ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রাম্প আবার প্রেসিডেন্ট হলে বিশ্বে কী হবে?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

সাউথ ক্যারোলিনায় নিকি হেলিকে সহজেই হারিয়ে দিয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় দফায় হোয়াইট হাউসে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় তাকে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন নিতে হবে। আর এই মনোনয়ন দৌড়ে তিনি অনেকটাই এগিয়ে আছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান পার্টির প্রাথমিক বাছাইয়ের পর গত শনিবার ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী বার জো বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার পথটি প্রায় পরিষ্কার করে ফেলেছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। 

গতকালকের ভোটগ্রহণ শেষ হয় সন্ধা সাতটায়। সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, রিপাবলিকান পার্টি এখন যেমন আছে, আমি কখনোই তেমন ঐক্যবদ্ধ দেখিনি। ৩০ মিনিট ধরে তিনি বক্তব্য রাখেন এবং বক্তব্যে একবারও তার প্রতিদ্বন্দ্বীর নাম তিনি উল্লেখ করেননি। আইওয়া, নিউ হ্যাম্পশায়ার, নেভাদা, ইউএস ভার্জিন, আইসল্যান্ড এখন হেলি নিজের অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প এ ভাবে আধিপত্য বিস্তার করে করেছেন। 

এডিসন রিসার্চ এর জরিপ অনুযায়ী, সাউথ ক্যারোলিনায় ট্রাম্প পেয়েছেন ৬৩ শতাংশ আর নিকি হ্যালি পেয়েছেন ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট। আগামী ৫ মার্চ সুপার টিউসডে এর প্রাথমিক লড়াইয়ে অংশ নেবেন ট্রাম্প ও হ্যালি। সেখানে ১৫ টি অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান নেতারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা। নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দল থেকে প্রার্থী হচ্ছেন নিশ্চিতভাবে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। 

এখনকার যে সমস্ত জরিপগুলোতে দেখা যাচ্ছে তাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি শেষ পর্যন্ত রিপাবলিকান প্রার্থী হন এবং নির্বাচনে যদি জো বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বী হন তাহলে তার জয়ের সম্ভাবনা বেশি। এই ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে একটি জনমত তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা তাকে নির্বাচনে অযোগ্য করার বিভিন্ন চেষ্টার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি অসন্তোষ এবং ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। আর এর ফলে ট্রাম্প নির্বাচনী দৌড়ে শুধু রিপাবলিকান প্রার্থী হওয়ার হওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে নেই, জো বাইডেনের চেয়েও তিনি এই মুহূর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয়। আর তাই আশঙ্কা এবং প্রশ্ন উঠেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি আবার দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তাহলে সেক্ষেত্রে বিশ্বের কী হবে? 

এমনিতেই গত কয়েক বছর ধরে বিশ্বে একটি অস্থিরতা বিরাজ করছে। একদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যু নিয়ে টালমাটাল বিশ্ব। আর এই সমস্ত যুদ্ধ এবং সংকটের মধ্যে সবচেয়ে বড় যে সংকট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামনে এসে উপস্থিত হচ্ছে, তা হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য এবং সারা বিশ্বে তার প্রভাব এখন প্রশ্নের মুখে পড়েছে। বিশ্বের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে নিয়ন্ত্রণ তা অনেকটাই শিথিল হয়ে উঠেছে। এরকম অবস্থায় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে বিশ্বে কী হবে? 

এই নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক মহলও দ্বিধাবিভক্ত। তারা ট্রাম্পের চার বছরের শাসন মূল্যায়ন করে বলছেন যে, ট্রাম্পের এই চার বছর বিশ্বে কোন যুদ্ধ হয়নি। তিনি বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর চেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব শক্তি এবং নিজস্ব স্বার্থের ব্যাপারে মনোযোগী। তবে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনের পরাজয় অবধারিত হবে এবং ন্যাটোর ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে এটি মোটামুটি নিশ্চিত। কারণ ইতোমধ্যেই ট্রাম্প বলেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পয়সা দিয়ে ইউরোপকে সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব তাদের নয়। ফলে বিশ্বে বিশেষ করে ইউরোপে রাশিয়ার আধিপত্য বাড়বে। 

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতেও একটি সংকট তৈরী হবে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে মার্কিন সংকুচি প্রভাব আরও সংকুচি হবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কেউ কেউ মনে বরেন। আবার কেউ কেউ মনে করেন যে, ট্রাম্পের সময় সৌদ আরবের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্ক উন্নয়ন হয়েছিল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে একটি ভালো প্রভাব বিস্তার করেছিল। কাজেই মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে ট্রাম্পের নীতি সঠিক এমনটি মনে করেন অনেকে। তবে সারাবিশ্বে যে অস্থিরতা তা ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণ করলে কমবে বলেই বেশির ভাগ বিশ্লেষক মনে করেন। কারণ তারা মনে করেন ট্রাম্প নিজের দেশ নিয়ে বেশি মনোযোগী এবং মার্কিন স্বার্থের জন্যই তিনি সবকিছু করতে চান। তবে তিনি যদি আবার প্রেসিডেন্ট হন তাহলে জলবায়ু পরিবর্তন সহ বিশ্বের জন্য জরুরি ইস্যুগুলোর দিকে তিনি মনোয়োগ দেবেন না। ফলে বিশ্বে একটি অসম্য এবং অসহিষ্ণু তৈরি হতে পারে বলে অনেকে মনে করেন। 


সাউথ ক্যারোলিনা   নিকি হেলি   রিপাবলিকান প্রার্থী   ডোনাল্ড ট্রাম্প   মার্কিন প্রেসিডেন্ট   মার্কিন নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কংগ্রেসে বড় ধাক্কা, দিল্লি প্রধান অরবিন্দর সিংয়ের পদত্যাগ

প্রকাশ: ০২:১৩ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস দেশে লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে। দিল্লি প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন দিল্লির কংগ্রেস প্রধান অরবিন্দর সিং লাভলি। তবে দল থেকে পদত্যাগ করেননি তিনি। লোকসভা নির্বাচনে ইতোমধ্যেই দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণও সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের মধ্যে তার এই দল ছেড়ে যাওয়াকে কংগ্রেসের জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। 

রোববার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কংগ্রেসের দিল্লি শাখার সভাপতির পদ ছেড়েছেন অরবিন্দর সিং লাভলি। দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের জোট বাঁধার কারণেই ক্ষোভে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।

রোববার সকালে অরবিন্দর সিং লাভলি জানান, তিনি কংগ্রেসের দিল্লি শাখার সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, দিল্লির কংগ্রেস কর্মীদের স্বার্থরক্ষা করতে পারেননি তিনি। তাই দলের সভাপতির পদে থাকার আর কোনও কারণ দেখছেন না তিনি।

উল্লেখ্য, অরবিন্দর সিং লাভলি দীর্ঘদিনের কংগ্রেস নেতা। মাঝখানে ২০১৭ সালের দিকে একবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কয়েক মাসের মধ্যে প্রত্যাবর্তন করেন কংগ্রেসে। আম আদমি পার্টির প্রবল বিরোধী হিসাবে পরিচিত লাভলি।

লোকসভা ভোটের মধ্যে লাভলির পদত্যাগে দিল্লি কংগ্রেসে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে। পদত্যাগপত্রের পাশাপাশি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে লেখা চিঠিতে আম আদমি পার্টি তথা আপের সঙ্গে জোট নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।

চিঠিতে অরবিন্দর লিখেছেন, ‘যে দল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ এনে তৈরি হয়েছে, তাদের সঙ্গে জোটের সম্পূর্ণ বিরোধী ছিল দিল্লি কংগ্রেস ইউনিট। এরপরও দল সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লিতে আম আদমি পার্টির (এএপি) সঙ্গে জোট গঠনের।’

এছাড়া দলের প্রদেশ পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে লাভলি চিঠিতে বলেছেন, ‘এখন আমার কোনও কথাই গুরুত্ব পায় না। এমনকী দলের ব্লক সভাপতিদের নিয়োগেরও অনুমতি দেওয়া হয় না।’


কংগ্রেস   দিল্লি   অরবিন্দর সিং   পদত্যাগ   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চীনে টর্নেডোয় নিহত ৫, আহত ৩৩

প্রকাশ: ০১:২৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চীনের দক্ষিণাঞ্চলের গুয়াংডং প্রদেশের রাজধানী শহর গুয়াংজৌতে শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাতে ৫ জন নিহত ও ৩৩ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে টর্নেডোর আঘাতে হেনেছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রবিবার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিজিটিএন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, টর্নেডোটি শহরের বাইয়ুন জেলার ঝোংলুওটান শহরে আনুমানিক বেলা ৩টায় আঘাত হানে। এতে ১৪১টি কারখানা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে কোনো আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এসময় টর্নেডোর ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২.৮ কিলোমিটার দূরে লিয়াংতিয়ান গ্রামের আবহাওয়া কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে ২০.৬ মিটার নিবন্ধিত হয়েছিল। 

প্রাদেশিক আবহাওয়া ব্যুরোর প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছে, টর্নেডোটি তৃতীয় স্তরের ছিল। টর্নেডোর সর্বোচ্চ তীব্রতার মাত্রা পাঁচ থেকে দুই স্তর নিচে।


চীন   টর্নেডো   নিহত   আহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পঞ্চম দফায় সৌদি যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:৫৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সৌদি আরবে সফরে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি কয়েকদিনের এই সফরে গাজা যুদ্ধবিরতি এবং বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাত প্রতিরোধের প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করবেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় । ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার সৌদি আরবের উদ্দেশে পাড়ি দেবেন ব্লিঙ্কেন। সাম্প্রতিক সময়ে ইরান এবং ইসরাইলের মধ্যকার দীর্ঘ ছায়া যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো তিনি ওই অঞ্চলে সফরে যাচ্ছেন। এই সফরে উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর মন্ত্রীদের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ করার কথা।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির চলমান প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করবেন ব্লিঙ্কেন। হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিতের বিষয়েও আলোচনা করবেন তিনি।

ম্যাথিউ মিলার জানান, সংঘাত ছড়িয়ে না পড়ার গুরুত্বের বিষয়ে জোর দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। একই সঙ্গে এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা অর্জনের জন্য চলমান প্রচেষ্টা নিয়েও আলোচনা করবেন তিনি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ওপর হামাসের হামলার আগে সৌদি আরব এবং ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছিল। তবে হামাস এবং ইসরাইলের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর এই প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। আলোচিত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন।


পঞ্চম দফা   সৌদি   মার্কিন   পররাষ্ট্রমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য বন্ধ হচ্ছে ইউরোপের দরজা

প্রকাশ: ০২:০৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রস্তাবিত অভিবাসন আইন নিয়ে চার বছর ধরে চলছিল আলোচনা-পর্যালোচনা। শেষে এ আইন নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ২৭ দেশের এ জোট। এতে মূলত অনিয়মিত, অবৈধ অভিবাসন ঠেকানো এবং মানব পাচার রোধে কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশীরা আগের মতো সুযোগ পাবেন না। সেইসঙ্গে বন্ধ হচ্ছে প্রতারণার মাধ্যমে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগও। এর ফলে বাংলাদেশের মতো দেশের নাগরিকদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের বেশিরভাগ আবেদন নাকচ হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের আবেদন আর আগের মতো অনির্দিষ্টকাল

ঝুলে থাকবে না, সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ১২ সপ্তাহের মধ্যেই।

ইইউর নতুন আইনে সম্প্রতি রাজনৈতিক আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় অভিবাসন নীতির সংস্কার প্রস্তাবের অনুমোদন করা হয়েছে। এটি ২০২৬ সাল থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে। যেখানে আছে ১০টি ধারা। ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিউনিসিয়া, মরক্কো ও বাংলাদেশের মতো দেশের রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশীদের বেশিরভাগ আবেদন নাকচ হয়ে যাবে, যাদের দ্রুত বন্দি ক্যাম্পে পাঠানো হবে। এসব বন্দি ক্যাম্প করা হবে সীমান্ত, স্থলবন্দর ও বিমানবন্দর এলাকায়। সেখান থেকে নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হবে। এসব বন্দিশিবির নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মানবাধিকারকর্মীরা। তারা বলছেন, এসব বন্দিশিবিরে পদ্ধতিগত বন্দিত্ব ও মানবাধিকারের অবমূল্যায়নের আশঙ্কা রয়েছে। ইউরোপীয় নেতাদের ভাষ্য, নতুন নিয়মে যেমন অবৈধ অভিবাসন কমবে, তেমনি সুগম হবে দক্ষ শ্রমিকের পথও। বাংলাদেশের মতো দেশের নাগরিকদের জন্য, বিশেষ করে দক্ষ এবং মেধাবীদের জন্য দারুণ সুযোগ তৈরি হবে। এখন অভিবাসনের জন্য তারা বৈধ উপায়ে আবেদন করতে পারবেন। পাশাপাশি ভালো পেশা, উন্নত জীবনমানও নিশ্চিত হবে। একই সঙ্গে সরকারের মানব পাচার রোধের যে চেষ্টা রয়েছে, সেটিও এগিয়ে নেওয়া সহজ হবে।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট রবার্টা মেটসোলা এ চুক্তিকে ঐতিহাসিক বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, অবশেষে ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশী ও অভিবাসী ব্যবস্থাপনায় আইনি কাঠামো দাঁড় হচ্ছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লায়েন বলেছেন, এ চুক্তি আশ্রয়ের আবেদন প্রক্রিয়াকরণে দক্ষতা বাড়াবে। ইইউর নতুন চুক্তি অনুযায়ী, ইউরোপের প্রতিটি দেশের সীমান্তে বসছে কড়া নিরাপত্তা। আগে শুধু ইতালি, গ্রিসের মতো উপকূলীয় দেশগুলোতে অভিবাসী ঢল সামলাতে হতো। এখন দায়িত্ব ভাগ করে নেবে ইইউর সদস্য দেশগুলো। এ ছাড়া রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুরোধ সীমান্তের বাইরে যাচাই করা হবে। তা গ্রহণ না হলে আবেদনকারীকে ফিরতে হবে নিজ দেশে। প্রতিটি দেশের সীমান্তে থাকছে আশ্রয়কেন্দ্রও। কোনো সদস্যদেশ আশ্রয়প্রার্থীদের নিতে রাজি না হলে, অর্থ বা অন্যান্য সম্পদ দিয়ে সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। নতুন ব্যবস্থাপনায় অভিবাসী অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশ করলে সাত দিনের মধ্যে তার চেহারা ও হাতের বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্টসহ পরিচয়, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা পরীক্ষা করা হবে।

কর্মকর্তারা বলছেন, সর্বোচ্চ ১২ সপ্তাহের মধ্যেই সিদ্ধান্ত হবে কে থাকবেন আর কাকে ফিরতে হবে। প্রত্যেক রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশীকেই দেওয়া হবে আইনজীবী। প্রতারণা করে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ আর থাকছে না। অবশ্য দেশে ফিরলে সত্যি জীবনের হুমকি আছে, তেমন আবেদনকারীরা থাকার সুযোগ পাবেন। তবে আগের মতো যে কেউ চাইলেই রাজনৈতিক আশ্রয় পাবে না। শিশুরা বিশেষ সুবিধা পাবে। তাদের অধিকার স্বাধীন পর্যবেক্ষণ সংস্থা পর্যবেক্ষণ করবে।

এদিকে নতুন আইনের কড়া সমালোচনা করেছে ইউরোপের কট্টর দক্ষিণ ও বামপন্থিরা। সেই তালিকায় আছে হাঙ্গেরি ও পোলান্ডের সরকার। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান বলেছেন, এ চুক্তি ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য শেষ পেরেক। এখন আর কোনো সীমান্ত নিরাপদ থাকবে না। হাঙ্গেরি কখনো গণ-অভিবাসনের উন্মাদনা মানবে না। সূত্র: ডয়চে ভেলে, ইউরোপাইইউনিউজ


রাজনৈতিক   আশ্রয়   বন্ধ   ইউরোপ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলি, ২ বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশ: ১২:১০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের বাফেলোতে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে তাদের গুলি করে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশ।

নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যানা যায়নি। এ ছাড়াও কী কারণে তাদেরকে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হলো সে সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি।

প্রশাসনের বরাত দিয়ে মার্কিন বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, হান্ড্রেট জেনার স্ট্রিটে দুই ব্যক্তিকে গুলি করা হয়েছে এমন খবরে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। পরে তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। এই ঘটনায় গোটা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বাফেলো পুলিশ বলছে, হামলাকারীকে ধরতে অভিযান চলছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।


নিউইয়র্ক   গুলি   ২ বাংলাদেশি নিহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন