ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মাল্টিকালচারিজমের দেশ কানাডায় রমজানের আদ্যোপান্ত

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৬ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে মসজিদ গেটের সামনে পসরা সাজিয়ে বসে আতর আর জায়নামাজের দোকানগুলো। মাসব্যাপী রোজা রাখার সময়সূচি সম্বলিত রমজানের ক্যালেন্ডার থাকে সবার হাতে হাতে। এভাবেই ব্যাপক প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে রমজান শুরু হয় মাল্টিকালচারালিজমের দেশ কানাডায়। 

বাংলা ইনসাইডার আয়োজিত 'ইনসাইড রমজান' ধারাবাহিক এর আজকের পর্বে আমরা জানবো কানাডার রমজান ও ইফতার সংস্কৃতি-  

মহিমান্বিত মাস রমজানকে উৎসবমুখর পরিবেশে বিভিন্ন সংস্কৃতির পালন করা হয় কানাডায়। সারাদিন রোজা রেখে সন্ধ্যায় বাহারি ইফতার, ইফতারের পর তারাবিহের নামাজ পড়া ইত্যাদি ছাড়াও আনন্দ-উৎসব করার মাধ্যমেও সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয় রমজানের খুশির আমেজ। 

উৎসবের আমেজ

রমজানে কানাডার মুসলিম কমিউনিটির মধ্যে বিশেষ উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির ও ভিন্ন ভিন্ন দেশের সব মুসলিমরা রমজান উপলক্ষে একত্রিত হন, উৎসবে মেতে ওঠেন। সাদা-কালোর ভেদাভেদ উপেক্ষা করে, খাবার-সংস্কৃতি ভাগাভাগির অনন্য উৎসব রমজানে কানাডায় মুসলিমদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। মসজিদে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসলিমরা রোজা ভাঙার জন্য ইফতারে একত্রিত হন। এ সময় একটি চমৎকার পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির মিলনমেলায় পরিণত হয় তারা।

ইফতার ও সেহরির খাবারে বৈচিত্র

রমজানজুড়ে বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা তাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার রান্না করেন। কমিউনিটির অন্যান্যদের সঙ্গে পরস্পর সেসব খাবার ভাগাভাগি করেন। প্রায় প্রতিটি মহাদেশের খাবারের স্বাদ নিতে পারেন মুসলিমরা। এর মধ্যে যেমন রয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাদের বিরিয়ানি, তেমন রয়েছে ইথিওপিয়ান ইনজেরা বা ইউক্রেনিয়ান পেরোজিও।

শিশুদের বিশেষ স্মৃতি

রমজানে কানাডার মুসলিম পরিবারগুলো বাচ্চাদের বিশেষ স্মৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে চায়। তারা রমজানের বিভিন্ন খাবারের আয়োজনসহ ধর্মীয় নানা বিষয় শিক্ষা দেয়। এতে শিশুরা তাদের ধর্মীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারে। অনেক পরিবার কমিউনিটির অন্যান্য বাচ্চাদের নিয়ে স্লিপওভারের আয়োজন করে। যেখানে বাচ্চারা খাবার ভাগাভাগি করে খায় এবং মজা করে।

লণ্ঠন উপহার

রমজানে প্রতিবেশী মুসলিমদের আলংকারিক লণ্ঠন উপহার দেন অন্য মুসলিমরা। এটি রমজানের আরবীয় সংস্কৃতি। যা কানাডার মুসলিমদের মধ্যে বেশ শক্ত জায়গা করে নিয়েছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে মুসলিমরা এসব লণ্ঠন বিতরণ করেন।  

রমজানে শান্ত আবহ

কানাডায় রমজান অনেকটাই শান্তভাবে পালিত হয়। মুসলিম প্রধান দেশগুলোর মতো কানাডায় রমজানে হৈ-হুল্লোড় হয় না। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা এসব মুসলিম তাদের দেশে রমজানের বিশাল আয়োজনের কথা স্মরণ করেন। মুসলিমরা মসজিদে একত্রিত হন। ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে রমজান উদযাপন করেন। কানাডায় রমজানে তেমন লোক সমাগম না হলেও রমজানের প্রতি সবার মনোযোগ থাকে শতভাগ।

উন্মুক্ত ইফতার আয়োজন

কানাডার বিভিন্ন মসজিদে ইফতারের বিশাল আয়োজন করা হয়। দিনভর পরিশ্রম করেও ইফতারের সময় শিশুদের নিয়ে মসজিদে হাজির হন মুসল্লিরা। 

এছাড়াও, উইনিপেগের গ্র্যান্ড মসজিদ বেশ কয়েক বছর ধরে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ইফতার আয়োজন করা হয়। বার্ষিক ‌‌‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’ ইভেন্টটি রমজানে মুসলিমদের সাহায্য করে।  

কানাডায় মুসলিমদের বসবাস

কানাডা ন্যাশনাল হাউসহোল্ড সার্ভে অনুযায়ী, কানাডায় ১০ লাখেরও বেশি মুসলমান বাস করে। বিদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রে কানাডা বিশ্বের অন্যতম গ্রহণযোগ্য দেশ হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার কারণে বৈচিত্র্য এবং বহু সংস্কৃতির মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। দেশটির প্রতিটি প্রদেশেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলিম রয়েছে। তবে মুসলিমদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি অন্টারিও, কুইবেক, আলবার্টা, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ও ম্যানিটোবায়। সবাই রমজানের চেতনায় উজ্জীবিত হয়।

দীর্ঘ সময়ের রোজা

বিশ্বের যে কয়েকটি দেশে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে রোজা রাখতে হয়, তার মধ্যে কানাডা অন্যতম। দেশটিতে এ বছর জায়গাভেদে প্রায় ১৪ ঘণ্টা রোজা পালন করতে হচ্ছে। দীর্ঘ সময়ের রোজা রেখেও বেশির ভাগ মুসলিম তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। রমজান এলে বেশির ভাগ কর্মস্থলেই তারা সহকর্মীদের কাছ থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়ে থাকেন।

প্রবাসী বাঙালি মুসলিমদের প্রস্তুতি 

কানাডায় অবস্থানরত প্রবাসী বাঙালি মুসলিমরা ছুটির দিনসহ কর্মময় দিনগুলোতেও পরিবার-পরিজন নিয়ে রমজানের বিশেষ পন্যগুলো কেনেন। প্রবাসী বাঙালিদের মালিকানায় গ্রোসারিগুলো যেন দেশের মতোই বাংলাদেশি পণ্য দিয়ে পসরা সাজিয়ে বসে। বরফাচ্ছন্ন কানাডার প্রায় ৮ মাসই বরফে আচ্ছাদিত থাকে। এ বছরও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। কখনও প্রচণ্ড বৈরি আবহাওয়া প্রবাসী বাঙালিদের রমজানের প্রস্তুতি ম্লান করতে পারে না।

কানাডায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের ইফতার সংস্কৃতি 

রমজান মাসে বাংলাদেশের মতো সেখানেও বাঙালিরা ছোলা-মুড়ি মেখে মুয়াজ্জিনের আজানের ধ্বনির অপেক্ষায় থাকেন। ইফতারের আয়োজনে থাকে পেঁয়াজু, কলা, আলুর চপ, জিলাপি, খেজুর, চিকেন হালিম আর শরবত। বিশেষ খাবার হিসেবে কমলা, আঙুর, আপেলসহ নানা দেশের বৈচিত্র্যময় ফল। বাংলাদেশি হোটেলগুলোতেও ইফতারিসহ খিচুড়ি ও বিরিয়ানির বেচাকেনা চলে জমজমাটভাবে।

ঈদ উৎসব

রমজান শেষে কানাডিয়ান মুসলিমরা ঈদ-আনন্দে মেতে উঠেন। এ উপলক্ষে রমজান মাসে নতুন জামা-কাপড়সহ ঈদের কেনাকাটা করেন। বাচ্চাদের নতুন নতুন জিনিস কিনে দেন। এ ছাড়া প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদের দাওয়াত দেন। একসঙ্গে সবাই মিলে ঈদ উদযাপন করেন।


কানাডা   রমজান   মুসলিম   মসজিদ   জায়নামাজ   ইফতার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নতুন গন্তব্যে এমভি আবদুল্লাহ, নাবিকদের দেশে ফেরা নিয়ে যা জানা গেল

প্রকাশ: ১০:৩৮ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নতুন গন্তব্যে উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’।

শারজাহর আল হামরিয়া বন্দরে ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাসের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার নামে আরেকটি বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে জাহাজটি। সেখানে পণ্য লোড করে জাহাজটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হবে।

কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি চট্টগ্রামে নোঙর করবে বলে আশা করছি। আল হামরিয়া বন্দরে পণ্য খালাস করে শনিবার রাতে জাহাজটি মিনা সাকার নামে আরেকটি বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। সেখান থেকে নতুন পণ্য নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে এমভি আবদুল্লাহ।

অন্যদিকে, নতুন বন্দর থেকে পণ্য লোড করার পর নাবিকদের দেশে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত।

প্রসঙ্গত, মুক্তিপণ দিয়ে গত ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটে এমভি আবদুল্লাহ এবং জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান। এরপর জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়। এরপর ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি গত ২১ এপ্রিল বিকালে আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করে। জেটিতে নোঙর ফেলে ২২ এপ্রিল। পরে শুরু হয় কয়লা খালাসের প্রক্রিয়া।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে প্রায় ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাচ্ছিল। ছিনতাইয়ের পর সোমালিয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূলের গ্যরাকাদে নোঙর করেছিল জাহাজটি। এর আগে একই মালিক গ্রুপের এমভি জাহান মনিকে ২০১০ সালে জিম্মি করেছিল জলদস্যুরা। সেবারও মুক্তিপণ দিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।


এমভি আবদুল্লাহ   নতুন গন্তব্যে   নাবিকদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এইডস আক্রান্ত তিন নারী

প্রকাশ: ১০:২৭ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দীর্ঘ সময়ের জন্য নিজেকে তরুণ দেখাতে কসমেটিক সার্জারি এবং ইনজেকশনের আশ্রয় নিচ্ছেন অনেকে। মুখে ইনজেকশনের মাধ্যমে ত্বক সুন্দর ও টানটান রাখতে ‘ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল’ করেন কেউ কেউ। সম্প্রতি এই ফেসিয়াল সংক্রান্ত ভীতিকর তথ্য সামনে এসেছে। ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করে এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ জন নারী।

বৃহস্পতিবার, ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ অ্যান্ড কন্ট্রোল (সিডিসি)-এর বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো রাজ্যের একটি স্পা-তে ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করার কারণে সম্ভবত নারীরা এইচআইভিতে আক্রান্ত হচ্ছেন।

সিডিসি বলেছে, কসমেটিক ইনজেকশনের মাধ্যমে এইচআইভি সংক্রমণের ঘটনা এটাই প্রথম। এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা তাদের জানা নেই। আক্রান্ত মহিলারা লাইসেন্সবিহীন স্পা থেকে ফেসিয়াল করিয়েছিলেন ২০১৮ সালে।

সিডিসির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে একজন মহিলা মেক্সিকোতে একটি লাইসেন্সবিহীন স্পা থেকে প্লেটলেট সমৃদ্ধ প্লাজমা মাইক্রোনিডলিং পদ্ধতির মাধ্যমে ফেসিয়াল করিয়েছিলেন। তারপরে তিনি এইচআইভি পজিটিভ ছিলেন। এর পরে ‘সিডিসি’ নিউ মেক্সিকোর স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে কসমেটিক ইনজেকশনের মাধ্যমে কীভাবে এইচআইভি সংক্রমণ ঘটেছে তা তদন্ত করে।

সিডিসি জানিয়েছে, যে মহিলাটি ইনজেকশনের মাধ্যমে ওষুধ গ্রহণ করেননি, তাকে সংক্রামিত রক্ত সঞ্চালনও দেওয়া হয়নি বা এইচআইভি সংক্রামিত কোনও সঙ্গীর সঙ্গে তার যৌন সম্পর্কও হয়নি। তিনি শুধু একটি ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করেছেন এবং এর পরে তার এইচআইভি পরীক্ষা পজিটিভ পাওয়া গেছে।

২০১৯ সালে নিউ মেক্সিকো হেলথ ডিপার্টমেন্ট বলেছিল, আলবুকার্কের ভিআইপি স্পা-তে ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল গ্রহণের ফলে এইচআইভি সংক্রমণ হয়েছিল। স্পাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং সে সময় স্বাস্থ্য বিভাগ বলেছিল, যারা স্পাটিতে ফেসিয়াল করেছেন তাদের এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি এবং হেপাটাইটিস সি বিনামূল্যে পরীক্ষা করা হবে।

সিডিসি বলছে, ২০২৩ সালের মধ্যে চারজন মহিলা এবং একজন পুরুষসহ পাঁচজন এইচআইভি রোগী শনাক্ত হয়েছে। পুরুষটি সেই চারজন নারীর একজনের স্বামী।

সিডিসি জানিয়েছে, দুইজন এইচআইভি-আক্রান্ত রোগী বলেছেন, তারা কসমেটিক ইনজেকশন নেওয়ার আগে কোনোভাবে সংক্রামিত হয়ে থাকতে পারেন। তবে তিনজন রোগী স্পা থেকে এই সংক্রমণ পেয়েছেন। আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজি জানিয়েছে, ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল পদ্ধতিতে ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা সময় লাগে৷

বার্ধক্যের লক্ষণ লুকানোর জন্য মানুষ ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকে৷ এতে হাত থেকে রক্ত বের করে একই ব্যক্তির মুখে ইনজেকশন দেওয়া হয়৷


ভ্যাম্পায়ার   ফেসিয়াল’ যুক্তরাষ্ট্র   এইডস   আক্রান্ত   তিন নারী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জব্দ সেই ইসরাইলি জাহাজের ক্রুদের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিল ইরান

প্রকাশ: ০৯:৪৪ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই দেশটির সংশ্লিষ্ট একটি জাহাজ আটক করে ইরান। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে জাহাজটি আটক করা হয়। আটক সেই জাহাজের নাবিকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ইরান। শনিবার (২৭ এপ্রিল) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) হাতে নাবিকদের মুক্তি দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে তাদের কূটনৈতিক সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

পর্তুগিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেঞ্জেলকে টেলিফোনে তিনি বলেন, ইরানের কাছেও জাহাজে থাকা নাবিকদের মুক্তির মানবিক বিষয়টি গুরুতর উদ্বেগের। এসব নাবিক তেহরানে তাদের রাষ্ট্রদূতদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে গত ১৪ এপ্রিল এনডিটিভি জানায়, ফিল্মি স্টাইলে হরমুজ প্রণালি থেকে আটক করা ইসরায়েলি জাহাজে ২৫ নাবিক রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৭ জনই ভারতীয়।

বার্তাসংস্থা তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, এমএসসি এআরআইইএস নামের জাহাজটিকে জব্দ করেছে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের সেনারা।

ইরানি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পর্তুগালের পতাকাবাহী জাহাজটি জোডিয়াক মেরিটাইম শিপিং কোম্পানির। আর এই কোম্পানিটির মালিক হলেন ইসরায়েলের ধনকুবের ইয়াল ওফার। হরমুজ প্রণালি থেকে জব্দ করার পর জাহাজটি এখন ইরানের সমুদ্রসীমায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুক্রবার দুবাই থেকে মুম্বাইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল জাহাজটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, জাহাজটি উদ্ধারের জন্য ইরানের প্রশাসনের সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে যোগাযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নয়াদিল্লিতে ইরানের দূতাবাসের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রও জাহাজটিকে অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন বলেন, ‘আমরা ইরানকে জাহাজটি এবং তার আন্তর্জাতিক ক্রুকে অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। উসকানি ছাড়াই একটি বেসামরিক জাহাজ জব্দ করা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসের জলদস্যুতার একটি কাজ৷


ইসরাইল   জাহাজ   ক্রু   সিদ্ধান্ত   ইরান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরাকে এক টিকটকারকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ: ০৯:৩০ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইরাকে এক নারী টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। মোটরসাইকেল নিয়ে আসা এক বন্দুকধারী ওই নারীকে গুলি করে হত্যা করেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটে। খবর বাসসের।

ওই নারীর নাম ওম ফাদাহ। ইরাকের সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি অনেক প্রভাবশালী এবং সুপরিচিত ছিলেন। বাগদাদে তার বাড়ির বাইরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এএফপি’কে এই কথা জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, অজ্ঞাতনামা এক হামলাকারী জায়উনা জেলায় ওম ফাহাদকে তার গাড়িতে গুলি করে। অন্য এক নিরাপত্তা সূত্র জানায়, ওই হামলাকারী খাবার ডেলিভারি দেওয়ার ভান করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ওম ফাহাদ আঁটসাঁট পোশাক পরে ইরাকি সঙ্গীতে তার নাচের টিকটক ভিডিওগুলোর জন্য পরিচিত হয়েছিলেন।

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি আদালত ‘শালীনতা এবং জনসাধারণের নৈতিকতাকে ক্ষুন্ন করে এমন অশালীন বক্তৃতা সম্বলিত ভিডিও’ সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য তাকে ছয় মাসের কারাদ- দেয়।

ইরাকের জনসাধারণের ‘নৈতিকতা এবং ঐতিহ্য লঙ্ঘন করে এমন বিষয়বস্তু সম্বলিত কন্টেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য গত বছর দেশটির সরকার অভিযান শুরু করে।

টিকটক, ইউটিউব এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলোতে পোস্টকৃত আক্রমণাত্মক বিভিন্ন ক্লিপ চিহ্নিত করে তা সরিয়ে ফেলার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে।

কর্তৃপক্ষ জানায়, এরপর থেকে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৮ সালে বন্দুকধারীরা বাগদাদে প্রভাবশালী মডেল তারকা ফারেসকে গুলি করে হত্যা করে।


ইরাক   নারী টিকটকার   গুলি   হত্যা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা চালাচ্ছে চীন: ব্লিঙ্কেন

প্রকাশ: ০৯:১১ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনে চীন হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তবে অভিযোগ নয় বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রমাণও আছে। এমন দাবি করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) চীন সফরের শেষ দিন মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ অভিযোগ করেন।

তিনদিনের চীন সফরের শেষ দিন গত শুক্রবার বেইজিংয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের কাইলি অ্যাটউডকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে চীনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তোলেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

চীন সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। নানা বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে চলমান টানাপোড়েনের মধ্যেই চীন সফরে গিয়েছিলেন তিনি।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানান, গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোতে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। তখনও ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চীন যাতে হস্তক্ষেপ প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা না চালায়— এমন বার্তা সিকে দিয়েছিলেন জো বাইডেন। সে সময় চিন পিং তাঁকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন চীনের পক্ষ থেকে এমন কোনো কাজ করা হবে না।

শুক্রবার সিএননকে দেওয়া সাক্ষাতকারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার ও প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ সংক্রান্ত প্রমাণও ওয়াশিংটনের হাতে এসেছে।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনে চীনের যেকোনো হস্তক্ষেপের বিষয় আমরা খুবই সতর্কতার সঙ্গে নজর রাখছি। এটা আমাদের কাছে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। সেই বার্তা আমি দিয়েছি।’

তবে চীনের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে তারা হস্তক্ষেপ করে না। কারণ অন্য কোনো দেশের কোনো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার নীতি বেইজিং সব সময়ই মেনে চলে।


মার্কিন   পররাষ্ট্রমন্ত্রী   অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন   যুক্তরাষ্ট্র   নির্বাচন   হস্তক্ষেপ   চীন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন