ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এরদোয়ান ভূমিকম্পের এক বছর পরে পুনঃনির্মাণে কতটা সফল

প্রকাশ: ০৯:০৭ এএম, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩ যে বিধ্বংসী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল তুরস্কে সেই ধ্বংসযজ্ঞের এক বছর পেরিয়ে গেছে। ভয়াবহ সেই ভূমিকম্পের ক্ষত বছরের পর বছর ধরে বয়ে বেড়াতে হবে দেশটিকে। পর পর আঘাত হানা একজোড়া শক্তিশালী ভূমিকম্পে শুধু তুরস্কেই প্রাণ হারিয়েছিলেন ৫৩,৫৩৭ জন মানুষ, গৃহহীন হয়েছিলেন আরও ৩০ লাখ বাসিন্দা। ভূমিকম্পে তুরস্কের ৩টি শহর প্রায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। বিধ্বস্ত হয় হাজার হাজার গ্রাম, আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরও ১১টি শহর ও ১২৪ টি জেলা। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল তুরস্কসহ গোটা বিশ্ব। তুরস্ক তার সবটুকু দিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ তুরস্কের সহায়তায় এগিয়ে আসে। ভূমিকম্পের পরেই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট দেশের মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি দেশের সবকিছু দিয়ে ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনের চেষ্টা করবেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য তিনি সবকিছু করবেন। ভূমিকম্পের এক বছর পর তুরস্ক সেই ক্ষতি কতটুকু কাটিয়ে উঠতে পেরেছে এবং পুনর্বাসন প্রক্রিয়া কীভাবে চলছে তা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার গণমাধ্যম আইওএল-এ নিবন্ধ লিখেছেন দক্ষিণ আফ্রিকায় নিযুক্ত তুরস্কেররাষ্ট্রদূত আয়েশাগুল কান্দাস।
 
ভূমিকম্পের ঠিক পরেই ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে বেঁচে থাকা মানুষগুলোকে খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা শুরু করে আমাদের সরকার। ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করা এবং তার মধ্য থেকে মৃতদেহ ও বেঁচে থাকা মানুষগুলোকে উদ্ধার করে আনা ছিল অত্যন্ত কঠিন কাজ। উদ্ধারকর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোর বেঁচে থাকা মানুষদের খাবার, চিকিৎসা ও প্রাথমিক চাহিদাগুলো সরবরাহ করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে আমাদের সরকার। আন্তর্জাতিক সহায়তা পাই আমরা, দেশের মধ্য থেকেও সব ধরনের ত্রাণ সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসে তুর্কি জনগণ।

সেদিন কী ঘটেছিল এবং আমাদের জীবন ও স্বপ্নগুলো কীভাবে হারিয়ে গিয়েছিল তা আজ একবছর পরেও এক মুহূর্তের জন্য আমরা ভুলিনি। ভবিষ্যতেও কখনো আমরা এই দিনগুলো ভুলতে পারব না। সেই বিপর্যয়ের ঠিক পরে ভূমিকম্প অঞ্চল থেকে নেওয়া ড্রোন ফুটেজগুলোর দিকে তাকালে আমাদের মাথা নত হয়ে আসে।

ভূমিকম্পের ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ আমাদের সকলকে নত করেছে। সেই ধ্বংসলীলা এতটাই বিশাল ছিল যা কল্পনাও করা যায় না। ভেবে দেখুনতো, জার্মানির বার্লিন থেকে পোল্যান্ডের ওয়ারশ শহর পর্যন্ত ৫শ কিলোমিটারেরও বেশি জুড়ে শুধু বিধ্বস্ত ভবনগুলো পড়ে আছে। ভূমিকম্পে ৯ লাখ আবাসন যুক্ত ৩,১৩০০০ বিল্ডিং ধ্বসে পড়ে। ১০০ মিলিয়ন ঘনমিটার ধ্বংসস্তূপ তৈরি হয়েছে যা দিয়ে পুরো ম্যানহাটন শহরকে প্রায় ৭ ফুট উঁচু কংক্রিটের ধ্বংসাবশেষ দিয়ে ঢেকে দেওয়া যথেষ্ট।

ভয়াবহ সেই ধ্বংসযজ্ঞের পর অঞ্চলগুলোর পুনঃনির্মাণে আমাদের সরকার দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন সরকারি টেলিভিশন পত্রিকায় এলাকাগুলোর ক্ষয়ক্ষতি প্রশমন এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের আবাসন প্রদানের প্রক্রিয়া কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে তা দেখানো হয়। ২০২৩ সাল ছিল আমাদের প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ। আর সে বছরেই আসা মারাত্মক এই আঘাতকে আমাদের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ‘শতাব্দীর বিপর্যয়’ হিসাবে সঙ্গায়িত করেছেন।

তুরস্ক যে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে- কোনো দেশের জন্যই তা নিজস্বভাবে প্রশমিত করার ক্ষমতার নাগালের বাইরে। সৌভাগ্যক্রমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে অনেক নির্ভরযোগ্য বন্ধু রয়েছে আমাদের। তাদের কাছ থেকে আমরা যথাসম্ভব সহযোগিতা পেয়েছি।

ভূমিকম্পের ঠিক পরে একটি পুরো জাতি যেভাবে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল আমরা তার থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছি। আমরা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করেছি এবং আমাদের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছি। আমরা এখন পুনঃগঠন ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা এখন নিজেদের দিকে তাকালে স্বস্তি পাই, আমরা হেরে যাইনি।

ভূমিকম্পে স্কুল, হাসপাতাল এবং অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবাগুরেঅ ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। বিশেষ করে শিশু এবং মহিলারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। চিকিৎসা পরিষেবা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রায় ২ লাখ গর্ভবতী নারী যাদের মাতৃস্বাস্থ্য পরিষেবার প্রয়োজন ছিল তারা কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী ৭টি পারিবারিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মধ্যে মাত্র একটি (সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে) কার্যকর ছিল।

মানবিক প্রচেষ্টায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে সরকারের নেতৃত্বাধীন সংস্থাগুলো। ভূমিকম্পের পরপরই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করার জন্য বিভিন্ন দলকে নিয়োগ করা হয়। এধরনের বিপর্যয় যাতে আবারও না ঘটে সেজন্য ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের ভবনগুলো পরীক্ষা করে দেখা হয় সেগুলো যথেষ্ট টেকসই কি না। প্রয়োজনে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা সংযুক্ত করা হয়৷ ভূমিকম্প অঞ্চলের পুনর্গঠন এবং ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য আমরা আমাদের রাষ্ট্র ও জাতির সমস্ত কিছুকে একত্রিত করেছি। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ দলগুলো এবং রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তারা সবসময় ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পরিদর্শন করছেন এবং পুনর্গঠন কাজ তত্ত্বাবধায়ন করছেন।

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোর পুনর্গঠনের জন্য বিপুল সম্পদ উৎসর্গ করেছে সরকার। ২০২৩ সালে জিডিপির প্রায় ৩.৭ শতাংশ বরাদ্দ করা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে। তার পরেও এসব অঞ্চলের মানুষের স্বাভাবিক জীবন ফিরে আসা এখনও অনেক দূরের কল্পনা।

কমপক্ষে ৭ লাখ ৫০ হাজার মানুষ শীতকাল অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে কাটিয়েছে। ৪১৪টি ইমার্জেন্সি ‘কন্টেইনার শহর’ নির্মাণ করে মানুষের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার পরেও বহু মানুষ এখনও ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি বা তাঁবুতে বসবাস করছেন। স্যানিটেশন এবং অন্যান্য জরুরি পরিষেবারও ঘাটতি রয়েছে।

অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছিলেন পঁয়ত্রিশ হাজার উদ্ধারকর্মী। প্রায় ১২ হাজার বিদেশি উদ্ধারকর্মীও কাজ করেছেন। এটি ছিল বিশ্বের বৃহত্তম অনুসন্ধান, উদ্ধার এবং পুনরুদ্ধার অভিযান। ধ্বংসাবশেষ অপসারণ এবং পুনর্গঠন কাজের দ্রুততম উদাহরণও এটি।

ভূমিকম্পে ধসে পড়া বা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৮৩,০০০ ভবনের ৯৫% ধ্বংসাবশেষ সফলভাবে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আবাসন ও কর্মক্ষেত্র নির্মাণ প্রকল্পগুলো এখনও চলমান। তুর্কি সরকারের গৃহীত প্রকল্পের আওতায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলোর পুনরুজ্জীবিত ও সংস্কার অব্যাহত থাকবে। যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন নির্মাণ সম্পন্ন হওয়া বাড়িগুলো তাদের হাতে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে ভূমিকম্প অঞ্চলজুড়ে ৭৫ হাজার ফ্ল্যাট বিতরণ সম্পন্ন করা হবে এবং চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাসস্থান সরবরাহের পরিমাণ হবে ২ লাখ।

আমরা আমাদের ক্ষত সারাতে শুরু করেছি এবং মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনে ফিরে আসছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- আমাদের নাগরিকরা সরকারের ওপর আস্থা রাখে। সর্বোপরি আমরা আমাদের মনোবল উচ্চ রাখছি এবং আমরা একটি ভালো ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদী। একটি জাতি হিসাবে আমরা এই কষ্টগুলো কাটিয়ে উঠতে রাষ্ট্রের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করছি।


তুরস্ক   এরদোয়ান   ভূমিকম্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নারীর পোশাক পরায় যুবক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৩:২৩ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নারীদের পোশাক পরে ট্রেনে যাত্রা করছিলেন এক যুবক। এক লিঙ্গের হয়ে অন্য লিঙ্গের পোশাক পরে বাইরে বের হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আলোচিত এই ঘটনা ঘটেছে সৌদি আরবে। এই খবর জানিয়েছে গালফ নিউজ।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, নারীদের পোশাক পরায় রাজধানী রিয়াদ থেকে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে সৌদির নিরাপত্তা বাহিনী। ওই যুবকের একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি নারীদের পোশাক পরে ট্রেনে করে যাচ্ছেন। এরপরই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এক লিঙ্গের হয়ে অন্য লিঙ্গের পোশাক পরে বাইরে বের হলে সৌদি আরবে তিন বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

দেশটিতে পুরুষ হয়ে নারীদের পোশাক পরা একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ছাড়া এই আইনে ‘অনুপযুক্ত’ পোশাক পরা, প্রকাশ্যে নৈতিকতা বিরোধী কাজ করা এবং আবাসিক এলাকায় জোরে গান বাজানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সৌদির আইনানুযায়ী, যারা এসব অপরাধ করবেন তাদের বিরুদ্ধে ৫০ রিয়াল থেকে ৩ হাজার রিয়াল পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরবে কথিত আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। তবে এখনো দেশটিতে নারী ও পুরুষের শালীন পোশাক পরার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে।


সৌদি আরব   নারীর পোশাক   যুবক গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আদালতে থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিচারক অপহরণ

প্রকাশ: ০৩:০১ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের জেলা ও দায়রা জজ শাকিরুল্লাহ মারওয়াতকে আদালত থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণ করেছেন অস্ত্রধারীরা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) তাকে দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়ার ট্যাঙ্ক ও ডেরা ইসমাইল খানের সীমান্ত এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়। তবে অপহরণের একদিনের মাথায় তাকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। খবর জিও নিউজের।

প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মুহাম্মদ আলী সাইফ জিও নিউজের কাছে বিচারক শাকিরুল্লাহকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিক করেছেন। তাকে নিরাপদে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ব্যারিস্টার সাইফ বলেন, এই ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

পুলিশ বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনী গতকাল রাতে ডিআই খানের কুলাচি এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। যার ফলে ওই বিচারককে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের আদালেতে নিয়োজিত এই বিচারককে ট্যাঙ্ক ও ডিআই খানের মধ্যবর্তী সীমান্ত এলাকা বাগওয়াল গ্রাম থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। ডিআই খানের উপ-পুলিশ সুপার (ডিএসপি) মোহাম্মদ আদনান জানান, শাকিরুল্লাহ আদালত থেকে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। এরপরই কাউন্টার-টেরোরিজম ডিপার্টমেন্টেঅজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর করেন বিচারকের গাড়ি চালক শের আলী।

এফআইআর দায়ের করার আগে ওই বিচারককে দ্রুত উদ্ধার করতে একটি উচ্চ-স্তরের বিশেষ দল গঠন করে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ। তার আগে ৬৩ সেকেন্ডের এক ভিডিও বার্তায় বিচারক শাকিরুল্লাহ জানান, অস্ত্রধারী ব্যক্তিদের সরকারের কাছে কিছু দাবি রয়েছে। তাদের দাবি পূরণ করা হলেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।


পাকিস্তান   জেলা ও দায়রা জজ   শাকিরুল্লাহ মারওয়াত   অপহরণ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিপাইনে ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রা, সংকটের মুখে চাষাবাদ

প্রকাশ: ০২:০৯ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রচণ্ড গরমের কারণে ফিলিপাইনে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। ফলে দেশটিতে চাষাবাদ ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়েছে। শুধু তাই নয়, প্রচণ্ড গরমের কারণে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এ দেশটির শিক্ষার্থীরাও সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। খবর রয়টার্সের

ফিলিপাইনের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এল নিনো আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে দেশটিতে মার্চ থেকে মে পর্যন্ত এ ধরনের তাপমাত্রা থাকতে পারে। আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট অ্যাসেসমেন্ট এবং আন্তর্জাতিক স্ট্যাডি অব এডুকেশন সিস্টেমের তথ্যানুসারে, বিশ্বের মধ্যে গণিত, বিজ্ঞান এবং পড়ার ক্ষেত্রে ফিলিপাইন সবচেয়ে কম স্কোর অর্জন করেছে। এর একটি বড় কারণ ছিল করোনা মহামারির সময় দুর্গম অঞ্চলে শিক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হওয়া।  

করোনা মহামারির সময় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়া ২৩ বছর বয়সী সিনিয়র হাইস্কুল শিক্ষার্থী কির্ট মাহুসে বলেন, প্রচণ্ড গরম পড়ছে। চামড়া পুড়ে যাচ্ছে। এ গরম সহ্য করা যাচ্ছে না।

এদিকে, প্রচণ্ড গরমের কারণে হাজার হাজার স্কুলে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ৩৬ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক তথ্যে বলা হয়েছে। 

অন্যদিকে, সেভ দ্য চিলড্রেন ফিলিপাইনের মৌলিক শিক্ষা উপদেষ্টা জেরক্সেস কাস্ত্রো বলেন, মে মাসেও শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তখন গরম আরও বাড়বে। অনেক অঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়ে ৫২ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে। সুতরাং এমন পরিবেশে কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব সে বিষয়েও প্রশ্ন রাখেন তিনি। 

দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় প্রচণ্ড গরম পড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমনটি হচ্ছে। এর ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সেভ দ্য চিলড্রেন ফিলিপাইনের মতে, প্রচণ্ড গরমের কারণে শিশুদের মাথা ঘোরা, বমি এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে।  

বর্তমানে প্রচণ্ড গরমের কারণে শিশুরা বেশি সমস্যায় পড়েছে। অন্যদিকে, এমন অবস্থায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে দুর্গম অঞ্চলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরাও। কারণে এসব অঞ্চলে ইন্টানেটের গতি খুবই কম। 


ফিলিপাইন   তাপমাত্রা   চাষাবাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নাভালনির মৃত্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চাঞ্চল্যকর তথ্য

প্রকাশ: ০১:৫৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার একটি কারাগারে বন্দি অবস্থায় রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধী রাজনীতিবিদ আলেক্সি নাভালনি। এরপরই তার মৃত্যুর জন্য এককভাবে পুতিনকে দায়ী করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ পশ্চিমা নেতারা। তবে সম্প্রতি রুশ এ নেতার মৃত্যু নিয়ে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মার্কিন গোয়েন্দারা জানান, নাভলনিকে হত্যার জন্য পুতিন কোনো নির্দেশ দেননি। আমেরিকান সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়ালি স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে আসে।

নাভালনির মৃত্যুর পর এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিন। এমনকি তার মৃত্যুকে দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন পুতিন। তিনি জানান, বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় নাভালনিকে পশ্চিমা দেশের হাতে তুলে দিতে প্রস্তুত ছিলেন তিনি। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত ছিল নাভালনি আর কখনো রাশিয়ায় ফেরত আসবেন না।

নাভালনির মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক তদন্ত শুরু করে পশ্চিমা গোয়েন্দারা। প্রায় দুই মাসের তদন্ত শেষে গেল শনিবার মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানায়, নাভালনিকে হত্যার সরাসরি নির্দেশ দেননি পুতিন। তবে কী কারণে বা কীভাবে নাভালনির মৃত্যু হয়েছে তাও উল্লেখ করা হয়নি।

এদিকে মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনকে ‘ভিত্তিহীন অনুমান’ বলে উল্লেখ করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ। রুশ এ কর্মকর্তা জানান, প্রতিবেদনটি তার নজরে এসেছে, এটি মানসম্পন্ন কোনো অনুসন্ধান নয় যে তাতে মনোযোগ দেওয়ার দরকার আছে।


আলেক্সি নাভালনি   মৃত্যু   যুক্তরাষ্ট্র   চাঞ্চল্যকর তথ্য  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাফায় ইসরায়েলি হামলায় এক পরিবারের ৯ সদস্য নিহত

প্রকাশ: ০১:৫৪ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের রাফায় ইসরায়েলি হামলায় আবু তাহা নামের একটি পরিবারের ৯ সদস্য নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছোট শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের একমাত্র বেঁচে যাওয়া সদস্য সে।

খবর অনুসারে, রাফায় আবু তাহার বাড়িতে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। পরিবারটির একজন প্রতিবেশী আল-জাজিরাকে জানান, হামলায় বাড়িতে থাকা পরিবারের ৯ সদস্য মারা গেছেন। তিনি শুধু পরিবারটির এক মেয়েশিশুকে ব্যালকনি থেকে বের করে আনতে পেরেছেন। এতে ওই শিশুর প্রাণ বাঁচে।

রবিবার রাফায় কয়েকটি এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এসব হামলায় নিহত হয়েছেন ২০ থেকে ২৫ জন। এ ছাড়া গাজা নগরীতে ইসরায়েলি হামলায় আরও সাতজনের প্রাণ গেছে।

এদিকে রয়টার্স বলছে, রাফায় অন্তত তিনটি বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রাণ গেছে অন্তত ১৩ জনের। আহত হয়েছেন অনেকেই। হামাস নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, নিহতের সংখ্যা ১৫। গাজা নগরীতেও দুটি বাড়িতে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে।


রাফা   ইসরায়েল   হামলা   নিহত   ফিলিস্তিন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন