ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

প্রেসিডেন্ট হবার পথে ট্রাম্প, কেন এত জনপ্রিয়তা?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

দিনকে দিন বেড়েই চলেছে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা। এত এত আইনী ঝামেলা, ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হবার পরও ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনপ্রিয়তায় এতটুকু ভাটা পড়েনি। বরং বেশ কয়েকটি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হবার পর যেন তার অবস্থান আরো শক্তিশালী হয়েছে। ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য রিপাবলিকান প্রার্থীদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা বর্তমানে সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। অন্য সব মনোনয়নপ্রত্যাশীদের চেয়ে তিনি অনেক অনেক এগিয়ে। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প এত জনপ্রিয় কেন? মার্কিনিদের মধ্যে কেন এত ট্রাম্প প্রীতি? বহু বিতর্কের পরও কেন বেড়েই চলেছে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা? এর কারণ কি?

বিতর্ক আর ডোনাল্ড ট্রাম্প যেন একই সূত্রে গাঁথা, এটা কমবেশি সবাই স্বীকার করে। জনসম্মুখে বেফাস কথাবার্তা, উদ্ভট সব কর্মকাণ্ড, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে প্রকাশ্যে ‘নিকৃষ্টতম প্রেসিডেন্ট’ অ্যাখ্যা দেয়া, এসব যেন কেবল ট্রাম্পের পক্ষেই সম্ভব। কিন্তু শত সমালোচনা আর বিতর্ক সত্ত্বেও ট্রাম্পকেই পছন্দ করছে আমেরিকান জনগণ। আর এর প্রমাণ মিললো আরও একবার।

গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আইওয়া ককাস অঙ্গরাজ্যের মধ্য দিয়ে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী বাছাইয়ের প্রথম ধাপ শুরু হয়। আর এই প্রথম ধাপে বেশ বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছেন ট্রাম্প।

আইওয়া ককাসে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি ও ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিসকে অনেক বড় ব্যবধানে পরাজিত করেছেন ট্রাম্প। আর এই জয়ের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট পদে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে টানা তৃতীয় দফায় মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়ে গেলেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে ট্রাম্পের এই বিজয় রিপাবলিকান পার্টির ওপর তার অব্যাহত আধিপত্যকেই নির্দেশ করছে। জনপ্রিয়তায় এতটুকুও ভাটা পড়েনি সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জনপ্রিয়তা অর্জনে নিজস্ব কিছু ফর্মূলা রয়েছে ট্রাম্পের। যেগুলো অনুসরণ করে সাধারণের সমর্থন যোগানোর চেষ্টা করেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের উদ্বেগের বিষয় হলো দেশের টালমাটাল অর্থনীতি, সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা, বন্দুক সহিংসতা ও নারী অধিকারের মতো বিষয়গুলো। আর ট্রাম্প জনগণের নৈরাশ্য, অনিশ্চয়তা, হুমকি ও ভয়কে জনপ্রিয়তা অর্জনের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করেন। সমস্যার সমাধান হোক বা না হোক, তিনি এসব সংকট কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে সমর্থকদের মধ্যে আশা জাগাতে সক্ষম। যেটাকে বলা হয়, ‘সাংস্কৃতিক হতাশাবাদের’ সুযোগ নেয়া। আর এটিই ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় সাফল্য।

এ ছাড়াও ব্যক্তি হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিজস্ব কিছু স্টাইল রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের মধ্যে নিজেকে হিরো হিসেবে উপস্থাপনের প্রবণতা আছে। ২০১৬ সালের নির্বাচন থেকেই ট্রাম্প ‘আমেরিকান শত্রুদের’ বিপরীতে নিজেকে হিরো দাবি করে আসছেন। যেকোনো জনসমাবেশে তার আগমনও ঘটে সেভাবেই। এগুলো মানুষকে খুব সহজে প্রভাবিত করে।

এছাড়া বাইডেনের এই ক্ষমতাকালে বিশ্ব ইতোমধ্যেই বড় বড় দুইটি যুদ্ধ দেখে ফেলেছে, ট্রাম্পের সময়কালে এসব যুদ্ধ বিগ্রহ ছিল না বা হয়নি। অর্থনীতিতেও বেশ চাঙা ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৯১টি ফৌজদারি মামলা হয়েছে। কখনো অর্থ সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগ, কখনো ফেডারেল আদালতে গোপনীয় দলিলপত্র নিজের কাছে রাখা এবং এর তদন্তে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ, আবার কখনো ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেবার জন্য ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ। কিন্তু এতো কিছুর ভেতর দিয়েও ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারাভিযান থামেনি। বরং তাতে আরো গতিসঞ্চার হয়েছে।

এ বিষয়ে ক্লিফোর্ড ইয়ং, যুক্তরাষ্ট্রে ইপসসের শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা বলেন, রিপাবলিকান ভোটারদের ৪০ থেকে ৪৫%-ই ট্রাম্প সমর্থক এবং তারা ট্রাম্পের চোখ দিয়েই দুনিয়াকে দেখে।

ইয়ং আরও বলেন, ‘তারা বিশ্বাস করে মি. ট্রাম্পের প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে এবং তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

যার প্রমাণ বিভিন্ন জরিপ এবং কিছু রিপাবলিকান ভোটারের সাথে কথা বলার পরই মেলে, তারাও একই রকম মতামত দেয়।
আরিজোনার ৬১ বছর বয়সী ট্রাম্পের এক সমর্থক বলেন, ‘এটা হচ্ছে ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে না দেবার এক নির্লজ্জ চেষ্টা।’

এমনকি লুক গর্ডনের মত ট্রাম্প সমর্থক নন এমন রিপাবলিকানও এসব অভিযোগকে সন্দেহের চোখে দেখছেন। তিনি বলেন, তিনি দাবির বৈধতা নিয়ে সন্দেহ করছেন না বা ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন না, কিন্তু এসব মামলা-তদন্তের পেছনের উদ্দেশ্য নিয়ে গভীর উদ্বেগ রয়েছে বলে তার ধারণা।

গত বছরের ৩১ জুলাই একাধিক জনমত জরিপের এক গড় থেকে দেখা যায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প এসব জরিপে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিসান্টিসের চাইতে ৩৭ পয়েন্টের বড় ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন, যার বর্তমান ফলাফল আইওয়া ককাস অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্পের এই প্রাথমিক ধাপের বিজয়।

এই বছর হয়তো এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াবে যে- ট্রাম্পের মামলার বিচার ও দোষী সাব্যস্ত হওয়ার সম্ভাবনার ফলে রিপাবলিকান পার্টির ভেতরে ট্রাম্পের পক্ষে সমর্থনে ভবিষ্যতে কোনো পরিবর্তন হয় কি না। এই বছর ট্রাম্পকে একদিকে প্রচারাভিযানের সময়সূচি এবং আরেকদিকে আদালতে হাজিরা দেওয়া - এ দুটিই সামাল দিতে হবে। 

যদিও ট্রাম্প বলেছেন, তিনি দোষী সাব্যস্ত হলেও বা দণ্ডিত হলেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে সরে দাঁড়াবেন না।

অর্থাৎ, মার্কিন রাজনীতিতে এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি হবে। ইয়ংএর মতে - এটাই হবে দেখার বিষয় যে ট্রাম্পের 'জনমত জরিপে এগিয়ে থাকা' আর 'ইলেক্টেবিলিটি অর্থাৎ ভোট পাবার উপযুক্ত হওয়া' - এ দুই সূচকে কোন পরিবর্তন হয় কি না।
আপাতত যা দেখা যাচ্ছে তা হলো, ট্রাম্প জনসমর্থনের দিক থেকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বেশ কাছাকাছিই আছেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কেন আত্মহত্যা করতে গেছেন বাইডেন?

প্রকাশ: ১০:৪২ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জীবনে আত্মহত্যা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে গিয়ে অনেকেই হয়েছেন হতাশা, ব্যর্থতা কিংবা গ্লানির তিক্ততায়ও আত্মহত্যা করার মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এমন আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু অনেকটা নাটকীয়ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। যা অনেকের কাছে অনুপ্রেরণার।

জো বাইডেন ১৯৪২ সালের ২০ নভেম্বর জন্ম নিয়েছেন। শুরুতে আইনজীবী হিসেবে তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। ১৯৬৬ সালে প্রথমবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তার প্রথম স্ত্রীর নাম ছিল নেইলিয়া হান্টার। এই দম্পতির তিন সন্তান ছিল জোসেফ, রবার্ট হান্টার এবং নাওমি ক্রিস্টিনা অ্যামি।

এরপর ১৯৭২ সালে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় বাইডেনের স্ত্রী এবং কন্যা নিহত হন। দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে বিউ এবং হান্টারও ছিলেন, তবে তাদের আঘাত গুরুতর না হওয়ায় বেঁচে যান তারা। কাকতালীয়ভাবে ওই বছরই মার্কিন পার্লামেন্ট কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের সদস্য নির্বাচিত হন বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বাইডেনই সবচেয়ে কম বয়সে সিনেটর নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড গড়েন। মাত্র ৩০ বছর বয়সে সিনেট সদস্য হন তিনি।

তবে পৃথিবীর অন্য অনেক সাধারণ মানুষের মতো জো বাইডেনও ওই সময় আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। সম্প্রতি বিখ্যাত মার্কিন সাংবাদিক হাওয়ার্ড স্টার্নকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেই।

বাইডেন বলেন, তার প্রথম স্ত্রী নিহত হওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। সারাক্ষণ বিষণ্ন থাকতেন। এক রাতে মদ্যপ অবস্থায় তার মনে হয়েছিল এই জীবনের কোনো অর্থ নেই। এ কথা মনে হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে ডেলাওয়্যার মেমোরিয়াল ব্রিজের উদ্দেশে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে পড়েন বাইডেন। এরপর ব্রিজের ওপর থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে চান।

‘কিন্তু ব্রিজে পৌঁছানোর পর হঠাৎ তার মনে হলো, তার আরও দুটি ছোট সন্তান আছে। যদি তিনি আত্মহত্যা করেন, তাহলে তাদের দেখাশোনা করার কেউ থাকবে না। সন্তানদের মুখ চোখের সামনে ভেসে ওঠামাত্র বাইডেন গাড়ি ঘুরিয়ে ফেলেন। ফিরে আসেন বাড়িতে। এরপর ১৯৭৮ সালে জিল ট্রেসি জ্যাকবকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর তার নাম হয় জিল বাইডেন।

বাইডেন বলেন, ‘আসলে প্রত্যেক মানুষের জীবনেই এমন মুহূর্ত আসে, যখন তার আত্মহত্যা করার প্রবল ইচ্ছে জাগে। কিন্তু ওই সময়টায় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় এবং বলতে হয়, আত্মহত্যা হলো সবচেয়ে বোকামি কাজ।

সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত দুই ছেলে বিউ এবং হান্টারকে একাই বড় করেছেন তিনি। পাশাপাশি সিনেটর হিসেবে রাজনৈতিক দায়িত্বও পালন করেছেন।


জো বাইডেন   আত্মহত্যা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আরও এক ব্যাংকের পতন যুক্তরাষ্ট্রে

প্রকাশ: ০৬:৫১ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবার আরেকটি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিল যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ‘রিপাবলিক ফার্স্ট ব্যাংক করপোরেশন’ নামক ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ তারা। ইতিমধ্যে এ ব্যাংকটি তারা ফুলটন ব্যাংকের কাছে বিক্রি করতেও রাজি হয়েছে।

ফিলাডেলফিয়া-ভিত্তিক রিপাবলিক ফার্স্ট ব্যাংকটি নতুন বিনিয়োগ নিয়ে বেশ কিছু বিনিয়োগকারীর সঙ্গে আলোচনায় ছিল। কিন্তু এসব আলোচনা শেষ পর্যন্ত কোনো ফল আনতে না পারায় পেনসিলভানিয়া ডিপার্টমেন্ট অব ব্যাংকিং অ্যান্ড সিকিউরিটিজ এ ব্যাংকটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের চারটি আঞ্চলিক ব্যাংকের পতনের পর আরও একটি আঞ্চলিক ব্যাংকের এই পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে, দেশটির আঞ্চলিক ব্যাংকগুলোর কী অবস্থা।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশন রিসিভার হিসেবে কাজ করবে। গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) তারা বলেছে, আমানতকারীদের সুরক্ষা দিতে ফুলটন ব্যাংক রিপাবলিক ব্যাংকের সব আমানত অধিগ্রহণ করার পাশাপাশি সব সম্পদ কিনে নেবে।

চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত রিপাবলিক ব্যাংকের মোট সম্পদমূল্য ছিল ৬ বিলিয়ন বা ৬০০ কোটি ডলার; তাদের আমানত ৪ বিলিয়ন বা ৪০০ কোটি ডলার। এফডিআইসির আনুমানিক হিসাব, এই ব্যাংকের ব্যর্থতায় তাদের ক্ষতির পরিমাণ ৬৬৭ মিলিয়ন বা ৬৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে।

এদিকে আমানত ছাড়াও রিপাবলিকের ঋণ ও অন্যান্য দায়ের পরিমাণ প্রায় ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ১৩০ কোটি ডলার, এক বিবৃতিতে এ তথ্য দিয়েছে ফুলটন। তারা আরও বলেছে, এই রিপাবলিক ফার্স্ট ব্যাংক কেনার মধ্য দিয়ে ফিলাডেলফিয়া অঞ্চলে তাদের প্রভাব আরও বাড়বে। দুই ব্যাংকের সম্মিলিত আমানতের পরিমাণ ৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন বা ৮৬০ কোটি ডলারে উঠতে পারে।

গত বছর যেভাবে ব্যাংক কেনাবেচা হয়েছিল, এবারও সেই পদ্ধতিতে হবে। এমনভাবে তা করা হচ্ছে যাতে গ্রাহকদের গায়ে বিশেষ আঁচড় না লাগে। আগামী সোমবার অর্থাৎ ওইদিন স্থানীয় সময় সকালে নিউ জার্সি, পেনসিলভানিয়া ও নিউইয়র্কে রিপাবলিক ব্যাংকের ৩২টি শাখা ফুলটন ব্যাংকের শাখা হিসেবে কার্যক্রম শুরু করবে। দুরবস্থা কাটিয়ে উঠতে গত বছর বিনিয়োগকারী জর্জ নরক্রস এবং ফিলপ নরক্রসের সঙ্গে চুক্তি করে রিপাবলিক ফার্স্ট ব্যাংক। কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এই উদ্যোগ ব্যর্থ হয়।

ওয়াল স্ট্রিটের সূত্রে রয়টার্স বলেছে, সেই চুক্তি ব্যর্থ হওয়ার পর এফডিআইসি যথারীতি ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে এটি বিক্রি করার চেষ্টা করে। মুনাফা বাড়াতে না পেরে ও উচ্চ ব্যয়ের চাপে ২০২৩ সালে কর্মী ছাঁটাই করার পাশাপাশি মর্টগেজ ব্যবসা থেকে সরে আসে রিপাবলিক ফার্স্ট ব্যাংক।

এই পরিস্থিতিতে রিপাবলিক ফার্স্টের শেয়ারের দামেও পতন ঘটে। বছরের শুরুতে ব্যাংকটির শেয়ারের দাম ছিল দুই ডলারের কিছুটা ওপরে, এখন তা দাঁড়িয়েছে এক সেন্টের সামান্য বেশি। ব্যাংকটির বাজার মূলধন কমে ২০ লাখ ডলারের নিচে নেমে এসেছে। ফলে এই ব্যাংক কোম্পানিটির শেয়ার নাসডাকের লেনদেন থেকে বাদ পড়েছে। এখন শুধু ওটিসিতে লেনদেন হয় তাদের শেয়ার।

২০২৩ সালে বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশের ব্যাংক খাত চাপের মুখেই ছিল। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে চারটি ব্যাংকের পতন হয়, আর সুইজারল্যান্ডের অন্যতম বড় ব্যাংক ক্রেডিট সুইসও বিক্রি হয়ে যায়। বছরের প্রথম ভাগে যুক্তরাষ্ট্রে পরপর দুটি ব্যাংকের পতনের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে আর্থিক খাতে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল। একই বছরে যুক্তরাষ্ট্রে তিন দিনের ব্যবধানে দুটি ব্যাংকের পতন হলে অনেকের মনেই এমন শঙ্কা তৈরি হয় যে ২০০৭-০৮ সালের আর্থিক সংকটের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে কি না। তবে শেষ পর্যন্ত তা ঘটেনি। বছরের শেষ ভাগে এসে অবশ্য আর্থিক খাতে তেমন সংকট দেখা যায়নি। তবে এবার ২০২৪ সালের এপ্রিলে মাসে এসে আবার আরেকটি ব্যাংকের পতন হলো।

ব্যাংকের এই পতনে অবশ্য গ্রাহকদের বিশেষ ক্ষতি হয়নি। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো শুরু থেকেই সোচ্চার থাকায় তেমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।


ব্যাংক   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফেসিয়াল থেকে এইডসে আক্রান্ত

প্রকাশ: ০৩:৪০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

অনেকেই দীর্ঘ সময়ের জন্য তরুণ দেখাতে কসমেটিক সার্জারি এবং মুখে ইনজেকশনের মাধ্যমে ত্বক সুন্দর ও টানটান রাখতে 'ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল' করেন। সম্প্রতি এই ফেসিয়াল সংক্রান্ত ভীতিকর তথ্য সামনে এসেছে। ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করে এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ জন নারী। 

বৃহস্পতিবার(২৫ এপ্রিল) ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ অ্যান্ড কন্ট্রোল (সিডিসি) জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো রাজ্যের একটি স্পা'তে ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করার কারণে সম্ভবত নারীরা এইচআইভিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। 

সিডিসি বলেছে, কসমেটিক ইনজেকশনের মাধ্যমে এইচআইভি সংক্রমণের ঘটনা এটাই প্রথম। এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা তাদের জানা নেই। আক্রান্ত মহিলারা লাইসেন্সবিহীন স্পা থেকে ফেসিয়াল করিয়েছিলেন ২০১৮ সালে।

সিডিসির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে একজন মহিলা মেক্সিকোতে একটি লাইসেন্সবিহীন স্পা থেকে প্লেটলেট সমৃদ্ধ প্লাজমা মাইক্রোনিডলিং পদ্ধতির মাধ্যমে ফেসিয়াল করিয়েছিলেন। তারপরে তিনি এইচআইভি পজিটিভ ছিলেন। এরপরে 'সিডিসি' নিউ মেক্সিকোর স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে কসমেটিক ইনজেকশনের মাধ্যমে কীভাবে এইচআইভি সংক্রমণ ঘটেছে তা তদন্ত করে। 

সিডিসি জানিয়েছে, যে মহিলাটি ইনজেকশনের মাধ্যমে ওষুধ গ্রহণ করেননি, তাকে সংক্রামিত রক্ত সঞ্চালনও দেওয়া হয়নি বা এইচআইভি সংক্রামিত কোনও সঙ্গীর সঙ্গে তার যৌন সম্পর্কও হয়নি। তিনি শুধু একটি ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করেছেন এবং এরপরে তার এইচআইভি পরীক্ষা পজিটিভ পাওয়া গেছে।

২০১৯ সালে নিউ মেক্সিকো হেলথ ডিপার্টমেন্ট বলেছিল, আলবুকার্কের ভিআইপি স্পা-তে ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল গ্রহণের ফলে এইচআইভি সংক্রমণ হয়েছিল। স্পাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং সে সময় স্বাস্থ্য বিভাগ বলেছিল, যারা স্পাটিতে ফেসিয়াল করেছেন তাদের এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি এবং হেপাটাইটিস সি বিনামূল্যে পরীক্ষা করা হবে।

সিডিসি বলছে, ২০২৩ সালের মধ্যে চারজন মহিলা এবং একজন পুরুষসহ পাঁচজন এইচআইভি রোগী শনাক্ত হয়েছে। পুরুষটি সেই চারজন নারীর একজনের স্বামী।

সিডিসি জানিয়েছে, দুইজন এইচআইভি-আক্রান্ত রোগী বলেছেন, তারা কসমেটিক ইনজেকশন নেওয়ার আগে কোনোভাবে সংক্রামিত হয়ে থাকতে পারেন। তবে তিনজন রোগী স্পা থেকে এই সংক্রমণ পেয়েছেন। আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজি জানিয়েছে, ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল পদ্ধতিতে ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা সময় লাগে।

বার্ধক্যের লক্ষণ লুকানোর জন্য মানুষ ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকে৷ এতে হাত থেকে রক্ত বের করে একই ব্যক্তির মুখে ইনজেকশন দেওয়া হ


ফেসিয়াল   এইডস   আক্রান্ত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মাঝরাতে আইসক্রিম খাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো ইতালি

প্রকাশ: ১২:৪৮ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যরাতের পর আইসক্রিম খাওয়া নিষিদ্ধ করে একটি আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে ইতালির মিলানে। বাসিন্দাদের প্রশান্তির স্বার্থে এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে মিলানের স্থানীয় সরকার। 

ইতালির সংস্কৃতির অংশ হয়ে আছে আইসক্রিম। অনেকেই গভীর রাতে আইসক্রিম খেয়ে থাকেন। প্রস্তাবিত নতুন আইনের অধীন এভাবে আইসক্রিম খাওয়াকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।

মিলান শহরের স্থানীয় সরকার ইতিমধ্যে আইনের খসড়া তৈরি করে আইনসভায় জমা দিয়েছে। যদি প্রস্তাবিত আইনটি পাস হয়ে যায়, তাহলে আগামী মাস থেকে মধ্যরাতের পর আইসক্রিম খাওয়া নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে।

মিলানের ১২টি এলাকায় আইনটি কার্যকর হবে। এই আইনের অধীনে মধ্যরাতের পর পিৎজা, পানীয়সহ সব ধরনের খাবার বাড়িতে সরবরাহ করা নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। শহরের সড়কে রাতের বেলায় যাতে হইচই না হয় এবং বাসিন্দারা প্রশান্তিতে থাকতে পারেন, সে জন্য এই আইন করা হচ্ছে।

মিলানের ডেপুটি মেয়র মার্কো গ্র্যানেলি বলেন, সামাজিকতা ও বিনোদনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা এবং বাসিন্দাদের শান্তি ও প্রশান্তির কথা বিবেচনায় নিয়ে এই আইনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত এই আইন 'মধ্য মে' থেকে কার্যকর এবং নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। 

সপ্তাহের কর্মদিবসে রাত সাড়ে ১২টা এবং সাপ্তাহিক ও অন্যান্য ছুটির দিনে রাত দেড়টা থেকে আইনটির প্রয়োগ শুরু হবে। সড়ককে কোলাহলমুক্ত রাখতে খোলা আকাশের নিচে বসানো খাবার টেবিলে এই আইনের প্রয়োগ করা হবে।

নাগরিকেরা চাইলে মে মাসের গোড়ার দিকে প্রস্তাবিত আইনের কোনো ধারার পরিবর্তন বা সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

মধ্যরাতে আইসক্রিম খাওয়া বন্ধে মিলানের স্থানীয় সরকার এবারই যে প্রথম উদ্যোগ নিচ্ছে, তা নয়। এর আগে ২০১৩ সালে তৎকালীন মেয়র জুইলিয়ানো পিসাপিয়া মধ্যরাতের পর আইসক্রিম নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তুমুল সমালোচনার মুখে তিনি পিছু হটতে বাধ্য হন।


আইসক্রিম   নিষিদ্ধ   ইতালি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জার্মানির বিরুদ্ধে মামলার রায় ৩০ এপ্রিল

প্রকাশ: ১১:৫৩ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল চলমান যুদ্ধে গণগত্যা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ইসরায়েলের এই অমানবিক কর্মকাণ্ডে সহায়তার অভিযোগ এনে জার্মানির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা করে মধ্য আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়া।

আগামী ৩০ এপ্রিল সেই মামলার রায়ের দিন ঘোষণা করেছে আইসিজে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইসিজে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে- ইসরায়েলকে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দিয়ে গণহত্যা ‘সহজতর’ করার দায়ে জার্মানিকে অভিযুক্ত করে ১ মার্চ নিকারাগুয়া যে মামলা করে তার রায় ৩০ এপ্রিল ঘোষণা করা হবে।

বিবৃতি অনুসারে, দ্য হেগের পিস প্যালেসে ওই দিন স্থানীয় সময় বিকাল তিনটায় আদালতের প্রধান বিচারপতি নওয়াফ সালাম মামলার রায় পাঠ করবেন।

নিকারাগুয়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের কাছে ‘জার্মানিকে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা বন্ধ করার নির্দেশ এবং গাজা উপত্যকায় আন্তর্জাতিক আইনের অন্যান্য বিধিনিষেধের বিষয়ে’ জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা জারি করার অনুরোধ জানিয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৪,৩৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। এছাড়াও আহত হয়েছে ৭৭,৩৬৮ ফিলিস্তিনি।


জার্মান   বিরুদ্ধে   মামলা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন