মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ ইরান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তেল রপ্তানি করে থাকে দেশটি। ইরানের বৈদেশিক আয়ের একটি প্রধান অংশ অপরিশোধিত তেল রপ্তানির মাধ্যমে এসে থাকে ।
২০১৮ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরেই ইরানের ওপর আবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন প্রশাসন। উদ্দেশ্য ছিল দেশটির জ্বালানি তেল রফতানি ও এটি থেকে সরকারের আয়ের পথ বন্ধ করে দেয়া।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর থেকে আবারো বাড়তে শুরু করে ইরানের জ্বালানি তেল রফতানি। ইরানের তেল পরিবহনে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নিষেধাজ্ঞা আছে। তবে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র সেই নিষেধাজ্ঞার বাঁধন কিছুটা আলগা করে। লক্ষ্য ছিল দুটি—প্রথমত, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির রাশ টেনে ধরা; দ্বিতীয়ত, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তেলের দাম হ্রাস করা। বাইডেন প্রশাসন জানায়, দুই দেশের মধ্যে পরমাণু চুক্তি নিয়ে সংলাপ চলছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলের উপর হামলা চালায়। মধ্যপ্রাচ্যের এ সশস্ত্র সংগঠনটির সরাসরি পৃষ্ঠপোষক ইরান এবং হামাসের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দেওয়া হয় ইরান থেকেই। ফলে ইরানকে অর্থনৈতিক ভাবে চাপে ফেলতে বাইডেন প্রশাসন ইরানের নিষেধাজ্ঞার যে বাঁধন কিছুটা আলগা করেছিল, সেগুলো আবার কঠোর করেছে। ইরান তেল বিক্রি করে লাভবান হলে হামাসেরই লাভ হবে, সে কারণে এ চাপ।
চলতি বছরের মে মাসে ইরানের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি দৈনিক ১৫ লাখ ব্যারেল ছাড়ায়। বাজার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কেপলারের মতে, ২০১৮ সালের পর এটিই সর্বোচ্চ রফতানি। ২০১৮ সালে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগ পর্যন্ত দেশটির দৈনিক রফতানির পরিমাণ ছিল ২৫ লাখ ব্যারেল।
নতুন করে নিষেধাজ্ঞায় ইরানের তেল রপ্তানিতে ভাটা পড়বে?
দ্য ইকোনমিস্টের এক সংবাদ বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে তেল সরবরাহের যে নেটওয়ার্ক ইরান গড়ে তুলেছে, তা ভাঙতে যুক্তরাষ্ট্রকে বেগ পেতে হবে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হলেও পরবর্তী সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জমানায় আবারও নিষেধাজ্ঞা জোরালো করা হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার সময় থেকে ইরানের তেল সরবরাহের নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী হয়। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফাঁক গলে তারা বিভিন্ন দেশের কাছে তেল বিক্রি শুরু করে।
বিশ্ববাজারের ইরানের তেলের মূল্য ছাড়
ইরানের তেল বিশ্ববাজারের চেয়ে ব্যারেলপ্রতি ১০-১২ ডলার ছাড়ে পাওয়া যায়, যেখানে রাশিয়ার তেলে ছাড় পাওয়া পায় ব্যারেলে পাঁচ ডলার। এতে ইরানের তেলের চাহিদা আছে বিশ্ববাজারে। ইরানের তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হচ্ছে চীন। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন এন্টি মার্কিন সেন্টিমেন্টের দেশগুলে ইরানের তেলের ক্রেতা। এছাড়া অর্থের ছাড়ের কারণে নতুন নতুন দেশ আগ্রহী হয়ে উঠছে। ফলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্তেও ইরানের তেলের চাহিদা পড়ে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
ইরানের দেশে তেল পরিবহন ব্যবস্থা
ইরানের তেল পরিবহনের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় নতুন কৌশলে তেল রপ্তানির পথ বেছে নিয়েছে ইরান। যেসব জাহাজ নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত দেশের তেল পরিবহন করে, তাদের বলা হয় ডার্ক ফ্লিট। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দুবাইভিত্তিক এক অপরিচিত কোম্পানি ডিলরো ১৮ বছরের পুরোনো তেলের ট্যাংকার ওশান কাপাল কিনে নেয়। এরপর পানামার পতাকাবাহী এ জাহাজের নতুন নামকরণ হয় অ্যাবানডান্স ৩। এর মধ্য দিয়ে জাহাজটির কাজও বদলে যায়। এপ্রিলে এ জাহাজ ইরানের তেল নিয়ে উত্তর চীনের দংজিয়াকুতে পৌঁছায়। সেপ্টেম্বরে জাহাজটি আবার ইরানের তেল নিয়ে চীনের বন্দরে ভেড়ে।
জাহাজটি এখন মালয়েশিয়ায় অপেক্ষা করছে। হতে পারে, সেখান থেকে আরেকটি ইরানি তেলবাহী কার্গো থেকে তেল নিয়ে আবার ছুটবে সে। নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত দেশের তেল পরিবহনে যে ডার্ক ফ্লিট গড়ে উঠেছে, এটি তার নবতম সংযোজন। ২০২০ সালে ইরান এ প্রক্রিয়ায় দিনে ৩ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল তেল বিক্রি করত, এখন যা ১৪ লাখ ব্যারেলে উত্তীর্ণ হয়েছে।
চীনের সংশ্লিষ্টতা
এই সরবরাহব্যবস্থার শেষ কাজটা করে অখ্যাত মধ্যস্বত্বভোগীরা। জাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান কেপলারের তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালে ১০২টি অতি বৃহৎ জাহাজ ইরানের তেল পরিবহন করেছে। গত বছর এগুলোর মধ্যে ৪২টি তেল পরিবহনের কাজে ছিল না এবং ২৭টি জাহাজের গোপন তৎপরতার ইতিহাস নেই। বছরে হাতে গোনা কয়েকবার তেল পরিবহন করে তারা। কারণ এ ধরনের গোপন অভিযানের ভাড়া অনেক বেশি।
এসব জাহাজ কোম্পানির মালিকানাও রহস্যাবৃত। চীন, ভিয়েতনাম ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশে নিবন্ধিত শেল কোম্পানির হাতে এদের মালিকানা। মার্কিন রাজস্ব বিভাগের কাছে যেসব নাম আছে, তার অধিকাংশের নাম চীনা। এর অর্থ হলো, এগুলোর মালিকেরা চীনের মূল ভূখণ্ডের বাসিন্দা। চীনের বেশ কটি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানও এ তালিকায় আছে। তবে সেগুলো ‘বলির পাঁঠা’র মতো, শুধু ইরানের তেল আমদানি করাই এদের কাজ। ইরান সরকার এ তেল পরিবহনের বিমা দেয়।
এই পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রশাসনের অনেকেই এ ব্যবসা বন্ধ করতে চান, যদিও নতুন নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সম্ভাবনা কম। বিদ্যমান যেসব নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেগুলোর পরিসর যথেষ্ট বড়। তবে সেগুলো প্রয়োগে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তাতে কী, এই ডার্ক ফ্লিটকে কি সমুদ্রে ডুবিয়ে দেওয়া সম্ভব বা যারা এই ব্যবসা করছে, তাদের?
এই ব্যবসা বন্ধ করার ক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জ আছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় তেল করপোরেশন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বা মার্কিন ডলারে ব্যবসা করছে না। তাই যত নিষেধাজ্ঞাই আসুক না কেন, তাদের একধরনের সুরক্ষা আছে।
অন্যদিকে চীনের যে ছোট ছোট পরিশোধনাগারগুলো ইরানের তেল কিনছে, সেগুলোর ওপর খড়্গহস্ত হতে পারে কেবল চীন, কিন্তু তারা সেটা কেন করবে। এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্বত্বভোগীদের ধরার চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু এ মুহূর্তে রাশিয়া ও ভেনেজুয়েলার তেলের ওপর তাদের নিষেধাজ্ঞা আছে। ফলে চোরাচালান ঠেকাতে হলে সবার বেলায় একই ব্যবস্থা নিতে হবে, কিন্তু সেই সক্ষমতা তার কমে গেছে।
সে কারণে যত বাধাবিপত্তি আসুক না কেন, তার স্থায়িত্ব তিন মাস বা তার চেয়ে খুব একটা বেশি হবে না।
পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রাইস্টাড এনার্জির হিসাব, ইরানের তেল পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হলে প্রাথমিকভাবে দৈনিক তিন লাখ ব্যারেল তেলের জোগান কমে যাবে, বিশ্ববাজারের মোট চাহিদার যা শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। এতে অবশ্য তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি চার থেকে পাঁচ ডলার বেড়ে যেতে পারে।
কঠোর কোন ব্যবস্থাই কাজ করে না
সাম্প্রতিক ইতিহাসে দেখা গেছে, নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করার কারণে যুক্তরাষ্ট্র কোনো কোম্পানির ওপর খড়্গহস্ত হলে তারা দ্রুত সেই ব্যবসা ছেড়ে দেয়, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে সেই শূন্যতা পূরণ করার জন্য আরও অনেক কোম্পানি চলে আসে।
এসব কোম্পানির উপর যদি যুক্তরাষ্ট্র কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করে তবে বাজান থেকে চার লাখ ব্যারেল ইরানি তেলের জোগান হারিয়ে যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, তাতে তেলের দাম এ পরিস্থিতিতে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। তবে সেটা হবে সাময়িক। কারণ, ওই পরিস্থিতিতে ইরানের প্রতিবেশী দেশগুলো তেলের উৎপাদন বাড়িয়ে দেবে। ওপেক চাইলে তেলের উৎপাদন দিনে ৫৫ লাখ ব্যারেল বাড়িয়ে দিতে পারে। সৌদি আরব একাই ইরানের তেলের ঘাটতি পূরণ করতে পারে।
ইরানের আরেকটি সুবিধা হলো, তাদের ওপর কেবল মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আছে, যেখানে রাশিয়ার ওপর সমগ্র পশ্চিমের নিষেধাজ্ঞা আছে। তারপরও যুক্তরাষ্ট্র চাইলে সমুদ্রে ইরানের জাহাজ আটকে দিতে পারে। কিন্তু তা করতে গেলে বিপুল খরচ প্রয়োজন, সেই সঙ্গে আইনি জটিলতা ও প্রতিশোধের হুমকি আছেই।
তবে চলতি মাসে প্রথমবারের মতো রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করার কারণে দুটি তেলবাহী ট্যাংকার চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে ভেনেজুয়েলার ওপর নিষেধাজ্ঞার বাঁধন কিছুটা শিথিল করেছে এই আশঙ্কা থেকে যে কোনো কারণে ইরানের তেল রপ্তানি কমে যেতে পারে। তা সত্ত্বেও এসব ঘটনা থেকে বোঝা যায়, যুক্তরাষ্ট্র যত ব্যবস্থাই নিক না কেন, ইরানের সরবরাহব্যবস্থা তা পাশ কাটানোর মতো যথেষ্ট নমনীয়।
ইরান তেল মার্কিন ট্রাম্প নিষেধাজ্ঞা বিশ্ব সংবাদ বিশ্ব বাজার
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে তিনি।
সোমবার (১৩ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) প্লাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেলিন্ডা নিজেই। খবর রয়টার্সের।
ওই পোস্টে মেলিন্ডা গেটস লিখেছেন, বিল ও আমি একসঙ্গে যে ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছিলাম, তার জন্য আমি অত্যন্ত গর্বিত। তবে বিল গেটসের সঙ্গে একটি চুক্তি মোতাবেক আমি ফাউন্ডেশন থেকে সরে যাচ্ছি। আমার হাতে বাড়তি ১২.৫ বিলিয় ডলার থাকবে নারী ও অসহায় পরিবারগুলোকে সহায়তায় কাজ করার জন্য।
মেলিন্ডার এ ঘোষণার পরপরই এক্স পোস্টে বিল গেটস লেখেন, মেলিন্ডার চলে যাওয়াতে আমি দুঃখিত। তবে আমি নিশ্চিত, ভবিষ্যতে সে তার জনহিতকর কাজে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে।
আগামী ৭ জুন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে শেষ কর্মদিবস কাটাবেন মেলিন্ডা। মেলিন্ডা গেটস ২০০০ সালে তার তখনকার স্বামী বিশ্বের অতি ধনী বিল গেটসকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন গঠন করেছিলেন। এ ফাউন্ডেশন থেকে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধরনের দাতব্য কার্যক্রম পরিচালনা ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। বিশ্বে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনাকারী সবচেয়ে বড় সংস্থা এই ফাউন্ডেশন।
২৭ বছরের সংসার জীবনের ইতি টেনে ২০২১ সালে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন বিল ও মেলিন্ডা গেটস। তবে দুজনই তাদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
বর্তমানে বিশ্বে জনস্বাস্থ্য নিয়ে যেসব সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান কাজ করে, সেগুলোর অন্যতম বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় এই ফাউন্ডেশন থেকে প্রতিবছর শত শত কোটি ডলার ব্যয় করা হয়ে থাকে।
ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, বিল ও মেলিন্ডা গেটস দম্পতি নিজেদের অর্থ থেকে এই ফাউন্ডেশনে ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ দিয়েছেন।
গেটস ফাউন্ডেশন মেলিন্ডা গেটস বিল গেটস
মন্তব্য করুন
মুম্বাইয়ের ধূলিঝড়ে ভেঙে পড়েছে বিশালাকৃতির একটি বিলবোর্ড। সোমবার সন্ধ্যার দিকে ঘাটকোপারে এক জ্বালানি স্টেশনে বিলবোর্ডটি ভেঙে পড়ে। এতে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫৯ জন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই বিলবোর্ডের নীচে চাপা পড়েছিলেন অনেকেই। ৬৭ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
ভারতের জাতীয় দুযোর্গ মোকাবিলা বাহিনী ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) কর্মীদের প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় সরানো সম্ভব হয় ধ্বংসস্তূপ।
ধ্বংস্তূপ সরানোর পর মৃত অবস্থায় ৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে আরও ৫ জনের।
সেই সঙ্গে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৬৭ জনকে। এদের সবাই কম-বেশি আহত হয়েছেন। অনেককেই ভর্তি করাতে হয়েছে হাসপাতালে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়ার পোস ব্লাউয়ের কাম্পুং ওম শহরে বন্য হাতির আক্রমণে বাংলাদেশি এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সময় রোববার বিকেল ৫টার দিকে হাতির আক্রমণে ওই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ব্লাউ কাম্পুং জেলার প্রধান পুলিশ সুপার সিক সিক চুন ফু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, কাম্পুং ওম শহরে রোববার বিকেল ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেছেন, নিহত বৃক্ষরোপণ কর্মীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। মো. নওশের আলী (২৯) নামের ওই কর্মী তার এক সহকর্মীকে নিয়ে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে হাতির আক্রমণের শিকার হন।
সোমবার দেশটির পুলিশের এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে হাতির আক্রমণের সময় পালিয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগ পাননি ওই ভুক্তভোগী। মরদেহের পাশেই হাতির পায়ে ছাপ পাওয়া গেছে।
পুলিশ সুপার সিক সিক চুন ফু বলেছেন, ওই ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য ওই ব্যক্তির মরদেহ গুয়া মুসাং হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় আকস্মিক মৃত্যুর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মালয়েশিয়া বন্য হাতি বাংলাদেশি মৃত্যু
মন্তব্য করুন
ভোটাধিকার মানুষের অন্যতম রাজনৈতিক অধিকার। প্রথমবার ভোট দেওয়ার দিনটি মানুষের জীবনে স্মরণীয় একটি দিন বটে। তাই তো ভারতের এক যুবক তার প্রথম ভোটের দিনকে স্মরণীয় করতে মহিষের পিঠে চড়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে এলেন। এরই মধ্যে যুবকের এই কাণ্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভারতের বিহার রাজ্যের উজিয়ারপুর এলাকার। ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, এক যুবক মহিষে চড়ে ভোট দিতে এসেছেন। কালো শার্ট, ধূসর রঙের প্যান্ট ও মাথায় পাগড়ি পরে আছেন তিনি। মহিষের মাথায়ও সবুজ রঙের কাপড় জড়ানো। তাকে এভাবে আসতে দেখে আশেপাশে লোকজন ভিড় করেছেন। অনেকে ছবি তুলছেন কিংবা ভিডিও করে রেখে দিচ্ছেন তার এই কাণ্ড।
অজ্ঞাতপরিচয় ওই যুবক বলেন, প্রথমবার ভোট দিতে এসে এক ধরনের উদ্দীপনা কাজ করছে। আশা করি, নির্বাচনে যিনি জিতবেন, তিনি আমাদের গ্রামের দারিদ্র্য দূর করবেন, তরুণদের চাকরি ব্যবস্থা করবেন ও মুদ্রাস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করবেন।
বিহারের সমস্তিপুর জেলার উজিয়ারপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ ভোটার। এই আসনে বিভিন্ন দলে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থী হলেন বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। এবার জিতলে এই আসন থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো জয়লাভ করবেন তিনি। তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরজেডি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আলোক মেহতা।
লোকসভা নির্বাচন ভোট ভিডিও ভাইরাল
মন্তব্য করুন
৪০০ পারের স্লোগান দিয়ে ভোট ময়দানে নামা বিজেপি আশা করেছিল দক্ষিণ ভারতে এবার গেরুয়া ঝড় উঠবে। সেই দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে ভোট শেষ হয়ে গেল আজ চতুর্থ দফায়। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুতে ভোট হয়েছে। কেরেলা, কর্নাটকেও মিটেছে ভোট-পর্ব। চতুর্থ দফায় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায় নির্বাচন। বিজেপির আশা, এই দুই রাজ্যেই আগেরবারের থেকে অনেক ভালো ফল করবে দল।
মালয়েশিয়ার পোস ব্লাউয়ের কাম্পুং ওম শহরে বন্য হাতির আক্রমণে বাংলাদেশি এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার বিকেল ৫টার দিকে হাতির আক্রমণে ওই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ব্লাউ কাম্পুং জেলার প্রধান পুলিশ সুপার সিক সিক চুন ফু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, কাম্পুং ওম শহরে রোববার বিকেল ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে।