ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যে কারণে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধজাহাজ পাঠালো চীন

প্রকাশ: ০৯:৫৩ এএম, ২৪ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার চলমান যুদ্ধ ঘিরে চলছে চরম উত্তেজনা। আর এই উত্তেজনার মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে ছয়টি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে চীন। মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানো এ ‍যুদ্ধজাহাজগুলোর মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ জিবোও রয়েছে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান ও ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন প্রকাশেই এমনটি করেছে তারা। তবে এসব জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিয়েছে বেইজিং। তারা জানিয়েছে, তারা তাদের নিয়মিত টহল ও প্রীতি সফরের অংশ হিসেবেই মধ্যপ্রাচ্যে এসব যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে। এর সঙ্গে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের কোনো সম্পর্ক নেই।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) চীনা সেনাবাহিনীর এসব যুদ্ধ জাহাজ অজ্ঞাত গন্তব্যের উদ্দেশে মাস্কাট উপকূল ছেড়ে যায়। চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে এসব যুদ্ধ জাহাজ গত বুধবার (১৮ অক্টোবর) পাঁচ দিনের সফরে কুয়েতের শুওয়াইখ বন্দরে নোঙর করেছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবেই এসব যুদ্ধ জাহাজ কুয়েতে অবস্থান করছে।

চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) নৌবাহিনী আগেই জানিয়েছিল, গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার উরুমকি, গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট লিনি ও কৌশলগত সহায়ক জাহাজ ডংপিংহুর সমন্বয়ে গঠিত ৪৫তম চীনা নৌবহর এডেন উপসাগর ও সোমালিয়ার জলসীমায় ৪৪তম নৌবহরের সঙ্গে টহল অভিযানে অংশ নেবে।

কিন্তু এ যুদ্ধজাহাজের বিষয়টি নিয়েই পশ্চিমা গণমাধ্যম ব্যাপক গুজব ছড়াচ্ছে। বলা হচ্ছে, ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধের কারণেই চীন এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান এবং ফিলিস্তিনকে সমর্থনের উদ্দেশ্যেই তারা এই যুদ্ধজাহাজগুলো পাঠিয়েছে বলে তাদের মত। তবে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেঙ্গু পশ্চিমাদের এমন দাবি প্রত্যাখান করেছেন।

রোববার (২২ অক্টোবর) রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুটনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লিউ পেঙ্গু বলেন, পিএলএ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজের ওই বহর একটি নিয়মিত টহল মিশনের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে যাত্রা করেছে ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে বন্ধুত্বপূর্ণ সফর করছে। এই সত্যকে শ্রদ্ধা দেখানোর পাশাপাশি সব পক্ষকে ভিত্তিহীন প্রচার বন্ধ করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, বিদেশি গণমাধ্যম ও পশ্চিমা রাজনীতিকরা প্রথমে ইসরায়েলকে সমর্থন না দেওয়ার কারণে চীনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। আর এখন তারা এই অঞ্চলে আমাদের নিয়মিত সামরিক টহল মিশন নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে। এটা চীনকে সংঘাতে জড়িয়ে ফেলার অপচেষ্টা ছাড়া কিছুই না।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সাড়া দেওয়ার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন করা বহরটি কাজে লাগাতে পারবে চীন। উদাহরণস্বরূপ, চলতি বছরের শুরুতে সুদানে সংঘাত শুরু হলে চীনা নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে চীনা নৌবহর বেশ সহায়ক হয়েছিল। এ ধরনের যেকোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হলে ওই সামরিক জাহাজগুলো দ্রুত কাজে যুক্ত হতে পারবে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের আকস্মিক অভিযানের পর নতুন করে ফিলিস্তিন-সংঘাত শুরু হয়েছে। গত দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। যে হামলা এরই মধ্যে কয়েক হাজার বাড়িঘর ধ্বংস করেছে এবং পাঁচ হাজারের বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনির প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।

এই সংঘাতের ক্ষেত্রে বিশ্ব কার্যত দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। অসম এই লড়াইয়ে ইসরায়েলকে নগ্ন সমর্থন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র পশ্চিমারা। অন্যদিকে ইসরায়েলি নির্বিচার হামলার নিন্দা জানিয়ে নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে চীন ও রাশিয়া।

তবে সাংহাই ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ ইউনিভার্সিটির মিডল ইস্ট স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডিং লং গ্লোবাল টাইমসকে বলেন, আন্তর্জাতিক বিরোধ সমাধানের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের মতো চীন কখনোই সামরিক হস্তক্ষেপ বেছে নেবে না।

সূত্র: গ্লোবাল টাইমস


মধ্যপ্রাচ্য   যুদ্ধজাহাজ   চীন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্কিন বোমায় মারা গেছেন ফিলিস্তিনিরা: বাইডেন

প্রকাশ: ০৫:৫১ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিএনএনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, 'বোমার আঘাতে এবং অন্যভাবে গাজায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন।' 

ইসরায়েলকে বোমা দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেই বোমা গাজায় ব্যবহার করেছে ইহুদিবাদী দেশটি। এতে অনুতপ্ত বাইডেন।

বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র দায়বদ্ধ। তাই তারা আয়রন ডোম রকেট ইন্টারসেপটার দেবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র একটা বিভাজনরেখাও তৈরি করেছে। বলেছেন, 'ইসরায়েল যদি রাফায় আক্রমণ করে, তাহলে আমেরিকা তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ দেবে না।'

যুক্তরাষ্ট্র এর আগে বারবার ইসরায়েলকে বলেছে, তারা যেন দক্ষিণ গাজার শহর রাফায় আক্রমণ না করে।

চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা রাফায় সামরিক অভিযানের অনুমতি দিয়েছে, যা এখন ১২ লাখ ফিলিস্তিনির আশ্রয়স্থল।

ইসরায়েলি সেনারা রাফার পূর্ব দিকে হামাসের টার্গেটে আঘাত করতে চায়। সেজন্য তারা হাজার হাজার মানুষকে জায়গা খালি করে চলে যেতে বলেছে।

এদিকে, রাফায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে লড়াইয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন বলে স্থানীয় কুয়েত হাসপাতাল জানিয়েছে। মৃতদের মধ্যে শিশুও আছে। ইসরায়েলের বিমান হামলায় তাদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও তারা মারা যায় বলে কুয়েত হাসপাতাল জানিয়েছে।

হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, লড়াই শুরুর পর থেকে ৩৪ হাজার ৮৪৪ জন মারা গেছেন। তবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য দফতর মৃতের যে সংখ্যা দেয়, তার মধ্যে কতজন বেসামরিক সাধারণ মানুষ ও কতজন সন্ত্রাসী তা আলাদা করা হয় না। এটা বাইরের কোনও সংগঠনের পক্ষে স্বাধীনভাবে যাচাই করাও সম্ভব হয় না। তবে স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, মোট মৃতের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ শিশু।

হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইসরায়েল-সহ কয়েকটি দেশ।

বার্তাসংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, রাফায় ইসরায়েলি আক্রমণ চলছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। আর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা প্রচুর হামাস সন্ত্রাসীকে মেরেছে।

ইউএনএফপিএ বুধবার জানিয়েছে, রাফার প্রধান মেটারনিটি হাসপাতাল আর নতুন করে কোনও রোগীকে ভর্তি করছে না।

ওয়াশিংটনে পুলিশ ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের তৈরি করা ব্যারিকেড সরিয়ে দিয়েছে।

জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ পেপার স্প্রে ব্যবহার করে। ৩৩ জনকে বেআইনিভাবে ঢোকা এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের আক্রমণ করার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে।

মার্কিন কংগ্রেসের রিপাবলিকান সদস্যরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করার পর পুলিশ এই ব্যবস্থা নেয়।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা প্রথমে কাউকে গ্রেফতার না করে পরিস্থিতি সামলাতে চেয়েছিল। কিন্তু বিক্ষোভকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। বিক্ষোভও তীব্র হয়। তারপর তারা ব্যবস্থা নিয়েছে।

নেদারল্যান্ডসেও আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   বোমা   ফিলিস্তিন   জো বাইডেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ, প্রতিক্রিয়া জানাল চীন

প্রকাশ: ০৫:৪৩ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান প্রণালীতে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে। তাইওয়ানের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার দুই সপ্তাহ আগেই বুধবার তাইওয়ান প্রণালীতে উত্তরণ করেছে এ মার্কিন যুদ্ধজাহাজ। এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বেইজিং।  

চীন গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের একটি অংশ বলে মনে করে। যে কারণে চীন এই অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বরাবরই সতর্কতা দেখিয়ে আসছে। অন্যদিকে তাইওয়ান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এটিকে একটি আন্তর্জাতিক জলপথ হিসেবে বিবেচনা করে। 

মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ও মাঝে মাঝে মার্কিন নৌবাহিনীর টহল বিমান প্রতি মাসে অন্তত একবার তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে বা সরাসরি তাইওয়ানের ওপর দিয়ে যায়।

আন্তর্জাতিক কোনও আইন ভাঙা হয়নি দাবি করে মার্কিন নৌবাহিনীর ৭ম নৌবহর জানায়, আর্লে বার্ক শ্রেণির গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস হ্যালসি বুধবার পানির মধ্য দিয়ে একটি রুটিন তাইওয়ান স্ট্রেইট ট্রানজিট পরিচালনা করেছে।

তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর তীব্র সমালোচনা করেছে চীন। চীনা সামরিক বাহিনী এটিকে একটি দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করেছে। তবে সমুদ্রযাত্রার সময় মার্কিন জাহাজকে পর্যবেক্ষণ ও সতর্ক করার জন্য নৌ ও বিমান বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল বলেও জানায় তারা। 

পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, থিয়েটারে সৈন্যরা সবসময় সতর্ক থাকে। জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার পাশাপাশি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করতে তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মার্কিন জাহাজটি প্রণালী দিয়ে দক্ষিণে যাত্রা করেছে এবং তাইওয়ান বাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে। এসময় অস্বাভাবিক কিছু চোখে পড়েনি।

সেইসঙ্গে তাইওয়ান সরকার বেইজিংয়ের সার্বভৌমত্বের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, শুধুমাত্র দ্বীপের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে।

এদিকে বর্তমানে ভাইস প্রেসিডেন্ট লাই বারবার চীনের সাথে কথা বলার প্রস্তাব দিয়েছেন কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। উদ্বোধনের আগে এবং পরে দ্বীপের চারপাশে যেকোনও  চীনা সামরিক কৌশলের জন্য তাইওয়ান সতর্ক রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত চার বছরে চীনের সামরিক বাহিনী তাইওয়ানের আশেপাশে তার কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে। এর মধ্যে অন্যতম ছিল প্রলালীর মধ্যরেখার ওপর যুদ্ধবিমান উড্ডয়ন করা। কারণ রাজনৈতিকভাবে চীন এই মধ্যরেখার অস্তিত্ব স্বীকার করে না।


তাইওয়ান   মার্কিন যুদ্ধজাহাজ   চীন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তানে বন্দুক হামলায় নিহত ৭

প্রকাশ: ০৫:১৪ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে বন্দুক হামলায় সাতজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। হতাহতরা সবাই স্থানীয় একটি সেলুনের কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।

বুধবার (৮ মে) দিনগত রাতে বেলুচিস্তানের গোয়াদার জেলার সুরবন্দরে এ ঘটনা ঘটে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বুধবার দিনগত রাত ৩টার দিকে স্থানীয় আবাসিক কোয়ার্টারে প্রবেশ করে হামলা চালান বন্দুকধারীরা। সেসময় হতাহত ব্যক্তিরা ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। 

ডন ডটকমের সঙ্গে কথা বলার সময় গোয়াদারের জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার (এসএসপি) জোহাইব মহসিন বলেছেন, নিহতরা গোয়াদার থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে সুরবন্দরে একটি সেলুনে কাজ করতেন। নিহতদের সবাই পাঞ্জাবের খানেওয়াল ও লোধরান জেলার বাসিন্দা। অন্যদিকে, আহত ব্যক্তি খানেওয়ালের মিয়া চান্নু এলাকার বাসিন্দা।

ঘটনার পর পুলিশ হতাহতদের গোয়াদার হাসপাতালে স্থানান্তর করে। এসএসপি মহসিন জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছেন ও তদন্ত চলছে। হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে এরই মধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে।

গোয়াদারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) হামুদুর রহমান জানিয়েছেন, চারটি অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আর আহত ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর করাচিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী মীর সরফরাজ বুগতি। তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি ঘটনাটিকে ‘উন্মুক্ত সন্ত্রাসবাদ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। হতাহতদের পরিবারকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা করার ও হামলাকারীদের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

এদিকে, হামলার ঘটনায় নিন্দা জানানোর পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, এই হামলা দেশের শত্রুদের কাপুরুষোচিত কাজ। আমরা সন্ত্রাসবাদকে শিকড় থেকে নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর।


পাকিস্তান   বন্দুক হামলা   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

২১ মে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পারে ইউরোপের চার দেশ

প্রকাশ: ০৪:২৬ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আয়ারল্যান্ড, স্পেনসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য অন্তত চারটি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে।  

বৃহস্পতিবার (৯ মে) আয়ারল্যান্ডের জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম আরটিই নিউজের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে, বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে আরটিই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনকে যৌথভাবে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে ডাবলিন ও মাদ্রিদ এবং স্লোভেনিয়া ও মাল্টার মধ্যে যোগাযোগ তীব্র হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউরোপের এসব দেশ আগামী ১০ মে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের বিষয়ে অনুষ্ঠিতব্য ভোটের অপেক্ষায় রয়েছে। ওই দিন সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হওয়ার যোগ্য হিসাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া হতে পারে।

উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে অন্তত ১৩৯টিই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে।


ফিলিস্তিন   ইউরোপ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কেন ইসরায়েলে বোমার চালান স্থগিত করল আমেরিকা?

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বোমার একটি বড় চালান ইসরায়েলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে দেশটির প্রশাসন। গত সপ্তাহেই বিষয়টি বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এর কারণ নিয়ে মুখ খুলছিলেন না।

এমনকি ফিলিস্তিনিদের হত্যায় ইসরায়েলকে ইন্ধন যোগানকারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ই  এখন রাফায় অবস্থানকারী ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য মানবিকতার বুলি প্রকাশ করছেন।  

বুধবার (৯ মে) তিনি জনসম্মুখে ঘোষণা করেন, ইসরায়েলি যদি রাফায় অভিযান চালায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের কোনো অস্ত্র সরবরাহ করবে না। খবর রয়টার্সের  

এদিকে সিবিএস নিউজকে ইসরায়েলের বোমার চালান আটকে দেওয়ার কারণ জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা। 

গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর এই প্রথম ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। অস্ত্রের চালানটি গত সপ্তাহে ইসরায়েলে পাঠানোর কথা থাকলেও সেটি আপাতত পাঠানো হচ্ছে না বলে ইসরায়েলকে জানিয়েছেন ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা। ওই চালানে কয়েক হাজার কেজি বোমা ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তার বরাতে সিবিএস নিউজ জানায়, দক্ষিণ গাজার রাফায় স্থল অভিযান চালাতে ইসরায়েলকে নিষেধ করে যুক্তরাষ্ট্র। এ অভিযানে মানবিক বিপর্যয় নিয়ে মার্কিন প্রশাসন উদ্বিগ্ন ছিল। বিষয়টি ইসরায়েলকে জানানোর পরও তারা পাত্তা দেয়নি।

ইসরায়েল সব ধরনের অনুরোধ ও আহ্বান উপেক্ষা করে রাফায় বড় ধরনের হামলা চালাতে প্রস্তুতি নেয়। ইসরায়েলের অগ্রগতি নিশ্চিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্র চালানটি স্থগিত করে।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, রাফা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চাহিদা ইসরায়েল পুরোপুরি পূরণ করেনি। ইসরায়েল রাফায় ওই বোমা ব্যবহারের করতে পারে বলে শঙ্কায় ছিল যুক্তরাষ্ট্র। 

তাহলে কি শুধুমাত্র নিজেদের কথা ভেবেই গাজাবাসীর প্রতি মানবিকতা দেখাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট? 

যদিও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ রাখতে পারে এটা অবিশ্বাস্য। আর কতদিন তারা এভাবে গাজাবাসির জন্য মানবিকতা দেখাবে তা নিয়েও এক ধরণের শঙ্কা থেকে যায়।


ইসরায়েল   বোমার চালান   স্থগিত   আমেরিকা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন