ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নওয়াজের প্যারোলে মুক্তির মেয়াদ বাড়ল ৩ দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:০৭ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের প্যারোলে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। স্ত্রীর মৃত্যুর জন্য ৩ দিনের প্যারোল দেওয়া হয়েছে নওয়াজকে৷ প্রথমে মাত্র ১২ ঘণ্টার প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল নওয়াজ, তাঁর মেয়ে ও জামাতাকে। পরে এ মেয়াদ বাড়ানো হয়। খবর পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম দ্য ডনের।

কুলসুমের মরদেহ লাহোরে আনার জন্য লন্ডনে পৌছেছেন নওয়াজের ভাই শেহবাজ শরিফ। আজ বৃহস্পতিবার মরদেহ পাকিস্তানে পৌছাবে বলে জানা গেছে। পরিবার জানিয়েছে, লাহোরেই তাঁকে দাফন করা হবে৷ দাফন শেষে আগামী শুক্রবার শোকসভার আয়োজন করা হবে।

গত মঙ্গলবার লন্ডনের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ৬৮ বছর বয়সী বেগম কুলসুম নওয়াজের৷ গত সোমবার রাত তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে তাঁকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়৷ গত বছর আগস্টে বেগম কুলসুম নওয়াজের লিমফোমা(গলা) ক্যানসার ধরা পড়ে৷ এরপর ২০১৭-র জুন থেকে লন্ডনের একটি ক্লিনিকে তাঁর চিকিৎসা চলছিল।


বাংলা ইনসাইডার/জেডআই/জেডএ 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কংগ্রেস ৫০ আর তৃণমূল ১৫ আসনও পাবে না: মোদি

প্রকাশ: ১১:৩৯ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, এবার লোকসভা নির্বাচনে সারা দেশে ১৫ আসনও পাবে না পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল। এ ছাড়া আরেক রাজনৈতিক দল কংগ্রেস ৫০ আসনও পেরোতে পারবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

তৃণমূল ও কংগ্রেসের আমলে দুর্নীতি হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তৃণমূল যাই করুক না কেন তারা বেশি আসন পাবে না। তাদের পক্ষে সরকার গঠন করাও সম্ভব নয়। যতই লড়ুক না কেন।

শুক্রবার নির্বাচনী প্রচারণায় তৃণমূল ও কংগ্রেসকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেন মোদি।

তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটই (এনডিএ) সরকার গঠন করবে। এনডিএ ৪০০ পার করবে কি না সেটাই এখন চর্চা চলছে। একটা সময় বামেদের সূর্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে অস্ত হতেই চাইত না। তবে এখন দেখুন বামেদের একটা পতাকাও দেখা যায় না।

মোদি বলেন, কংগ্রেস দেশ বিভাজন করেছিল ধর্মের ভিত্তিতে। তোষণের রাজনীতি করে ইন্ডিয়া জোট। মতুয়া সম্প্রদায়ের জন্য ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) আনা হয়েছে। এর সবচেয়ে বিরোধিতা করছে তৃণমূল। এরা সিএএ নিয়ে ভুল প্রচার চালাচ্ছে। তৃণমূল এসব করে সিএএ করা আটকাতে পারবে না। মানুষ অধিকার পাবেই।


কংগ্রেস   তৃণমূল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ছাত্র বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্কে পরিবর্তন আনতে পারে

প্রকাশ: ১১:২৫ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তিন সপ্তাহে গড়ানো ফিলিস্তিনপন্থি ছাত্র বিক্ষোভ ইসরায়েলের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কে পরিবর্তন আনতে পারে বলে আলজাজিরার এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে। 

দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের মিডিয়া স্টাডিজ অধ্যাপক মোহাম্মদ এলমাসরি বলেছেন, এ আন্দোলন যদি শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে তাহলে দুই দেশের সম্পর্কে একটা পরিবর্তন আসতে পারে। যদিও বুধবার মারমুখী পুলিশ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে শিক্ষার্থীদের তাঁবু সরিয়ে ফেলে আন্দোলন এক ধরনের পণ্ড করে দেয়। 

কিন্তু শিক্ষার্থীরা বলছেন, এটাই শেষ নয়, তারা আবার ফিরে আসবেন যতক্ষণ পর্যন্ত না গাজায় গণহত্যা ও ইসরায়েলকে মার্কিন সহায়তা বন্ধ করা হয়। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় পরিস্থিতি শান্ত হয়ে গেলেও অস্ট্রেলিয়াজুড়ে ক্যাম্পাসগুলো ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে। তবে ফ্রান্সের প্যারিসে সায়েন্স পো বিশ্ববিদ্যালয়ে শুক্রবার পুলিশ ঢুকে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয়। এখানে অনেক শিক্ষার্থী আমরণ অনশনেও বসেছিলেন। তাদের তাঁবু সরিয়ে হলগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পুলিশ। খবর আলজাজিরার।

দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের মিডিয়া স্টাডিজ অধ্যাপক মোহাম্মদ এলমাসরি বলেছেন, মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্যালেস্টাইনপন্থি বিক্ষোভগুলো একটি বড় ধরনের প্রজন্মগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। কিছুদিন আগেও মার্কিন শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলের প্রতি অনেক সহানুভূতিশীল ছিলেন। গাজায় অনেক আগে থেকে ইসরায়েলি বর্বরতা চলছে। কিন্তু এর আগে কখনো সেভাবে মার্কিন শিক্ষার্থীদের এর প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি। চলমান ইসরায়েলি বর্বরতা সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে যাওয়ায় ধৈর্যের বাঁধও যেন ভেঙে গেছে মার্কিন শিক্ষার্থীদের। 

এর আগে সর্বশেষ ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রতিবাদ করে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, যে বিক্ষোভ কাঁপন ধরিয়েছিল মার্কিন প্রশাসনে। এবারও সে ধরনের একটি বিক্ষভ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে একটি প্রজন্মগত পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এ বিক্ষোভ যদি অব্যাহত থাকে তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কের নতুন একটা চিত্র দেখা যেতে পারে। 


এলমাসরি আলজাজিরাকে বলেন, এ বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে এই প্রথম ফিলিস্তিনি ইস্যু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি ঘরোয়া ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। এটি কমবেশি মূলধারায় পরিণত হয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা এসে পড়ালেখা করছেন। এখানে শুধু মার্কিন শিক্ষার্থীরা নয়, বিভিন্ন মহাদেশের এমনকি অনেক ইহুদি শিক্ষার্থীও প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। কাজেই এ বিক্ষোভ নতুন কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। তরুণরাই মার্কিন-ইসরায়েল সম্পর্কের নতুন পটভূমি রচনা করতে পারে।

এদিকে বুধবার রাতে বিভিন্ন ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভকারীদের তাঁবু সরিয়ে ফেলার পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিস্থিতি এখন কার্যত শান্ত। সেদিন মারমুখী পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় শিক্ষার্থীদের। এক রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় তিন শতাধিক শিক্ষার্থীকে। গত ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আন্দোলন পণ্ড হয়ে গেলেও শিক্ষার্থীরা বলছেন, এটাই শেষ নয়। তারা যে কোনো সময় ক্যাম্পাসে ফিরে আসবেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা থামবেন না বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

এবার অস্ট্রেলিয়াজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ : যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাঁবু ফেলে ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। দেশটির শীর্ষ একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুক্রবার বিক্ষোভ করেন শত শত বিক্ষোভকারী। গাজায় যুদ্ধের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভে ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানানো হয়। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা এ বিক্ষোভ করছেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধান সব নগরীর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীরা দুই সপ্তাহ ধরে তাঁবু বসিয়ে বিক্ষোভ করছেন। অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা গত সপ্তাহে প্রধান হলের বাইরে জড়ো হয়ে তাঁবু ফেলে অবস্থান নেন। এ ছাড়া মেলবোর্ন, ক্যানবেরা এবং অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য শহরগুলোতে একই ধরনের শিবির স্থাপন করেছেন বিক্ষোভকারীরা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের মতো অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ এখনো বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে মারমুখী অবস্থানে যায়নি। শুক্রবার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিক্ষোভে অংশ নেয় তিন শতাধিক বিক্ষোভকারী। এর মধ্যে ৩৯ বছর বয়সী ম্যাট তার দুই বছরের ছেলেকে কাঁধে নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন। তিনি বলেন, গাজায় ইসরায়েলের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে শুধু ছাত্রসমাজই বিরোধিতা করছে না। সেখানে কী হচ্ছে সেটি একবার অনুধাবন করতে পারলে আপনার দায়িত্ব হচ্ছে বিষয়টিতে জড়িত হওয়া, সচেতনতা বাড়ানো এবং সংহতি প্রকাশের চেষ্টা করা।

উল্লেখ্য, ইসরায়েলের সঙ্গে দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশ অস্ট্রেলিয়া সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের সমালোচক হয়ে উঠেছে। গত মাসে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় অস্ট্রেলিয়ার এক ত্রাণকর্মীও নিহত হন। তবে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা বলছেন, সরকার শান্তি প্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট পদক্ষেপ না নেওয়াতেই প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠেছে।


ছাত্র   বিক্ষোভ   যুক্তরাষ্ট্র   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলি কারাগারে গাজার শীর্ষ চিকিৎসকের মৃত্যু

প্রকাশ: ১১:২৪ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

চার মাসেরও বেশি সময় আটক থাকার পর ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনের গাজার বিশিষ্ট এক চিকিৎসক মারা গেছেন।

ডা. আদনান আল-বুরশ (৫০) আল শিফা হাসপাতালের অর্থোপেডিকসের প্রধান চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ফিলিস্তিনি বন্দীদের নিয়ে কাজ করা গোষ্ঠীগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।

গত জানুয়ারিতে উত্তর গাজার আল আওদা হাসপাতালে খণ্ডকালীন চিকিৎসক হিসেবে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সময় ইসরায়েলি বাহিনী তাকে আটক করে নিয়ে যায়।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি জেল পরিষেবা জানিয়েছে, নিরাপত্তা হুমকিজনিত কারণে আদনান আল-বুরশকে আটক করা হয়েছিল। তিনি ইসরায়েলের ওফার কারাগারে মারা গেছেন।

তবে কী কারণে চিকিৎসক আদনানের মৃত্যু হয়েছে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি ইসরায়েলি জেল পরিষেবা। শুধু বলেছে, তার মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

তবে চিকিৎসক আদনানের মৃত্যু স্বাভাবিক তা মানতে নারাজ ফিলিস্তিনি বন্দী বিষয়ক সংস্থাগুলো। গত বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে সংস্থাগুলো দাবি জানায়, চিকিৎসক আদনানকে কারাগারে হত্যা করা হয়েছে এবং তার মরদেহ এখনও ইসরায়েলি হেফাজতে রয়েছে।

গাজার সবচেয়ে বড় চিকিৎসা কেন্দ্র আল-শিফার পরিচালক ডা. মারওয়ান আবু সাদা বলেছেন, চিকিৎসক আদনানের মৃত্যুর সংবাদ সহ্য করা কঠিন ছিল।


ইসরায়েল   কারাগারে   গাজা   শীর্ষ চিকিৎসক   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তিউনিসিয়ায় নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর

প্রকাশ: ১১:১৪ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে মারা যাওয়া আট বাংলাদেশি নাগরিকের মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার ( ৩ মে ) বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়।

নিহতরা হলেন মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার সেনদিয়া গ্রামের সজল বৈরাগী(২২), একই থানার কদমবাড়ি গ্রামের মৃত পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে নয়ন বিশ্বাস (১৮), সরমঙ্গল গ্রামের মামুন শেখ(২৪), কোদালিয়া গ্রামের কাজী সজীব(১৮), কেশরদিয়া গ্রামের তোতা খলিফার ছেলে কায়সার খলিফা (৩৫), গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর থানার দাদন শেখের ছেলে রিফাত শেখ (২৪), একই থানার পদ্মপট্টি গ্রামের আবুল কাশেম শেখের ছেলে রাসেল শেখ (২৫) এবং পদ্মাপট্টি গ্রামের পান্নু শেখের ছেলে ইমরুল কায়েস আপন (২৩)।

এ ঘটনায় মানবপাচার আইনে করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা জানেন, সৌদি এয়ারলাইন্সে বৃহস্পতিবার ( ২ মে ) দুপুরে মরদেহগুলো বিমানবন্দরে পৌঁছায়। যেহেতু এটি একটি ইন্টারন্যাশনাল ঘটনা, দেশের বাইরে সংঘটিত হয়েছে। পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এখানে উপস্থিত আছেন। সবার মতামতে, বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পূর্বনির্ধারিত ফরেনসিক চিকিৎসক ডা. ফাহমিদা হকসহ আমরা তিনজন, ডেড বডিগুলোর আলামত দেখলাম। যেভাবে বাইরের থেকে আসছে ইনটেক। দেশের বাইরে যে পোস্টমোর্ডাম হয়েছে তা দেখলাম। সেখানে কোনোরকম কোনো প্রবলেম আছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য জাস্ট।

তিনি বলেন, ‘ম্যাজিট্রেট স্যারের উপস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস চেক করে মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

উপ-পরিদর্শক জানান, এই মামলায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন যুবরাজ ও কামাল। তাদের রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তা যাচাই করা হচ্ছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক চক্র। এদের সাথে যাদের কানেক্টিভিটি আছে দেশে ও দেশের বাইরে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’


তিউনিসিয়া   বাংলাদেশি   নিহত ৮  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাড়ছে বিদেশে পাড়ি জমানো কানাডিয়ানদের সংখ্যা

প্রকাশ: ১০:৫১ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রতি বছর বিশ্বের বহু দেশের মানুষ কানাডায় পাড়ি জমান। উন্নত জীবন এবং জীবিকার আশায় স্বদেশ ছেড়ে এই দেশে যান তারা। অথচ কানাডার নাগরিকদের মধ্যেই বাড়ছে দেশত্যাগের হার। ক্রয়ক্ষমতার অভাবে দেশ ছেড়ে ভিনদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন কানাডীয়রা।

কানাডার সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৬ সালেই প্রায় ৪০ লাখ নাগরিক দেশে ছেড়েছেন, যা দেশটি মোট জনসংখ্যার ১১ শতংশ।

প্রবাসী কানাডীয়দের নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ম্যাকগিল ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব কানাডা। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে কানাডার নাগরিকদের দেশ ত্যাগের হার ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নিজ দেশের নাগরিকদের ধরে রাখতে সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে কানাডা সরকারকে।

ম্যাকগিল ইনস্টিটিউট বলছে, যেসব অভিবাসী আবেদনের মাধ্যমে নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন তারা আগমনের চার থেকে সাত বছরের মধ্যে কানাডা ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। এর পেছনে কিছুটা ক্রয়ক্ষমতার অভাবের বিষয়টি জড়িত।

কানাডার প্রবাসীদের প্রায় অর্ধেক পিতামাতার মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেয়েছেন। এক-তৃতীয়াংশ কানাডার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছেন। এ ছাড়া প্রবাসীদের বাকি ১৫ শতাংশ বিদেশি। তারা আবেদনের মাধ্যমে কানাডার নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তাদের দেশ ছাড়ার কারণগুলোর মধ্যে ভ্রমণ, চাকরি ও পড়াশোনার সুযোগের বিষয় রয়েছে।কানাডার এশিয়া প্যাসিফিক ফাউন্ডেশনের তথ্য থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র, হংকং ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশে প্রবাসী কানাডীয়রা বসবাস করেন।

প্রতিবেদনটি অনুমোদন করেছে বি সি সেন ইউয়েন পাউ উয়ের কার্যালয়। পাউ উ বলেছেন, দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া নাগরিকদের সমর্থনের জন্য কানাডা আরও বেশি কিছু করতে পারে। তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, প্রবাসী কানাডীয়রা বিশ্বজুড়ে কানাডার কূটনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান আরও প্রসারিত করতে পারেন।

এক সাক্ষাৎকারে পাউ উ বলেন, আমরা একটি সংকীর্ণমনা দেশ। আন্তর্জাতিকতাবাদী এবং বৈশ্বিক হওয়ার দাবি করলেও আমাদের প্রবণতা কেবল দেশের ভেতর তাকানোতেই সীমাবদ্ধ।

ম্যাকগিলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবাসীদের সমর্থনের ক্ষেত্রে কানাডা অন্য দেশের চেয়ে পিছিয়ে। প্রবাসী কানাডীয়রা কর দেওয়া সত্ত্বেও প্রাদেশিক নির্বাচনে ভোট দেওয়া এবং স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার নেই।

পাউ উ বলেন, কেন বিদেশে গেছেন, কানাডা সম্পর্কে তাদের উপলব্ধি এবং দেশে ফেরার পরিকল্পনার মতো কিছু মূল বিষয়ে আমরা এখনো খুব কম জানি। ভালো ডেটা থেকেই ভালো নীতি প্রণয়ন সম্ভব। তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।


বিদেশ   কানাডা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন