ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তৈরি হচ্ছে এআই শিশু!

প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথমে নারী সঙ্গী ও পোষা প্রাণীর এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) সংস্করণ এসেছিল। এবার এআই শিশু সৃষ্টি করেছেন চীনের গবেষকরা। বেইজিং ইনস্টিটিউট ফর জেনারেল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সেই ভার্চুয়াল চাইল্ড তৈরি করেছে। এটি যেমন স্বাভাবিক সংলাপ চালিয়ে যেতে পারে, তেমনি কনটেক্সট বা প্রেক্ষাপট বুঝতে এবং সংলাপের সময়ে সামঞ্জস্যও বজায় রাখতে পারে।

বলতে পারেন, চ্যাটজিপিটি-ও তো এসব কাজ করতে পারে। কিন্তু চীনের তৈরি টং টং’র বৈশিষ্ট্য হলো, সে শিখতে, মানিয়ে নিতে এবং নিজের ভার্চুয়াল পরিবেশের সঙ্গে ভাবের আদানপ্রদান করতে পারে। এমনকি মানুষের আবেগ শনাক্ত করে প্রতিক্রিয়াও দেখাতে পারে।

এক পরীক্ষায় টং টং’র সহজ কিছু ক্ষমতার পরিচয় পাওয়া গেছে। যেমন- পড়ে যাওয়া তরল পরিষ্কার, বেঁকে যাওয়া ছবির ফ্রেম ঠিক করা কিংবা উঁচু জায়গায় চেয়ার নিয়ে যাওয়া তার জন্য কোনো সমস্যাই নয়। মানুষের নির্দেশ ছাড়াই স্বতন্ত্রভাবে এসব কাজ করতে পারে এটি।

কোনো একদিন সে হয়তো আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স বা এজিআই আয়ত্ত্ব করবে বলে আশা করছেন এর নির্মাতারা। অর্থাৎ সেই এআই শিশুর মধ্যে মানুষের সব বৈশিষ্ট্য থাকবে। যেমন- স্বতন্ত্রভাবে কগনিশন বা জ্ঞান গ্রহণ করা, সিদ্ধান্ত নেওয়া, সামাজিক স্তরে ভাবের আদানপ্রদান ও আবেগ প্রদর্শন।

শিশু হিসেবে তুলে ধরার কারনঃ ডেভেলপারদের মতে, পুরোপুরি উন্নত এজিআই যদি কোনো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মতো হয়, তাহলে টং টং’র ক্ষমতা চার বছর বয়সী শিশুর সঙ্গে তুলনীয়। তাছাড়া, মানুষ অতিবুদ্ধিমান এআই শুনলে ভয় পায়, কিন্তু শিশুদের ভালোবাসে। 

প্রথমদিকে এআই শিশু একটু অদ্ভুত লাগতে পারে বটে, কিন্তু যাদের নিজস্ব সন্তান পাওয়ার উপায় নেই, তাদের জন্য সেটি একটি পথ হতে পারে। অথবা যে বাবা-মায়েরা সন্তান হারিয়েছেন, তারা হয়তো এভাবে শোকের মাত্রা কিছুটা কমাতে পারেন। যথেষ্ট তথ্য থাকলে তারা হয়তো হারানো শিশুর ডিজিটাল সত্ত্বাও সৃষ্টি করতে পারেন।

কিন্তু এক্ষেত্রে এআইর ভুলত্রুটি থেকে সুরক্ষার কথাও ভাবতে হবে। যেমন- আপনার এআই শিশু আচমকা নিজের ব্যক্তিত্ব বদলে ফেললে কেমন লাগবে? অথবা সে পুরোপুরি কাজ বন্ধ করে দিলেও আপনার আবেগ বড় ধাক্কা খেতে পারে। তাছাড়া স্বাধীনভাবে চিন্তা ও আবেগ সৃষ্টি করতে সক্ষম কোনো এআইর সঙ্গে সম্পর্কের বন্ধন গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও নানা প্রশ্ন উঠে আসে।


এআই   শিশু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চুক্তি হলেও রাফায় ঢুকে হামাসকে নির্মূল করতে চায় ইসরায়েল

