ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিভিন্ন দেশে কূটনীতিক বহিষ্কার; একজন রাষ্ট্রদূতের ক্ষমতা কতটুকু?

প্রকাশ: ০৩:১৫ পিএম, ০১ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বহুকাল আগে থেকেই কূটনীতির অংশ হিসেবে এক দেশের কূটনীকিতরা আরেক দেশে অবস্থান করে আসছেন। বহির্বিশ্বের সাথে সম্পর্ক উন্নত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম এটি। এক দেশের সাথে আরেক দেশের কূটনীতিক সুসম্পর্ক বজায় রাখতে একেক দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে একেক দেশের রাষ্ট্রদূত। এই ভিন্ন দেশে অবস্থানের ক্ষেত্রে তারা যেমন খুবই শক্ত প্রোটোকল এবং ইমিউনিটি পান, তেমনি তাদের কিছু বিধিনিষেধও মেনে চলতে হয়। আর তাদের এই সুরক্ষা ও আচরণ নিয়ন্ত্রণের জন্যই তৈরি হয় ভিয়েনা কনভেনশন।

কোনো দেশে অন্য দেশের একজন কূটনীতিক কী ধরণের সুবিধা পাবেন বা তার সাথে কেমন আচরণ করা হবে সে বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে অভিন্ন কোন চুক্তি বা নিয়ম নীতি আগে ছিল না। এই প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করবার পরই ১৯৬১ সালের এপ্রিলে জাতিসংঘের উদ্যোগে ভিয়েনায় এক কনফারেন্সের পর অংশগ্রহণকারী দেশগুলো নিয়ে একটি চুক্তি করা হয় যা ‘ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপলোম্যাটিক রিলেশন’ হিসেবে পরিচিত। ভিয়েনা কনভেনশনে যেসব নিয়ম-নীতি উল্লেখ করা আছে সে অনুযায়ী কোন দেশে অন্য কোন দেশের কুটনীতিক মিশন বা প্রতিনিধিরা অবস্থান করে থাকে। এই চুক্তির মাধ্যমে অন্য দেশে কূটনীতিকদের বিভিন্ন ধরণের সুবিধা, নিরাপত্তা, বাসস্থান, আইন প্রয়োগসহ নানা বিষয় নিশ্চিত করে থাকে গ্রাহক দেশ।

তাহলে প্রশ্ন আসে ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী একজন কূটনীতিক এবং গ্রাহক দেশের সম্পর্ক কেমন হবে? তারা একে অপরের সাথে কেমন আচরণ করবে? কারণ একজন কূটনীতিক কি করতে পারবেন আর কি করতে পারবেন না, সে সবকিছুই নির্ধারিত হয় এই ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী। যার কারণে এই চুক্তি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।


একজন কূটনীতিক যা করতে পারেন এবং পারেন না:

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী কূটনীতিকদের কাজ হলো- ১। গ্রহীতা রাষ্ট্রে প্রেরক রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করা; ২। আইন মোতাবেক গ্রহীতা রাষ্ট্রে প্রেরক রাষ্ট্র ও তার নাগরিকদের স্বার্থ রক্ষা করা; ৩। গ্রহীতা রাষ্ট্রের সরকারের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করা; ৪। গ্রহীতা রাষ্ট্রে বিদ্যমান যেকোনও অবস্থা সম্পর্কে আইন অনুমোদিতভাবে তথ্য সংগ্রহ করা এবং তা নিজ রাষ্ট্রের সরকারকে অবহিত করা; এবং ৫। প্রেরক রাষ্ট্র ও গ্রহীতা রাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উন্নয়ন ও তাদের মধ্যে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, কারিগরি ও বৈজ্ঞানিক সম্পর্কের প্রসার ঘটানো।

কূটনীতিকদের অফিস কোথায় হবে সে বিষয়ে চুক্তির ১২নং ধারায় বলা হয়েছে যে, কূটনীতিক মিশন প্রেরণকারী দেশ মিশনের জন্য বরাদ্দকৃত অফিস সীমার বাইরে অন্য কোন জায়গায় কোন অফিস স্থাপন করতে পারবে না।

এছাড়াও আন্তর্জাতিক ও রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রদূতদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যম হবে সরকার। অর্থাৎ, কোনোভাবেই কোনও রাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময়ের সুযোগ নেই। এখন প্রশ্ন হতে পারে, কোনো রাষ্ট্রের রাজনীতি, রাজনৈতিক দল কিংবা নির্বাচনে কূটনীতিকরা নাক গলাতে পারবেন না এটি কোথায় বলা আছে?

ভিয়েনা কনভেনশনের ৪১(১) ধারায় বলা হয়েছে, যেসব ব্যক্তি অন্য কোনো দেশে কূটনীতিকের মর্যাদা ও সুবিধা ভোগ করেন, তারা ওই দেশের আইন ও নীতি মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন। পাশাপাশি কূটনৈতিক কার্যাবলি ছাড়া তারা ওই দেশের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না।

৪১(২) ধারায় বলা হয়েছে, কূটনীতিকদের সব ধরনের দাফতরিক কাজ, যা প্রেরক রাষ্ট্র কূটনীতিক মিশনের ওপর ন্যস্ত করবে, তা গ্রাহক দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা এ সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হতে হবে।

আর ৪১(৩) ধারায় বলা হয়েছে, কূটনীতিকরা তাদের মিশন অফিসের প্রাঙ্গণ ভিয়েনা কনভেনশন কিংবা অন্যান্য আন্তর্জাতিক আইনের বিধান কিংবা প্রেরক ও গ্রহীতা রাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান কোনও চুক্তি অনুযায়ী কূটনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, এমন কোনও উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারবেন না।

অর্থাৎ, কোনো দেশের রাজনীতি, রাজনৈতিক দল কিংবা নির্বাচনে কোনো কূটনীতিকরা নাক গলাতে পারবেন না। যদি তাদের কোনো বক্তব্যও থেকে থাকে সেটি গ্রাহক দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা এ সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হতে হবে।


চাইলেই কি একজন রাষ্ট্রদূতকে গ্রহীতা রাষ্ট্র থেকে বের করে দেয়া যায়?

ভিয়েনা কনভেনশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ধারা বা আর্টিকেল ৯ এ বলা হয়েছে যে, যেকোন দেশ ওই দেশে নিযুক্ত অন্য দেশের কূটনীতিককে কোন কারণ দর্শানো ছাড়াই ‘পারসোনা নন গ্রাটা’ বা অগ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা করতে পারে। ওই কূটনীতিক সংশ্লিষ্ট দেশে পৌঁছানোর আগেই তাকে অগ্রহণযোগ্য বা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা যায়। যদি প্রেরক রাষ্ট্র যথাযথ সময়ে তাদের কূটনীতিককে ফিরিয়ে না নিতে পারে তবে গ্রহীতা রাষ্ট্র ওই কূটনীতিকের বিশেষ মর্যাদা ও নিরাপত্তা নাকচ করে দিতে পারে।

অর্থাৎ, গ্রহীতা রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, এটি কোনও প্রথা বা সৌজন্যতার বিধি নয়, বরং এটি আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যতামূলক বিধান। হস্তক্ষেপের অভিযোগে গ্রহীতা রাষ্ট্র কূটনীতিকদের সতর্কতা, বহিষ্কার এবং এমনকি কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে এমন অনেক ঘটনা রয়েছে।


বিভিন্ন কূটনীতিক বহিষ্কার:

একটি দেশের কূটনীতিক মিশনের প্রধানসহ ওই মিশনে কর্মরত যেকোন ব্যক্তিকে গ্রহীতা রাষ্ট্র যেকোনো সময় তার কাজকর্ম পছন্দ না হলে অগ্রহণযোগ্য ঘোষণা করতে পারে। এক্ষেত্রে নিযুক্ত ওই কূটনীতিককে প্রেরক দেশ হয় বরখাস্ত করবে অথবা ফিরিয়ে নেবে। যদি যথাযথ সময়ে ওই দেশ তাদের কূটনীতিককে ফিরিয়ে নিতে না পারে তাহলে গ্রাহক দেশ ওই কূটনীতিককে তার বিশেষ মর্যাদা ও নিরাপত্তা নাকোচ করতে পারে।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এ ধরণের ঘটনা প্রায়ই ঘটতে দেখা যায়। দুই দেশই তাদের কূটনীতিককে ‘অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে সাত দিনের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার নোটিশ দেয় প্রায়ই। ২০১৯ সালেও কাশ্মির ইস্যুতে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্ত করেছিল পাকিস্তান।

এর আগে ব্রিটেনে এক প্রাক্তন গুপ্তচর ও তাঁর কন্যার উপর হামলাকে কেন্দ্র করে রাশিয়া ও পশ্চিমা জগতের মধ্যে কূটনৈতিক সংঘাত চরমে উঠে৷ রাশিয়া এ ঘটনায় ৬০ জন মার্কিন কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণা করে। মূলত, ব্রিটেনের প্রতি সংহতি দেখিয়ে অ্যামেরিকাসহ ইউরোপের একাধিক দেশ বেশ কিছু রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কারের পর রাশিয়াও পালটা এ বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়।

এছাড়া সম্প্রতি সম্প্রতি ইইউভুক্ত দেশগুলো থেকে কয়েক ডজন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। এর পাল্টা জবাব হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৮ জন কূটনীতিককে বহিষ্কার করে রাশিয়া। মূলত, ২০২২ সালের দিকে গুপ্তচরবৃত্তি সন্দেহে ৪৩ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে ইউরোপের চার দেশ। তারই জবাব ছিল এই ঘটনা।

এই কিছুদিন আগে, বেইজিংয়ের সমালোচক কানাডার এক আইনপ্রণেতাকে ভয় দেখানোর পরিকল্পনায় এক চীনা কূটনীতিক জড়িত থাকায় টরেন্টোয় নিযুক্ত একজন চীনা কূটনীতিককে বহিষ্কার করে কানাডা। এ বিষয়ে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো ধরনের বিদেশি হস্তক্ষেপ বরদাশত করবেন না বলেই এ পদক্ষেপ নেন বলে জানান।

এছাড়া, সম্প্রতি ভারত-কানাডা দ্বন্দ্বে শিখ নেতা হরদীপ সিং হত্যাকাণ্ডের জেরে ভারতের নির্দেশে কানাডার ৪১ কূটনীতিককে ফিরিয়ে নিয়েছে দেশটি।

বাংলাদেশেও এমন কূটনীতিক বহিষ্কারের ঘটনা রয়েছে। ২০১৫ সালের দিকে জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় পাকিস্তানি কূটনীতিক ফারিনা আরশাদকে বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।

অর্থাৎ, কোনো দেশই নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে অন্য কোনো দেশের হস্তক্ষেপ পছন্দ করে না। এর জেরে পাল্টাপাল্টি এসব কূটনীতিক বহিষ্কারের ঘটনা যেকোনো দেশের জন্যই একটি সাধারণ ঘটনা। ভিয়েনা কনভেনশনের নিয়মনীতি অনুসারে ‘কূটনৈতিক শিষ্টাচারের বিষয়’ সকল কূটনীতিকদের আসলে মনে থাকাটা দরকার। ১৯৬১ সালের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক ভিয়েনা কনভেশনের ৪১ ধারার অনুচ্ছেদ ১ মূলত কূটনীতিবিদদের গ্রহণকারী দেশের আইন ও বিধি-বিধানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেয়, যা তাদের মেনে চলা কর্তব্য।


কূটনীতিক বহিষ্কার   রাষ্ট্রদূতের ক্ষমতা   পররাষ্ট্রমন্ত্রী   যুক্তরাষ্ট্র   বাংলাদেশ   মার্কিন নিষেধাজ্ঞা   পিটার হাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মালয়েশিয়ায় বন্য হাতির আক্রমণে বাংলাদেশির মৃত্যু

প্রকাশ: ০৮:২২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

মালয়েশিয়ার পোস ব্লাউয়ের কাম্পুং ওম শহরে বন্য হাতির আক্রমণে বাংলাদেশি এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। 

স্থানীয় সময় রোববার বিকেল ৫টার দিকে হাতির আক্রমণে ওই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

ব্লাউ কাম্পুং জেলার প্রধান পুলিশ সুপার সিক সিক চুন ফু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, কাম্পুং ওম শহরে রোববার বিকেল ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেছেন, নিহত বৃক্ষরোপণ কর্মীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। মো. নওশের আলী (২৯) নামের ওই কর্মী তার এক সহকর্মীকে নিয়ে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে হাতির আক্রমণের শিকার হন। 

সোমবার দেশটির পুলিশের এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে হাতির আক্রমণের সময় পালিয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগ পাননি ওই ভুক্তভোগী। মরদেহের পাশেই হাতির পায়ে ছাপ পাওয়া গেছে।

পুলিশ সুপার সিক সিক চুন ফু বলেছেন, ওই ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য ওই ব্যক্তির মরদেহ গুয়া মুসাং হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় আকস্মিক মৃত্যুর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।


মালয়েশিয়া   বন্য হাতি   বাংলাদেশি   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: মহিষে চড়ে ভোট দিতে গেলেন যুবক, ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশ: ০৮:১১ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভোটাধিকার মানুষের অন্যতম রাজনৈতিক অধিকার। প্রথমবার ভোট দেওয়ার দিনটি মানুষের জীবনে স্মরণীয় একটি দিন বটে। তাই তো ভারতের এক যুবক তার প্রথম ভোটের দিনকে স্মরণীয় করতে মহিষের পিঠে চড়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে এলেন। এরই মধ্যে যুবকের এই কাণ্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। 

ভারতের বিহার রাজ্যের উজিয়ারপুর এলাকার। ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, এক যুবক মহিষে চড়ে ভোট দিতে এসেছেন। কালো শার্ট, ধূসর রঙের প্যান্ট ও মাথায় পাগড়ি পরে আছেন তিনি। মহিষের মাথায়ও সবুজ রঙের কাপড় জড়ানো। তাকে এভাবে আসতে দেখে আশেপাশে লোকজন ভিড় করেছেন। অনেকে ছবি তুলছেন কিংবা ভিডিও করে রেখে দিচ্ছেন তার এই কাণ্ড। 

অজ্ঞাতপরিচয় ওই যুবক বলেন, প্রথমবার ভোট দিতে এসে এক ধরনের উদ্দীপনা কাজ করছে। আশা করি, নির্বাচনে যিনি জিতবেন, তিনি আমাদের গ্রামের দারিদ্র্য দূর করবেন, তরুণদের চাকরি ব্যবস্থা করবেন ও মুদ্রাস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করবেন।

বিহারের সমস্তিপুর জেলার উজিয়ারপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ ভোটার। এই আসনে বিভিন্ন দলে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থী হলেন বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। এবার জিতলে এই আসন থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো জয়লাভ করবেন তিনি। তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরজেডি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আলোক মেহতা।


লোকসভা নির্বাচন   ভোট   ভিডিও   ভাইরাল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: চতুর্থ দফায় পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা

প্রকাশ: ০৭:৪১ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। ভারতের লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ কেন্দ্র করে সহিংসতা ও গণ্ডগোল হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্ধ্রপ্রদেশে। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং প্রধান বিরোধী দল বিজেপি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। 

অন্যদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশে তেলেগু দেশম পার্টি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। 

নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ভারত জুড়েই একাধিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে ছিল কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। এছাড়াও নির্বাচন কেন্দ্রিক যেকোনো অশান্তি রুখতে প্রস্তুত রাখা ছিল কুইক রেসপন্স টিম, ফ্লাইং স্কোয়াড, ভিডিও সার্ভেলেন্স টিম, স্ট্যাটিক সার্ভেলেন্স টিমের সদস্যরা। কিন্তু ঠেকানো গেলো না সহিংসতা। ঝরলো রক্ত, প্রাণ গেল। গণমাধ্যমের গাড়িও হামলার শিকার হয়েছে।

সোমবার চতুর্থ দফায় ১০টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জুড়ে ৯৬টি সংসদীয় আসনে ভোট নেওয়া হয়। এই কেন্দ্রগুলি হল- অন্ধ্রপ্রদেশের (২৫), তেলেঙ্গানা (১৭), উত্তরপ্রদেশ (১৩), মহারাষ্ট্র (১১), পশ্চিমবঙ্গ (৮), মধ্য প্রদেশ (৮), বিহার (৫), ঝাড়খন্ড (৪), ওড়িশা (৪) এবং  জম্মু-কাশ্মীর (১)। 

লোকসভার পাশাপাশি এদিন অন্ধপ্রদেশের ১৭৫ আসনে এবং উড়িষ্যার ২৮টি আসনে বিধানসভার ভোট নেওয়া হয়। 

গোটা ভারতে ভোট শুরু হয় স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় তা চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। কিন্তু ভোট শুরুর আগে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসাতায় প্রাণ যায় এক তৃণমূল কর্মীর। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কেতুগ্রামের চেঁচুড়ি গ্রামে তাকে হত্যা করা হয়। রবিবার রাতে মিন্টু শেখ নামে ৪৫ বছর বয়সি ওই ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পাশাপাশি বোমা মেরে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে খবর মিন্টু শেখ যখন তার এক সঙ্গীকে নিয়ে বাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন, সে সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার বাইক আটকায়। তিনি বাইক থামাতেই তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। 

এদিন সকালের দিকে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের মন্তেশ্বর ব্লকের টুললা এলাকায় বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। দিলীপ ঘোষের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে এক গ্রামবাসী। এ সময় দিলীপ ঘোষকে ঘিরে 'গো ব্যাক' স্লোগানও দেওয়া হয়। এই সংবাদসংগ্রহ করতে গিয়ে গণমাধ্যমের গাড়িও ভাংচুর করা হয়। বেলা গড়াতেই বিকেলে ফের দিলীপ ঘোষের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। বর্ধমান-উত্তর ২০৪ নম্বর বুথের দলীয় এজেন্টকে বের করে দেওয়ার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান দিলীপ ঘোষ। এই হামলায় আহত হন দিলীপ ঘোষের দুই নিরাপত্তারক্ষী। এর মধ্যে একজনের মাথা ফেটে রক্ত বেরোতে থাকে। নিরাপত্তা রক্ষীদের গাড়ি বহরেও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। 

দুর্গাপুর ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি কর্মীদের মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী ও এলাকাবাসী রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। 

কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তেহট্টের রামজীবনপুরের কয়েকটি বুথে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ভোট দিতে আসার সময় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাঁশ ও লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমুলের দাবি এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। 

ভোট পরিদর্শনে গিয়ে গ্রামবাসীদের অভাব অভিযোগের মুখে পড়েন বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। 

বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের নানুর বিধানসভার অধীন আট গ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি বুথে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এছাড়া একাধিক জায়গা থেকেই ইভিএম বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটে, ফলে সেইসব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হতে দেরী হয় কিভাবে সেসব কেন্দ্রগুলিতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। 

দুর্গাপুরে তানসেন রোডের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ তারা যখন মধ্যাহ্ন ভোজনের জন্য গিয়েছিলেন সেই সুযোগে বিজেপির বহিরাগতরা বাইক বাহিনী নিয়ে এসে তাদের নারী সদস্যদের উপর হামলা চালায় এবং ক্যাম্প অফিসে ভাঙচুর করে। এই ঘটনায় তৃণমূলের বেশ কয়েকজন মহিলা তৃণমূল কর্মী আহত হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি লেগে গেলে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় পুলিশ বাহিনী। 

এ দফায় ভারতে মোট ভোটার ছিল ১৭ কোটি ৭০ লাখ। ভাগ্য নির্ধারণ হয় মোট ১৭১৭ জন প্রার্থীর। হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (বেগুসারাই), বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা (কুন্তী), সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব (কনৌজ), সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কংগ্রেস প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী (বহরমপুর), ওই কেন্দ্রেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সাবেক ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান, তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র (কৃষ্ণনগর), তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা (আসানসোল), তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী শতাব্দী রায় (বীরভূম), তৃণমূল নেত্রী সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ (বর্ধমান-দুর্গাপুর), ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রার্থী ওমর আব্দুল্লাহ (জম্মু-কাশ্মীর), অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েসি (হায়দরাবাদ)। 

ভোটের পরবর্তী ধাপে পঞ্চম দফা ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৬ মে এবং সপ্তম ও শেষ দফার ভোট ১ জুন। গণনা আগামী ৪ জুন।


লোকসভা নির্বাচন   চতুর্থ দফা. পশ্চিমবঙ্গ   সহিংসতা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাফা ছেড়ে পালালেন ৩ লাখ ফিলিস্তিনি

প্রকাশ: ০৬:৫২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বেশিরভাগই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখন বাকি রয়েছে অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটির রাফা শহর। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরেই ইতোমধ্যেই হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল।

আর এরই জেরে শহরটি ছেড়ে ইতোমধ্যেই পালিয়ে গেছেন ৩ লাখ মানুষ। জাতিসংঘ এই তথ্য সামনে এনেছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার অন্যান্য অংশ থেকে এসব মানুষ এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

রোববার (১২ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৩ লাখ মানুষ গত সপ্তাহে রাফা থেকে পালিয়ে গেছে বলে গাজায় ফিলিস্তিনিদের সাহায্যকারী জাতিসংঘের প্রধান সংস্থা রোববার জানিয়েছে। ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে বাঁচতে গাজা উপত্যকার দক্ষিণ প্রান্তের এই শহরটি গত সাত মাস ধরে ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের কাছে আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে।

ইসরায়েলি সরকার রাফা এবং গাজার অন্যত্র নতুন স্থানান্তর আদেশ জারি করার কয়েক ঘণ্টা পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘোষণা দেয় ইউএনআরডব্লিউএ নামে পরিচিত জাতিসংঘের সংস্থা। আন্তর্জাতিক সতর্কতা সত্ত্বেও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী শহরটিতে আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে গত কয়েকদিনে আশঙ্কা আরও গভীর হয়েছে।


রাফা   ফিলিস্তিন   জাতিসংঘ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনের ৩১টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি রাশিয়ার

প্রকাশ: ০৬:২৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্রিমিয়াসহ রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে রাতভর পাঠানো ইউক্রেনের ৩১টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রাম চ্যানেলে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, রাতে কিয়েভ সরকার ড্রোনের সাহায্যে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর নতুন প্রচেষ্টা করে। রুশ ফেডারেশনের ভূখণ্ডে লক্ষ্যবস্তু বানচাল করা হয়েছে। 

ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী বেলগোরোদ অঞ্চলে ১২টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। এই অঞ্চলে ইউক্রেনের হামলায় ১৫ জন নিহত হয়। ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলে আটটি এবং পার্শ্ববর্তী লিপেটস্ক অঞ্চলে চারটি ড্রোন প্রতিহত করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইউক্রেনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


ইউক্রেন   ড্রোন   রাশিয়া  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন