ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্কিন-তুরস্ক বিরোধের নায়ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০৩ এএম, ১৬ অগাস্ট, ২০১৮


Thumbnail

তুরস্ক উপকূলের ইযমির শহরের অবস্থিত একটি চার্চ এটি। পিয়ের ফেরিঘাট থেকে অল্প হাঁটলেই সরু রাস্তার পাশে হলুদ ফটকের এই চার্চটিকে দেখতে পাওয়া যায়। বিবর্ণ সাইনবোর্ডে চার্চটির পরিচয় স্পষ্ট লেখা রয়েছে। জানা গেছে, নিয়মিত কয়েকজনই মাত্র চার্চটির ধর্মসভায় যাতায়াত করতেন। তবে এখন সেই পরিস্থিতি ভিন্ন রূপ নিয়েছে।

গত রোববার চার্চটির প্রার্থনা সভায় অসংখ্য আন্তর্জাতিক প্রতিবেদকের ভিড় দেখা যায়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র আর তুরস্কের মধ্যে যে কূটনৈতিক টানাপড়েন শুরু হয়েছে, তার কেন্দ্রে রয়েছে এই চার্চ। কারণ এখানে কর্মরত আমেরিকান ধর্মযাজক অ্যান্ড্রু ব্রনসনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করার অভিযোগ এনেছে আঙ্কারা।

গ্রেপ্তার

১৯৯৩ সালে স্ত্রী নোরিনকে নিয়ে উত্তর ক্যারোলিনা থেকে তুরষ্কে আসেন ব্রনসন। এখানেই তিন সন্তানকে বড় করেন তারা। ২০১৬ সালের ৭ই অক্টোবর হঠাৎ এই দম্পতিকে ডেকে পাঠায় স্থানীয় থানা। তারা স্বেচ্ছাতেই সেখানে যান। কিন্তু মুক্তি দেওয়ার বদলে তাদের দুজনকেই হেফাজতে নেয় পুলিশ।

২০১৬ সালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের বিরুদ্ধে ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার পর যে ৫০ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়, সেই গ্রেপ্তারেরই অংশ হন ব্রনসন দম্পতি। কয়েকদিন পরে নোরিন ব্রনসনকে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে ডিসেম্বর মাসে যাজক ব্রনসনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করে তুরস্ক। সেখানে অভিযোগ আনা হয়, ‘তিনি সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য`। এরপর তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

তবে তাঁর একজন বন্ধু জানিয়েছেন, অ্যান্ড্রু ব্রনসন দুই বছর আগে পর্যন্ত শান্তিতেই চার্চে কাজ করতেন। ২০১০ সাল থেকেই এখানকার ছোট ধর্মসভা পরিচালনা করতেন তিনি।

`সন্ত্রাসে সহযোগিতা`

কূটনীতিকরা বলছেন, ব্রনসনের সঙ্গে এমন দুইটি গ্রুপের যোগাযোগ রয়েছে, যাদের সন্ত্রাসী বলে মনে করে তুরস্ক। আর এদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি প্রমাণিত হলে তাঁর ৩৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হওয়ার আশঙ্ক্ষা রয়েছে। ব্রনসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তিনি কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টিকে (পিকেকে) সাহায্য করছেন। এই দলের নেতা ফেতুল্লাহ গুলেন, যিনি ব্যর্থ ওই অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টার করেছিলেন বলে তুরস্কের দাবি।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় বসবাসরত ফেতুল্লাহ গুলেন অভ্যুত্থান চেষ্টার সঙ্গে কোনো রকম জড়িত থাকার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন। কিন্তু বিচারের মুখোমুখি করতে গুলেনকে ফেরত চাই তুরস্ক।

ব্রনসনের স্বজন এবং বন্ধুরা অভিযোগ করছেন, কূটনৈতিক দর কষাকষির হাতিয়ার হিসাবে এই ধর্মযাজককে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে তুরস্ক। দেশটি জানিয়েছে, `আইন অনুযায়ী` তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের কার্যক্রম চলছে।

উত্তেজনা

গত ১৮ জুলাই আদালত থেকে ব্রনসনকে কারাগারে রাখার নির্দেশ দেওয়া হলে বর্তমান সংকটের শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সিদ্ধান্তকে `অসম্মান` বলে বর্ণনা করেন। ট্রাম্প এক টুইট বর্তায় বলেন, ‘ব্রনসনকে দীর্ঘদিন ধরে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। এরদোয়ানের উচিত এই চমৎকার খৃষ্টান স্বামী ও পিতার মুক্তির জন্য কিছু করা। তিনি অন্যায় কিছু করেননি, তার পরিবার তাকে পেতে চায়।’

স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটার কারণে গত ২৫ জুলাই ব্রনসনকে কারাবন্দীর বদলে গৃহবন্দী করে রাখা হয়। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছে ওয়াশিংটন। ব্রনসনকে মুক্তি না দেওয়ায় সর্বশেষ গত ১লা অগাস্ট তুরস্কের বিচার এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে হোয়াইট হাউজ।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সর্বশেষ চেষ্টায়ও ব্যর্থ হয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, তুরস্ক থেকে আমদানি করা স্টিল আর অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক দ্বিগুণ করা হবে।

গত সোমবারই মার্কিন নেতারা একটি প্রতিরক্ষা বিলে স্বাক্ষর করেছেন, যার ফলে একশোটি এফ-৩৫ ফাইটার জেট বিমান এই নেটো সহযোগীর কাছে হস্তান্তর বিলম্বিত হবে।

চরম সংকট

এই পরিস্থিতি এখন চরম কূটনৈতিক সংকটে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক এই নিষেধাজ্ঞার পর তুরস্কের লিরার মূল্যমান ২০ শতাংশ পড়ে গেছে। বিনিয়োগকারীরা বিক্রি বাড়িয়ে দেওয়ায় আরও কয়েকটি উদীয়মান অর্থনীতির মুদ্রার মানও কমেছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পরপরই তুরস্কের লিরার দরপতন হয়।

পাল্টা জবাব হিসাবে এরদোয়ান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইলেকট্রনিক পণ্য বর্জন করবে তুরস্ক। আমেরিকান সরবরাহকারীদের সঙ্গে ব্যবসাকারী কোম্পানিগুলোকে বিকল্প খোঁজার জন্যও তিনি আহবান জানিয়েছেন।

টার্কিশ এয়ারলাইন্স এবং টার্ক টেলিকমের মতো বড় ব্যবসায়িক কোম্পানিগুলো ঘোষণা দিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কোনো মিডিয়ায় আর বিজ্ঞাপন দেবে না।

এর আগেও ১৯৭৪ এবং ১৯৭৮ সালে তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, যখন ১৯৭৪ সালে তুরস্ক সাইপ্রাসে অভিযান চালায়।

বাকযুদ্ধ

এই দুই ন্যাটো সহযোগী দেশের মধ্যে সম্পর্ক যখন খারাপের দিকে যাচ্ছে, তখন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বৈঠকের জন্য এসেছেন। কূটনীতিকরা বলছেন, সুযোগের সৎ ব্যবহার করতে রাশিয়া এ বৈঠকের আয়োজন করেছে।

অন্যদিকে রাশিয়া এবং তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা `অবৈধ` এবং `বিশ্ব বাণিজ্যে অন্যায় সুবিধা নিতে` ওয়াশিংটন এসব করছে বলে তাদের দাবি।

তবে তুরস্ক আর যুক্তরাষ্ট্রের এই কূটনৈতিক বৈরিতার কোনো সমাধানের পথ দেখা যাচ্ছে না বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক মহল। পাশাপাশি ব্রনসনের ভাগ্যও অনিশ্চিয়তার মধ্যে রয়েছে বলে তাদের ধারণা।

সূত্র: বিবিসি

বাংলা ইনসাইডার/বিপি/জেডএ 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রে শিখ নেতা পান্নুন হত্যাচেষ্টায় ভারতের ‘র’ জড়িত

প্রকাশ: ০৭:৩০ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ব্যর্থ চেষ্টায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিক্যাল উইং’ (র) জড়িত বলে দাবি করেছে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নাম ও হত্যার নির্দেশনার বিষয়ে এক বিশেষ প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে।  

মার্কিন নাগরিক পান্নুনকে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকারের বিরোধী হিসেবে তুলে ধরে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্রম যাদব নামে ‘র’ কর্মকর্তার ওপর তাকে হত্যার পরিকল্পনা কার্যকর করার দায়িত্ব ছিল। সাবেক ‘র’ প্রধান সামন্ত গোয়েল ওই পরিকল্পনা অনুমোদন করেন। ঘাতক দলকে বিক্রম ভাড়া করেছিলেন, পান্নুনের যাবতীয় গতিবিধির কথাও তাঁদের জানিয়েছিলেন তিনি। বিক্রম বার্তায় লিখেছিলেন, ‘এই হত্যা আমাদের অগ্রাধিকার।’

এই প্রতিবেদন তৈরিতে সাবেক ও বর্তমান ‘র’ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার দাবি করে ওয়াশিংটন পোস্ট বলেছে, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালও বিষয়টি জানতেন। বিদেশে অবস্থানরত ভারতবিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী ও জঙ্গিদের হত্যা করাই এখন ভারতের কৌশল। 

ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, মাদক ব্যবসায়ী নিখিল গুপ্তাকে বিক্রম যাদবই জোগাড় করেছিলেন। দুজন দুজনকে আগে থেকেই চিনতেন। পান্নুন হত্যার দায়িত্ব নিখিলকেই দিয়েছিলেন বিক্রম। কানাডায় নিহত খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারের মৃতদেহের ছবিও নিখিলকে পাঠানো হয়েছিল।

পান্নুন হত্যার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর বিক্রমকে ভারতের আধা সামরিক বাহিনীতেই ফিরিয়ে নেওয়া হয়। ওই ঘটনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে যে মামলা হয়েছে, তাতে ‘সিসি ওয়ান’ হিসেবে বিক্রমের পরিচয় দেওয়া হয়েছে।

পান্নুন হত্যার ষড়যন্ত্রে ভারতের যোগসূত্র থাকার সন্দেহের কথা যুক্তরাষ্ট্রই প্রথম বলেছিল। তার আগে কানাডায় নিহত খালিস্তানি নেতা নিজ্জারের হত্যায় ভারতের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সেই অভিযোগের পর থেকে ভারত-কানাডা সম্পর্কের অবনতি হয়।


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মোদির পতন ঘটাতে চাওয়া কে এই সুনীল কানুগোলু

প্রকাশ: ০৫:৩৯ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সুনীল কানুগোলুর নাম খুবই অপরিচিত। বললে কেউ মনে করতে পারবেন কিনা সন্দেহ যে, এই লোকটা কে? হ্যাঁ, এই সেই লোক, যিনি কংগ্রেসের ২০২৪ সালের নির্বাচনী কৌশল তৈরি করেছেন। যে কৌশলের কাছে নরেন্দ্র মোদি ধরা খেলেও খেতে পারেন। তবে বিভিন্ন পূর্বাভাস বলছে, মোদিই আবার জিতবেন। 

এই সুনীল কানুগোলু কিন্তু ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির কোর টিমের সদস্য। এই টিমের প্রধান প্রশান্ত কিশোর মার্কিন কোম্পানি ম্যাকেঞ্জি থেকে সুনীলকে ধরে এনেছিলেন। আর সেই টিমের সুফল নরেন্দ্র মোদি এখনো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভোগ করছেন। 

প্রশান্তর মতো সুনীলও নরেন্দ্র মোদির সংস্পর্শ ত্যাগ করেছেন। বন্ধুমহলে তার বক্তব্য, মোদির ধর্ম-কেন্দ্রিক রাজনীতি তাঁর একেবারেই পছন্দ না। এই কারণে হয়তো বনিবনা হয়নি। সেজন্য প্রশান্ত কিশোরের মতো নিজের প্রতিষ্ঠান খুলে ফিরে এসেছেন নিজের রাজ্য কর্ণাটকে। ব্যাঙ্গালুরুর অফিসে বসে তিনি এবার কংগ্রেস দলকে পরামর্শ দিচ্ছেন। রাহুল গান্ধীসহ কংগ্রেসের ঊর্ধ্বতন নেতাদের সাথে পরামর্শের জন্য তাঁকে নিয়মিত বাঙ্গালুরু-দিল্লি করতে হয়। 

প্রশান্ত কিশোর যেখানে প্রচারভিলাষী, সুনীল কানুগোলু সেখানে পুরোই উল্টো। তাঁর টিকিটিও দেখা যায় না কোথাও, এমনকি ছবিতেও। আল জাজিরার পক্ষ থেকে বারবার তাঁর সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে সে চেষ্টা। শেষ পর্যন্ত তাঁর ঘনিষ্ঠদের সাথে কথা বলে তারা সুনীলকে জেনেছে। 

এদিকে রাহুল গান্ধী তাঁকে রাজ্যসভার এমপি হতে বললে তিনি অবলীলায় তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। অথচ এই সুনীলের কারণে তেলেঙ্গানা উদ্ধার করতে পেরেছে কংগ্রেস। কর্ণাটকে সফল হয়েছে। অথচ সমস্যা হলো কংগ্রেস তাঁর সব পরামর্শ শোনে না। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের কথাই ধরুন। সুনীল কানুগোলু চেয়েছিলেন, কংগ্রেস এই নির্বাচনে একটি মন্ত্রের ভিত্তিতে পরিচালিত হোক। কিন্তু হয়নি। তাঁর বক্তব্য—যুক্তি দিয়ে কোনো নির্বাচনে জেতা যায় না। জিততে হয় আবেগ দিয়ে। সুনীলের কথা, ‘আমি একাধিক বিষয় নিয়ে নির্বাচনে লড়তে বিশ্বাসী নই। একটি একক আখ্যান থাকতে হবে, যেটি আপনি ঠেলে নিতে পারবেন।’ 

সুনীল কানুগোলুর নিজের প্রতিষ্ঠান ইনক্লুসিভ মাইন্ডস। এর সদর দপ্তর বেঙ্গালুরুতে। এক দশক আগেও কানুগোলু ছিলেন ম্যাকেঞ্জির একজন প্রাক্তন পরামর্শদাতা। নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদে তুলে ধরার রূপকার যারা তাদের একজন। এখন তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে কংগ্রেসের সাথে কাজ করছেন, যার মূল প্রধানমন্ত্রী মোদীর পতন। 

২০২২ সালের মে মাসে কানুগোলু আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগ দেন। তখন তাঁকে আট সদস্যের ‘টাস্ক ফোর্স-২০২৪’-এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাঁর দায়িত্ব ছিল নয়টি রাজ্যে কংগ্রেসের প্রচারে নেতৃত্ব দেওয়া, যেখানে ২০২৪ সালে বিধানসভা নির্বাচন হবে। পাশাপাশি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া। 

কিন্তু কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি শুরুতেই কানুগোলুর পরিকল্পনা ও কাজকে সংকুচিত করতে বাধ্য করে। এখন তিনি প্ল্যান-বি নিয়ে কাজ করছেন। যেখানে ১০০–১২০টি নির্বাচনী এলাকায় নজর দেওয়া হয়েছে, যেখানে কংগ্রেসের জয়ের সুযোগ রয়েছে বা অন্তত জোর লড়াই করার মতো জায়গায় আছে। মোদির বিজেপির সাথে সমানে সমানে লড়ে যার ক্ষমতায় যাওয়ার লক্ষ্য ছিল, সেই জেনারেলকে অনেকটাই বাঁধা গতে হাঁটতে হচ্ছে। 

সে কারণে দিল্লিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান লোকনীতির সহপরিচালক সঞ্জয় কুমার বলছেন, ‘রাজনৈতিক পরামর্শদাতারা জাদুকর নন। একটি দল ভালো অবস্থায় থাকলে তারা একটি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু সীমিত ভূমিকা পালন করে।’ তাঁর মতে, ‘এমন কোনো জাদুকর আছে, যে কংগ্রেসকে ২০২৪ সালের নির্বাচনে জিতিয়ে দিতে পারে? এমনকি ৫০ জন জাদুকরও কংগ্রেসকে জেতাতে পারবে না।’

সুনীল কানুগোলুর সাবেক সহকর্মী অভিমন্যু ভারতীর মতে, ‘নির্বাচনে জয়ী হওয়ার দুটি উপায় আছে—হয় আপনি আপনার লাইন বড় করুন, অথবা আপনি অন্যদের লাইন কেটে ফেলুন।’ অভিমন্যু নিজেই এখন অনলাইনে স্কুল অব পলিটিক্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালান। 

বন্ধু ও সহকর্মীদের মতে, কানুগোলু বিজেপির ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিরোধী। যদিও ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় তিনি স্বীকার করেছেন যে, মোদির পক্ষ ত্যাগের জন্য আরও কিছু মৌলিক কারণ আছে তাঁর। 

কানুগোলু বিজেপির কোনো কিছুতে কোনো চ্যালেঞ্জ খুঁজে পাচ্ছেন না। কারণ ১০ বছর ধরে দলটি ক্ষমতায়। অন্যদিকে কংগ্রেস লড়াই-সংগ্রামের মধ্যে আছে। ফলে এর মধ্যে একটা উত্তজনা আছে।

সাধারণ মানুষ জানে সুনীল কানুগোলু মূলত কর্ণাটকের একটি পিছিয়ে পড়া বালিজা সম্প্রদায়ের। কিন্তু তিনি চেন্নাইতে বড় হয়েছেন। সেখানে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়েছেন। এরপর ম্যাকেঞ্জিতে যোগ দেওয়ার আগে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। লোকেরা জানে, তিনি তামিল, তেলুগু, কন্নড়, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারেন। তবে বলেন কম, শোনেন বেশি। 

সুনীল কানুগোলু দেখতে কেমন, তা বিশেষ কেউ জানে না। তিনি হুইস্কি-বিলাসী। গত ২৫ বছরে একবেলাও নিরামিষ খাবার খাননি। তিনি লম্বা, শুশ্রুমণ্ডিত ও সুগঠিত। তবুও তিনি প্রায়শই অদৃশ্য থাকতে পারেন। একবার এক প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সুনীলের ছবি ভেবে ভুল করে তাঁর ভাইয়ের ছবি দিয়েছিলেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী এক রাজনৈতিক পরামর্শদাতার অভিযোগ, ম্যাকেঞ্জিতে কাজ করার কারণে তাঁর বড় অহংকার আছে। এমনকি কংগ্রেসের মধ্যেও কানুগোলু নিজের বস। তিনি অন্যদের জন্য লক্ষণ রেখা টেনে দিয়েছেন। 

সুনীল কানুগোলু মনে করেন, নির্বাচনী সাফল্যের প্রধান কৃতিত্ব জনগণের, তারপর প্রার্থী ও দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের। যেমন ভারত জোড়ো যাত্রার সময় তিনি খুবই পরিকল্পিতভাবে রাহুল গান্ধীর ছবি ও বক্তব্য প্রচারের বিষয়টি সাজান। যে কারণে এরপর থেকে নেতা হিসেবে রাহুলকে অনেক বেশি ম্যাচিওর মনে হয়েছে।

চলতি নির্বাচনে সুনীল কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীসহ সব নেতাকে রামমন্দির নিয়ে বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। সেজন্য দেখবেন কংগ্রেসের প্রচারে কোথাও রামমন্দির নেই। এমনকি বিজেপিতে দুর্নীতিবাজ বিরোধী নেতাদের স্থান দিয়ে কটাক্ষ করে মোদি ওয়াশিং পাউডার নামে একটি বিজ্ঞাপন তৈরি করে কংগ্রেস। সুনীলের পরামর্শে সেটাও বন্ধ করে দিয়েছে কংগ্রেস।

বরং সুনীল দেশব্যাপী বর্ণ-শুমারির বা গণনার পক্ষে কথা বলে প্রান্তিক মানুষজনের সমর্থন পাওয়ার কথা বলেছেন। মোদি সরকার ১০ বছরের সমৃদ্ধির চিত্র এঁকে যে প্রচার চালাচ্ছে, তার পাল্টা বক্তব্য তুলে ধরতে বলছেন।  এরই প্রভাব দেখা যায় কংগ্রেসের প্রচারে, যেখানে বলা হচ্ছে—মোট সম্পদের ৭০ শতাংশ এখন ভারতের ২২টি পরিবারের হাতে। কেউ যদি গত ১৭ এপ্রিল রাহুল বা প্রিয়াঙ্কার নির্বাচনী প্রচারে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার বিষয়টি দেখেন, তাহলেই বুঝতে পারবেন বিষয়টি। তাঁরা বারবার বলছেন, আসুন বেকারত্ব, জিনিসপত্রের দাম, মানুষের কষ্ট, গণতন্ত্র, সংবিধান—এসব নিয়ে কথা বলুন; উত্তর দেব। কিন্তু এর বাইরে আর কিছু না। কারণ ওগুলোতে মানুষের কিছু যায়–আসে না, বরং দৃষ্টি ঘুরে যায়।

সুনীল কানুগোলু মনে করেন, নির্বাচনে হারলাম মানে এই নয় যে, সব শেষ হয়ে গেল। বরং ওই দিন থেকে কৌশল নির্ধারণ করে পরের লড়াইয়ের জন্য তৈরি হোন। তাঁর কথায়, ভবিষ্যতের কথা ভাবুন এবং এগিয়ে যান। প্রতিপক্ষের ভুল খুঁজতে থাকুন।

লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পিছু হটছে ইসরায়েলি সেনারা!

প্রকাশ: ০৪:৫৪ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

৬ মাসের ও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অভিযান চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। যুদ্ধের শুরু থেকেই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হাসামকে পুরোপুরি নির্মূলের বার্তা দিয়ে আসছে ইসরায়েল। কিন্তু দীর্ঘ সময় যুদ্ধের পরেও নিজেদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়েছেন ইসরায়েলি সেনারা।

সম্প্রতি আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, ইসরায়েলের ৩০ সেনা নিজেদের দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। প্যারাট্রুপার ইউনিটের সেনারা বলছেন, রাফাহ সীমান্তে অভিযানের জন্য ডাকা হলে তারা এতে সাড়া দেবেন না।

বর্তমানে গাজার সর্বশেষ নিরাপদ আশ্রয়স্থল হচ্ছে মিসরের রাফাহ সীমান্ত। এলাকাটিতে ইসরায়েল অভিযানের পরিকল্পনা করছে। এমন সময় দেশটির সেনারা এ মনোভাব জানিয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব রিজার্ভ সেনাদের দায়িত্বে ফেরাতে জোর করবেন না কমান্ডাররা। দীর্ঘ এ যুদ্ধে সেনারা কতটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এই বার্তায়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলা করে। এতে ১ হাজার ২০০ এর বেশি নিহত হয়। হামাস যোদ্ধারা ধরে নিয়ে যায় কয়েকশ ইসরায়েলিকে। এরপর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় নৃশংস আক্রমণ শুরু করে। সর্বাত্মক সামরিক অভিযানে তেলআবিব কোনো মানবিক নিয়ম মানছে না। নির্বিচারে নারী ও শিশুসহ বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছে।


ইসরায়েলি   সেনা   ফিলিস্তিন   যুদ্ধ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ১২:১৭ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ওয়াশিংটন ডিসির জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে নাড়ছেন এক ব্যক্তি।  ব্যারিকেডের চারপাশে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। 

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করছে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা। যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তাঁবু তৈরি করে অবস্থান কর্মসূচিও চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোয় কয়েক সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনপন্থীদের টানা বিক্ষোভ চলছে। আটক করা হয়েছে কয়েকশ বিক্ষোভকারীকে। এতেও তাঁদের দমানো যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে গত রোববার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ক্যাম্পাসগুলোয় চলমান বিক্ষোভ অবশ্যই শান্তিপূর্ণ হতে হবে।

১৯৬০–এর দশকে ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও নাগরিক অধিকার আন্দোলনের পর যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ইসরায়েলবিরোধী এই আন্দোলন। ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের সেই বিক্ষোভে ব্যাপক ধরপাকড় করা হয়েছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি সহিংসতায় রূপ নিয়েছিল।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলে আসছেন, তাঁদের এই বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিক্ষোভকে তাদের কার্যক্রমে ব্যাঘাত বলে মনে করছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে। পুলিশের হাতে শিক্ষার্থীদের ধরপাকড়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে। 

সর্বশেষ গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বিদ্যাপীঠ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে শিক্ষার্থীরা গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।

এদিকে, গত সপ্তাহে নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভের অভিযোগে ১০০ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের পর এই বিক্ষোভ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।

নিউইয়র্কের ওয়াশিংটন স্কয়ার পার্কের ওপরে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের বিশেষ বাহিনী স্ট্র্যাটেজিক রেসপন্স গ্রুপকে (এসআরজি) ড্রোন নিয়ে সতর্ক টহল দিতে দেখা যায়। 

নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ‘ইসরায়েলের বোমা, অর্থ দিচ্ছে এনওয়াইইউ, আজ কত শিশু হত্যা করেছ’, এমন প্রচারপত্র বিলির সময় ১২০ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সেন্ট লুইসে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৮০ জনকে গ্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটেছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৯০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


শিক্ষার্থী   বিক্ষোভ   যুক্তরাষ্ট্র   জর্জ ওয়াশিংটন   ফিলিস্তিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিক্ষোভ, শিক্ষার্থীদের চাপে পিছু হটল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

প্রকাশ: ১১:৩৪ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে অবস্থিত কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে টাবু টাঙিয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করে আসছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের এ বিক্ষোভ বন্ধে আল্টিমেটাম জারি করে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আল্টিমেটাম প্রত্যাখান করায় শেষ পর্যন্ত পিছু হটেছে প্রশাসন।

স্থানীয় সময় সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ২টা পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভে থেকে সড়ে আসার আল্টিমেটাম দেয় প্রশাসন। এতে বলা হয়েছিল নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বিক্ষোভ থেকে সরে না আসলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

তবে সময়সীমা শেষ হলেও শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, বিক্ষোভকারীরা তাদের নির্দেশনা উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা মাস্ক এবং উজ্জল টপস পরিধান করে মানব প্রাচীর তৈরি করেছে। যাতে পুলিশ তাদের তাবু ভেঙে দিতে না পারে।

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধে শিক্ষার্থীরা ব্যাপক বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ ছয় মাস ধরে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এ হামলায় ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে এ অঞ্চলটি এখন দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে।

এদিকে অস্টিনে অবস্থিত টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিক্ষোভ করায় বহু শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।


ফিলিস্তিন   বিক্ষোভ   শিক্ষার্থী   কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়   প্রশাসন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন