ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এশিয়ার শীর্ষ ৫ ক্ষমতাধর নারী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:১৯ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯


Thumbnail

বিশ্বখ্যাত সাময়িকী ফোর্বস সম্প্রতি ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় আধিপত্য ধরে রেখেছেন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের নারীরা। সাম্প্রতিক বছরগুলোর মতো এবারও ক্ষমতাধর নারীদের তালিকার প্রথম স্থানে আছেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল। দ্বিতীয় স্থানে ফ্রেঞ্চ রাজনীতিক ও ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন ল্যাগার্দে। আর তৃতীয় স্থানে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এশিয়া থেকে এই তালিকায় শীর্ষ ৩০ এ জায়গা করে নিতে পেরেছেন মাত্র ৩ জন। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শীর্ষ পাঁচ এশীয় নারীর মধ্যে তিনজনই রাজনীতিবিদ। বাকি দুজন আছেন বিশ্বখ্যাত দুটি কোম্পানির উচ্চপদে। ফোর্বসের তালিকায় স্থান করে নেওয়া শীর্ষ পাঁচ এশীয় নারীকে নিয়েই এই প্রতিবেদন।

৫. সাই ইং ওয়েন

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন আছেন ক্ষমতাধর নারীদের তালিকার ৪১ তম স্থানে। এশীয় নারীদের মধ্যে তার অবস্থান পাঁচে। চীনের নাকের ডগায় বসে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করে তিনি তার দৃঢ় নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন। সম্প্রতি স্থানীয় নির্বাচনে তার দল হেরে গেলেও জনগণের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা ব্যাপক। ২০২০ সালের সাধারণ নির্বাচনেও জনগণ তাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

৪. নির্মলা সীতারমন

ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ফোর্বসের মতে বিশ্বের ৩৪ তম ক্ষমতাধর নারী। এশীয় নারীদের মধ্যে তার অবস্থান চার। তিনি ২০১২ সাল থেকে ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য। ইন্দিরা গান্ধীর পরে ভারতের দ্বিতীয় নারী প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং দ্বিতীয় মহিলা অর্থমন্ত্রী নির্মলা। পরিচ্ছন্ন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসেবে তার সুনাম রয়েছে। তবে বর্তমানে ভারতের অর্থনীতির নিম্নগতির কারণে নির্মলা সমালোচনার মুখে রয়েছেন।

৩. শেখ হাসিনা 

ফোর্বসের তালিকায় এশিয়ার নারীদের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ইতিহাসে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা নারী প্রধানমন্ত্রী। এখন চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আছেন তিনি। ফোর্বস ম্যাগাজিনে শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, তিনি খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা বাড়ানোর মতো ইস্যুতে জোর দিচ্ছেন এবং নিজ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

গত দশ বছর দেশ পরিচালনায় থেকে তিনি বাংলাদেশকে বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। দারিদ্রপীড়িত একটি দেশকে তিনি অর্থনৈতিক রোল মডেলে পরিণত করেছেন। সারা বিশ্বের ক্ষমতাধর নারীদের মধ্যে শেখ হাসিনা আছেন ২৯ এ।

২. হো চিং

ফোর্বসের তালিকার ২৩ নম্বরে আছেন সিঙ্গাপুরের হো চিং। এশীয় নারীদের মধ্যে তার অবস্থান দ্বিতীয়। হো চিং টিমাসেক হোল্ডিংসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তার আরেকটি পরিচয় হলো তিনি সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি হিয়েং লুং এর স্ত্রী। বছর তিনেক আগে সস্তার একটি হাতব্যাগ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউসের এক ডিনারে যোগ দিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। শুরুতে অনেকেই তার সমালোচনা করে বলেছিলেন যে সস্তার ব্যাগ নিয়ে তিনি সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের অসম্মান করেছেন। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হওয়ার পর সমালোচকদের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। কারণ তিনি অটিস্টিক শিশুদের তৈরি হাতব্যাগ ব্যবহার করছিলেন। এ ঘটনার পর অটিস্টিক শিশুদের তৈরি ব্যাগের কদর বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এরকম ছোট ছোট কাজের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে তার সুনাম রয়েছে।

১. জেসিকা ট্যান

এশীয় নারীদের মধ্যে ক্ষমতাধর তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছেন চীনের নাগরিক জেসিকা ট্যান। তিনি চীনা গ্রুপ অব কোম্পানিজ পিং অ্যান এর সহ-প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্নাতক ট্যান ২০১৩ সালে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা হিসেবে পিং অ্যান এ যোগ দিয়েছিলেন। নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে তিনি পাঁচ বছর না পেরোতেই প্রতিষ্ঠানের সহ-প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পান। ১৬৪ বিলিয়ন ডলারের প্রতিষ্ঠান পিং অ্যান যে খুব দ্রুতই বিস্তার লাভ করছে এর কৃতিত্ব অনেকটা তারই। সারা বিশ্বের ক্ষমতাধর নারীদের মধ্যে তিনি আছেন ২২ এ।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাইডেন কি বিপদে পড়তে যাচ্ছেন!

প্রকাশ: ০৮:৪৬ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বর্বরতা নিয়ে এমনিতেই চাপে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর এটি যে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঘরোয়া ইস্যুতে পরিণত হয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ছয় মাস আগে তাকে আরও বিপাকে ফেলতে পারে, তা বোধ হয় বুঝতে পারেননি তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে যে আওয়াজ উঠেছে তাতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বড় ধরনের রাজনৈতিক বিপদে পড়তে যাচ্ছেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তাদের মতে, আগামী নির্বাচনে এর বড় খেসারত দিতে হতে পারে বাইডেনকে। দেশটিতে চলমান পরিস্থিতির মধ্যে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়ে সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স বলেছেন, ‘বাইডেনের ভিয়েতনাম’ হয়ে উঠতে পারে ইসরায়েল। এদিকে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষগুলো বেশ চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে। শনিবার মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনে বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনপন্থিরা। ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও সমাপনী অনুষ্ঠান চলাকালে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। সামনের দিনগুলোতে ক্যাম্পাস নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতা চলছে দশকের পর দশক ধরে। নিজভূমে পরবাসী হয়ে থাকা ফিলিস্তিনিদের প্রতি মুহূর্তে ইসরায়েলি গোলার মুখে বসবাস করতে হচ্ছে। কিন্তু ৭ অক্টোবরের ঘটনার পর গাজাজুড়ে যে বর্বরতা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী আর যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে তেল আবিবকে মদদ দিয়ে যাচ্ছে, তাতে খোদ ইসরায়েলি বন্ধু রাষ্ট্রগুলোও তাদের পাশ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে। অনেকেই ইসরায়েলে অস্ত্র ও গোলাবারুদ বিক্রি বন্ধ করার ঘোষণা দিচ্ছে।

অনেকেই দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলার ঘোষণাও দিচ্ছে। কিন্তু তাতেও দমছেন না ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেন যদি অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে ইসরায়েলকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখেন, তাহলে নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম সম্প্রদায় তার পাশে থাকবেন না বলে হুমকি দিয়ে রেখেছেন। গত রমজান মাসে হোয়াইট হাউসে বাইডেনের ইফতার পার্টি বর্জন করেন তারা। এর মধ্য দিয়ে তাকে কঠোরভাবে একটি বার্তা দেয় সেখানকার মুসলিম সম্প্রদায়। যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের বেশিরভাগ ভোট বরাবরই ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে যায়। কিন্তু নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুলসংখ্যক সেই মুসলিম ভোট বাইডেন হারাতে যাচ্ছেন বলে ডেমোক্র্যাট শিবিরেই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর সেরকমটা হলে হোয়াইট হাউসে তার দ্বিতীয়বারের মতো যাওয়ার স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই থেকে যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ছাত্র বিক্ষোভ। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যে ছাত্র বিক্ষোভ হয়েছিল দেশটিতে তারপর আর যুদ্ধের বিরোধিতায় সেরকম বড় ছাত্র বিক্ষোভ দেখা যায়নি যুক্তরাষ্ট্রে। সাম্প্রতিক এ বিক্ষোভ এক ধরনের কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে মার্কিন প্রশাসনযন্ত্রে। গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা ও দেশটিকে মার্কিন সহায়তা বন্ধের দাবি দিনের পর দিন আরও জোরালো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে। দেশটির তরুণ ও ছাত্রসম্প্রদায় যারা কিছুদিন আগেও ইসরায়েলের পাশে ছিলেন, তারা এখন দেশটির পাশ থেকে সরে যাচ্ছেন। সাম্প্রতিক বিভিন্ন জরিপেও ইসরায়েলের পাশ থেকে মার্কিন ছাত্রসমাজের সরে যাওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে, যা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে। এ ছাত্র বিক্ষোভ যদি শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে, তাহলে তা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সম্পর্ক নতুন করে ঠিক করে দিতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। এরই মধ্যে বিক্ষোভ দমনে পুলিশকে যেভাবে মারমুখী হতে দেখা গেছে, তা নিয়ে মারাত্মক সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিক্ষোভ দমাতে প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থীকে জেলে পুরে রাখা হয়েছে। ছাত্রদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাইডেন প্রশাসন কঠোর হাতে দমন করছে বলে খোদ ডেমোক্র্যাট শিবিরেই অভিযোগ উঠেছে। ভারমন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স বলেছেন, বাইডেনের ‘ভিয়েতনাম’ হয়ে উঠতে পারে ইসরায়েল। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বাইডেনকে তুলনা করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসনের সঙ্গে, যিনি ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়ে শিক্ষার্থী-বিক্ষোভের জেরে ১৯৬৮ সালে পুনর্নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। স্যান্ডার্স বলেছেন, এবার ইসরায়েল নিয়ে তার অবস্থানের জন্য যুব সম্প্রদায় ও ডেমোক্র্যাটদের বড় অংশের সমর্থন খুইয়ে বাইডেনের হেরে যাওয়ার সম্ভাবনাটাই বেশি।

এদিকে গত বুধবার দাঙ্গা পুলিশ দিয়ে ক্যাম্পাসগুলোর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর আবার কিছু কিছু ক্যাম্পাসে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা সেদিনই বলেছিলেন যে, এটাই শেষ নয়। তারা আবার ক্যাম্পাসে ফিরে আসবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা ও দেশটিকে মার্কিন সহায়তা বন্ধ হয়। শনিবার মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনে বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনপন্থিরা। এদিনের বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল। এখানে পুলিশকে বেশ সংযমী ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। তবে শনিবার শার্লটসভ্যালে ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের সঙ্গে বিবাদে জড়ান বিক্ষোভকারীরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের লনের ওপর দিয়ে টেনে আনতে দেখা যায় পুলিশকে। ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ২৫ বিক্ষোভকারীকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। সামনের দিনগুলোতে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান ঘিরে ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ পরিস্থিতি আরও অশান্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


যুক্তরাষ্ট্র   প্রেসিডেন্ট   জো বাইডেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মোদী ফের প্রধানমন্ত্রী হলে ভারতের সর্বনাশ হবে: কংগ্রেস

প্রকাশ: ০৮:৪৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আবারও নরেন্দ্র মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলে একনায়ক হয়ে দেশকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেবেন। দেশটিতে মানুষের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তা নষ্ট করে ফেলবেন, হিন্দু-মুসলিম লড়াই বাধিয়ে দেবেন বলে দাবি করেছেন জাতীয় কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি ও 'ইন্ডিয়া' জোটের মুখ মল্লিকার্জুন খাড়গে। 

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে ইতিমধ্যে দুই দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ৭ মে তৃতীয় দফায় মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ। তার আগে রোববার (৫ মে) মালদার সুজাপুর হাতিমারি ময়দানে আয়োজিত জনসভায় উত্তর মালদা ও দক্ষিণ মালদা আসনগুলোতে বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম এবং ইশা খান চৌধুরীর সমর্থনে ভাষণ দেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে খাবার খান, তা হজম করার জন্য কংগ্রেসের নামে কু-কথা বলতে হয়। কু-কথা না বললে তার খাবার হজম হয় না।

কংগ্রেস সভাপতি বলেন, কংগ্রেস সরকার মনরেগার ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প তৈরি করেছে, গরিবদের পেট ভরার জন্য ফুড সিকিউরিটি অ্যাক্ট'র মাধ্যমে বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করেছে। নরেন্দ্র মোদী কি এ ধরনের কোনো প্রকল্প দিয়েছেন? আমাদের সরকার শিক্ষা সুরক্ষার জন্য কাজ করছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী ভারতে অশিক্ষার আলো জ্বালাতে চান। গরিবকে আরও গরিব করে রাখতে চান। এ ধরনের মানুষ তিনি।

মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ভাই এবং বোনেরা বলা ছাড়া নরেন্দ্র মোদী দেশের জন্য কিছুই করেননি। এখানে এসে বলেছিলেন, কংগ্রেসের নেতারা বিদেশে বেআইনি অর্থ রেখেছেন, সেই অর্থ আমি সুইস ব্যাংক থেকে আনবো, আর ভারতের প্রত্যেক নাগরিকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ রুপি দেওয়া হবে। কোথায় গেলো সেইসব অর্থ?

এরপর বিজেপি নেতাকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, প্রতি বছর দুই কোটি যুবককে চাকরি দেবো। ১০ বছরে কত চাকরি হওয়ার কথা ছিল? ২০ কোটি। ভারতে বেকার যুবকরা কি ২০ কোটি চাকরি পেয়েছে? পায়নি।

তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদী জনগণকে কখনো সত্যি কথা বলেন না। এ কারণেই বলতে হয়, মোদীজি, আপনি মিথ্যাবাদীদের সর্দার।

ইন্ডিয়া জোটের প্রধান আরও বলেন, এখন নরেন্দ্র মোদী আরও একটি মিথ্যা কথা বলছেন যে, জাতীয় কংগ্রেস জনগণনা প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণের সম্পত্তি ভাগ করে দিতে চায়। আর সেই সম্পত্তি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের দিতে চায়। কিন্তু আমি নরেন্দ্র মোদীকে বলবো, আপনি জেনে রাখুন, ভারতের সংবিধানে রয়েছে, সবার সমান অধিকার। মুসলিমদের যেমন সমান অধিকার, তেমনি হিন্দুদেরও সমান অধিকার। শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান- সবার জন্য সমান অধিকার, যা বাবা সাহেব বিআর আম্বেদকর লিখে গেছেন।

কংগ্রেসের বর্ষীয়ান এ নেতা বলেন, আমরা সবসময় দেশকে একজোট করে রাখতে চাই। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী কখনোই দেশকে একজোট করে রাখতে চান না। কখনো জাতির নামে, কখনো হিন্দু-মুসলিমদের নামে, কখনো নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের নামে দেশকে ভাগাভাগি করতে চান। তিনি আরও একবার প্রধানমন্ত্রী হলে একনায়ক হয়ে দেশকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেবেন। দেশে জাতিগুলোর মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তা নষ্ট করে ফেলবেন, হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে লড়াই বাধিয়ে দেবেন। কিন্তু জাতীয় কংগ্রেস কখনো দেশকে ভাঙতে দেবে না। আমরা সবাই এক হয়ে লড়াই করবো দেশের জন্য।


নরেন্দ্র মোদী   ভারত   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আল জাজিরা বন্ধ করতে ইসরায়েলের সংসদে ভোট

প্রকাশ: ০৮:২২ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা ইসরায়েলে আল জাজিরার কার্যক্রম বন্ধ করার পক্ষে সর্বসম্মতভাবে ভোট দিয়েছে। একটি সরকারি বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। 

চলমান গাজা যুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত বিদেশি টিভি চ্যানেল অস্থায়ীভাবে বন্ধ করার অনুমতি চেয়ে একটি আইন পাস করেছিল ইসরায়েলের সংসদ। এরপরই রবিবার দেশটির মন্ত্রিসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুমোদিত আইন অনুযায়ী নেতানিয়াহু ও নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ৪৫ দিনের জন্য ইসরায়েলে বিদেশি টিভির কার্যালয় বন্ধ করতে পারবে, যা নবায়নযোগ্য। এটি জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত বা গাজায় বড় সামরিক অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত বজায় থাকবে।

নেতানিয়াহু আল জাজিরাকে উস্কানিমূলক গণমাধ্যম বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলে উস্কানিমূলক চ্যানেল আল জাজিরা বন্ধ করে দেওয়া হবে। 


আল জাজিরা   বন্ধ   ইসরায়েল   সংসদ   ভোট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কেনিয়ায় বন্যা, প্রাণহানি বেড়ে ২২৮

প্রকাশ: ০৬:৫০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ২২৮ জনে পৌঁছেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে গত কয়েকদিনে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে বলে রোববার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিপাতে কেনিয়াজুড়ে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে। দেশটিতে মে মাসে আরও খারাপ আবহাওয়া পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

এক বিবৃতিতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বন্যায় আরও নিচু, নদী তীরবর্তী এলাকা ও শহরাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এ সময় খাড়া ঢালু, উঁচু পাহাড় ও গিরিখাত এলাকায় ভূমিধস অথবা কাদা ধস ঘটতে পারে।

বন্যায় পূর্ব আফ্রিকার বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটিতে অনেক বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, সেতু এবং অন্যান্য অবকাঠামো ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈরী আবহাওয়ায় আরও কমপক্ষে ১৬৪ জন আহত ও ২ লাখ ১৩ হাজার ৬৩০ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।


কেনিয়া   বন্যা   প্রাণহানি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনের কয়েক অঞ্চলে রাশিয়ার হামলা

প্রকাশ: ০৬:৩৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেনের খারকিভ ও দিনপ্রো ও ওডিশায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ হামলা দুইজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং একটি খাদ্য কারখানায় আগুন ধরে যায়। তাছাড়া বেশ কিছু বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনের পাশাপাশি অন্যান্য অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, হামলায় বিভিন্ন ধরনের আটটি ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রায় ৭০টি গাইডেড এরিয়াল বোম ব্যবহার করা হয়েছে।

এর আগে ইউক্রেনের এয়ার ফোর্স খারকিভ ও দিনপ্রো লক্ষ্য করে ছোড়া ১৩টি শাহেদ ড্রোন ভূপাতিত করে।

সম্প্রতি ইউক্রেনের জন্য সহায়তা বিল পাস হয়েছে মার্কিন সিনেটে। এরপরই কিয়েভের বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া।


ইউক্রেন   রাশিয়া   হামলা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন