ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলে যেভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন নেতানিয়াহু

প্রকাশ: ০৯:১১ পিএম, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অবশ্য আগে থেকেই সমালোচনার মুখে ছিলেন নেতানিয়াহু। গত বছরের নভেম্বরে নির্বাচনে জিতে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ডানপন্থী সরকার গঠন করেন তিনি। এরপর দেশটির বিচারব্যবস্থায় সংস্কারের চেষ্টা করে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলছেন, এরপরও ইসরায়েলে নেতানিয়াহুর যেটুকু সমর্থন ছিল, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর তার প্রায় সবই হারিয়েছেন তিনি।

১৪ নভেম্বর একটি জরিপে দেখা গেছে, ইসরায়েলের ইহুদিদের মধ্যে তাঁর জনসমর্থন মাত্র ৪ শতাংশের মতো। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তায় এত ধস আগে কখনো নামেনি। এমন পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহুর বিরোধী, এমনকি তাঁর ঐতিহাসিক মিত্ররাও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে চলমান সংঘাত শেষে তাঁর পদত্যাগ চাইছেন।

ইসরায়েলের কোনো প্রধানমন্ত্রীই নেতানিয়াহুর মতো এমন নড়বড়ে অবস্থায় পড়েননি বলে মনে করেন ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের ফিলিস্তিন-ইসরায়েল বিশেষজ্ঞ খালেদ এলগিনদি। 

তিনি বলেন, রাজনৈতিক জীবনে যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন তিনি। কারণ নেতানিয়াহুর আমলে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গোয়েন্দা ব্যর্থতার মুখে পড়েছে ইসরায়েল। 

জিম্মিদের উদ্ধারে ব্যর্থতা

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা পর ২০০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যায় নিয়ে যান হামাস সদস্যরা। ইসরায়েলের নাগরিকরা জিম্মি হওয়ায় দেশটির ৯৪ শতাংশ মানুষ নেতানিয়াহু সরকারকে অন্তত আংশিক দায়ী করছেন। গত শুক্রবার এমন দুই জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করেছে ইসরায়েল। এর আগে কাতারসহ কয়েকটি দেশের মধ্যস্থতায় আরও চার জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস।

নেতানিয়াহুর বেশির ভাগ সমালোচনা হয়েছে হামাসের হাতে জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্ত করার ক্ষেত্রে নেতানিয়াহুর আগ্রহের ‘ঘাটতি’ নিয়ে।

সাময়িক যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে বেশিসংখ্যক জিম্মিকে মুক্ত করার হামাসের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন নেতানিয়াহু। বলেছেন, সব জিম্মিকে মুক্তি দিলেই কেবল গাজায় হামলা বন্ধের বিষয়টি ভাববেন তিনি।

হামাসের সঙ্গে সংঘাত শুরুর কয়েক দিন পরই ইসরায়েলের জনগণের বড় একটি অংশ মনে করত, সংঘাত শেষে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ করা উচিত। যদিও গাজায় হামলার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে তুমুল বিক্ষোভের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে নেতানিয়াহুকে সমর্থন দিয়ে আসছেন।

এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ফিলিস্তিন-ইসরায়েল বিশেষজ্ঞ জাচারি লকম্যান বলেন, ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তবে বাইডেন প্রশাসনের ধৈর্য একসময় শেষ হয়ে যেতে পারে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, ইউরোপসহ অন্যান্য অঞ্চলেও যুদ্ধবিরতির পক্ষে জনসমর্থন বাড়ছে।

দলের ভেতর অসন্তোষ

নেতানিয়াহুকে নিয়ে লিকুদ পার্টির মধ্যে অসন্তোষ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে অনেকেই দল ছেড়ে যাচ্ছেন। এমনই একজন দলের সদোত নেগেভ আঞ্চলিক কাউন্সিলের প্রধান তামির ইদান। টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের সময় তিনি লিকুদ পার্টির সদস্য কার্ড ছিঁড়ে ফেলেছেন। 

ইসরায়েলের নেতিভত শহরে নেতানিয়াহুর দল লিকুদ পার্টি–সমর্থিত মেয়র ইয়েহিয়েল জোহার সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলকে বলেন, সংঘাত শেষের পর লিকুদ পার্টির ভেতরে বড় একটি দল থাকবে, যারা বতর্মান পরিস্থিতি বদলে দেবে।

নেতানিয়াহু হয়তো এখন বাইডেনের সমর্থন পাচ্ছেন, তবে এসবের ঘটনায় অনুধাবণ করা যাচ্ছে যে তাঁর নিজের ঘাঁটিই নড়বড়ে হয়ে পড়ছে।

ইসরায়েলের গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে ইসরায়েল হাইয়োম নামে ডানপন্থী একটি সংবাদপত্র প্রায়ই নেতানিয়াহুকে সমর্থন দিয়ে থাকে। সেই সংবাদপত্রও লিখেছে, ‘এই ব্যর্থতার দায় আপনাকে (নেতানিয়াহু) নিতে হবে এবং এটি আপনি অন্য কারও ওপর চাপাতে পারবেন না।’

এমন পরিস্থিতিতে একমাত্র কট্টর ডানপন্থীদের সমর্থনেই নেতানিয়াহু সরকার টিকে আছে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তারা নেতানিয়াহুকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে তারা গাজা পরিস্থিতির দিকে সবার দৃষ্টি থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে পশ্চিম তীরে অভিযান চালাচ্ছে।

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল বিশেষজ্ঞ খালেদ এলগিনদি বলেন, নেতানিয়াহু তাঁর রাজনৈতিক জীবন বাঁচাতে লড়াই করছেন। সবার নজর গাজার দিকে। এই সুযোগে জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির ও অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচের মতো কট্টর ডানপন্থীরা পশ্চিম তীরে যা খুশি তা-ই করতে পারছেন। সেখানে বসতি স্থাপনকারীরা তাণ্ডব চালাচ্ছে। একই কাজ করছে ইসরায়েলি বাহিনী। খুব কম মানুষের নজর সেখানে রয়েছে। তাই কট্টর ডানপন্থীরা পশ্চিম তীরে তাঁদের লক্ষ্য বাস্তবায়নের সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন।

তবে এখানেও ফাটল দেখা দিচ্ছে। গত শুক্রবার গাজায় প্রতিদিন দুই ট্রাক জ্বালানি প্রবেশের অনুমোদন দেয় নেতানিয়াহুর যুদ্ধকালীন সরকারের মন্ত্রিসভা। যদিও এই জ্বালানি গাজার ২৩ লাখ মানুষের জন্য খুবই সামান্য বলে মনে করা হচ্ছে। এরপরও ইসরায়েল সরকারের এ পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন বেন-গভির ও স্মোত্রিচ।

শিকারে প্রস্তুত বিরোধীরা

এমন পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহুকে ঘায়েল করতে প্রস্তুত রয়েছে তার বিরোধীরা। এমনই একজন হচ্ছেন সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গাৎস। গাৎস বর্তমানে নেতানিয়াহুর যুদ্ধকালীন সরকারের মন্ত্রিসভায় রয়েছেন। নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তা যতই কমছে, ততই উত্থান হচ্ছে তাঁর।

১৪ নভেম্বরের এক জরিপে অংশগ্রহণকারীদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ‘নেতানিয়াহু, নাকি গাৎস—কাকে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেশি যোগ্য মনে করেন?’ দেখা যায়, জরিপে নেতানিয়াহুর চেয়ে ২২ শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন গাৎস। তবে তিনি নেতানিয়াহুকে সরাতে পারবেন কি না, তা এখনই সুর্নিদিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। কারণ, হামাসের হামলার পর তিনি নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছেন। নেতানিয়াহুর অনেক সমালোচক এই কাজ করেননি।

নেতানিয়াহু হামাসের হামলার দায় ইসরায়েলি গোয়েন্দা ও সামরিক বাহিনীর ওপর চাপালে, তাঁর কড়া সমালোচনা করেন গাৎস। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল বিশেষজ্ঞ জাচারি লকম্যানের মতে, ইসরায়েলে দীর্ঘদিনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পদ দখলের স্বপ্ন দেখছেন গাৎস।

লকম্যানের ভাষায়, ইসরায়েলের রাজনীতির কেন্দ্রে গাৎস নিজেকে এমন একজন নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন, যিনি ডান, বাম ও মধ্যপন্থীদের এক ছাতার নিচে আনতে পারবেন। আর নেতানিয়াহুর মতো অনেক বোঝাই তাঁকে বইতে হচ্ছে না। যেমন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা রয়েছে, যা গাৎসের নেই।

নেতানিয়াহুর আরেকজন বিরোধী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ। গত বুধবার তিনি দাবি তুলেছেন নেতানিয়াহুকে সরিয়ে লিকুদ পার্টির অন্য কাউকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ার। খালেদ এলগিনদি বলেন, আগে সংঘাত শেষের পর নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চাওয়া হচ্ছিল। তবে এখন সংঘাতের সমাপ্তির আগেই তাঁর পদত্যাগ চাওয়া হচ্ছে।

তবে রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার ইতিহাস আছে নেতানিয়াহুর। গত বছরের নির্বাচনে এ দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। দুর্নীতির অভিযোগ ঘাড়ে নিয়েও নির্বাচনে জিতে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।

খালেদ এলগিনদি বলেন, ‘৭ অক্টোবরের আগে থেকেই তাঁর জনপ্রিয়তা কমছে। হামাসের হামলা ও জিম্মিদের নিয়ে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।এরপরও এসব সমস্যা সামাল দেওয়ার কৌশল যদি কারও জানা থাকে, তিনি শুধু নেতানিয়াহুই।আমার মনে হয় না রাজনৈতিকভাবে বর্তমান পরিস্থিতি সামলে উঠতে পারবেন নেতানিয়াহু।’


নেতানিয়োহু   ইসরায়েল   জরিপ   লিকুদ পার্টি   বিশ্ব সংবাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মিসরে ইসরায়েলি গোয়েন্দাকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ: ০১:২৫ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মিশরের বন্দরনগরী আলেক্সান্দ্রিয়ায় ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশী জিব কিপার নামে এক ইসরায়েলি গোয়েন্দাকে গুলি করে করা হয়েছে। ফিলিস্তিনপন্থি মিসরীয় একটি সশস্ত্র গ্রুপ এ হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করা হচ্ছে।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ওই ইহুদিবাদী ব্যবসায়ীকে মঙ্গলবার (৭ মে) আলেক্সান্দ্রিয়ায় হত্যা করা হয়। খবর টাইমস অব ইসরাইল ও আল-মায়াদিন টিভির।

ইরানি সংবাদমাধ্যম পার্স টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মিসরের বন্দরনগরী আলেক্সান্দ্রিয়ায় ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে থাকা ইহুদি সেনাদের হয়ে কাজ করা গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করেছে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। তবে ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ওই ইসরায়েলি ব্যবসায়ী ছিলেন। তাকে গত মঙ্গলবার হত্যা করা হয়।

গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের শুরু থেকেই তেলআবিবের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আছে ফিলিস্তিনপন্থি বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী। শুধু তাই নয় লেবানন, ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বাহিনীকে লক্ষ্য করে নিয়মিত হামলাও চালিয়ে আসছে তারা। সবশেষ গাজার সীমান্তবর্তী শহর রাফাহতে স্থল অভিযানকে কেন্দ্র করে নেতানিয়াহু প্রশাসনকে সতর্ক করে মিসর।

জানা যাচ্ছে, সেই সতর্কবার্তা উপেক্ষা করায় ইহুদি সেনাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে মিসরভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠনগুলো। নিজেদের গোয়েন্দা দক্ষতা কাজে লাগিয়ে তারা ছদ্মবেশী ওই ইসরায়েলিকে হত্যা করেছে।

নিহত জিব কিপার ছিলে এলএলসি গ্রুপ নামক একটি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ওই কোম্পানি মিসর থেকে সবজি ও ফল রপ্তানি করে। মিসরের আলেক্সান্দ্রিয়ায় গ্রুপটির সদরদপ্তর অবস্থিত এবং ইসরাইল ও ইউক্রেনে এটির দপ্তর রয়েছে।

ইসরাইলি ওয়াইনেট নিউজ ওয়েবসাইট জানিয়েছে, জিব কিপার কানাডার পাসপোর্ট নিয়ে মিসরে প্রবেশ করেছিল। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ‘ভ্যানগার্ডস অব লিবারেশন’ নামের একটি সংগঠন এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। ‘ভ্যানগার্ডস অব লিবারেশন’ নিজেদের গত বছর জুন মাসে তিন ইসরাইলি সেনাকে হত্যা করে মৃত্যুবরণকারী মিসরীয় যুবক মোহাম্মাদ সালাহ’র অনুসারী বলে দাবি করে।

সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা একজন ‘অপরাধী ইসরায়েলি এজেন্টকে’ হত্যা করেছে। নিহত ইহুদিবাদী মিসর থেকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করার পাশাপাশি ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের পক্ষে লোক নিয়োগ করত বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। ভ্যানগার্ডস অব লিবারেশনের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইহুদিবাদী শত্রুর বিরুদ্ধে মিসরীয় জনগণের সংগ্রামের পথে কিপারের হত্যাকাণ্ড একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।

মিশরীয় পুলিশ বাহিনীর সদস্য ২৩ বছর বয়সি মোহাম্মাদ সালাহ গত বছরের জুন মাসে সীমান্ত অতিক্রম করে ইসরায়েলে প্রবেশ করে ইহুদিবাদী সেনাদের বিরুদ্ধে এক বীরোচিত অভিযান চালান। তার হামলায় তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর দখলদার সেনাদের পাল্টা হামলায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।


মিসর   ইসরায়েল   গোয়েন্দা   গুলি   হত্যা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তানে অর্থনীতির চাকা ঘুরাতে গাঁজার চাষ

প্রকাশ: ০১:০৪ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানি আইনে গাঁজার চাষ নিষিদ্ধ হলেও দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে হাজার হাজার হেক্টর জমি রয়েছে যেখানে শত শত বছর ধরে গাঁজার চাষ হচ্ছে। 

দীর্ঘ সময় ধরে চরম অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়ম ও দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, করোনা মহামারি, বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্রমবর্ধমান প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেশটির অর্থনীতিকে নাজুক করে তুলেছে। সংকট মোকাবিলায় বিদেশি সাহায্যের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে উচ্চসুদে ঋণও নিতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিকল্প চিন্তা-ভাবনা করছে পাক কর্তৃপক্ষ। পরিকল্পনা করা হচ্ছে গাঁজা চাষের। 

গাঁজা সাধারণত মাদক হিসেবেই বেশি পরিচিত। তবে এর কিছু ভেষজ গুণ রয়েছে এবং ওষুধ হিসেবেও এর প্রয়োগ হয়। মাদক হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় অনেক দেশেই এটি নিষিদ্ধ। আবার ওষুধি ব্যবহারের জন্য অনেক দেশই এর ব্যবহার বৈধ করেছে। এমনকি বহুদিন নিষিদ্ধ থাকলেও সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও গাঁজা দিয়ে ওষুধ তৈরির অনুমতি দিয়েছে। দিনদিন এর চাহিদা বাড়ায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর একটা বড় বাজার তৈরি হয়েছে। অর্থনীতি চাঙ্গা করতে বিকাশমান সেই বাজারের সুযোগ নিতে চাচ্ছে পাকিস্তান। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে গাঁজা চাষ বিষয়ক একটি অধ্যাদেশও জারি করেছে দেশটি।


গাঁজা   পাকিস্তান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শিক্ষার্থী ভিসায় কঠিন শর্ত আরোপ অস্ট্রেলিয়ার

প্রকাশ: ১১:৪৬ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগমন নিয়ন্ত্রণে এবার নতুন পদক্ষেপ নিলো অস্ট্রেলিয়া। ভিসার আবেদন করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের প্রদর্শনের জন্য সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে অস্ট্রেলিয়ার সরকার। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে এই তথ্য।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যেসব বিদেশি শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় ভিসার জন্য আবেদন করবেন, তাদের অবশ্যই ন্যূনতম ২৯ হাজার ৭১০ অস্ট্রেলীয় ডলারের বাংলাদেশি মুদ্রায় (২১ লাখ ৪৬ হাজার ৯২২ টাকা) সমপরিমাণ অর্থ সঞ্চিত থাকতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই সঞ্চিত অর্থ সংক্রান্ত ব্যাংক নথি প্রদর্শন করতে হবে।

অস্ট্রেলিয়ায় শিক্ষার্থী ভিসার আবেদনের জন্য আগে প্রদর্শনযোগ্য সঞ্চিত অর্থের বাধ্যবাধকতা ছিল ন্যূনতম ২১ হাজার ৪১ অস্ট্রেলীয় ডলার, পরে ২০২৩ সালের অক্টোবরে তা বৃদ্ধি করে ২৪ হাজার ৫০৫ অস্ট্রেলীয় ডলারে উন্নীত করা হয়। সেই হিসেবে এবার দ্বিতীয় দফায় বাড়ানো হলো প্রদর্শনযোগ্য সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ। আগামীকাল শুক্রবার থেকে নতুন এই নিয়ম কার্যকর করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সরকারি বিবৃতিতে।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় শিক্ষার্থী ভিসায় আবেদনে যেসব কাগজপত্র-নথি সংযুক্ত করা বাধ্যতামূলক, সেসবের মধ্যে ব্যাংকে সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ বিষয়ক নথিও অন্তর্ভুক্ত। এই নথি অন্তর্ভুক্ত করা না হলে আবেদন গ্রহণ করার নিয়ম নেই।


শিক্ষার্থী ভিসা   অস্ট্রেলিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ১০০

প্রকাশ: ১১:০৬ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বুধবার (৮ মে) পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসনের হিসাবে মৃত্যু ১০০ ছুঁয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন ডজনখানেক। তাদের অনেকেই মারা গেছেন বলে ধারণা করছে স্থানীয় সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি।

আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে সীমান্তবর্তী রিও গ্রান্দে দো সুল রাজ্যের ৪০০টি পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। তাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

রাজ্যটির গুয়াইবা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে বইছে। এতে তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তাই এর আশপাশের এলাকা থেকে নতুন করে লোকজনকে সরানো হচ্ছে। ব্রাজিলের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলায় ন্যাশনাল সেন্টার বলেছে, রাজ্যের দক্ষিণ অংশ আরও ভয়াবহ বন্যার উচ্চঝুঁকির মধ্যে ছিল। ওই এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে বিদ্যুতের মতো পরিষেবাগুলো। এ ছাড়া পথঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উদ্ধারকাজ খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা দফায় দফায় বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, দুর্গত এলাকায় উদ্ধারকাজে খুব গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন নিয়ে তার মন্ত্রিসভা পরিকল্পনা করছে বলে জানান তিনি।


ব্রাজিল   বন্যা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলে অস্ত্রের চালান স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ১০:৩৮ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের রাফায় বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরুর মুখে ইসরায়েলে প্রাণঘাতী অস্ত্রের চালান স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (৮ মে) এ কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলার কারণে গাজার উত্তর ও মধ্যাঞ্চল থেকে পালিয়ে ১০ লাখের মতো ফিলিস্তিনি রাফায় আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে তাবু টানিয়ে গাদাগাদি করে অবস্থান করছেন তারা।

গাজার সর্বদক্ষিণের শহর রাফায় ইসরায়েল বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করতে চলেছে-এমন উদ্বেগের জের ধরে গত সপ্তাহে দেশটিতে অস্ত্রের একটি চালান স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র।  আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, জাহাজে করে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করা ওই চালানে ১ কোটি ৮০ লাখ ২ হাজার পাউন্ড ও ১৭ লাখ ৫০০ পাউন্ড ওজনের বোমা ছিল।

এ বিষয়ে গতকাল লয়েড অস্টিন মার্কিন আইনপ্রণেতাদের বলেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। বেসামরিক মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান চালানো ঠিক হবে না।’ লয়েড অস্টিন আরও বলেন, কীভাবে স্থগিত হওয়া অস্ত্রের ওই চালানটি এগিয়ে নেওয়া হবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।


ইসরায়েল   অস্ত্র   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন