ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সামরিক ব্যয়ে শীর্ষ ১০ দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:১০ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০১৮


Thumbnail

সামরিক বাহিনী যেকোনো দেশের জন্য একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশ্বজুড়ে পরাশক্তিগুলোর মধ্যে দিন দিন প্রতিযোগিতা বেড়েই চলেছে। ক্ষমতাধর দেশগুলো একে অন্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়িয়ে চলেছে তাদের সামরিক শক্তি। নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্যে তারা প্রতিনিয়ত সামরিক শক্তি সমৃদ্ধ করছে, ব্যয় করছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। বিশ্বে সামরিক ব্যয়ে শীর্ষ ১০টি দেশের কথা জানবো আজ-

যুক্তরাষ্ট্র

সামরিক শক্তি এবং খরচের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে। যুক্তরাষ্ট্রের মোট সাড়ে ৩২ কোটির বেশি জনসংখ্যার মধ্যে মোট সামরিক কাজে নিয়োজিতের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ ৮৩ হাজার। এদের মধ্যে সক্রিয়  রয়েছে প্রায় ১২ লাখ ৮২ হাজার এবং রিজার্ভ ৮০ হাজারের ওপরে। এদের মোট এয়ারক্রাফট ১৩ হাজার তিনশো ৬২ টি। এদের মধ্যে ফাইটার এয়ারক্রাফট উনিশশো ৬২, অ্যাটাক এয়ারক্রাফট দুই হাজার আটশো ৩০, ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট ৫ হাজার ২৪৮, ট্রেইনার এয়ারক্রাফট দুই হাজার আটশো ছাপান্ন। হেলিকপ্টার আছে পাঁচ হাজার সাতশো ৫৮, এর মধ্যে অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৯৭৩ টি।

আর্মিতে কমব্যাট ট্যাংকস রয়েছে ৫ হাজার ৮৮৪, আর্মড ফাইটিং বাহন রয়েছে ৩৮ হাজার ৮২২, সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি ৯৫০, রকেট প্রজেক্টর ১ হাজার ১৯৭ টি।

মোট নেভাল অ্যাসেট রয়েছে ৪১৫। এর মধ্যে এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার ২০, ফ্রিজেট ১০, ডেসট্রয়ারস ৬৫, সাবমেরিন ৬৬, পেট্রোল ক্র্যাফট ১৩, মাইন ওয়ারফেয়ার ভেসেল ১১।

চীন

চীনের বিশাল জনগোষ্ঠীর সামরিক বাহিনী বিশ্বে ব্যয়ের দিক থেকে দ্বিতীয় এবং শক্তির দিক থেকে তৃতীয়। এর মোট সামরিক কাজে নিয়োজিতের সংখ্যা প্রায় ২৬ লাখ ৯৩ হাজার। এদের মধ্যে সক্রিয় রয়েছে প্রায় ২১ লাখ ৮৩ হাজার এবং রিজার্ভ ৫ লাখ ১০ হাজার। এদের মোট এয়ারক্রাফট ৩ হাজার ৩৫। এদের মধ্যে ফাইটার এয়ারক্রাফট ১ হাজার ২৫ টি, অ্যাটাক এয়ারক্রাফট ১ হাজার ৫২৭,  ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট ৭২২, ট্রেইনার এয়ারক্রাফট ৩৫৩। হেলিকপ্টার আছে পাঁচ হাজার ৯৮৫, এর মধ্যে অ্যাটাক হেলিকপ্টার ২৮১।

আর্মিতে কমব্যাট ট্যাংকস রয়েছে ৭ হাজার ৭১৬, আর্মড ফাইটিং বাহন রয়েছে ৯ হাজার, সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি ২ হাজার, রকেট প্রজেক্টর ২ হাজার ৫০ টি।

মোট নেভাল অ্যাসেট রয়েছে ৭১৪টি।  এর মধ্যে এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার একটি, ফ্রিজেট ৫০, ডেসট্রয়ারস ২৯, সাবমেরিন ৭৩, পেট্রোল ক্র্যাফট ২২০, মাইন ওয়ারফেয়ার ভেসেল ২৯।

সৌদি আরব

সৌদি আরবের সামরিক বাহিনী বিশ্বে ব্যয়ের দিক থেকে তৃতীয় এবং শক্তির দিক থেকে ২৬। জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে আটাশ কোটি, এর মোট সামরিক কাজে নিয়োজিতের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৫৬ হাজার। এদের মধ্যে সক্রিয় রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৩১ হাজার এবং রিজার্ভ ২৫ হাজার। এদের মোট এয়ারক্রাফট ৮৪৪। এদের মধ্যে ফাইটার এয়ারক্রাফট ২০৩টি, অ্যাটাক এয়ারক্রাফট ২৮৪,  ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট ২১১, ট্রেইনার এয়ারক্রাফট ২৪৪। হেলিকপ্টার আছে ২৫৪ টি, এর মধ্যে অ্যাটাক হেলিকপ্টার ২২টি।

আর্মিতে কমব্যাট ট্যাংকস রয়েছে ১ হাজার ১৪২টি, আর্মড ফাইটিং বাহন রয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার, সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি ৫২৪, রকেট প্রজেক্টর ৩২২।

মোট নেভাল অ্যাসেট রয়েছে ৫৫টি।  ফ্রিজেট ৭, করভেটস ৪, পেট্রোল ক্র্যাফট ১১, মাইন ওয়ারফেয়ার ভেসেল ৩।

যুক্তরাজ্য

যুক্তরাজ্যর সামরিক বাহিনী বিশ্বে ব্যয়ের দিক থেকে চতুর্থ এবং শক্তির দিক থেকে ষষ্ঠ। সাড়ে ৬৪ কোটির উপরে জনসংখ্যার এর মোট সামরিক কাজে নিয়োজিতের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার। এদের মধ্যে সক্রিয় রয়েছে প্রায় ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৩০ এবং রিজার্ভ ৮১ হাজার ৫০০। এদের মোট এয়ারক্রাফট ৮৪৪। এদের মধ্যে ফাইটার এয়ারক্রাফট ১০৩টি, অ্যাটাক এয়ারক্রাফট ১৪৩,  ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট ২৯৭, ট্রেইনার এয়ারক্রাফট ৩৪২। হেলিকপ্টার আছে ৩৩৩ টি, এর মধ্যে অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৪৯টি।

আর্মিতে কমব্যাট ট্যাংকস রয়েছে ২২৭টি, আর্মড ফাইটিং বাহন রয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার, সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি ৮৯, রকেট প্রজেক্টর ৩৫।

মোট নেভাল অ্যাসেট রয়েছে ৭৬টি।  এর মধ্যে এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার দুইটি, ফ্রিজেট ১৩, ডেসট্রয়ারস ৬, সাবমেরিন ১০, পেট্রোল ক্র্যাফট ২১, মাইন ওয়ারফেয়ার ভেসেল ১৩।

ভারত

বিশাল জনসংখ্যার এই দেশের সামরিক বাহিনী বিশ্বে ব্যয়ের দিক থেকে পঞ্চম এবং শক্তির দিক থেকে চতুর্থ। এর মোট সামরিক কাজে নিয়োজিতের সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ২ লাখ ৭ হাজার ২৫০। এদের মধ্যে সক্রিয় রয়েছে প্রায় ১ কোটি ৩৬ লাখ ২ হাজার ৫০০ এবং রিজার্ভ ২ কোটি ৮ লাখ ৪৪ হাজার ৭৫০। এদের মোট এয়ারক্রাফট দুই হাজার ১৮৫, এদের মধ্যে ফাইটার এয়ারক্রাফট ৫৯০টি, অ্যাটাক এয়ারক্রাফট ৮০৪,  ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট ৭০৮, ট্রেইনার এয়ারক্রাফট ২৫১। হেলিকপ্টার আছে ৭২০ টি, এর মধ্যে অ্যাটাক হেলিকপ্টার ১৫টি।

আর্মিতে কমব্যাট ট্যাংকস রয়েছে ৪ হাজার ৪২৬টি, আর্মড ফাইটিং বাহন রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ১৪৭, সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি ১৯০, রকেট প্রজেক্টর ২৬৬।

মোট নেভাল অ্যাসেট রয়েছে ২৯৫টি।  এর মধ্যে এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার ১টি, ফ্রিজেট ১৪, ডেসট্রয়ারস ১১, করভেটস ২২, সাবমেরিন ১৬, পেট্রোল ক্র্যাফট ১৩৯, মাইন ওয়ারফেয়ার ভেসেল ৪।

রাশিয়া

জনসংখ্যায় রাশিয়া যথেষ্ট সমৃদ্ধ, ১৪২ কোটিরও বেশি। এই দেশের সামরিক বাহিনী বিশ্বে ব্যয়ের দিক থেকে ষষ্ঠ এবং শক্তির দিক থেকে দ্বিতীয়।  এর মোট সামরিক কাজে নিয়োজিতের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৬ হাজার ১২৮। এদের মধ্যে সক্রিয় রয়েছে প্রায় ১ কোটি ১৩ হাজার ৬২৮ এবং রিজার্ভ ২ কোটি ৫৭ লাখ ২ হাজার ৫০০। এদের মোট এয়ারক্রাফট ৩ হাজার ৯১৪, এদের মধ্যে ফাইটার এয়ারক্রাফট ৮১৮ টি, অ্যাটাক এয়ারক্রাফট ১ হাজার ৪১৬,  ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট ১ হাজার ৫২৪, ট্রেইনার এয়ারক্রাফট ৪১৪। হেলিকপ্টার আছে ১ হাজার ৪৫১ টি, এর মধ্যে অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৫১১ টি।

আর্মিতে কমব্যাট ট্যাংকস রয়েছে ২০ হাজার ৩০০টি, আর্মড ফাইটিং বাহন রয়েছে প্রায় সাড়ে ২৭ হাজার ৪০০, সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি ৫ হাজার ৯৭০, রকেট প্রজেক্টর ৩ হাজার ৮১৬।

মোট নেভাল অ্যাসেট রয়েছে ৩৫২টি।  এর মধ্যে এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার ১টি, ফ্রিজেট ৯, ডেসট্রয়ারস ১৩, করভেটস ৭৮, সাবমেরিন ৬২, পেট্রোল ক্র্যাফট ৬২, মাইন ওয়ারফেয়ার ভেসেল ৪৭।

জার্মানি

প্রায় সাড়ে আশি কোটি এর জনসংখ্যা। এই দেশের সামরিক বাহিনী বিশ্বে ব্যয়ের দিক থেকে সপ্তম এবং শক্তির দিক থেকে দশম। এর মোট সামরিক কাজে নিয়োজিতের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৮ হাজার ৬৪১। এদের মধ্যে সক্রিয় রয়েছে প্রায় ৩৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪১ এবং রিজার্ভ ৩০ হাজার। এদের মোট এয়ারক্রাফট দুই হাজার ৭১৪, এদের মধ্যে ফাইটার এয়ারক্রাফট ৯৪, অ্যাটাক এয়ারক্রাফট ১৮১,  ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট ৩৮১, ট্রেইনার এয়ারক্রাফট ৫২। হেলিকপ্টার আছে ৩৮৪ টি, এর মধ্যে অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৫৮ টি।

আর্মিতে কমব্যাট ট্যাংকস রয়েছে ৪৩২টি, আর্মড ফাইটিং বাহন রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ৬২০, সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি ১২৩, রকেট প্রজেক্টর ৩৮।

মোট নেভাল অ্যাসেট রয়েছে ৮১ টি।  এর মধ্যে ফ্রিজেট ১০, করভেটস ৫, সাবমেরিন ৬, মাইন ওয়ারফেয়ার ভেসেল ১২।

জাপান

জাপানের জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ১২ কোটি। সামরিক শক্তি এবং খরচে এই দেশ অষ্টম স্থানে। এর মোট সামরিক কাজে নিয়োজিতের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ১০ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫৭। এদের মধ্যে সক্রিয় রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৪৭ হাজার ১৫৭ এবং রিজার্ভ ৬৩ হাজার ৩০০। এদের মোট এয়ারক্রাফট ১ হাজার ৫০৮, এদের মধ্যে ফাইটার এয়ারক্রাফট ২৯০ টি, অ্যাটাক এয়ারক্রাফট ২৯০,  ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট ৪৮৬, ট্রেইনার এয়ারক্রাফট ৪০৪। হেলিকপ্টার আছে ৬২২ টি, এর মধ্যে অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৮৪ টি।

আর্মিতে কমব্যাট ট্যাংকস রয়েছে ৬৭৯ টি, আর্মড ফাইটিং বাহন রয়েছে ৩ হাজার ১৭৮, সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি ২০২, রকেট প্রজেক্টর ৯৯।

মোট নেভাল অ্যাসেট রয়েছে ১৩১ টি।  এর মধ্যে এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার ৪টি, ডেসট্রয়ারস ৩৬, করভেটস ৬, সাবমেরিন ১৭, পেট্রোল ক্র্যাফট ৬, মাইন ওয়ারফেয়ার ভেসেল ২৫।

ফ্রান্স

ফ্রান্সের জনসংখ্যা ৬৭ কোটির উপরে। সামরিক খরচে এর অবস্থান নবম হলেও সামরিক শক্তির দিকে দিয়ে এই দেশ পঞ্চম স্থানে। এর মোট সামরিক কাজে নিয়োজিতের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৫। এদের মধ্যে সক্রিয় রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৫ হাজার এবং রিজার্ভ ১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৩৫। এদের মোট এয়ারক্রাফট ১ হাজার ২৬২, এদের মধ্যে ফাইটার এয়ারক্রাফট ২৯৯ টি, অ্যাটাক এয়ারক্রাফট ২৯৯,  ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট ৪৩৩, ট্রেইনার এয়ারক্রাফট ২৪৫। হেলিকপ্টার আছে ৫৭০ টি, এর মধ্যে অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৫৪ টি।

আর্মিতে কমব্যাট ট্যাংকস রয়েছে ৪০৬ টি, আর্মড ফাইটিং বাহন রয়েছে ৬ হাজার ৩৩০, সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি ১০৯, রকেট প্রজেক্টর ১৩।

মোট নেভাল অ্যাসেট রয়েছে ১১৮ টি।  এর মধ্যে এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার ৪টি, ডেসট্রয়ারস ১১,  সাবমেরিন ১০, পেট্রোল ক্র্যাফট ১৮, মাইন ওয়ারফেয়ার ভেসেল ১৮।

দক্ষিণ কোরিয়া

দক্ষিণ কোরিয়ার মোট জনসংখ্যা ৫১ কোটির বেশি। সামরিক ব্যয়ের দিক দিয়ে এই দেশ দশম হলেও সামরিক শক্তিতে এই দেশ সপ্তম স্থানে। এর মোট সামরিক কাজে নিয়োজিতের সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি ৮ লাখ ৮২ হাজার ২৫০। এদের মধ্যে সক্রিয় রয়েছে প্রায় ৬ লাখ ২৫ হাজার এবং রিজার্ভ রীতিমত ৫ কোটির উপরে। এদের মোট এয়ারক্রাফট ১ হাজার ৫৬০ টি। এদের মধ্যে ফাইটার এয়ারক্রাফট ৪০৬, অ্যাটাক এয়ারক্রাফট ৪৬৬, ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট ৩৮২ হাজার, ট্রেইনার এয়ারক্রাফট ২৭৬। হেলিকপ্টার আছে পাঁচ হাজার ৭৪৮, এর মধ্যে অ্যাটাক হেলিকপ্টার ১১২।

আর্মিতে কমব্যাট ট্যাংকস রয়েছে ২ হাজার ৬৫৪ টি, আর্মড ফাইটিং বাহন রয়েছে ৩ হাজার ৪৮০, সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি ১ হাজার ৮৯০, রকেট প্রজেক্টর ২১৪।

মোট নেভাল অ্যাসেট রয়েছে ১৬৬ টি।  এর মধ্যে এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার ১টি, ফ্রিজেট ১২ টি, ডেসট্রয়ারস ১২,  সাবমেরিন ১৬, পেট্রোল ক্র্যাফট ৬৯, মাইন ওয়ারফেয়ার ভেসেল ১১।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের নির্বাচনে ভোটের হার কেন এত কম?

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি আশানুরূপ হচ্ছে না। কম ভোটার উপস্থিতি নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছেন দেশটির ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপির নেতারা।   

দেশটিতে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য। অথচ অধিকাংশ ভোটারদেরই কোনো আগ্রহ নেই নির্বাচন নিয়ে। কিন্তু কেন নির্বাচন নিয়ে দিন দিন এত অনাগ্রহী হয়ে উঠেছেন ভারতের ভোটাররা? বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশেই কেন ভোট নিয়ে এত অনীহা জনগণের মাঝে?

টানা ৭৫ বছর ধরে গণতান্ত্রিক শাসনে থাকা দেশটিতে এবারের নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোটের হার ছিল মাত্র ৬৪ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ধাপে ভোটের হার ছিল ৬৩ শতাংশ। যা আগের বছরের নির্বাচন গুলোর তুলনায় অনেক কম। 

নির্বাচন কমিশন দাবি করছে, অসময়ের গরম আবহাওয়া এবং বিয়ের অনুষ্ঠানের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হচ্ছে। অবশ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার ভোটারদের কেন্দ্রে টেনে আনার মতো শক্তিশালী কোনো ইস্যু নেই মোদির কাছে। তাঁর হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভোটাররা আত্মতুষ্টি বা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে কেন্দ্রে আসছেন না। ফলে ভোটার সংখ্যা কম। 

দ্বিতীয় ধাপে দেশটির ১৩টি রাজ্যের মোট ৮৮টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর উত্তরবঙ্গের তিনটি আসন দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাটের ভোটের হার দেখা গেছে শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত বালুরঘাটে ভোটদানের হার ছিল ৭৯ দশমিক ৯ শতাংশ, দার্জিলিংয়ে ৭৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং রায়গঞ্জে ৭৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। অথচ ২০১৯ সালে বালুরঘাটে ভোট পড়েছিল ৮৩ দশমিক ৬০ শতাংশ, দার্জিলিংয়ে ৭৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং রায়গঞ্জে ৭৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশে ভোট পড়েছে ৫৫ শতাংশের মতো, যা প্রথম দফার ভোটের চেয়েও ৬ শতাংশ কম। বিহারেও ভোট পড়েছে ৫৫ শতাংশ। মহারাষ্ট্রে আরও কম, সাড়ে ৫৪ শতাংশের মতো। মধ্যপ্রদেশে সামান্য বেশি, সাড়ে ৫৭ শতাংশ। ফলে কম ভোটের এই হার সকল মহলকে কিছু হলেও উদ্বিগ্ন করছে। 

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের দিখৌলী নামের একটি গ্রামে ভোট পড়েছে মাত্র পাঁচ শতাংশ। ভোট কম পড়ার কারণ হিসেবে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ভোটদানে উৎসাহ নেই বেশির ভাগ গ্রামের মানুষের। অনেকেই আবার কৃষিকাজে ব্যস্ত।

ভারতের বিশ্লেষকরা দাবি করছেন, নরেন্দ্র মোদি টানা ১০ বছর ধরে ভারত শাসন করছেন। এবারের নির্বাচনে আবারও তিনিই জয়লাভ করবেন এবং তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করবেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনের ব্যাপারে জনগণের একটি বড় অংশ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। পাশাপাশি এবার ভোটারদের কেন্দ্রে টেনে আনার মতো শক্তিশালী কোনো ইস্যুও সামনে আনতে পারেননি এনডিএ বা ইন্ডিয়া জোটের কেউই। তাছাড়া এবারের লোকসভা নির্বাচনে আবহাওয়া একটা বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তীব্র গরমের কারণে অনেক ভোটার ভোট দিতে বের হচ্ছেন না। ফলে সব কিছু মিলিয়ে এবার উল্লেখযোগ্য হারে নির্বাচনে ভোটের হার কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে মনে করছেন ভারতের নিরপেক্ষ বিশ্লেষকরা।

ভারতের নির্বাচন   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারত সফর স্থগিতের পর চীনে গেলেন ইলন মাস্ক

প্রকাশ: ০৭:০৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বৈদ্যুতিক গাড়ির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক ইলন মাস্ক ভারতে তার নির্ধারিত সফর স্থগিত করেন এবং এই সফর স্থগিতের কয়েকদিন পরই হঠাৎ করে চীন সফরে গেছেন তিনি। 

রোববার(২৮ এপ্রিল) টেসলার একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে অনেকটা আকস্মিকভাবেই রোববার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছেছেন তিনি। টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার চীন সফরের বিষয়ে অবগত দুই ব্যক্তি ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন।  

২১ এপ্রিল ভারত সফরে যাবার কথা ছিল ইলন মাস্কের। সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে তার বৈঠক ও ভারতে টেসলার বিনিয়োগ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করার কথা ছিল।

কিন্তু নির্ধারিত সময়ের একদিন আগে এক্সে দেওয়া বার্তায় টেসলার এই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, 'দুর্ভাগ্যবশত টেসলায় ব্যাপক কাজ জমে যাওয়ায় ভারত সফর পিছিয়ে দিতে হচ্ছে। তবে আমি চলতি বছরের শেষের দিকে ভারতে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত মুখিয়ে আছি।' 

টেসলার সিইওর ভারত সফর স্থগিতের এক সপ্তাহ পর চীন সফরের তথ্য এলো। চীনে সফটওয়্যারের মাধ্যমে টেসলার স্বচালিত (এফএসডি) বৈদ্যুতিক গাড়ির যাত্রা শুরুর বিষয়ে আলোচনার জন্য বেইজিংয়ে চীনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করছেন। স্বচালিত ড্রাইভিং প্রযুক্তির উন্নতির জন্য অ্যালগরিদম প্রশিক্ষণে চীনে সংগৃহীত ডাটা বিদেশে স্থানান্তর করার অনুমতির বিষয়েও চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় মাস্ক বলেছেন, চীনে শিগগিরই ব্যবহারকারীদের জন্য এফএসডির সরবরাহ শুরু করবে টেসলা। রয়টার্স বলছে, ২০২১ সাল থেকে চীনা নিয়ন্ত্রকদের শর্ত অনুযায়ী সাংহাইতে টেসলার চীনা বহরের সংগৃহীত সব ডাটা সংরক্ষণ করেছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তা স্থানান্তর করেনি।


ভারত   সফর   স্থগিত   চীন   ইলন মাস্ক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গ্রেফতার আতঙ্কে নেতানিয়াহু, প্রতিরোধের সর্বাত্মক চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০৫:২৭ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি) মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন। আর সেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকাতে সর্বাত্মক কূটনৈতিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। 

বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ আরও কিছু ইসরায়েলি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে যাচ্ছে আইসিসি।

নিউজ সাইট ওয়ালায় বিশ্লেষক বেন কাসপিট লিখেছেন, নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে হেগের বিশ্ব আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আশঙ্কায় ‘অস্বাভাবিক চাপে’ রয়েছেন। নেতানিয়াহু এবং অন্যান্য ইসরায়েলি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির অর্থ হল- ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক সুনামে বড় ধরনের আঘাত।

কাসপিট লিখেছেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রতিরোধে নেতানিহুয়া ‘বিরতিহীনভাবে টেলিফোনে চেষ্টা করে’ যাচ্ছেন। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সাথে তিনি সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছেন।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎসের বিশ্লেষক অ্যামোস হারেল লিখেছেন, ইসরায়েলি সরকার এই ধারণা নিয়ে কাজ করছে যে আইসিসির প্রসিকিউটর করির খান চলতি সপ্তাহেই নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং আইডিএফ প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন।

হারেল জানিয়ছেন, আমেরিকা ইতোমধ্যেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকানোর জন্য জোর তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, আইসিসির রোম চুক্তিতে ১২৪টি দেশ সই করলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল তাতে স্বাক্ষর করেনি। যুদ্ধের ব্যাপারে নেতানিয়াহুর সর্বশেষ সরকারি বিবৃতিতে দাবি বলা হয়েছে, আইসিসির আসন্ন সিদ্ধান্ত ‘বিপজ্জনক নজির’ সৃষ্টি করতে পারে।


গ্রেফতার   নেতানিয়াহু   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গরমে ট্রাফিক পুলিশকে স্বস্তিতে রাখতে ‘এসি হেলমেট’

প্রকাশ: ০৪:৫২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রচণ্ড গরমে টানা রোদে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয় ট্রাফিক পুলিশদের। সড়কে দায়িত্বরত পুলিশদের কিছুটা শীতল ও স্বস্তিতে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ভারতের লখনৌর ট্রাফিক বিভাগ। ‘ঠান্ডা উদ্যোগ’ নামে পরিচিত এই প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে বেশকিছু ‘এসি হেলমেট’ উন্মোচন করা হয়েছে। লখনৌতে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক পর্বের অংশ হিসেবে চারটি এসি হেলমেট চালু করা হয়। 

সোমবার (২২ এপ্রিল) হজরতগঞ্জের অটল চক মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক কর্মীদের এসব হেলমেট দেয়া হয়। 

এই হেলমেটগুলোতে একটি স্বচ্ছ প্লাস্টিকের ঢালসহ মাথায় শীতলতা নিশ্চিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এসি ভেন্ট রয়েছে। চোখকে সূর্যের প্রখর আলো ও উত্তাপ থেকে রক্ষা করতে এটি গগলস হিসেবে কাজ করে। হেলমেটটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কোমরে বাঁধা একটি বড় ব্যাটারির সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে এলে উপরে থাকা একটি লাল আলো সতর্ক বার্তা দেবে।

এ বিষয়ে লাখনৌ পুলিশের এডিসিপি অজয় কুমার সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, ‘এই প্রকল্প সফল হলে হায়দরাবাদভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানকে কমপক্ষে পাঁচশ এমন এসি হেলমেট প্রস্তুতের দায়িত্ব দেয়া হবে। এই হেলমেটের ওজন সাধারণ হেলমেটের প্রায় অর্ধেক এবং আমাদের ট্র্যাফিক পুলিশ এটি ব্যবহার ও পরিধানে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন।’


ট্রাফিক   পুলিশ   প্রকল্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এবার পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান

প্রকাশ: ০৪:১৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানের পদত্যাগের পর এবার পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে পরাজিত করতে না পারা, হামাসের হাত থেকে ইসরায়েলি জিম্মিদের উদ্ধার করতে না পারা, ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের হামলার পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হওয়াসহ একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে পদত্যাগ করতে পারেন সামরিক বাহিনীর প্রধান।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে তুরস্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনীর ব্যর্থতার প্রতিবাদে ইসরায়েলজুড়ে চলছে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েল সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ পদত্যাগ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে গত সোমবার ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। হামাসের গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে চালানো হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগের এই ঘোষণা দেন তিনি।

ইসরায়েলের সেনাপ্রধান   হামাস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন