বিশ্বের বুকে সুপার পাওয়ার রাষ্ট্র হিসেবে খ্যাত আমেরিকার নির্বাচন ব্যবস্থা অনেক জটিল। অন্যান্য দেশের মত এদেশের নির্বাচন পরিচালিত হয় না। গণতন্ত্রের ধারক বাহক হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করলেও খোদ নিজ দেশের নির্বাচন নিয়েই দেশটিতে রয়েছে নানা বিতর্ক। অতীতে চোখ রাখলে দেখা যায়, প্রায় আড়াইশো বছরের মার্কিন গণতন্ত্রের ইতিহাসে বিতর্কিত নির্বাচন নতুন কোনো ঘটনা নয়। দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে এপর্যন্ত বেশ কয়েকটি বিতর্কিত এবং নাটকীয় ঘটনা আছে। যুক্তরাষ্ট্রের মত অন্যান্য দেশগুলোও এর ব্যতিক্রম নয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের আওয়াজ তুলে প্রায় প্রত্যেক দেশেই নির্বাচন নিয়ে হয় গণ্ডগোল, কোথাও এর পরিমাণ বেশি আর কোথাও কম। নির্বাচন এমনভাবেই সংঘটিত হয়ে আসছে। তাই, হয়তো বিশ্বব্যাপী সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরালে বিতর্কিত নির্বাচন বা নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক একটি সাধারণ ঘটনা।
সর্বশেষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেন-ট্রাম্প হয়েছিলেন মুখোমুখি। তাদের ঐ নির্বাচন নিয়েও বিরোধসংঘাত, ঝুটঝামেলা কম হয়নি যার রেশ আজ পর্যন্ত চলমান। সম্প্রতি ফক্স নিউজে প্রকাশিত এক জাতীয় জরিপে দেখা গেছে যে প্রায় এক-চতুর্থাংশ (৫৬% রিপাবলিকান) প্রাপ্তবয়স্করা বিশ্বাস করে যুক্তরাষ্ট্রের ৩ নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অবৈধ ভোটদানের দ্বারা কলঙ্কিত হয়েছিল। বেশিরভাগ রিপাবলিকানই এখনও বিশ্বাস করেন ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পই জয়ী হয়েছেন এবং অবৈধ ভোটদানের মাধ্যমে তাকে জো বাইডেনের কাছে পরাজিত হতে হয়েছে।
এছাড়া রয়টার্স এর
এক জরিপে দেখা গেছে ৬১% রিপাবলিকানের মতে, ২০২০ সালের নির্বাচনটি ট্রাম্পের কাছ থেকে
"চুরি" করা হয়েছে। ৫৩% রিপাবলিকান ট্রাম্পকেই সত্যিকারের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দেখেন। ফক্স নিউজের জরিপে এটিও উঠে এসেছে যে বেশিরভাগ রিপাবলিকান
(৭৫%) মনে করে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বর্তমানে যত মামলা চলমান তার বেশিরভাগের উদ্দ্যেশ্যই
রাজনৈতিক।
অপরদিকে মাত্র ২৯%
রিপাবলিকান বিশ্বাস করেন যে ইউএস ক্যাপিটলে তার সমর্থকদের দ্বারা ৬ জানুয়ারী যে মারাত্মক
দাঙ্গা হয়েছিল ট্রাম্পের তার জন্য কিছু দোষ ভাগ করে নেয়া উচিত।
এদিকে সর্বশেষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বাইডেনের জয়লাভের পর একের পর এক মামলায় জড়িয়েই যাচ্ছেন ট্রাম্প। সব মিলিয়ে ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে প্রায় ৭৮টি গুরুতর অভিযোগ বর্তমান। 'ফলাফল বদলে দেয়ার ষড়যন্ত্রমূলক প্রচেষ্টা', বিদ্রোহকে প্ররোচিত-সহযোগিতা করা, যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতারণার ষড়যন্ত্র, দাপ্তরিক কাজে বাধা দেয়াসহ আরও অনেক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। আর এ সকল অভিযোগের বরাবরই বিরোধিতা করে আসছেন ট্রাম্প। বারবারই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে তিনি উল্টো জো বাইডেনের ওপর দোষ চাপিয়েছেন। ট্রাম্পের দাবি, বাইডেন প্রশাসন চক্রান্ত করে তাকে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াই থেকে সরাতে চাইছে। এখন অবধি এসব অভিযোগের কোনো সুরাহা হয়নি। আদালতে ট্রাম্পের হাজিরা দেয়া যেন নিয়মিত ঘটনা।
অর্থাৎ, যেকোনো দেশেই নির্বাচন নিয়ে সরকারদলীয় এবং বিরোধীদলীয় ব্যক্তিবর্গের এসব টানাপোড়েন, কাঁদা ছোড়াছুঁড়ি সাধারণ ঘটনা। একটি দেশের নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি এমনটা শোনা একপ্রকার অভূতপূর্ব বিষয়। সুষ্ঠু নির্বাচন শব্দটা মূলত কানে শুনতেই আরাম, নির্বাচন প্রেক্ষাপটে বাস্তবের সাথে আদতে এর মিল থাকে বহুদূর। খোদ যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়েই যখন এত টানাপোড়েন, কারচুপির অভিযোগ, তখন তারাই যদি আবার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, এবং ঝামেলাবিহীন নির্বাচনের ভাষণ শোনান তখন সেটা হাস্যকরই শোনায়।
ব্রেক্সিট বিতর্ক:
আন্তর্জাতিক মহলে ব্রেক্সিট নিয়েও কম বিতর্ক নেই। ইউরোপের দেশ হলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল যুক্তরাজ্য। ইইউ বেরিয়ে যাওয়া বা এক্সিটের সেই আলোচিত ঘটনার নাম ব্রেক্সিট। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে ভোটাভুটি করেছিল ব্রিটিশরা। ৪০ বছরের বেশি সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে থাকার পর ২০১৬ সালের ২৩ জুন একটি গণভোট নিয়েছিল যুক্তরাজ্য, যেখানে ভোটাররা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে ভোট দেন। ৫২ শতাংশ ভোট পড়েছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে, আর থাকার পক্ষে ছিল বাকি ৪৮ শতাংশ ভোট। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের ফলাফল এবং বাস্তবতা হিসাব করে এখন স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানসহ নানা সংকটে পড়তে হচ্ছে একাকী যুক্তরাজ্যকে। ফলে ব্রেক্সিটকে ‘ভুল’ হিসেবে দেখছে ব্রিটিশরা। এই নির্বাচনও হয়েছে প্রশ্নবিদ্ধ।
বিভিন্ন
দেশের প্রত্যেকটি নির্বাচন ঘিরেই টুকটাক প্রশ্ন ওঠে।
সুষ্ঠু নির্বাচন দাবির ধ্বনিতে প্রতিটা দেশ মুখরিত থাকলেও একটি দেশের নির্বাচন কখনোই
সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয়েছে এমনটা শোনা যায়নি। বরং নির্বাচন ঘিরে
বিতর্ক, কারচুপি, ফলাফল মেনে না নেয়ার যে অঘোষিত এক রীতি রয়েছে সেটাই বহু বছর ধরে
প্রায় সকল দেশ অনুসরণ করে আসছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর ব্যতিক্রম না হয়েও
অন্যান্য অনেক দেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করছে। অন্য দেশের নির্বাচনের মত
অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে ছড়ি ঘুরিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে নিজ দেশের সুষ্ঠু নির্বাচন
নিশ্চিত করতে না পারা দেশটির অন্য দেশের নির্বাচনের বিষয়ে এমন দখলদারী আচরণ কতটা গ্রহণযোগ্য?
সুষ্ঠু নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্র ব্রেক্সিট বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে একটি মহাসড়কের অংশ ধসে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৩০ জন।
কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের পর গুয়াংডংয়ের মেইঝো শহর এবং ডাবু কাউন্টির মধ্যকার ওই মহাসড়কের ১৭ দশমিক ৯ মিটার (৫৮.৭ ফুট) অংশ ধসে পড়ে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ১৯ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পরে জানায় ২৪ জন নিহত হয়েছে।
বিবিসি জানায়, মহাসড়কের ধসে পড়া অংশে ২০টি গাড়ি আটকে পড়ে। পরে উদ্ধারকারীরা গাড়িতে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আহত ৩০ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের অবস্থা গুরতর নয় বলে জানানো হয়েছে গণমাধ্যমের খবরে।
সংবাদমাধ্যমে আসা ছবিতে দেখা গেছে, বিধ্বস্ত যানবাহনগুলো একটি গভীর গর্তে পড়ে আছে। উদ্ধারকারীরা সেখানে পড়ে থাকা গাড়িগুলোকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন মহাসড়কটি বন্ধ করে দিয়েছে। গত মাসেও গুয়াংডং প্রদেশে প্রবল বর্ষণের কারণে বন্যা হয়েছিল। সে সময় লক্ষাধিক মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের গাজায় হামলার কারণে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক
ছিন্ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো। বুধবার এ
ঘোষণা দেন তিনি।
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে জড়ো হওয়া মানুষের সামনে পেত্রো
বলেন, তাঁর দেশ বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক
ছিন্ন করতে যাচ্ছে।
গাজায় হামলার শুরু থেকেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর
কঠোর সমালোচনা করে আসছেন পেত্রো। তিনি অন্যান্য দেশগুলোকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে
(আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে যোগ দেওয়ার
অনুরোধ জানিয়ে আসছেন।
লোকভর্তি জনসমাগমস্থলে পেত্রো তাঁর ঘোষণায় বলেন, ‘আপনাদের সামনে
প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিচ্ছেন যে, আগামীকাল আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক
সম্পর্কগুলো ছিন্ন করব...’। পেত্রো তাঁর বক্তব্যে ইসরায়েলের রাষ্ট্রপ্রধানকে গণহত্যাকারী
বলে আখ্যা দেন।
পেত্রো আরও বলেন, গাজার এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের কোনো দেশ নিষ্ক্রিয়
থাকতে পারে না।
গত বছরের অক্টোবরে গাজায় হামলার পরপরই ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক
সম্পর্ক ছিন্ন করে দক্ষিণ আমেরিকার আরেক দেশ বলিভিয়া। সেসময় কলম্বিয়া, চিলি ও হন্ডুরাসসহ
দক্ষিণ আমেরিকার আরও কয়েকটি দেশ ইসরায়েল থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।
এদিকে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের এমন ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ অভিযোগ করে বলেছেন, পেত্রোর এই ঘোষণা ‘ইহুদিবিদ্বেষী
ও ঘৃণায় পরিপূর্ণ’। তাঁর এই পদক্ষেপ হামাসের জন্য পুরস্কার।
ইসরায়েল কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট ফিলিস্তিন
মন্তব্য করুন
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টাকালে তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে মৃত্যুবরণকারী আট বাংলাদেশি নাগরিকের মরদেহ আজ বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুরের মধ্যে দেশে পৌঁছানোর কথা।
লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের দেওয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে বলা হয়েছে, লাশবাহী কফিনগুলো সৌদিয়া এয়ারলাইনসের ফ্লাইটযোগে ২ মে দুপুর সোয়া বারোটায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।
মঙ্গলবার লিবিয়ায় নিযুক্ত ও তিউনিসিয়ার অনাবাসিক দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশারের উপস্থিতিতে মিশনের কর্মকর্তারা মরদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষরাতের দিকে এ দুর্ঘটনার পরপরই ত্রিপোলিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় নগর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে মরদেহের সুরতহাল, শনাক্তকরণ, দেশি সংস্থার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা, মৃত্যু এবং মেডিকেল সনদ ইস্যু সম্পন্ন করেন।
পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আফ্রিকা উইং মরদেহ ফিরিয়ে আনতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় করে। স্বরাষ্ট্র এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সহায়তা এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যয়ভার মেটানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।
তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় আট বাংলাদেশির কফিন বন্দি মরদেহ। ছবি : সংগৃহীত
৮ নিহতের মধ্যে সজল, নয়ন বিশ্বাস, মামুন শেখ, কাজী সজীব ও কায়সার খলিফা মাদারীপুর জেলার এবং রিফাত, রাসেল ও ইমরুল কায়েস আপন গোপালগঞ্জ জেলার অধিবাসী ছিলেন।
জুয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপ যাত্রাপথে ৫২ জন যাত্রী এবং একজন চালকসহ নৌকাটি তিউনিসিয়া উপকূলে ডুবে গেলে জীবিত উদ্ধার ৪৪ জনের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি ও পাকিস্তানের ৮, সিরিয়ার ৫, মিসরের ৪ জন। নিহত ৯ জনের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি ও অপরজন পাকিস্তানের নাগরিক বলে শনাক্ত হয়েছেন
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার ছাত্র আন্দোলন গাঁজায় গণহত্যা ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত সাড়ে ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে নির্বিচার হামলা ও হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত এক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক ধরপাকড় চালাচ্ছে মার্কিন পুলিশ প্রশাসন। সবশেষ যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং নিউইয়র্কের সিটি কলেজ ক্যাম্পাসে রাতের আঁধারে পরিচালিত হয়েছে পুলিশি অভিযান। এ অভিযানে ক্যাম্পাস দুটি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শতাধিক ফিলিস্তিন সমর্থকারীকে।