ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চীনের নির্দেশেই কি ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার চায় মালদ্বীপ?

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একটি ভূ-রাজনৈতিক হটস্পটে পরিণত হয়েছে মালদ্বীপ । ভারত ও চীনের জন্য দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারে মালদ্বীপের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপন গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে চীনের তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে ভারত। সম্প্রতি মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ভারতকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। ভারতের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশি রাষ্ট্রের প্রতি হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে প্রশ্ন উঠেছে আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলে। 

মালদ্বীপে ভারতের প্রভাব বৃদ্ধির বিষয়ে সবসময় সোচ্চার ছিল চীন। বিভিন্ন সময় মালদ্বীপকে ভারতের সেনা অবস্থান নিয়ে সতর্ক করেছে তারা। এছাড়া চীনের পক্ষ থেকে মালদ্বীপে সামরিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে ভারতকে হুশিয়ারি করা হয়েছে। বিষয়টি স্পষ্ট যে, ভারতীয় সেনাদের অবস্থানের কারণে চীন মালদ্বীপে তাদের বিনিয়োগের বেলায় সতর্কতা অবলম্বন করবে। এ বিষয়ে চীন মালদ্বীপকেও তাদের অবস্থান স্পষ্ট জানিয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, চীনের নির্দেশেই সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালদ্বীপ। চীন দীর্ঘমেয়াদী ভূ-রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির অংশ হিসাবে মালদ্বীপের উন্নয়নে উদারভাবে বিনিয়োগ করছে। ভবিষ্যতেও তারা এ অঞ্চলে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। তবে, তাদের উদ্দেশ্য পূরণে এ বিনিয়োগ কোন কাজে আসবে না, যদি ভারতীয় সেনারা মালদ্বীপে অবস্থান করে। এ কারণে চীন এক ধরণের নিশ্চয়তা চায় মালদ্বীপের কাছে। 
চীন ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নে বিপুল বিনিয়োগ করেছে। মালদ্বীপও চায় না এই সুযোগ হাতছাড়া করতে। কিন্তু, ভারতের কারণে চীনের বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। চীন বিনিয়োগ বন্ধ করলে মুখ থুবড়ে পড়বে মালদ্বীপের উন্নয়ন।

মালদ্বীপে যে দলটি ক্ষমতায় এসেছে তারা চীনপন্থী হিসেবে পরিচিত। এক বছর আগে, এই দলের নেতা (বর্তমান রাষ্ট্রপতি) মুইজ্জু চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে বলেছিলেন যে, তার দল নির্বাচনে জিতলে তিনি বেইজিংয়ের সাথে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চান।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মুইজ্জুর মাধ্যমে চীন তাদের দাবিগুলো পূরণ করে নিতে পারবে সহজে। যার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা অপসারণ। যদিও মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি জোর দিয়ে বলেছেন যে, তারা ভারত ও চীন উভয়ের সাথে একত্রে কাজ করতে চায়। তার মতে, দ্বীপরাষ্ট্রটি ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জড়িয়ে পড়ার জন্য খুব ছোট। 

ভারতীয় সেনা অপসারণ মালদ্বীপের একান্ত সিদ্ধান্ত নয় তা মনে করার যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। মালদ্বীপে ভারতের মাত্র ৭০ জন সৈন্য রয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী মালদ্বীপের জন্য হুমকিস্বরূপ কোন কর্মকান্ড পরিচালনা করে না। অনেক ক্ষেত্রেই সেনারা মালদ্বীপ সরকারের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের এক বিবৃতি অনুসারে, রাষ্ট্রপতি ডা. মুইজ্জু অসংখ্য জরুরি চিকিৎসা সেবায় দুটি ভারতীয় হেলিকপ্টারের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা স্বীকার করেছেন। এছাড়াও জনকল্যাণ, মানবিক সহায়তা, দুর্যোগকালীন সময়ে ত্রাণ ও দ্বীপ দেশটিতে অবৈধ সামুদ্রিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে ভারতীয় সেনারা।

এরকম একটি সমঝোতাপূর্ণ অবস্থানের মধ্যেও মালদ্বীপের এরকম সিদ্ধান্ত অন্য দেশের প্রভাবের বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু মালদ্বীপে ভারতের প্রভাব সীমিতকরণ নিশ্চিত করবে, চীনকে এমন একটি বার্তা দিতেই দ্রুত ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলো দেশটি।চীনের নির্দেশেই কি ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার চায় মালদ্বীপ?
 
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একটি ভূ-রাজনৈতিক হটস্পটে পরিণত হয়েছে মালদ্বীপ । ভারত ও চীনের জন্য দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারে মালদ্বীপের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপন গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে চীনের তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে ভারত। সম্প্রতি মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ভারতকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। ভারতের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশি রাষ্ট্রের প্রতি হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে প্রশ্ন উঠেছে আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলে। 

মালদ্বীপে ভারতের প্রভাব বৃদ্ধির বিষয়ে সবসময় সোচ্চার ছিল চীন। বিভিন্ন সময় মালদ্বীপকে ভারতের সেনা অবস্থান নিয়ে সতর্ক করেছে তারা। এছাড়া চীনের পক্ষ থেকে মালদ্বীপে সামরিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে ভারতকে হুশিয়ারি করা হয়েছে। বিষয়টি স্পষ্ট যে, ভারতীয় সেনাদের অবস্থানের কারণে চীন মালদ্বীপে তাদের বিনিয়োগের বেলায় সতর্কতা অবলম্বন করবে। এ বিষয়ে চীন মালদ্বীপকেও তাদের অবস্থান স্পষ্ট জানিয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, চীনের নির্দেশেই সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালদ্বীপ। চীন দীর্ঘমেয়াদী ভূ-রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির অংশ হিসাবে মালদ্বীপের উন্নয়নে উদারভাবে বিনিয়োগ করছে। ভবিষ্যতেও তারা এ অঞ্চলে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। তবে, তাদের উদ্দেশ্য পূরণে এ বিনিয়োগ কোন কাজে আসবে না, যদি ভারতীয় সেনারা মালদ্বীপে অবস্থান করে। এ কারণে চীন এক ধরণের নিশ্চয়তা চায় মালদ্বীপের কাছে। 

চীন ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নে বিপুল বিনিয়োগ করেছে। মালদ্বীপও চায় না এই সুযোগ হাতছাড়া করতে। কিন্তু, ভারতের কারণে চীনের বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। চীন বিনিয়োগ বন্ধ করলে মুখ থুবড়ে পড়বে মালদ্বীপের উন্নয়ন।

মালদ্বীপে যে দলটি ক্ষমতায় এসেছে তারা চীনপন্থী হিসেবে পরিচিত। এক বছর আগে, এই দলের নেতা (বর্তমান রাষ্ট্রপতি) মুইজ্জু চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে বলেছিলেন যে, তার দল নির্বাচনে জিতলে তিনি বেইজিংয়ের সাথে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চান।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মুইজ্জুর মাধ্যমে চীন তাদের দাবিগুলো পূরণ করে নিতে পারবে সহজে। যার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা অপসারণ। যদিও মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি জোর দিয়ে বলেছেন যে, তারা ভারত ও চীন উভয়ের সাথে একত্রে কাজ করতে চায়। তার মতে, দ্বীপরাষ্ট্রটি ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জড়িয়ে পড়ার জন্য খুব ছোট। 

ভারতীয় সেনা অপসারণ মালদ্বীপের একান্ত সিদ্ধান্ত নয় তা মনে করার যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। মালদ্বীপে ভারতের মাত্র ৭০ জন সৈন্য রয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী মালদ্বীপের জন্য হুমকিস্বরূপ কোন কর্মকান্ড পরিচালনা করে না। অনেক ক্ষেত্রেই সেনারা মালদ্বীপ সরকারের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের এক বিবৃতি অনুসারে, রাষ্ট্রপতি ডা. মুইজ্জু অসংখ্য জরুরি চিকিৎসা সেবায় দুটি ভারতীয় হেলিকপ্টারের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা স্বীকার করেছেন। এছাড়াও জনকল্যাণ, মানবিক সহায়তা, দুর্যোগকালীন সময়ে ত্রাণ ও দ্বীপ দেশটিতে অবৈধ সামুদ্রিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে ভারতীয় সেনারা।

এরকম একটি সমঝোতাপূর্ণ অবস্থানের মধ্যেও মালদ্বীপের এরকম সিদ্ধান্ত অন্য দেশের প্রভাবের বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু মালদ্বীপে ভারতের প্রভাব সীমিতকরণ নিশ্চিত করবে, চীনকে এমন একটি বার্তা দিতেই দ্রুত ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলো দেশটি।

চীন   মালদ্বীপ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

প্রবল বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ল মসজিদের ছাদ

প্রকাশ: ০৮:৫৬ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

সৌদি আরবের দাহরানের কিং ফাহাদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবল বৃষ্টিতে একটি মসজিদের ছাদ ভেঙে পড়েছে। সৌদির বিভিন্ন অঞ্চলে গত দুইদিন ধরে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

বুধবার (১ মে) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। তবে মসজিদের ছাদ ভেঙে কেউ আহত হননি। কারণ ওই সময় সেখানে কেউ ছিলেন না। 

নেটিজেনরা জানিয়েছেন, মসজিদটির বাইরের অংশের ছাদটি ধসে পড়েছে। মসজিদ সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে মূল ভবনের বাইরে স্টিলের এই ছাদটি স্থাপন করা হয়েছিল।

স্টিলের ছাদটির ওপর এতই পানি জমা হয়েছিল যে এটি আর ভার বহন করতে পারেনি। এরপর একটি পর্যায়ে এটি ভেতরের দিকে ধসে পড়ে। তখন মসজিদের ভেতর বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে এবং মসজিদে যেসব কার্পেট ছিল সেগুলো পানিতে ভিজে যায়।

কেউ একজন মসজিদের মূল ভবনের ভেতর থেকে ছাদ ভেঙে পড়ার মুহূর্তটি নিজের মোবাইল ফোনে ধারণ করেন।

বৃষ্টিপাতের কারণে দেশটিতে সাধারণ মানুষকে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরাসরি ক্যাম্পাসে আসার বদলে অনলাইনে পাঠদান কর্মসূচি চলছে।


মসজিদ   বৃষ্টিপাত   সৌদি আরব  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের ধরপাকড়

প্রকাশ: ০৮:৪৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে মার্কিন পুলিশ। ইতিমধ্যে তারা সেখানে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছেন এবং অনেকককে গ্রেপ্তার করেছেন। এমনকি বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ করে তাঁবু সরাতে রাবার বুলেট পর্যন্ত ব্যবহার করেছে মার্কিন পুলিশ। 

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার(২ মে) ভোরে ইউসিএলএ ক্যাম্পাসের বাইরে রাখা ব্যারিকেড সরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে পুলিশ। ভেতরে প্রবেশ করে সেখানে আগে থেকে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের তাঁবু ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ। নির্দেশনা না মানলে গ্রেপ্তার, এমনকি আহত হতে পারেন বলেও জানায় তারা। তবে পুলিশের সতর্কবার্তা আমলে না নিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। তাই অনেক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছোড়া হয়েছে রাবার বুলেট। সিএনএন এর প্রতিবেদন 

বিবিসি জানিয়েছে, মূল আন্দোলনস্থল ডিকসন কোর্টে প্রবেশ করেছে পুলিশ। পুলিশ দেখে অনেক শিক্ষার্থী বিক্ষোভস্থল ত্যাগ করলেও এখানো সেখানে অনেকে অবস্থান করছেন। তবে তাদের ঘিরে রেখেছে পুলিশ সদস্যরা।

পুলিশ এখন তাঁবু সরিয়ে দিচ্ছে। ডিকসন কোর্টে এখন অনেকটা পুলিশে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাসের অন্য কোথাও তাঁবু স্থাপন করেছে কিনা তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে এই ক্যাম্পাসে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিপন্থী শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে এই সময় পুলিশ দেরিতে সাড়া দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ জন্য পুলিশের সমালোচনাও করেছে অঙ্গরাজ্যের গভর্নরের কার্যালয়।


যুক্তরাষ্ট্র   ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া   পুলিশ   ইউসিএলএ   লস অ্যাঞ্জেলেস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কেনিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতে ১৮৮ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৮:৩৫ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

মৌসুমী বৃষ্টির কারণে কেনিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট, সেতু ও অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে অনেক। 

কেনিয়া জানিয়েছে, দেশটিতে বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বিপর্যয়ে এখন পর্যন্ত ১৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

এই বিপর্যয়ে কেনিয়ায় ১২৫ জন আহত হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৯০ জন। দের লাখের ও  বেশি মানুষের স্থানীয় বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।   

বুধবার কেনিয়ার বিখ্যাত পর্যন্ত এলাকা মাসাই মারা বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ অঞ্চলের একটি নদী হঠাৎ করে প্লাবিত হলো পর্যটকসহ ১০০ জন হড়কা বানে ভেসে যায়। সেখান থেকে ৯০ জনকে সফলভাবে উদ্ধার করার কথা জানায় কেনিয়া কর্তৃপক্ষ। 


কেনিয়া   বৃষ্টিপাত   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পুলিশের অভিযানে বিপর্যস্ত কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস

প্রকাশ: ০৮:২৮ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজার ঘটনার প্রতিবাদ ঠেকাতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিলটন হলে অভিযান চালিয়ে একশোর বেশি আটকের ঘটনায় পুরো ক্যাম্পাসই এখন বিপর্যস্ত।

বিশ্ববিদ্যালয়টির সব প্রবেশ পথেই এখন পুলিশ ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীদের ভিড়, রাস্তায় ব্যারিকেড। জিনিসপত্র নিয়ে শিক্ষার্থীরা বাড়ির উদ্দেশে ক্যাম্পাস ছাড়ছে। ক্লাস বাতিল হয়েছে আর পরীক্ষা কবে হবে ঠিক নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এরপর কী হতে যাচ্ছে তা নিয়েই সর্বত্র এক থমথমে ভাব আর অনিশ্চয়তা।

পুলিশি অভিযানের পর এক বার্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নেমাত শফিক বলছেন, তাকে গভীর দু:খ নিয়েই শিক্ষার্থী ও অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানের নির্দেশ পুলিশকে দিতে হয়েছে এবং এ ক্ষত শুকাতে সময় লাগবে।

অন্যদিকে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতার ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর। সেখানে ক্যাম্পাসে পুলিশকে ডাকার আগেই মুখোশ পরিহিত ইসরায়েলপন্থি একটি গ্রুপ ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের তাবুতে হামলা চালায়।

গভর্নরের মুখপাত্র বলেছেন, এ ঘটনায় 'সীমিত ও বিলম্বিত' পুলিশি হস্তক্ষেপ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। বুধবার ওই ক্যাম্পাসে শত শত পুলিশ কর্মকর্তা অবস্থান নিয়েছিল।

তবে অনেকেই অভিযোগ করেছেন, মঙ্গলবার মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের তাঁবুকে ঘিরে সংঘর্ষের সময় পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়নি। যদিও কর্মকর্তারা বলেছেন সহিংসতার সূচনার পর দ্রুত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

মূলত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যক্তি ও কোম্পানিকে বয়কটের দাবিতে গত কিছুদিন ধরেই প্রচণ্ড ছাত্র বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। মঙ্গলবার রাতে কয়েকটি জায়গায় তা সংঘর্ষের রূপ নেয়।

এর আগে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হার্ভার্ড থেকে ইয়েলসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ফিলিস্তিনের পক্ষে ও ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত কোম্পানি ও ব্যক্তিদের বয়কট করার আহ্বান জানাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা।

সর্বশেষ পহেলা মে রাতে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের দখল করে রাখা অ্যাকাডেমিক ভবন দখলমুক্ত করতে অভিযান চালায় নিউইয়র্ক পুলিশ। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে নয়টায় অভিযান শুরু করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে তারা হ্যামিলটন হল নামে ওই ভবনে প্রবেশ করেছে। সেখানে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীদের সবাইকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।


পুলিশ   কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়   ক্যাম্পাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আমিরাতে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে ১৩ টি ফ্লাইট বাতিল

প্রকাশ: ০৮:১১ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া মাঝপথ থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে আরও কয়েকটি বিমান।  

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং পাঁচটি বিমানকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র। 

তিনি বলেছেন, 'দুবাই বিমানবন্দর নিশ্চিত করেছে খারাপ আবহাওয়ার কারণে রাতের বেলা পাঁচটি বিমানকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং নয়টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।'

এছাড়া বিমানবন্দরে আসার ক্ষেত্রে সময় নিয়ে বের হওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। কারণ বৃষ্টির কারণে রাস্তায় দীর্ঘ জ্যামের সৃষ্টি হতে পারে। 

আরব আমিরাতে সাধারণত এত বৃষ্টিপাত দেখা যায় না। তবে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশটিতে একদিনে এক বছরের সমান বৃষ্টিপাত হয়। এতে বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পানি জমে যায়। পানির পরিমাণ এতই বেশি ছিল যে রাস্তায় থাকা গাড়িগুলো ভেসে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যায়।


সংযুক্ত আরব আমিরাত   বৃষ্টিপাত   ফ্লাইট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন