নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৩ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এখনও আট মাস বাকি। চূড়ান্ত সেই নির্বাচনের আগে এখন চলছে আরেক নির্বাচন অর্থাৎ প্রার্থী বাছাই। রিপাবলিকান দল থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনয়ন পাওয়াটা নিশ্চিতই বলা চলে। কিন্তু ডেমোক্রেটিক দলের মনোনয়নের পাবার জন্য লড়ছেন ১১ জন প্রার্থী। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হটানোর চূড়ান্ত যুদ্ধের আগে এই প্রার্থীদের নিজেদের মধ্যে চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা।
শুরুতে জো বাইডেনকে ডেমোক্রেটিকদের সম্ভাব্য প্রার্থী ভাবা হলেও ককাসে তার ফল তেমন একটা ভালো না। বাইডেনের চেয়ে বরং অনেকটাই এগিয়ে গেছেন বার্নি স্যান্ডার্স। ভ্যাম্পায়ার উইকেন্ড ও দ্য স্ট্রোকস’র মতো ব্র্যান্ডগুলোর জন্য ভারমন্টের সিনেটর স্যান্ডার্স খুব পছন্দের নন। কিন্তু উভয় কোম্পানিই তার সাম্প্রতিক সমাবেশে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এক ডজনের বেশি অঙ্গরাজ্যে একের পর এক চলবে তাদের প্রচারণা। মাত্র কয়েকদিন আগে হার্ট অ্যাটাকে চিকিৎসা করে প্রচারণায় যোগ দেওয়া এই প্রবীণ রাজনীতিবিদের জন্য এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ।
ডেমোক্র্যাটদের বিতর্কিত আইওয়া ককাসে ইন্ডিয়ানার সাউথ বেন্ডের সাবেক মেয়র পিটি বুটিগিয়েগ দাবি করেছেন ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনের বেশিরভাগ প্রতিনিধিরা তাকে সমর্থন করেছেন। কিন্তু স্যান্ডার্স তার থেকে কয়েক হাজার বেশি ভোট পেয়েছেন। নিউ হ্যাম্পশায়ারে আবারও বুটিগিয়েগের চেয়ে সামান্য এগিয়ে ছিলেন তিনি। অঙ্গরাজ্যটি প্রতিনিধিদের ভোটে উভয়েই ছিলেন সমান সমান।
চার বছরে আগেও স্যান্ডার্স আইওয়াতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর নিউ হ্যাম্পশায়ারে জয় পেয়েছিলেন। ওই জয় ছিল আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। ডেমোক্র্যাটদের হট ফেভারিট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের চেয়ে তিনি ২০ পয়েন্ট এগিয়ে ছিলেন।
২০১৬ সালে নিউ হ্যাম্পশায়ারে স্যান্ডার্সের জয় শেষ পর্যন্ত হেরে যাওয়া প্রার্থীর সবচেয়ে ভালো জয় হিসেবেই থেকেছে। নিউ ইংল্যান্ডের বড় জয় পেলেও নেভাদাতে অল্পের জন্য তিনি হেরে যান। ডেমোক্র্যাটদের ভোট ব্যাংক বলে পরিচিত সাউথ ক্যারোলিনাতে হেরে যান বড় ব্যবধানে। এবারের নির্বাচনে নতুন করে ফিরে এসেছেন স্যান্ডার্স। এবার আর তার সামনে ক্লিনটন মেশিন নেই। এমনকি নিউ হ্যাম্পশায়ারে জয় পাওয়ার পর নিজের পায়ে নিচের মাটি আরও শক্ত হয়েছে তার।
২০১৯ সাল থেকেই ডেমোক্র্যাটদের হট ফেভারিট প্রার্থী ছিলেন সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট জো বিডেন। প্রথম দুটি মনোনয়ন লড়াইয়ে তার ফল খুব খারাপ। লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের পছন্দের প্রার্থী এলিজাবেথ ওয়ারেন দুই অঙ্গরাজ্যেই স্যান্ডার্সের পেছনে ছিলেন। এই দুজনের সামনে কাতারে এগিয়ে আসার মতো কোনও লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।
২০২০ নির্বাচনে ডেমোক্রেট শিবিরের আরেক ঘোড়া আর বুটিগিয়েগ। তার সম্পর্কে বিশ্লেষকরা বলছেন, বুটিগিয়েগের সম্পদ আছে কিন্তু তার রাজনৈতিক জীবন খুব বর্ণাঢ্য নয়। তাই তার সম্ভাবনা কম। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের ধনকুবের থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে যাওয়ার জীবন্ত উদাহরণ যখন চোখের সামনেই আছে তখন এসব কথাকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন বুটিগিয়েগের সমর্থকরা।
অন্যদিকে নিউ হ্যাম্পশায়ারে আলোচনায় এসে মিডিয়া কভারেজ পাচ্ছেন অ্যামি ক্লোবুচার। তবে অনেক দেরিতে আলোচনায় আসার কারণে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তার নির্বাচনি প্রচারণা চালিয়ে যাওয়ার মতো সক্ষম জাতীয় সংগঠন নেই। ফলে চূড়ান্ত প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে তিনি কিছুটা পিছিয়েই আছেন।
নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আরেক শক্তিমান প্রার্থী নিউ ইয়র্কের সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ। তিনি এখনো ডেমোক্র্যাট দলের প্রাইমারিতে অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামেননি; কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রচারণায় ইতিমধ্যে প্রায় ৩৫ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ট্রাম্পকে হারাতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করতে প্রস্তুত আছেন। তার প্রচারণা কৌশল কাজ করছে। কারণ ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে টুইটারে বাগযুদ্ধে জড়িয়ে গেছেন তিনি। এরই মধ্যে খবর এসেছে যে—ব্লুমবার্গ সাবেক ফার্স্ট লেডি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে তার রানিংমেট করার চিন্তাভাবনা করছেন। কারণ ব্লুমবার্গের অভ্যন্তরীণ জরিপ বলছে, এই জুটি হলে তা দুর্ধর্ষ শক্তির হবে। যদিও হিলারি স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি এখন রাজনীতির মানুষ নন। তবে হিলারি ভক্তরা আশা করতেই কারণ রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার ছাত্র আন্দোলন গাঁজায় গণহত্যা ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
মন্তব্য করুন
কানাডা প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো
মন্তব্য করুন
হলিউড সিনেমাতে হরহামেশাই আমরা দেখে থাকি, অস্ত্র চালনা কিংবা হ্যান্ড টু হ্যান্ড কমব্যাট, যুদ্ধক্ষেত্রে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রোবট। কখনো মানুষের পক্ষে কখনো মানুষের বিপক্ষে বিরাট রোবট বাহিনী। এবার সিনেমাতে নয়, বাস্তবেই যুদ্ধের ময়দানে দেখা যাচ্ছে রোবট। সিনেমায় দেখানো রোবটের মতো এত উন্নত প্রযুক্তির না হলেও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে দেখা যাচ্ছে কিলার রোবটের ব্যবহার।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অধ্যাপক টোবি ওয়ালশ বলেন, কিলার রোবট শুনলে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির মুভিতে দেখা রোবটের কথা মনে হয়৷ কিন্তু সমস্যা হলো, এগুলো এখন বাস্তবে হচ্ছে৷ এগুলো টার্মিনেটর রোবট নয়৷ এগুলো একধরনের ড্রোন যার ব্যবহার আমরা ইউক্রেন যুদ্ধে দেখতে পাচ্ছি৷ এসব ড্রোনকে মানুষের চেয়ে কম্পিউটার দিয়ে নিয়ন্ত্রণের পরিমাণ বাড়ছে৷
ট্যাঙ্ক, পরিখায় সৈন্য- ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার শুরুতে আমরা এমনটা দেখেছিলাম৷ কিন্তু পরবর্তীতে দুই পক্ষই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার শুরু করে৷ যেমন বায়রাক্তার ড্রোন৷ একেকটির দাম ১১ মিলিয়ন ইউরোর বেশি৷
জার্মান প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. গারি শাল বলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার কাছে থাকা অনেক অস্ত্রকে পরবর্তীতে এআই-সমৃদ্ধ করা হয়েছে৷ ফলে যুদ্ধে পরিবর্তন এসেছে৷ যেমন রাশিয়াকে আমরা এআই-সমৃদ্ধ গ্লাইড বোমা ব্যবহার করতে দেখেছি৷ আর ইউক্রেনের এআই-সমৃদ্ধ অস্ত্রের মধ্যে আছে ড্রোন৷ যুদ্ধের প্রথম কয়েক মাসে ইউক্রেন যে কার্যকর ও সফল ছিল, তার কারণ ছিল তারা পরিস্থিতি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছিল৷
সামরিক সংঘাত মানে হলো, তথ্য সংগ্রহ ও সেগুলোর অর্থ বুঝতে পারা৷ কত দ্রুত সেটা করা যাচ্ছে তাও গুরুত্বপূর্ণ৷ এআই সেটা করতে পারে ও সিদ্ধান্ত নিতে পারে৷
মিউনিখের বুন্ডেসভেয়ার ইউনিভার্সিটির আক্সেল শুলটে বলেন, এখন অনেক কিছু স্বয়ংক্রিয় হয়ে যাওয়ায় মানুষ ও যন্ত্রের মধ্যে শ্রম বিভাজন করতে গিয়ে আমাদের সতর্কতার সঙ্গে ভাবতে হবে৷ মানুষের উদ্দেশ্য আছে, যন্ত্রের নেই৷ আমরা এসব যন্ত্রকে, এসব স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাকে, হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করি৷
কিন্তু ড্রোন কি হিউম্যানয়েড কিলার রোবট বা টার্মিনেটর হতে পারে? আক্সেল শুলটে বলেন, টার্মিনেটর? না সেটা সম্ভব না৷ আমরা এখনো প্রযুক্তিগতভাবে অতদূর এগোইনি৷ হ্যাঁ, ইউটিউবে আমরা বস্টন ডাইনামিক্সের দারুন সব ভিডিও দেখি বটে৷ আমরা দেখি, গতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এসব যন্ত্রের দক্ষতা বেশ ভালো৷ তারা ডিগবাজি বা সে রকম কিছু দিতে পারে৷ কিন্তু এর মানে এই নয় যে, সেগুলো বিপজ্জনক কিলার রোবট হয়ে গেছে৷
২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী সামরিক ব্যয় দুই ট্রিলিয়ন ইউরো ছাড়িয়ে গেছে- যা একটি রেকর্ড৷ ৭৫০ বিলিয়ন ইউরো খরচ করে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ তবে চীনও কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছে৷ ২০২২ সালে রাশিয়া তার সামরিক বাজেট নয় শতাংশ বাড়িয়েছিল৷
জার্মান প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. গারি শাল বলেন, যদি আপনার এমন বাহিনী থাকে যেটা এআই ব্যবহার করে, তাহলে, অন্য যারা এআই ব্যবহার করে না, তাদের চেয়ে আপনার কৌশল ভিন্ন হবে৷ এটা শুধু যন্ত্রের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ঢোকানোর বিষয় নয়৷ এটা পুরো ব্যবস্থা পরিবর্তনের বিষয়: প্রশিক্ষণ, কৌশল, সংগঠন সবক্ষেত্রে৷
স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র তৈরিতে কাজ করছে পৃথিবীর প্রায় ৬০টি দেশ। শান্তিপূর্ণ প্রয়োজনে রোবট বানাচ্ছে তারা। তবে এসকল রোবট বা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের দিকে ঝুঁকলে নিঃসন্দেহে তা হবে ভয়ংকর।
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি)তদন্তের বিরোধিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে এ আদালতের দেওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সমর্থন করেছে। মস্কো ওয়াশিংটনের এই আচরণকে ‘কপট’ উল্লেখ করে বলেছে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের ভণ্ডামি।
আইসিসি যুদ্ধাপরাধের দায়ে ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করার পাশাপাশি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও গণহত্যার তদন্ত করতে পারে। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা ও সাত মাস ধরে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার তদন্ত করছে সংস্থাটি।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ–পিয়েরে গত সোমবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্ত সমর্থন করে না । এ ছাড়া এই বিষয়ে আদালতের এখতিয়ারের বিষয়টিতেও বিশ্বাস করে না তারা। তবে এর আগে গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি ছিল ন্যায়সংগত। ইউক্রেনে কথিত রুশ যুদ্ধাপরাধের বিবরণ আইসিসির কাছে তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মস্কো বলেছে, পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতার পরোয়ানা জারি করা পশ্চিমাদের অর্থহীন প্রয়াস। এর মধ্য দিয়ে তারা রাশিয়ার সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। তারা ইউক্রেনে কোনো যুদ্ধাপরাধ করেনি। তবে ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়া যুদ্ধাপরাধ করেছে। রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেন যে অপরাধ করেছে, তা এড়িয়ে গেছে পশ্চিমারা। তবে কিয়েভ এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা টেলিগ্রামে করা এক পোস্টে বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আইসিসির দেওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা পুরোপুরি সমর্থন করে ওয়াশিংটন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদের ও তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্তের বৈধতা স্বীকার করতে চাইছে না। জাখারোভা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থান কপটতার শামিল।
রাশিয়া আইসিসির সদস্যদেশ নয়। ইসরায়েলও এর সদস্য নয়। তবে ২০১৫ সালে ফিলিস্তিন আইসিসির সদস্য হয়। গত শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, আইসিসির কোনো সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের কার্যক্রমের ওপর প্রভাব ফেলবে না; কিন্তু বিপজ্জনক একটি উদাহরণ তৈরি করবে। ইসরায়েলের কর্মকর্তারা অবশ্য আইসিসির আদেশ নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে। তাঁদের ধারণা, আইসিসির পক্ষ থেকে গাজায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে নেতানিয়াহু ও ইসরায়েলে অন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হতে পারে। একই সঙ্গে হামাস নেতাদের বিরুদ্ধেও এ পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত সাড়ে ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে নির্বিচার হামলা ও হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত এক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক ধরপাকড় চালাচ্ছে মার্কিন পুলিশ প্রশাসন। সবশেষ যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং নিউইয়র্কের সিটি কলেজ ক্যাম্পাসে রাতের আঁধারে পরিচালিত হয়েছে পুলিশি অভিযান। এ অভিযানে ক্যাম্পাস দুটি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শতাধিক ফিলিস্তিন সমর্থকারীকে।
হলিউড সিনেমাতে হরহামেশাই আমরা দেখে থাকি, অস্ত্র চালনা কিংবা হ্যান্ড টু হ্যান্ড কমব্যাট, যুদ্ধক্ষেত্রে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রোবট। কখনো মানুষের পক্ষে কখনো মানুষের বিপক্ষে বিরাট রোবট বাহিনী। এবার সিনেমাতে নয়, বাস্তবেই যুদ্ধের ময়দানে দেখা যাচ্ছে রোবট। সিনেমায় দেখানো রোবটের মতো এত উন্নত প্রযুক্তির না হলেও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে দেখা যাচ্ছে কিলার রোবটের ব্যবহার।