ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশ নিয়ে ৬ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের বিবৃতি

প্রকাশ: ০৬:৫০ পিএম, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছে ৬টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রবার্ট এ. কেনেডি হিউম্যান রাইটস-এর ওয়েবসাইটে এক যৌথ বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানান হয়।

সংগঠনগুলো হলো- রবার্ট এ. কেনেডি হিউম্যান রাইটস (আরএফকেএইচআর), ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রজেক্ট (সিপিজেপি), দ্য ইউনাইটেড এগেইনস্ট টর্চার কনসোর্টিয়াম (ইউএটিসি), এশিয়ান ফেডারেশন এগেইনস্ট ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপেয়ান্সেস (এএফএডি), এন্টি-ডেথ পেনাল্টি এশিয়া নেটওয়ার্ক (এডিপিএএন) এবং ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন এগেইনস্ট এনফোর্সড ডিজঅ্যাপেয়ারেন্সেস (আইসিএইডি)।

বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয় নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানে মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং নাগরিক সমাজের স্থান সংকুচিত হয়ে আসছে। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে এবং মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত রাখায় ব্যবস্থা নিতে।

বিবৃতিতে বলা হয়, রাজনৈতিক বিরোধীদের সমন্বিত বিক্ষোভ-সমাবেশের পর গত অক্টোবরের শেষের দিক থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ প্রতিবাদ ও রাজনৈতিক ভিন্নমত দমনে সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছে।

এই দমনপীড়নের জেরে একজন সাংবাদিকসহ ১৭ জন নিহত হয়েছেন। প্রায় ৮ হাজার ২৪৯ বিরোধী নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে হবিগঞ্জের শায়েস্তানগর এলাকায় আয়োজিত মানববন্ধনের সময় পুলিশ, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে মানবাধিকারের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করতে হবে। এর মধ্যে আছে জাতিসংঘের ‘বেসিক প্রিন্সিপালস অন দ্য ইউজ অব ফোর্স অ্যান্ড ফায়ারআর্মস বাই ল এনফোর্সমেন্ট অফিসিয়ালস’ এবং জাতিসংঘের ‘হিউম্যান রাইটস গাইডেন্স অব লেস-লেথাল উইপন্স ইন ল এনফোর্সমেন্ট’।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণহারে বিরোধীদলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের অভিযুক্ত করতে পর্যায়ক্রমিকভাবে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করছে সরকার। এক্ষেত্রে তারা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধীদলের শক্তিধর প্রার্থীদের অযোগ্য করতে রাতেও আদালত বিচার করছে। এগুলো কয়েক মাস আগেই পরিকল্পনা করা হয়েছে। গণহারে এই আটক এবং অভিযুক্ত করার মধ্য দিয়ে শুধুমাত্র মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, স্বাধীনতা, ব্যক্তিগত সততা এবং সুষ্ঠু বিচারের অধিকারকেই ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে এমন না। একই সঙ্গে পুরো পরিবারকে সীমাহীন হতাশায় ডুবিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কারণ, অনেক ক্ষেত্রেই আটক ব্যক্তি তার পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস।

বিবৃতিতে বলা হয়, জনগণ আগামী মাসে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করছে যখন, তখন এসব নির্যাতন করা হচ্ছে। গণতন্ত্রের মৌলিক মূলনীতিকে সমুন্নত করার পরিবর্তে বাংলাদেশ সরকার সহিংস ও দমনপীড়নের মতো পদক্ষেপ ব্যবহার করছে। তাতে ভয়, উদ্বেগ এবং নাগরিকদের জন্য চরম অনিরাপদ এক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণ একটি সুষ্ঠু, গণতান্ত্রিক এবং শান্তিপূর্ণ সমাজের জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে যেহেতু, তাই আমরাও বাংলাদেশের এসব মানুষের পাশে আছি।

সহিংসতা, নিপীড়ন, রাজনৈতিক বিরোধীদের ভীতি প্রদর্শন অবিলম্বে বন্ধ রাখার জন্য বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বিবৃতি স্বাক্ষরকারী সংগঠনগুলো চারটি সুপারিশ তুলে ধরেছে। এতে বাংলাদেশের মানবাধিকার ও নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সুপারিশগুলো হলো- 

* অবিলম্বে প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা, নিজের স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত সততাকে যাতে সম্মান ও সুরক্ষিত রাখা হয়- তা নিশ্চিত করতে হবে।

* অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে সব রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। আটক অধিকারকর্মী এবং বিরোধী দলের সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ বিচারিক প্রক্রিয়া।

* মানবাধিকার লঙ্ঘনের পূর্ণাঙ্গ এবং নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। এর মধ্যে থাকবে মৃত্যু এবং নির্যাতনের অভিযোগগুলোও।

* আন্তর্জাতিকমানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডাটা সুরক্ষা আইনের খসড়াকে পুনর্মূল্যায়ন এবং রিভাইস করতে হবে।



দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন   আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন   এএফএডি   সিপিজেপি   আরএফকেএইচআর  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হামাস জিম্মিদের মুক্তি দিলে যুদ্ধবিরতি সম্ভব: জো বাইডেন

প্রকাশ: ১০:৫৮ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, হামাস যদি নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের সবাইকে মুক্তি দেয়, তাহলে যুদ্ধবিরতি সম্ভব গাজায়। শুক্রবার রাজধানী ওয়াশিংটনের সিয়াটলে এক জনসভায় এ কথা বলেছেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘হামাস যদি (আজ) সব জিম্মিকে ছেড়ে দেয়, তাহলে আগামীকালই গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব। ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি এখন পুরোটাই হামাসের ওপর নির্ভর করছে। যদি হামাস (আজ) জিম্মিদের ছেড়ে দেয়, তাহলে আজ থেকেই গাজায় ইসরায়েলি অভিযান বন্ধ করা হবে এবং আগামীকাল থেকে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে।’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে হামাস যোদ্ধারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে।

হামাসের অতর্কিত সেই হামলার জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি এবং গোটা গাজা উপত্যকা কার্যত পরিণত হয়েছে ধ্বংস্তূপে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক প্রচেষ্টায় গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর গাজায় অস্থায়ী বিরতি ঘোষণা করেছিল হামাস এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। সে সময় ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি দেড়শ’ ফিলিস্তিনির বিপরীতে জিম্মিদের মধ্যে থেকে ১০৮ জনকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।


হামাস   জো বাইডেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শিখ নেতা নিজ্জর হত্যা: কানাডায় তিন ভারতীয়সহ গ্রেপ্তার ৪

প্রকাশ: ১০:৪৩ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

শিখ নেতা ও কানাডার নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার ঘটনায় চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৩ মে সন্দেহভাজন তিন ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর শনিবার (১১ মে) কানাডার টরন্টো শহর থেকে আমানদীফ সিংহ (২২) নামের আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ।

এক বিবৃতিতে কানাডিয়ান পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার আমানদীপের বিরুদ্ধে ‘ফার্স্ট ডিগ্রি মার্ডার’ এবং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর আগে যাদের গ্রেপ্তার করা হয় তারা হলেন- করণপ্রীত সিং (২৮), কমলপ্রীত সিং (২২) এবং করণ ব্রার (২২)।

গত বছরের ১৮ জুন ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার ভ্যানকুভারের শহরতলী এলাকা সারেতে একটি গুরুদুয়ারার সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন হরদীপ সিং নিজ্জর।

এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ভারতকে সরাসরি দায়ী করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর কানাডার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে দেওয়া এক ভাষণে ট্রুডো বলেন, তার দেশের গোয়েন্দারা হরদীপ হত্যায় ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছেন। এ ঘটনাকে কানাডার সার্বভৌমত্বের জন্য তীব্র অবমাননাকর বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।


শিখ   নিজ্জর   ভারত   কানাডা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জাতিসংঘের সনদ ছিঁড়লেন ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত

প্রকাশ: ০৯:৫৯ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের পক্ষে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। এজন্য রাগে-ক্ষোভে বৈশ্বিক সংস্থাটির সনদের একটি কপি ছিন্নভিন্ন করেছেন ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান। শুক্রবার (১০ মে) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার একপর্যায়ে তিনি এই কাণ্ড করেন। খবর এনডিটিভির।

শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদের ব্যাপারে একটি ভোটাভুটি হয়। সেখানে প্রস্তাবের পক্ষে ১৪৩ দেশ ভোট পড়ে। অন্যদিকে ২৫টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। আর যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসহ ৯টি দেশ এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়।

প্রস্তাবে ফিলিস্তিন যে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হওয়ার যোগ্য তার স্বীকৃতি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে গত মাসে মার্কিন ভেটোর কারণে ফিলিস্তিনি পূর্ণ সদস্যপদের আবেদন আটকে যাওয়ার বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করতে নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে।

তবে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের ফিলিস্তিনপন্থী এই অবস্থান ভালোভাবে নেয়নি ইসরায়েল। ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত এরদান এই প্রস্তাবটিকে জাতিসংঘ সনদের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছেন।

২০১১ সালে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ পেতে আবেদন করেছিল ফিলিস্তিন। সেই আবেদন এখনো পড়ে আছে। গত মাসে নিরাপত্তা পরিষদে ভোটের আয়োজন করা হয়। সেখানে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের ১২টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ায় তা আর পাস হয়নি।

তবে পূর্ণ সদস্যপদের আবেদন আবারও সচল করার চেষ্টা করছে ফিলিস্তিন। সাধারণ পরিষদে গত শুক্রবারের এই প্রস্তাব পাস হওয়ায় কার্যকরভাবে তা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া হলো।


জাতিসংঘ   ইসরায়েল   রাষ্ট্রদূত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের বিক্ষোভ দমনে চড়াও পুলিশ, হার্ভার্ডে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৮:৩৯ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে ক্যাম্পাসে তাবু গেড়ে বিক্ষোভ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) শিক্ষার্থীরা।

গত শুক্রবার ভোরে ক্যাম্পাসে পুলিশ ডেকে তাবু গুঁড়িয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের আরেক নামী প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার শুরু করেছে তারা।

গাজায় যুদ্ধ বন্ধ ও ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান ও ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসাসহ সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিতে গত ১৭ এপ্রিল ক্যাম্পাসে তাবু গেড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে দেশটির দেড় শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ চলছে ইউরোপের অন্তত এক ডজন দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোররাত চারটার দিকে এমআইটিতে ঢোকে দাঙ্গা পুলিশের একটি দল। সেখানে তারা শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী তাবু ছেড়ে দিতে ১৫ মিনিট সময় দেয়। তাঁবু না ছাড়লে শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। তাবু গুঁড়িয়ে দেয় এবং অন্তত ১০ শিক্ষার্থীকে আটক করে। এদিন যুক্তরাষ্ট্রে আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাবু গুঁড়িয়ে দেয় পুলিশ।

এর আগে গত সোমবার এমআইটিতে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছিল পুলিশ। কিন্তু শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখে পুলিশ পিছু হটে।

শিক্ষার্থীদের তাবু গুঁড়িয়ে দেওয়ার আগে চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে বিক্ষোভকারী কয়েক ডজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে এমআইটি কর্তৃপক্ষ। তারা শিক্ষা কার্যক্রম ও স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন না।

তবে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেছেন, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে এমআইটির সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিতে তারা অনড়। এভাবে তাদের বিক্ষোভ দমন করা যাবে না।

মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির হিসাবে, এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৫৭টি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে প্রায় ২ হাজার ৯০০ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।

চড়াও মার্কিন পুলিশ

এমআইটি ছাড়াও শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকারীদের তাবু ভেঙে দেয় পুলিশ। পাশাপাশি কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়।

পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভরতদের ওপর চড়াও হয়েছে পুলিশ। শুক্রবার ভোরে ক্যাম্পাসে ঢুকে পুলিশ অন্তত ৩৩ শিক্ষার্থীকে আটক করে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁবু ছেড়ে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের চলে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা তাতে সাড়া না দেওয়ায় পুলিশ জোরপূর্বক তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এর কয়েক ঘণ্টা আগে অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়েও পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের কয়েক ডজন অস্থায়ী তাঁবু।

হার্ভার্ডে বহিষ্কার শুরু

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন ও গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে তাবু গেড়ে বিক্ষোভ করছেন তারা। শুক্রবার থেকে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ফিলিস্তিন সংহতি কমিটি নামে হার্ভার্ডের একটি সংগঠন এ তথ্য জানিয়েছে।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন না। তাদের পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে যারা আবাসিক শিক্ষার্থী, তাদের আবাসন বাতিল করা হবে। বিক্ষোভে অংশ নিলে বহিষ্কার করার হুমকি এর আগেই দিয়েছিলেন হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্ট (অন্তর্বর্তীকালীন) অ্যালান গার্বার।

সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে তাবু গেড়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করার কারণে সামগ্রিক শিক্ষার পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করার পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বিবৃতি দিয়েছে হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ। তবে কত শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে, সে সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।

হার্ভার্ডের এক মুখপাত্র শুক্রবার বিবৃতিতে বলেন, শৃঙ্খলাজনিত সমস্যায় বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া শুরু হয়েছে। আগামী দিনগুলোতেও এ পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।


যুক্তরাষ্ট্র   বিক্ষোভ   হার্ভার্ড  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সৌদিতে দুই মিসরীয় প্রবাসী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৭:২৯ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

হজ নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি আরব। দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই প্রবাসী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হজ নিয়ে ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার চেষ্টা করছিল। শনিবার (১১ মে) গালফ নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।

গ্রেপ্তার ওই দুই প্রবাসী মিসরের নাগরিক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা হাজিদের মক্কা ও মদিনায় থাকার ব্যবস্থার জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। অন্যদিকে হজের ভুয়া বিজ্ঞাপন দেখে প্রতারিত না হওয়ার জন্য সতর্ক করে আসছে সৌদি আরব।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হজের অনুমতি কেবল সরকারি ওয়েবসাইট এবং অ্যাপের মাধ্যমে নেওয়া যাবে। এছাড়া যারা হজ করবেন তাদের সর্বোচ্চ সেবা ও ঝামেলা ছাড়া সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা। অন্যদিকে এবারের হজে সৌদির অভ্যন্তরে থাকা মানুষদের জন্যও অনুমতিকে বাধ্যতামূলক করেছে কর্তৃপক্ষ।

এর আগে চলতি বছরেই হাজিদের জন্য অত্যাধুনিক যাতায়াত ব্যবস্থা চালু করার ঘোষণা দিয়েছিল সৌদি আরব। দেশটি এবার হজের মৌসুমে হাজিদের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে উড়ন্ত ট্যাক্সি ও ড্রোন ব্যবস্থা চালু করেছে।


সৌদি   মিসর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন