ৫৮,২০০ জন সৈনিক। যুদ্ধ শেষে উত্তর ভিয়েতনাম ৫৯১ জন যুদ্ধ বন্ধীকে ফেরত দিলেও ১২০০ জন নিহত আমেরিকান সেনার লাশও ফেরত পায় নি যুক্তরাষ্ট্র। আনুমানিক ৩, ০৩,৬৩০ জন আমেরিকান সেনা আহত হয়েছিল এই যুদ্ধে। ভিয়েতনামের এ যুদ্ধই বিশ্বকে দেখিয়েছিল কিভাবে আমেরিকার মত সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক ক্ষমতাধর দেশকে বুদ্ধি আর সাহসের জোড়ে নাকানিচুবানি খাওয়ানো যায়।

ফ্রান্সের উপনিবেশিক শাসন শেষ হবার পর ভিয়েতনামকে দুইভাগে ভাগ করা হয়েছিল। উত্তর ভিয়েতনাম ছিল কমিউনিস্ট শাসিত ও দক্ষিণ ভিয়েতনাম ছিল পুজিবাদী আমেরিকানের মদদপুষ্ট, অনেকটা কোরিয়ার মত। উত্তর ভিয়েতনাম চেয়েছিল দক্ষিণ ভিয়েতনামকে দখল করে গোটা ভিয়েতনামকে এক করতে এবং পুজিবাদকে ভিয়েতনাম থেকে তাড়াতে। এভাবেই যুক্তরাষ্ট্র এ সংঘাতে জড়িয়ে যায় যে লড়াইয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। ভিয়েতনামের যুদ্ধই বিশ্বকে দেখিয়েছিল কিভাবে আমেরিকার মত সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক ক্ষমতাধর দেশকে বুদ্ধি আর সাহসের জোড়ে নাকানিচুবানি খাওয়ানো যায়।

সেই সময় ভিয়েতনাম ছিল একটি বন-জঙ্গলে ঘেরা, অনুন্নত ও দূর্গম যোগাযোগ কাঠামোর একটি দেশ। আমেরিকান সেনাদের প্রধান যুদ্ধকৌশলই ছিল উন্নত অস্ত্র দিয়ে বিমান হামলা চালানো। কিন্তু ঘন জঙ্গলে আকাশ থেকে বিমান হামলা করে আমেরিকান সৈন্যরা বেশি সফলতা পেত না। তাই বাধ্য হয়ে তাদের জঙ্গলে লুকিয়ে যুদ্ধে অংশ নিতে হত। আর ভিয়েতনামী গেরিলা যোদ্ধারা ছিল এতে খুবই দক্ষ। ফলে আমেরিকানদের ট্র্যাপে ফেলে ফেলে ভিয়েতনামী গেরিলারা হত্যা করে। অসংখ্য আমেরিকান নিখোঁজ হয়েছিল এই ভিয়েতনাম যুদ্ধে। বিশ্বের ইতিহাসের একটি মহান যুদ্ধের মধ্যে এই যুদ্ধটিকে ধরা হয়, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের হয়েছিল সবচেয়ে লজ্জাজনক হার।

 

আফগানিস্তান যুদ্ধ:

যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে সংঘটিত সবচেয়ে বড় হামলার গত ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ চালিয়েছে, তাতে কি সে পরাজিত হয়েছে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদিও তাদের পরাজয় স্বীকার করতে চায় না, কিন্তু আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সৈন্য সরিয়ে তাদের সাথেই চুক্তি করে প্রাণ বাঁচিয়ে  ফেরত আসাটা কিন্তু পরাজয়ই বটে।

প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’র যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, যে যুদ্ধকে একসময় মনে হয়েছিল ‘অনন্ত যুদ্ধ’। কিন্তু ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট তালেবানের হাতে কাবুলের পতনের মধ্য দিয়ে সেই যুদ্ধেরই আসলে অবসান ঘটল। এই যুদ্ধের ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা চলেছে এক দশক ধরেই, কিন্তু তার সুস্পষ্ট প্রতীক হয়ে উঠেছে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের পরাজয়।

তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ ২০০১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওপরে আক্রমণকারীদের উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই শত্রুকে জয় করতে সমস্ত সম্পদ ব্যবহার করবে। আমরা বিশ্বকে একত্র করব। আমরা ধৈর্য ধরে থাকব। আমরা মনোনিবেশ করব এবং আমাদের সংকল্পে অবিচল থাকব। এই যুদ্ধে সময় লাগবে এবং সমাধান হবে, কিন্তু এ বিষয়ে কোনো ভুল করবেন না, আমরা জিতব।‘

গত দুই দশকে যুক্তরাষ্ট্রের চারজন প্রেসিডেন্ট—জর্জ বুশ, বারাক ওবামা, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেন—দায়িত্ব পালনকালে এই ‘যুদ্ধে’ অবিচল থেকেছেন। কিন্তু ফলাফল ঐ একই, ‘পরাজয়’।

যুক্তরাষ্ট্র কমপক্ষে দুই ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে এ যুদ্ধে। অধিকাংশ দেশের সহানুভূতি ও সমর্থনও পেয়েছে; কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হয়েছে—এমন দাবি কোনোভাবেই করা যাবে না। আফগানিস্তানের ক্ষমতায় তালেবানের প্রত্যাবর্তনই তার সহজে দৃশ্যমান উদাহরণ।

 

ইরাক যুদ্ধ:

২০০৩ সালে প্রায় ২০ আগে শুরু হয়েছিল ইরাক যুদ্ধ। বিশ্বের মানুষের কাছে তখন পরিচিত নাম ছিল তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জজ ডাব্লিউ বুশ ও ইরাকি প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন। কিন্তু সেই যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ছিল আরও অনেক ব্যক্তি।

আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ দেশটির জনগণের মতামত এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস বাকের ও সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ব্রেন্ট স্কোক্রফটের মতো জ্যেষ্ঠ রিপাবলিকান সিনেটরদের প্রজ্ঞাপূর্ণ উপদেশ উপেক্ষা করেছিলেন ও ইরাকে সামরিক অভিযান চালিয়েছিলেন। এ যুদ্ধ সাম্প্রতিক ইতিহাসে যুক্তরাষ্ট্রকে সবচেয়ে বেশি সর্বনাশা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার দিকে নিয়ে গেছে। ইরাক যুদ্ধের ছিল এমন এক প্রভাব, যা সময়কে অতিক্রম করে প্রতিনিয়ত বেড়ে উঠেছে। এ সর্বনাশা বিপর্যয়ের বিশালতা কেবল পরিমাপ করা যায় বহুসংখ্যক জীবন, প্রচুর অর্থ, সামর্থ্য ও প্রেস্টিজ হারানোর মধ্য দিয়ে।

২০১১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের লড়াইকারী বাহিনীগুলোকে প্রত্যাহার করে নেয়া পর্যন্ত ইরাক যুদ্ধ ৪ হাজার ৫০০ মার্কিন সেনার জীবন কেড়ে নিয়েছে এবং নির্মমভাবে প্রাণ হারিয়েছেন দেড় লাখের বেশি বেসামরিক ইরাকি নাগরিক। এমনকি ইরাকে যুদ্ধ করা ৬ লাখের বেশি মার্কিন অভিজ্ঞ যোদ্ধা এখন প্রতিবন্ধী হিসেবে নিবন্ধিত।

যদিও ইরাক যুদ্ধে সাদ্দাম হোসেনের পতনের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আংশিক জয় হয়েছে সত্যি, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের জয় আসলে শাপেবর হয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবল প্রতিপক্ষ ইরানের জন্য।

বহু বিশ্লেষকদের মতে, সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর থেকে ইরান আসলে ইরাকের ওপর বড় ধরণের প্রভাব তৈরি করেছে, যা কখনো কখনো উদ্বেগের কারণ হয়েছে পশ্চিমা নেতাদের জন্যও। ইরাকের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ শিয়া মতাবলম্বী হলেও সাদ্দাম ছিলেন সুন্নি। আঞ্চলিক প্রভাবের বলয় তৈরির যে চেষ্টা ইরান করছিলো সেটি প্রসারের পেছনে একসময় বড় বাধাই ছিলেন সাদ্দাম হোসেন। তার চলে যাওয়ার পর ইরাকের সাথে ইরানের যে সন্ধির সূত্রপাত হয়েছে তা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অনেকটা হুমকির মতই কাজ করছে।

 

সম্প্রতি, বর্তমান বিশ্বে হামাস ও ইসরায়েলের চলমান সংঘাতে বৈশ্বিক পরিস্থিতি আবারও ভয়ংকর এক অবস্থানে গিয়ে ঠেকেছে। দৃশ্যতঃ যুদ্ধ ইসরায়েল আর হামাসের মধ্যে মনে হলেও সকল বিশ্বনেতাদের মনেই কাজ করছে চাপা এক আতঙ্ক। ইউক্রেন যুদ্ধে যেমন যুক্তরাষ্ট্র মদদ দিয়ে আসছে বিগত দেড় বছর ধরে, বর্তমানে ইসরায়েলিরা গাজাবাসীর উপর যে ভয়ংকর গণহত্যা চালাচ্ছে সেখানেও রয়েছে তাদের সহায়তার হাত। একের পর এক রণতরী আর সমরাস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এত নৃশসংশ গণহত্যা বিশ্ববাসী অনেক দিন দেখেনি। একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র বাদে তেমন কোনো রাষ্ট্রই ইসরায়েলকে সমর্থন দিচ্ছে না, ভয়ংকর এ বর্বর গণহত্যা চালাতে। এক যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন দিয়ে কতদিন ইসরায়েল এ বিধ্বংসী আগ্রাসন চালাতে পারবে, এ প্রশ্ন অনেকের মনেই উঠেছে। যে ধ্বংসযজ্ঞ তারা চালাচ্ছে, অনেকই বলছে এবারই হয়তো নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে ইসরায়েল। এ কারণে ইসরায়েলের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসী হয়তো অচিরেই যুক্তরাষ্ট্রের আরও একটি পরাজয় সামনে দেখতে যাচ্ছে।


যুক্তরাষ্ট্র   পরাজয়   ইরাক যুদ্ধ   আফগানিস্তান যুদ্ধ   ভিয়েতনাম যুদ্ধ   কোরিয়া যুদ্ধ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিপজ্জনক হয়ে উঠছে এল নিনো

প্রকাশ: ১০:২৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে স্মরণকালের ভয়াবহ তাপপ্রবাহ। গত কয়েকদিন ধরে দেশের তাপমাত্রা এতটাই বাড়ছে যে অনেকে এটি সহ্য করতে পারছেন না। ফলে হিটস্ট্রোকসহ অন্যান্য স্বাস্থগত ঝুঁকিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। শুধু বাংলাদেশ নয়, তালিকায় আছে মিয়ানমার, ভারত, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া। সব দেশেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও এল নিনোর প্রভাবে তাপপ্রবাহ ধীরে ধীরে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে, যা নীরব ঘাতকে পরিণত হচ্ছে।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের তথ্য অনুযায়ী, এল নিনো হলো একটি জলবায়ু প্যাটার্ন। এটির মাধ্যমে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের পানি উষ্ণ হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, সমুদ্রের তাপমাত্রা, গতি, মহাসাগরীয় স্রোত, উপকূলীয় মৎস্যসম্পদের স্বাস্থ্য এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে দক্ষিণ আমেরিকার এবং এরও বাইরের অঞ্চলের ওপর প্রভাব পড়ে। এল নিনো দুই থেকে সাত বছরের বিরতি দিয়ে অনিয়মিতভাবে হয়ে থাকে। এটি কোনো নিয়মিত চক্র নয় অথবা এ নিয়ে আগে থেকে কোনো ধারণা পাওয়া যায় না।

গত বছরের এপ্রিল মাসে জলবায়ুবিদরা এল নিনোর ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, ২০২৩ সালে এটির প্রভাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। যদি ২০২৩ সালে প্রভাব না পড়ে তাহলে ২০২৪ সালে এটি বেশ ভালোভাবে পরিলক্ষিত হবে।

মিয়ানমারে গতকাল রোববার তাপমাত্রা ওঠে ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলিয়াসে, যা দেশটির ৫৬ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। একই দিনে দেশটির বাণিজ্যিক শহর ইয়াঙ্গুনের তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি আর মান্দালয়ে ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপপ্রবাহের কারণে ইয়াঙ্গুনে মোটরসাইকেল ও স্কুটার চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। চাউক শহরের একজন বাসিন্দা বলেন, ‘এখানে প্রচণ্ড গরম। আমরা ঘর থেকে বের হচ্ছি না। এ অবস্থায় আমাদের আর কিছু করার নেই।’

মিয়ানমারের আবহাওয়া পর্যবেক্ষকদের তথ্যমতে, এপ্রিলে সাধারণত যে গড় তাপমাত্রা থাকে, তার চেয়ে গত বৃহস্পতিবারের তাপমাত্রা ৩-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) এশিয়া ও দক্ষিণ–পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক বেন চার্চিল বলেন, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া অঞ্চল সাধারণত এপ্রিল মাসে উষ্ণ থাকে। কিন্তু এল নিনো (আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা) ও জলবায়ু পরিবর্তন এই অঞ্চলের তাপমাত্রাকে বিপজ্জনক পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। ডব্লিউএমওর ওয়েবসাইটে গত শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তিনি এ কথা বলেন।

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় দেশ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে রয়েছে। দেশটির আবহাওয়া দপ্তর গত শনিবার জানায়, এই পরিস্থিতিতে কোনো কোনো অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে।

তাপপ্রবাহে ভারতের সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বেঙ্গালুরুর একটি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন কর্মকর্তা অনন্ত (৩৭) বলেন, ‘জীবনে এত গরমের অভিজ্ঞতা হয়নি। খুবই অস্বস্তিকর। এই গরম আপনার কাজের সমস্ত শক্তি নিংড়ে নেয়।’

ভারতের আবহাওয়া দপ্তর আগেই পূর্বাভাসে জানিয়েছে, চলতি বছরের মার্চ থেকে মে পর্যন্ত স্বাভাবিকের চেয়ে তাপপ্রবাহ বেশি দিন থাকতে পারে। দেশটির বেশির ভাগ অঞ্চলে এই তাপপ্রবাহ থাকতে পারে।

ডব্লিউএমওর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি থাইল্যান্ডের লামপাং প্রদেশে তাপমাত্রা ৪৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত বুধবার জানায়, তাপপ্রবাহে দেশটিতে চলতি বছর ইতিমধ্যে ৩০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

ডব্লিউএমওর উপমহাসচিব কো ব্যারেট গত সপ্তাহে থাইল্যান্ডে এক অনুষ্ঠানে বলেন, গরমের কারণে যত মানুষের মৃত্যু হয়, তার পুরো চিত্র উঠে আসে না। এ ছাড়া গরমে শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা কমে, কৃষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বিদ্যুতের ওপর চাপ পড়ে। পরিসংখ্যানে এসব বিষয়ে সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয় না। প্রচণ্ড গরম ধীরে ধীরে বড় ধরনের নীরব ঘাতক হয়ে উঠছে।

এল নিনো   তাপপ্রবাহ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

'কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে'

প্রকাশ: ০৮:৪৫ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মানবতার স্বার্থে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রসহ আর নতুন কোনো অস্ত্র গ্রহণ না করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, 'মানবতাকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অস্ত্র ব্যবস্থা নয় বরং মানুষের কল্যাণে কৃষি, চিকিৎসা, মহাকাশ অন্বেষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ মানবজাতির সুবিধার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপকারী প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।'

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ভিয়েনার হফবার্গ প্রাসাদে 'হিউম্যানিটি অ্যাট দ্য ক্রসরোডস: অটোনোমাস উইপনস সিস্টেমস অ্যান্ড দ্য চ্যালেঞ্জ অব রেগুলেশন' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে উচ্চ-পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় তিনি এ আহ্বান জানান।

মানুষের ওপর অস্ত্রবল প্রয়োগে নিয়ন্ত্রণ রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে ড. হাছান মাহমুদ প্রশ্ন রাখেন, যদি রাষ্ট্রবহির্ভূত এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ পায় তবে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার কী হবে।

স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থাকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিশ্বব্যাপী নীতি নির্ধারণের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, প্রাণহানির ক্ষমতাসম্পন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ এবং স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র উভয়ের বিষয়েই উপযুক্ত আন্তর্জাতিক আইন বিচক্ষণতার সঙ্গে প্রয়োগ করা বাঞ্ছনীয়।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় গাজার অনিশ্চিত পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং সংঘাত ও উত্তেজনার নতুন ফ্রন্ট খোলার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করেন।

অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ, কোস্টারিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্নল্ডো আন্দ্রে টিনোকো, নরওয়েজিয়ান স্টেট সেক্রেটারি ইভিন্ড ভাদ পিটারসন এবং রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির সভাপতি মির্জানা স্পোলজারিক এগার সহ-প্যানেলিস্ট হিসেবে যোগ দেন।

অস্ট্রিয়ার ইউরোপীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই সম্মেলনে ১২০টিরও বেশি দেশ জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা, অধিকার গোষ্ঠী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার আট শতাধিক  প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। 


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা   অস্ত্র   পররাষ্ট্রমন্ত্রী   ড. হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পদত্যাগ করলেন স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফার্স্ট মিনিস্টার

প্রকাশ: ০৮:২৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফার্স্ট মিনিস্টার ও স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা হামজা ইউসুফ পদত্যাগ করার কথা ভাবছেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।

স্কটিশ গ্রিনস পার্টির সঙ্গে জোট করে স্কটল্যান্ডে সরকার গঠন করেছিল হামজার দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি। তবে এই দলের সঙ্গে সম্প্রতি তার দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির জোট ভেঙে যায়। এরপর তাকে ক্ষমতা থেকে হটাতে দুটি অনাস্থা ভোটের ডাক দেন বিরোধীরা। একটি ফার্স্ট মিনিস্টার ও আরেকটি স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির সরকারের বিরুদ্ধে। এসব অনাস্থা ভোটে হামজা হেরে যেতে পারেন, এটা অনেকটা নিশ্চিত। তাই অনাস্থা ভোটের আগেই পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন তিনি।

সোমবার এক ভাষণে হামজা বলেছেন, আমি আমার মূল্যবোধ ও নীতি নিয়ে ব্যবসা করতে চাই না। অথবা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য যার-তার সঙ্গে চুক্তি করতে চাই না।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে হামজা বলেছিলেন, বিরোধীদের ডাকা অনাস্থা ভোটে তিনি জিততে পারবেন বলে বেশ আত্মবিশ্বাসী। তবে সোমবারের মধ্যেই নিজের সংখ্যালঘু সরকারকে শক্তিশালী করতে অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

গত বছর স্কটল্যান্ডের ক্ষমতাসীন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা নির্বাচিত হন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হামজা ইউসেফ। এরপর সাবেক ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেনের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। স্কটল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম হিসেবে ফার্স্ট মিনিস্টার নির্বাচিত হয়েছিলেন হামজা।


পদত্যাগ   স্কটল্যান্ড   ফার্স্ট মিনিস্টার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রেকর্ড তাপমাত্রায় মিয়ানমার

প্রকাশ: ০৭:৫৩ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে মিয়ানমার। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। যা মিয়ানমারের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। খবর এপি ও দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার। 

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার।  সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়  ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮.৭৬ ফারেনহাইট)। যা মিয়ানমারের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এই তথ্যটি জানিয়েছে, মিয়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ।

আবহাওয়া বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোববার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় ম্যাগওয়ে রাজ্যের চাউক শহরে তাপমাত্রা পারদ ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। ৫৬ বছর আগে রেকর্ড সংরক্ষণ শুরু করার পর মিয়ানমারের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

একই দিন দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত ইয়াঙ্গুনে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ছুঁয়েছে। এছাড়া দেশটির আরেক শহর মান্দালয়ে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলের শুষ্ক সমতলে অবস্থিত চাউক শহরের একজন বাসিন্দা বলেছেন, 'এখানে অত্যন্ত গরম এবং আমরা সবাই বাড়িতেই ছিলাম।' নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, 'এই পরিস্থিতিতে আমরা কিছুই করতে পারছি না।' 

দেশটির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে দিনের তাপমাত্রা এপ্রিলের গড়ের তুলনায় ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।

জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) বলেছে,  ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে। ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। 


রেকর্ড   তাপমাত্রা   মিয়ানমার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন অমিত শাহ

প্রকাশ: ০৭:৩০ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, বিহারের বাগুসারাই এলাকায় সোমবার এক নির্বাচনি র‍্যালিতে অংশ নেন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা অমিত শাহ (৫৯)। র‍্যালি শেষে সেখানে একটি হেলিকপ্টারে উঠেন তিনি। 

উড্ডয়নের সময় সেই হেলিকপ্টার কিছু সময়ের জন্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডান দিকে কাত হয়ে পড়ে যাচ্ছিল। মাটিতে আছাড় খাওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন পাইলট।  

নিতীশ কুমারের দল জেডিইউয়ের সঙ্গে মিলে বিহারে ১৭টি আসনে লড়াই করছে বিজেপি। প্রথম ধাপের নির্বাচনে গত ১৯ এপ্রিল এখানে চার আসনে নির্বাচন হয়। এরপর গত শুক্রবার দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচন হয় আরও ৫ আসনে।


দুর্ঘটনা   অমিত শাহ   বিজেপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন