ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মোদি-খাড়গে বাগ্বিতণ্ডায় হঠাৎ বাংলাদেশ প্রসঙ্গ

প্রকাশ: ১১:৪৫ এএম, ০২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের ভোট নিয়ে বিজেপি-কংগ্রেস পাল্টাপাল্টিতে আচমকাই ঢুকে পড়ল বাংলাদেশ। চলে এল স্থলসীমান্ত চুক্তি প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অভিযোগের যে জবাবে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন, ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও তার কোনো জবাব মোদি দেননি। এমন কি বিতর্কের অবসানও ঘটেনি।

বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে কচ্চতিভু দ্বীপ, যে ভূখণ্ডটি ১৯৭৪ সালে শ্রীলঙ্কাকে ভারত দিয়েছিল। সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী।

এত বছর পর হঠাৎ কচ্চতিভু দ্বীপ প্রসঙ্গটি রাজনীতির বিতর্কে টেনে আনার পেছনে রয়েছে তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক পটভূমি। তামিলনাড়ুতে পায়ের তলার জমি শক্ত করতে বিজেপি এই দ্বীপের হস্তান্তরকে বড় করে তুলে ধরে কংগ্রেসকে দেশদ্রোহী প্রতিপন্ন করতে চাইছে।

কচ্চতিভু দ্বীপ হস্তান্তর প্রসঙ্গে তথ্য জানার অধিকার আইনের (আরটিআই) একটি প্রতিবেদন নিয়ে বিজেপির তামিলনাড়ু নেতৃত্ব কংগ্রেসবিরোধী প্রচার শুরু করামাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিষয়টি হাতিয়ার করে নেন। গত রোববার তিনি ‘এক্স’ হ্যান্ডলে ওই দ্বীপ শ্রীলঙ্কাকে দেওয়ার তীব্র সমালোচনা করে লেখেন, ‘এই চমকপ্রদ আরটিআই রিপোর্ট আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। এ থেকে পরিষ্কার, কংগ্রেস কী নিষ্ঠুরভাবে কচ্চতিভু দ্বীপটি শ্রীলঙ্কার হাতে তুলে দিয়েছিল। দেশের সবাই এতে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। তখনই বোঝা গিয়েছিল, কংগ্রেসকে বিশ্বাস করা যায় না। ৭৫ বছর ধরে ভারতের ঐক্য ও অখণ্ডতা এভাবেই তারা নষ্ট করেছে। এখনো করছে।’

রাজনৈতিক পাল্টাপাল্টির সূত্রপাত এখান থেকেই। রোববারই মোদির অভিযোগের দীর্ঘ জবাব দেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। সেখানেই টেনে আনেন বাংলাদেশ-ভারত স্থলসীমান্ত চুক্তির প্রসঙ্গ।

দীর্ঘ সেই পোস্ট খাড়কে শুরু করেছেন এভাবে, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, হঠাৎই আপনি দেশের অখণ্ডতা ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন। সেই উদ্বেগও ধরা পড়ল শাসনের দশম বছরে। সম্ভবত নির্বাচনের কারণেই। এতে আপনার অসহায়তা প্রকট হলো।’

খাড়গে এরপর স্থলসীমান্ত চুক্তি টেনে লিখেছেন, ‘১৯৭৪ সালে ইন্দিরা গান্ধী যে চুক্তি করেছিলেন তার প্রশংসা করে ২০১৫ সালে আপনিই বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি সম্পর্কে বলেছিলেন, এই চুক্তি শুধু জমির পুনর্বিন্যাস নয়, এতে দুই দেশের হৃদয়েরও মিলন ঘটেছে। সেই চুক্তি বাস্তবায়িত হয়েছিল আপনার সরকারের আমলে। বন্ধুত্বের প্রমাণ রেখে তাতে আপনার সরকার কিন্তু ভারতের ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশকে দিয়েছিল, বিনিময়ে পেয়েছিল বাংলাদেশের ৫৫টি ছিটমহল।’

স্পষ্টতই খাড়গে বোঝাতে চেয়েছেন, একটি দ্বীপ দেওয়ার জন্য যিনি কংগ্রেসকে দোষারোপ করছেন, তিনিই কিন্তু বাংলাদেশকে ১১১টি ছিটমহল দিয়েছেন!

খাড়গে এরপর লিখেছেন, ‘ওই বছর, সেই ১৯৭৪ সালে আরও একটি বন্ধুত্বপূর্ণ চুক্তি হয়েছিল ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে, কচ্চতিভু দ্বীপ নিয়ে। তামিলনাড়ুর নির্বাচনের প্রাক্কালে এখন আপনি ওই স্পর্শকাতর বিষয়টির অবতারণা করছেন, অথচ আপনার সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টে বলেছিলেন, চুক্তির মাধ্যমে কচ্চতিভু শ্রীলঙ্কার কাছে গেছে। সেটা ফিরিয়ে নিতে হলে যুদ্ধ করতে হবে। আপনার সরকার ওই দ্বীপ ফেরত নিতে কোনো উদ্যোগই কি নিয়েছিল?’

দেশের সর্বনাশের কারণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মোদি ১০ বছর শাসনের পরও এখনো নেহরু-গান্ধী পরিবারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান। সেই প্রসঙ্গের অবতারণা করে খাড়গে লিখেছেন, ‘গান্ধীজি, নেহরু, প্যাটেল, ইন্দিরা, রাজীবের মতো নেতা দেশের স্বাধীনতা ও অখণ্ডতার জন্য জীবন দিয়েছেন। সর্দার প্যাটেল ৬০০ জন রাজার রাজত্বকে দেশের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিলেন। অথচ কী বিপুল বৈপরীত্য দেখুন, গালওয়ান উপত্যকায় ২০ জন সেনা শহীদ হওয়ার পর আপনি চীনকে ক্লিনচিট দিলেন! চোখ খুলে দেওয়ার মতো কিছু থাকলে তা আপনারই দান। নেপাল, ভুটান ও মালদ্বীপের মতো বন্ধুদেশের সঙ্গে বৈরিতার মাত্রাও আপনি বাড়িয়ে দিয়েছেন। আপনার পররাষ্ট্রনীতির ব্যর্থতার দরুন এই প্রথম রাশিয়া থেকে পাকিস্তানও অস্ত্র সম্ভার কিনল!’

মোদির উদ্দেশে খাড়গে তাঁর পোস্টের শেষে বলেছেন, ‘দেশের এমন কোনো গ্রাম নেই, যেখানে রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা রক্ষায় কংগ্রেসিরা রক্ত ঝরায়নি। সন্ত্রাসবাদীদের মোকাবিলা করে জীবন দিয়েছেন ইন্দিরা ও রাজীব গান্ধী। কংগ্রেস নিয়ে এই আচ্ছন্নতা দয়া করে বন্ধ করুন। নিজের ব্যর্থতার দিকে তাকান, যার জন্য দেশকে ভুগতে হচ্ছে।’

খাড়গের জবাব মোদি না দিলেও কচ্চতিভু বিতর্ক কিন্তু বিজেপি ছাড়েনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সংসদে এ নিয়ে বিতর্কের উল্লেখ করে বলেছেন, নেহরুর কাছে কচ্চতিভু দ্বীপ ছিল একটা ‘উপদ্রব’। ইন্দিরার সময় ওই দ্বীপের কাছে মাছ শিকারের অধিকার ভারত ছেড়ে দিয়েছিল।

ভোটের মুখে তামিল জেলেদের ধরা পড়াকে বিজেপি ইস্যু করে তুলতে চাইছে। সে জন্য দোষী করতে চাইছে কংগ্রেসকে। তামিলনাড়ুর রাজনীতিক জয়শঙ্কর তাই বলেছেন, সমস্যাটি মোটেই মরে যায়নি। ভালোভাবে জিইয়ে রয়েছে।

কংগ্রেসের তামিল রাজনীতিক সাবেক অর্থ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম সোমবার এ জন্য একহাত নিয়েছেন জয়শঙ্করকে। তিনি এক্সে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘এটা ঠিক, ভারতীয় জেলেরা ৫০ বছর ধরে আটক হচ্ছেন। তেমনই শ্রীলঙ্কার জেলেরাও ভারতের হাতে ধরা পড়ছেন। প্রতিটি সরকার এ নিয়ে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কথা বলেছে। জেলেদের ছাড়িয়েছে। সেটা হয়েছে জয়শঙ্কর যখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ছিলেন, যখন পররাষ্ট্রসচিব ছিলেন এবং যখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী—সব সময়েই।’

এরপরেই চিদাম্বরম প্রশ্ন করেছেন, ‘হঠাৎ কী এমন হলো যে জয়শঙ্করকে কংগ্রেস ও ডিএমকের বিরুদ্ধে গলা তুলতে হচ্ছে? অটল বিহারি বাজপেয়ী যখন প্রধানমন্ত্রী কিংবা তামিলনাড়ুতে শরিকদের সঙ্গে মিলে বিজেপি শাসন করছিল, তখন কি ভারতীয় জেলেদের শ্রীলঙ্কা আটক করত না কিংবা ২০১৪ সালের পর নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর?’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সমালোচনা করে চিদম্বরম লিখেছেন, ‘মানুষ কত দ্রুত রং বদলাতে পারে, দেখছি। একজন নম্র কর্মকর্তা থেকে এক স্মার্ট পররাষ্ট্রসচিব থেকে আরএসএস-বিজেপির মুখপাত্র হয়ে গেছেন তিনি। ডিগবাজি খাওয়ার ইতিহাসে জয়শঙ্করের জীবন জ্বলজ্বল করবে।’

জয়শঙ্কর ও বিজেপিকে ছেড়ে দেয়নি ডিএমকেও। দলের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, এত বছর পর এখন এই বিষয়ের অবতারণার মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে, বিজেপি কতটা নার্ভাস। তামিলনাড়ুতে হেরে যাওয়ার ভয়ে কতটা ভীত। তামিলনাড়ুকে বন্যার ত্রাণে কেন টাকা দিতে পারেননি, সে প্রশ্নের উত্তর দিতে না পেরে মোদি এখন মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছেন।


ভারত   ভোট   বিজেপি-কংগ্রেস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

প্রবল বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ল মসজিদের ছাদ

প্রকাশ: ০৮:৫৬ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

সৌদি আরবের দাহরানের কিং ফাহাদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবল বৃষ্টিতে একটি মসজিদের ছাদ ভেঙে পড়েছে। সৌদির বিভিন্ন অঞ্চলে গত দুইদিন ধরে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

বুধবার (১ মে) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। তবে মসজিদের ছাদ ভেঙে কেউ আহত হননি। কারণ ওই সময় সেখানে কেউ ছিলেন না। 

নেটিজেনরা জানিয়েছেন, মসজিদটির বাইরের অংশের ছাদটি ধসে পড়েছে। মসজিদ সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে মূল ভবনের বাইরে স্টিলের এই ছাদটি স্থাপন করা হয়েছিল।

স্টিলের ছাদটির ওপর এতই পানি জমা হয়েছিল যে এটি আর ভার বহন করতে পারেনি। এরপর একটি পর্যায়ে এটি ভেতরের দিকে ধসে পড়ে। তখন মসজিদের ভেতর বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে এবং মসজিদে যেসব কার্পেট ছিল সেগুলো পানিতে ভিজে যায়।

কেউ একজন মসজিদের মূল ভবনের ভেতর থেকে ছাদ ভেঙে পড়ার মুহূর্তটি নিজের মোবাইল ফোনে ধারণ করেন।

বৃষ্টিপাতের কারণে দেশটিতে সাধারণ মানুষকে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরাসরি ক্যাম্পাসে আসার বদলে অনলাইনে পাঠদান কর্মসূচি চলছে।


মসজিদ   বৃষ্টিপাত   সৌদি আরব  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের ধরপাকড়

প্রকাশ: ০৮:৪৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে মার্কিন পুলিশ। ইতিমধ্যে তারা সেখানে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছেন এবং অনেকককে গ্রেপ্তার করেছেন। এমনকি বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ করে তাঁবু সরাতে রাবার বুলেট পর্যন্ত ব্যবহার করেছে মার্কিন পুলিশ। 

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার(২ মে) ভোরে ইউসিএলএ ক্যাম্পাসের বাইরে রাখা ব্যারিকেড সরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে পুলিশ। ভেতরে প্রবেশ করে সেখানে আগে থেকে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের তাঁবু ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ। নির্দেশনা না মানলে গ্রেপ্তার, এমনকি আহত হতে পারেন বলেও জানায় তারা। তবে পুলিশের সতর্কবার্তা আমলে না নিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। তাই অনেক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছোড়া হয়েছে রাবার বুলেট। সিএনএন এর প্রতিবেদন 

বিবিসি জানিয়েছে, মূল আন্দোলনস্থল ডিকসন কোর্টে প্রবেশ করেছে পুলিশ। পুলিশ দেখে অনেক শিক্ষার্থী বিক্ষোভস্থল ত্যাগ করলেও এখানো সেখানে অনেকে অবস্থান করছেন। তবে তাদের ঘিরে রেখেছে পুলিশ সদস্যরা।

পুলিশ এখন তাঁবু সরিয়ে দিচ্ছে। ডিকসন কোর্টে এখন অনেকটা পুলিশে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাসের অন্য কোথাও তাঁবু স্থাপন করেছে কিনা তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে এই ক্যাম্পাসে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিপন্থী শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে এই সময় পুলিশ দেরিতে সাড়া দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ জন্য পুলিশের সমালোচনাও করেছে অঙ্গরাজ্যের গভর্নরের কার্যালয়।


যুক্তরাষ্ট্র   ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া   পুলিশ   ইউসিএলএ   লস অ্যাঞ্জেলেস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কেনিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতে ১৮৮ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৮:৩৫ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

মৌসুমী বৃষ্টির কারণে কেনিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট, সেতু ও অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে অনেক। 

কেনিয়া জানিয়েছে, দেশটিতে বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বিপর্যয়ে এখন পর্যন্ত ১৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

এই বিপর্যয়ে কেনিয়ায় ১২৫ জন আহত হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৯০ জন। দের লাখের ও  বেশি মানুষের স্থানীয় বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।   

বুধবার কেনিয়ার বিখ্যাত পর্যন্ত এলাকা মাসাই মারা বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ অঞ্চলের একটি নদী হঠাৎ করে প্লাবিত হলো পর্যটকসহ ১০০ জন হড়কা বানে ভেসে যায়। সেখান থেকে ৯০ জনকে সফলভাবে উদ্ধার করার কথা জানায় কেনিয়া কর্তৃপক্ষ। 


কেনিয়া   বৃষ্টিপাত   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পুলিশের অভিযানে বিপর্যস্ত কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস

প্রকাশ: ০৮:২৮ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজার ঘটনার প্রতিবাদ ঠেকাতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিলটন হলে অভিযান চালিয়ে একশোর বেশি আটকের ঘটনায় পুরো ক্যাম্পাসই এখন বিপর্যস্ত।

বিশ্ববিদ্যালয়টির সব প্রবেশ পথেই এখন পুলিশ ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীদের ভিড়, রাস্তায় ব্যারিকেড। জিনিসপত্র নিয়ে শিক্ষার্থীরা বাড়ির উদ্দেশে ক্যাম্পাস ছাড়ছে। ক্লাস বাতিল হয়েছে আর পরীক্ষা কবে হবে ঠিক নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এরপর কী হতে যাচ্ছে তা নিয়েই সর্বত্র এক থমথমে ভাব আর অনিশ্চয়তা।

পুলিশি অভিযানের পর এক বার্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নেমাত শফিক বলছেন, তাকে গভীর দু:খ নিয়েই শিক্ষার্থী ও অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানের নির্দেশ পুলিশকে দিতে হয়েছে এবং এ ক্ষত শুকাতে সময় লাগবে।

অন্যদিকে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতার ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর। সেখানে ক্যাম্পাসে পুলিশকে ডাকার আগেই মুখোশ পরিহিত ইসরায়েলপন্থি একটি গ্রুপ ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের তাবুতে হামলা চালায়।

গভর্নরের মুখপাত্র বলেছেন, এ ঘটনায় 'সীমিত ও বিলম্বিত' পুলিশি হস্তক্ষেপ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। বুধবার ওই ক্যাম্পাসে শত শত পুলিশ কর্মকর্তা অবস্থান নিয়েছিল।

তবে অনেকেই অভিযোগ করেছেন, মঙ্গলবার মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের তাঁবুকে ঘিরে সংঘর্ষের সময় পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়নি। যদিও কর্মকর্তারা বলেছেন সহিংসতার সূচনার পর দ্রুত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

মূলত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যক্তি ও কোম্পানিকে বয়কটের দাবিতে গত কিছুদিন ধরেই প্রচণ্ড ছাত্র বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। মঙ্গলবার রাতে কয়েকটি জায়গায় তা সংঘর্ষের রূপ নেয়।

এর আগে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হার্ভার্ড থেকে ইয়েলসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ফিলিস্তিনের পক্ষে ও ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত কোম্পানি ও ব্যক্তিদের বয়কট করার আহ্বান জানাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা।

সর্বশেষ পহেলা মে রাতে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের দখল করে রাখা অ্যাকাডেমিক ভবন দখলমুক্ত করতে অভিযান চালায় নিউইয়র্ক পুলিশ। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে নয়টায় অভিযান শুরু করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে তারা হ্যামিলটন হল নামে ওই ভবনে প্রবেশ করেছে। সেখানে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীদের সবাইকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।


পুলিশ   কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়   ক্যাম্পাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আমিরাতে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে ১৩ টি ফ্লাইট বাতিল

প্রকাশ: ০৮:১১ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া মাঝপথ থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে আরও কয়েকটি বিমান।  

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং পাঁচটি বিমানকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র। 

তিনি বলেছেন, 'দুবাই বিমানবন্দর নিশ্চিত করেছে খারাপ আবহাওয়ার কারণে রাতের বেলা পাঁচটি বিমানকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং নয়টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।'

এছাড়া বিমানবন্দরে আসার ক্ষেত্রে সময় নিয়ে বের হওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। কারণ বৃষ্টির কারণে রাস্তায় দীর্ঘ জ্যামের সৃষ্টি হতে পারে। 

আরব আমিরাতে সাধারণত এত বৃষ্টিপাত দেখা যায় না। তবে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশটিতে একদিনে এক বছরের সমান বৃষ্টিপাত হয়। এতে বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পানি জমে যায়। পানির পরিমাণ এতই বেশি ছিল যে রাস্তায় থাকা গাড়িগুলো ভেসে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যায়।


সংযুক্ত আরব আমিরাত   বৃষ্টিপাত   ফ্লাইট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন