নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫১ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০১৮
একটা সময় ছিল মানুষ স্বপ্ন দেখতো তারা আকাশে উড়তে পারবে। আকাশে ওড়ার চেষ্টায় কত মানুষই না প্রাণ হারিয়েছে। আর আজ মানুষ স্বপ্নকে বাস্তবের রূপ দিয়েছে, উড়তে শিখেছে। এখন যাতায়াতের নিরাপদতম মাধ্যম বলা হয় বিমানকে। অবশ্য এই বিমান নিয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্বেরও শেষ নেই। তারপও এমন সব তত্ত্ব রয়েছে যা হাস্যকর। আবার অনেকগুলো ষড়যন্ত্রমূলক। আজ বিমান নিয়ে অদ্ভুত সব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব সম্পর্কে জানাবো।
১। মেঘের মতো পথ
আমরা সচারাচরই দেখে বিমান উড়ে গেলে আকাশে একটা পথ রেখার সৃষ্টি হয়। এই রেখাকেই ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার হিসেবে তুলে নেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল বিমান উড়ে জাওয়া সময় এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ছড়িয়ে দেয়। এতেই এই রেখার সৃষ্টি হয়। সরকার পরিবেশ আর মানুষের মন নিয়ন্ত্রণে রাসায়নিক পদার্থ বিমান থেকে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৭৭ জন বিজ্ঞানীর একটি দল গঠন করা হয়েছিল। অবশ্য ৯৮ শতাংশ বিজ্ঞানী এমন অভিযোগের কোনো প্রমাণ পাননি।
২। অক্সিজেন মাস্কে নেশার উপাদান
বলা হয়েছিল বিমানের অক্সিজেন মাস্কে নেশার উপাদান মেশানো থাকে। এবং ইচ্ছা করে বিমানের ভেতর বাতাসের চাপ কমিয়ে দিয়ে যাত্রীদের অক্সিজেন মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য করা হয়। সত্য ঘটনা হলে বিমানের ভেতর বাতাসের চাপে তারতম্য ঘটতেই পারে। তখন অবশ্যই অক্সিজেন মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আর এতে কোনো নেশার উপাদান থাকে না। মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে পাইলট বাতাসের চাপের তারতম্যকে স্বাভাবিক অবস্থানে আনতে পারেন। তাই বলে অক্সিজেন মাস্ক খুলে পরীক্ষা করতে যাবেন না। এতে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
৩। বিমান বন্দরে এলিয়েনদের জন্য সুড়ঙ্গ
১৯৯৫ সালে ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এক অদ্ভুত সুড়ঙ্গ বিশিষ্ট মালামাল ব্যবস্থা চালু করেছিল। কিন্তু এই ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়। তারপরও বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ এর উন্নয়নে লাখ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয় করে এই ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্য। তখন গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল এই সুরঙ্গে ভিনগ্রহ প্রাণী এলিয়েনদের আশ্রয় দেওয়া হয়। আর তাই এত অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে এই ব্যবস্থা উন্নয়নে।
৪। ঘোরার মূর্তিতে প্রাণ সঞ্চার
ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি নীল বর্ণের ঘোরার মূর্তি তৈরি করা হচ্ছিল। গুজব রটানো হয় এই মূর্তিতে নাকি প্রাণ সঞ্চার হবে। পৃথিবী ধ্বংসের সময় জীবন্ত হয়ে উঠবে মূর্তিটি। সেই সঙ্গে রটে যায় এই মূর্তিতে খারাপ কোনো শক্তি রয়েছে। আর এর জের ধরে মূর্তির কাজ চলার সময়ই এর ভাস্কর লুই জিমেনেজকে হত্যা করা হয়।
৫। দুর্ঘটনায় মৃত্যু ফাঁদ
বিমান দুর্ঘটনায় পড়লে একটি বিশেষ কায়দায় বসতে বলা হয়। একে বলা হয় ব্রেইস পজিশন। এই পজিশনে আরোহীকে দুই পা বিমানের মেঝেতে রেখে সামনের সিটে মাথা ঠেকিয়ে বসতে হয়। বলা হয়েছিল এই ভাবে বসলে সামনের সিটের আঘাতে যাত্রীদের ঘাড় মটকে যাবে। তখন আহত কিংবা নিহত যাত্রীদের পরিবার ইনস্যুরেন্সের টাকা পাবে না বলেও রটিয়ে দেওয়া হয়। পরে ১৯৮৯ সালের এক ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনার পর গবেষকরা বলেন সামনের সিটে মাথা ঠেকিয়ে রাখলে দুর্ঘটনায় মস্তিষ্ক কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৬। এলিয়েনরা বিমান ডুবিয়ে দিচ্ছে
এক দশকের মধ্যে আটলান্টিক মহাসাগরের বার্মুডা ট্রায়াঙ্গলে কয়েক ডজন নৌকা ও বিমান রহস্যজনক ভাবে হারিয়ে যায়। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নেভির পাঁচটি স্কোয়াড্রনও ছিল। তখন মনে করা হতো কোন অতি প্রাকৃতিক শক্তির কবলে পড়ে এগুলো সাগরে ডুবে গেছে। তাই এগুলোর কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে বলা হয় এলিয়েনরা বিমানগুলো ডুবিয়ে দিয়েছে।
৭। মালয়েশিয়া ফ্লাইট ৩৭০ সম্পর্কে পিটবুলের ধারণা
২০১৪ সালের মার্চে মালয়েশিয়ার ফ্লাইট ৩৭০ রহস্যজনক ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে উধাও হয়ে যায়। উদ্ধারকারী দল ভারত মহাসাগরে ওই বিমানের মাত্র ৩টি টুকরা খুঁজে পেয়েছিল। পিটবুল ও শাকিরার
গান ‘গেট ইট স্টার্টেড’ এ এই বিমান হারিয়ে যাওয়ার সংকেত ছিল। এছাড়া আরেকটি দল বলেছিল ভিন গ্রহের প্রাণীরা বিমানটিকে টেনে নিয়ে গেছে।
৮। আপনাকে শুষে নিতে পারে বিমানের টয়লেট
একবার বলা হলো বিমানের টয়লেটে ফ্লাশ করবেন না। এতে বিমানের টয়লেট আপনাকে শুষে বিমান থেকে বাইরে ফেলে দিতে পারে। অনেকে বিশ্বাসও করেছিল। কিন্তু এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি। আর ঘটবেই কীভাবে। এটা অসম্ভব।
৯। এমেলি ইয়ারহার্ট রহস্য
বিমান যোগে বিশ্ব ভ্রমণে গিয়ে এমেলি ইয়ারহার্ট রহস্যজনক ভবে হারিয়ে গেলেন। জনমনে তখন একটাই প্রশ্ন এমেলি কোথায়? তখন গুজব ছড়িয়ে পড়ে বিমান দুর্ঘটনায় পড়লেও তিনি বেঁচে আছেন। জাপানে তিনি দিন অতিবাহিত করছেন। তাঁর স্বামী পরে তদন্ত করে জানেন বিমানের ফুয়েল শেষ হয়ে জাওয়ায় এমিলির বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
১০। জুনিয়র কেনেডির বিমান দুর্ঘটনার মূল হোতা হিলারি
১৯৯৯ সালে এক বিমান দুর্ঘটনায় জন এফ. কেনেডি জুনিয়রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এই সুযোগে ষড়যন্ত্রকারীরা রটিয়ে দিল এই বিমান দুর্ঘটনার পেছনে কল কাঠি নেড়েছে হিলারি ক্লিনটন স্বয়ং। দুই জনই নিউ ইয়র্কের সিনেটের সিটের জন্য লড়ছিলেন। পর তদন্তে এই দুর্ঘটনার সঙ্গে হিলারির কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
বাংলা ইনসাইডার/ডিজি/জেডএ
মন্তব্য করুন
এবার অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) দেশটির সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইউনিভার্সিটি অব সিডনি) তাবু স্থাপন করে অবস্থান নেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। সেসময় তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
এদিনের আন্দোলন থেকে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কযুক্ত সংস্থাগুলো থেকে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিচ্ছিন্ন করার দাবি তোলেন। বিক্ষোভকারীরা অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও তার সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের দাবি, অস্ট্রেলিয়ান সরকার গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট কাজ করেনি।
ব্রিটিশি বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মেলবোর্ন, ক্যানবেরাসহ অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও একই ধরনের শিবির গড়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলো থেকে পুলিশ ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীদের জোর করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও, অস্ট্রেলিয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।
বিক্ষোভের জায়গাগুলোতে স্বল্পসংখ্যক পুলিশের শান্তিপূর্ণ উপস্থিতিতে ছিল। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে বেশ কয়েকটি পুলিশের গাড়ি পার্ক করা থাকলেও বিক্ষোভে কোনো পুলিশ উপস্থিত ছিল না।
এদিকে, এই বিক্ষোভের কারণে অনিরাপদ বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অধ্যয়নরত ইহুদী শিক্ষার্থীরা। তাদের মতে এ ধরনের আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে করা উচিত।
ইউনিভার্সিটি অব সিডনির উপাচার্য মার্ক স্কট বলেছেন, ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাস আংশিকভাবে অবস্থান করতে পারে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কোনো সহিংসতা দেখা যায়নি।
কয়েক দফা দাবি নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা। অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে ক্যাম্পাস চত্বরেই তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি ও মিশরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে মিত্র দেশগুলো থেকে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা।
অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভ ফিলিস্তিন
মন্তব্য করুন
গত ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।
এপির হিসেব অনুযায়ী, ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মোট ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৬ বার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেসব অভিযান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।
সর্বশেষ স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) অভিযান চালিয়ে ২০০ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্লাইউড, মেটাল ফেন্স, প্ল্যাকার্ড দিয়ে তৈরি করা ব্যারিকেড এবং ক্যাম্পাস চত্বরের অস্থায়ী তাঁবুগুলো তছনছ করে দিয়েছে পুলিশ। এসব তাঁবুতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রাতে ঘুমাতেন।
ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে গত মার্চের শেষ দিক থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ। পরে সেই আন্দোলন দেশটির অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে সেই আন্দোলন চলার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ১৮ এপ্রিল রাতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এ অভিযানে ১০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ এবং তাদের তাঁবু-ব্যারিকেডও তছনছ করে দিয়েছিল পুলিশ।
কিন্তু পরের দিন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ফের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। মার্কিন এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ-আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সদস্যরা মার্কিন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে 'ইহুদিবিদ্বেষী' আন্দোলন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তবে আন্দোলনের সংগঠকদের (যাদের মধ্যে ইহুধি ধর্মাবলম্বীরাও রয়েছেন) দাবি, তারা কেবল ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন।
যুক্তরাষ্ট্র বিক্ষোভ গ্রেপ্তার শিক্ষার্থী ইউসিএলএ
মন্তব্য করুন
মুক্ত গণমাধ্যম বাংলাদেশ পাকিস্তান
মন্তব্য করুন
চলন্ত ট্রেনে অপ্রত্যাশিত এক ঘটনার সাক্ষী হলেন যাত্রীরা। স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে পালালেন স্বামী। গত ২৯ এপ্রিল ভারতের জাহাংসি জংশনে এ ঘটনা ঘটে।
২৮ বছর বয়সি মোহাম্মাদ আরশাদ তার ২৬ বছর বয়সি স্ত্রী আফসানাকে নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করার সময় তালাকের এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।
পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার আরশাদের চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বিয়ে হয়েছিল আফসানার সঙ্গে। বিয়ের পর দুজনে ভোপালে থাকতেন। এক সপ্তাহ আগে কানপুরের পুখরায়ানে যান দুজনে। সেখানে আরশাদের পৈতৃক বাড়ি। কিন্তু সেখানে গিয়েই চমকে যান আফসানা। জানতে পারেন আরশাদের আরও এক স্ত্রী রয়েছে। এর প্রতিবাদ করলে আরশাদ ও তার মা আফসানার কাছে যৌতুকের দাবি করতে থাকে।
অভিযোগ, মারধরও করা হয় আফসানাকে। এরপর স্ত্রী আফসানাকে নিয়ে ভোপালে ফিরছিলেন আরশাদ। ঝাঁসি স্টেশনে ট্রেন ঢোকার মুখে স্ত্রীকে তিন তালাক দেন আরশাদ। এরপরই ট্রেন থেকে নেমে যান।
এ ছাড়া স্ত্রীকে চলন্ত ট্রেনে মারধরও করেছিলেন আরশাদ। ট্রেন ঝাঁসিতে থামতেই জিআরপিকে সমস্ত ঘটনা জানান আফসানা। এরপরই আফসানাকে ফেরত পাঠানো হয় আরশাদের পৈতৃক বাড়িতে। ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। আরশাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
গোটা ঘটনার কথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও জানিয়েছেন আফসানা। স্বামীর কড়া শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।
পুলিশের সার্কেল অফিসার জানিয়েছেন, আফসানার অভিযোগের ভিত্তিতে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলা থেকে রেহাই পাইনি তার বাবা-মাও।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। এই বিক্ষোভ চলাকালে এক অধ্যাপককে গ্রেফতার করার সময় তার পাঁজরের ৯টি হাড় ও একটি হাত ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। ভুক্তভোগী শিক্ষক এক বিবৃতিতে এ কথা জানান।
মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইসে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষক স্টিভ তামারি সাউদার্ন ইলিনয়েস ইউনিভার্সিটি এডওয়ার্ডসভিলের ইতিহাসের অধ্যাপক। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ তিনি।
এ ঘটনায় ধারণ করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, শনিবার ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্টিভ তামারি দৃশ্যত বিক্ষোভকারীদের ছবি তোলার বা ভিডিও ধারণের চেষ্টা করছিলেন। এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য বেপরোয়াভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যান তাকে।
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, গ্রেফতার হওয়ার সময় অধ্যাপক তামারি মাটিতে পড়ে গেলে পুলিশের এক সদস্য তাকে হাঁটু দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। পরে দুই হাত পিছমোড়া করে হাতকড়া পরানো হয়। এরপর কয়েকজন পুলিশ তার নিস্তেজ হয়ে পড়া শরীর টেনেহিঁচড়ে একটি ভ্যানের দিকে নিয়ে যায় ও মাটিতে উপুড় করে ছুড়ে ফেলে।
যুক্তরাষ্ট্র বিক্ষোভ অধ্যাপক পুলিশ
মন্তব্য করুন
গত ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। এপির হিসেব অনুযায়ী, ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মোট ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৬ বার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেসব অভিযান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।
ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। এই বিক্ষোভ চলাকালে এক অধ্যাপককে গ্রেফতার করার সময় তার পাঁজরের ৯টি হাড় ও একটি হাত ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। ভুক্তভোগী শিক্ষক এক বিবৃতিতে এ কথা জানান। মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইসে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষক স্টিভ তামারি সাউদার্ন ইলিনয়েস ইউনিভার্সিটি এডওয়ার্ডসভিলের ইতিহাসের অধ্যাপক। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ তিনি।