মার্কিন কূটনীতিক ও বিতর্কিত নোবেল বিজয়ী হেনরি
কিসিঞ্জার মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। কিসিঞ্জার অ্যাসোসিয়েটস
এর বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স নিশ্চিত করেছে এ খবর।
জার্মানির শহর নুরেমবার্গের অদূরে জার্মান-ইহুদি মা-বাবার সন্তান হেনরি কিসিঞ্জারের জন্ম ১৯২৩ সালের ২৭ মে। নাৎসি জামার্নির শাসনামলে তাদের শিশুদের সঙ্গে জোরপূর্বক ফুটবল খেলায় অংশ নিতে চাইত না শিশু কিসিঞ্জার। সেই সঙ্গে ইহুদিদের ওপর নাৎসিদের চাপিয়ে দেয়া বিধিনিষেধের প্রতিবাদ করতেন শিশু বয়স থেকে। অনেকের কাছে নন্দিত হলেও অনেকের কাছেই তিনি আবার বেশ নিন্দিত হয়ে আছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্ব রাজনীতিতে শান্তির বার্তার বাহক হিসেবে পরিচিত তার হাত ধরে যুক্তরাষ্ট্র তার নেতৃত্বে ফের সর্বোচ্চ শক্তিধর রাষ্ট্রের প্রভাব বলয় নিয়ে সক্রিয় হয় বিশ্বরাজনীতিতে। যদিও তার শান্তির বার্তার বাহক এই উপাধি নিয়ে বিশ্বজুড়ে রয়েছে বেশ বিতর্ক।
একজন বুদ্ধিজীবী, গবেষক ও অধ্যাপক হিসেবে জীবন শুরু করলেও কিসিঞ্জারের খ্যাতি মূলত নিন্দিত একজন কূটনীতিবিদ হিসেবে। কোনো সময় নৈতিক কূটনীতির বাহক হলেও কখনও আবার বিভিন্ন দেশে উসকে দিয়েছেন বৈপ্লবিক সংগ্রাম ও ইন্ধন দিয়েছেন সামরিক জান্তা সরকারকে।
কিসিঞ্জারের নোবেল পুরস্কার পাওয়ার কথাই ধরা যাক। নোবেল পুরস্কারের ইতিহাসে সম্ভবত এটাই সবচেয়ে বিতর্কিত ও নিন্দিত ঘোষণা। প্রেসিডেন্ট নিক্সনের সঙ্গে মিলে যে মানুষ ভিয়েতনামকে ধ্বংসে মেতে ছিলেন, তাঁকেই ১৯৭৩ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হলে বিশ্ববাসী হতবাক হয়ে যায়।
বাংলাদেশ যুদ্ধকালে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর প্রতি এই হেনরি কিসিঞ্জারের মদদ বেশ খোলামেলা ব্যাপার ছিল। এই দেশ স্বাধীন হোক, বাংলাদেশ নামে পরিচিত হোক তিনি তা কখনোই চাননি। তার সকল অপচেষ্টাকে ব্যাহত করে দিয়ে যখন বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েই গেল তখন তিনি নিজের নৈতিক পরাজয়ের শোধ নিয়েছিলেন সদ্য স্বাধীন দেশটিকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে। ১৯৭৪ সালে পিএল ৪৮০–এর গম সরবরাহ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশের দুর্ভিক্ষে আরও বেশি মানুষের মৃত্যুর কারণও ছিলেন এই হেনরি কিসিঞ্জার।
এমনকি ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পেছনেও তার ইন্ধনের কথা সবার জানা। বঙ্গবন্ধু হত্যা ষড়যন্ত্রে বিদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জড়িত ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেসময়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই ড. হেনরি কিসিঞ্জার। মুজিব হত্যার ৫ দিনের মাথায় ২০ আগস্ট খুনি মোশতাককে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিহিংসাপরায়ণ কিসিঞ্জার এতটাই উল্লসিত হন যে, তিনি বলেন- 'মোশতাক সরকারকে স্বীকৃতি দিতে পেরে আমরা নিজেকে ধন্য মনে করছি।'
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিভিন্ন দলিল থেকে অকাট্য প্রমাণ মিলে যে, মোশতাক সরকারকে দ্রুত স্বীকৃতি দিতে কিসিঞ্জার সংকল্পবদ্ধ ছিলেন।
তবে হেনরি কিসিঞ্জারের এসব অপকর্ম শুধু বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ ছিল না। তাঁর পৌরোহিত্যকালে ১৯৭৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সিআইএর সহায়তায় সংঘটিত সেনা অভ্যুত্থানে চিলির নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি সালভাদর আলেন্দেকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করেন জেনারেল অগাস্তো পিনোশে। ১৯৭৬ সালে তাঁর ‘সবুজ সংকেত’ পেয়ে আর্জেন্টিনায় নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ইসাবেল পেরনকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী এবং দশকব্যাপী ‘ডার্টি ওয়ার’–এর সূচনা করে। কঙ্গোর একনায়ক মবুতু সেসে সেকোকে প্রশংসা ও সমর্থন দিয়ে গেছেন কিসিঞ্জার। তালিকাটি আরও দীর্ঘ করা যায়।
১৯৭৩ সালে হেনরি কিসিঞ্জারকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হিসেবে নিয়োগ দেয়াকে তার নেয়া অভিনব কূটনীতিক কৌশলের প্রতি রাষ্ট্রযন্ত্রের সর্বোচ্চ
স্বীকৃতি হিসেবে দেখছেন অনেকে।
নিক্সন, চৌ এন লাই ও মাও সে তুংয়ের মধ্যে ১৯৭২
সালের ঐতিহাসিক সম্মেলনের ধারাকে আরও এগিয়ে নিতে হেনরি কিসিঞ্জার চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের
অচল কূটনীতিক সম্পর্ককে পুনরায় চালু করেন। স্নায়ূযুদ্ধের সেই ঐতিহাসিক বিরোধিতাকে
নির্মূল করে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন ও রাশিয়ার সঙ্গে আঁতাত করে ফেলেন।
সেই একই সময়ে কিসিঞ্জার চিলিতে সামরিক অভ্যুত্থানে ইন্ধনদাতার ভূমিকাও রাখেন।
১৯৬৯ সালে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়ার পর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তার উচ্চশিক্ষা তাকে নানানভাবে সহায়তা করে। সেই বছরই মধ্যস্থতার মাধ্যমে সংঘাত নিরসনে তার নেয়া শাটল ডিপ্লোম্যাসি বিশ্বরাজনীতে নিয়ে আসে সব নাটকীয় পরিবর্তন ও সূত্রপাত করে নতুন ধারার।
একই সঙ্গে আরব দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত
কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ইসরায়েলে বিপুল পরিমাণে সামরিক অস্ত্র ও গোলা
সরবরাহ করেন তিনি। ওই অঞ্চলে শক্তির ভারসাম্য রক্ষায় এমন ব্যবস্থা নিয়েছিলেন তিনি।
এর পর কোন আরব দেশ ইসরায়েলে সরাসরি হামলা চালানো থেকে বিরত থাকে। এটি তার সাফল্য
হিসেবে বিবেচিত হলেও আরবদের কোণঠাসা করে দিতে তিনিই ভূমিকা রাখেন।
চলতি বছর ২৭ মে এক’শ বছর পূর্ণ করেন বর্ষীয়ান এই
কূটনীতিক। জার্মান বংশোদ্ভুত মার্কিন এ নাগরিক বিভিন্ন সময় সেনা সদস্য, গোয়েন্দা
কর্মকর্তা, হার্ভাড ছাত্র ও কূটনীতিক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
চিলির সামরিক অভ্যুত্থান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান
ও পূর্ব তিমুর ও কম্বোডিয়ার বোমা হামলায় হেনরি কিসিঞ্জারের বিতর্কিত সম্পৃক্ততা এখনও
বিশ্বরাজনীতিতে তাকে নিন্দিত ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করে।
নোবেল বিজয়ী হেনরি কিসিঞ্জার মৃত্যু
মন্তব্য করুন
রাশিয়ার
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মিখাইল মিশুস্তিনের নাম প্রস্তাব করেছেন
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার (১০ মে) প্রধানমন্ত্রী
হিসেবে পুতিন তার নাম প্রস্তাব
করেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির
সংসদের নিম্নকক্ষের স্পিকার। খবর রয়টার্সের।
মিখাইল মিশুস্তিন এর আগেও পুতিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০২০ সাল থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবার নতুনভাবে ক্ষমতায় এসে এই মিশুস্তিনকেই সরকার প্রধানের দায়িত্ব দিতে চলেছেন পুতিন।
এর আগে মিশুস্তিন রাশিয়ার কর বিভাগের প্রধান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। ৫৮ বছর বয়সী মিশুস্তিন ১৯৯৯ সাল থেকে আমলা হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। তিনি ২০১০ সাল থেকে ফেডারেল ট্যাক্স সার্ভিসের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার
আগে গত মঙ্গলবার পঞ্চমবারের
মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন
পুতিন। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার
দিকে মস্কোর গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্যালেসের সুসজ্জিত সেইন্ট অ্যান্ড্রিউ হলে শপথ নেন
তিনি। রাশিয়ার সরকারি-বেসরকারি সকল টেলিভিশন চ্যানেল
সরাসরি এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান
সম্প্রচার করা হয়। গত
মার্চে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৮৭ শতাংশ ভোট
পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন পুতিন।
মঙ্গলবারের শপথ গ্রহণের মধ্যে
দিয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হলেন তিনি।
রাশিয়া প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন
মন্তব্য করুন
গাজার রাফাহয় সেনা অভিযান চালালে ইসরায়েলকে অস্ত্র দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এমন ঘোষণা দেয়ার পর আরও বেঁকে বসেছেন ইসরায়েলি
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এবার নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, ইসরায়েল একাই
লড়বে।
এই ইসরায়েলি কট্টরপন্থী নেতা বলেছেন, ‘যদি আমাদের দরকার পড়ে...
আমরা একাই লড়বো। আমি বলছি যদি প্রয়োজন হয় আমরা আমাদের হাতের আঙুলের (অস্ত্রের বদলে)
নখ দিয়েই লড়াই
করবো।’
এরইমধ্যে ইসরায়েলকে বোমা সরবরাহ করা বন্ধ রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে
নেতানিয়াহু ১৯৪৮ সালের প্রসঙ্গ টেনে মার্কিন চোখ রাঙানি গায়েই মাখেননি।
তিনি বলেছেন, ‘৭৬ বছর আগের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমরা ছিলাম কয়েকজন,
বিপক্ষে ছিলো অনেকেই।’ ‘আমাদের অস্ত্র ছিলো না। ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ছিলো।
তবে আমাদের মধ্যে চরম উদ্যম, নায়কত্ব ও একতা ছিলো। আমরা জয়ী হয়েছিলাম।’
তিনি আরও বলেছেন, মার্কিন অস্ত্রের চেয়েও বেশি কিছু করার ক্ষমতা
ইসরায়েলিদের নখের আছে!
যুক্তরাষ্ট্র নেতানিয়াহু ইসরায়ল গাজা
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে ইসরায়েলি আগ্রাসন। সেই আগ্রাসন বন্ধে যুদ্ধবিরতির আলোচনা কোনও ধরনের চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি বাহিনী রাফা অঞ্চলে নতুন করে বোমাবর্ষণ শুরু করেছে।
চুক্তি
ছাড়াই যুদ্ধবিরতি আলোচনা শেষ হওয়ায় ইসরায়েল
রাফাতে হামলা চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছে। শুক্রবার
(১০ মে) এক প্রতিবেদনে
এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা
রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী বৃহস্পতিবার রাফা অঞ্চলে বোমাবর্ষণ করেছে বলে ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে রাফাতে হামলা করলে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার যে হুমকি প্রেসিডেন্ট বাইডেন দিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
নেতানিয়াহু এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যদি আমাদের প্রয়োজন হয়, আমরা আমাদের নখ দিয়ে লড়াই করব। কিন্তু আমাদের নখের চেয়ে অনেক বেশি আছে।’ অন্যদিকে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এবং ইসলামিক জিহাদ বলেছে, তাদের যোদ্ধারা শহরের পূর্ব উপকণ্ঠে ইসরায়েলি ট্যাংকগুলোতে ট্যাংক-বিধ্বংসী রকেট এবং মর্টার নিক্ষেপ করেছে।
গাজার
সবচেয়ে বড় শহুরে এলাকা
রাফা। রাফা শহরের সাবরা
এলাকায় দুটি বাড়িতে ইসরায়েলি
বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ
অন্তত ১২ জন নিহত
হয়েছেন।
ইসরায়েল বলেছে, হামাস যোদ্ধারা রাফাতে লুকিয়ে আছে। মূলত ইসরায়েলের আগ্রাসনের কারণে লাখ লাখ গাজাবাসী বর্তমানে রাফাতে আশ্রয় নিয়েছেন। গত সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসনে গাজা ভূখণ্ডের বেশিরভাগ অংশই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইসরায়েল রাফাতে পূর্ণাঙ্গ অভিযান চালাবে না বলে তারা আশা করে। এই ধরনের কোনও অভিযান হামাসকে পরাজিত করার বিষয়ে ইসরায়েলের লক্ষ্য পূরণের জন্য ভালো হবে বলেও তারা বিশ্বাস করে না।
মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ‘(প্রেসিডেন্ট বাইডেনের) দৃষ্টিতে রাফাতে কোনও ধরনের আঘাত করা ইসরায়েলের সেই উদ্দেশ্যকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে না।
কিরবি
বলেন, ইসরায়েলের মাধ্যমে হামাসকে উল্লেখযোগ্যভাবে চাপ দেওয়া হয়েছে
এবং বেসামরিক নাগরিকদের জন্য উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি
থাকায় সেখানে অভিযান চালানোর চেয়ে গোষ্ঠীর নেতৃত্বের অবশিষ্টাংশ খুঁজে বের করার জন্য
আরও ভালো বিকল্প পন্থা
রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই আক্রমণের ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে প্রায় ৩৫ হাজার লোক নিহত এবং আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
এছাড়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েল গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এই আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন এক রায়ে বলা হয়েছে, ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা করছে। সেসময় ওই রায়ে ইসরায়েলকে এই ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
অস্তিত্ব
রক্ষায় ইরান পারমাণবিক নীতি
পরিবর্তন করতে পারে। দেশটি
ঝুঁকতে পারে পরমাণু অস্ত্র
বানানোর দিকে। ইরানের
সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি
খামেনির উপদেষ্টা কামাল খারাজি এ কথা জানিয়েছেন।
ইরানের
স্টুডেন্ট নিউজ নেটওয়ার্কে তিনি
জানান, তাদের পারমাণবিক বোমা তৈরির কোনও
সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু ইরানের
অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লে সামরিক
মতবাদ পরিবর্তন করা ছাড়া তাদের
কোনও উপায় থাকবে না।
খামেনির
উপদেষ্টা খারজি ২০২২ সালে বলেছিলেন,
ইরান প্রযুক্তিগতভাবে পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে
সক্ষম। তবে বোমা তৈরি
করবে কিনা সে সিদ্ধান্ত
এখনও নেয়নি।
গত
১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইরানের এক ঊর্ধ্বতন জেনারেল
নিহত হওয়ার পর ঘটনাপ্রবাহ বিপজ্জনক
দিকে মোড় নিয়েছিল। দুই
দেশই নিজেদের মাটি থেকে সরাসরি
একে অপরের ভূখণ্ডে পাল্টাপাল্টি হামলা করে।
মন্তব্য করুন
ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ রাশিয়া কেএইচ-১০১ নামে একটি দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে আধুনিকায়ন করেছে। এতদিন এই ক্ষেপণাস্ত্রে একটি ওয়ারহেড থাকলেও এখন থেকে দুটি থাকবে। ফলে এই অস্ত্রের ধ্বংস ক্ষমতা আরও বেড়েছে। এখন থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুঘাঁটি ও সেনার ওপর ভয়ংকর ও কার্যকরভাবে আঘাত হানতে পারবে পুতিন বাহিনী।
বুধবার (৮ মে) যুক্তরাজ্যের সর্বশেষ প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাতে এসব তত্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম নিউজউইক।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ান অ্যারোস্পেস ফোর্সেস ভিকেএস-এর লং রেঞ্জ এভিয়েশন কমান্ড (এলআরএ) তাদের প্রধান দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংস ক্ষমতা আরও বাড়িয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রে একটির বদলে দুটি ওয়ারহেড যুক্ত করেছে তারা।
এর আগে কেএইচ-১০১ ক্ষেপণাস্ত্রকে রাশিয়ার প্রধান নির্ভুল গাইডেড যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেছিল যুক্তরাজ্য। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ৪ হাজার কিলোমিটার উড়ে গিয়ে শত্রুশিবিরে আঘাত হানতে পারে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পুরো ইউক্রেন যুদ্ধে কিয়েভের জ্বালানি অবকাঠামোতে বড় আকারের হামলা চালাতে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে পুতিন বাহিনী। এ ছাড়া কম উঁচু দিয়ে উড়ায় এসব ক্ষেপণাস্ত্র সহজে শত্রু দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে পারে বলে উল্লেখ করেছিল স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ সেন্টার।
পুতিনের নতুন অস্ত্রের সক্ষমতার সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটিশ গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এই ক্ষেপণাস্ত্রের একটি দুর্বল দিকও উঠে এসেছে। যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা বিশ্লেষণে দাবি করা হয়েছে, আধুনিকায়ন করায় কেএইচ-১০১ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত হানার পরিসীমা অর্ধেকে নেমে গেছে। তবে দূরত্ব সীমা কমলেও ইউক্রেনে হামলা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই রুশ বাহিনীর। কেননা ইউক্রেন ও রাশিয়া প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় খুব সহজে কিয়েভের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে রাশিয়ার সেনারা।
এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য নিউজউইকের পক্ষ থেকে ইমেলের মাধ্যমে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে রুশ মন্ত্রণালয় কোনো জবাব দিয়েছে কিনা, তা জানায়নি সংবাদমাধ্যমটি।
ক্ষেপণাস্ত্র ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ রাশিয়া কেএইচ-১০১ নামে একটি দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে আধুনিকায়ন করেছে। এতদিন এই ক্ষেপণাস্ত্রে একটি ওয়ারহেড থাকলেও এখন থেকে দুটি থাকবে। ফলে এই অস্ত্রের ধ্বংস ক্ষমতা আরও বেড়েছে। এখন থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুঘাঁটি ও সেনার ওপর ভয়ংকর ও কার্যকরভাবে আঘাত হানতে পারবে পুতিন বাহিনী।