ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পশ্চিমবঙ্গে রবীন্দ্রসংগীতের বাণী বদলে গাওয়ায় সমালোচনার ঝড়

প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল' গানটি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সংগীত হিসেবে গাওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র উৎসবে এ গানটি পরিবর্তন করে গাওয়া হয়েছে। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। 

মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় গানটি গাওয়ার জন্য দর্শকদের উঠে দাঁড়াতে বলা হয়। তারপর বিশিষ্ট শিল্পীরা গানটি পরিবেশন শুরু করেন। গানটি গাওয়ার সময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা গানের মতোই গাওয়া হয়। তবে এর শেষ লাইনটি খানিকটা বদল করে গেয়েছেন শিল্পিরা। 

১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন তার কালজয়ী গান। মূল গানে থাকা ‘বাঙালির পণ, বাঙালির আশা' এবং ‘বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন' অংশটিকে ‘বাংলার পণ, বাংলার আশা', ‘বাংলার প্রাণ, বাংলার মন' করে গাওয়া হয়েছে বলে রেকর্ডিংয়ে শোনা যাচ্ছে। এই পরিবর্তন উৎসবের জমাটি আবহে সেভাবে নজর কাড়েনি। পরে তা নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা।

গানটির পরিবেশনায় ছিলেন রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী এবং গায়ক ইন্দ্রনীল সেন, শ্রীরাধা বন্দোপাধ্যায়, রূপঙ্কর বাগচী, ইমন চক্রবর্তী, মনোময় ভট্টাচার্য, অদিতি মুন্সীরা৷ মঞ্চে তখন উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

ছাড়া বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। এ ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলার সংগীত ও সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষেরা।

গানের শব্দ পরিবর্তনের প্রস্তাব

কয়েকমাস আগে এ ধরনের পরিবর্তনের কথা উঠার পর তা করা যায় কি না জানতে চেয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তবে বিভিন্ন স্তরে এই নিয়ে আপত্তি থাকায় পরিকল্পনা বাতিল হয়ে যায়। রাজ্য সরকার জানিয়ে দেয়, গানটির শব্দে পরিবর্তন আনা হবে না।

মুখ্যমন্ত্রী বলার পরও কীভাবে পরিবর্তিত গানকে রাজ্য সংগীত হিসেবে গাওয়া হল, তা নিয়ে বিস্ময় ও প্রশ্ন জেগেছে৷ গানের শিল্পীরা এ ব্যাপারে উত্তর দেননি।  আবার কারো বক্তব্য, কাগজে যা লেখা ছিল, তাই গেয়েছেন! কেউ বলেছেন কী গেয়েছেন মনে নেই!

৭ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় রাজ্য সংগীত সংক্রান্ত বিল পাশ হয়। গত সোমবার বিধানসভা মিউজিয়ামে উদ্বোধনের সময় এই গান গাওয়া হয়েছিল। চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী মঞ্চে এই গান বিকৃত পরিবেশিত হওয়ার পর তা নিয়ে চলছে সমালোচনা।

বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের কঠোর প্রতিক্রিয়া

ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলার সংগীত ও সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষেরা৷ রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য পবিত্র সরকার বলেন, ‘‘এটা অপকর্ম৷ ক্ষমতার অপব্যবহার যে-ই করেছে, তাদের আমি তীব্র ধিক্কার জানাই। ইতিহাস নিয়ে আমি মাথা ঘামাচ্ছি না। এই গানে রবীন্দ্রনাথ কথা লিখেছেন, সুর দিয়েছেন৷ এটা বদল করা যায় না৷''

বিশ্বভারতীর আশ্রমিক সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রবি ঠাকুর গান নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা পছন্দ করতেন না৷ সেটা তিনি নিজেই বলেছেন৷ তার পরও এই পরিবর্তন কাম্য নয়৷''

শিল্পী ও গবেষক শুভেন্দু মাইতি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের গানের কথা বদলে গাওয়া এক ধরনের রাষ্ট্রীয় ঔদ্ধত্য। সকলের প্রতিবাদ করা উচিত৷ যে শিল্পীরা এই গান গাইলেন, তারা কেন প্রতিবাদ করলেন না? তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করা উচিত। দেড়শো বছর ধরে বাঙালি রবীন্দ্রনাথের গান শুনছেন, গাইছেন। ভোটে জিতেছি বলে সেটা পাল্টে দিতে পারি না।’

পশ্চিমবঙ্গের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষ এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। তারাও এ বিষয়টি নজরে এনেছেন। 

প্যারোডি পরম্পরা

অবশ্য পাল্টা যুক্তিও রয়েছে৷ কেউ কেউ বলছেন, কিন্তু প্যারোডি তৈরি ও বাণীর ইচ্ছেমতো পরিবর্তন কি এক?

সাহিত্যিক স্বপ্নময় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এই পরিবর্তনকে আমি সমর্থন করি না। রবীন্দ্রনাথের গান নজরুল ও দ্বিজেন্দ্রলাল পরিবর্তন করে প্যারোডি করেছিলেন। কিন্তু সেটা প্যারোডিই ছিল। তার মাধ্যমে কখনো বার্তা দেওয়া হত, কখনো বা নিছক ব্যঙ্গ বা হাস্যরস তৈরির চেষ্টা থাকত৷ রবীন্দ্রনাথের গানের শব্দ বদলে দিলে সেটা রবীন্দ্রসংগীত থাকে না। তা হলে রাজ্য সংগীতের জন্য নিজেদের গান তৈরি করতে হতো।''

রবীন্দ্র থেকে নজরুল

কবিগুরুর সৃষ্টি আর এখন স্বত্বের অধীন নয়। তা বলে তার যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন ওঠে মাঝেমধ্যেই। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রসংগীত বিষয়ক অধ্যাপক রুমা মিত্র বলেন, ‘‘যে কোনো গান তার গীতিকার বা সুরকারের সম্পদ৷ সৃষ্টিকে বিকৃত করার অধিকার কারো নেই৷ এটা অনধিকার চর্চা। স্রষ্টা কী ভেবে গানে ওই কথা লিখেছেন, সেটা যারা পরিবর্তন করছেন, তারা কি জানেন? পরিবর্তন করার ফলে কি খুব ভালো জিনিস তৈরি হলো? এ নিয়ে আরো আলোচনা হলে এমন বিকৃতি এড়ানো যায়।’

সম্প্রতি কাজী নজরুল ইসলামের গানে পরিবর্তন করায় সমালোচনার মুখে পড়েন বিখ্যাত ভারতীয় সুরকার এ আর রহমান। একটি ছবিতে ‘কারার ওই লৌহ কপাট' গানটি ভিন্ন সুর সংযোজনায় ব্যবহার করা হয়। তীব্র প্রতিবাদ জানান শিল্পীদের একাংশ৷ পরে ভুল স্বীকার করে দুঃখপ্রকাশ করেছে ছবির নির্মাতারা।

রবীন্দ্র গানের বদল নিয়ে তেমন প্রতিবাদ অবশ্য দেখা যাচ্ছে না। আলোচনা পুরোটা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। 

শুভেন্দু মাইতি বলেন, ‘বাঙালি এখন মেরুদণ্ডহীন জাতি। তাদের সব প্রতিবাদ ওই ফেসবুক আর সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রতিবাদ করতে বাড়ির বাইরে বেরোতে হয় না, রাস্তায় নামতে হয় না।’




পশ্চিমবঙ্গ   রবীন্দ্রসংগীত   সমালোচনার   চলচ্চিত্র উৎসব   বাংলার মাটি বাংলার জল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

প্রবল বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ল মসজিদের ছাদ

প্রকাশ: ০৮:৫৬ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

সৌদি আরবের দাহরানের কিং ফাহাদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবল বৃষ্টিতে একটি মসজিদের ছাদ ভেঙে পড়েছে। সৌদির বিভিন্ন অঞ্চলে গত দুইদিন ধরে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

বুধবার (১ মে) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। তবে মসজিদের ছাদ ভেঙে কেউ আহত হননি। কারণ ওই সময় সেখানে কেউ ছিলেন না। 

নেটিজেনরা জানিয়েছেন, মসজিদটির বাইরের অংশের ছাদটি ধসে পড়েছে। মসজিদ সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে মূল ভবনের বাইরে স্টিলের এই ছাদটি স্থাপন করা হয়েছিল।

স্টিলের ছাদটির ওপর এতই পানি জমা হয়েছিল যে এটি আর ভার বহন করতে পারেনি। এরপর একটি পর্যায়ে এটি ভেতরের দিকে ধসে পড়ে। তখন মসজিদের ভেতর বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে এবং মসজিদে যেসব কার্পেট ছিল সেগুলো পানিতে ভিজে যায়।

কেউ একজন মসজিদের মূল ভবনের ভেতর থেকে ছাদ ভেঙে পড়ার মুহূর্তটি নিজের মোবাইল ফোনে ধারণ করেন।

বৃষ্টিপাতের কারণে দেশটিতে সাধারণ মানুষকে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরাসরি ক্যাম্পাসে আসার বদলে অনলাইনে পাঠদান কর্মসূচি চলছে।


মসজিদ   বৃষ্টিপাত   সৌদি আরব  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের ধরপাকড়

প্রকাশ: ০৮:৪৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে মার্কিন পুলিশ। ইতিমধ্যে তারা সেখানে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছেন এবং অনেকককে গ্রেপ্তার করেছেন। এমনকি বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ করে তাঁবু সরাতে রাবার বুলেট পর্যন্ত ব্যবহার করেছে মার্কিন পুলিশ। 

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার(২ মে) ভোরে ইউসিএলএ ক্যাম্পাসের বাইরে রাখা ব্যারিকেড সরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে পুলিশ। ভেতরে প্রবেশ করে সেখানে আগে থেকে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের তাঁবু ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ। নির্দেশনা না মানলে গ্রেপ্তার, এমনকি আহত হতে পারেন বলেও জানায় তারা। তবে পুলিশের সতর্কবার্তা আমলে না নিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। তাই অনেক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছোড়া হয়েছে রাবার বুলেট। সিএনএন এর প্রতিবেদন 

বিবিসি জানিয়েছে, মূল আন্দোলনস্থল ডিকসন কোর্টে প্রবেশ করেছে পুলিশ। পুলিশ দেখে অনেক শিক্ষার্থী বিক্ষোভস্থল ত্যাগ করলেও এখানো সেখানে অনেকে অবস্থান করছেন। তবে তাদের ঘিরে রেখেছে পুলিশ সদস্যরা।

পুলিশ এখন তাঁবু সরিয়ে দিচ্ছে। ডিকসন কোর্টে এখন অনেকটা পুলিশে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাসের অন্য কোথাও তাঁবু স্থাপন করেছে কিনা তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে এই ক্যাম্পাসে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিপন্থী শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে এই সময় পুলিশ দেরিতে সাড়া দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ জন্য পুলিশের সমালোচনাও করেছে অঙ্গরাজ্যের গভর্নরের কার্যালয়।


যুক্তরাষ্ট্র   ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া   পুলিশ   ইউসিএলএ   লস অ্যাঞ্জেলেস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কেনিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতে ১৮৮ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৮:৩৫ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

মৌসুমী বৃষ্টির কারণে কেনিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট, সেতু ও অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে অনেক। 

কেনিয়া জানিয়েছে, দেশটিতে বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বিপর্যয়ে এখন পর্যন্ত ১৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

এই বিপর্যয়ে কেনিয়ায় ১২৫ জন আহত হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৯০ জন। দের লাখের ও  বেশি মানুষের স্থানীয় বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।   

বুধবার কেনিয়ার বিখ্যাত পর্যন্ত এলাকা মাসাই মারা বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ অঞ্চলের একটি নদী হঠাৎ করে প্লাবিত হলো পর্যটকসহ ১০০ জন হড়কা বানে ভেসে যায়। সেখান থেকে ৯০ জনকে সফলভাবে উদ্ধার করার কথা জানায় কেনিয়া কর্তৃপক্ষ। 


কেনিয়া   বৃষ্টিপাত   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পুলিশের অভিযানে বিপর্যস্ত কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস

প্রকাশ: ০৮:২৮ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজার ঘটনার প্রতিবাদ ঠেকাতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিলটন হলে অভিযান চালিয়ে একশোর বেশি আটকের ঘটনায় পুরো ক্যাম্পাসই এখন বিপর্যস্ত।

বিশ্ববিদ্যালয়টির সব প্রবেশ পথেই এখন পুলিশ ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীদের ভিড়, রাস্তায় ব্যারিকেড। জিনিসপত্র নিয়ে শিক্ষার্থীরা বাড়ির উদ্দেশে ক্যাম্পাস ছাড়ছে। ক্লাস বাতিল হয়েছে আর পরীক্ষা কবে হবে ঠিক নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এরপর কী হতে যাচ্ছে তা নিয়েই সর্বত্র এক থমথমে ভাব আর অনিশ্চয়তা।

পুলিশি অভিযানের পর এক বার্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নেমাত শফিক বলছেন, তাকে গভীর দু:খ নিয়েই শিক্ষার্থী ও অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানের নির্দেশ পুলিশকে দিতে হয়েছে এবং এ ক্ষত শুকাতে সময় লাগবে।

অন্যদিকে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতার ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর। সেখানে ক্যাম্পাসে পুলিশকে ডাকার আগেই মুখোশ পরিহিত ইসরায়েলপন্থি একটি গ্রুপ ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের তাবুতে হামলা চালায়।

গভর্নরের মুখপাত্র বলেছেন, এ ঘটনায় 'সীমিত ও বিলম্বিত' পুলিশি হস্তক্ষেপ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। বুধবার ওই ক্যাম্পাসে শত শত পুলিশ কর্মকর্তা অবস্থান নিয়েছিল।

তবে অনেকেই অভিযোগ করেছেন, মঙ্গলবার মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের তাঁবুকে ঘিরে সংঘর্ষের সময় পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়নি। যদিও কর্মকর্তারা বলেছেন সহিংসতার সূচনার পর দ্রুত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

মূলত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যক্তি ও কোম্পানিকে বয়কটের দাবিতে গত কিছুদিন ধরেই প্রচণ্ড ছাত্র বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। মঙ্গলবার রাতে কয়েকটি জায়গায় তা সংঘর্ষের রূপ নেয়।

এর আগে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হার্ভার্ড থেকে ইয়েলসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ফিলিস্তিনের পক্ষে ও ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত কোম্পানি ও ব্যক্তিদের বয়কট করার আহ্বান জানাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা।

সর্বশেষ পহেলা মে রাতে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের দখল করে রাখা অ্যাকাডেমিক ভবন দখলমুক্ত করতে অভিযান চালায় নিউইয়র্ক পুলিশ। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে নয়টায় অভিযান শুরু করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে তারা হ্যামিলটন হল নামে ওই ভবনে প্রবেশ করেছে। সেখানে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীদের সবাইকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।


পুলিশ   কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়   ক্যাম্পাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আমিরাতে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে ১৩ টি ফ্লাইট বাতিল

প্রকাশ: ০৮:১১ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া মাঝপথ থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে আরও কয়েকটি বিমান।  

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং পাঁচটি বিমানকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র। 

তিনি বলেছেন, 'দুবাই বিমানবন্দর নিশ্চিত করেছে খারাপ আবহাওয়ার কারণে রাতের বেলা পাঁচটি বিমানকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং নয়টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।'

এছাড়া বিমানবন্দরে আসার ক্ষেত্রে সময় নিয়ে বের হওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। কারণ বৃষ্টির কারণে রাস্তায় দীর্ঘ জ্যামের সৃষ্টি হতে পারে। 

আরব আমিরাতে সাধারণত এত বৃষ্টিপাত দেখা যায় না। তবে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশটিতে একদিনে এক বছরের সমান বৃষ্টিপাত হয়। এতে বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পানি জমে যায়। পানির পরিমাণ এতই বেশি ছিল যে রাস্তায় থাকা গাড়িগুলো ভেসে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যায়।


সংযুক্ত আরব আমিরাত   বৃষ্টিপাত   ফ্লাইট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন