ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হামাসের প্রতিরোধে পিছু হটেছে স্থলবাহিনী

প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

শুক্রবার রাতে গাজা উপত্যকায় স্থলপথে হামলা শুরু করার পর থেকে ক্রমেই হামলার তীব্রতা বাড়াচ্ছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। শনিবার রাতে ৪৫০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হলেও রোববার রাতে সে সংখ্যা ৬০০টিতে উন্নীত করেছে আইডিএফ। এর ফলে হামলার ২৪তম দিনে সোমবারও গাজার বিভিন্ন স্থানেই মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের শব্দের পাশাপাশি ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।

গাজার উত্তরাংশের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সোমবার প্রথম কয়েক ঘণ্টায় ইসরায়েল তীব্র গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় গাজার উত্তরাংশের অনেক এলাকায় ইন্টারনেট ও ফোন পরিষেবা ফের বন্ধ হয়ে গেছে। গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলা কোনোরকম বিরতি ছাড়াই অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) প্রতিদিনের হামলা আগের দিনের চেয়ে তীব্র করছে।   

আইডিএফের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, গাজায় আমাদের অভিযান জোরদারের লক্ষে আরও পদাতিক সেনাকে গাজায় পাঠিয়েছি।পদাতিক বাহিনী, ট্যাক, ভারী অস্ত্রসহ সমন্বিতভাবে আমরা এখন অভিযান পরিচালনা করছি। সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে আমাদের আকাশ থেকেও সহযোগিতা করা হচ্ছে।

এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও জানিয়েছেন, ‘গাজার লড়াই শেষ হতে সময় লাগবে। পরিস্থিতি খুব সহজে স্বাভাবিক হবে না।গাজায় স্থলসেনারা যে অভিযান চালাচ্ছে, তা সহজে বন্ধ হবে না।’

এদিকে হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিভিন্ন স্থানে তারা ইসরায়েলের হামলাকে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের প্রতিরোধে ট্যাঙ্কসহ ইসরায়েলের বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। 

এদিকে ফিলিস্তিনের গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমানগুলো গাজা নগরীর শিফা ও আল কুদস হাসপাতালের আশপাশের এলাকাতে হামলা চালিয়েছে আর দক্ষিণে খান ইউনুস শহরের পূর্বদিকের সীমান্ত এলাকায় ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। দুপক্ষের সংঘাতে উপত্যকার উত্তরাংশের সঙ্গে দক্ষিণাংশের প্রধান সংযোগ সড়ক সালাহ আল দীন স্ট্রিট বন্ধ হয়ে গেছে। ইসরায়েলি সৈন্যরা সালাহ আল দীন স্ট্রিটের বিভিন্ন স্থান কেটে ফেলেছে এবং কোনো যানবাহন এই সড়ক দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেই সেটি লক্ষ্য করে তারা গুলি চালাচ্ছে।

এদিকে আরেক খবরে জানা গেছে, হামাস যোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উপকণ্ঠে ঢুকে পড়া ইসরায়েলি বাহিনীর ট্যাংক ও বুলডোজার। গাজায় ঢোকা ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে হামাসের তীব্র সংঘর্ষের জেরে ইসরায়েলি ট্যাংক ও বুলডোজার গাজা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে বলে হামাসের সরকারি অফিসের প্রধান এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

সোমবার ফিলিস্তিনি একাধিক সূত্র আলজাজিরাকে বলেছে, ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো গাজার সীমান্ত থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে গাজা শহরের মধ্যবর্তী সালাহ আল দীন সড়কের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় আক্রান্ত হয়েছে। পরে ওই এলাকায় হামাসের যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি সৈন্যদের তুমুল লড়াই হয়।

৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত  ৩৪৫৭ শিশু, ২১৩৬ নারী এবং ৪৮০ প্রবীণসহ কমপক্ষে ৮৩০৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন ২১,০৪৮ জন। আর ১০৫০টি শিশুসহ ১৯৫০ জন ফিলিস্তিনি এতে নিখোঁজ রয়েছেন। এদিকে  গাজার খান ইউনুসে ইসরায়েলের হামলায় ২৪ ঘণ্টায় ৯৩ জন নিহত হয়েছেন।

গাজায় হামাসের সরকারি অফিসের প্রধান কর্মকর্তা সালামা মারুফ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গাজা উপত্যকার আবাসিক এলাকাগুলোতে ইসরায়েলি বাহিনীর কোনো স্থল অভিযান নেই। সালাহ আল দীন সড়কে কেবল দখলদার সেনাবাহিনীর কয়েকটি ট্যাংক এবং একটি বুলডোজার অনুপ্রবেশ করেছিল।’ 

তিনি বলেন, ‘এসব যানবাহন সালাহ আল দীন স্ট্রিটে দুটি বেসামরিক গাড়িকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। পরে হামাসের যোদ্ধাদের প্রতিরোধে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে ইসরায়েলি সব যানবাহন। চলে যাওয়ার আগে দখলদার বাহিনী সড়কের বিভিন্ন স্থান কেটে রেখে গেছে।’

ইসরায়েল-গাজায় সেনা পাঠাবে না যুক্তরাষ্ট্র :

সো পাঠানোর বিষয়ে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেছেন, ‘ইসরায়েল বা সিরিয়ায় নিয়ে আমারা এ ধরনের কোনো পরিকল্পনাও করছি না। ইসরায়েল বা গাজায় সেনা পাঠানোর কোনো আগ্রহ ওয়াশিংটনের নেই।  

 সিবিএস নিউজকে তিনি বলেন, ইসরায়েলে ১৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে তবে ইসরায়েলকে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা বিষয়টি দেখতে হবে। হামাস ফিলিস্তিনিদের প্রতিনিধিত্ব করে না এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফিলিস্তিনিদেরও সমান নিরাপত্তা ও সুরক্ষা, আত্মমর্যাদা রক্ষার অধিকার রয়েছে। 

গাজায় ৪৭টি মসজিদ ও ৭টি গির্জা ধ্বংস : 

গত তিন সপ্তাহে ২০৩টি স্কুল এবং ৮০টি সরকারি অফিসও ধ্বংস করেছে ইসরায়েল। ব্যাপক বোমা হামলার কারণে ২ লাখ ২০ হাজার আবাসন ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৩২ হাজার ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলের চলমান বিমান হামলায় ৪৭টি মসজিদ এবং ৭টি গির্জা ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার মিডিয়া অফিস।

গাজায় আরও ৩৩ ট্রাক ত্রাণ : 

অবরুদ্ধ গাজায় রোববার আরও ৩৩ ট্রাক ত্রাণ ঢুকেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ জানিয়েছে, মিসরের সঙ্গে রাফাহ সীমান্ত দিয়ে রোববার ত্রাণবাহী ৩৩ ট্রাক প্রবেশ করে। এসব ট্রাকে ছিল পানি, খাদ্য ও চিকিৎসাসামগ্রী। 

জাতিসংঘের সংস্থাটি বলেছে, ৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর এখন পর্যন্ত মিসরের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজায় ত্রাণবাহী ১১৭টি ট্রাক ঢুকেছে। যদিও সেটি গাজার প্রায় ২৪ লাখ মানুষের জন্য অপ্রতুল। অবরোধের আগে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ ট্রাক সাহায্য এবং অন্যান্য পণ্যবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করত।


ইসরাইলে   গাজা   হামলা   বিমান   মিসাইল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিপজ্জনক হয়ে উঠছে এল নিনো

প্রকাশ: ১০:২৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে স্মরণকালের ভয়াবহ তাপপ্রবাহ। গত কয়েকদিন ধরে দেশের তাপমাত্রা এতটাই বাড়ছে যে অনেকে এটি সহ্য করতে পারছেন না। ফলে হিটস্ট্রোকসহ অন্যান্য স্বাস্থগত ঝুঁকিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। শুধু বাংলাদেশ নয়, তালিকায় আছে মিয়ানমার, ভারত, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া। সব দেশেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও এল নিনোর প্রভাবে তাপপ্রবাহ ধীরে ধীরে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে, যা নীরব ঘাতকে পরিণত হচ্ছে।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের তথ্য অনুযায়ী, এল নিনো হলো একটি জলবায়ু প্যাটার্ন। এটির মাধ্যমে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের পানি উষ্ণ হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, সমুদ্রের তাপমাত্রা, গতি, মহাসাগরীয় স্রোত, উপকূলীয় মৎস্যসম্পদের স্বাস্থ্য এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে দক্ষিণ আমেরিকার এবং এরও বাইরের অঞ্চলের ওপর প্রভাব পড়ে। এল নিনো দুই থেকে সাত বছরের বিরতি দিয়ে অনিয়মিতভাবে হয়ে থাকে। এটি কোনো নিয়মিত চক্র নয় অথবা এ নিয়ে আগে থেকে কোনো ধারণা পাওয়া যায় না।

গত বছরের এপ্রিল মাসে জলবায়ুবিদরা এল নিনোর ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, ২০২৩ সালে এটির প্রভাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। যদি ২০২৩ সালে প্রভাব না পড়ে তাহলে ২০২৪ সালে এটি বেশ ভালোভাবে পরিলক্ষিত হবে।

মিয়ানমারে গতকাল রোববার তাপমাত্রা ওঠে ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলিয়াসে, যা দেশটির ৫৬ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। একই দিনে দেশটির বাণিজ্যিক শহর ইয়াঙ্গুনের তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি আর মান্দালয়ে ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপপ্রবাহের কারণে ইয়াঙ্গুনে মোটরসাইকেল ও স্কুটার চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। চাউক শহরের একজন বাসিন্দা বলেন, ‘এখানে প্রচণ্ড গরম। আমরা ঘর থেকে বের হচ্ছি না। এ অবস্থায় আমাদের আর কিছু করার নেই।’

মিয়ানমারের আবহাওয়া পর্যবেক্ষকদের তথ্যমতে, এপ্রিলে সাধারণত যে গড় তাপমাত্রা থাকে, তার চেয়ে গত বৃহস্পতিবারের তাপমাত্রা ৩-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) এশিয়া ও দক্ষিণ–পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক বেন চার্চিল বলেন, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া অঞ্চল সাধারণত এপ্রিল মাসে উষ্ণ থাকে। কিন্তু এল নিনো (আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা) ও জলবায়ু পরিবর্তন এই অঞ্চলের তাপমাত্রাকে বিপজ্জনক পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। ডব্লিউএমওর ওয়েবসাইটে গত শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তিনি এ কথা বলেন।

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় দেশ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে রয়েছে। দেশটির আবহাওয়া দপ্তর গত শনিবার জানায়, এই পরিস্থিতিতে কোনো কোনো অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে।

তাপপ্রবাহে ভারতের সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বেঙ্গালুরুর একটি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন কর্মকর্তা অনন্ত (৩৭) বলেন, ‘জীবনে এত গরমের অভিজ্ঞতা হয়নি। খুবই অস্বস্তিকর। এই গরম আপনার কাজের সমস্ত শক্তি নিংড়ে নেয়।’

ভারতের আবহাওয়া দপ্তর আগেই পূর্বাভাসে জানিয়েছে, চলতি বছরের মার্চ থেকে মে পর্যন্ত স্বাভাবিকের চেয়ে তাপপ্রবাহ বেশি দিন থাকতে পারে। দেশটির বেশির ভাগ অঞ্চলে এই তাপপ্রবাহ থাকতে পারে।

ডব্লিউএমওর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি থাইল্যান্ডের লামপাং প্রদেশে তাপমাত্রা ৪৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত বুধবার জানায়, তাপপ্রবাহে দেশটিতে চলতি বছর ইতিমধ্যে ৩০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

ডব্লিউএমওর উপমহাসচিব কো ব্যারেট গত সপ্তাহে থাইল্যান্ডে এক অনুষ্ঠানে বলেন, গরমের কারণে যত মানুষের মৃত্যু হয়, তার পুরো চিত্র উঠে আসে না। এ ছাড়া গরমে শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা কমে, কৃষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বিদ্যুতের ওপর চাপ পড়ে। পরিসংখ্যানে এসব বিষয়ে সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয় না। প্রচণ্ড গরম ধীরে ধীরে বড় ধরনের নীরব ঘাতক হয়ে উঠছে।

এল নিনো   তাপপ্রবাহ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

'কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে'

প্রকাশ: ০৮:৪৫ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মানবতার স্বার্থে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রসহ আর নতুন কোনো অস্ত্র গ্রহণ না করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, 'মানবতাকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অস্ত্র ব্যবস্থা নয় বরং মানুষের কল্যাণে কৃষি, চিকিৎসা, মহাকাশ অন্বেষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ মানবজাতির সুবিধার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপকারী প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।'

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ভিয়েনার হফবার্গ প্রাসাদে 'হিউম্যানিটি অ্যাট দ্য ক্রসরোডস: অটোনোমাস উইপনস সিস্টেমস অ্যান্ড দ্য চ্যালেঞ্জ অব রেগুলেশন' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে উচ্চ-পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় তিনি এ আহ্বান জানান।

মানুষের ওপর অস্ত্রবল প্রয়োগে নিয়ন্ত্রণ রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে ড. হাছান মাহমুদ প্রশ্ন রাখেন, যদি রাষ্ট্রবহির্ভূত এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ পায় তবে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার কী হবে।

স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থাকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিশ্বব্যাপী নীতি নির্ধারণের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, প্রাণহানির ক্ষমতাসম্পন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ এবং স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র উভয়ের বিষয়েই উপযুক্ত আন্তর্জাতিক আইন বিচক্ষণতার সঙ্গে প্রয়োগ করা বাঞ্ছনীয়।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় গাজার অনিশ্চিত পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং সংঘাত ও উত্তেজনার নতুন ফ্রন্ট খোলার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করেন।

অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ, কোস্টারিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্নল্ডো আন্দ্রে টিনোকো, নরওয়েজিয়ান স্টেট সেক্রেটারি ইভিন্ড ভাদ পিটারসন এবং রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির সভাপতি মির্জানা স্পোলজারিক এগার সহ-প্যানেলিস্ট হিসেবে যোগ দেন।

অস্ট্রিয়ার ইউরোপীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই সম্মেলনে ১২০টিরও বেশি দেশ জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা, অধিকার গোষ্ঠী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার আট শতাধিক  প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। 


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা   অস্ত্র   পররাষ্ট্রমন্ত্রী   ড. হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পদত্যাগ করলেন স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফার্স্ট মিনিস্টার

প্রকাশ: ০৮:২৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফার্স্ট মিনিস্টার ও স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা হামজা ইউসুফ পদত্যাগ করার কথা ভাবছেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।

স্কটিশ গ্রিনস পার্টির সঙ্গে জোট করে স্কটল্যান্ডে সরকার গঠন করেছিল হামজার দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি। তবে এই দলের সঙ্গে সম্প্রতি তার দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির জোট ভেঙে যায়। এরপর তাকে ক্ষমতা থেকে হটাতে দুটি অনাস্থা ভোটের ডাক দেন বিরোধীরা। একটি ফার্স্ট মিনিস্টার ও আরেকটি স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির সরকারের বিরুদ্ধে। এসব অনাস্থা ভোটে হামজা হেরে যেতে পারেন, এটা অনেকটা নিশ্চিত। তাই অনাস্থা ভোটের আগেই পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন তিনি।

সোমবার এক ভাষণে হামজা বলেছেন, আমি আমার মূল্যবোধ ও নীতি নিয়ে ব্যবসা করতে চাই না। অথবা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য যার-তার সঙ্গে চুক্তি করতে চাই না।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে হামজা বলেছিলেন, বিরোধীদের ডাকা অনাস্থা ভোটে তিনি জিততে পারবেন বলে বেশ আত্মবিশ্বাসী। তবে সোমবারের মধ্যেই নিজের সংখ্যালঘু সরকারকে শক্তিশালী করতে অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

গত বছর স্কটল্যান্ডের ক্ষমতাসীন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা নির্বাচিত হন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হামজা ইউসেফ। এরপর সাবেক ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেনের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। স্কটল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম হিসেবে ফার্স্ট মিনিস্টার নির্বাচিত হয়েছিলেন হামজা।


পদত্যাগ   স্কটল্যান্ড   ফার্স্ট মিনিস্টার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রেকর্ড তাপমাত্রায় মিয়ানমার

প্রকাশ: ০৭:৫৩ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে মিয়ানমার। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। যা মিয়ানমারের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। খবর এপি ও দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার। 

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার।  সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়  ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮.৭৬ ফারেনহাইট)। যা মিয়ানমারের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এই তথ্যটি জানিয়েছে, মিয়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ।

আবহাওয়া বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোববার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় ম্যাগওয়ে রাজ্যের চাউক শহরে তাপমাত্রা পারদ ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। ৫৬ বছর আগে রেকর্ড সংরক্ষণ শুরু করার পর মিয়ানমারের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

একই দিন দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত ইয়াঙ্গুনে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ছুঁয়েছে। এছাড়া দেশটির আরেক শহর মান্দালয়ে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলের শুষ্ক সমতলে অবস্থিত চাউক শহরের একজন বাসিন্দা বলেছেন, 'এখানে অত্যন্ত গরম এবং আমরা সবাই বাড়িতেই ছিলাম।' নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, 'এই পরিস্থিতিতে আমরা কিছুই করতে পারছি না।' 

দেশটির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে দিনের তাপমাত্রা এপ্রিলের গড়ের তুলনায় ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।

জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) বলেছে,  ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে। ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। 


রেকর্ড   তাপমাত্রা   মিয়ানমার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন অমিত শাহ

প্রকাশ: ০৭:৩০ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, বিহারের বাগুসারাই এলাকায় সোমবার এক নির্বাচনি র‍্যালিতে অংশ নেন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা অমিত শাহ (৫৯)। র‍্যালি শেষে সেখানে একটি হেলিকপ্টারে উঠেন তিনি। 

উড্ডয়নের সময় সেই হেলিকপ্টার কিছু সময়ের জন্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডান দিকে কাত হয়ে পড়ে যাচ্ছিল। মাটিতে আছাড় খাওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন পাইলট।  

নিতীশ কুমারের দল জেডিইউয়ের সঙ্গে মিলে বিহারে ১৭টি আসনে লড়াই করছে বিজেপি। প্রথম ধাপের নির্বাচনে গত ১৯ এপ্রিল এখানে চার আসনে নির্বাচন হয়। এরপর গত শুক্রবার দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচন হয় আরও ৫ আসনে।


দুর্ঘটনা   অমিত শাহ   বিজেপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন