গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে গেল ২৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী ১১-১২ জানুয়ারির মধ্যে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরের আইসিজে আদালতে এ মামলার প্রথম শুনানি হবে। সেখানেই বিচারকের আসনে থাকবেন গাজা হামলার সবচেয়ে বড় সমর্থক আহারন বারাক।
আন্তর্জাতিক আদালত (আইসিজে) ১৫ জন বিচারক নিয়ে গঠিত। এ মামলায় প্রতিপক্ষ থেকে একজন করে অতিরিক্ত সদস্য বিচারকের আসনে বসবেন। এই দলেই একজন কট্টর ইসরাইলের সমর্থক বিচারককে অন্তর্ভুক্ত করেছে আইসিজে।
ফিলিস্তিনবিদ্বেষী হিসেবে বেশ পরিচিত আহারন বারাক (৮৭)। ইসরায়েলের সুপ্রিমকোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি ছিলেন তিনি।
আহারন বারাকের মতে মতে, ফিলিস্তিনি সৈন্যদের হত্যার স্বার্থে বেসামরিক এমনকি শিশুরা যদি নিহত হয়- তা হতেই পারে। ২০০৬ সালের সুপ্রিমকোর্টের রায়ে তিনি নিজেই এটি অনুমোদন করেছিলেন।
কানাডিয়ান নিউজ আউটলেট দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইলের একটি প্রতিবেদনে বিষয়টি করা হয়েছে। একটি সাক্ষাৎকারে বারাক বলেছিলেন, ‘তাদের নেতাকে টার্গেট করার জন্য পাঁচটি নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করা সমানুপাতিক হতে পারে।’
টাইমস অব ইসরায়েলের রিপোর্ট অনুযায়ী, এ মামলায় চারজন আইনজীবী ইসরায়েলকে প্রতিনিধিত্ব করবে। এখন পর্যন্ত ব্রিটিশ আইনজীবী ম্যালকম শ-এর নিয়োগ নিশ্চিত করা হয়েছে। মার্কিন আইনজীবী অ্যালান ডারশোভিৎসকে শুনানিতে ইসরায়েলের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বিবেচনা করা হয়েছিল। কিন্তু অন্য একটি মামলায় বিতর্কিত থাকার কারণে তিনি এখনো চূড়ান্ত নন।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকেও চারজন আইনজীবীকে নিশ্চিত করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে বিচারপতি হিসাবে দেশটিকে প্রতিনিধিত্ব করবেন সাবেক উপ-প্রধান বিচারপতি ডিকগাং মোসেনেকে।
বিশ্ব দরবারে দীর্ঘ ১১ বছর ধরে তিনি ইসরায়েলের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে আসছে। এমনকি গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণকেও তিনি সমর্থন দিয়ে আসছেন। ইসরায়েল সেনাদের হামলাকেও মানবিকতার লঙ্ঘন নয় বলে দাবি করেন তিনি। তার সময়ে বেশ কিছু বিতর্কিত রায়ও দিয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক আদালত কোনো আপত্তি ছাড়াই কট্টর এই বিচারককে এজলাসে অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছে।
ইসরায়েল দক্ষিণ আফ্রিকা বিচারক আন্তর্জাতিক আদালত
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অরবিন্দ কেজরিওয়াল লোকসভা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
ভারতের
নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছে রাশিয়া। তবে
মস্কোর সেই অভিযোগকে উড়িয়ে দিল ওয়াশিংটন।
মার্কিন
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার নিয়মিত প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকদের প্রশ্নের
জবাবে বলেন, আমরা ভারতীয় নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করছি না। এমনকি আমরা পৃথিবীর কোনো
নির্বাচনেই হস্তক্ষেপ করি না।
এর
আগে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করে, ভারতে অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনকে অস্থিতিশীল
করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ফেডারেল কমিশনের রিপোর্টে ধর্মীয় স্বাধীনতা
লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ভারতের সমালোচনা করার পর ওয়াশিংটেনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করে
মস্কো।
রাশিয়ার
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা মার্কিন অভিযোগকে দেশ ও রাষ্ট্র
হিসেবে ভারতের প্রতি ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।
ভারতীয় নির্বাচন মার্কিন রাশিয়া
মন্তব্য করুন
রাশিয়ার
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মিখাইল মিশুস্তিনের নাম প্রস্তাব করেছেন
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার (১০ মে) প্রধানমন্ত্রী
হিসেবে পুতিন তার নাম প্রস্তাব
করেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির
সংসদের নিম্নকক্ষের স্পিকার। খবর রয়টার্সের।
মিখাইল মিশুস্তিন এর আগেও পুতিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০২০ সাল থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবার নতুনভাবে ক্ষমতায় এসে এই মিশুস্তিনকেই সরকার প্রধানের দায়িত্ব দিতে চলেছেন পুতিন।
এর আগে মিশুস্তিন রাশিয়ার কর বিভাগের প্রধান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। ৫৮ বছর বয়সী মিশুস্তিন ১৯৯৯ সাল থেকে আমলা হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। তিনি ২০১০ সাল থেকে ফেডারেল ট্যাক্স সার্ভিসের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার
আগে গত মঙ্গলবার পঞ্চমবারের
মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন
পুতিন। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার
দিকে মস্কোর গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্যালেসের সুসজ্জিত সেইন্ট অ্যান্ড্রিউ হলে শপথ নেন
তিনি। রাশিয়ার সরকারি-বেসরকারি সকল টেলিভিশন চ্যানেল
সরাসরি এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান
সম্প্রচার করা হয়। গত
মার্চে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৮৭ শতাংশ ভোট
পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন পুতিন।
মঙ্গলবারের শপথ গ্রহণের মধ্যে
দিয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হলেন তিনি।
রাশিয়া প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন
মন্তব্য করুন
গাজার রাফাহয় সেনা অভিযান চালালে ইসরায়েলকে অস্ত্র দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এমন ঘোষণা দেয়ার পর আরও বেঁকে বসেছেন ইসরায়েলি
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এবার নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, ইসরায়েল একাই
লড়বে।
এই ইসরায়েলি কট্টরপন্থী নেতা বলেছেন, ‘যদি আমাদের দরকার পড়ে...
আমরা একাই লড়বো। আমি বলছি যদি প্রয়োজন হয় আমরা আমাদের হাতের আঙুলের (অস্ত্রের বদলে)
নখ দিয়েই লড়াই
করবো।’
এরইমধ্যে ইসরায়েলকে বোমা সরবরাহ করা বন্ধ রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে
নেতানিয়াহু ১৯৪৮ সালের প্রসঙ্গ টেনে মার্কিন চোখ রাঙানি গায়েই মাখেননি।
তিনি বলেছেন, ‘৭৬ বছর আগের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমরা ছিলাম কয়েকজন,
বিপক্ষে ছিলো অনেকেই।’ ‘আমাদের অস্ত্র ছিলো না। ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ছিলো।
তবে আমাদের মধ্যে চরম উদ্যম, নায়কত্ব ও একতা ছিলো। আমরা জয়ী হয়েছিলাম।’
তিনি আরও বলেছেন, মার্কিন অস্ত্রের চেয়েও বেশি কিছু করার ক্ষমতা
ইসরায়েলিদের নখের আছে!
যুক্তরাষ্ট্র নেতানিয়াহু ইসরায়ল গাজা
মন্তব্য করুন