সম্প্রতি ভারত মহাসাগরে 'এমভি আবদুল্লাহ' নামে বাংলাদেশি একটি জাহাজ জলদস্যুদের কবলে পড়ায় বিশ্বজুড়ে সোমালিয়া এখন আলোচনার শীর্ষে। কারণ, ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভারত মহাসাগরের পূর্ব আফ্রিকা উপকূলে গত কয়েক মাসে পণ্যবাহী জাহাজে জলদস্যুদের আক্রমণের ঘটনা দ্রুত বেড়েছে। এসব ঘটনা বাণিজ্যিক জাহাজের নাবিক, জাহাজ পরিচালনাকারী কোম্পানি এবং সরকারগুলোর মাথাব্যাথার বড় কারণ হয়ে উঠেছে।
লোহিত সাগর ও আরব সাগর ঘেঁষে অবস্থিত পৃথিবীর অন্যতম দস্যুরাষ্ট্র সোমালিয়া। দেশটির নাম শোনামাত্রই ভেসে আসবে সমুদ্রগামী জাহাজ লুটপাট, নাবিকদের অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়ের মতো দুর্ধর্ষ কর্মকাণ্ডের চিত্রপট। বিশ্বজুড়ে জলদস্যুতার জন্য কুখ্যাত সোমালিয়ার জনগণ কিছুকাল পূর্বেও শস্য উৎপাদন ও সমুদ্রে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত। কালের পরিক্রমায় তারাই পরিণত হয়েছে ভয়ংকর দুর্ধর্ষ জাতি হিসেবে।
সোমালি জলদস্যুদের কবলে পরে জাহাজ ছিনতাইয়ের খবর হরহামেশাই পাওয়া যায়। মাত্র ১০ থেকে ২০ জলদস্যু মিলেই ছিনতাই করে নিয়ে যায় বিশাল বিশাল সব পণ্যবাহী জাহাজ।
সাধারণত সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার মূল পথ হলো মুক্তিপণ। বিশ্বজুড়ে জলদস্যুতার জন্য কুখ্যাত সোমালিয়ার জনগণ। যেন সোমালি জলদস্যু এক আতঙ্কের নাম! স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, অতিসাধারণ জেলে পরিবার থেকে উঠে আসা মানুষগুলো এতো শক্তিশালী জলদস্যুতে পরিণত হল কিভাবে?
ইতিহাস বলছে, প্রাচীনকালে সোমালিয়া ছিল একটি জরুরি বাণিজ্যিক কেন্দ্র। মধ্যযুগে এটি অনেক সোমালি সাম্রাজ্যের বাণিজ্যিক নেতৃত্ব পেয়েছিল। ষাটের দশকে 'আধুনিক সোমালিয়া' স্বাধীনতা, সমৃদ্ধি এবং গণতন্ত্রের দলিল ছিল। তবে, ১৯৬৯ সালে দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট আলী শারমার হত্যা হয় এবং এরপরই সামরিক অভ্যুত্থানের ফলে সোমালিয়া গণতান্ত্রিক যুগের কান্না দেখে। সামরিক স্বৈরাচারী শাসনের সময়ে গৃহযুদ্ধ চলে। এসময় লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি হয় এবং অনেকে শরণার্থী হয়ে চলে যায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। মূলত তারপর থেকেই সোমালিয়ায় জলদস্যু উত্থানের শুরু হয়।
সোমালিয়ায় গৃহযুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায়ে জলদস্যুরা আন্তর্জাতিক জাহাজগুলোর জন্য হুমকি হয়েছে। মূলত অবৈধভাবে মাছ ধরার ফলে তাদের স্থানীয় পরিবেশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
ডিআইডব্লিউ এবং মার্কিন হাউস আর্মড সার্ভিসেস কমিটির মতে, বিদেশি জাহাজ থেকে সোমালি উপকূলে বিষাক্ত বর্জ্য ডাম্পিং করার ফলে স্থানীয়দের বসবাসের পরিবেশ হুমকিতে পড়েছিল। এর প্রতিবাদে স্থানীয় জেলারা সশস্ত্র দলে বিভক্ত হয়ে বিদেশি জাহাজের অঞ্চলে প্রবেশ বন্ধ করার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে বিকল্প উদ্যোগ হিসেবে তারা বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ মুক্তিপণের জন্য ছিনতাই করে।
২০০৯ সালের একটি জরিপে দেখা গেছে, সোমালিয়ায় প্রায় ৭০ শতাংশের উপকূলবর্তী সম্প্রদায় দেশের জলসীমার মধ্যে বিদেশি জাহাজের প্রবেশ বন্ধে জলদস্যুতাকে শক্তভাবে সমর্থন করে। এমনকি, সোমালিয়ার অনেক সরকারি কর্মকর্তা জলদস্যুদের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলেও জানা গেছে।
তাছাড়া সোমালিয়ান জলদস্যুদের আলাদা অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে বলেও জানা গেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো- একে৪৭, একেএম, টাইপ৫৬, টিটি৩৩, পিকে, আরপিজি৭ ইত্যাদি। এছাড়াও, আরজিবি৫ ও এফ১ এর মতো শক্তিশালী হাতবোমারও ব্যবহার করে থাকে জলদস্যুরা।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, সোমালিয়ায় জলদস্যুতা এখন বিশাল বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। অন্যান্য দেশে থাকা সোমালিরা এই ব্যবসায় বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগও করে থাকে। সোমালিয়ায় দস্যুদের পাশাপাশি সোচ্চার রয়েছে গ্যাং বাহিনী। দেশটির উত্তরাঞ্চলের গ্যালমাদাগ প্রশাসন দক্ষিণাঞ্চলের বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে জলদস্যুদের ব্যবহার করে থাকে। এমনও অভিযোগ রয়েছে, সোমালিয়ার সেনাবাহিনী, সরকারের মন্ত্রী ও নেতারা এমনকি অন্যান্য দেশের বড় বড় ব্যবসায়ী এই লুটের টাকার ভাগ পেয়ে থাকে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জলস্যুদের মুক্তিপণের অর্থায়নেই দেশটিতে উন্নয়ন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটছে। যার ফলে গড়ে উঠছে বিলাসবহুল হোটেল। দেশটির অন্যান্য অংশ থেকেও বিনিয়োগকারীরা সেখানে অর্থ খাটাচ্ছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, জলদস্যুতা এখন সোমালিয়ার অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি।
বিশাল মুনাফার কারণে সোমালিয়ার অনেক যুদ্ধবাজ গোত্র নেতারাই সুসংগঠিত উপায়ে 'জলদস্যু ব্যবসা' শুরু করেছে। দলে দলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর তরুণরা জলদস্যুদের দলে নাম লেখাচ্ছে। তবে, এর সাথে জড়িত রাঘববোয়ালরা এখনও পর্যন্ত পর্দার অন্তরালেই রয়েছেন।
জাহাজ জলদস্যু সোমালিয়া ডিআইডব্লিউ ভারত মহাসাগর
মন্তব্য করুন
সৌদি আরবের দাহরানের কিং ফাহাদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবল বৃষ্টিতে একটি মসজিদের ছাদ ভেঙে পড়েছে। সৌদির বিভিন্ন অঞ্চলে গত দুইদিন ধরে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
বুধবার (১ মে) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। তবে মসজিদের ছাদ ভেঙে কেউ আহত হননি। কারণ ওই সময় সেখানে কেউ ছিলেন না।
নেটিজেনরা জানিয়েছেন, মসজিদটির বাইরের অংশের ছাদটি ধসে পড়েছে। মসজিদ সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে মূল ভবনের বাইরে স্টিলের এই ছাদটি স্থাপন করা হয়েছিল।
স্টিলের ছাদটির ওপর এতই পানি জমা হয়েছিল যে এটি আর ভার বহন করতে পারেনি। এরপর একটি পর্যায়ে এটি ভেতরের দিকে ধসে পড়ে। তখন মসজিদের ভেতর বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে এবং মসজিদে যেসব কার্পেট ছিল সেগুলো পানিতে ভিজে যায়।
কেউ একজন মসজিদের মূল ভবনের ভেতর থেকে ছাদ ভেঙে পড়ার মুহূর্তটি নিজের মোবাইল ফোনে ধারণ করেন।
বৃষ্টিপাতের কারণে দেশটিতে সাধারণ মানুষকে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরাসরি ক্যাম্পাসে আসার বদলে অনলাইনে পাঠদান কর্মসূচি চলছে।
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে মার্কিন পুলিশ। ইতিমধ্যে তারা সেখানে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছেন এবং অনেকককে গ্রেপ্তার করেছেন। এমনকি বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ করে তাঁবু সরাতে রাবার বুলেট পর্যন্ত ব্যবহার করেছে মার্কিন পুলিশ।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার(২ মে) ভোরে ইউসিএলএ ক্যাম্পাসের বাইরে রাখা ব্যারিকেড সরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে পুলিশ। ভেতরে প্রবেশ করে সেখানে আগে থেকে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের তাঁবু ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ। নির্দেশনা না মানলে গ্রেপ্তার, এমনকি আহত হতে পারেন বলেও জানায় তারা। তবে পুলিশের সতর্কবার্তা আমলে না নিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। তাই অনেক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছোড়া হয়েছে রাবার বুলেট। সিএনএন এর প্রতিবেদন
বিবিসি জানিয়েছে, মূল আন্দোলনস্থল ডিকসন কোর্টে প্রবেশ করেছে পুলিশ। পুলিশ দেখে অনেক শিক্ষার্থী বিক্ষোভস্থল ত্যাগ করলেও এখানো সেখানে অনেকে অবস্থান করছেন। তবে তাদের ঘিরে রেখেছে পুলিশ সদস্যরা।
পুলিশ এখন তাঁবু সরিয়ে দিচ্ছে। ডিকসন কোর্টে এখন অনেকটা পুলিশে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাসের অন্য কোথাও তাঁবু স্থাপন করেছে কিনা তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে এই ক্যাম্পাসে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিপন্থী শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে এই সময় পুলিশ দেরিতে সাড়া দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ জন্য পুলিশের সমালোচনাও করেছে অঙ্গরাজ্যের গভর্নরের কার্যালয়।
যুক্তরাষ্ট্র ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া পুলিশ ইউসিএলএ লস অ্যাঞ্জেলেস
মন্তব্য করুন
মৌসুমী বৃষ্টির কারণে কেনিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট, সেতু ও অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে অনেক।
কেনিয়া জানিয়েছে, দেশটিতে বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বিপর্যয়ে এখন পর্যন্ত ১৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই বিপর্যয়ে কেনিয়ায় ১২৫ জন আহত হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৯০ জন। দের লাখের ও বেশি মানুষের স্থানীয় বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
বুধবার কেনিয়ার বিখ্যাত পর্যন্ত এলাকা মাসাই মারা বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ অঞ্চলের একটি নদী হঠাৎ করে প্লাবিত হলো পর্যটকসহ ১০০ জন হড়কা বানে ভেসে যায়। সেখান থেকে ৯০ জনকে সফলভাবে উদ্ধার করার কথা জানায় কেনিয়া কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন
গাজার ঘটনার প্রতিবাদ ঠেকাতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিলটন হলে অভিযান চালিয়ে একশোর বেশি আটকের ঘটনায় পুরো ক্যাম্পাসই এখন বিপর্যস্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়টির সব প্রবেশ পথেই এখন পুলিশ ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীদের ভিড়, রাস্তায় ব্যারিকেড। জিনিসপত্র নিয়ে শিক্ষার্থীরা বাড়ির উদ্দেশে ক্যাম্পাস ছাড়ছে। ক্লাস বাতিল হয়েছে আর পরীক্ষা কবে হবে ঠিক নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এরপর কী হতে যাচ্ছে তা নিয়েই সর্বত্র এক থমথমে ভাব আর অনিশ্চয়তা।
পুলিশি অভিযানের পর এক বার্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নেমাত শফিক বলছেন, তাকে গভীর দু:খ নিয়েই শিক্ষার্থী ও অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানের নির্দেশ পুলিশকে দিতে হয়েছে এবং এ ক্ষত শুকাতে সময় লাগবে।
অন্যদিকে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতার ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর। সেখানে ক্যাম্পাসে পুলিশকে ডাকার আগেই মুখোশ পরিহিত ইসরায়েলপন্থি একটি গ্রুপ ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের তাবুতে হামলা চালায়।
গভর্নরের মুখপাত্র বলেছেন, এ ঘটনায় 'সীমিত ও বিলম্বিত' পুলিশি হস্তক্ষেপ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। বুধবার ওই ক্যাম্পাসে শত শত পুলিশ কর্মকর্তা অবস্থান নিয়েছিল।
তবে অনেকেই অভিযোগ করেছেন, মঙ্গলবার মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের তাঁবুকে ঘিরে সংঘর্ষের সময় পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়নি। যদিও কর্মকর্তারা বলেছেন সহিংসতার সূচনার পর দ্রুত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।
মূলত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যক্তি ও কোম্পানিকে বয়কটের দাবিতে গত কিছুদিন ধরেই প্রচণ্ড ছাত্র বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। মঙ্গলবার রাতে কয়েকটি জায়গায় তা সংঘর্ষের রূপ নেয়।
এর আগে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হার্ভার্ড থেকে ইয়েলসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ফিলিস্তিনের পক্ষে ও ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত কোম্পানি ও ব্যক্তিদের বয়কট করার আহ্বান জানাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা।
সর্বশেষ পহেলা মে রাতে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের দখল করে রাখা অ্যাকাডেমিক ভবন দখলমুক্ত করতে অভিযান চালায় নিউইয়র্ক পুলিশ। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে নয়টায় অভিযান শুরু করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে তারা হ্যামিলটন হল নামে ওই ভবনে প্রবেশ করেছে। সেখানে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীদের সবাইকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
মন্তব্য করুন
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া মাঝপথ থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে আরও কয়েকটি বিমান।
বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং পাঁচটি বিমানকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র।
তিনি বলেছেন, 'দুবাই বিমানবন্দর নিশ্চিত করেছে খারাপ আবহাওয়ার কারণে রাতের বেলা পাঁচটি বিমানকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং নয়টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।'
এছাড়া বিমানবন্দরে আসার ক্ষেত্রে সময় নিয়ে বের হওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। কারণ বৃষ্টির কারণে রাস্তায় দীর্ঘ জ্যামের সৃষ্টি হতে পারে।
আরব আমিরাতে সাধারণত এত বৃষ্টিপাত দেখা যায় না। তবে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশটিতে একদিনে এক বছরের সমান বৃষ্টিপাত হয়। এতে বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পানি জমে যায়। পানির পরিমাণ এতই বেশি ছিল যে রাস্তায় থাকা গাড়িগুলো ভেসে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যায়।
সংযুক্ত আরব আমিরাত বৃষ্টিপাত ফ্লাইট
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে মার্কিন পুলিশ। ইতিমধ্যে তারা সেখানে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছেন এবং অনেকককে গ্রেপ্তার করেছেন। এমনকি বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ করে তাঁবু সরাতে রাবার বুলেট পর্যন্ত ব্যবহার করেছে মার্কিন পুলিশ।
মৌসুমী বৃষ্টির কারণে কেনিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট, সেতু ও অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে অনেক। কেনিয়া জানিয়েছে, দেশটিতে বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বিপর্যয়ে এখন পর্যন্ত ১৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই বিপর্যয়ে কেনিয়ায় ১২৫ জন আহত হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৯০ জন। দের লাখের ও বেশি মানুষের স্থানীয় বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
গাজার ঘটনার প্রতিবাদ ঠেকাতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিলটন হলে অভিযান চালিয়ে একশোর বেশি আটকের ঘটনায় পুরো ক্যাম্পাসই এখন বিপর্যস্ত। বিশ্ববিদ্যালয়টির সব প্রবেশ পথেই এখন পুলিশ ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীদের ভিড়, রাস্তায় ব্যারিকেড। জিনিসপত্র নিয়ে শিক্ষার্থীরা বাড়ির উদ্দেশে ক্যাম্পাস ছাড়ছে। ক্লাস বাতিল হয়েছে আর পরীক্ষা কবে হবে ঠিক নেই।