ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নির্বাচন তো শেষ, এবার কি করবে যুক্তরাষ্ট্র?

প্রকাশ: ০৩:০৩ পিএম, ০৮ জানুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

গতকাল (৭ জানুয়ারি) হয়ে গেল বহুল প্রতীক্ষিত বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের প্রায় সাত মাস আগে, গত বছর মে মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু একটি নির্বাচন করার জন্য ভিসা নীতি ঘোষণা করে। সেই তখন থেকেই মার্কিনিদের অজানা সেই ভিসা নিষেধাজ্ঞার খড়গের চাপে এদেশের মানুষের মনে বিরাজ করেছে চাপা এক উত্তেজনা। আর সেটি এই নির্বাচনকে ঘিরেই। সময়ে সময়ে যা আরও ঘনীভূত হয়েছে। অবশেষে, গতকাল সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংঘটিত হয়ে গেছে।

বাংলাদেশের মানুষের মনে এখন একটাই প্রশ্ন, এবার কি করবে যুক্তরাষ্ট্র? অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ার দোহাই দিয়ে কি নিষেধাজ্ঞার আওতায় নিয়ে আসবে বাংলাদেশকে? নাকি তাদের মতবাদে আসবে পরিবর্তন, গতকালের সফল এবং আশাব্যঞ্জক নির্বাচনটিকে দেখার পর। ইতোমধ্যেই অনেক বিদেশি পর্যবেক্ষক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। যাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষকও রয়েছেন। তবে কি যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার খড়গ চাপাবে না? কিন্তু কেন?


যে সকল দেশের ওপর আরোপিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার খড়গ এবং কেন-

নাইজেরিয়া:

গত বছরই বিভিন্ন দেশে নির্বাচন 'অবাধ এবং নিরপেক্ষ' না হবার অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যাদের মধ্যে নাইজেরিয়া অন্যতম। এ বছরের মার্চে সংঘটিত নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তোলা হয় দেশটিতে। নির্বাচনটি অংশগ্রহণমূলক হয়নি এ অভিযোগের সাথে সাথে ফলাফল প্রকাশের আগেই বিরোধী সব দল এই নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তোলে। ক্ষমতাসীন দল ছাড়া ভোটগ্রহণে স্বচ্ছতার অভাব নিয়েও অভিযোগ করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। এর পরপরই সেখানে ভোটারদের ভয় দেখানো, ভোটের ফলাফল কারচুপি ও গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয় আমেরিকা।

নাইজেরিয়ার ২০১৯ সালের নির্বাচনের পরও ঠিক একইভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ার অভিযোগে জড়িতদের বিরুদ্ধে দুই দফায় কতিপয় ব্যক্তির উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল আমেরিকা। যদিও যাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। ফলে তাদের পরিচয় কেউ জানে না। গোপনীয়তার অধিকারের জন্য আমেরিকা সেসব নাম প্রকাশ করেনি।

ধারণা করা হয়েছিল ২০১৯ সালে ভিসা নিষেধাজ্ঞার পর আর এসব হবে না। কিন্তু বাংলাদেশে ভিসা নীতি ঘোষণার ঠিক নয় দিন আগে একই ধারা ব্যবহার করে নাইজেরিয়াতেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। যদিও কিছু ব্যক্তির উপর যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিলেও নাইজেরিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতির তেমন কোন পরিবর্তনই হয়নি।

কম্বোডিয়া:

নাইজেরিয়ার মত কম্বোডিয়াতেও যুক্তরাষ্ট্র চালিয়ে আসছে নিষেধাজ্ঞার খড়গ। কারণও মোটামুটি একইরকম। ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টির (সিপিপি) নেতা হুন সেন, সেই ১৯৮৫ সাল থেকে কম্বোডিয়া শাসন করছেন। বিগত ৩৮ বছর ধরে ৭০ বছর বয়সী এই হুন সেন কম্বোডিয়ার ক্ষমতায় আছেন। গত বছরের ২৩ জুলাই কম্বোডিয়ার সপ্তম জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টিসহ (সিপিপি) সব মিলিয়ে ১৮টি দল অংশ নেয়। কিন্তু কম্বোডিয়ার প্রধান বিরোধী দল ‘ক্যান্ডেল লাইট পার্টি’ নির্বাচনে অনুপস্থিত থাকায় বেশ সহজেই প্রতিবারের মত এবারও প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন হুন সেন। সেই সাথে এবারের কম্বোডিয়ার জুলাইয়ের নির্বাচনে হেভিওয়েট বিরোধী দল অংশগ্রহণ না করার কারণে তার অধীনে সংঘটিত নির্বাচন নিয়ে বিশ্বজুড়ে হয় নানা বিতর্ক।

সর্বশেষ কম্বোডিয়ার ঐ নির্বাচনকে ‘মুক্ত বা নিরপেক্ষ, কোনোটাই নয়’ হিসেবে চিহ্নিত করে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন। দেশটিতে নিষেধাজ্ঞার খড়গ বসিয়ে দেয়। কম্বোডিয়ার বেশ কিছু ব্যক্তিসহ অনেকের ওপরই ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটি। সেই সঙ্গে বিদেশি কিছু সহায়তা কর্মসূচিও স্থগিত করে তারা।

শুধু ২০২৩-এ নয় কম্বোডিয়ার ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময়ও ‘গনতন্ত্রের অবমূল্যায়নে জড়িত থাকা’ এবং ‘কম্বোডিয়া  সরকারের গণতন্ত্র বিরোধী কার্যকলাপের সরাসরি প্রতিক্রিয়া’ হিসেবে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেবার ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা এসেছিল সে সময়কার একমাত্র কার্যকর বিরোধী দল সিএনআরপিকে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কারণে।

সেবারই প্রথমবারের মত কম্বোডিয়ার দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ওপর এবং বিভিন্ন বাণিজ্য সহায়তার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র।

এ ছাড়া ২০১৯ সালেও চীনের সহায়তায় কম্বোডিয়ার একটি নৌবাহিনীর ঘাঁটি তৈরির খবর প্রকাশিত হলে আবারও নিষেধাজ্ঞা আসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে।

এরপর ২০২১ সালের দিকেও কম্বোডিয়ায় কাজ করা চীনা একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র – যেই প্রতিষ্ঠানটি থাইল্যান্ডের উপসাগরের কাছে দারা সাকোর অঞ্চলে চীনা বিমান বাহিনীর ব্যবহারের জন্য এয়ারস্ট্রিপ তৈরি করছিল। আর সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞা দেয় ২০২৩ সালে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

সোমালিয়া:

জঙ্গিবাদ, খরা, দারিদ্র্য - এমন নানা সমস্যায় আক্রান্ত আফ্রিকার আরেক দেশ সোমালিয়া। সোমালিয়ার রাজনৈতিক সংকটের জায়গা হল তারা কখনোই সময়মত নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারে না। রাজনৈতিক বিরোধ, অস্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা এমন নানা কারণে নির্বাচন বারবার পিছিয়ে যায়। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন হওয়ার কথা তার এক বছর পার হয়ে যায়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সোমালিয়ার জন্য ভিসা নীতি ঘোষণা করে আমেরিকা। এর উদ্দেশ্য ছিল সোমালিয়ায় যেন দ্রুত এবং সঠিকভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচন পিছিয়ে দিলে নির্বাচনে বাধা সৃষ্টির দায়ে বেশ কিছু সোমালি কর্মকর্তা ও ব্যক্তিবর্গের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয় আমেরিকা। তবে যুক্তরাষ্ট্র যাদের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, প্রাইভেসি ইস্যুতে কারো নাম প্রকাশ করেনি তারা।


অন্যান্য দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের এ সমস্ত ধারাবাহিক নিষেধাজ্ঞার বহর আগে বাংলাদেশের জন্য কিঞ্চিৎ আতঙ্কের হলেও, বর্তমানে এ বিষয়ে দুশ্চিন্তার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ, গতকালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে এই নির্বাচনটি। গতকাল সারাদিনই স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলে। কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সারাদেশেই সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন হয়। ইতোমধ্যেই এ নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করবে আন্তর্জাতিক মহলে।

একদিকে যেখানে নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ,  কম্বোডিয়ায় মুক্ত এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের অভাব বলা হচ্ছে সেখানে আরেকদিকে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের পর্যবেক্ষকরা। গতকাল সকাল থেকেই তারা নির্বাচনের বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। নির্বাচনে আসা ভোটারদের উপস্থিতি ও ভোটের পরিবেশ নিয়ে ব্যাপক ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াও জানান তারা। অন্যান্য দেশের প্রশ্নবিদ্ধ বিতর্কিত নির্বাচনে যেখানে লোকসমাগম-ই দেখা যায়নি, ভোট পড়েছিল গুটিকয়েক শতাংশ সেখানে গতকাল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সাত আটটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা এতো ভোটারের উপস্থিতি দেখে অভিভূত হন। তারা ভোট কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দেখে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তারা খুবই সন্তুষ্ট এবং ভীষণ আশাবাদীও ছিলেন। রাজধানীর বাইরে চল্লিশ থেকে ৭০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি দেখে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন তারা। বাংলাদেশের নির্বাচনের এই পরিবেশ আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরবেন বলেও জানান যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের পর্যবেক্ষক দল। এ ছাড়াও বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ওআইসি, রাশিয়া, ফিলিস্তিন ও গাম্বিয়ার পর্যবেক্ষকরা।

এখন পর্যন্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশী পর্যবেক্ষকদের মতামত অনুকূলেই রয়েছে। কিন্তু কখনো সেটি প্রতিকূল অবস্থায় রূপ নিতে পারে বলেও মতামত অনেকের। কারণ নির্বাচনের কিছু দিন আগেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারকে নির্বাচনের আগেই নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্র এসব খবর আগাম প্রচার করে না। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কোনো ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না, এটিই সুখবর।


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   নিষেধাজ্ঞা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

টিকটকসহ নেট দুনিয়ায় ভাইরাল কিমের গাওয়া গান

প্রকাশ: ০৫:৫০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

কিম জং উন হয়তো ভাবতে পারেননি তার গানটি ঝড় তুলবে টিকটকে। কিন্তু বাস্তবে ভাবনার থেকে বেশি কিছু হলো। দুই সপ্তাহ আগে প্রকাশ করা ভিডিও গানটি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ টিকটকে। একই সঙ্গে সেটি ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক নিজের প্রসংশায় এই গানটি প্রচার করেছেন তার জনগণের জন্য।

সম্প্রতি কিম জং উনের একটি প্রকাশ করা ভিডিও গান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তিনি হয়তো ভাবতে পারেননি তার গানটি ঝড় তুলবে টিকটকে। কিন্তু বাস্তবে ভাবনার থেকে বেশি কিছু হলো। দুই সপ্তাহ আগে প্রকাশ করা ভিডিও গানটি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ টিকটকসহ নেট দুনিয়ায়। উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক নিজের প্রসংশায় এই গানটি প্রচার করেছেন তার জনগণের জন্য। গানটি প্রকাশের পর থেকেই এটি নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।

সমালোচকরা বলছেন, ভিডিওটির মধ্যে একটি অশুভ বার্তা লুকিয়ে রয়েছে৷ তাদের দাবি, গানটিতে কিমের অতিরঞ্জিত প্রসংসা করা হয়েছে এবং ব্যাপকভাবে প্রপাগাণ্ডা চালানো হয়েছে।

“ফ্রেন্ডলি ফাদার” শিরোনামে গানটির শুরুতেই কিমের প্রসংসা করে বলা হয়েছে, তোমার নেতা “তোমার মায়ের মতো উষ্ণ হৃদয়ের অধিকারী” এবং “তোমার বাবার মতো উদার”। এই লিরিক বাজার সঙ্গে সঙ্গে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অনেক শিশুর মধ্যে বসে উৎফুল্ল কিম একটি শিশুকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করছেন। এ সময় লিরিকে শোনা যায়, “তোমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ বাবা”।

এই অংশে শিশুদের সঙ্গে কিমের হাস্যোজ্জ্বল ব্যবহারের মাধ্যমে একতার আহ্বান জানানো হয়েছে। গানটিতে উত্তর কোরিয়ার জনগণের কাছে তাদের স্বৈরশাসককে একজন মা এবং একজন বাবার সাথে তুলনা করে তাকে মহৎ দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

এরপর দেখা গেছে অন্য আরেকদল উৎফুল্ল বাচ্চার সঙ্গে গান গাচ্ছেন উত্তর কোরীয় নেতা। পরের দৃশ্যে দেখা গেছে, উত্তর কোরিয়ার সমাজের সম্মানিত ব্যক্তিরাও কিমের সঙ্গে একই গান গাইছেন। সেখানে বলা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়া রাষ্ট্র একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি চায়।

গানটি শুরু হয়েছে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার প্রশংসা দিয়ে। এরপর তাকে প্রত্যেকের পরিবারের অংশ হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এরপরের অংশে বলা হয়েছে, “আসুন আমরা আমাদের মহান নেতা কিম জং উন সম্পর্কে গান করি”, “আসুন আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ পিতা কিম জং উন সম্পর্কে গর্ব করি।”

সমালোচকরা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার জনগণের কাছে কিম নিজেকে জাতির পিতা হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি তার পার্লামেন্টেও এই ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। সমালোচকরা আরও বলছেন, কিম তার জনগণের মগজ ধোলাই করার জন্য নিজের প্রশংসায় তৈরি গান প্রচার করছেন।

কিম জং উন ২০১২ সালে তার বাবা কিম জং ইলের স্থলাভিষিক্ত হন। কিম জং ইলকে উত্তর কোরিয়ার “মহান উত্তরসূরি” বলে অভিহিত করা হয়। কিমের দাদা কিম ইল সুং দুটি উপাধি ধারণ করেছিলেন – “পিতা” এবং “দ্য গ্রেট”। অনেকে ধারণা করছেন, কিম নিজেও তার উত্তরসূরিদের মতো কোনো উপাধি গ্রহণ করতে চাচ্ছেন।


টিকটক   ভাইরাল   কিম জং উন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শস্য ও খাদ্য উৎপাদনের সক্ষমতা হারিয়েছে গাজা!

প্রকাশ: ০৫:৪৫ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের সাত মাসেরও বেশি সময় পার হয়েছে। আর এই করুণ সময়ে সবদিক থেকেই প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছে গাজা। শুধু তাই নয়, এই সময়ের মধ্যে শস্য ও খাদ্য উৎপাদনের পুরো সক্ষমতা হারিয়েছে ফিলিস্তিনের এই অবরুদ্ধ ভূখণ্ড। পাশাপাশি সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়েছে উপত্যকার বিশুদ্ধ পানির জোগান। শুক্রবার (০৩ মে) ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের লাগাতার বোমা হামলা এবং বুলডোজারের চাপায় ধূলিসাৎ হয়েছে গাজার অধিকাংশ কৃষিজমি এবং ফলের বাগান। তারপরও কিছু জমি হয়তো বেঁচে ছিল, কিন্তু বোমা হামলা থেকে বাঁচতে গাজাবাসী যখন দক্ষিণ দিকে ছুটেছে, তখন পেছনে ফেলে যাওয়া জমির ফসল এবং গবাদিপশু মারা পড়েছে পানির অভাব ও অনাহারে।

আশরাফ ওমর নামে উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ার এক বাসিন্দা সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টকে জানান, জানুয়ারির শেষের দিকে ইসরায়েলি সেনারা তার ফসলের জমি বুলডোজার দিয়ে পুরোপুরি নষ্ট করে দিয়েছে। একইসঙ্গে তার একটি গ্রিনহাউস এবং সৌরশক্তির প্রকল্প ছিল, সেগুলোও ভেঙে ফেলেছে ইসরায়েলি সেনারা। সবকিছু গুঁড়িয়ে দিয়ে সেখানে তারা একটি সামরিক বাফার জোন তৈরি করেছে।

তিনি জানান, পূর্ব পুরুষের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া এসব জমিতে তারা কমলা, লেবু, আলু, বেগুন, টমেটো এবং শসা চাষ করতেন। কিন্তু এখন সেসব শুধুই স্বপ্ন। আশরাফ ওমরের গল্প এখন গাজার প্রতিটি মানুষের।

গাজার কৃষি তথ্য, স্যাটেলাইট ইমেজ, উপত্যকার বিশেষজ্ঞ ও ফিলিস্তিনিদের সাক্ষাৎকার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ইতোমধ্যেই গাজার দুর্বল কৃষি ব্যবস্থা একেবারে পতনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।

গাজার কৃষি খাত ধ্বংসের মাত্রা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, বেআইনিভাবে ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় নিজেদের সামরিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে হামাস এবং অন্য সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো। এসব ঠেকাতে আইডিএফ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সেসব সামরিক প্রয়োজনের ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে এবং তা আন্তর্জাতিক আইন অনুসারেই করা হয়েছে।

যদিও যুদ্ধের আগেও গাজার বেশির ভাগ ফল ও সবজি আমদানিই করা হতো। কারণ ২০০৭ সালে হামাস ক্ষমতা দখলের পর গাজার ওপর শাস্তিমূলক অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল এবং মিশর। সে কারণে গাজার খাবার উৎপাদনের ক্ষমতা প্রায় দুই দশক ধরে সীমিত। এখনো একটি সীমান্ত ক্রসিং ছাড়া সব সীমান্তই নিয়ন্ত্রণ করে ইসরায়েল। এর ফলে সীমিত বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ছাড়া গাজায় প্রায় সব ধরনের আমদানি ও রপ্তানি সীমাবদ্ধ। পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে গাজাবাসীর।


ওয়াশিংটন পোস্ট   গাজা   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ক্ষুধায় বহু মানুষ মারা যেতে পারে সুদানে: জাতিসংঘ

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে অনাহারে বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের খাদ্যবিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)। সংস্থাটি বলেছে, পশ্চিম সুদানের দারফুরে মানুষের অনাহার ঠেকোনোর সময় ফুরিয়ে আসছে। ক্রমবর্ধমান সহিংসতা গোটা জাতিকে শেষ করে দিচ্ছে।

শুক্রবার যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা বলেছে, দারফুর এবং সুদানের অন্যান্য যুদ্ধকবলিত এলাকায় খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে। এসব এলাকায় মানবিক সাহায্যের অনুমতি না দিলে ক্ষুধায় বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

গত বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত শুরু হয়। পরবর্তীতে এই সংঘাত দেশটিতে গৃহযুদ্ধের রূপ নেয়। প্রাণ বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে অনেক মানুষ। যুদ্ধের কারণে দেশটির কৃষি উৎপাদন ৭৮ শতাংশ কমে গেছে।

ডব্লিউএফপির পূর্ব আফ্রিকার পরিচালক মাইকেল ডানফোর্ড শুক্রবার বলেছেন, খাদ্যাভাবে মানুষ বাদামের খোসা খেতে বাধ্য হচ্ছে। শিগগিরই তাদের কাছে সহায়তা না পৌঁছালে দারফুর ও সংঘাত বিধ্বস্ত সুদানের অন্যান্য এলাকায় ব্যাপক অনাহার এবং মৃত্যুঝুঁকি দেখতে হতে পারে।

গত বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রসের (আইসিআরসি) দুজন কর্মী দক্ষিণ দারফুরে অস্ত্রধারীদের গুলিতে নিহত হন। আহত হন আরও তিনজন কর্মী। অঞ্চলটিতে সর্বশেষ বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আরএসএফের উত্তর দারফুরের রাজধানী এল ফাশের ঘেরাও করার সময়।

পরিস্থিতি বর্ণনা করে সুদানে জাতিসংঘের ডেপুটি হিউম্যানিটেরিয়ান কোঅর্ডিনেটর টবি হেওয়ার্ড বলেন, শহর ও আশপাশের এলাকাগুলোতে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে পুরো গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং ক্রমাগত বিমান থেকে বোমা হামলা চালানো হয়েছে।

হেওয়ার্ড আরও বলেন, এল ফাশেরই একমাত্র শহর যেটি এখনো আরএসএফ দখল করতে পারেনি। সেখানে অন্যান্য এলাকা থেকে আসা হাজারো উদ্বাস্তু আশ্রয় নিয়েছে। এল ফাশেরে অন্যান্য এলাকা থেকে সহিংসতায় উদ্বাস্তু হওয়া ৫ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।

তবে ‘ইউএন অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স’ (ওসিএইচএ) বলছে, এল ফাশেরকে তুলনামূলক নিরাপদ মনে করা বাসিন্দারা এখন বিপদে পড়েছেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সেখানকার ৩৬ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়েছে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বৃহস্পতিবার বলেন, দুই সপ্তাহ আগে বেড়ে যাওয়া সংঘাতে এল ফাশের ও এর আশপাশে ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, পশ্চিম এল ফাশেরে এক ডজনেরও বেশি গ্রামে হামলা চালানো হয়েছে। যৌন সহিংসতা, শিশু হত্যা, বাড়িঘরে আগুন এবং অবকাঠামো ধ্বংসসহ ভয়ংকর সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।

সংঘাতের এমন পরিস্থিতি আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে দারফুরে খাদ্য সহায়তা বিতরণের কাজ থেমে গেছে। ওই অঞ্চলের ১৭ লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধায় ভুগছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএফপি।

ওসিএইচএ এর হিসাবে, যুদ্ধের কারণে সুদানে ৪৬ লাখ শিশুসহ ৮৭ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। দেশটির ২ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের জন্য জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।


জাতিসংঘ   সুদান   ক্ষুধা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

১৪ হাজার ডলারের অলঙ্কার বিক্রি ১৪ ডলারে!

প্রকাশ: ০৩:৫৮ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মূলত বিলাসবহুল ব্র্যান্ডটির দুল জোড়ার দাম লেখার কথা ছিল ২৩৭,০০০ পেসো (১৪ হাজার ডলারের বেশি)। অথচ ভুলে সেখানে লেখা ছিল ২৩৭ পেসো (১৩.৮৫ ডলার বা প্রায় ১৪ ডলার)। অর্থাৎ, ভুলক্রমে দামের সঙ্গে থাকা শেষের তিনটি শূন্য বাদ পড়েছিল।

বিলাসবহুল অলঙ্কার প্রস্তুতকারক ব্র্যান্ডগুলোর ইতিহাসে অন্যতম ব্যয়বহুল ভুল এটি।

কিন্তু কীভাবে ঘটল এই ঘটনা। জানা গেছে, মেক্সিকোর বাসিন্দা রোজেলিও ভিয়ারিয়াল একদিন অলসভাবে কার্তিয়েরের ওয়েব পেজ স্ক্রল করছিলেন। হঠাৎ তার চোখ পড়ে দারুণ এক জোড়া কানের দুলের সঙ্গে অবিশ্বাস্য কম দাম লেখা।

২০ এপ্রিল এক্স-এ (পূর্বে টুইটার) শেয়ার করা একটি পোস্টে তিনি লেখেন, 'অলঙ্কারগুলোর দাম দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম। আমি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।'

সিবিএস নিউজের তথ্যমতে, দুল জোড়ায় ১৮-ক্যারেট স্বর্ণের সঙ্গে ১৪২ ক্যারেটের হীরা লাগানো ছিল।

মূলত বিলাসবহুল ব্র্যান্ডটির দুল জোড়ার দাম লেখার কথা ছিল ২৩৭,০০০ পেসো (১৪ হাজার ডলারের বেশি)। অথচ ভুলে সেখানে লেখা ছিল ২৩৭ পেসো (১৩.৮৫ ডলার বা প্রায় ১৪ ডলার)। অর্থাৎ, ভুলক্রমে দামের সঙ্গে থাকা শেষের তিনটি শূন্য বাদ পড়েছিল।

পেশায় চিকিৎসক ভিয়ারিয়াল সুযোগটি হাতছাড়া করেননি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি দুই জোড়া দুল কিনে ফেলেন।

তিনি এক্স-এ লিখেছেন, 'আমার সারা শরীর দিয়ে ঘামের স্রোত বইছিল।' 

বোঝা যায়, কম দামে অতি দামি দুলগুলো কিনতে পেরে তিনি দারুণ উচ্ছ্বসিত ছিলেন। তবে, তার স্বস্তি খুব অল্প সময় স্থায়ী হয়েছিল। কারণ কার্তিয়ের তার অর্ডার বাতিল করার চেষ্টা করেছিল এবং তাকে গহনার পরিবর্তে সান্ত্বনা পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তারা পরিবর্তে তাকে এক বোতল শ্যাম্পেন পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু ভিয়ারিয়াল দমে যাননি।

সিবিএস নিউজের খবরে বলা হয়, ওই ব্যক্তি মেক্সিকোর ফেডারেল কনজিউমার প্রোটেকশন এজেন্সির কাছে বিষয়টি উত্থাপন করলে কার্তিয়েরকে তলব করা হয়।

ভিয়ারিয়াল জানান, কয়েক মাস ধরে টানাপোড়েনের পর বিলাসবহুল ব্র্যান্ডটি শেষ পর্যন্ত দুই জোড়া কানের দুল তাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। এর একজোড়া তার জন্য, আরেক জোড়া তার মায়ের জন্য। 

২৬ এপ্রিল ভিয়ারিয়াল এক্স-এ সুন্দর করে মোড়ানো একটি বাক্সের ছবি শেয়ার করেন। এতে বোঝা যায়, শেষ পর্যন্ত দুলগুলো তিনি হাতে পেয়েছেন।

কার্তিয়েরের এই ভুলকে তিনি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে কেন দেখলেন না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, কোম্পানির প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া আমাকে তাদের বিরুদ্ধে বিরক্ত করেছে। 

তিনি বলেন, 'আমার অর্ডার বাতিল করার পর আমি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা দুই ধরনের কথা বলে। প্রথমে তারা বলেছিল, কানের দুলগুলোর দাম দুর্ঘটনাক্রমে ভুল লেখা ছিল।'

পরে আবার তারা জানায়, কানের দুলটির স্টক শেষ হয়ে গেছে, তাই তারা অর্ডার অনুযায়ী জিনিস দিতে পারবে না। প্রতিষ্ঠানটি মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। 

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিয়ারিয়ালের পোস্টে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

কেউ কেউ বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে তার জয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। আবার কেউ কেউ কোম্পানির ভুলের সুযোগ নেওয়ার জন্য তার সমালোচনা করেছেন।

কিছু ব্যবহারকারী এমনকি বলেছেন, তার উচিত দুলগুলো ফেরত দেওয়া বা সেগুলোর ওপর কর দেওয়া উচিত।

তবে ভিয়ারিয়াল জানিয়েছেন, কানের দুল পেয়ে তিনি 'খুব খুশি' হয়েছেন। 

তিনি বলেন, আমি একজন ভোক্তা হিসেবে আমার অধিকার বুঝে নিয়েছি, তবে অনেকেই তা করতে পারে না। তাই এই মামলাটি মেক্সিকোর জনগণকে ভোক্তা অধিকার আইনসহ তাদের অন্যান্য মৌলিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে সহায়তা করবে।


ডলার   অলঙ্কার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আদানির সাত কোম্পানিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

প্রকাশ: ০৩:৩৩ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

এবার গৌতম আদানির তালিকাভুক্ত ১০ কোম্পানির মধ্যে ৭টিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ভারতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি।

তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে শেয়ারবাজারের নিয়ম না মানা ও সম্পর্কিত পক্ষের (রিলেটেড পার্টি) সঙ্গে লেনদেনসংক্রান্ত বিধিভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। কোম্পানিগুলো ইতিমধ্যে শেয়ারবাজার কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

যে সাতটি কোম্পানিকে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি এনার্জি সলিউশনস, আদানি গ্রিন এনার্জি, আদানি পোর্টস, আদানি পাওয়ার, আদানি টোটাল গ্যাস ও আদানি উইলমার।

গত বছরের জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার লেনদেন ও গবেষণা সংস্থা হিনডেনবার্গ রিসার্চের এক প্রতিবেদনে রীতিমতো ঝড় ওঠে। তাদের অভিযোগ, আদানি গোষ্ঠীর কোম্পানিগুলো কৃত্রিমভাবে শেয়ারদর বাড়িয়ে প্রতারণা করার পাশাপাশি বেআইনি লেনদেন করত। এর মধ্য দিয়ে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দাম কৃত্রিমভাবে বাড়ানো হয়েছে। এরপরই তদন্তে নামে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি।

অবশেষে সেই ধারাবাহিকতায় গৌতম আদানির তালিকাভুক্ত ১০ কোম্পানির মধ্যে ৭টির বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ জারি করে তারা। ফলে আদানিদের বিরুদ্ধে হিনডেনবার্গের প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে আবারও শোরগোল তৈরি হয়েছে ভারতের সংশ্লিষ্ট মহলে।

বিষয়টি একই সঙ্গে রাজনৈতিক রং পেয়েছে। সেবির নোটিশ জারির কথা প্রচার হতেই গতকাল আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ হয়েছে কংগ্রেস। দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বিবৃতিতে বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে টালবাহানার পরে এবং সুপ্রিম কোর্টের চাপে সেবি আদানিদের বিরুদ্ধে প্রথম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হলো।

সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, সেবির এই নোটিশ ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে হিনডেনবার্গ রিসার্চের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যে তদন্ত তারা শুরু করেছিল, তারই অংশ। যদিও আদানি গোষ্ঠী আবারও যথারীতি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, শোকজ নোটিশ কোনো অভিযোগ নয়, শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা তাদের কাছে কিছু বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে।

আদানিদের যেসব কোম্পানিকে সেবি কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে গোষ্ঠীর প্রধান সংস্থা আদানি এন্টারপ্রাইজেস, আদানি গ্রিন এনার্জি ও আদানি টোটাল গ্যাস লিমিটেড স্টক এক্সচেঞ্জকে জানিয়েছে, সেবি নোটিশ পাঠিয়েছে গোষ্ঠীর হোল্ডিং কোম্পানিকে বা মূল সংস্থাকে। পাশাপাশি আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন, আদানি পাওয়ার, আদানি এনার্জি সলিউশনস ও আদানি উইলমার জানিয়েছে, তারা সেবির নোটিশ পেয়েছে। সেবির ওই নোটিশ মূলত সংস্থাগুলোর ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের হিসাবসংক্রান্ত বলে উল্লেখ করে সব কটি সংস্থা দাবি করে, কোনো আইন ভঙ্গ করা হয়নি।

আদানি গোষ্ঠী এমন দাবি করলেও বিবৃতিতে কংগ্রেসের সম্পাদক জয়রাম রমেশ স্মরণ করিয়ে দেন, গৌতম আদানির ওইসব কোম্পানির একাধিক সন্দেহজনক লেনদেনের বিষয়ে নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বিরূপ মন্তব্য করা হয়েছিল। আদানি পোর্টসের নিরীক্ষক ডেলয়েট হাসকিনস অ্যান্ড সেলস সংস্থার ২০২২-২৩ সালের অডিট প্রতিবেদনে এমন একাধিক লেনদেনের দিকে আঙুল তোলা হয়।

২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে হিনডেনবার্গ প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর রীতিমতো লন্ডভন্ড হয়ে যায় গৌতম আদানির ব্যবসা সাম্রাজ্য। তাঁর সম্পদমূল্য ১০ হাজার কোটি ডলার কমে যায়। বিশ্বে ধনীদের তালিকায় পাঁচের মধ্যে থাকা আদানি চলে যানে ২০-এর ঘরে। এরপর অবশ্য ধীরে ধীরে ক্ষতি অনেকটা কাটিয়ে উঠেছেন আদানি।

আজ এই প্রতিবেদন লেখার সময় গৌতম আদানির সম্পদমূল্য ছিল ৮০ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ৮ হাজার ৪০ কোটি ডলার। ফোর্বস ম্যাগাজিনে ধনীদের তালিকায় তাঁর স্থান এখন ১৭তম।


গৌতম আদানি   সাত কোম্পানি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন