বিচ্ছিন্ন কিছু হামলা ও সংঘাতের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের বহুল আলোচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে ভোট গণনা। বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ পাকিস্তানে ৮৫৫টি আসনে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন হয়।
এদিন ডেরা ইসমাইল খান জেলার কুলাচি এলাকায় টহলরত পুলিশের একটি দল লক্ষ্য করে একটি বোমার বিস্ফোরণ এবং গুলি বর্ষণে চার পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। সেখান থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরের একটি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ি লক্ষ্য করে বন্দুকধারীদের হামলায় আরো এক ব্যক্তি নিহত হন।
বেলুচিস্তান প্রদশের বিভিন্ন এলাকায় ভোট চলাকালে গ্রেনেড হামলার খবর পাওয়া গেছে। যদিও ওইসব হামলার কারণে ভোট গ্রহণে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। হতাহতের কোনো ঘটনাও ঘটেনি বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সরকে জানান মাকরান বিভাগের কমিশনার সাঈদ আহমেদ উমরানি।
আগের দিন বুধবার বেলুচিস্তান প্রদেশে পৃথক দুইটি বোমা হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন।
নর্থ ওয়াজিরিস্তানের প্রার্থী মহসিন দাওয়ার পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের কাছে (ইসিপি) এক চিঠিতে স্থানীয় ‘তালেবান’ তার এলাকায় কয়েকটি ভোটকেন্দ্রের দখল নিয়ে পোলিং কর্মকর্তা এবং স্থানীয়দের হুমকি-ধামকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
যদিও নির্বাচন কমিশন বা নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি।
দেশ গভীর অর্থনৈতিক সংকটে, লাগামহীনভাবে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি, সহিংসতা ও কারচুপির আশঙ্কার মধ্যেই পাকিস্তান জুড়ে বৃহস্পতিবার জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। যাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৭ হাজারেরও বেশি প্রার্থী।
এর আগে দেশটিতে ২০১৮ সালে নির্বাচন হয়েছিল। সেবারের তুলনায় এবারের নির্বাচনে অনেক পরিবর্তন ছিল। এবারের নির্বাচনের জন্য ৪৮ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি বরাদ্দ করা হয়েছিল। এছাড়া এবার দেশটির মোট নাগরিকের মধ্যে ৫০ শতাংশ ভোটার ছিলেন। এমনকি এবারের নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ১৮ হাজার স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন করেছেন। ব্যালট পেপার ছাপাতে ব্যবহার করা হয়েছে ২০ কোটি ৬০ লাখ কাগজ।
পাকিস্তানে এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনটি আলাদা মামলায় কারাদণ্ড পেয়ে তিনি এখন জেলে বন্দি আছেন। তবে ইমরান খান জেলের ভেতর থেকেই নিজের ভোট প্রদান করেছেন।
নির্বাচন উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। এদিন সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে। সবমিলিয়ে ৯০ হাজার ৬৭৫টি বুথে ভোট দেন সাধারণ ভোটারর। এসব ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন ১৪ লাখ কর্মী।
এদিকে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ভোটের দিন পাকিস্তানে ইন্টারনেট ও মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন করে দেওয়া হয়। ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফসহ বেশ কয়েকটি দল মোবাইল সংযোগ চালু করার দাবি জানায়।
পাক সংবাদমাধ্যম জিও টিভি জানিয়েছে, মধ্যরাতের পর ভোটের ফলাফল জানা যাবে। আর পূর্ণ ফল জানতে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনা সিস্টেমে ফলাফল জানা যাবে।
ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার এক ঘণ্টা পর থেকেই ফলাফল প্রকাশের অনুমতি দেওয়া হয় পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলোকে।
মন্তব্য করুন
শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিন ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করেছে কানাডা পুলিশ। দেশটির অ্যালবার্টা প্রদেশের এডমন্টন শহর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল শুক্রবার এমনটি জানিয়েছেন কানাডার পুলিশ।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার তিনজন হলেন-করণ ব্রার (২২), কমল প্রিত সিং (২২) ও করণ প্রিত সিং (২৮)। তাঁরা সবাই এডমন্টন শহরের বাসিন্দা। আদালতের নথিপত্র অনুযায়ী, তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে। ওই হত্যার সঙ্গে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রেপ্তার তিনজনের বাইরে আরও অনেকেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। তাই সামনে আরও অনেককে গ্রেপ্তার করা হতে পারে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হতে পারে।
২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সারেতে খুন হন নিজ্জর। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারত জড়িত বলে অভিযোগ করে কানাডা। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।
গত শুক্রবার কানাডার একাধিক প্রদেশে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। এই অভিযানেই গ্রেপ্তার হন সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হিট স্কোয়াডের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তাঁরা গুলি চালানো, গাড়ি চালানো, নজরদারির কাজ করেছে বলে সন্দেহ করা হয়েছে।
কানাডা হরদীপ হত্যাকাণ্ড ভারত গ্রেপ্তার
মন্তব্য করুন
নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে পুরো বিশ্বকে আবারও কঠিন নিরাপত্তা হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে যুক্তরাজ্য। যেখানে পুরো বিশ্ব ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করার উপায় খুঁজছে সেখানে এবার সরাসরি রাশিয়ায় হামলা করার সবুজ সংকেত দিয়ে বসেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু তিনি কি ভেবেছেন এর পরিণতি কী হতে পারে? যেখানে এর আগেই পরমাণু হামলার হুমকি পর্যন্ত দিয়ে রেখেছে মস্কো। শুধু তাই নয় কিয়েভকে অভূতপূর্ব সহায়তা করার কথাও ঘোষণা দিয়েছেন ডেভিড ক্যামেরন।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যামেরন জানান, যুদ্ধে টিকে থাকার জন্য ইউক্রেনকে যেসব ব্রিটিশ সমরাস্ত্র দেয়া হচ্ছে, তা কীভাবে ব্যবহার করা হবে, তার সিদ্ধান্ত কিয়েভের ওপর। শুক্রবার কিয়েভ সফরে গিয়ে এ মন্তব্য করেছেন তিনি। জানান, ইউক্রেন চাইলে যুক্তরাজ্যের অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডেও হামলা চালাতে পারে।
ডেভিড ক্যামেরন জানান, ইউক্রেনের যত দিন প্রয়োজন হবে, যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে প্রতিবছর ৩৭৫ কোটি মার্কিন ডলার করে দেয়া হবে। এ সময় রাশিয়া যেভাবে ইউক্রেনের অভ্যন্তরে হামলা করছে, তাতে ইউক্রেন কেন আত্মরক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে, তা সহজে অনুমান করা যায় বলেও মন্তব্য করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে ডেভিড ক্যামেরনের এমন মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। মস্কো বলেছে, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্য আরেকটি অত্যন্ত বিপজ্জনক বিবৃতি। ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ইউক্রেন সংঘাত ঘিরে এটি সরাসরি উত্তেজনা ছড়াবে, যা ইউরোপীয় নিরাপত্তার জন্য সম্ভাব্য হুমকি সৃষ্টি করবে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের পাশাপাশি পেসকভ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর বক্তব্যেরও নিন্দা জানান। এর আগে চলতি সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের ব্যবসাবিষয়ক ম্যাগাজিন ইকোনমিস্টকে বলেছেন, রুশ সেনারা যদি সামনে এগোতে থাকেন এবং ইউক্রেন অনুরোধ করলে সেখানে স্থলসেনা পাঠানো হবে কি না, তা পশ্চিমাদের বিবেচনা করতে হবে। রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জানান, মাখোঁর বক্তব্য ছিল বিপজ্জনক। তবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করে বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়া যদি জয়লাভ করে, তবে ইউরোপে কোনো নিরাপত্তা থাকবে না।
এর আগে, ইউক্রেনকে একাধিকবার রাশিয়ার অভ্যন্তরে তেল শোধনাগারগুলোতে হামলা চালাতে নিষেধ করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির আশঙ্কা, এতে উত্তেজনা আরও বাড়বে। রাশিয়ার সেনারা সম্প্রতি ইউক্রেনের কয়েকটি অঞ্চলে সামনে অগ্রসর হয়েছে। ইউক্রেনের অস্ত্র ও সেনা ঘাটতির সুযোগ নিয়ে বেশি কয়েকটি শহর ও গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ বাহিনী।
ব্রিটিশ অস্ত্র রাশিয়া যুক্তরাজ্য
মন্তব্য করুন
আরও একটি গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। জনমত জরিপের পর এমন পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির খ্যাতনামা জরিপ সংস্থা রাসমুসেন। সংস্থাটি জানিয়েছে— বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যদি আবারও ক্ষমতায় আসেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ বেঁধে যাবে বলে মনে করেন ৪১ শতাংশ মার্কিন ভোটার। আর ১৬ শতাংশ ভোটার মনে করেন হয়তো এমনটা হতেও পারে। এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে বার্তাসংস্থা তাস।
তবে, জরিপে অংশ নেওয়া ৪৯ শতাংশ উত্তরদাতারা মনে করেন না যে, আগামী পাঁচ বছরে আরেকটি গৃহযুদ্ধের মুখে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র। আর ১০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তারা এ বিষয়ে নিশ্চিত নন। পক্ষান্তরে ২৫ শতাংশ মানুষ মনে করেন-সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হলেই বরং গৃহযুদ্ধেরে কবলে পড়তে পাড়ে ওয়াশিংটন।
তাস জানায়, আলোচিত জরিপটি ২১ থেকে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে করা হয়েছিল। যেখানে ১১শর বেশি মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। অংশগ্রহণকারী সবাই-ই আসন্ন মার্কিন নির্বাচনের ভোটার। ফলে, এই ফল যথেষ্ট গুরুত্ব পাচ্ছে।
চলতি বছরের ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এরইমধ্যে রিপাবলিকান দলের মনোনয়নে জয়ী হয়েছেন ট্রাম্প। আর দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য লড়ছেন ডেমোক্র্যাট পার্টির ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এবারের নির্বাচনে গাজা ইস্যু বাইডেনকে বেশ ভোগাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ৭ অক্টোবর থেকে উপত্যকায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। যেখানে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে আসছেন বাইডেন। এ নিয়ে দেশের অভ্যন্তরেই প্রচণ্ড চাপে রয়েছেন ৮১ বয়সী এই প্রেসিডেন্ট।
বাইডেন প্রশাসনের গাজানীতির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ আন্দোলনে উত্তপ্ত ক্যাম্পাসগুলো। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা, ব্যাপক ধরপাকড়েও দমে যায়নি এসব শিক্ষার্থী। বরং দিনকে দিন স্ফূলিঙ্গের মতোই ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভ। ফলে, জনমত অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে ইহুদি-বিদ্বেষ বলে আখ্যা দেয় ইসরায়েলপন্থি মার্কিন নীতিনির্ধারকরা।
অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ইসরায়েলপন্থিরা। এতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার এক টেলিভিশন ভাষণে শিক্ষার্থীদের আইন মানার অনুরোধ করেন বাইডেন। তবে, তাদের ওপর হামলা ও পুলিশি নির্যাতন নিয়ে কোনো মন্তব্যই করেননি তিনি। এতে মুসলিম ভোটারদের থেকে আরও দূরে গেছেন বাইডেন, এমনটাই মনে করেন বিশ্লেষকরা। ফলে আসন্ন নির্বাচনে বাইডেনের জন্য বয়ে আনতে পারে নেতিবাচক ফল।
মন্তব্য করুন
ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্রান্দে দো সুল ভারী বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এ রাজ্যে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে ৭০ জন।
শুক্রবার (০৩ মে) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের
আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে সীমান্ত লাগোয়া রিও গ্রান্দে দো সুল রাজ্যে সোমবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। স্থানীয় এতে রাজ্যের ৪৯৭টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৃত্যু ও নিখোঁজের পাশাপাশি এসব শহরের অন্তত ২৪ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
রাজ্যের গভর্নর এদোয়ার্দো লেইতে গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, 'আগামী কয়েক দিনে আমরা অনেক এলাকায় পৌঁছাতে পারব। তখন মৃত্যুর সংখ্যায় পরিবর্তন আসতে পারে।'
বৃষ্টিতে রিও গ্রান্দে দো সুলের বেশ কয়েকটি শহরের রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি সড়ক ও সেতু। এ ছাড়া ঝড়ের কারণে ভূমিধস দেখা দিয়েছে। স্থানীয় একটি জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের জলাধারের আংশিক ধসে পড়েছে। আরেকটি জলাধারও ধসে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভৌগোলিক অবস্থানের রিও গ্রান্দে দো সুল প্রায়ই চরম আবহাওয়ার মুখে পড়ে। কখনো কখনো সেখানে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। কখনো আবার দেখা দেয় খরা। স্থানীয় বিজ্ঞানীদের ধারণা, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সেখানকার আবহাওয়া আরও চরম রূপ নিচ্ছে।
এদিকে দুর্যোগের মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার রাজ্যটি পরিদর্শনে যান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা। সেখান গিয়ে তিনি রাজ্যের গভর্নরের সঙ্গে উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে আলাপ করেন।
মন্তব্য করুন
মার্কিন ঘাঁটি রুশ সেনা মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী
মন্তব্য করুন
শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিন ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করেছে কানাডা পুলিশ। দেশটির অ্যালবার্টা প্রদেশের এডমন্টন শহর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল শুক্রবার এমনটি জানিয়েছেন কানাডার পুলিশ। পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার তিনজন হলেন-করণ ব্রার (২২), কমল প্রিত সিং (২২) ও করণ প্রিত সিং (২৮)। তাঁরা সবাই এডমন্টন শহরের বাসিন্দা। আদালতের নথিপত্র অনুযায়ী, তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে পুরো বিশ্বকে আবারও কঠিন নিরাপত্তা হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে যুক্তরাজ্য। যেখানে পুরো বিশ্ব ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করার উপায় খুঁজছে সেখানে এবার সরাসরি রাশিয়ায় হামলা করার সবুজ সংকেত দিয়ে বসেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু তিনি কি ভেবেছেন এর পরিণতি কী হতে পারে? যেখানে এর আগেই পরমাণু হামলার হুমকি পর্যন্ত দিয়ে রেখেছে মস্কো। শুধু তাই নয় কিয়েভকে অভূতপূর্ব সহায়তা করার কথাও ঘোষণা দিয়েছেন ডেভিড ক্যামেরন।
আরও একটি গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। জনমত জরিপের পর এমন পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির খ্যাতনামা জরিপ সংস্থা রাসমুসেন। সংস্থাটি জানিয়েছে— বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যদি আবারও ক্ষমতায় আসেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ বেঁধে যাবে বলে মনে করেন ৪১ শতাংশ মার্কিন ভোটার। আর ১৬ শতাংশ ভোটার মনে করেন হয়তো এমনটা হতেও পারে। এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে বার্তাসংস্থা তাস।