হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পর থেকে ইসরায়েল নির্বিচারে গাজায় হামলা চালাচ্ছে। গত দেড় মাসের অভিযানে গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে শিশু এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যা অন্তত ৫ হাজার। ইহুদিবাদী সরকার একইসঙ্গে গাজার পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করে রেখেছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ গাজায় এ বেসামরিক লোকেদের হত্যার কঠোর নিন্দা জানায়। তবে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বাহরাইন কখনোই ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বর্বরতার নিন্দা জানায়নি।
এবার আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের নিন্দা জানাল বাহরাইন। দেশটির যুবরাজ হামাসের গত ৭ অক্টোবরের আল-আকসা তুফান অভিযানের এই নিন্দা জানালো।
বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষ ইসরায়েলের নিন্দা জানালেও তাদের পক্ষ থেকে হামাসের নিন্দা জানাতে তেমন একটা দেখা যায়নি। বাহরাইন সরকার ২০২০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করার পর ফিলিস্তিনিরা এ ঘটনাকে তাদের পিঠে ছুরিকাঘাত বলে মন্তব্য করেছিল। ফিলিস্তিনি জনগণ বলেছিল, তারা দখলদার ইহুদিবাদীদের হাত থেকে তাদের মাতৃভূমি মুক্ত করার যে সংগ্রাম করছে বাহরাইনের এ পদক্ষেপে তার অপূরণীয় ক্ষতি হলো।
বাহরাইনের যুবরাজ প্রিন্স সালমান বিন হামাদ আলে খলিফা শুক্রবার মানামায় বাহরাইন নিরাপত্তা সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে হামাসের নিন্দা জানাই। গত ৭ অক্টোবরের হামলা ছিল বর্বরোচিত।”
বাহরাইনের যুবরাজ এমন সময় গাজার চলমান যুদ্ধের জন্য হামাসের নিন্দা জানালেন যখন খোদ বাহরাইনসহ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে প্রতিদিন ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ হচ্ছে। এসব বিক্ষোভ থেকে গাজা উপত্যকার নিরপরাধ মানুষের ওপর ইসরায়েলি বর্বরতার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
হামাস নিন্দা বাহরাইন ইসরায়েল প্রিন্স সালমান বিন হামাদ আলে খলিফা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অরবিন্দ কেজরিওয়াল লোকসভা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
ভারতের
নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছে রাশিয়া। তবে
মস্কোর সেই অভিযোগকে উড়িয়ে দিল ওয়াশিংটন।
মার্কিন
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার নিয়মিত প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকদের প্রশ্নের
জবাবে বলেন, আমরা ভারতীয় নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করছি না। এমনকি আমরা পৃথিবীর কোনো
নির্বাচনেই হস্তক্ষেপ করি না।
এর
আগে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করে, ভারতে অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনকে অস্থিতিশীল
করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ফেডারেল কমিশনের রিপোর্টে ধর্মীয় স্বাধীনতা
লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ভারতের সমালোচনা করার পর ওয়াশিংটেনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করে
মস্কো।
রাশিয়ার
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা মার্কিন অভিযোগকে দেশ ও রাষ্ট্র
হিসেবে ভারতের প্রতি ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।
ভারতীয় নির্বাচন মার্কিন রাশিয়া
মন্তব্য করুন
রাশিয়ার
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মিখাইল মিশুস্তিনের নাম প্রস্তাব করেছেন
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার (১০ মে) প্রধানমন্ত্রী
হিসেবে পুতিন তার নাম প্রস্তাব
করেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির
সংসদের নিম্নকক্ষের স্পিকার। খবর রয়টার্সের।
মিখাইল মিশুস্তিন এর আগেও পুতিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০২০ সাল থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবার নতুনভাবে ক্ষমতায় এসে এই মিশুস্তিনকেই সরকার প্রধানের দায়িত্ব দিতে চলেছেন পুতিন।
এর আগে মিশুস্তিন রাশিয়ার কর বিভাগের প্রধান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। ৫৮ বছর বয়সী মিশুস্তিন ১৯৯৯ সাল থেকে আমলা হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। তিনি ২০১০ সাল থেকে ফেডারেল ট্যাক্স সার্ভিসের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার
আগে গত মঙ্গলবার পঞ্চমবারের
মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন
পুতিন। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার
দিকে মস্কোর গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্যালেসের সুসজ্জিত সেইন্ট অ্যান্ড্রিউ হলে শপথ নেন
তিনি। রাশিয়ার সরকারি-বেসরকারি সকল টেলিভিশন চ্যানেল
সরাসরি এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান
সম্প্রচার করা হয়। গত
মার্চে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৮৭ শতাংশ ভোট
পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন পুতিন।
মঙ্গলবারের শপথ গ্রহণের মধ্যে
দিয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হলেন তিনি।
রাশিয়া প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন
মন্তব্য করুন
গাজার রাফাহয় সেনা অভিযান চালালে ইসরায়েলকে অস্ত্র দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এমন ঘোষণা দেয়ার পর আরও বেঁকে বসেছেন ইসরায়েলি
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এবার নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, ইসরায়েল একাই
লড়বে।
এই ইসরায়েলি কট্টরপন্থী নেতা বলেছেন, ‘যদি আমাদের দরকার পড়ে...
আমরা একাই লড়বো। আমি বলছি যদি প্রয়োজন হয় আমরা আমাদের হাতের আঙুলের (অস্ত্রের বদলে)
নখ দিয়েই লড়াই
করবো।’
এরইমধ্যে ইসরায়েলকে বোমা সরবরাহ করা বন্ধ রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে
নেতানিয়াহু ১৯৪৮ সালের প্রসঙ্গ টেনে মার্কিন চোখ রাঙানি গায়েই মাখেননি।
তিনি বলেছেন, ‘৭৬ বছর আগের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমরা ছিলাম কয়েকজন,
বিপক্ষে ছিলো অনেকেই।’ ‘আমাদের অস্ত্র ছিলো না। ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ছিলো।
তবে আমাদের মধ্যে চরম উদ্যম, নায়কত্ব ও একতা ছিলো। আমরা জয়ী হয়েছিলাম।’
তিনি আরও বলেছেন, মার্কিন অস্ত্রের চেয়েও বেশি কিছু করার ক্ষমতা
ইসরায়েলিদের নখের আছে!
যুক্তরাষ্ট্র নেতানিয়াহু ইসরায়ল গাজা
মন্তব্য করুন