প্রকাশ: ০৮:২০ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

জিম্মি চুক্তি হোক বা না হোক, সম্পূর্ণ বিজয় অর্জনের জন্য আমরা রাফায় ঢুকব এবং হামাসকে নির্মূল করব বলেছেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) গাজায় নিহত সেনাদের পরিবার এবং জিম্মিদের স্বজনদের তিনি এ কথা বলেন। নেতানিয়াহু আরও বলেন, লক্ষ্য অর্জনের আগেই আমরা যুদ্ধ বন্ধ করে দেব, এমন ধারণা কোনো বিকল্প নয়। খবর আল জাজিরার।

এদিকে বেশ কিছু জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে গাজায় ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে। কায়রোয় সর্বশেষ আলোচনা শেষে কাতারে ফিরে হামাস জানিয়েছে- প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের মতামত জানাব।

অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, গোষ্ঠীগুলো নেতানিয়াহু এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এটি শেষ করতে আন্তর্জাতিক চাপ প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছে। ইসরায়েলের দুইটি লক্ষ্য হলো হামাসের সামরিক ও শাসন ক্ষমতা ধ্বংস করা এবং সব জিম্মিকে ফিরিয়ে নেয়া।


হামাস   নির্মূল   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মালয়েশিয়ায় কেএফসির শতাধিক আউটলেট বন্ধ

প্রকাশ: ০৮:১৩ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত কয়েকমাস ধরে দেশটিতে চলমান ফিলিস্তিন-ইসরাইল ইস্যুতে শুরু হওয়া ইসরাইল পণ্য বয়কটকারীদের অভিযোগ, প্রথম থেকে অন্যায্যভাবে ইসরাইলের প্রতি সমর্থন করে আসছে কেএফসি। ইসরাইলকে সমর্থন ও ক্ষোভের মুখে মালয়েশিয়ার অন্যতম ফাস্টফুড চেইন রেস্টুরেন্ট বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে কেএফসি। তারই জের ধরে, কিউএসআর ব্র্যান্ডস মালয়েশিয়া হোল্ডিংস বারহাদ, টানা কয়েক মাস খুলে রাখার চেষ্টার পর দেশব্যাপী ১০০ টিরও বেশি কেএফসি’র আউটলেট সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে।

দেশটির গণমাধ্যমের বরাতে এমন খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মালয়েশিয়ায় সাময়িকভাবে ১০০টির বেশি আউটলেট বন্ধ করেছে কেএফসি। এসব আউললেটের বেশিরভাগ উত্তর-পূর্ব কেলান্টান রাজ্যে অবস্থিত। গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যে একতরফা সমর্থন তার প্রতিবাদে দেশটিতে কয়েক মাস ধরে ইসরায়েলি ও মার্কিন পণ্য বয়কটের আন্দোলন চলছে। জনগণের এই বয়কট আন্দোলনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে কেএফসি।

মালয়েশিয়ায় কেএফসি মালিক ও পরিচালক প্রতিষ্ঠান হলো কিউএসআর ব্র্যান্ডস। এই প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, সারা দেশে তারা ১০৮টি কেএফসি আউটলেটের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করছেন। মালয়েশিয়াজুড়ে কেএফসির ছয় শতাধিক আউটলেট রয়েছে। তবে সম্প্রতি এসব আউটলেটে মানুষের পদচারণা একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। কাস্টমার না পেয়ে শেষ পর্যন্ত তাদের ব্যবসা গুটিয়ে আনার পথে হাঁটতে হলো। এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন সমর্থনের প্রতিবাদে আলজেরিয়ায় প্রথম শাখা খোলার মাত্র দুদিনের মাথায় আউটলেট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কেএফসি।

উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর ইসরাইল, ফিলিস্তিনের উপর আক্রমণ চালাতে শুরু করে। তখন থেকেই তাদের আর্থিকভাবে সাহায্য করার অভিযোগ ওঠে কেএফসির বিরুদ্ধে। চলমান এই যুদ্ধে জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় বিষয়ক অফিস এবং এনবিসির তথ্য অনুসারে, গত ২৪শে এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে ৩৫,০০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪,২৬২ জন ফিলিস্তিনি এবং ১৪১০ জন ইসরায়েলি ছাড়াও ৯৭ জন সাংবাদিকের মধ্যে ৯২ জন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক, ২ জন ইসরায়েলি সাংবাদিক এবং ৩ জন লেবানিজ সাংবাদিক রয়েছেন। এছাড়া জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার ২২৪ জন কর্মীসহ ১৭৯ জনেরও বেশি কর্মচারী নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।


ইসরাইলি   পণ্য   বয়কট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রে শিখ নেতা পান্নুন হত্যাচেষ্টায় ভারতের ‘র’ জড়িত

প্রকাশ: ০৭:৩০ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ব্যর্থ চেষ্টায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিক্যাল উইং’ (র) জড়িত বলে দাবি করেছে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নাম ও হত্যার নির্দেশনার বিষয়ে এক বিশেষ প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে।  

মার্কিন নাগরিক পান্নুনকে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকারের বিরোধী হিসেবে তুলে ধরে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্রম যাদব নামে ‘র’ কর্মকর্তার ওপর তাকে হত্যার পরিকল্পনা কার্যকর করার দায়িত্ব ছিল। সাবেক ‘র’ প্রধান সামন্ত গোয়েল ওই পরিকল্পনা অনুমোদন করেন। ঘাতক দলকে বিক্রম ভাড়া করেছিলেন, পান্নুনের যাবতীয় গতিবিধির কথাও তাঁদের জানিয়েছিলেন তিনি। বিক্রম বার্তায় লিখেছিলেন, ‘এই হত্যা আমাদের অগ্রাধিকার।’

এই প্রতিবেদন তৈরিতে সাবেক ও বর্তমান ‘র’ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার দাবি করে ওয়াশিংটন পোস্ট বলেছে, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালও বিষয়টি জানতেন। বিদেশে অবস্থানরত ভারতবিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী ও জঙ্গিদের হত্যা করাই এখন ভারতের কৌশল। 

ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, মাদক ব্যবসায়ী নিখিল গুপ্তাকে বিক্রম যাদবই জোগাড় করেছিলেন। দুজন দুজনকে আগে থেকেই চিনতেন। পান্নুন হত্যার দায়িত্ব নিখিলকেই দিয়েছিলেন বিক্রম। কানাডায় নিহত খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারের মৃতদেহের ছবিও নিখিলকে পাঠানো হয়েছিল।

পান্নুন হত্যার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর বিক্রমকে ভারতের আধা সামরিক বাহিনীতেই ফিরিয়ে নেওয়া হয়। ওই ঘটনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে যে মামলা হয়েছে, তাতে ‘সিসি ওয়ান’ হিসেবে বিক্রমের পরিচয় দেওয়া হয়েছে।

পান্নুন হত্যার ষড়যন্ত্রে ভারতের যোগসূত্র থাকার সন্দেহের কথা যুক্তরাষ্ট্রই প্রথম বলেছিল। তার আগে কানাডায় নিহত খালিস্তানি নেতা নিজ্জারের হত্যায় ভারতের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সেই অভিযোগের পর থেকে ভারত-কানাডা সম্পর্কের অবনতি হয়।


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মোদির পতন ঘটাতে চাওয়া কে এই সুনীল কানুগোলু

প্রকাশ: ০৫:৩৯ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সুনীল কানুগোলুর নাম খুবই অপরিচিত। বললে কেউ মনে করতে পারবেন কিনা সন্দেহ যে, এই লোকটা কে? হ্যাঁ, এই সেই লোক, যিনি কংগ্রেসের ২০২৪ সালের নির্বাচনী কৌশল তৈরি করেছেন। যে কৌশলের কাছে নরেন্দ্র মোদি ধরা খেলেও খেতে পারেন। তবে বিভিন্ন পূর্বাভাস বলছে, মোদিই আবার জিতবেন। 

এই সুনীল কানুগোলু কিন্তু ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির কোর টিমের সদস্য। এই টিমের প্রধান প্রশান্ত কিশোর মার্কিন কোম্পানি ম্যাকেঞ্জি থেকে সুনীলকে ধরে এনেছিলেন। আর সেই টিমের সুফল নরেন্দ্র মোদি এখনো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভোগ করছেন। 

প্রশান্তর মতো সুনীলও নরেন্দ্র মোদির সংস্পর্শ ত্যাগ করেছেন। বন্ধুমহলে তার বক্তব্য, মোদির ধর্ম-কেন্দ্রিক রাজনীতি তাঁর একেবারেই পছন্দ না। এই কারণে হয়তো বনিবনা হয়নি। সেজন্য প্রশান্ত কিশোরের মতো নিজের প্রতিষ্ঠান খুলে ফিরে এসেছেন নিজের রাজ্য কর্ণাটকে। ব্যাঙ্গালুরুর অফিসে বসে তিনি এবার কংগ্রেস দলকে পরামর্শ দিচ্ছেন। রাহুল গান্ধীসহ কংগ্রেসের ঊর্ধ্বতন নেতাদের সাথে পরামর্শের জন্য তাঁকে নিয়মিত বাঙ্গালুরু-দিল্লি করতে হয়। 

প্রশান্ত কিশোর যেখানে প্রচারভিলাষী, সুনীল কানুগোলু সেখানে পুরোই উল্টো। তাঁর টিকিটিও দেখা যায় না কোথাও, এমনকি ছবিতেও। আল জাজিরার পক্ষ থেকে বারবার তাঁর সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে সে চেষ্টা। শেষ পর্যন্ত তাঁর ঘনিষ্ঠদের সাথে কথা বলে তারা সুনীলকে জেনেছে। 

এদিকে রাহুল গান্ধী তাঁকে রাজ্যসভার এমপি হতে বললে তিনি অবলীলায় তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। অথচ এই সুনীলের কারণে তেলেঙ্গানা উদ্ধার করতে পেরেছে কংগ্রেস। কর্ণাটকে সফল হয়েছে। অথচ সমস্যা হলো কংগ্রেস তাঁর সব পরামর্শ শোনে না। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের কথাই ধরুন। সুনীল কানুগোলু চেয়েছিলেন, কংগ্রেস এই নির্বাচনে একটি মন্ত্রের ভিত্তিতে পরিচালিত হোক। কিন্তু হয়নি। তাঁর বক্তব্য—যুক্তি দিয়ে কোনো নির্বাচনে জেতা যায় না। জিততে হয় আবেগ দিয়ে। সুনীলের কথা, ‘আমি একাধিক বিষয় নিয়ে নির্বাচনে লড়তে বিশ্বাসী নই। একটি একক আখ্যান থাকতে হবে, যেটি আপনি ঠেলে নিতে পারবেন।’ 

সুনীল কানুগোলুর নিজের প্রতিষ্ঠান ইনক্লুসিভ মাইন্ডস। এর সদর দপ্তর বেঙ্গালুরুতে। এক দশক আগেও কানুগোলু ছিলেন ম্যাকেঞ্জির একজন প্রাক্তন পরামর্শদাতা। নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদে তুলে ধরার রূপকার যারা তাদের একজন। এখন তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে কংগ্রেসের সাথে কাজ করছেন, যার মূল প্রধানমন্ত্রী মোদীর পতন। 

২০২২ সালের মে মাসে কানুগোলু আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগ দেন। তখন তাঁকে আট সদস্যের ‘টাস্ক ফোর্স-২০২৪’-এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাঁর দায়িত্ব ছিল নয়টি রাজ্যে কংগ্রেসের প্রচারে নেতৃত্ব দেওয়া, যেখানে ২০২৪ সালে বিধানসভা নির্বাচন হবে। পাশাপাশি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া। 

কিন্তু কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি শুরুতেই কানুগোলুর পরিকল্পনা ও কাজকে সংকুচিত করতে বাধ্য করে। এখন তিনি প্ল্যান-বি নিয়ে কাজ করছেন। যেখানে ১০০–১২০টি নির্বাচনী এলাকায় নজর দেওয়া হয়েছে, যেখানে কংগ্রেসের জয়ের সুযোগ রয়েছে বা অন্তত জোর লড়াই করার মতো জায়গায় আছে। মোদির বিজেপির সাথে সমানে সমানে লড়ে যার ক্ষমতায় যাওয়ার লক্ষ্য ছিল, সেই জেনারেলকে অনেকটাই বাঁধা গতে হাঁটতে হচ্ছে। 

সে কারণে দিল্লিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান লোকনীতির সহপরিচালক সঞ্জয় কুমার বলছেন, ‘রাজনৈতিক পরামর্শদাতারা জাদুকর নন। একটি দল ভালো অবস্থায় থাকলে তারা একটি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু সীমিত ভূমিকা পালন করে।’ তাঁর মতে, ‘এমন কোনো জাদুকর আছে, যে কংগ্রেসকে ২০২৪ সালের নির্বাচনে জিতিয়ে দিতে পারে? এমনকি ৫০ জন জাদুকরও কংগ্রেসকে জেতাতে পারবে না।’

সুনীল কানুগোলুর সাবেক সহকর্মী অভিমন্যু ভারতীর মতে, ‘নির্বাচনে জয়ী হওয়ার দুটি উপায় আছে—হয় আপনি আপনার লাইন বড় করুন, অথবা আপনি অন্যদের লাইন কেটে ফেলুন।’ অভিমন্যু নিজেই এখন অনলাইনে স্কুল অব পলিটিক্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালান। 

বন্ধু ও সহকর্মীদের মতে, কানুগোলু বিজেপির ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিরোধী। যদিও ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় তিনি স্বীকার করেছেন যে, মোদির পক্ষ ত্যাগের জন্য আরও কিছু মৌলিক কারণ আছে তাঁর। 

কানুগোলু বিজেপির কোনো কিছুতে কোনো চ্যালেঞ্জ খুঁজে পাচ্ছেন না। কারণ ১০ বছর ধরে দলটি ক্ষমতায়। অন্যদিকে কংগ্রেস লড়াই-সংগ্রামের মধ্যে আছে। ফলে এর মধ্যে একটা উত্তজনা আছে।

সাধারণ মানুষ জানে সুনীল কানুগোলু মূলত কর্ণাটকের একটি পিছিয়ে পড়া বালিজা সম্প্রদায়ের। কিন্তু তিনি চেন্নাইতে বড় হয়েছেন। সেখানে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়েছেন। এরপর ম্যাকেঞ্জিতে যোগ দেওয়ার আগে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। লোকেরা জানে, তিনি তামিল, তেলুগু, কন্নড়, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারেন। তবে বলেন কম, শোনেন বেশি। 

সুনীল কানুগোলু দেখতে কেমন, তা বিশেষ কেউ জানে না। তিনি হুইস্কি-বিলাসী। গত ২৫ বছরে একবেলাও নিরামিষ খাবার খাননি। তিনি লম্বা, শুশ্রুমণ্ডিত ও সুগঠিত। তবুও তিনি প্রায়শই অদৃশ্য থাকতে পারেন। একবার এক প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সুনীলের ছবি ভেবে ভুল করে তাঁর ভাইয়ের ছবি দিয়েছিলেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী এক রাজনৈতিক পরামর্শদাতার অভিযোগ, ম্যাকেঞ্জিতে কাজ করার কারণে তাঁর বড় অহংকার আছে। এমনকি কংগ্রেসের মধ্যেও কানুগোলু নিজের বস। তিনি অন্যদের জন্য লক্ষণ রেখা টেনে দিয়েছেন। 

সুনীল কানুগোলু মনে করেন, নির্বাচনী সাফল্যের প্রধান কৃতিত্ব জনগণের, তারপর প্রার্থী ও দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের। যেমন ভারত জোড়ো যাত্রার সময় তিনি খুবই পরিকল্পিতভাবে রাহুল গান্ধীর ছবি ও বক্তব্য প্রচারের বিষয়টি সাজান। যে কারণে এরপর থেকে নেতা হিসেবে রাহুলকে অনেক বেশি ম্যাচিওর মনে হয়েছে।

চলতি নির্বাচনে সুনীল কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীসহ সব নেতাকে রামমন্দির নিয়ে বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। সেজন্য দেখবেন কংগ্রেসের প্রচারে কোথাও রামমন্দির নেই। এমনকি বিজেপিতে দুর্নীতিবাজ বিরোধী নেতাদের স্থান দিয়ে কটাক্ষ করে মোদি ওয়াশিং পাউডার নামে একটি বিজ্ঞাপন তৈরি করে কংগ্রেস। সুনীলের পরামর্শে সেটাও বন্ধ করে দিয়েছে কংগ্রেস।

বরং সুনীল দেশব্যাপী বর্ণ-শুমারির বা গণনার পক্ষে কথা বলে প্রান্তিক মানুষজনের সমর্থন পাওয়ার কথা বলেছেন। মোদি সরকার ১০ বছরের সমৃদ্ধির চিত্র এঁকে যে প্রচার চালাচ্ছে, তার পাল্টা বক্তব্য তুলে ধরতে বলছেন।  এরই প্রভাব দেখা যায় কংগ্রেসের প্রচারে, যেখানে বলা হচ্ছে—মোট সম্পদের ৭০ শতাংশ এখন ভারতের ২২টি পরিবারের হাতে। কেউ যদি গত ১৭ এপ্রিল রাহুল বা প্রিয়াঙ্কার নির্বাচনী প্রচারে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার বিষয়টি দেখেন, তাহলেই বুঝতে পারবেন বিষয়টি। তাঁরা বারবার বলছেন, আসুন বেকারত্ব, জিনিসপত্রের দাম, মানুষের কষ্ট, গণতন্ত্র, সংবিধান—এসব নিয়ে কথা বলুন; উত্তর দেব। কিন্তু এর বাইরে আর কিছু না। কারণ ওগুলোতে মানুষের কিছু যায়–আসে না, বরং দৃষ্টি ঘুরে যায়।

সুনীল কানুগোলু মনে করেন, নির্বাচনে হারলাম মানে এই নয় যে, সব শেষ হয়ে গেল। বরং ওই দিন থেকে কৌশল নির্ধারণ করে পরের লড়াইয়ের জন্য তৈরি হোন। তাঁর কথায়, ভবিষ্যতের কথা ভাবুন এবং এগিয়ে যান। প্রতিপক্ষের ভুল খুঁজতে থাকুন।

লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পিছু হটছে ইসরায়েলি সেনারা!

প্রকাশ: ০৪:৫৪ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

৬ মাসের ও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অভিযান চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। যুদ্ধের শুরু থেকেই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হাসামকে পুরোপুরি নির্মূলের বার্তা দিয়ে আসছে ইসরায়েল। কিন্তু দীর্ঘ সময় যুদ্ধের পরেও নিজেদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়েছেন ইসরায়েলি সেনারা।

সম্প্রতি আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, ইসরায়েলের ৩০ সেনা নিজেদের দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। প্যারাট্রুপার ইউনিটের সেনারা বলছেন, রাফাহ সীমান্তে অভিযানের জন্য ডাকা হলে তারা এতে সাড়া দেবেন না।

বর্তমানে গাজার সর্বশেষ নিরাপদ আশ্রয়স্থল হচ্ছে মিসরের রাফাহ সীমান্ত। এলাকাটিতে ইসরায়েল অভিযানের পরিকল্পনা করছে। এমন সময় দেশটির সেনারা এ মনোভাব জানিয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব রিজার্ভ সেনাদের দায়িত্বে ফেরাতে জোর করবেন না কমান্ডাররা। দীর্ঘ এ যুদ্ধে সেনারা কতটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এই বার্তায়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলা করে। এতে ১ হাজার ২০০ এর বেশি নিহত হয়। হামাস যোদ্ধারা ধরে নিয়ে যায় কয়েকশ ইসরায়েলিকে। এরপর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় নৃশংস আক্রমণ শুরু করে। সর্বাত্মক সামরিক অভিযানে তেলআবিব কোনো মানবিক নিয়ম মানছে না। নির্বিচারে নারী ও শিশুসহ বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছে।


ইসরায়েলি   সেনা   ফিলিস্তিন   যুদ্ধ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন