ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজা যুদ্ধ নিয়ে প্রতিবাদ করায় নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আটক ১৩৩

প্রকাশ: ১১:৫৭ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ১৩৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলার প্রেক্ষাপটে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, ১৩৩ জনকে আটক করা হয়েছিল। আদালতের সমন জারির পর তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল, কলম্বিয়াসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় কাম্পাসেও গাজা যুদ্ধ নিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।


গাজা   যুদ্ধ   প্রতিবাদ   নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়   আটক ১৩৩  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মেক্সিকোকে ব্যবহার করে আমেরিকায় পণ্য পাঠাচ্ছে চীন

প্রকাশ: ১২:৪২ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিলাসবহুল ও আরামদায়ক সব চামড়ার সোফা, যেগুলো মন্টেরের ম্যান ওয়াহ ফার্নিচার ফ্যাক্টরি থেকে তৈরি হয় সেগুলো শতভাগই ‘মেড ইন মেক্সিকো’। এখান থেকে তাদের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ালমার্ট ও কস্টকোর মত বড় বড় সব বিপণি।

 কিন্তু এই কোম্পানিটি চীনের মালিকানাধীন এবং মেক্সিকোতে উৎপাদন কারখানাও তৈরি হয়েছে চীনা অর্থে।

যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও মেক্সিকোর মধ্যকার এই ত্রিমাত্রিক সম্পর্ক একটা নতুন শব্দে পরিচিত হয়ে উঠেছে মেক্সিকোতে; আর সেটা হল ‘নিয়ারশোরিং’ - অফশোরিংয়ের সঙ্গে মিলিয়ে এমন নাম।

 ম্যান ওয়াহ কয়েক ডজন চীনা কোম্পানির একটা, যারা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তর মেক্সিকোর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে এসে অবস্থান নিয়েছে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের কাছাকাছি এসে পণ্য উৎপাদন করা যায়।

এতে পরিবহন খরচ কমে যাওয়া ছাড়াও, চূড়ান্ত যে পণ্য প্রস্তুত হল বিক্রির জন্য সেটা পুরোপুরি মেক্সিকান, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধে ওয়াশিংটন চীনা কোম্পানিগুলোর উপর যে নিষেধাজ্ঞা ও কর আরোপ করেছে সেটা এড়ানোও সম্ভব হয়।

বিশাল এই কারখানা ঘুরে দেখানোর সময় ম্যান ওয়াহর জেনারেল ম্যানেজার, ইয়ু কেন ওয়েই বলছিলেন, অর্থনৈতিক ও লজিস্টিক্যাল দিক চিন্তা করেই তারা মেক্সিকোতে তাদের কোম্পানি সরিয়ে এনেছেন।

“আমরা এখানে আরও তিনগুণ, এমনকি চারগুণ উৎপাদনের আশা করছি,” পরিষ্কার স্প্যানিশ উচ্চারণে কথা বলেন তিনি।

“মেক্সিকোতে আমাদের আসার উদ্দেশ্য হল ভিয়েতনামে আমরা যে পরিমাণ উৎপাদন করি, সেই পরিমাণ পণ্য এখানে উৎপন্ন করা”, বলেন তিনি।

এই ফার্ম মাত্র ২০২২ সালে মন্টেরে আসে এবং এরই মধ্যে মেক্সিকোতে ৪৫০জন কর্মী নিয়োগ দিয়েছে তারা।

জেনারেল ম্যানেজার আরও বলেন. তাদের লক্ষ্য ১২০০-র উপর কর্মীকে কাজে লাগানো, যাতে আসছে বছরগুলোতে কয়েক ধাপের অপারেশন এখানে চালু করা যায়।

“মেক্সিকোর মানুষ খুবই পরিশ্রমী এবং দ্রুত শিখতে পারে”, বলেন তিনি।

“আমাদের খুবই ভালো সব অপারেটর আছে এবং তাদের উৎপাদন ক্ষমতাও অনেক বেশি। তাই শ্রমিকের দিক থেকে আমি মনে করি মেক্সিকো কৌশলগতভাবেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ”, জানান তিনি।

নিয়ারশোরিং মেক্সিকান অর্থনীতিতে দারুণ ভূমিকা রাখছে। গত বছরের জুন পর্যন্ত মেক্সিকোর মোট রফতানি আগের বছরের থেকে ৫.৮% বেড়ে যায়, যেটার অর্থমূল্য প্রায় ৫৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার।

আর এই ধারা কমার কোনও লক্ষণ নেই। এ বছরের প্রথম দুই মাসেই মেক্সিকোতে যে পরিমাণ পুঁজি বিনিয়োগের ঘোষণা এসেছে তা ২০২০ সালের মোট বিনিয়োগের প্রায় অর্ধেকের সমান।

ম্যান ওয়াহ ফ্যাক্টরির অবস্থান মন্টেরের বাইরে চাইনিজ-মেক্সিকান ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক হফুসানে। এখানে প্লটের চাহিদা আকাশ ছুঁয়েছে: অবিক্রীত আর কোনও জায়গা নেই এখানে।

শুধু তাই নয়, মেক্সিকোর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক অ্যাসোসিয়েশন (এএমপিআইপি) জানাচ্ছে, ২০২৭ সাল পর্যন্ত নির্মাণাধীন মেক্সিকোর সমস্ত সাইট এরই মধ্যে বিক্রি হয়ে গিয়েছে।

অনেক মেক্সিকান অর্থনীতিবিদ যে ঘোষণা দিয়েছেন, মেক্সিকোতে চীনের এই আগ্রহ সাময়িক কোন বিষয় নয়, সেটাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

“যেসব কাঠামোগত কারণে মেক্সিকোতে বিনিয়োগ আসছে সেটা পরিবর্তন হবে না”, বলেন মেক্সিকোর সাবেক ফরেন ট্রেড ভাইস মিনিস্টার হুয়ান কার্লোস বাকের পিনেদা।

“আমি তো এরকম কোনও লক্ষণ দেখি না যে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্য সংঘাত খুব সহসা মিটে যাবে”, আরও জানান তিনি।

বাকের পিনেদা সেই মেক্সিকান গ্রুপে ছিলেন যারা নিউ নর্থ আমেরিকান ফ্রি টেড এগ্রিমেন্ট বা টি-মেক নিয়ে কাজ করেছিলেন।

“যদিও চীনা এসব বিনিয়োগ মেক্সিকোতে ঢোকা হয়তো কিছু দেশের পলিসির জন্য অস্বস্তিকর”, বলে পিনেদা যোগ করেন, “কিন্তু আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতি অনুযায়ী এ সমস্ত পণ্য সব দিক দিয়েই পুরোপুরি মেক্সিকান।”

বস্তুত এই পরিস্থিতি মেক্সিকোকে দুই সুপারপাওয়ারের মধ্যে কৌশলগত ভূমিকা রাখার একটা সুযোগ করে দিয়েছে।

মেক্সিকো খুব সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের জায়গায় চীনকে তাদের প্রধান বাণিজ্যিক পার্টনার বানিয়েছে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও একটা প্রতীকী বদল বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে মেক্সিকোর কিছু অংশে আবার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যার পেছনে দ্বিতীয় আরেকটা নিয়ারশোরিং আছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এর কারণ যুক্তরাষ্ট্রও মেক্সিকোতে কারখানা স্থাপন করছে, যার মধ্যে কিছু কিছু এশিয়া থেকে সরিয়ে আনছে তারা।

তবে সম্ভবত গত বছর সবচেয়ে বড় ঘোষণাটা ছিল মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের, যখন তিনি বলেন- মন্টেরের বাইরে টেসলার একটা বিশাল ফ্যাক্টরি স্থাপন করবেন।

যদিও এখনও পর্যন্ত এই ১০ বিলিয়ন ইউএস ডলার প্ল্যান্টের নির্মাণকাজ শুরু করেনি বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলা।

আর টেসলা এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা বললেও, পরিবর্তিত বৈশ্বিক অর্থনীতি ও কোম্পানির সাম্প্রতিক ছাটাঁইয়ের কারণে তাদের পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত অনেক ধীরে এগুচ্ছে।

পরিণতি নিয়ে সংশয়

যেভাবে চীনা বিনিয়োগ আসছে তাতে অনেকেই মেক্সিকোকে সতর্ক হওয়ার কথা বলছেন, কারণ ভূরাজনৈতিকভাবে এতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝে পড়ে যেতে পারে দেশটি।

“শহরের পুরনো ধনী যুক্তরাষ্ট্রের সমস্যা দেখা যাচ্ছে, শহরের নতুন ধনী চীনের সাথে,” উদাহরণ দিয়ে বলছিলেন ন্যাশনাল অটোনমাস ইউনিভার্সিটি অব মেক্সিকোর সেন্টার ফর চায়না-মেক্সিকো স্টাডিজের অধ্যাপক এনরিক দুসেল।

“কিন্তু মেক্সিকোর আগের সরকার বা বর্তমান সরকারেরও কোনও কৌশল দেখা যাচ্ছে না এই নতুন ত্রিমাত্রিক সম্পর্কের ব্যাপারে।”

আর যেহেতু এখন সীমান্তের দুই পাড়েই, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তাতে সামনে নতুন রাজনৈতিক ইস্যুও আসতে পারে।

এখন ডোনাল্ড ট্রাম্প বা জো বাইডেন হোয়াইট হাউসে যেই আসুন যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সম্পর্কে খুব একটা উন্নতি হবে বলে কেউ মনে করছেন না।

দুসেলের বিশ্বাস নিয়ারশোরিংকে বরং ‘নিরাপত্তা অফশোরিং’ বলা যায়, কারণ ওয়াশিংটন চীনের সাথে সম্পর্কে অন্য সব কিছুর উপরে তাদের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে। তার যুক্তি মেক্সিকো এর মধ্যে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে।

দুসেল যোগ করেন, “এই উত্তেজনার মাঝে মেক্সিকো যেন চীনের জন্য একটা বিজ্ঞাপন দিচ্ছে যে- ‘ওয়েলকাম টু মেক্সিকো!’ এখন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এর পরিণতিটা যে ভালো হবে না, তা বুঝতে আপনার ডক্টরেট করার দরকার নেই।”

অনেকে আশাও দেখছেন

“আমার মতে, প্রশ্ন এটা নয় যে কতদিন এই ধারা অব্যাহত থাকবে, বরং প্রশ্নটা এটা হওয়া উচিত যে এই ট্রেন্ড থেকে কতটা সুবিধা আমরা নিতে পারি”, মন্তব্য করেন মেক্সিকোর সাবেক ফরেন ট্রেড ভাইস মিনিস্টার হুয়ান কার্লোস বাকের পিনেদা।

 “আমি নিশ্চিত যে কলম্বিয়া, ভিয়েতনাম, কোস্টারিকাতেও একই ধরনের আলোচনা চলছে। আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে মেক্সিকোতে এখন যে পরিস্থিতি সেটা টেঁকসই করতে সরকারি ও করপোরেট সিদ্ধান্তগুলো এক সাথে, একইভাবে নিতে হবে যাতে দীর্ঘমেয়াদে এই ট্রেন্ডটা বজায় থাকে”, বলেন তিনি।

এদিকে মন্টেরেতে, ম্যান ওয়াহ ফার্নিচার স্টোরের প্রতিভাবান মেক্সিকান কর্মীরা আরেকটি সোফা যেটা উত্তরে পরিবহনের জন্য তৈরি হচ্ছে, সেটা শেষ বারের মতো পরীক্ষা করে দেখছিল।

আর যখন বাড়ির পাশে ওয়ালমার্ট থেকে কোনও আমেরিকান পরিবার এটা কিনছে তাদের তখন এটা তৈরি হওয়া নিয়ে যে জটিল ভূরাজনৈতিক খেলা চলছে, সে সম্পর্কে কোনও ধারণাই থাকছে না।

কিন্তু দুই সুপারপাওয়ারের লড়াইয়ে নিয়ারশোরিং যতই চীনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার একটা চতুর পেছনের দরজা হোক না কেন, মেক্সিকোর জন্য এটা আসলে এই অস্থির বাণিজ্যিক সময়ে সুবিধা নেওয়ার একটা সুযোগ।


মেক্সিকো   আমেরিকায়   পণ্য   চীন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

খাদ্যে বিষক্রিয়ার সৌদি আরবে ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৫

প্রকাশ: ১২:৩৬ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে সৌদি আরবের রিয়াদে একজন মারা গেছেন এবং ৯৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সৌদির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোম্পানির নাম প্রকাশ করেনি। তবে গত সপ্তাহে স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, দেশটির রাজধানী শহরের একটি জনপ্রিয় বার্গার চেইনের সঙ্গে এই প্রাদুর্ভাবের সম্পর্ক রয়েছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ক্লোস্ট্রিডিয়াম বোটুলিনাম ব্যাকটেরিয়ার কারণে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ৬৯ জন সৌদি নাগরিক এবং ছয়জন নন-সৌদি নাগরিক ভুগছেন।

ক্লোস্ট্রিডিয়াম বোটুলিনাম টক্সিনগুলি শরীরের স্নায়ুগুলিতে আক্রমণ করে এবং চলাচল, কথা বলা এবং গিলে ফেলার জন্য ব্যবহৃত পেশীগুলির দুর্বলতা এবং পক্ষাঘাত সৃষ্টি করতে পারে। টক্সিনগুলি মারাত্মক প্রমাণিত হতে পারে যদি তারা শ্বাস নিয়ন্ত্রণ করে এমন স্নায়ুগুলিতে আক্রমণ করে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অন্তত ৪৩ জন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং তাদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং ১১ জন বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।


খাদ্যে বিষক্রিয়ার   সৌদি আরব   মৃত্যু   হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া

প্রকাশ: ১২:২৩ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়া। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ২।

রবিবার দেশটির ওয়েস্ট পাপুয়া অঞ্চলে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে।

এই ভূমিকম্পে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার ইন্দোনেশিয়া ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)।

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল পশ্চিম পাপুয়ায় ফাকফাক এলাকার ১৫৩ কিলোমিটার (৯৫ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে, ভূপৃষ্ঠের ১২.১ কিলোমিটার গভীরে।

উল্লেখ্য, এশিয়ার বৃহত্তম দ্বীপদেশ ইন্দোনেশিয়ার জন্যসংখ্যা সাড়ে ২৭ কোটির বেশি। ভূতাত্ত্বিক অবস্থার কারণে নিয়মিতই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে ভূমিকম্প, অগ্নুৎপাত ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটে থাকে।

এর আগে গত মাসের শেষের দিকে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ইন্দোনেশিয়া। সমুদ্রের নিচে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের জেরে সেসময়ও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।


ভূমিকম্প   ইন্দোনেশিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আল জাজিরা বন্ধ করতে ইসরায়েল কেন মরিয়া!

প্রকাশ: ১১:৫৭ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় নির্বিচার হত্যাযজ্ঞসহ মানবতাবিরোধী অপকর্ম লুকাতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না নেতানিয়াহু প্রশাসন। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের অনুমোদন দিয়েছে সেখানকার যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। ইতিমধ্যে তা বন্ধে অভিযানও হয়েছে।

কিন্তু এই একটি সংবাদমাধ্যমকে কেন এত ভয় পায় ইহুদিবাদী দেশটি, যেখানে গোটা পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো রয়েছে তার পকেটে?

চলমান যুদ্ধে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্মম ধ্বংসযজ্ঞের অনেক খবরই চেপে গেছে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো। এর বিপরীতে ইসরাইলী বাহিনীর প্রতিটি অপকর্ম আর ফিলিস্তিনীদের দুর্দশার কথা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরছে কাতারি সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

এ কারণেই আন্তর্জাতিক এ সংবাদমাধ্যমের ওপর বেশ চটে আছে তেলআবিব। এরই প্রতিক্রিয়ায় রোববার মন্ত্রীসভায় আল জাজিরা বন্ধ করে দেয়ার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়, যা সর্বসম্মতক্রমে পাস হয়। এর আগে জাতীয় স্বার্থের জন্য হুমকি, এমন বিদেশি গণমাধ্যমের সম্প্রচার বন্ধে আইন পাস করে ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটের সদস্যরা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ হিব্রু ভাষায় দেয়া এক পোস্টে নেতানিয়াহু জানান, তার নেতৃত্বে ইসরায়েল সরকার সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে- উস্কানিদাতা চ্যানেল আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হবে।

আরেক পোস্টে ইসরায়েলী যোগাযোগমন্ত্রী শালোম কারহি জানান, তিনি আলজাজিরার বিরুদ্ধে একটি নির্দেশে স্বাক্ষর করেছেন, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হবে। পাশাপাশি আলজাজিরার সম্প্রচার সামগ্রী জব্দেরও নির্দেশ দেয়া হয়।

পরে তিনি আরো একটি পোস্টে আল জাজিরার ব্যুরো অফিসে ইসরায়েলি পুলিশের অভিযান এবং সম্প্রচার সামগ্রী জব্দের খবর দেন।

এবারই প্রথম নয় বরং এর আগেও যতবার ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত হয়েছিল, তত বারই আলজাজিরার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তেলআবিব প্রশাসন।

ইসরায়েলি প্রশাসন মনে করে, আলজাজিরার মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে তেলআবিবের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। একই সঙ্গে তারা চ্যানেলটিকে হামাস, হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সহযোগী হিসেবে দেখে থাকে।

এ ছাড়া গাজা, জেরুজালেম বা পশ্চিম তীর, যেখানেই ইসরায়েলি বাহিনী সামান্যতম আচড় দিক না কেন, তা ফলাও করে প্রকাশ করে থাকে সংবাদমাধ্যমটি।

বর্তমানে গাজায় যে অল্প কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম কাজ করছে, তার মধ্যে আল জাজিরা অন্যতম। সম্প্রচারমাধ্যমটি গাজায় প্রতিটি বিমান হামলা, স্থল অভিযান ও ধ্বংসপ্রাপ্ত হাসপাতালের খবর নিয়মিত সরবরাহ করছে।

একই সঙ্গে গণহত্যার জন্য নেতানিয়াহু প্রশাসনকে অভিযুক্ত করে যাচ্ছে।

আল জাজিরার রামাল্লাভিত্তিক সংবাদদাতা জেইন বাসরাভি জানান, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের খবরই আল জাজিরাকে টিকিয়ে রেখেছে। এমন অবস্থায় ইসরায়েল তার কূটনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিশ্বজুড়ে কাতারভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যমকে পঙ্গু করে দিতে পারে বলে আশ্ঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।


আল জাজিরা   বন্ধ   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ১৩ দেশে ছড়িয়েছে

প্রকাশ: ১১:০৪ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় চলমান ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসভিত্তিক ছাত্র আন্দোলন আরও ১২ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও মেক্সিকোতে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে বিক্ষোভ চলছে, তাতে একাত্মতা জানাতেই আন্দোলনে নেমেছেন তারা।

গত ১৭ এপ্রিল ক্যাম্পাসে তাঁবু গেড়ে বিক্ষোভের সূচনা করেন নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে দেশটির অন্তত ৪৫ অঙ্গরাজ্যের ১৪০টির বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

এরপর বিক্ষোভ শুরু হয় ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, ভারত ও লেবাননের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিক্ষোভকারীরা গাজায় হামলা বন্ধের পাশাপাশি ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে ও অস্ত্র সরবরাহ করে, এমন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সম্পর্ক ত্যাগের দাবি জানাচ্ছেন।

এদিকে বিক্ষোভ দমনে আমেরিকায় শিক্ষার্থীদের ধরপাকড় চলছেই। স্থানীয় সময় শনিবার আরও দুই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে নতুন করে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চলমান এ বিক্ষোভে দেশটির প্রায় দুই হাজার চার শতাধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হল।

নতুন করে বিক্ষোভ চার দেশে

স্থানীয় সময় শুক্রবার জার্মানির বার্লিনের হামবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অবস্থান নিয়ে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশের দাবি, অন্য জায়গায় তাঁবু গেড়ে বিক্ষোভের আহ্বান জানায় তারা। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তাতে অস্বীকৃতি জানালে পুলিশ বেশ কিছু বিক্ষোভকারীকে জোর করে সরিয়ে দেয়। বিক্ষোভের সমালোচনা করেছেন বার্লিনের মেয়র কাই ওয়েগনার। তিনি এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, এই শহর (বার্লিন) যুক্তরাষ্ট্র বা ফ্রান্সের মতো ঘটনা দেখতে চায় না।

বিক্ষোভ করছেন সুইজারল্যান্ডের লুসান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। বৃহস্পতিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির একটি ভবনের ফটক দখল করে আছেন সেখানকার শতাধিক শিক্ষার্থী। শিক্ষা–সম্পর্কিত যেকোনো কার্যক্রম থেকে ইসরায়েলকে বাদ দেওয়া ও গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা।

এদিকে আয়ারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা শুক্রবার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে তাঁবু গেড়ে যে বিক্ষোভ করছেন, তাতে সংহতি জানাতেই এমন অবস্থান কর্মসূচি বলে জানিয়েছেন এসব শিক্ষার্থী।

ক্যাম্পাসে তাঁবু গেড়ে বৃহস্পতিবার থেকে বিক্ষোভ করছেন ন্যাশনাল অটোনমাস ইউনিভার্সিটি অব মেক্সিকোর (ইউএনএএম) শিক্ষার্থীরা। ইউএনএএম মেক্সিকোর বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত করো’ ও ‘নদী থেকে সমুদ্র, ফিলিস্তিন হবে মুক্ত’—এ ধরনের নানা স্লোগান দেন। ইসরায়েলের সঙ্গে মেক্সিকোর সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিও জানাচ্ছেন তাঁরা। সূত্র: এএফপি


ইসরায়েলবিরোধী   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন