ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হতে পারেন যে ৪ কারণে

প্রকাশ: ০৯:৩৯ এএম, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের আগামী ২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের গ্রহণযোগ্যতা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে দিয়ে তিনি বাইডেনের তুলনায় বেশ এগিয়েই আছেন। বিভিন্ন জড়িপে বাইডেনের আগে উঠে আসছে ট্রাম্পের নাম। সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব পালনকালে অন্তত দু’বার অভিশংসনের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সর্বশেষ ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি একাধিক ফৌজদারি মামলার অভিযোগের মুখোমুখি এবং তার সমালোচকরা সতর্ক করে এটাও বলেছেন, স্বৈরশাসক হিসেবে দেশ শাসনের চক্রান্ত করেছিলেন তিনি। এতকিছুর পরও আগামী বছরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়লাভের সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।

সম্প্রতি দেশটিতে পরিচালিত জাতীয় জনমত জরিপে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান শিবির থেকে মনোনয়নের দৌড়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন বলে উঠে এসেছে। এতে প্রায় ৫০ শতাংশ পয়েন্ট পেয়ে এগিয়ে আছেন তিনি।

তিন বছর আগে মার্কিন রাজনীতিতে অপদস্থ এবং পরাজিত হওয়ার পর ওই জরিপে দারুণ প্রত্যাবর্তনের আভাস মিলেছে ট্রাম্পের।

যে চার কারণে আগামী বছরের নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে জিততে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প-

নাখোশ ভোটার

জো বাইডেন নেতৃত্বাধীন হোয়াইট হাউস যুক্তি দিয়ে বলেছে, মার্কিন অর্থনীতি বর্তমানে ভালো অবস্থায় রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা ছাড়ার সময় দেশে বেকারত্বের হার ৬ দশমিক ৩ শতাংশ থাকলেও তা ঐতিহাসিক সর্বনিম্ন ৩ দশমিক ৯ এ নেমে এসেছে। এছাড়া ২০২২ সালের জুনে দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশে পৌঁছালেও অক্টোবর পর্যন্ত তা ৩ দশমিক ২ ছিল।

কিন্তু দেশটির অনেক গোত্র, তরুণ ভোটারসহ জনগণের বড় একটি অংশ জো বাইডেন নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের কথায় আস্থা রাখতে পারছেন না। তারা মুদিপণ্য, গাড়ি, বাড়ি, শিশু এবং বয়স্কদের সেবার মতো প্রয়োজনীয় পণ্য ও পরিষেবার খরচের সাথে নিজেদের আয়ের তাল মিলিয়ে চলতে না পারার দুর্দশার কথা তুলে ধরছেন।

বাইডেন যখন দেশটির অর্থনীতি নিয়ে কথা বলেন, তখন আমেরিকানরা অর্থনৈতিক সূচক নয় বরং তাদের সামর্থ্য-সক্ষমতার কথা ভাবেন। মতামত জরিপগুলোতে দেখা যায়, ভোটাররা বরং রিপাবলিকান আমলের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে বেশি ভালো হিসেবে দেখেন। যদিও ট্রাম্প আগামী নির্বাচনে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে কেবল অস্পষ্ট প্রস্তাব দিয়েছেন।

ভয়

অর্থনীতির বাইরেও আরও নানাবিধ কারণে দেশটির ভোটাররা বিচলিত। ট্রাম্প উদ্বেগের সাথে কথা বলেন। তার সেই কথা বাস্তব হোক বা না হোক এটা সত্য যে অনেক শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান এমন একটি দেশে রয়েছেন; যা ক্রমবর্ধমান বৈচিত্র্যময় এবং আরও সাংস্কৃতিকভাবে প্রগতিশীল হয়ে উঠছে।

তাদের ভিত হারিয়ে ফেলার একটি বিস্তৃত বোধও রয়েছে। কারণ আমেরিকান জীবনের মূল ভিত্তি— বাড়ির মালিকানা, মুদ্রাস্ফীতির সাথে তাল মিলিয়ে চলা সম্মানজনক মজুরি এবং কলেজ শিক্ষা বর্তমানে অনেকের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। জরিপে দেখা যায়, ভোটাররা দেশটিতে সংঘটিত অপরাধের বিষয়ে উদ্বিগ্ন। একই সঙ্গে তারা মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে অবৈধ অভিবাসীদের ঢল নিয়েও বিচলিত।

ট্রাম্প এসব ভীতিকে নিজের পক্ষে পরিচালনায় ব্যাপক পারদর্শী। যদিও তিনি নিজেকে মার্কিন রাজনৈতিক ব্যবস্থার বাইরে থেকে আসা একজন হিসেবে উপস্থাপন করছেন। তিনি একাধারে অগ্নিসংযোগকারী এবং অগ্নিনির্বাপক— উভয়ই। তিনি বলছেন, বর্তমানে বাইডেন প্রশাসনের আমলে যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে এবং এই বিশৃঙ্খলা থেকে মার্কিন নাগরিকদের উদ্ধারে নিজেকে ‘‘ত্রাতা’’ হিসেবে জাহির করছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের পদক্ষেপ উপেক্ষা করার মতো নয়

যদিও নিজ দলের মধ্যে থাকা অনেক সমালোচক, ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এবং কিছু কিছু গণমাধ্যমও ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসের জন্য অযোগ্য হিসাবে দেখে। কিন্তু দেশটির লাখ লাখ ভোটার আবার এই বিষয়ে একমত নন।

ট্রাম্প রাজনৈতিক মঞ্চে অনিষ্টকারীদের চক্রান্তের শিকার বলে তার অনেক সমর্থক মনে করেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও ইপসোসের এক জরিপে অংশ নেওয়া রিপাবলিকানদের অন্তত অর্ধেকই বলেছেন, ট্রাম্পকে যেকোনও একটি অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হলেও তাকে ভোট দিতে কোনও সমস্যা হবে না।

দেশটির সাবেক এই প্রেসিডেন্ট তার ক্ষমতার চার বছরের দিকেও ইঙ্গিত করতে পারেন। তিনি যুক্তি দিতে পারেন, তার আমলে সরকারের সব সংস্থাই বহুলাংশে ভালোভাবে কাজ করেছে। যদিও ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে বিশৃঙ্খলভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে।

সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে সবচেয়ে গুরুতর যে অভিযোগ উঠেছিল, সেটি হলো রাশিয়ার সাথে যোগসাজশ করে ক্ষমতায় এসেছেন তিনি। আর এই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।

সব দায় বাইডেনের, নেই কৃতিত্ব

ট্রাম্প এমন এক হোয়াইট হাউসের কথা বলে জনসাধারণের কাছে সুবিধা নিতে পারেন; যা এখন পর্যন্ত জনসাধারণকে অনেক কিছু বোঝাতে পারেনি। এর মধ্যে রয়েছে বাইডেনের তৈরি করা চাকরি সংক্রান্ত নতুন নীতিমালা, অবকাঠামো, ক্লিন এনার্জি এবং চিপ উৎপাদনে সরকারি বিপুল বিনিয়োগ সত্ত্বেও মানুষের অপরিবর্তিত জীবন।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর দুটি বিদেশি যুদ্ধে জড়িয়েছেন; যা আমেরিকানদের বিভক্ত করে তুলেছে। ট্রাম্পের নিজেকে সবসময় ‘‘হস্তক্ষেপবিরোধী’’, ‘‘আমেরিকা ফার্স্ট’’ নীতিতে বিশ্বাসী হিসেবে দাবি করেন। তার এই বার্তা ইউক্রেন বা ইসরায়েলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জড়িয়ে পড়ার ভয়ে ভীত ভোটারদের রিপাবলিকান শিবিরে টানতে পারে।

বিপরীতে জো বাইডেন ঐতিহ্যগতভাবে হস্তক্ষেপবাদী আমেরিকান পররাষ্ট্রনীতির ধারা বজায় রেখে চলেছেন।

 

ওপরে যে চারটি কারণের কথা তুলে ধরা হয়েছে, তার অর্থ এই নয় যে নির্বাচনে ট্রাম্পের জয় একেবারে নিশ্চিত। তিনি এখনও দেশটির অনেক অংশে এবং অনেক জনগোষ্ঠীর মাঝে ব্যাপকভাবে অপছন্দনীয় রয়ে গেছেন। যদি তাকে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়, তাহলে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থীর পক্ষে উচ্চ ভোট পড়ার সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে।

তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক ১১ মাস আগে এখন পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের যে জনপ্রিয়তা দেখা যাচ্ছে, তাতে হোয়াইট হাউসে তার ফেরার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স।


ট্রাম্প   গ্রেপ্তার   জামিন   নির্বাচন   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভূমিধস ও বন্যায় ব্রাজিলে নিহত ৫৬

প্রকাশ: ০৮:৫৯ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্র্যান্ডে দো সুল কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় তলিয়ে গেছে। রাজ্যটিতে প্রবল বর্ষণে এখন পর্যন্ত ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ৬৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যে কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। রিও গ্র্যান্ডে দো সুলে আরও ৬৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
গত শনিবার ঝড়-বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ২৫ হাজার বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। কমপক্ষে ৫ লাখ মানুষ বিদ্যুৎ এবং বিশুদ্ধ পানি ছাড়াই থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনকি ব্রাজিলের এই অঞ্চলে আরও বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মূলত গড় তাপমাত্রা, উচ্চ আর্দ্রতা এবং শক্তিশালী বাতাসের বিরল সংমিশ্রণের কারণে লাতিন আমেরিকার এই দেশটির এই অঞ্চলে চরম আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যের ৪৯৭টি শহরের অর্ধেকেরও বেশি শহর ঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বেশ কয়েকটি এলাকায় রাস্তা ও সেতু ধ্বংস হয়ে গেছে।

ঝড়ের কারণে বেন্টো গনসালভেস শহরের কাছে ভূমিধস এবং একটি জলবিদ্যুৎ বাঁধ ভেঙে যায়, যাতে ৩০ জন নিহত হয়। এছাড়া পানির স্তর বৃদ্ধির কারণে এলাকার একটি দ্বিতীয় বাঁধও ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

আঞ্চলিক রাজধানী পোর্তো আলেগ্রেতে গুয়াইবা নদীর পানি তীর উপচে পড়েছে এবং রাস্তায় বন্যার সৃষ্টি করেছে। এতে করে আশপাশের কিছু এলাকাও তলিয়ে গেছে।

পোর্তো আলেগ্রের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘অনির্দিষ্টকালের’ জন্য সমস্ত ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে।

একজন বাসিন্দা বলেছেন, বৃষ্টি ও বন্যায় যে ক্ষতিটি হয়েছে তা ‘হৃদয়বিদারক’। মারিয়া লুইজা বলেন, ‘আমি এই এলাকায় থাকি, তাই এখানে যারা বাস করে তাদের প্রত্যেকের জন্য আমি দুঃখিত। এটা খুবই দুঃখজনক যে, এই সব হচ্ছে।’


ভূমিধস   বন্যা   ব্রাজিল   নিহত ৫৬  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুদ্ধ বন্ধ ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো চুক্তি করবে না হামাস

প্রকাশ: ০৮:৫৭ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে টানা সাত মাস ধরে চলা নির্বিচারে হামলায় গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে। এরসঙ্গে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট।

এমন অবস্থায় গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। তবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস বলেছে, গাজায় যুদ্ধ শেষ হওয়া ছাড়া কোনো ধরনের যুদ্ধবিরতিতে তারা রাজি হবে না।

যদিও ইসরায়েলের সঙ্গে হামাস যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনায় রাজি হয়েছে এবং যেকোনো সময় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসতে পারে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা শনিবার গভীর রাতে জানিয়েছেন, হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতির এমন কোনো প্রস্তাবে ‘কোনোভাবেই একমত হবে না’ যেটাতে স্পষ্টভাবে যুদ্ধের সম্পূর্ণ সমাপ্তির কথা অন্তর্ভুক্ত থাকবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামাসের ওই কর্মকর্তা ‘গাজায় আগ্রাসন বন্ধের বিষয়টি যুক্ত না করে’ কেবল ইসরায়েলি বন্দী মুক্তির ইসরায়েলি প্রচেষ্টার নিন্দাও করেছেন

হামাসের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘হামাস কোনো অবস্থাতেই এমন চুক্তিতে সম্মত হবে না যেটাতে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের বিষয় স্পষ্টভাবে অন্তর্ভুক্ত থাকবে না। যুদ্ধের সম্পূর্ণ অবসান এবং সমগ্র গাজা উপত্যকা থেকে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার ছাড়া কোনো চুক্তিই হবে না।

এর আগে ইসরায়েলের উচ্চ-পর্যায়ের এক কর্মকর্তা শনিবার বলেন, যুদ্ধের অবসান ঘটানোর যে দাবি হামাস করছে, তা ‘(যুদ্ধবিরতির বিষয়ে) চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনাকে ব্যর্থ করে দিচ্ছে।

এএফপি বলছে, হামাস ও ইসরায়েলের দুই কর্মকর্তার বক্তব্য এমন এক সময়ে সামনে এলো যখন- প্রায় সাত মাসের যুদ্ধে প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে শনিবার হামাসের আলোচকরা মিশরে গেছেন।

ব্রিটেনের প্রকাশিত বিবরণ অনুসারে, সম্ভাব্য একটি চুক্তির প্রস্তাবের বিষয়ে হামাসের জবাবের জন্য অপেক্ষা করছে মিশর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীরা। এই চুত্তি হলে ৪০ দিনের জন্য যুদ্ধ বন্ধ হবে এবং ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনিদের বন্দীদের সাথে গাজায় আটক বন্দীদের বিনিময় করা হবে। হামাস কর্মকর্তা শনিবার গভীর রাতে জানিয়েছেন, ‘কোনো ধরনের অগ্রগতি’ ছাড়াই এদিনের আলোচনা শেষ হয়েছে।

ওই কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস এই চুক্তিটিতে ‘সম্পূর্ণ এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির চুক্তি’ বলে একটি সুস্পষ্ট এবং পরিষ্কার বিধান অন্তর্ভুক্ত করতে অনুরোধ করেছে এবং ইসরায়েল এখন পর্যন্ত এই বিষয়টি মানেনি।


যুদ্ধ   বন্ধ   ইসরায়েল   হামাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

টিকটকসহ নেট দুনিয়ায় ভাইরাল কিমের গাওয়া গান

প্রকাশ: ০৫:৫০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

কিম জং উন হয়তো ভাবতে পারেননি তার গানটি ঝড় তুলবে টিকটকে। কিন্তু বাস্তবে ভাবনার থেকে বেশি কিছু হলো। দুই সপ্তাহ আগে প্রকাশ করা ভিডিও গানটি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ টিকটকে। একই সঙ্গে সেটি ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক নিজের প্রসংশায় এই গানটি প্রচার করেছেন তার জনগণের জন্য।

সম্প্রতি কিম জং উনের একটি প্রকাশ করা ভিডিও গান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তিনি হয়তো ভাবতে পারেননি তার গানটি ঝড় তুলবে টিকটকে। কিন্তু বাস্তবে ভাবনার থেকে বেশি কিছু হলো। দুই সপ্তাহ আগে প্রকাশ করা ভিডিও গানটি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ টিকটকসহ নেট দুনিয়ায়। উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক নিজের প্রসংশায় এই গানটি প্রচার করেছেন তার জনগণের জন্য। গানটি প্রকাশের পর থেকেই এটি নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।

সমালোচকরা বলছেন, ভিডিওটির মধ্যে একটি অশুভ বার্তা লুকিয়ে রয়েছে৷ তাদের দাবি, গানটিতে কিমের অতিরঞ্জিত প্রসংসা করা হয়েছে এবং ব্যাপকভাবে প্রপাগাণ্ডা চালানো হয়েছে।

“ফ্রেন্ডলি ফাদার” শিরোনামে গানটির শুরুতেই কিমের প্রসংসা করে বলা হয়েছে, তোমার নেতা “তোমার মায়ের মতো উষ্ণ হৃদয়ের অধিকারী” এবং “তোমার বাবার মতো উদার”। এই লিরিক বাজার সঙ্গে সঙ্গে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অনেক শিশুর মধ্যে বসে উৎফুল্ল কিম একটি শিশুকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করছেন। এ সময় লিরিকে শোনা যায়, “তোমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ বাবা”।

এই অংশে শিশুদের সঙ্গে কিমের হাস্যোজ্জ্বল ব্যবহারের মাধ্যমে একতার আহ্বান জানানো হয়েছে। গানটিতে উত্তর কোরিয়ার জনগণের কাছে তাদের স্বৈরশাসককে একজন মা এবং একজন বাবার সাথে তুলনা করে তাকে মহৎ দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

এরপর দেখা গেছে অন্য আরেকদল উৎফুল্ল বাচ্চার সঙ্গে গান গাচ্ছেন উত্তর কোরীয় নেতা। পরের দৃশ্যে দেখা গেছে, উত্তর কোরিয়ার সমাজের সম্মানিত ব্যক্তিরাও কিমের সঙ্গে একই গান গাইছেন। সেখানে বলা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়া রাষ্ট্র একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি চায়।

গানটি শুরু হয়েছে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার প্রশংসা দিয়ে। এরপর তাকে প্রত্যেকের পরিবারের অংশ হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এরপরের অংশে বলা হয়েছে, “আসুন আমরা আমাদের মহান নেতা কিম জং উন সম্পর্কে গান করি”, “আসুন আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ পিতা কিম জং উন সম্পর্কে গর্ব করি।”

সমালোচকরা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার জনগণের কাছে কিম নিজেকে জাতির পিতা হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি তার পার্লামেন্টেও এই ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। সমালোচকরা আরও বলছেন, কিম তার জনগণের মগজ ধোলাই করার জন্য নিজের প্রশংসায় তৈরি গান প্রচার করছেন।

কিম জং উন ২০১২ সালে তার বাবা কিম জং ইলের স্থলাভিষিক্ত হন। কিম জং ইলকে উত্তর কোরিয়ার “মহান উত্তরসূরি” বলে অভিহিত করা হয়। কিমের দাদা কিম ইল সুং দুটি উপাধি ধারণ করেছিলেন – “পিতা” এবং “দ্য গ্রেট”। অনেকে ধারণা করছেন, কিম নিজেও তার উত্তরসূরিদের মতো কোনো উপাধি গ্রহণ করতে চাচ্ছেন।


টিকটক   ভাইরাল   কিম জং উন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শস্য ও খাদ্য উৎপাদনের সক্ষমতা হারিয়েছে গাজা!

প্রকাশ: ০৫:৪৫ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের সাত মাসেরও বেশি সময় পার হয়েছে। আর এই করুণ সময়ে সবদিক থেকেই প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছে গাজা। শুধু তাই নয়, এই সময়ের মধ্যে শস্য ও খাদ্য উৎপাদনের পুরো সক্ষমতা হারিয়েছে ফিলিস্তিনের এই অবরুদ্ধ ভূখণ্ড। পাশাপাশি সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়েছে উপত্যকার বিশুদ্ধ পানির জোগান। শুক্রবার (০৩ মে) ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের লাগাতার বোমা হামলা এবং বুলডোজারের চাপায় ধূলিসাৎ হয়েছে গাজার অধিকাংশ কৃষিজমি এবং ফলের বাগান। তারপরও কিছু জমি হয়তো বেঁচে ছিল, কিন্তু বোমা হামলা থেকে বাঁচতে গাজাবাসী যখন দক্ষিণ দিকে ছুটেছে, তখন পেছনে ফেলে যাওয়া জমির ফসল এবং গবাদিপশু মারা পড়েছে পানির অভাব ও অনাহারে।

আশরাফ ওমর নামে উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ার এক বাসিন্দা সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টকে জানান, জানুয়ারির শেষের দিকে ইসরায়েলি সেনারা তার ফসলের জমি বুলডোজার দিয়ে পুরোপুরি নষ্ট করে দিয়েছে। একইসঙ্গে তার একটি গ্রিনহাউস এবং সৌরশক্তির প্রকল্প ছিল, সেগুলোও ভেঙে ফেলেছে ইসরায়েলি সেনারা। সবকিছু গুঁড়িয়ে দিয়ে সেখানে তারা একটি সামরিক বাফার জোন তৈরি করেছে।

তিনি জানান, পূর্ব পুরুষের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া এসব জমিতে তারা কমলা, লেবু, আলু, বেগুন, টমেটো এবং শসা চাষ করতেন। কিন্তু এখন সেসব শুধুই স্বপ্ন। আশরাফ ওমরের গল্প এখন গাজার প্রতিটি মানুষের।

গাজার কৃষি তথ্য, স্যাটেলাইট ইমেজ, উপত্যকার বিশেষজ্ঞ ও ফিলিস্তিনিদের সাক্ষাৎকার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ইতোমধ্যেই গাজার দুর্বল কৃষি ব্যবস্থা একেবারে পতনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।

গাজার কৃষি খাত ধ্বংসের মাত্রা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, বেআইনিভাবে ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় নিজেদের সামরিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে হামাস এবং অন্য সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো। এসব ঠেকাতে আইডিএফ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সেসব সামরিক প্রয়োজনের ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে এবং তা আন্তর্জাতিক আইন অনুসারেই করা হয়েছে।

যদিও যুদ্ধের আগেও গাজার বেশির ভাগ ফল ও সবজি আমদানিই করা হতো। কারণ ২০০৭ সালে হামাস ক্ষমতা দখলের পর গাজার ওপর শাস্তিমূলক অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল এবং মিশর। সে কারণে গাজার খাবার উৎপাদনের ক্ষমতা প্রায় দুই দশক ধরে সীমিত। এখনো একটি সীমান্ত ক্রসিং ছাড়া সব সীমান্তই নিয়ন্ত্রণ করে ইসরায়েল। এর ফলে সীমিত বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ছাড়া গাজায় প্রায় সব ধরনের আমদানি ও রপ্তানি সীমাবদ্ধ। পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে গাজাবাসীর।


ওয়াশিংটন পোস্ট   গাজা   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ক্ষুধায় বহু মানুষ মারা যেতে পারে সুদানে: জাতিসংঘ

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে অনাহারে বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের খাদ্যবিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)। সংস্থাটি বলেছে, পশ্চিম সুদানের দারফুরে মানুষের অনাহার ঠেকোনোর সময় ফুরিয়ে আসছে। ক্রমবর্ধমান সহিংসতা গোটা জাতিকে শেষ করে দিচ্ছে।

শুক্রবার যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা বলেছে, দারফুর এবং সুদানের অন্যান্য যুদ্ধকবলিত এলাকায় খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে। এসব এলাকায় মানবিক সাহায্যের অনুমতি না দিলে ক্ষুধায় বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

গত বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত শুরু হয়। পরবর্তীতে এই সংঘাত দেশটিতে গৃহযুদ্ধের রূপ নেয়। প্রাণ বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে অনেক মানুষ। যুদ্ধের কারণে দেশটির কৃষি উৎপাদন ৭৮ শতাংশ কমে গেছে।

ডব্লিউএফপির পূর্ব আফ্রিকার পরিচালক মাইকেল ডানফোর্ড শুক্রবার বলেছেন, খাদ্যাভাবে মানুষ বাদামের খোসা খেতে বাধ্য হচ্ছে। শিগগিরই তাদের কাছে সহায়তা না পৌঁছালে দারফুর ও সংঘাত বিধ্বস্ত সুদানের অন্যান্য এলাকায় ব্যাপক অনাহার এবং মৃত্যুঝুঁকি দেখতে হতে পারে।

গত বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রসের (আইসিআরসি) দুজন কর্মী দক্ষিণ দারফুরে অস্ত্রধারীদের গুলিতে নিহত হন। আহত হন আরও তিনজন কর্মী। অঞ্চলটিতে সর্বশেষ বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আরএসএফের উত্তর দারফুরের রাজধানী এল ফাশের ঘেরাও করার সময়।

পরিস্থিতি বর্ণনা করে সুদানে জাতিসংঘের ডেপুটি হিউম্যানিটেরিয়ান কোঅর্ডিনেটর টবি হেওয়ার্ড বলেন, শহর ও আশপাশের এলাকাগুলোতে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে পুরো গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং ক্রমাগত বিমান থেকে বোমা হামলা চালানো হয়েছে।

হেওয়ার্ড আরও বলেন, এল ফাশেরই একমাত্র শহর যেটি এখনো আরএসএফ দখল করতে পারেনি। সেখানে অন্যান্য এলাকা থেকে আসা হাজারো উদ্বাস্তু আশ্রয় নিয়েছে। এল ফাশেরে অন্যান্য এলাকা থেকে সহিংসতায় উদ্বাস্তু হওয়া ৫ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।

তবে ‘ইউএন অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স’ (ওসিএইচএ) বলছে, এল ফাশেরকে তুলনামূলক নিরাপদ মনে করা বাসিন্দারা এখন বিপদে পড়েছেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সেখানকার ৩৬ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়েছে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বৃহস্পতিবার বলেন, দুই সপ্তাহ আগে বেড়ে যাওয়া সংঘাতে এল ফাশের ও এর আশপাশে ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, পশ্চিম এল ফাশেরে এক ডজনেরও বেশি গ্রামে হামলা চালানো হয়েছে। যৌন সহিংসতা, শিশু হত্যা, বাড়িঘরে আগুন এবং অবকাঠামো ধ্বংসসহ ভয়ংকর সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।

সংঘাতের এমন পরিস্থিতি আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে দারফুরে খাদ্য সহায়তা বিতরণের কাজ থেমে গেছে। ওই অঞ্চলের ১৭ লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধায় ভুগছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএফপি।

ওসিএইচএ এর হিসাবে, যুদ্ধের কারণে সুদানে ৪৬ লাখ শিশুসহ ৮৭ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। দেশটির ২ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের জন্য জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।


জাতিসংঘ   সুদান   ক্ষুধা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন