ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অগ্রহণযোগ্য নির্বাচনেও গঠিত হয় সরকার

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

নির্বাচন হলো এমন একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোনো দেশের জনগণ প্রশাসনিক কাজের জন্য একজন প্রতিনিধিকে বেছে নেয়। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় যেকোনো দেশের জন্য এটি একটি আবশ্যিক প্রক্রিয়া। নির্বাচনের মাধ্যমে একটি দেশের আইনসভার পদগুলি পূরণ করা হয়। তবে বিভিন্ন দেশেই নির্বাচন নিয়ে রয়েছে নানা রকম বিতর্ক। যতই সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলা হোক না কেন একটি দেশের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠবে না বা বিতর্ক হবে না, এমনটা আজ পর্যন্ত কোথাও দেখা যায়নি। এমনই বেশ কয়েকটি নির্বাচন ঘিরে বিশ্বব্যাপী রয়েছে মুখরোচক বিতর্ক। বিতর্ক সত্ত্বেও এসব নির্বাচনে গঠিত হয়েছে নতুন সরকার। প্রোপাগান্ডা বা অপপ্রচারকে পাশ কাটিয়ে দেশগুলো চালিত হয়েছে নতুন ক্ষমতায়।

 

নাইজেরিয়ার নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ছিল না?

এ বছরের মার্চে সংঘটিত নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়েও ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তোলা হয় দেশটিতে। নির্বাচনটি অংশগ্রহণমূলক হয়নি এ অভিযোগের সাথে সাথে ফলাফল প্রকাশের আগেই বিরোধী সব দল এই নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তোলেন। ক্ষমতাসীন দল ছাড়া ভোটগ্রহণে স্বচ্ছতার অভাব নিয়েও অভিযোগ করেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। কিন্তু নাইজেরিয়ায় সামরিক শাসন অবসানের পর সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ছিল এটি। লাখ লাখ মানুষ এই নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। সেনাশাসন শেষ হওয়ার পর প্রথমবারের মত এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন দেখে দেশটি। নাইজেরিয়ার আধুনিক গণতন্ত্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নির্বাচনটিতে। এরপরও এ নির্বাচন ঘিরে ছিল অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু এবং অবাধ না হবার অভিযোগ।

এই নির্বাচন আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, যেখানে ভোট দেবার যোগ্য মানুষের সংখ্যা ছিল ৮ কোটি ৭০ লাখ। আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হবার পরও দেখা যায় ভোটাররা লম্বা লাইনে ভোট দেয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। দেশটিতে ১৯৮৯ সালে সামরিক শাসনের অবসান ঘটার পর থেকে রাজনীতির অঙ্গনে প্রাধান্য পেয়ে এসেছে মূলত দুটি দল- ক্ষমতাসীন এপিসি এবং পিডিপি। এ বছর মার্চের এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারির উত্তরসূরী হিসাবে তৃতীয় আরেকটি দলের প্রার্থীর দিক থেকেও তৈরি হয় বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। ঐ প্রার্থী ছিলেন লেবার পার্টির পিটার ওবি, যাকে সমর্থন করেছিল নাইজেরিয়ার বহু তরুণ ভোটার। ফলে, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হওয়ার যে অভিযোগ তা এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের কাছে একেবারেই ব্যর্থ হয়ে যায়।

কারচুপির অভিযোগ দেয়া এই নির্বাচনে উল্টো নাইজেরিয়ার তরুণদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ চোখে পড়েছিল। এবারে দেশটিতে ভোটদানের যোগ্যতাসম্পন্ন জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশই ছিল তরুণ, যাদের বয়স ৩৫ এর নিচে। ফলে ২০১৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেখানে মাত্র ৩৫% ভোট পড়েছিল ২০২৩ সালের নির্বাচনে সে তুলনায় অনেক বেশি ভোট পড়ে। লাখো মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছিলেন এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে।

ক্ষমতাসীন অল প্রগ্রেসিভস কংগ্রেস পার্টির প্রার্থী ৭০ বছর বয়স্ক মি. বোলা টিনুবু, যিনি ২০০৭ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে লেগোসের গর্ভনর পদে থাকাকালীন সেই শহরকে দেশটির বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলেছিলেন, অবশেষে তিনিই মোট ভোটের ৩৭ শতাংশ পেয়ে নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিজয়ী ঘোষিত হন। এরপর থেকেই আসতে থাকে অভিযোগের তীর। নির্বাচনটি একটি অবাধ, স্বচ্ছ, বিশ্বাসযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশিত ন্যূনতম মান পূরণ করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেন লেবার পার্টির পিটার ওবি।

এদিকে টিনুবুর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) আতিকু আবুবাকার পান ২৯ শতাংশ এবং লেবার পার্টির পিটার ওবি পান ২৫ শতাংশ ভোট। বলা হয়েছিল, নাইজেরিয়ার ৩৬টি রাজ্যের দুই তৃতীয়াংশ ভোটের ২৫% যে প্রার্থী পাবেন এবং যিনি এককভাবে সবচেয়ে বেশি ভোট পাবেন তিনিই বিজয়ী ঘোষিত হবেন এবং কোন প্রার্থী নির্ধারিত সংখ্যক ভোট না পেলে ২১ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় দফা ভোটাভুটি হবে। ফলাফলের প্রেক্ষিতে কোন প্রার্থী নির্ধারিত সংখ্যক ভোট পাননি এমন চিত্র কিন্তু দেখা যায়নি। তবুও তরুণদের পছন্দের পিটার ওবি এই ফলাফল চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। তবে শেষ অবধি এই নির্বাচনে জনগণের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণের চিত্র এবং বিরোধীদলের মোট ভোটের সংখ্যার কাছে এই নির্বাচনের ফলাফলকে বাতিল করার চেষ্টার যে পায়তারা তা ধোপে টিকতে পারেনি। গত মে মাসে বোলা টিনুবু প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

 

কম্বোডিয়ার বিতর্কিত নির্বাচন নিয়ে যত তর্ক:

ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টির (সিপিপি) নেতা হুন সেন। সেই ১৯৮৫ সাল থেকে কম্বোডিয়া শাসন করছেন তিনি। বিগত ৩৮ বছর ধরে ৭০ বছর বয়সী এই হুন সেন কম্বোডিয়ার ক্ষমতায় আছেন। এ বছরের গত ২৩ জুলাই কম্বোডিয়ার সপ্তম জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টিসহ (সিপিপি) সব মিলিয়ে ১৮টি দল অংশ নেয়। কিন্তু কম্বোডিয়ার প্রধান বিরোধী দল ‘ক্যান্ডেল লাইট পার্টি’ নির্বাচনে অনুপস্থিত থাকায় বেশ সহজেই এবারও প্রধানমন্ত্রী হুন সেনই ক্ষমতার মসনদ নিশ্চিত করেন। বেশ বড় একটা সময় ধরে হুন সেন ক্ষমতায় আছে। সেই সাথে এবারের কম্বোডিয়ার জুলাইয়ের নির্বাচনে হেভিওয়েট বিরোধী দল অংশগ্রহণ না করার কারণে তার অধীনে সংঘটিত নির্বাচন নিয়ে বিশ্বজুড়ে হয়েছে নানা বিতর্ক। কিন্তু এসকল বিতর্ককে পেছনে ফেলে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সংঘটনের মাধ্যমেই হুন সেন প্রতিবারের মতো এবারও ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন। এই নির্বাচনে দেশটির প্রধান বিরোধী দল অংশগ্রহণ না করে নির্বাচনটি বানচাল করার চেষ্টা চালায়। এর প্রেক্ষিতেই গত ২৩ জুন কম্বোডিয়ার পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ সিপিপি দেশটির নির্বাচন আইন সংশোধন করেছে। যেখানে বলা হয়েছে— যদি কেউ নাগরিকদের ভোট না দিতে উৎসাহিত করে তবে তা অপরাধমূলক ‘উসকানি’ বলে বিবেচিত হবে।

সরকার সতর্ক করে বলেছিল, যারা এমনটা করবে তাদের জেল-জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে। হুন সেনে দাবি করেছিলেন গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এবং যারা মানুষকে ভোটদানে বিরত রাখার ‘অপচেষ্টা’ চালায় তাদের রুখতেই এই আইন সংশোধন করা হয়। আর এই নতুন সংশোধিত আইনেই আবারও একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে হুন সেন ক্ষমতায় আসেন। যেখানে কম্বোডিয়ার প্রধান বিরোধী দল ‘ক্যান্ডেল লাইট পার্টি’ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে নির্বাচনটিকে বানচাল করার যথাসাধ্য চেষ্টা করার পরও ব্যর্থ হয়। যদিও এবারের নির্বাচনের পর টানা চার দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা ৭০ বছর বয়সি হুন সেন তার ছেলের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়েছেন। তার বড় ছেলে রয়েল কম্বোডিয়ান সেনাবাহিনীর সাবেক কমান্ডার হুন ম্যানেটের কাছে এই ক্ষমতা হস্তান্তর করেন তিনি।

বিশ্বজুড়ে শুধু বাংলাদেশের নির্বাচনেই অনিয়ম হয় না। নির্বাচন নিয়ে টুকটাক অনিয়মের অভিযোগ পৃথিবীর সকল দেশেরই স্বাভাবিক ঘটনা মাত্র। কোনো দেশই নির্বাচনের পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত বা পবিত্র নয়। এমন বহু অনিয়ম বা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হবার অভিযোগ পাশ কাটিয়েই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরকার গঠিত হয় বা হচ্ছে, কারণ নির্বাচনের সাথে সাথে বিরোধীদলের এসব অভিযোগ যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এসব গ্রাহ্য করলে কোনো দেশেরই সরকার গঠন কখনো সম্ভব হতো বলে মনে হয় না। বিশ্বের অন্যান্য দেশের উদাহরণ এক্ষেত্রে পাথেয় হিসেবে কাজ করে।


নির্বাচন   অগ্রহণযোগ্য   কম্বোডিয়া   নাইজেরিয়া   সুষ্ঠু নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বারানসিতে মোদির বিপক্ষে কমেডিয়ান রঙ্গিলা

প্রকাশ: ০৩:৩৫ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের বারানসি আসনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিপক্ষে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন কমেডিয়ান শ্যাম রঙ্গিলা। বুধবার(১ মে) তিনি এই ঘোষণা দেন।   

এক এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্টে রঙ্গিলা জানিয়েছেন,  নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই তিনি সবার কাছ থেকে ভালোবাসা পাচ্ছেন, আর এতে তিনি বেশ উচ্ছ্বসিত।

মোদির মিমিক্রি করেই মূল জনপ্রিয়তা পান রঙ্গিলা। এবার ভোটে তিনি মোদিকেই চ্যালেঞ্জ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

গণমাধ্যমের রঙ্গিলা জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে তিনি মোদির অনুসারী ছিলেন। তার সমর্থনে অনেক ভিডিও শেয়ার করেছেন। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিপক্ষে ভিডিও শেয়ার করেছেন। আর এসব ভিডিও দেখে যে কারো মনে হতেই পারে তিনি আগামী ৭০ বছর কেবল বিজেপিকেই ভোট দেবেন। তবে গত ১০ বছরে পরিস্থিতি পাল্টেছে অনেকটা। এবার তিনি মোদির বিরুদ্ধেই লোকসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

চলতি সপ্তাহেই বারানসিতে গিয়ে মোদির বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।


ভারত   প্রধানমন্ত্রী   নরেন্দ্র মোদী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানে ৫ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত

প্রকাশ: ০৩:১৪ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কেরমান প্রদেশে ৫ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে দেশটিতে ভূমিকম্প আঘাত হানে। তবে ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলেছে, ইরানে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের ছিল মাত্রা ৪ দশমিক ৫।

ইরানের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র (এনসিএম) বলেছে, স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২৩ মিনিটের দিকে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার ভূগর্ভে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে।

দেশটির গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, কেরমান প্রদেশের ফারিয়াব জেলায় ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল বলে রেকর্ড করা হয়েছে। তবে ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি অথবা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এর আগে, বুধবার ইরানের একই প্রদেশে ৪ দশমিক ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।

ভূমিকম্পের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি বড় টেকটোনিক প্লেটের সীমানায় ইরানের অবস্থান। যে কারণে দেশটিতে প্রায়ই হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার, এমনকি শক্তিশালী ভূমিকম্পও আঘাত হেনে থাকে।

ইরানে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার সবচেয়ে প্রাণঘাতী এক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল ১৯৯০ সালে। ওই ভূমিকম্পে দেশটিতে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত ও আরও ৩ লাখের বেশি আহত হন। এছাড়া এই ভূমিকম্পে গৃহহীন হয়ে পড়েছিলেন দেশটির আরও পাঁচ লাখ মানুষ।

এরপর ২০০৩ সালে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রাচীন নগরী বাম প্রায় মাটির সাথে মিশে যায়। এতে এই শহরে কমপক্ষে ৩১ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
এছাড়া ২০১৭ সালে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ৬০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন। ওই ঘটনায় আহত হন আরও ৯ হাজারের বেশি মানুষ।


ইরান   ভূমিকম্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হায়! মার্কিন মানবাধিকার

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করছে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা।   আর এই বিক্ষোভকারী যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে মার্কিন পুলিশ। এমনকি এই নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকাও। 

প্রতি বছর প্রায় সব দেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে। বিশ্বের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সোচ্চার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রায় পাঁচ দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। তাহলে, এত এত শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন কিভাবে এড়িয়ে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর! এ কেমন মার্কিন মানবাধিকার! 

প্রায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো।

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ভূলুন্ঠিত মানবাধিকার: সতর্ক করবে কে?

কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি, এমোরি ইউনিভার্সিটি, জর্জটাউন ইউনিভার্সিটি, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি ও  হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় আরো অন্তত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। এছাড়া কিছু হাইস্কুলেও বিক্ষোভ হয়েছে।

ইতিমধ্যে বিভিন্ন কিছু মার্কিন গণমাধ্যম বিক্ষোভের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর চালানো নির্যাতন এর ভিডিও তুলে ধরেছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৯০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অথচ বিষয়টি নিয়ে এখনও নির্বিকার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।

শুধু এখানেই শেষ নয় যুক্তরাষ্ট্রে হরহামেশাই চলছে বর্ণবিদ্বেষ। যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় ছত্রছায়ায় বর্ণবাদী হত্যা-নির্যাতন-বৈষম্য-অবিচার অতি সাধারণ নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের অভিযানে শতাধিক গ্রেপ্তার

সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশের নির্যাতনে এক কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকের অনাকাঙিক্ষত মৃত্যু হয়েছে। ওহাইও রাজ্যের ক্যান্টর শহরে গ্রেফতারের সময় এক পুলিশ কর্মকর্তা ফ্র্যাঙ্ক টাইসন নামের ২০ বছর বয়সী এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির ঘাড়ের ওপর পা দিয়ে চেপে ধরে।

ওহাইও রাজ্যের পুলিশ ঘটনাটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, একটি বারের মেঝেয় ফেলে ফ্রাঙ্ক টাইসনের ঘাড়ের ওপর পা দিয়ে চেপে ধরে হাতকড়া পরাচ্ছে কয়েকজন পুলিশ সদস্য। আর তিনি বারবার বলছেন, ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। রয়টার্সের এর প্রতিবেদন

মর্মান্তিক এই চিত্রটি আবারও মনে করিয়ে দিলো ২০২০ সালের জর্জ ফ্লয়েড হত্যার কথা। পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যু হয় কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড নামক এক যুবকের। ঘাড়ের ওপর পা দিয়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে মার্কিন পুলিশ। মিনেসোটা রাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে গ্রেফতারের সময় ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েডকে ঘাড়ের ওপর পা দিয়ে চেপে ধরেছিল পুলিশ। সে সময় ফ্লয়েডও বলেছিলেন, 'আই কান্ট ব্রেথ (আমি শ্বাস নিতে পারছি না)।’ কিন্তু এরপরও তার ঘাড়ের ওপর থেকে পা সরায়নি পুলিশ। এতে তার মৃত্যু হয়।

মার্কিন পত্রিকা গুলোতে অপেরেশন গেট্টো স্টর্ম শিরোনামে এক প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে প্রতি ২৮ ঘণ্টায় একজন কৃষ্ণাঙ্গ নর, নারী বা শিশু বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যার শিকার হচ্ছে। 

মার্কিনদের এ কেমন সাদা-কালো বিদ্বেষী মানবাধিকার! যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মানুষগুলো কি কোনদিন সত্যিকারের মানবাধিকারের দেখা পাবে!


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   মানবাধিকার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্রাজিলে ভারীবৃষ্টি ও বন্যায় ১০ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বৃষ্টির থেকে বন্যার সৃষ্ট হয়েছে। এই বন্যায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বুধবার জানিয়েছে, প্রায় ২৪ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা।  

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল রাজ্যে বন্যার কারণে শতাধিক পৌরসভার প্রায় ৩ হাজার ৩০০ জন বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে অনেককেই আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। 

প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা এক ঘোষণায় জানিয়েছেন, বন্যাকবলিত স্থান পরিদর্শন করবেন তিনি। রাজ্যের গভর্নর এডুয়ার্ডো লেইট জানিয়েছেন, ওই রাজ্যে ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ বিপর্যয়ের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

আগামী কয়েকদিনে আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ভারী বৃষ্টির মধ্যেও নিখোঁজদের সন্ধানে কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা।

ভারী বৃষ্টিতে বেশ কিছু ব্রিজ ভেঙে পড়েছে এবং রাস্তা-ঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। রাজ্যের বেশ কিছু এলাকা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।


ব্রাজিল   ভারীবৃষ্টি   বন্যা   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে চীনে মহাসড়ক ধস, নিহত ২৪

প্রকাশ: ০৯:৪৫ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail চীনে বৃষ্টিপাতে মহাসড়কে ধস

চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে একটি মহাসড়কের অংশ ধসে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৩০ জন।

কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের পর গুয়াংডংয়ের মেইঝো শহর এবং ডাবু কাউন্টির মধ্যকার ওই মহাসড়কের ১৭ দশমিক ৯ মিটার (৫৮.৭ ফুট) অংশ ধসে পড়ে।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ১৯ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পরে জানায় ২৪ জন নিহত হয়েছে।

বিবিসি জানায়, মহাসড়কের ধসে পড়া অংশে ২০টি গাড়ি আটকে পড়ে। পরে উদ্ধারকারীরা গাড়িতে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

আহত ৩০ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের অবস্থা গুরতর নয় বলে জানানো হয়েছে গণমাধ্যমের খবরে।

সংবাদমাধ্যমে আসা ছবিতে দেখা গেছে, বিধ্বস্ত যানবাহনগুলো একটি গভীর গর্তে পড়ে আছে। উদ্ধারকারীরা সেখানে পড়ে থাকা গাড়িগুলোকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে।

দুর্ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন মহাসড়কটি বন্ধ করে দিয়েছে। গত মাসেও গুয়াংডং প্রদেশে প্রবল বর্ষণের কারণে বন্যা হয়েছিল। সে সময় লক্ষাধিক মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।


চীন   মহাসড়ক   ধস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন