নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৩৫ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০১৮
সাধারণত দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছুতেই বিমানপথ ব্যবহার করা হয়। তবে এমন বিচিত্র বিমান বন্দরও আছে যেখানে পৌছার আকর্ষণ গন্তব্য পৌঁছাকেও ছাপিয়ে যায়। তখন বিমান বন্দরই হয়ে ওঠে মূল আকর্ষণ। বিমান বন্দরের আকার, আয়তন, অবস্থান ও অন্যান্য বিশিষ্টের কারণে এমনটি হয়ে থাকে। এমনই ১০টি বিমানবন্দর সম্পর্কে জানালাম।
১। হিলটন হেড ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, জর্জিয়া
জর্জিয়ার এই বিমান বন্দরটি তৈরি করা হয়েছে একটি কবরস্থানের উপর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দেশটির সেনাবাহিনী এখানে বিমান বন্দর নির্মাণ করে। হিলটন হেড ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের ১০ নম্বর রান ওয়েতে একটি অদ্ভুত চিহ্ন রয়েছে। সবাই অবাক হয় রানওয়েতে কেন এই চিহ্ন থাকবে। ক্যাথরিন ও রাচার্ড নামের দুই ব্যক্তির কবর এখানে ছিল। তাঁদের স্মরণে এই চিহ্নটি সেনাবাহিনী তৈরি করে। এখানে বিমানবন্দর তৈরির সময় সেনারা ক্যাথরিন ও রাচার্ডসহ সবার মরদেহ অন্য স্থানে নিয়ে পুনরায় দাফন করেছিল।
২। কুরিচেভেল বিমানবন্দর, ফ্রান্স
এই বিমানবন্দরটি ফ্রান্সের আল্পসে অবস্থিত। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ছয় হাজার ফিট। বিমান বন্দরটির রানওয়ের চারপাশ তুষারে ঢাকা। রানওয়েও সমতল নয়। এটি অনেক স্থানে ভয়ংকর রকম ঢালু ও বাঁক নিয়েছে।
৩। জিব্রাল্টার ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দর
ব্যস্ত বিমানবন্দরের রানওয়েতে গাড়ি নিয়ে চলাচল বা পারাপার করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। যুক্তরাজ্য ও জিব্রাল্টারে আকাশ পথে যাতায়াত করতে জিব্রাল্টার ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দর ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু বিমানবন্দরের মাঝ দিয়ে গেছে ব্যস্ত সড়ক। বিমান ওঠানামার সময় বন্ধ করে দেওয়া হয় সড়ক।
৪। প্রিন্সেস জুলিয়ানা আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট, সেন্ট মার্টিন
ক্যারিবীয় দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে এই বিমান বন্দরটি অনেকেরই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এখানে আপনি এত কাছ থেকে বিমান উড়তে দেখতে পারবেন, মনে হবে বিমান বুঝি মাথায় ছো মেরে চলে গেল। বিমানবন্দরটির একপাশে রয়েছে সমুদ্র সৈকত। আর এক পাশে সবুজ পাহাড়। চমৎকার প্রাকৃতিক দৃশ্য ও অ্যাডভেঞ্চারের জন্য এই বিমান বন্দর চমৎকার।
৫। আমস্টারডাম বিমানবন্দর স্কিপহোল, নেদারল্যান্ডস
এই রকম বিমানবন্দরে বিমানে দেরি কিংবা যাত্রা বিরতি মোটেই বিরক্তিকর নয়। এটি নেদারল্যান্ডসের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরের টার্মিনালে আছে নিজস্ব জাদুঘর। এখানে ফরাসি চিত্রকরদের পেইন্টিং, সমসাময়িক শিল্পকর্ম ১৩ ঘণ্টা প্রদর্শিত হয়। এছাড়াও এখানে রয়েছে ক্যাসিনো। এছাড়া ভ্রমণে ক্লান্তি দূর করতে যাত্রীরা এখানে নিজস্ব বাথরুমে গোসলও করতে পারবে।
৬। ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
একটি গলফ কোর্সের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এর রানওয়েও গোলফ কোর্সের মধ্যেই। তাই গলফ খেলতে খেলতে বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ দেখা যায় এখান থেকে। তবে জনসাধারণের জন্য গলফ কোর্সটি উন্মুক্ত নয়। থাই বিমান বাহিনী এই কোর্সটি নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু একান্তই যদি গলফ খেলতে চান তবে এই বিমানবন্দরের আশা পাশেই বেশ কয়েকই গলফ কোর্সে রয়েছে। সেখানে গিয়ে গলফ খেলতে পারবেন।
৭। আগাটি বিমানবন্দর, ভারত
এই বিমানবন্দরটি ভারত মহাসাগরের মধ্যে এই বিমান বন্দর। এর চার হাজার ফুট দীর্ঘ রানওয়ের ঠিক পাশেই সমুদ্র। এখানে সৈকতও নেই। সপ্তাহে ছয়বার ভারতের কোচিন থেকে এখানে বিমান অবতরণ করে। রানওয়ে ছোট হওয়ায় এটা বাড়ানোর কথা চলছে।
৮। ভ্যাঙ্কুভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কানাডা
এই বিমানবন্দরে রয়েছে বৃহদাকার দুটি অ্যাকুরিয়াম। আর অ্যাকুরিয়ামে রয়েছে ৩০ হাজার গ্যালন পানি। সঙ্গে পাঁচ হাজার প্রজাতির সাগর তলের প্রাণী। এখানে ৬৮ টি এয়ারলাইন্সের বিমান সেবা দেওয়া হয়। অদ্ভুত অ্যাকুরিয়ামের জন্য এই বিমানবন্দর বিখ্যাত।
৯। বাররা বিমানবন্দর, স্কটল্যান্ড
স্কটল্যান্ডের একটি ছোট্ট দ্বীপে এই বিমান বন্দর। এখানে তিনটি রানওয়ে। জোয়ারের সময় রানওয়েগুলো ডুবে যায়। অবশ্য সবগুলো রান ওয়ে এক সঙ্গে ডোবে না। উইন্ড সার্ফারদের এই বিমান বন্দর খুবই প্রিয়।
১০। গিসাবোর্ন বিমানবন্দর, নিউজিল্যান্ড
নিউজিল্যান্ডের এই বিমানবন্দরের রানওয়ে কে এফোঁড় ওফোঁড় করে চলে গেছে রেল লাইন। পৃথিবীর আর কোথাও এমনটি দেখা যায় না। এখানে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের ট্রেনের যাত্রা সূচী খেয়াল করে বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ করাতে হয়।
বাংলা ইনসাইডার/ডিজি/ জেডএ
মন্তব্য করুন
মার্কিন ঘাঁটি রুশ সেনা মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী
মন্তব্য করুন
এবার অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) দেশটির সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইউনিভার্সিটি অব সিডনি) তাবু স্থাপন করে অবস্থান নেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। সেসময় তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
এদিনের আন্দোলন থেকে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কযুক্ত সংস্থাগুলো থেকে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিচ্ছিন্ন করার দাবি তোলেন। বিক্ষোভকারীরা অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও তার সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের দাবি, অস্ট্রেলিয়ান সরকার গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট কাজ করেনি।
ব্রিটিশি বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মেলবোর্ন, ক্যানবেরাসহ অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও একই ধরনের শিবির গড়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলো থেকে পুলিশ ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীদের জোর করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও, অস্ট্রেলিয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।
বিক্ষোভের জায়গাগুলোতে স্বল্পসংখ্যক পুলিশের শান্তিপূর্ণ উপস্থিতিতে ছিল। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে বেশ কয়েকটি পুলিশের গাড়ি পার্ক করা থাকলেও বিক্ষোভে কোনো পুলিশ উপস্থিত ছিল না।
এদিকে, এই বিক্ষোভের কারণে অনিরাপদ বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অধ্যয়নরত ইহুদী শিক্ষার্থীরা। তাদের মতে এ ধরনের আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে করা উচিত।
ইউনিভার্সিটি অব সিডনির উপাচার্য মার্ক স্কট বলেছেন, ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাস আংশিকভাবে অবস্থান করতে পারে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কোনো সহিংসতা দেখা যায়নি।
কয়েক দফা দাবি নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা। অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে ক্যাম্পাস চত্বরেই তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি ও মিশরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে মিত্র দেশগুলো থেকে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা।
অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভ ফিলিস্তিন
মন্তব্য করুন
গত ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।
এপির হিসেব অনুযায়ী, ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মোট ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৬ বার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেসব অভিযান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।
সর্বশেষ স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) অভিযান চালিয়ে ২০০ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্লাইউড, মেটাল ফেন্স, প্ল্যাকার্ড দিয়ে তৈরি করা ব্যারিকেড এবং ক্যাম্পাস চত্বরের অস্থায়ী তাঁবুগুলো তছনছ করে দিয়েছে পুলিশ। এসব তাঁবুতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রাতে ঘুমাতেন।
ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে গত মার্চের শেষ দিক থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ। পরে সেই আন্দোলন দেশটির অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে সেই আন্দোলন চলার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ১৮ এপ্রিল রাতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এ অভিযানে ১০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ এবং তাদের তাঁবু-ব্যারিকেডও তছনছ করে দিয়েছিল পুলিশ।
কিন্তু পরের দিন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ফের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। মার্কিন এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ-আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সদস্যরা মার্কিন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে 'ইহুদিবিদ্বেষী' আন্দোলন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তবে আন্দোলনের সংগঠকদের (যাদের মধ্যে ইহুধি ধর্মাবলম্বীরাও রয়েছেন) দাবি, তারা কেবল ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন।
যুক্তরাষ্ট্র বিক্ষোভ গ্রেপ্তার শিক্ষার্থী ইউসিএলএ
মন্তব্য করুন
মুক্ত গণমাধ্যম বাংলাদেশ পাকিস্তান
মন্তব্য করুন
চলন্ত ট্রেনে অপ্রত্যাশিত এক ঘটনার সাক্ষী হলেন যাত্রীরা। স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে পালালেন স্বামী। গত ২৯ এপ্রিল ভারতের জাহাংসি জংশনে এ ঘটনা ঘটে।
২৮ বছর বয়সি মোহাম্মাদ আরশাদ তার ২৬ বছর বয়সি স্ত্রী আফসানাকে নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করার সময় তালাকের এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।
পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার আরশাদের চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বিয়ে হয়েছিল আফসানার সঙ্গে। বিয়ের পর দুজনে ভোপালে থাকতেন। এক সপ্তাহ আগে কানপুরের পুখরায়ানে যান দুজনে। সেখানে আরশাদের পৈতৃক বাড়ি। কিন্তু সেখানে গিয়েই চমকে যান আফসানা। জানতে পারেন আরশাদের আরও এক স্ত্রী রয়েছে। এর প্রতিবাদ করলে আরশাদ ও তার মা আফসানার কাছে যৌতুকের দাবি করতে থাকে।
অভিযোগ, মারধরও করা হয় আফসানাকে। এরপর স্ত্রী আফসানাকে নিয়ে ভোপালে ফিরছিলেন আরশাদ। ঝাঁসি স্টেশনে ট্রেন ঢোকার মুখে স্ত্রীকে তিন তালাক দেন আরশাদ। এরপরই ট্রেন থেকে নেমে যান।
এ ছাড়া স্ত্রীকে চলন্ত ট্রেনে মারধরও করেছিলেন আরশাদ। ট্রেন ঝাঁসিতে থামতেই জিআরপিকে সমস্ত ঘটনা জানান আফসানা। এরপরই আফসানাকে ফেরত পাঠানো হয় আরশাদের পৈতৃক বাড়িতে। ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। আরশাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
গোটা ঘটনার কথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও জানিয়েছেন আফসানা। স্বামীর কড়া শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।
পুলিশের সার্কেল অফিসার জানিয়েছেন, আফসানার অভিযোগের ভিত্তিতে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলা থেকে রেহাই পাইনি তার বাবা-মাও।
মন্তব্য করুন
গত ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। এপির হিসেব অনুযায়ী, ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মোট ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৬ বার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেসব অভিযান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।