ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

দুই বাস্তবতার গল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:৪৭ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০১৮


Thumbnail

চার্লস ডিকেন্সের উপন্যাস ‘এ টেইল অব টু সিটিস’ এর শুরুটা আজও সর্বজনীন। তিনি বলেছেন, ‘এটাই সময়ের সব থেকে ভালো আর এটাই সময়ের সব থেকে খারাপ।‘এটা জ্ঞানের যুগ এটাই নির্বুদ্ধিতার যুগ। এটা আশার বসন্ত, আর এটাই হতাশার শীত।’

ডিকেন্সের লন্ডন ও প্যারিস ভিত্তিক ফরাসী বিপ্লবের ক্লাসিক উপন্যাসটিতে একনায়কতন্ত্র, সামাজিক অবিচার ও ফরাসী বিপ্লবের বাড়তি কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করা হয়েছে। প্রায় দুই শতাব্দী পর চীনের প্রিমিয়ার ঝৌ এনলাইকে ফরাসী বিপ্লব সম্পর্কে মন্তব্য করতে বলা হয়। তিনি তখন বলেছিলেন, এখনো মন্তব্য করার সময় আসেনি। ভুল বোঝাবুঝির প্রেক্ষাপটে করা এই মন্তব্য থেকে বোঝা যায় ডিকেন্স যে সময় নিয়ে লিখেছেন তিনি ওই সময়ের বিরোধী ছিলেন।

যে আলোকিত আদর্শের ভিত্তিতে ফরাসীরা রাজা ষোড়শ লুইএর বিরুদ্ধে বিপ্লবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ওই একই আদর্শে যুক্তরাষ্ট্রেও বিপ্লব সংগঠিত হয়। আর দুটি বিপ্লবই শিল্পায়নের পরিপ্রেক্ষিতে সংঘটিত হয়েছে।

ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ আনগুস ম্যাডিসন হিসেব করে দেখেছিলেন ১ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮২০ সালের মধ্যে মাথা পিছু আয় দ্বিগুণ হয় নি। কিন্তু ১৮২০ থেকে ২০০৮ এর মধ্যেই মাথাপিছু আয় ১০ গুণ বেড়েছে। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে আর্থসামাজিক অন্যান্য সূচকেও একই রকম বৃদ্ধি দেখা  দেখা যায়। গত দুইশ বছরে মানুষের আয়ুষ্কালের বৈশ্বিক গড় বেড়ে ৩১ থেকে ৭৩ বছর হয়েছে।

দুই শতাব্দী পূর্বে জীবাণু তত্ব আবিষ্কৃত হয়নি। তখন ধারণা করা হতো গোমাংসের গন্ধ শুকলে মানুষ মোটা হয়ে যায়। এমন ধারণা এখন হাস্যকর। এখনকার বৈজ্ঞানিক ধারণার বিকাশে এমনটা সম্ভব হয়েছে। এখন মানুষের জিন নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। জিন পরিবর্তন এবং এতে নানা গুণাগুণ যোগ বিষয়ে গবেষণা চলছে।

নোবেল বিজয়ী লেখক আঙ্গুস ডেটন তাঁর ২০১৩ সালে গ্রন্থ ‘দ্য গ্রেট এস্কেপে’ দেখিয়েছেন কিভাবে দারিদ্র্য, দুর্ভিক্ষ, অপমৃত্যু পূর্বের আড়াইশ বছরে মানব সামাজিক জাতিগুলোকে ভাবে পিছিয়ে দিয়েছে। একই ভাবে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে বিশ্বের সর্বত্রই বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশের নাগরিকরা সকল চিকিৎসার পর্যাপ্ত সুবিধা পাচ্ছে না।

আজকের সমসাময়িক জ্ঞানের সঙ্গে সংঘটিত আন্দোলনগুলোর যোগসূত্র পাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের   কর নীতি ধনীদের কাটছে না। এতে দরিদ্ররাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেই সঙ্গে ট্রাম্প পণ্যে শুল্ক আরোপ করে চীনকে পৃথক ভাবে অর্থনৈতিক সংকটে ফেলার চেষ্টা করছেন।

ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’   পলিসি বিশ্বের অন্য দেশগুলোর বৈশ্বিক ঐক্যকে  ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।  আঠারো শতকের জাতীয়তাবাদী চেতনা সম্ভবত সব থেকে বড় ক্ষতি করেছে। এই চেতনায় ,মানুষ অন্য দেশের  জনগণকে হুমকি মনে করে।

একই ভাবে বিংশ শতাব্দীর সকল উন্নয়ন ও আবিষ্কার আশীর্বাদ নিয়ে আসেনি। আইনস্টাইনের তত্ত্ব এবং ফিসনের আবিষ্কারের ফলে ১৯৩৮ সালে পারমাণবিক বোমা আবিষ্কৃত হয় এবং হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে এই বোমা ফেলা হয়। ফুকোসিমার চেরনোবিলে দুর্ঘটনা ঘটে। একই ভাবে বিভিন্ন সাইবার অ্যাটাকে জাতীয় কাঠামো বারবার হুমকিতে পড়েছে।

আর এ সবকে ছাপিয়ে সব থেকে বড় হুমকি হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন। তবে সংমিলিত নানা কাজের মাধ্যমে এই ঝুঁকি উপশম করা সম্ভব। বিজ্ঞানের নানা আবিষ্কার আমাদের এই হুমকিতে নিয়ে এসেছে। আর বিজ্ঞান দিয়েই আমরা এই ঝুঁকি থেকে বের হয়ে আসতে পারবো।


লেখক: জাভিয়ার সোলানা, প্রেসিডেন্ট, ইএসএডিই সেন্টার ফর গ্লোবাল ইকোনমি অ্যান্ড জিওপলিটিক্স

বাংলা ইনসাইডার/ডিজি



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মোদী ফের প্রধানমন্ত্রী হলে ভারতের সর্বনাশ হবে: কংগ্রেস

প্রকাশ: ০৮:৪৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আবারও নরেন্দ্র মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলে একনায়ক হয়ে দেশকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেবেন। দেশটিতে মানুষের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তা নষ্ট করে ফেলবেন, হিন্দু-মুসলিম লড়াই বাধিয়ে দেবেন বলে দাবি করেছেন জাতীয় কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি ও 'ইন্ডিয়া' জোটের মুখ মল্লিকার্জুন খাড়গে। 

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে ইতিমধ্যে দুই দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ৭ মে তৃতীয় দফায় মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ। তার আগে রোববার (৫ মে) মালদার সুজাপুর হাতিমারি ময়দানে আয়োজিত জনসভায় উত্তর মালদা ও দক্ষিণ মালদা আসনগুলোতে বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম এবং ইশা খান চৌধুরীর সমর্থনে ভাষণ দেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে খাবার খান, তা হজম করার জন্য কংগ্রেসের নামে কু-কথা বলতে হয়। কু-কথা না বললে তার খাবার হজম হয় না।

কংগ্রেস সভাপতি বলেন, কংগ্রেস সরকার মনরেগার ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প তৈরি করেছে, গরিবদের পেট ভরার জন্য ফুড সিকিউরিটি অ্যাক্ট'র মাধ্যমে বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করেছে। নরেন্দ্র মোদী কি এ ধরনের কোনো প্রকল্প দিয়েছেন? আমাদের সরকার শিক্ষা সুরক্ষার জন্য কাজ করছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী ভারতে অশিক্ষার আলো জ্বালাতে চান। গরিবকে আরও গরিব করে রাখতে চান। এ ধরনের মানুষ তিনি।

মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ভাই এবং বোনেরা বলা ছাড়া নরেন্দ্র মোদী দেশের জন্য কিছুই করেননি। এখানে এসে বলেছিলেন, কংগ্রেসের নেতারা বিদেশে বেআইনি অর্থ রেখেছেন, সেই অর্থ আমি সুইস ব্যাংক থেকে আনবো, আর ভারতের প্রত্যেক নাগরিকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ রুপি দেওয়া হবে। কোথায় গেলো সেইসব অর্থ?

এরপর বিজেপি নেতাকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, প্রতি বছর দুই কোটি যুবককে চাকরি দেবো। ১০ বছরে কত চাকরি হওয়ার কথা ছিল? ২০ কোটি। ভারতে বেকার যুবকরা কি ২০ কোটি চাকরি পেয়েছে? পায়নি।

তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদী জনগণকে কখনো সত্যি কথা বলেন না। এ কারণেই বলতে হয়, মোদীজি, আপনি মিথ্যাবাদীদের সর্দার।

ইন্ডিয়া জোটের প্রধান আরও বলেন, এখন নরেন্দ্র মোদী আরও একটি মিথ্যা কথা বলছেন যে, জাতীয় কংগ্রেস জনগণনা প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণের সম্পত্তি ভাগ করে দিতে চায়। আর সেই সম্পত্তি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের দিতে চায়। কিন্তু আমি নরেন্দ্র মোদীকে বলবো, আপনি জেনে রাখুন, ভারতের সংবিধানে রয়েছে, সবার সমান অধিকার। মুসলিমদের যেমন সমান অধিকার, তেমনি হিন্দুদেরও সমান অধিকার। শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান- সবার জন্য সমান অধিকার, যা বাবা সাহেব বিআর আম্বেদকর লিখে গেছেন।

কংগ্রেসের বর্ষীয়ান এ নেতা বলেন, আমরা সবসময় দেশকে একজোট করে রাখতে চাই। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী কখনোই দেশকে একজোট করে রাখতে চান না। কখনো জাতির নামে, কখনো হিন্দু-মুসলিমদের নামে, কখনো নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের নামে দেশকে ভাগাভাগি করতে চান। তিনি আরও একবার প্রধানমন্ত্রী হলে একনায়ক হয়ে দেশকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেবেন। দেশে জাতিগুলোর মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তা নষ্ট করে ফেলবেন, হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে লড়াই বাধিয়ে দেবেন। কিন্তু জাতীয় কংগ্রেস কখনো দেশকে ভাঙতে দেবে না। আমরা সবাই এক হয়ে লড়াই করবো দেশের জন্য।


নরেন্দ্র মোদী   ভারত   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আল জাজিরা বন্ধ করতে ইসরায়েলের সংসদে ভোট

প্রকাশ: ০৮:২২ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা ইসরায়েলে আল জাজিরার কার্যক্রম বন্ধ করার পক্ষে সর্বসম্মতভাবে ভোট দিয়েছে। একটি সরকারি বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। 

চলমান গাজা যুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত বিদেশি টিভি চ্যানেল অস্থায়ীভাবে বন্ধ করার অনুমতি চেয়ে একটি আইন পাস করেছিল ইসরায়েলের সংসদ। এরপরই রবিবার দেশটির মন্ত্রিসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুমোদিত আইন অনুযায়ী নেতানিয়াহু ও নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ৪৫ দিনের জন্য ইসরায়েলে বিদেশি টিভির কার্যালয় বন্ধ করতে পারবে, যা নবায়নযোগ্য। এটি জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত বা গাজায় বড় সামরিক অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত বজায় থাকবে।

নেতানিয়াহু আল জাজিরাকে উস্কানিমূলক গণমাধ্যম বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলে উস্কানিমূলক চ্যানেল আল জাজিরা বন্ধ করে দেওয়া হবে। 


আল জাজিরা   বন্ধ   ইসরায়েল   সংসদ   ভোট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কেনিয়ায় বন্যা, প্রাণহানি বেড়ে ২২৮

প্রকাশ: ০৬:৫০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ২২৮ জনে পৌঁছেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে গত কয়েকদিনে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে বলে রোববার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিপাতে কেনিয়াজুড়ে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে। দেশটিতে মে মাসে আরও খারাপ আবহাওয়া পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

এক বিবৃতিতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বন্যায় আরও নিচু, নদী তীরবর্তী এলাকা ও শহরাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এ সময় খাড়া ঢালু, উঁচু পাহাড় ও গিরিখাত এলাকায় ভূমিধস অথবা কাদা ধস ঘটতে পারে।

বন্যায় পূর্ব আফ্রিকার বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটিতে অনেক বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, সেতু এবং অন্যান্য অবকাঠামো ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈরী আবহাওয়ায় আরও কমপক্ষে ১৬৪ জন আহত ও ২ লাখ ১৩ হাজার ৬৩০ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।


কেনিয়া   বন্যা   প্রাণহানি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনের কয়েক অঞ্চলে রাশিয়ার হামলা

প্রকাশ: ০৬:৩৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেনের খারকিভ ও দিনপ্রো ও ওডিশায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ হামলা দুইজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং একটি খাদ্য কারখানায় আগুন ধরে যায়। তাছাড়া বেশ কিছু বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনের পাশাপাশি অন্যান্য অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, হামলায় বিভিন্ন ধরনের আটটি ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রায় ৭০টি গাইডেড এরিয়াল বোম ব্যবহার করা হয়েছে।

এর আগে ইউক্রেনের এয়ার ফোর্স খারকিভ ও দিনপ্রো লক্ষ্য করে ছোড়া ১৩টি শাহেদ ড্রোন ভূপাতিত করে।

সম্প্রতি ইউক্রেনের জন্য সহায়তা বিল পাস হয়েছে মার্কিন সিনেটে। এরপরই কিয়েভের বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া।


ইউক্রেন   রাশিয়া   হামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিউইয়র্কে বাংলাদেশি হত্যার ভিডিও প্রকাশ (ভিডিও)

প্রকাশ: ০৬:২০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

নিউইয়র্কে নিজ বাড়ির রান্নাঘরে বাংলাদেশি উইন রোজারিও (১৯) নামের বাংলাদেশি তরুণকে দুই পুলিশ গুলি করে হত্যা করার ৩৬ দিন পর ৩ মে পুলিশের বডি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ করেছেন নিউইয়র্ক স্টেটের অ্যাটর্নি জেনারেল (এজি) লেটিশা জেমস। 

সেই ভিডিও ফুটেজ দেখার পর ডুকরে কাঁদতে কাঁদতে উইনের মা নট্যান আভা কোস্টা, বাবা ফ্রান্সিস রোজারিও এবং ছোটভাই উৎস রোজারিও বলেছেন, ‘প্রতিটি দিনক্ষণ আমরা উইনের অনুপস্থিতি গভীর বেদনার সঙ্গে অনুভব করছি। এমন নিদারুন কষ্ট থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছি না। এ অবস্থায় আমরা আশা করছি সেই ফুটেজ জনসমক্ষে প্রকাশের কোনো প্রয়োজন নেই। ফুটেজ স্পষ্ট করেছে যে, উইনের বেঁচে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু পুলিশ এসে তাকে হত্যা করেছে। আমাদের এবং উইনের সুরক্ষার পরিবর্তে পুলিশ অফিসাররা উইনকে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় গুলি করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন। তাই আমরা চাচ্ছি সেই দুই পুলিশ অফিসারকে বরখাস্ত করে যত দ্রুত সম্ভব তাদের বিচারে সোপর্দ করা হোক।’  

উল্লেখ্য, উইন রোজারিও ছিল মানসিক রোগী। গত ২৭ মার্চ দুপুরে নিউইয়র্ক সিটির ওজোনপার্কে তার মা এবং ভাইয়ের সঙ্গে কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করলে ৯১১-এ ফোন করে পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়। নিউইয়র্ক পুলিশের দুই অফিসার বাসায় এসে উইনকে নিবৃত্ত করার চেষ্টার একপর্যায়ে টেজার (এক ধরনের অস্ত্র, যা বিদ্ধ করে উত্তেজিত/অবাধ্য লোকদের নিস্তেজ করা যায়) ছোঁড়া হয়। সে সময়ে উইনের মা উইনকে জড়িয়ে ধরে পুলিশের প্রতি আকুতি জানাচ্ছিলেন গুলি না করার জন্য। তবুও পুলিশ সাড়া দেওয়ার পরিবর্তে উপর্যুপরি টেজার ছোড়ার আতঙ্কে মানসিক বিকারগ্রস্ত উইন চেয়ারের ওপরে রাখা মাছ/মাংস কাটার কেঁচি হাতে নিয়ে পুলিশের প্রতি ধেয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেই উভয় অফিসার কয়েক রাউন্ড গুলিতে উইনকে ধরাশায়ী করেন। ফুটেজে তা স্পষ্ট হয়েছে। 

ফুটেজ দেখে সুস্থ মস্তিষ্কের অনেকেই বলছেন যে, টেজার ছোড়ার পর উইনকে গুলি করার প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু পুলিশ অফিসারদ্বয় সে চেষ্টা করেননি। উইন হত্যাকান্ডের পর থেকেই পরিবার এবং কমিউনিটির পক্ষ থেকে দাবি জানানো হচ্ছিল বডি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশের জন্য। কিন্তু নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট তা আমলে না নেওয়ায় স্টেটের অ্যাটর্নি জেনারেল তা প্রকাশ করল। 


নিউইয়র্ক   বাংলাদেশি হত্যা   উইন রোজারিও  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন