ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসি ও পুতিন যেসব বিষয়ে আলোচনা করলেন

প্রকাশ: ০৩:৩০ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

মস্কো সফর করছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বৈঠক করেছেন। এ সময় তারা দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক বাড়ানোর জন্য সমর্থন প্রকাশ করেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় সফরে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় পৌঁছান ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। পরে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকেও বসেন। 

এ সময় তারা গাজা সংকট, বৈশ্বিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন সহযোগিতা এবং ইরানের অবকাঠামোগত উন্নয়নে রাশিয়ার বিনিয়োগ ও সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। শুক্রবার রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইরানের প্রেসিডেন্টের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বলেন, বিগত কয়েক বছরে তেহরান ও মস্কোর মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতাও বেড়েছে। গত এক বছরে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২০ শতাংশ বেড়ে প্রায় ৫০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। আমরা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পুরো ক্ষেত্রজুড়ে সক্রিয় সহযোগিতায় যুক্ত আছি।’ 

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে সুসম্পর্ক বিদ্যমান। রাশিয়া ইরানের রেলপথে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করছে। এই রেলপথ পরে আন্তর্জাতিক নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডরের (আইএনএসটিসি) একটি অংশ হয়ে উঠবে। 

এ সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করেন, ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়ন, যার সদস্য দেশগুলো হলো— রাশিয়া, আর্মেনিয়া, বেলারুশ, কাজাখস্তান ও কিরগিজস্তান এ বছরের শেষ নাগাদ ইরানের সঙ্গে একটি মুক্তবাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে সক্ষম হবে। 

উল্লেখ্য, ৭ হাজার ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আইএনএসটিসি সমুদ্র, রেল ও মহাসড়কের একটি নেটওয়ার্ক, যা বাল্টিক সাগরের তীরে অবস্থিত রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরকে কাস্পিয়ান সাগর ও ইরানের মাধ্যমে ভারতের মুম্বাইয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য নকশা করা হয়েছে। ২০০২ সালে চালু হওয়া এই প্রকল্পে ১১ দেশ জড়িত। 

বৈঠকে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়া তিনি অন্যান্য খাতেও দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধির ব্যাপারে জোর দেন। তিনি বলেন, ‘কৃষি ও শিক্ষা খাতে দুই দেশের অগ্রগতিতে সহযোগিতা গভীর করতে আরও পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।’

বৈঠকে রাইসি ভ্লাদিমির পুতিনকে ইরান সফরের আমন্ত্রন জানান। তিনি বলেন, ইরান যে কোনো সময় পুতিনের বিমানকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।

ইরানের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণের জবাবে পুতিন বলেন, তিনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন এবং সময় এলে সুযোগটি কাজে লাগাবেন।

এসময় পুতিন কৌতুক করে বলেন, তিনি সৌদি সফর শেষে রাশিয়ায় ফেরার পথে ইরানের ওপর দিয়েই যাচ্ছিলেন এবং ভেবেছিলেন, তিনি চাইলেই তেহরানে অবতরণ করে এখনই রাইসির সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। তবে তিনি এমনটা করেননি। কারণ, তিনি জানতেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইতিমধ্যে মস্কোর পথে রয়েছেন।


রাশিয়া   ইরান   প্রেসিডেন্ট   মস্কো   তেহরান   বিশ্ব সংবাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনের কাছে পারমাণবিক মহড়ার নির্দেশ দিলো পুতিন

প্রকাশ: ০৫:১৮ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে বারবার কথা বলছেন পুতিন। ইউক্রেনের আশপাশে পারমাণবিক অস্ত্র মহড়ার নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌ এবং বিমানবাহিনীও অংশ নেবে এই মহড়ায়। 

সোমবার (৬ মে) রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপির।

গত ফেব্রুয়ারিতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণেও তিনি সতর্ক করে বলেছিলেন, পারমাণবিক যুদ্ধের 'প্রকৃত' ঝুঁকি রয়েছে। 

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালীন নন-স্ট্র্যাটেজিক পারমাণবিক অস্ত্রের প্রস্তুতি ও ব্যবহার অনুশীলনের জন্য একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নন-স্ট্র্যাটেজিক পারমাণবিক অস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য নকশা করা হয় এবং এটি ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে পরিবহন করা সম্ভব।

ক্রেমলিন বলেছে, 'কিছু পশ্চিমা কর্মকর্তার হুমকির মুখে' রাশিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে 'অদূর ভবিষ্যতে' এই পারমাণবিক মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।

এতে রুশ বিমানবাহিনী এবং নৌবাহিনীর পাশাপাশি রাশিয়ার দক্ষিণ সামরিক জেলার সৈন্যরাও অংশ নেবেন। ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী এবং দখল করা ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে গঠিত হয়েছে এই জেলা।

ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালে পুতিনের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ক্রমবর্ধমান হুমকিতে উদ্বিগ্ন পশ্চিমা কর্মকর্তারা।

গত বছর রাশিয়া ব্যাপক পারমাণবিক পরীক্ষা নিষেধাজ্ঞা চুক্তির অনুমোদন বাতিল করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত একটি চুক্তি প্রত্যাহার করেছে।


ইউক্রেন   পারমাণবিক মহড়া   পুতিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিস্তিনিদের রাফা ছাড়ার নির্দেশ দিলো ইসরায়েল

প্রকাশ: ০৪:৩৬ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাফাতে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল সেনাবাহিনী।  সোমবার (০৬ মে) 'সীমিত পরিসরে' অভিযান চালানোর অংশ হিসেবে তাদের সরে যেতে বলা হয়েছে। তবে এটা স্থল অভিযানের প্রস্তুতির অংশ কিনা সে বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের খবরে কিছু বলা হয়নি। খবর রয়টার্সের 

গত সাত মাস ধরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের ভাষ্য, রাফাতে হাজার হাজার হামাস যোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এখন এ অঞ্চলের দখল ছাড়া আমাদের বিজয় অসম্ভব। 

এদিকে রাফায় ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে। এমন অবস্থায় ইসরায়েল সেখানে হামলা চালালে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পশ্চিমা বিশ্ব ও প্রতিবেশী দেশ মিশর। 

একটি স্থল অভিযান চালানোর আগে রাফাতে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনিদের ‘মানবিক এলাকায়’ চলে যাওয়া নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল বাহিনী। 

সোমবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েল সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রাফাহ থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যেতে টেক্সট ম্যাসেজ, ফোন কল এবং মিডিয়ায় ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। 


ফিলিস্তিন   রাফা   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মন্ত্রীর পিএসের গৃহকর্মীর বাসায় কোটি কোটি টাকা

প্রকাশ: ০৪:১০ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে এক মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারীর (পিএস) গৃহকর্মীর বাসায় পাওয়া গেল কোটি কোটি টাকা।

সোমবার (৬ মে) দেশটির আর্থিক দুর্নীতিসংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অভিযান চালিয়ে সেসব উদ্ধার করে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ঝাড়খণ্ড রাজ্যের রাজধানী রাঁচির একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়েছে ইডি। অভিযানে ২৫ কোটি রুপি নগদ উদ্ধার করা হয়। এসব আয় বহির্ভূত কালো অর্থ।

এ দিন ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী আলমগীর আলমের ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব লালের এক গৃহকর্মীর বাসায় অভিযান চালানো হচ্ছে। ৭০ বছর বয়সী আলমগীর একজন কংগ্রেস নেতা। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুড় আসনের বিধায়ক।

তবে ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই টাকার স্তূপে ২০ থেকে ৩০ কোটি রুপি থাকতে পারে। এখনো গণনার কাজ চলছে। এসব খুব চতুরতার সঙ্গে এখানে লুকানো ছিল।

এ বিষয়ে ঝাড়খণ্ড বিজেপির মুখপাত্র প্রতুল শাহদেব বলেন, এই অর্থ উদ্ধারের ঘটনা ইঙ্গিত দেয়, চলমান লোকসভা নির্বাচনে তা ব্যয় করার পরিকল্পনা ছিল।


মন্ত্রী   পিএস   ঝাড়খণ্ড   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস অফিসে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

প্রকাশ: ০৩:৫৪ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। ইতোমধ্যেই প্রথম দুই দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফা ভোটের আগে উত্তরপ্রদেশের আমেঠিতে হামলা হয়েছে কংগ্রেস অফিসে।

ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের আমেঠিতে বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের অফিসে হামলা চালিয়েছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। 

রবিবার (৫ মে) মধ্যরাতে  পার্টি অফিসের বাইরে পার্ক করা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।

গাড়ি ভাংচুরের শব্দ পেয়ে পার্টি অফিসের সামনে আসেন দলীয় কর্মীরা। এ সময় কর্মীদের সাথে দুর্বৃত্তদের হট্টগোল হয়। পরে তারা পালিয়ে যায়। ঘটনার প্রতিবাদে সঙ্গে সঙ্গেই বিক্ষোভ শুরু করেন কর্মীরা।

ঘটনার পরই পার্টি অফিসে ছুটে আসেন কংগ্রেস জেলা সভাপতি প্রদীপ সিঙ্গল।

এই ঘটনায় কংগ্রেসের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং তারা রাতেই উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভে নামেন। ঘটনার পরই পার্টি অফিসে ছুটে আসেন কংগ্রেস জেলা সভাপতি প্রদীপ সিঙ্গল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, বিজেপির দুর্বৃত্তরা উত্তরপ্রদেশের এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। যুব কংগ্রেস নেতা শুভম সিংকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যেই এই ঘটনায় দুই বিজেপি নেতাসহ আটজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

মধ্যরাতের এই ঘটনার পর পার্টি অফিসে পৌঁছান কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রদীপ সিঙ্গল। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ বাহিনী। পার্টি অফিসের বাইরেই হাঙ্গামা শুরু করেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছান সিও মায়াঙ্ক দ্বিবেদীও। ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত শাস্তির আশ্বাস দেওয়ার পর পরিস্থিতি কিছুটা ঠান্ডা হয়।

গোটা ঘটনার জন্য কংগ্রেস স্মৃতি ইরানিকে দায়ী করেছে। এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আমেঠির বিজেপি প্রার্থীকে অভিযুক্ত করে পোস্ট করা হয়েছে। এতে লেখা হয়েছে, 'স্মৃতি ইরানি এবং বিজেপি কর্মীরা আমেঠিতে ভয় পেয়ে গেছে। পরাজয়ের ভয়ে বিজেপির দুষ্কৃতীরা লাঠি, রড নিয়ে কংগ্রেসের পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে। অফিসের বাইরে রাখা গাড়িও ভাঙচুর করেছে তারা। আমেঠির মানুষ এবং কংগ্রেসের কর্মীদের ওপর আঘাত হানার চেষ্টা হয়েছে। অনেকেই এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন। জঘন্য হামলা চালানো হয়েছে।' 

কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও ফুটেজও শেয়ার করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, 'ঘটনার সময় সাধারণ মানুষের গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গোটা ঘটনায় পুলিশ নির্বাক। এই হামলা প্রমাণ করছে আমেঠিতে বিজেপি হারছে।' 


উত্তরপ্রদেশ   কংগ্রেস   হামলা   গাড়ি ভাঙচুর  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সোনা কিনতে দুবাই ছুটছেন ভারতীয়রা

প্রকাশ: ০২:৫০ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

দুবাইয়ে সারা বছর লেগে থাকে পর্যটকদের ভিড়। এদের একটি বড় অংশই ভারতীয়। অন্যসময় এসব পর্যটক দুবাই ঘুরতে যান ধরে নিলেও এই সময়টায় যারা যাচ্ছেন, তাদের অনেকেরই উদ্দেশ্য ভিন্ন। এখন বহু ভারতীয় পর্যটক সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাঁকজমক শহরটিতে ছুটছেন কেবল সোনার কেনার উদ্দেশ্যে।

আগামী ১০ মে অক্ষয় তৃতীয়া উৎসব উদযাপন করবেন ভারতসহ গোটা বিশ্বের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। অক্ষয় তৃতীয়া হলো হিন্দু পঞ্জিকার বৈশাখ মাসের শুক্লা তৃতীয়া অর্থাৎ শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি। এটি হিন্দু ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ সময়।

অক্ষয় শব্দের অর্থ হলো যা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না। বৈদিক বিশ্বাস অনুসারে, এই পবিত্র তিথিতে কোনো শুভকাজ সম্পন্ন হলে তা অনন্তকাল অক্ষয় হয়ে থাকে। আধুনিককালে এই তিথিতে সোনার বা রূপার গয়না কেনা হয়। মনে করা হয়, এই শুভ তিথিতে রত্ন বা জিনিসপত্র কিনলে গৃহে শুভযোগ হবে, সুখ-শান্তি ও সম্পদ বৃদ্ধি হবে। এই আশাতেই এদিন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা কিছু না কিছু কিনে থাকেন।

বর্তমানে সোনা ক্রেতা ভারতীয়দের মধ্যে অনেকেরই প্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে দুবাই। অন্যবারের মতো এবারও অক্ষয় তৃতীয়া উপলক্ষে সোনাদানা কিনতে শহরটিতে ছুটছেন অনেকে।

লিয়ালি জুয়েলারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনুরাগ সিনহা বলেন, হ্যাঁ! কিছু লোক সোনা কেনার জন্য ভারত থেকে দুবাই ভ্রমণ করেন, বিশেষ করে অক্ষয় তৃতীয়ার মতো উৎসবের সময়। তিনি বলেন, এখানে বিভিন্ন ধরনের সোনার গয়না, কয়েন ও বার পাওয়া যায়। এ কারণে ভারত এবং অন্যান্য দেশের সোনা ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে দুবাই।

পাভাদ গোল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফুল ঢাকন বলেন, দুবাইয়ের সোনার বাজার এর বৈচিত্র্য এবং প্রতিযোগিতামূলক দামের জন্য পরিচিত। এটি অবশ্যই দুবাইকে সোনা কেনার জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল গন্তব্য করে তুলেছে। অক্ষয় তৃতীয়া উদযাপনকারী ভারতীয়রাও এতে আকৃষ্ট হচ্ছেন।

বাফলেহ জুয়েলার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রমেশ ভোরা জানান, ভারতীয় পর্যটকরা জানেন, অক্ষয় তৃতীয়ার সময় দুবাইয়ে বিভিন্ন ধরনের অফার থাকে। তাই সেই অনুযায়ী তারা ভ্রমণের তারিখ নির্ধারণ করেন।

খালিজ টাইমসের খবর অনুসারে, অক্ষয় তৃতীয়া উৎসব চলাকালীন দুবাইয়ের অনেক জুয়েলার্স সোনা, হীরা এবং মূল্যবান ধাতব গহনা কেনার জন্য ক্রেতাদের জন্য বিশেষ ছাড়, গহনা বানাতে শূন্য মজুরি এবং উপহারের অফার দিচ্ছে।

কল্যাণ জুয়েলার্সের নির্বাহী পরিচালক রমেশ কল্যাণরামন বলেন, দুবাই সারা বছরই জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। তবে এই মৌসুমে ভারতীয় পর্যটকরা যদি মধ্যপ্রাচ্যে ভ্রমণ করেন, তাহলে তারা সোনা কেনার সম্ভাবনাই বেশি।


দুবাই   ভারত   সোনা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন