ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজা যুদ্ধে বহুরূপী যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে যেসব দেশ!

প্রকাশ: ০৫:০৬ পিএম, ০৩ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ যেন সকল সীমা অতিক্রম করে ফেলেছে। গত ২৬ দিন ধরে গাজায় অব্যাহত বোমা হামলা চালিয়েই যাচ্ছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। হাসপাতাল থেকে শুরু করে শরণার্থী শিবির কিছুই বাদ দিচ্ছে না তারা। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। টানা এ বিভৎস হামলায় গাজায় এযাবৎকালে মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই প্রায় ৪ হাজারের কাছাকাছি।

একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র ব্যতীত আর কেউই এ বর্বরতায় সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েলিদের সাথে সামিল হয়নি। ইসরায়েল হামাসের এ সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের মত বহুমুখী আচরণ আর কেউ হয়তো করেনি। এই একদিকে তারা গাজায় মানবিক বিরতি চায়, কিন্তু যুদ্ধবিরতি চায় না। আবার আরেকদিকে মানবিক বিরতি চাইলেও তারা ইসরায়েলকে ব্যাপকভাবে কোটি কোটি ডলারের সামরিক অস্ত্র সহায়তা দেয়, পাঠায় রণতরী। আবার জাতিসংঘে উত্থাপিত রাশিয়ার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবও যুক্তরাষ্ট্র ফিরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু অন্যান্য দেশ হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের এই ‘আত্মরক্ষা’ নামক নাটকে যুক্তরাষ্ট্রের মত বহুমুখী আচরণে যায়নি। হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে ইসরায়েলের এ গণহত্যায় অন্যান্য দেশ তাদের অবস্থান করেছে স্পষ্টভাবে পরিষ্কার। বহু দেশ ইতোমধ্যেই ইসরায়েলের সাথে সকল রকম বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।


গাজায় অব্যাহত সামরিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয় খোদ পশ্চিমা রাষ্ট্রের বহু ইহুদি সম্প্রদায়ই বিক্ষোভ করেছে, করেছে যুদ্ধবিরতির আন্দোলন। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। এর জের ধরেই ইসরায়েলিদের এ নৃশংস হামলার প্রতিবাদে দেশটির সঙ্গে সর্বপ্রথম কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে লাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়া। গাজা-সংকট শুরুর পর প্রথম যদি কোনো দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় সেটি হচ্ছে এ দেশটি। বলিভিয়া গাজা উপত্যকায় সংঘটিত আক্রমণাত্মক ও অগ্রহণযোগ্য ইসরায়েলি সামরিক আক্রমণ নিন্দাভরে প্রত্যাখ্যান করে এবং ইসরায়েলি রাষ্ট্রের সঙ্গে সকল প্রকার কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়।

এর পরপরই বলিভিয়ার প্রতিবেশী দেশ কলম্বিয়া ও চিলিও তেল আবিবে নিযুক্ত তাদের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ডেকে পাঠায়। দূতদের সঙ্গে দেশগুলো গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েল হামলার নিন্দা ও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর বিষয়ে সলাপরামর্শ করে। ঐতিহাসিকভাবেই লাতিন আমেরিকার বামঘেঁষা দেশগুলো ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতিশীল। তবে অঞ্চলের ডানপন্থী দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ছায়াতলে ইসরায়েলঘেঁষা নীতি অবলম্বন করে। একারণেই এ সিদ্ধান্ত এসেছে বলে ধারণা করা হয়।

চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বরিস এক টুইটে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের চরম লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করে তেল আবিবে নিযুক্ত চিলির রাষ্ট্রদূত জর্জ কারভাহালকে ডেকে পাঠান। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টও ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালানোর প্রেক্ষিতেই রাষ্ট্রদূত ফেরত পাঠানোর এ সিদ্ধান্ত নেন।

এদিকে জর্ডানও ইসরায়েল থেকে অবিলম্বে নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছে। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েল ‘নজিরবিহীন মানবিক বিপর্যয় তৈরি করেছে অভিযোগ দেশটি এ বক্তব্য প্রকাশ করে। একই সঙ্গে ইসরায়েলকেও জর্ডান থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নিতে বলে দিয়েছে দেশটি।

এছাড়া, লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশ যেমনমেক্সিকো ও ব্রাজিলও এরই মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তাদের প্রতিক্রিয়াও যেকোনো সময় সামনে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে চলমান হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাতের মাঝেই বিশ্ব মানচিত্রের অনলাইন সংস্করণ থেকে রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের নাম মুছে দিয়েছে চীন। শীর্ষ দুই চীনা কম্পানি বাইদু ও আলিবাবা বিশ্ব মানচিত্রের যে অনলাইন সংস্করণ প্রকাশ করেছে তাতে ইসরায়েলের নাম পাওয়া যায়নি। লুক্সেমবার্গের মতো ক্ষুদ্র দেশের নামও চীনা মানচিত্রের অনলাইন সংস্করণে দেখা গিয়েছে কিন্তু ইসরায়েলের নাম সেখানে ছিল না। চীনও বেশ ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল সম্পর্কে তাদের আসল ধারণা। সংঘাতের শুরু থেকেই পশ্চিমা দেশগুলোর চাপ এড়িয়ে দুই পক্ষকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছে চীন, কিন্তু ইসরায়েলের সেদিকে কর্ণপাতের সময় কোথায়। তারা যেন মেতে আছে রক্ত নিয়ে হোলিখেলায়।

সর্বশেষ এবার ইসরায়েলের সঙ্গে সকল রকম বাণিজ্য সম্পর্ক স্থগিত করেছে বাহরাইন। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে গণহত্যা ও হামলার প্রতিবাদেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। ইসরায়েল থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে ইতোমধ্যেই প্রত্যাহার করে নিয়েছে সাথে সাথে বাহরাইনে নিযুক্ত ইসরায়েলি দূতও বাহরাইন ছেড়েছেন ইতোমধ্যেই।

সবকিছুরই শেষ আছে। এ ভয়াবহ গণহত্যারও হয়তো আছে। ভবিষ্যত কেউ জানে না। কাল কি হবে কেউই বলতে পারে না। তবুও ইসরায়েলের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করতে শুরু করেছে তাতে করে কি তারা তাদের অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখতে পারবে একমাত্র সবেধন নীলমণি যুক্তরাষ্ট্রের ভরসায়?


বহুরূপী যুক্তরাষ্ট্র   ইসরায়েল   সম্পর্ক ছিন্ন   বলিভিয়া   চিলি   কলম্বিয়া   জর্ডান   বাহরাইন   হামাস   ফিলিস্তিন   যুদ্ধ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের নির্বাচনে ভোটের হার কেন এত কম?

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি আশানুরূপ হচ্ছে না। কম ভোটার উপস্থিতি নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছেন দেশটির ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপির নেতারা।   

দেশটিতে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য। অথচ অধিকাংশ ভোটারদেরই কোনো আগ্রহ নেই নির্বাচন নিয়ে। কিন্তু কেন নির্বাচন নিয়ে দিন দিন এত অনাগ্রহী হয়ে উঠেছেন ভারতের ভোটাররা? বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশেই কেন ভোট নিয়ে এত অনীহা জনগণের মাঝে?

টানা ৭৫ বছর ধরে গণতান্ত্রিক শাসনে থাকা দেশটিতে এবারের নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোটের হার ছিল মাত্র ৬৪ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ধাপে ভোটের হার ছিল ৬৩ শতাংশ। যা আগের বছরের নির্বাচন গুলোর তুলনায় অনেক কম। 

নির্বাচন কমিশন দাবি করছে, অসময়ের গরম আবহাওয়া এবং বিয়ের অনুষ্ঠানের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হচ্ছে। অবশ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার ভোটারদের কেন্দ্রে টেনে আনার মতো শক্তিশালী কোনো ইস্যু নেই মোদির কাছে। তাঁর হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভোটাররা আত্মতুষ্টি বা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে কেন্দ্রে আসছেন না। ফলে ভোটার সংখ্যা কম। 

দ্বিতীয় ধাপে দেশটির ১৩টি রাজ্যের মোট ৮৮টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর উত্তরবঙ্গের তিনটি আসন দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাটের ভোটের হার দেখা গেছে শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত বালুরঘাটে ভোটদানের হার ছিল ৭৯ দশমিক ৯ শতাংশ, দার্জিলিংয়ে ৭৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং রায়গঞ্জে ৭৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। অথচ ২০১৯ সালে বালুরঘাটে ভোট পড়েছিল ৮৩ দশমিক ৬০ শতাংশ, দার্জিলিংয়ে ৭৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং রায়গঞ্জে ৭৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশে ভোট পড়েছে ৫৫ শতাংশের মতো, যা প্রথম দফার ভোটের চেয়েও ৬ শতাংশ কম। বিহারেও ভোট পড়েছে ৫৫ শতাংশ। মহারাষ্ট্রে আরও কম, সাড়ে ৫৪ শতাংশের মতো। মধ্যপ্রদেশে সামান্য বেশি, সাড়ে ৫৭ শতাংশ। ফলে কম ভোটের এই হার সকল মহলকে কিছু হলেও উদ্বিগ্ন করছে। 

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের দিখৌলী নামের একটি গ্রামে ভোট পড়েছে মাত্র পাঁচ শতাংশ। ভোট কম পড়ার কারণ হিসেবে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ভোটদানে উৎসাহ নেই বেশির ভাগ গ্রামের মানুষের। অনেকেই আবার কৃষিকাজে ব্যস্ত।

ভারতের বিশ্লেষকরা দাবি করছেন, নরেন্দ্র মোদি টানা ১০ বছর ধরে ভারত শাসন করছেন। এবারের নির্বাচনে আবারও তিনিই জয়লাভ করবেন এবং তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করবেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনের ব্যাপারে জনগণের একটি বড় অংশ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। পাশাপাশি এবার ভোটারদের কেন্দ্রে টেনে আনার মতো শক্তিশালী কোনো ইস্যুও সামনে আনতে পারেননি এনডিএ বা ইন্ডিয়া জোটের কেউই। তাছাড়া এবারের লোকসভা নির্বাচনে আবহাওয়া একটা বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তীব্র গরমের কারণে অনেক ভোটার ভোট দিতে বের হচ্ছেন না। ফলে সব কিছু মিলিয়ে এবার উল্লেখযোগ্য হারে নির্বাচনে ভোটের হার কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে মনে করছেন ভারতের নিরপেক্ষ বিশ্লেষকরা।

ভারতের নির্বাচন   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারত সফর স্থগিতের পর চীনে গেলেন ইলন মাস্ক

প্রকাশ: ০৭:০৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বৈদ্যুতিক গাড়ির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক ইলন মাস্ক ভারতে তার নির্ধারিত সফর স্থগিত করেন এবং এই সফর স্থগিতের কয়েকদিন পরই হঠাৎ করে চীন সফরে গেছেন তিনি। 

রোববার(২৮ এপ্রিল) টেসলার একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে অনেকটা আকস্মিকভাবেই রোববার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছেছেন তিনি। টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার চীন সফরের বিষয়ে অবগত দুই ব্যক্তি ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন।  

২১ এপ্রিল ভারত সফরে যাবার কথা ছিল ইলন মাস্কের। সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে তার বৈঠক ও ভারতে টেসলার বিনিয়োগ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করার কথা ছিল।

কিন্তু নির্ধারিত সময়ের একদিন আগে এক্সে দেওয়া বার্তায় টেসলার এই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, 'দুর্ভাগ্যবশত টেসলায় ব্যাপক কাজ জমে যাওয়ায় ভারত সফর পিছিয়ে দিতে হচ্ছে। তবে আমি চলতি বছরের শেষের দিকে ভারতে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত মুখিয়ে আছি।' 

টেসলার সিইওর ভারত সফর স্থগিতের এক সপ্তাহ পর চীন সফরের তথ্য এলো। চীনে সফটওয়্যারের মাধ্যমে টেসলার স্বচালিত (এফএসডি) বৈদ্যুতিক গাড়ির যাত্রা শুরুর বিষয়ে আলোচনার জন্য বেইজিংয়ে চীনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করছেন। স্বচালিত ড্রাইভিং প্রযুক্তির উন্নতির জন্য অ্যালগরিদম প্রশিক্ষণে চীনে সংগৃহীত ডাটা বিদেশে স্থানান্তর করার অনুমতির বিষয়েও চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় মাস্ক বলেছেন, চীনে শিগগিরই ব্যবহারকারীদের জন্য এফএসডির সরবরাহ শুরু করবে টেসলা। রয়টার্স বলছে, ২০২১ সাল থেকে চীনা নিয়ন্ত্রকদের শর্ত অনুযায়ী সাংহাইতে টেসলার চীনা বহরের সংগৃহীত সব ডাটা সংরক্ষণ করেছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তা স্থানান্তর করেনি।


ভারত   সফর   স্থগিত   চীন   ইলন মাস্ক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গ্রেফতার আতঙ্কে নেতানিয়াহু, প্রতিরোধের সর্বাত্মক চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০৫:২৭ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি) মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন। আর সেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকাতে সর্বাত্মক কূটনৈতিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। 

বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ আরও কিছু ইসরায়েলি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে যাচ্ছে আইসিসি।

নিউজ সাইট ওয়ালায় বিশ্লেষক বেন কাসপিট লিখেছেন, নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে হেগের বিশ্ব আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আশঙ্কায় ‘অস্বাভাবিক চাপে’ রয়েছেন। নেতানিয়াহু এবং অন্যান্য ইসরায়েলি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির অর্থ হল- ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক সুনামে বড় ধরনের আঘাত।

কাসপিট লিখেছেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রতিরোধে নেতানিহুয়া ‘বিরতিহীনভাবে টেলিফোনে চেষ্টা করে’ যাচ্ছেন। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সাথে তিনি সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছেন।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎসের বিশ্লেষক অ্যামোস হারেল লিখেছেন, ইসরায়েলি সরকার এই ধারণা নিয়ে কাজ করছে যে আইসিসির প্রসিকিউটর করির খান চলতি সপ্তাহেই নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং আইডিএফ প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন।

হারেল জানিয়ছেন, আমেরিকা ইতোমধ্যেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকানোর জন্য জোর তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, আইসিসির রোম চুক্তিতে ১২৪টি দেশ সই করলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল তাতে স্বাক্ষর করেনি। যুদ্ধের ব্যাপারে নেতানিয়াহুর সর্বশেষ সরকারি বিবৃতিতে দাবি বলা হয়েছে, আইসিসির আসন্ন সিদ্ধান্ত ‘বিপজ্জনক নজির’ সৃষ্টি করতে পারে।


গ্রেফতার   নেতানিয়াহু   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গরমে ট্রাফিক পুলিশকে স্বস্তিতে রাখতে ‘এসি হেলমেট’

প্রকাশ: ০৪:৫২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রচণ্ড গরমে টানা রোদে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয় ট্রাফিক পুলিশদের। সড়কে দায়িত্বরত পুলিশদের কিছুটা শীতল ও স্বস্তিতে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ভারতের লখনৌর ট্রাফিক বিভাগ। ‘ঠান্ডা উদ্যোগ’ নামে পরিচিত এই প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে বেশকিছু ‘এসি হেলমেট’ উন্মোচন করা হয়েছে। লখনৌতে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক পর্বের অংশ হিসেবে চারটি এসি হেলমেট চালু করা হয়। 

সোমবার (২২ এপ্রিল) হজরতগঞ্জের অটল চক মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক কর্মীদের এসব হেলমেট দেয়া হয়। 

এই হেলমেটগুলোতে একটি স্বচ্ছ প্লাস্টিকের ঢালসহ মাথায় শীতলতা নিশ্চিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এসি ভেন্ট রয়েছে। চোখকে সূর্যের প্রখর আলো ও উত্তাপ থেকে রক্ষা করতে এটি গগলস হিসেবে কাজ করে। হেলমেটটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কোমরে বাঁধা একটি বড় ব্যাটারির সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে এলে উপরে থাকা একটি লাল আলো সতর্ক বার্তা দেবে।

এ বিষয়ে লাখনৌ পুলিশের এডিসিপি অজয় কুমার সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, ‘এই প্রকল্প সফল হলে হায়দরাবাদভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানকে কমপক্ষে পাঁচশ এমন এসি হেলমেট প্রস্তুতের দায়িত্ব দেয়া হবে। এই হেলমেটের ওজন সাধারণ হেলমেটের প্রায় অর্ধেক এবং আমাদের ট্র্যাফিক পুলিশ এটি ব্যবহার ও পরিধানে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন।’


ট্রাফিক   পুলিশ   প্রকল্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এবার পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান

প্রকাশ: ০৪:১৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানের পদত্যাগের পর এবার পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে পরাজিত করতে না পারা, হামাসের হাত থেকে ইসরায়েলি জিম্মিদের উদ্ধার করতে না পারা, ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের হামলার পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হওয়াসহ একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে পদত্যাগ করতে পারেন সামরিক বাহিনীর প্রধান।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে তুরস্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনীর ব্যর্থতার প্রতিবাদে ইসরায়েলজুড়ে চলছে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েল সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ পদত্যাগ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে গত সোমবার ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। হামাসের গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে চালানো হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগের এই ঘোষণা দেন তিনি।

ইসরায়েলের সেনাপ্রধান   হামাস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন