আন্তর্জাতিক আইনে গণহত্যার সংজ্ঞা নির্ধারিত হয় দুটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে। কোনো জাতি, আদিবাসী, বর্ণ অথবা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে পুরোপুরি অথবা আংশিকভাবে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার অভিপ্রায় এবং সেই অভিপ্রায় থেকে কোনো গোষ্ঠীকে ধ্বংস করে দেওয়ার প্রচেষ্টা।
গাজায় ইসরায়েল যা করতে যাচ্ছে তা সরাসরি গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ। ইসরায়েলের চলমান হামলায় গাজায় কমপক্ষে ৫০টি পরিবার পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ইসরায়েল গাজায় আলটিমেটাম দিয়েছে যে, উত্তর গাজার ১১ লাখ বাসিন্দাকে তাঁদের বসতি খালি করে চলে যেতে হবে। তাতে ব্যর্থ হলে বোমা হামলা ও স্থল অভিযানে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে তাঁদের।
জাতিসংঘ বলেছে, এ ধরনের গণ-অপসারণ অসম্ভব এবং এর ফলে মারাত্মক মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। জাতিসংঘ ইসরায়েলকে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য মিনতি করেছে।
জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি এই আদেশকে খুব স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ ও আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লঙ্ঘন। গাজা ও সেখানকার বাসিন্দাদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার সব আয়োজন ইসরায়েল শেষ করেছে বলেই মনে হচ্ছে।’
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজাক হেরজোগ বলেছেন, গাজার বাসিন্দারা নিষ্পাপ বেসামরিক নাগরিক নন। পুরো জাতিই দায়ী। এটা মোটেও সত্য নয় যে সাধারণ নাগরিকেরা কিছু জানেন না, কিংবা সম্পৃক্ত নন। এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক আইনের বিরোধী।
আন্তর্জাতিক আইনে সামষ্টিক শাস্তি এবং বেসামরিক লোকদের লক্ষ্যবস্তু বানানো নিষিদ্ধ। এই দুটি কাজই যুদ্ধাপরাধ। প্রেসিডেন্টের বক্তব্য থেকে এটাও স্পষ্ট যে গাজায় হামলা চালানোর ক্ষেত্রে কোনো সংযম দেখাচ্ছে না ইসরায়েল।
আল-আহলি আল–আরাবি ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে বোমা হামলায় ৫০০ জনসহ টানা হামলায় সাড়ে ৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যার পর এখন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদদের পক্ষে গাজার নিধনযজ্ঞের ঘটনা উপেক্ষা করা অসম্ভব।
ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন পশ্চিমা বিশ্বে কেন অপরাধ?
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির যে কাজটা ইসরায়েল শুরু করেছে, সেটি গণহত্যা বিষয়ে পণ্ডিত এবং হলোকাস্ট মিউজিয়ামের মতো সংস্থার বিবেচনায় দশম ধাপের বা চূড়ান্ত ধাপের গণহত্যা। এই ধাপে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কিংবা পানি ও খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার মতো অমানবিক উপায়ে অথবা ‘সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযানের’ নামে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে গণহত্যা সংঘটিত হতে পারে।
ইসরায়েল এখন গণহত্যা সংঘটনের সেই স্তরেই রয়েছে। গাজায় নির্বিচার বোমা হামলাকে ইসরায়েলের কর্মকর্তারা সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযান তকমা দিয়ে ন্যায্যতা দিতে চাইছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা নরপশুদের সঙ্গে লড়াই করছি।’ এ ধরনের অমানবিক ভাষার ব্যবহার একটা গণহত্যা শুরু করার জন্য সব সময় ব্যবহার করা হয়। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ঘটনাক্রমে একদিন গাজা তাঁবুর শহরে পরিণত হবে। সেখানে কোনো ভবন থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বারবার বলে চলেছেন, গাজায় যে গণমৃত্যু শুরু হয়েছে, ‘সেটা কেবল শুরু’। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, গাজা উপত্যকা পুরোটাই দখলে নেওয়া হবে। বিদ্যুৎ, পানি, জ্বালানি ও খাবার বন্ধ করে দেওয়া হবে। ইসরায়েলের পার্লামেন্টের একজন সদস্য খোলাখুলিভাবে এটিকে দ্বিতীয় নাকবা বলেছেন। ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন থেকে গণবাস্তুচুতির প্রসঙ্গ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন।
ইসরায়েলি নেতাদের এই মনোভাব মাঠের সেনাদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে। ইসরায়েলের জাতীয় টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এই যুদ্ধ শুধু হামাসের সঙ্গে নয়, এটি ‘সব বেসামরিক লোকদের সঙ্গে যুদ্ধ’। গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের নিশ্চিহ্ন করার এই অভিযান সন্দেহাতীতভাবে গণহত্যা।
ইহুদি হিসেবে আমরা এর নিন্দা জানাই। আমাদের জনপ্রতিনিধিরা শর্তহীনভাবে ইসরায়েলি নীতির প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছেন, আমরা এর নিন্দা জানাই। তাদের এই নীতির কারণেই দশকের পর দশক ধরে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইসরায়েল দখলদারি বজায় রাখতে পারছে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের বলব, তাঁরা যেন এর নিন্দা জানান। ইহুদিদের নাম করে একটি সম্ভাব্য গণহত্যায় অর্থায়ন করা সেমেটিক–বিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধের পদক্ষেপ নয়।
গত সপ্তাহে হামাসের আচমকা নৃশংস হামলায় ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। ১৫০ জনকে তারা জিম্মি করেছে। এটি ভয়াবহ একটি ঘটনা, আমরা নিঃশঙ্ক চিত্তে শোক জানাই। আর কোনো মানুষের যেন মৃত্যু না হয়, জিম্মিদের যেন মুক্ত করা যায়, সেটিই অগ্রাধিকার দিতে হবে।
আমরা আমাদের ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রতি এই প্রশ্ন রাখতে চাই, ফিলিস্তিনে যখন সাধারণ মানুষেরা মারা গেছেন, সে সময় তাদের শোক ও দুঃখ কোথায় ছিল? ইসরায়েলের সেনারা যখন ফিলিস্তিনি শিশুদের ধরে নিয়ে গিয়েছে, তখন তারা কী করেছে?
মানবাধিকার সংস্থার বি’টিসেলেম জানাচ্ছে, ২০০০ সাল থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক সংঘাতের আগ পর্যন্ত ১০ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি ও ১ হাজার ৩২৯ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। তুলনা করলে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা আট গুণ বেশি। ১৯৮৪ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। এর বড় অংশই ফিলিস্তিনি। এই সংঘাতে দুই পক্ষে ক্ষয়ক্ষতির যে চিত্র, সেখানে ফিলিস্তিনিদের উপচে পড়া মৃত্যু আর বাস্তুচ্যুতির গল্পই।
আমেরিকান রাজনীতিবিদদের গরিষ্ঠতম অংশ ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডে সম্মতি দিয়ে চলেছে। গাজায় যখন প্রতিদিন এক হাজার বোমা ফেলা হচ্ছে, তখন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বারবার করে বলে চলেছেন, ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার অবিচল।
দ্রুত সহিংসতা বন্ধের আহ্বান না জানিয়ে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান—দুই শিবিরের আমেরিকান আইনপ্রণেতারা বলছেন, আমরা ‘ইসরায়েলের সঙ্গে আছি’। হিসাব–নিকাশ পাল্টে দেওয়ার এবং ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে বাধ্য করার ক্ষমতা তাদের আছে। কেননা, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক সহায়তা পাওয়া দেশ ইসরায়েল।
ইহুদি গাজা গণহত্যা নিন্দা ইসরায়েল বিশ্ব সংবাদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়ার পোস ব্লাউয়ের কাম্পুং ওম শহরে বন্য হাতির আক্রমণে বাংলাদেশি এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সময় রোববার বিকেল ৫টার দিকে হাতির আক্রমণে ওই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ব্লাউ কাম্পুং জেলার প্রধান পুলিশ সুপার সিক সিক চুন ফু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, কাম্পুং ওম শহরে রোববার বিকেল ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেছেন, নিহত বৃক্ষরোপণ কর্মীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। মো. নওশের আলী (২৯) নামের ওই কর্মী তার এক সহকর্মীকে নিয়ে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে হাতির আক্রমণের শিকার হন।
সোমবার দেশটির পুলিশের এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে হাতির আক্রমণের সময় পালিয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগ পাননি ওই ভুক্তভোগী। মরদেহের পাশেই হাতির পায়ে ছাপ পাওয়া গেছে।
পুলিশ সুপার সিক সিক চুন ফু বলেছেন, ওই ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য ওই ব্যক্তির মরদেহ গুয়া মুসাং হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় আকস্মিক মৃত্যুর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মালয়েশিয়া বন্য হাতি বাংলাদেশি মৃত্যু
মন্তব্য করুন
ভোটাধিকার মানুষের অন্যতম রাজনৈতিক অধিকার। প্রথমবার ভোট দেওয়ার দিনটি মানুষের জীবনে স্মরণীয় একটি দিন বটে। তাই তো ভারতের এক যুবক তার প্রথম ভোটের দিনকে স্মরণীয় করতে মহিষের পিঠে চড়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে এলেন। এরই মধ্যে যুবকের এই কাণ্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভারতের বিহার রাজ্যের উজিয়ারপুর এলাকার। ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, এক যুবক মহিষে চড়ে ভোট দিতে এসেছেন। কালো শার্ট, ধূসর রঙের প্যান্ট ও মাথায় পাগড়ি পরে আছেন তিনি। মহিষের মাথায়ও সবুজ রঙের কাপড় জড়ানো। তাকে এভাবে আসতে দেখে আশেপাশে লোকজন ভিড় করেছেন। অনেকে ছবি তুলছেন কিংবা ভিডিও করে রেখে দিচ্ছেন তার এই কাণ্ড।
অজ্ঞাতপরিচয় ওই যুবক বলেন, প্রথমবার ভোট দিতে এসে এক ধরনের উদ্দীপনা কাজ করছে। আশা করি, নির্বাচনে যিনি জিতবেন, তিনি আমাদের গ্রামের দারিদ্র্য দূর করবেন, তরুণদের চাকরি ব্যবস্থা করবেন ও মুদ্রাস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করবেন।
বিহারের সমস্তিপুর জেলার উজিয়ারপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ ভোটার। এই আসনে বিভিন্ন দলে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থী হলেন বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। এবার জিতলে এই আসন থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো জয়লাভ করবেন তিনি। তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরজেডি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আলোক মেহতা।
লোকসভা নির্বাচন ভোট ভিডিও ভাইরাল
মন্তব্য করুন
ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। ভারতের লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ কেন্দ্র করে সহিংসতা ও গণ্ডগোল হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্ধ্রপ্রদেশে। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং প্রধান বিরোধী দল বিজেপি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে।
অন্যদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশে তেলেগু দেশম পার্টি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।
নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ভারত জুড়েই একাধিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে ছিল কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। এছাড়াও নির্বাচন কেন্দ্রিক যেকোনো অশান্তি রুখতে প্রস্তুত রাখা ছিল কুইক রেসপন্স টিম, ফ্লাইং স্কোয়াড, ভিডিও সার্ভেলেন্স টিম, স্ট্যাটিক সার্ভেলেন্স টিমের সদস্যরা। কিন্তু ঠেকানো গেলো না সহিংসতা। ঝরলো রক্ত, প্রাণ গেল। গণমাধ্যমের গাড়িও হামলার শিকার হয়েছে।
সোমবার চতুর্থ দফায় ১০টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জুড়ে ৯৬টি সংসদীয় আসনে ভোট নেওয়া হয়। এই কেন্দ্রগুলি হল- অন্ধ্রপ্রদেশের (২৫), তেলেঙ্গানা (১৭), উত্তরপ্রদেশ (১৩), মহারাষ্ট্র (১১), পশ্চিমবঙ্গ (৮), মধ্য প্রদেশ (৮), বিহার (৫), ঝাড়খন্ড (৪), ওড়িশা (৪) এবং জম্মু-কাশ্মীর (১)।
লোকসভার পাশাপাশি এদিন অন্ধপ্রদেশের ১৭৫ আসনে এবং উড়িষ্যার ২৮টি আসনে বিধানসভার ভোট নেওয়া হয়।
গোটা ভারতে ভোট শুরু হয় স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় তা চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। কিন্তু ভোট শুরুর আগে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসাতায় প্রাণ যায় এক তৃণমূল কর্মীর। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কেতুগ্রামের চেঁচুড়ি গ্রামে তাকে হত্যা করা হয়। রবিবার রাতে মিন্টু শেখ নামে ৪৫ বছর বয়সি ওই ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পাশাপাশি বোমা মেরে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে খবর মিন্টু শেখ যখন তার এক সঙ্গীকে নিয়ে বাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন, সে সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার বাইক আটকায়। তিনি বাইক থামাতেই তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়।
এদিন সকালের দিকে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের মন্তেশ্বর ব্লকের টুললা এলাকায় বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। দিলীপ ঘোষের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে এক গ্রামবাসী। এ সময় দিলীপ ঘোষকে ঘিরে 'গো ব্যাক' স্লোগানও দেওয়া হয়। এই সংবাদসংগ্রহ করতে গিয়ে গণমাধ্যমের গাড়িও ভাংচুর করা হয়। বেলা গড়াতেই বিকেলে ফের দিলীপ ঘোষের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। বর্ধমান-উত্তর ২০৪ নম্বর বুথের দলীয় এজেন্টকে বের করে দেওয়ার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান দিলীপ ঘোষ। এই হামলায় আহত হন দিলীপ ঘোষের দুই নিরাপত্তারক্ষী। এর মধ্যে একজনের মাথা ফেটে রক্ত বেরোতে থাকে। নিরাপত্তা রক্ষীদের গাড়ি বহরেও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।
দুর্গাপুর ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি কর্মীদের মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী ও এলাকাবাসী রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তেহট্টের রামজীবনপুরের কয়েকটি বুথে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ভোট দিতে আসার সময় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাঁশ ও লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমুলের দাবি এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
ভোট পরিদর্শনে গিয়ে গ্রামবাসীদের অভাব অভিযোগের মুখে পড়েন বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়।
বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের নানুর বিধানসভার অধীন আট গ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি বুথে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এছাড়া একাধিক জায়গা থেকেই ইভিএম বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটে, ফলে সেইসব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হতে দেরী হয় কিভাবে সেসব কেন্দ্রগুলিতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়।
দুর্গাপুরে তানসেন রোডের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ তারা যখন মধ্যাহ্ন ভোজনের জন্য গিয়েছিলেন সেই সুযোগে বিজেপির বহিরাগতরা বাইক বাহিনী নিয়ে এসে তাদের নারী সদস্যদের উপর হামলা চালায় এবং ক্যাম্প অফিসে ভাঙচুর করে। এই ঘটনায় তৃণমূলের বেশ কয়েকজন মহিলা তৃণমূল কর্মী আহত হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি লেগে গেলে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় পুলিশ বাহিনী।
এ দফায় ভারতে মোট ভোটার ছিল ১৭ কোটি ৭০ লাখ। ভাগ্য নির্ধারণ হয় মোট ১৭১৭ জন প্রার্থীর। হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (বেগুসারাই), বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা (কুন্তী), সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব (কনৌজ), সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কংগ্রেস প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী (বহরমপুর), ওই কেন্দ্রেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সাবেক ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান, তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র (কৃষ্ণনগর), তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা (আসানসোল), তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী শতাব্দী রায় (বীরভূম), তৃণমূল নেত্রী সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ (বর্ধমান-দুর্গাপুর), ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রার্থী ওমর আব্দুল্লাহ (জম্মু-কাশ্মীর), অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েসি (হায়দরাবাদ)।
ভোটের পরবর্তী ধাপে পঞ্চম দফা ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৬ মে এবং সপ্তম ও শেষ দফার ভোট ১ জুন। গণনা আগামী ৪ জুন।
লোকসভা নির্বাচন চতুর্থ দফা. পশ্চিমবঙ্গ সহিংসতা
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বেশিরভাগই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখন বাকি রয়েছে অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটির রাফা শহর। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরেই ইতোমধ্যেই হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল।
আর এরই জেরে শহরটি ছেড়ে ইতোমধ্যেই পালিয়ে গেছেন ৩ লাখ মানুষ। জাতিসংঘ এই তথ্য সামনে এনেছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার অন্যান্য অংশ থেকে এসব মানুষ এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
রোববার (১২ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৩ লাখ মানুষ গত সপ্তাহে রাফা থেকে পালিয়ে গেছে বলে গাজায় ফিলিস্তিনিদের সাহায্যকারী জাতিসংঘের প্রধান সংস্থা রোববার জানিয়েছে। ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে বাঁচতে গাজা উপত্যকার দক্ষিণ প্রান্তের এই শহরটি গত সাত মাস ধরে ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের কাছে আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে।
ইসরায়েলি সরকার রাফা এবং গাজার অন্যত্র নতুন স্থানান্তর আদেশ জারি করার কয়েক ঘণ্টা পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘোষণা দেয় ইউএনআরডব্লিউএ নামে পরিচিত জাতিসংঘের সংস্থা। আন্তর্জাতিক সতর্কতা সত্ত্বেও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী শহরটিতে আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে গত কয়েকদিনে আশঙ্কা আরও গভীর হয়েছে।
মন্তব্য করুন
৪০০ পারের স্লোগান দিয়ে ভোট ময়দানে নামা বিজেপি আশা করেছিল দক্ষিণ ভারতে এবার গেরুয়া ঝড় উঠবে। সেই দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে ভোট শেষ হয়ে গেল আজ চতুর্থ দফায়। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুতে ভোট হয়েছে। কেরেলা, কর্নাটকেও মিটেছে ভোট-পর্ব। চতুর্থ দফায় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায় নির্বাচন। বিজেপির আশা, এই দুই রাজ্যেই আগেরবারের থেকে অনেক ভালো ফল করবে দল।
মালয়েশিয়ার পোস ব্লাউয়ের কাম্পুং ওম শহরে বন্য হাতির আক্রমণে বাংলাদেশি এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার বিকেল ৫টার দিকে হাতির আক্রমণে ওই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ব্লাউ কাম্পুং জেলার প্রধান পুলিশ সুপার সিক সিক চুন ফু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, কাম্পুং ওম শহরে রোববার বিকেল ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে।
ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। ভারতের লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ কেন্দ্র করে সহিংসতা ও গণ্ডগোল হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্ধ্রপ্রদেশে। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং প্রধান বিরোধী দল বিজেপি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। অন্যদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশে তেলেগু দেশম পার্টি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।
ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বেশিরভাগই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখন বাকি রয়েছে অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটির রাফা শহর। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরেই ইতোমধ্যেই হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। আর এরই জেরে শহরটি ছেড়ে ইতোমধ্যেই পালিয়ে গেছেন ৩ লাখ মানুষ। জাতিসংঘ এই তথ্য সামনে এনেছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার অন্যান্য অংশ থেকে এসব মানুষ এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।