ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের তামিলনাডুতে ভারি বৃষ্টি, বন্যায় নিহত ৩১

প্রকাশ: ০৭:১১ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাডুতে চলতি সপ্তাহে ভারি বৃষ্টি ও বন্যায় অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর চার জেলার অধিকাংশ এলাকা ডুবে গেছে। শুক্রবার দেশটির কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এ তথ্য জানিয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, ভারি বৃষ্টির কারণে রাজ্যটির বেশ কয়েকটি জেলার জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় বহু মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। লোকালয়, রাস্তাঘাট, রেল লাইন ডুবে গেছে। ভারতের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে ঘূর্ণিঝড় মিগযাউম আঘাত হানার কয়েকদিন পর থেকে ওই অঞ্চলে বন্যা দেখা দেয়। 

শুক্রবার বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের সময় সীতারামন সাংবাদিকদের বলেন, বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকা থেকে এ পর্যন্ত ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া যারা আটকা আছেন, তাদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এ পরিস্থিতিতে উদ্ধারকারীরা উদ্ধারকাজ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। 

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ইতোমধ্যেই তামিলনাড়ুতে এই আর্থিক বছরে ব্যবহার করার জন্য দু’টি কিস্তিতে ৯০০ কোটি রুপির তহবিল প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন সীতারামন। 

বন্যাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত শুরু হয়েছে। তামিলনাড়ু রাজ্যের মন্ত্রী মানো থাঙ্গারাজ অভিযোগ করেছেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেরিতে দেওয়া হয়েছে। সে কারণে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। তবে সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন নির্মলা সীতারামন।

তিনি আঞ্চলিক আবহাওয়া কেন্দ্র সম্পর্কেও বলেন, চেন্নাইতে তিনটি ডপলার-সহ অতি-আধুনিক সরঞ্জাম রয়েছে। এগুলো তামিলনাড়ু রাজ্যের চারটি জেলা - তেনকাসি, কন্যাকুমারী, তিরুনেলভেলি ও তুতিকোরিনে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছিল।

আগামী পাঁচ দিন রাজ্যটির বিভিন্ন অংশে আরও বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। এবার ইতোমধ্যে তার তিনগুণ বৃষ্টি হয়েছে বলে আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে। চলতি সপ্তাহে তামিলনাডুতে ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। 


ভারত   তামিলনাডু   বন্যা   নির্মলা সীতারামন   আবহাওয়া কেন্দ্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বন্দুক হামলায় ৩ মার্কিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৪

প্রকাশ: ০৯:০৫ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে বন্দুকধারীদের হামলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তিন কর্মকর্তা ও আরও একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। বন্দুক হামলার ঘটনার পর সন্দেহভাজন একজন হামলাকারীর মরদেহ উদ্ধার করে তারা। 

স্থানীয় সময় সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের শার্লট শহরে বন্দুক হামলা ও প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। আগ্নেয়াস্ত্র রাখার দায়ে এক ব্যক্তিকে আটক করতে হতাহত এসব পুলিশ কর্মকর্তা সেখানে গিয়েছিলেন।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের শার্লটে ওয়ারেন্ট বাস্তবায়নের সময় তিনজন আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এবং এই ঘটনায় অন্য আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, অন্তত একজন সন্দেহভাজন হামলাকারীকে একটি ব্যারিকেডেড বাড়ির সামনের উঠানে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। গোলাগুলি ও বন্দুক হামলার এই ঘটনা প্রায় তিন ঘণ্টা স্থায়ী ছিল।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলায় দুই বন্দুকধারী জড়িত ছিল। আহত অফিসাররা ইউএস মার্শাল সার্ভিসের নেতৃত্বাধীন টাস্ক ফোর্সের অংশ।

বিবিসি বলছে, শার্লটের শহরতলীর রাস্তায় যখন বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয় তখন এসব পুলিশ কর্মকর্তা আগ্নেয়াস্ত্র রাখার দায়ে এক অপরাধীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছিলেন।

শার্লট-মেকলেনবার্গ পুলিশ প্রধান জনি জেনিংস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, অফিসাররা সামনের উঠানে একজন আততায়ীর দিকে গুলি চালায়, তারপর বাড়ির ভেতরে থেকে তাদের ওপর আরও গুলি চালানো হয়।

সোমবার শহরের পূর্বের একটি আবাসিক এলাকায় হামলা শুরু হওয়ার দুই ঘণ্টারও বেশি সময় পরও গোলাগুলি চলছিল। পরে গালওয়ে ড্রাইভে পুলিশ বাড়িতে হামলা চালালে ঘটনাটি শেষ হয়।

সন্দেহভাজন ব্যক্তির সাথে বাড়ির ভেতরে থাকা আরও দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। 

এদিকে মার্কিন মার্শাল সার্ভিস এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে, অভিযানে তাদের একজন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

নর্থ ক্যারোলিনার গভর্নর রয় কুপার বলেছেন, নিহত দুই কর্মকর্তা অঙ্গরাজ্যের প্রাপ্তবয়স্ক সংশোধন বিভাগের সদস্য। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন, 'আজকের নৃশংস হামলায় নিহত অফিসারদের পরিবার এবং সহকর্মীদের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা রয়েছে।'

এদিকে শহরের এক পুলিশ অফিসার আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ এখনও এই ঘটনায় হতাহত কোনো কর্মকর্তার নাম বা জড়িত সন্দেহভাজনদের নাম প্রকাশ করেনি।


বন্দুক হামলা   পুলিশ   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পেরুতে ৬৫০ ফুট খাদে পড়ল বাস, নিহত ২৫

প্রকাশ: ০৮:৪৯ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছেন। দেশটিতে পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে গেলে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। খবর এএফপি

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেরুর উত্তরাঞ্চলে পাহাড়ি রাস্তা থেকে একটি বাস খাদে পড়ে যাওয়ার পর কমপক্ষে ২৫ জন মারা গেছেন এবং আরও এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সোমবার জানিয়েছে।

স্থানীয় কর্মকর্তা ওলগা বোবাডিলা আরপিপি রেডিওকে বলেছেন, গত রোববার গভীর রাতে কাজামার্কার আন্দিয়ান অঞ্চলে গর্তযুক্ত ময়লা রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে এবং বাসটি প্রায় ২০০ মিটার (প্রায় ৬৫০ ফুট) গভীরে পড়ে যায়।

দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে ২৩ জনের নিহত হওয়ার কথা জানানো হলেও পরে এই তথ্য হালনাগাদ করে ২৫ জন বলে জানানো হয়।

পৌরসভার কর্মকর্তা জেইম হেরেরা বলেন, ৫০ জনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে বাসটি একটি নদীর ধারে পড়ে যায় এবং আরোহীদের কয়েকজন পানিতে ভেসে গেছে।

উদ্ধারকর্মীরা এবং দমকলকর্মীরা দুর্ঘটনাস্থলে রয়েছেন এবং সেখান থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এই দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির পর সেলেনডিন পৌরসভা ৪৮ ঘণ্টার শোক ঘোষণা করেছে। বাসটি রাস্তায় চলাচলের উপযোগী ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে কর্তৃপক্ষ।

এএফপি বলছে, পেরুতে বাস দুর্ঘটনা খুবই সাধারণ বিষয়। বিশেষ করে রাতে এবং পাহাড়ের হাইওয়েতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এছাড়া দ্রুত গতি, রাস্তার খারাপ অবস্থা, রোড সাইনের অভাব এবং ট্রাফিক নিয়ম-কানুনের দুর্বল প্রয়োগের কারণে পেরুর রাস্তায় প্রায়ই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।


পেরু   বাস   নিহত   সড়ক দুর্ঘটনা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে ইইউ

প্রকাশ: ০৮:৪২ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সম্মত প্রকাশ করেছে। আগামী মে মাসের শেষ দিকে জোটের অধিকাংশ দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিভাগের প্রধান জোসেপ বরেল গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

সৌদি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আন্তর্জাতিক আরবি সংবাদ টেলিভিশন চ্যানেল আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক জোট ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলন চলছে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে। বিশেষ এই সম্মেলনে ইইউ’র প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিয়েছেন বরেল।

সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বরেল বলেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য ইইউর সদস্য স্পেন, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা ও স্রোভেনিয়া সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে।

এর আগে গত মার্চে দেশ তিনটি জানিয়েছিল, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ার জন্য যৌথভাবে কাজ করবে তারা। 

এদিকে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল ইইউর চারটি দেশকে বলে, তাদের এই উদ্যোগ 'সন্ত্রাসবাদের জন্য পুরস্কার' হিসেবে গণ্য হবে এবং যা প্রজন্মের পুরনো দ্বন্দ্বের আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সম্ভাবনা ক্রমশ হ্রাস করবে।

এর আগে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী  পেদ্রো সানচেজ জানিয়েছিলেন, জুলাইয়ের মধ্যে ফিলিস্তিনিদের স্বীকৃতি বাড়ানোর প্রত্যাশা করেন তিনি এবং বিশ্বাস করেন, ইইউ’র মধ্যে শিগগিরই সমালোচনা হবে, যা একই অবস্থানে পৌঁছাতে কয়েকটি সদস্যকে সহায়তা করবে।


ফিলিস্তিন   স্বীকৃতি   ইইউ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রুডোর সামনেই খালিস্তানপন্থী‌ স্লোগান, কানাডার রাষ্ট্রদূতকে তলব ভারতের

প্রকাশ: ০৮:১৩ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টির ট্রুডোর উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠানে ‘খালিস্তানপন্থী’ স্লোগান দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর সোমবার ( ২৯ এপ্রিল ) কানাডার ডেপুটি হাই কমিশনারকে তলব করেছে ভারত। খালিস্তান আন্দোলন নিয়ে সম্প্রতি ভারত-কানাডার কূটনীতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এর মধ্যে বাড়তি উত্তেজনা যুক্ত হলো।

এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘এ ঘটনায় ভারত সরকার গভীর উদ্বেগ এবং দৃঢ় প্রতিবাদ জানিয়েছে। কানাডা এ ধরনের কর্মকাণ্ড অনিয়ন্ত্রিতভাবে চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে যা উদ্বেগের। আবারও প্রমাণ হলো, কানাডায় বিচ্ছিন্নতাবাদ, চরমপন্থা ও সহিংসতাকে রাজনৈতিক প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে।’
আরও বলা হয়েছে, ‘তাদের অভিব্যক্তি শুধু ভারত-কানাডা সম্পর্ককে প্রভাবিত করে না বরং কানাডায় সহিংসতা ও অপরাধের পরিবেশকে তার নিজের নাগরিকদের ক্ষতির জন্য উৎসাহিত করে।’

কানাডাভিত্তিক সিপিএসি টিভিতে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্রুডো খালসা দিবস উপলক্ষে ভাষণের মঞ্চে উঠার পর ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান আরও জোরে দেওয়া হতে থাকে। হাজার হাজার মানুষ রবিবার শহরের সবচেয়ে বড় বার্ষিক সমাবেশের উদ্দেশে টরন্টোর কেন্দ্রস্থলে উপস্থিত হয়।

ট্রুডো তার ভাষণে গত বছর শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যায় ভারত জড়িত বলে অভিযোগ করে। এছাড়াও কানাডায় শিখদের অধিকার ও স্বাধীনতা সর্বদা রক্ষা করার এবং সম্প্রদায়কে ঘৃণা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রুডো।

ভারত কানাডা সরকারের অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। বরং অটোয়া শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে দিল্লি।


কানাডা   প্রধানমন্ত্রী   জাস্টির ট্রুডোর   তলব   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিপজ্জনক হয়ে উঠছে এল নিনো

প্রকাশ: ১০:২৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে স্মরণকালের ভয়াবহ তাপপ্রবাহ। গত কয়েকদিন ধরে দেশের তাপমাত্রা এতটাই বাড়ছে যে অনেকে এটি সহ্য করতে পারছেন না। ফলে হিটস্ট্রোকসহ অন্যান্য স্বাস্থগত ঝুঁকিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। শুধু বাংলাদেশ নয়, তালিকায় আছে মিয়ানমার, ভারত, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া। সব দেশেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও এল নিনোর প্রভাবে তাপপ্রবাহ ধীরে ধীরে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে, যা নীরব ঘাতকে পরিণত হচ্ছে।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের তথ্য অনুযায়ী, এল নিনো হলো একটি জলবায়ু প্যাটার্ন। এটির মাধ্যমে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের পানি উষ্ণ হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, সমুদ্রের তাপমাত্রা, গতি, মহাসাগরীয় স্রোত, উপকূলীয় মৎস্যসম্পদের স্বাস্থ্য এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে দক্ষিণ আমেরিকার এবং এরও বাইরের অঞ্চলের ওপর প্রভাব পড়ে। এল নিনো দুই থেকে সাত বছরের বিরতি দিয়ে অনিয়মিতভাবে হয়ে থাকে। এটি কোনো নিয়মিত চক্র নয় অথবা এ নিয়ে আগে থেকে কোনো ধারণা পাওয়া যায় না।

গত বছরের এপ্রিল মাসে জলবায়ুবিদরা এল নিনোর ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, ২০২৩ সালে এটির প্রভাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। যদি ২০২৩ সালে প্রভাব না পড়ে তাহলে ২০২৪ সালে এটি বেশ ভালোভাবে পরিলক্ষিত হবে।

মিয়ানমারে গতকাল রোববার তাপমাত্রা ওঠে ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলিয়াসে, যা দেশটির ৫৬ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। একই দিনে দেশটির বাণিজ্যিক শহর ইয়াঙ্গুনের তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি আর মান্দালয়ে ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপপ্রবাহের কারণে ইয়াঙ্গুনে মোটরসাইকেল ও স্কুটার চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। চাউক শহরের একজন বাসিন্দা বলেন, ‘এখানে প্রচণ্ড গরম। আমরা ঘর থেকে বের হচ্ছি না। এ অবস্থায় আমাদের আর কিছু করার নেই।’

মিয়ানমারের আবহাওয়া পর্যবেক্ষকদের তথ্যমতে, এপ্রিলে সাধারণত যে গড় তাপমাত্রা থাকে, তার চেয়ে গত বৃহস্পতিবারের তাপমাত্রা ৩-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) এশিয়া ও দক্ষিণ–পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক বেন চার্চিল বলেন, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া অঞ্চল সাধারণত এপ্রিল মাসে উষ্ণ থাকে। কিন্তু এল নিনো (আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা) ও জলবায়ু পরিবর্তন এই অঞ্চলের তাপমাত্রাকে বিপজ্জনক পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। ডব্লিউএমওর ওয়েবসাইটে গত শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তিনি এ কথা বলেন।

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় দেশ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে রয়েছে। দেশটির আবহাওয়া দপ্তর গত শনিবার জানায়, এই পরিস্থিতিতে কোনো কোনো অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে।

তাপপ্রবাহে ভারতের সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বেঙ্গালুরুর একটি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন কর্মকর্তা অনন্ত (৩৭) বলেন, ‘জীবনে এত গরমের অভিজ্ঞতা হয়নি। খুবই অস্বস্তিকর। এই গরম আপনার কাজের সমস্ত শক্তি নিংড়ে নেয়।’

ভারতের আবহাওয়া দপ্তর আগেই পূর্বাভাসে জানিয়েছে, চলতি বছরের মার্চ থেকে মে পর্যন্ত স্বাভাবিকের চেয়ে তাপপ্রবাহ বেশি দিন থাকতে পারে। দেশটির বেশির ভাগ অঞ্চলে এই তাপপ্রবাহ থাকতে পারে।

ডব্লিউএমওর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি থাইল্যান্ডের লামপাং প্রদেশে তাপমাত্রা ৪৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত বুধবার জানায়, তাপপ্রবাহে দেশটিতে চলতি বছর ইতিমধ্যে ৩০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

ডব্লিউএমওর উপমহাসচিব কো ব্যারেট গত সপ্তাহে থাইল্যান্ডে এক অনুষ্ঠানে বলেন, গরমের কারণে যত মানুষের মৃত্যু হয়, তার পুরো চিত্র উঠে আসে না। এ ছাড়া গরমে শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা কমে, কৃষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বিদ্যুতের ওপর চাপ পড়ে। পরিসংখ্যানে এসব বিষয়ে সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয় না। প্রচণ্ড গরম ধীরে ধীরে বড় ধরনের নীরব ঘাতক হয়ে উঠছে।

এল নিনো   তাপপ্রবাহ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন