ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। হামাস আক্রমণ করার পর থেকে ইসরায়েলও প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা পরিচালনা করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কাছে হামাস একটি জঙ্গি সংগঠন। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে হামাস নির্মূলের জন্য সবরকম সহযোগিতা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইতোমধ্যেই বিপুল পরিমাণ সামরিক সাহায্য পাঠিয়েছে তারা, যার মধ্যে রয়েছে বিমানবাহী রণতরী, অত্যাধুনিক অস্ত্র, গুলি ও সেনাবাহিনীর সদস্য।
তবে ফিলিস্তিনের এ সশস্ত্র সংগঠন অবির্ভূত হওয়ার পিছনে দায়ী কারা? কারাই বা সাহায্য করেছিলো তাদের উত্থানে ?
অতীতে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আফগান মুজাহিদীন প্রতিষ্ঠা করায় সহায়তা করেছিলো। আফগান মুজাহিদীন এর বর্তমান উত্তরসূরি তালেবান। এমন ভাবে হামাস বাহিনী সংগঠনের পিছনেও অবদান রেখেছিলো ইসরায়েল নিজেই।
১৯৮৭ সালে প্রথম ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদা সময় থেকে হামাস আত্মপ্রকাশ করে। তবে হামাসের বীজ রোপিত হয়েছিলো আরও আগে। হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিন ছিলেন একজন ইসলামী পন্ডিত। তিনি মিশরে প্রতিষ্ঠিত মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্য ছিলেন। ১৯৬৭ সালের আগে গাজা মিসরের দখলে ছিলো। সেই সময়টাতে মিসর গাজায় মুসলিম ব্রাদারহুডকে দমন করার প্রচেষ্টা চালায়।
১৯৬৭ সালে ৬ দিনের যুদ্ধের পর ইসরায়েল গাজা দখল করে নেয়। গাজা দখলের পর ইসরায়েল গাজায় থাকা ইসলামিক দলগুলোর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। তারা পশ্চিম তীরে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগানাইজেশনের (পিএলও) প্রভাব কমাতে গাজায় স্থানীয় ইসলামিক দলগুলোকে উৎসাহিত করতে থাকে।
ইসরায়েল মুসলিম ব্রাদারহুডের আহমেদ ইয়াসিনকে সহায়তা প্রদান করার মাধ্যমে ফিলিস্তিনে একটি বিভদ তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু করে। উদ্দেশ্য ছিল ফিলিস্তিনের দুই দলকে একে অন্যের বিরুদ্ধে দাড় করানো। এই দুই দলের মতাদর্শ একদম ভিন্ন হওয়ায় প্রক্রিয়াটি সহজ ছিলো। পিএলও চাইছিলো ধর্মনিরপেক্ষ ফিলিস্তিন, অন্যদিকে গাজার অন্যান্য ইসলামী দলগুলো ফিলিস্তিনকে একটি ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলো।
১৯৮৭ সালে শেখ আহমেদ ইয়াসিন যখন আনুষ্ঠানিক ভাবে হামাসের যাত্রা শুরু করেন তখন ইসরায়েল তাকে সাহায্য করে। ইয়াসিন গাজার মসজিদ, মাদরাসা, স্কুল, ক্লাব সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে শুরু করে। এসব প্রকল্পের করেকটিতে ইসরায়েল সরাসরি অর্থসহায়তা করে।
সাবেক মার্কিন রিপাবলিকান দলের কংগ্রেসম্যান রন পল পার্লামেন্টের এক ভাষণে বলেছিলেন, ‘হামাস গড়ে উঠেছে ইসরায়েলের সহায়তায়। ইসরায়েল চায় হামাস যেন ইয়াসির আরাফাতকে বাধা দিক।’
ইয়াসির আরাফাত নিজেও একটি সংবাদপত্রকে বলেছিলেন হামাস ইসরায়েলের সৃষ্টি। তিনি জানিয়েছেলেন ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ‘ইতজাক রাবিন’ তার কাছে স্বীকার করেছিলেন হামাস গড়ে তোলা একটি মারাত্বক ভুল ছিলো।
ইসরায়েল ও আমেরিকার শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনেকেই গাজায় হামাস গড়ে তোলার ব্যপারে ইসরায়েলের সাহায্য করার বিষয়টি নিয়ে স্বীকার করেছেন। গাজার দ্বায়িত্বে থাকা ইসরায়েলি সামরিক গভর্নর ইতজাক ‘সেগেভ’ নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় বলেন উনি নিজে ইসলামিক আন্দোলনের জন্য অর্থ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন , ‘ইসরায়েলি সরকার এর জন্য আমাকে বাজেট দিতো এবং সামরিক বাহিনী এ অর্থ মসজিদে দান করতো।’
দুই দশকের বেশি সময় ধরে গাজায় কাজ করা ইসিরায়েলের সাবেক ধর্ম বিষয়ক কর্মকর্তা ‘আভনার কোহেন’ ২০০৯ সালে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, ‘আমার বিশাল আফসোস, হামাস ইসরায়েলের সৃষ্টি।’
তিনি ১৯৮০ এর দশকে ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিন অঞ্চলগুলোতে ডিভাইড এন্ড রুল এর খেলা না খেলতে তার উর্ধতন কর্তকর্তাদের চিঠি লিখে সতর্ক করেন। তিনি বলেছিলেন, ‘এ দানব আমাদের নিজেদের উপর আপতিত হওয়ার আগেই আমাদেরকে ভেঙ্গে ফেলার পথ খুঁজতে হবে।’
রোনাল্ড রিগান প্রশাসনের সময় আমেরিকার স্বরাষ্ট্র বিভাগে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করা ‘ডেভিড লং’ বলেন,‘আমি ভেবেছিলাম ইসরায়েলিরা আগুন নিয়ে খেলছে।আমি বুঝিনি তারা একটি দানব তৈরি করেছে।’
হামাস গঠনের আগে থেকে ইসরায়েল প্রায় ২০ বছর হামাসকে সাহায্য করেছে। শেষ পর্যন্ত ইসরায়েল যখন বুঝতে পারে হামাসের কারণে তাদের লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হচ্ছে তখন তারা হামাস নির্মূল করার পরিকল্পনা করে। হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিন শেষ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের বোমার আঘাতে নিহত হন।
হামাসের নেতারা ফিলিস্তিনের অন্যান্য সংগঠনগুলো থেকে অনেক বেশি ইসরায়েলকে ঘৃণা করে। ফিলিস্তিনের অন্য কোন বাহিনীর তুলনায় হামাস বেশি ইসরায়েলি নাগরিককে হত্যা করেছে। সে কারনে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েল হামাসকে ধ্বংস করার জন্য তাদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে। তবে এ যুদ্ধ কোথায় শেষ হবে তা এখন অনুমেয় নয়।
ইসরাইলে গাজা হামাস যুক্তরাষ্ট্র আফগান মুজাহিদীন বিশ্ব সংবাদ
মন্তব্য করুন
সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে ট্রাম্পের নির্দেশেই পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দিয়েছেন বলে হাবি করেছেন ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেন।
সোমবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার সময় মাইকেল কোহেন এ কথা বলেন।
জবানবন্দি দেওয়ার সময় কৌঁসুলি সুসান হফিংগারের প্রশ্নের জবাবে কোহেন বলেন, “আমি যা করেছি, ট্রাম্পের নির্দেশনায় এবং তার লাভের জন্যই করেছি।'
কোহেনের এই বক্তব্য ঘুষের অর্থ প্রদানের নেপথ্যে যে ট্রাম্প ছিলেন, সে বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে কৌঁসুলিদের সুবিধা হবে।
একপর্যায়ে ফোন রেকর্ড বের করেন কৌঁসুলিরা। তারা দেখান যে, ঘুষ দেওয়ার ওই সময় ফোনে কথা বলেছিলেন ট্রাম্প ও কোহেন। কোহেন ২০১৬ সালের ২৮ অক্টোবর ট্রাম্পকে কল দিয়ে পাঁচ মিনিটের বেশি সময় কথা বলেন। আর ওই দিনই স্টর্মির সঙ্গে সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছিল।
কোহেন আরও বলেন, শেষ পর্যন্ত তিনি স্টর্মির আইনজীবীর কাছে ব্যাংকের মাধ্যমে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার হস্তান্তর করেছিলেন। স্টর্মি সমঝোতা চুক্তি এবং অতিরিক্ত নথিতে স্বাক্ষর করেছিলেন যা তাকে নীরব হতে বাধ্য করেছিল।
বিষয়টি ট্রাম্প জানতেন কি না- কৌঁসুলি সুসানের এমন প্রশ্নের জবাবে কোহেন বলেন, 'তাৎক্ষণিকই' জেনেছেন। তিনি বিষয়টি ট্রাম্পকে জানিয়েছেন। তাকে দেওয়া কাজটি যে সম্পন্ন হয়েছে তিনি তা জানতেন।
মঙ্গলবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছেন আদালত। এ দিনও জবানবন্দি দেবেন কোহেন। সোমবার যখন কোহেন জবানবন্দি এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন, তখন আদালত কক্ষে বসা ট্রাম্পকে চোখ বন্ধ করে সেসব শুনতে দেখা যায়।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৬ সালে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। পরে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়া হয়েছিল স্টর্মিকে। ব্যবসায়িক রেকর্ডে এ তথ্য গোপন করেছিলেন ট্রাম্প।
মাইকেল কোহেন পর্ন তারকা ট্রাম্প
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে তিনি।
সোমবার (১৩ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) প্লাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেলিন্ডা নিজেই। খবর রয়টার্সের।
ওই পোস্টে মেলিন্ডা গেটস লিখেছেন, বিল ও আমি একসঙ্গে যে ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছিলাম, তার জন্য আমি অত্যন্ত গর্বিত। তবে বিল গেটসের সঙ্গে একটি চুক্তি মোতাবেক আমি ফাউন্ডেশন থেকে সরে যাচ্ছি। আমার হাতে বাড়তি ১২.৫ বিলিয় ডলার থাকবে নারী ও অসহায় পরিবারগুলোকে সহায়তায় কাজ করার জন্য।
মেলিন্ডার এ ঘোষণার পরপরই এক্স পোস্টে বিল গেটস লেখেন, মেলিন্ডার চলে যাওয়াতে আমি দুঃখিত। তবে আমি নিশ্চিত, ভবিষ্যতে সে তার জনহিতকর কাজে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে।
আগামী ৭ জুন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে শেষ কর্মদিবস কাটাবেন মেলিন্ডা। মেলিন্ডা গেটস ২০০০ সালে তার তখনকার স্বামী বিশ্বের অতি ধনী বিল গেটসকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন গঠন করেছিলেন। এ ফাউন্ডেশন থেকে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধরনের দাতব্য কার্যক্রম পরিচালনা ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। বিশ্বে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনাকারী সবচেয়ে বড় সংস্থা এই ফাউন্ডেশন।
২৭ বছরের সংসার জীবনের ইতি টেনে ২০২১ সালে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন বিল ও মেলিন্ডা গেটস। তবে দুজনই তাদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
বর্তমানে বিশ্বে জনস্বাস্থ্য নিয়ে যেসব সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান কাজ করে, সেগুলোর অন্যতম বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় এই ফাউন্ডেশন থেকে প্রতিবছর শত শত কোটি ডলার ব্যয় করা হয়ে থাকে।
ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, বিল ও মেলিন্ডা গেটস দম্পতি নিজেদের অর্থ থেকে এই ফাউন্ডেশনে ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ দিয়েছেন।
গেটস ফাউন্ডেশন মেলিন্ডা গেটস বিল গেটস
মন্তব্য করুন
মুম্বাইয়ের ধূলিঝড়ে ভেঙে পড়েছে বিশালাকৃতির একটি বিলবোর্ড। সোমবার সন্ধ্যার দিকে ঘাটকোপারে এক জ্বালানি স্টেশনে বিলবোর্ডটি ভেঙে পড়ে। এতে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫৯ জন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই বিলবোর্ডের নীচে চাপা পড়েছিলেন অনেকেই। ৬৭ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
ভারতের জাতীয় দুযোর্গ মোকাবিলা বাহিনী ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) কর্মীদের প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় সরানো সম্ভব হয় ধ্বংসস্তূপ।
ধ্বংস্তূপ সরানোর পর মৃত অবস্থায় ৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে আরও ৫ জনের।
সেই সঙ্গে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৬৭ জনকে। এদের সবাই কম-বেশি আহত হয়েছেন। অনেককেই ভর্তি করাতে হয়েছে হাসপাতালে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়ার পোস ব্লাউয়ের কাম্পুং ওম শহরে বন্য হাতির আক্রমণে বাংলাদেশি এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সময় রোববার বিকেল ৫টার দিকে হাতির আক্রমণে ওই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ব্লাউ কাম্পুং জেলার প্রধান পুলিশ সুপার সিক সিক চুন ফু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, কাম্পুং ওম শহরে রোববার বিকেল ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেছেন, নিহত বৃক্ষরোপণ কর্মীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। মো. নওশের আলী (২৯) নামের ওই কর্মী তার এক সহকর্মীকে নিয়ে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে হাতির আক্রমণের শিকার হন।
সোমবার দেশটির পুলিশের এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে হাতির আক্রমণের সময় পালিয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগ পাননি ওই ভুক্তভোগী। মরদেহের পাশেই হাতির পায়ে ছাপ পাওয়া গেছে।
পুলিশ সুপার সিক সিক চুন ফু বলেছেন, ওই ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য ওই ব্যক্তির মরদেহ গুয়া মুসাং হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় আকস্মিক মৃত্যুর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মালয়েশিয়া বন্য হাতি বাংলাদেশি মৃত্যু
মন্তব্য করুন
সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে ট্রাম্পের নির্দেশেই পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দিয়েছেন বলে হাবি করেছেন ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেন। সোমবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার সময় মাইকেল কোহেন এ কথা বলেন। জবানবন্দি দেওয়ার সময় কৌঁসুলি সুসান হফিংগারের প্রশ্নের জবাবে কোহেন বলেন, “আমি যা করেছি, ট্রাম্পের নির্দেশনায় এবং তার লাভের জন্যই করেছি।'
৪০০ পারের স্লোগান দিয়ে ভোট ময়দানে নামা বিজেপি আশা করেছিল দক্ষিণ ভারতে এবার গেরুয়া ঝড় উঠবে। সেই দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে ভোট শেষ হয়ে গেল আজ চতুর্থ দফায়। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুতে ভোট হয়েছে। কেরেলা, কর্নাটকেও মিটেছে ভোট-পর্ব। চতুর্থ দফায় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায় নির্বাচন। বিজেপির আশা, এই দুই রাজ্যেই আগেরবারের থেকে অনেক ভালো ফল করবে দল।
মালয়েশিয়ার পোস ব্লাউয়ের কাম্পুং ওম শহরে বন্য হাতির আক্রমণে বাংলাদেশি এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার বিকেল ৫টার দিকে হাতির আক্রমণে ওই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ব্লাউ কাম্পুং জেলার প্রধান পুলিশ সুপার সিক সিক চুন ফু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, কাম্পুং ওম শহরে রোববার বিকেল ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে।