নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:২৬ পিএম, ১৩ জুলাই, ২০১৭
বর্তমানের নেতৃত্ব সংকটে ভুগছে বিশ্ব। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অদূরদর্শী নীতিমালার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ভরসা রাখতে পারছে না অন্য দেশগুলো। বিশ্বে মুক্তবাণিজ্যের যে জোয়ার তৈরি হচ্ছিল তা ট্রাম্পের বাণিজ্য সংরক্ষণ নীতি ও ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে হুমকির মুখে। বিশ্ব নেতৃত্বের জন্য চীন ও জার্মানির দিকে তাকিয়ে আছি সবাই।
জার্মানি ইউরোপ মহাদেশের অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ একটি দেশ। গত বছরে তাঁদের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ছিল ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। রপ্তানী নির্ভর অর্থনীতির দেশটিতে বেকারত্বের হার ৪ শতাংশেরও কম। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়াও অন্যান্য দেশে জার্মানির পণ্যের চাহিদা রয়েছে। চীন, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র একত্রে জার্মানি থেকে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ পণ্য আমদানি করে। দিনে দিনে জার্মানির সঞ্চয় বেড়ে চলেছে।
সম্প্রতি জি ২০ সম্মেলনে জার্মানি বিশ্বজুড়ে জাগ্র্রত বাণিজ্যে সংরক্ষণশীলতা ও পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। শক্তিধর দেশগুলোকে চাপ দেয় মুক্তবাণিজ্যকে টিকিয়ে রাখতে। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জলবায়ু চুক্তি প্রত্যাহারের সমালোচনা করেন এবং অঙ্গীকার করেন এ চুক্তিতে জার্মানী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে। পাশে মিত্র হিসেবে পান ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁকে।
সামরিক শক্তিতেও জার্মানি এগিয়ে রয়েছে। আফগানিস্তানে নিজেদের সেনা পাঠিয়েছে তাঁরা। মালি ও লিথুয়ানিয়াতেও নতুন সেনাঘাঁটি স্থাপন করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ইউরোপকে ঘুরে দাঁড়াতে মার্শাল প্ল্যান তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্র। জার্মানিও মার্কিন পদাঙ্ক অনুসরণ করে বর্তমান শরণার্থী মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিয়েছে একদম গোঁড়া থেকে। পশ্চিম আফ্রিকায় উগ্রপন্থী দল বোকো হারামকে প্রতিহত করতে সেখানে অর্থ বিনিয়োগ করছে তাঁরা।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জার্মানির ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না। আকারে ছোট এ দেশ সামরিক দিক থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় শক্তিশালী নয়। এখনো তাঁদেরকে সামরিক দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করতে হয়। জার্মানির অর্থনীতিও বাণিজ্য নির্ভর এবং বহুপাক্ষিক চুক্তির ওপর তাঁদের বেশি নির্ভর করতে হয়।
তবে এতো সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও নেতৃত্বের প্রশ্নে এগিয়ে রয়েছে জার্মানি। অর্থনীতিতে তাঁদের মিতব্যয়ী নীতি সমালোচনায় এসেছে। সারাবিশ্ব থেকে পরামর্শ আসছে তাঁরা যেন খরচের দিকে ঝুঁকে। আইএমএফ জার্মানিকে বেশি বেশি বিনিয়োগ করার অনুরোধ জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও তাঁদের অনুরোধ করেছে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যেমন, ইতালি ও গ্রিসকে যেন সাহায্য করতে এগিয়ে আসে।
নতুন বিশ্বব্যবস্থায় মুক্তবাণিজ্য ও পরিবেশকে রক্ষার দায়িত্বে জার্মানি নেতৃত্ব নিতে না পারলেও সমঝোতার ক্ষেত্রে প্রভাবশালী মধ্যস্থাকারীর ভূমিকা পালন করতে পারে। এতে সাম্প্রতিক সংকট দূর করা সহজ হবে।
বাংলা ইনসাইডার/আরএইচবি
মন্তব্য করুন
আবারও নরেন্দ্র মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলে একনায়ক হয়ে দেশকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেবেন। দেশটিতে মানুষের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তা নষ্ট করে ফেলবেন, হিন্দু-মুসলিম লড়াই বাধিয়ে দেবেন বলে দাবি করেছেন জাতীয় কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি ও 'ইন্ডিয়া' জোটের মুখ মল্লিকার্জুন খাড়গে।
ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে ইতিমধ্যে দুই দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ৭ মে তৃতীয় দফায় মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ। তার আগে রোববার (৫ মে) মালদার সুজাপুর হাতিমারি ময়দানে আয়োজিত জনসভায় উত্তর মালদা ও দক্ষিণ মালদা আসনগুলোতে বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম এবং ইশা খান চৌধুরীর সমর্থনে ভাষণ দেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে খাবার খান, তা হজম করার জন্য কংগ্রেসের নামে কু-কথা বলতে হয়। কু-কথা না বললে তার খাবার হজম হয় না।
কংগ্রেস সভাপতি বলেন, কংগ্রেস সরকার মনরেগার ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প তৈরি করেছে, গরিবদের পেট ভরার জন্য ফুড সিকিউরিটি অ্যাক্ট'র মাধ্যমে বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করেছে। নরেন্দ্র মোদী কি এ ধরনের কোনো প্রকল্প দিয়েছেন? আমাদের সরকার শিক্ষা সুরক্ষার জন্য কাজ করছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী ভারতে অশিক্ষার আলো জ্বালাতে চান। গরিবকে আরও গরিব করে রাখতে চান। এ ধরনের মানুষ তিনি।
মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ভাই এবং বোনেরা বলা ছাড়া নরেন্দ্র মোদী দেশের জন্য কিছুই করেননি। এখানে এসে বলেছিলেন, কংগ্রেসের নেতারা বিদেশে বেআইনি অর্থ রেখেছেন, সেই অর্থ আমি সুইস ব্যাংক থেকে আনবো, আর ভারতের প্রত্যেক নাগরিকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ রুপি দেওয়া হবে। কোথায় গেলো সেইসব অর্থ?
এরপর বিজেপি নেতাকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, প্রতি বছর দুই কোটি যুবককে চাকরি দেবো। ১০ বছরে কত চাকরি হওয়ার কথা ছিল? ২০ কোটি। ভারতে বেকার যুবকরা কি ২০ কোটি চাকরি পেয়েছে? পায়নি।
তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদী জনগণকে কখনো সত্যি কথা বলেন না। এ কারণেই বলতে হয়, মোদীজি, আপনি মিথ্যাবাদীদের সর্দার।
ইন্ডিয়া জোটের প্রধান আরও বলেন, এখন নরেন্দ্র মোদী আরও একটি মিথ্যা কথা বলছেন যে, জাতীয় কংগ্রেস জনগণনা প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণের সম্পত্তি ভাগ করে দিতে চায়। আর সেই সম্পত্তি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের দিতে চায়। কিন্তু আমি নরেন্দ্র মোদীকে বলবো, আপনি জেনে রাখুন, ভারতের সংবিধানে রয়েছে, সবার সমান অধিকার। মুসলিমদের যেমন সমান অধিকার, তেমনি হিন্দুদেরও সমান অধিকার। শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান- সবার জন্য সমান অধিকার, যা বাবা সাহেব বিআর আম্বেদকর লিখে গেছেন।
কংগ্রেসের বর্ষীয়ান এ নেতা বলেন, আমরা সবসময় দেশকে একজোট করে রাখতে চাই। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী কখনোই দেশকে একজোট করে রাখতে চান না। কখনো জাতির নামে, কখনো হিন্দু-মুসলিমদের নামে, কখনো নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের নামে দেশকে ভাগাভাগি করতে চান। তিনি আরও একবার প্রধানমন্ত্রী হলে একনায়ক হয়ে দেশকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেবেন। দেশে জাতিগুলোর মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তা নষ্ট করে ফেলবেন, হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে লড়াই বাধিয়ে দেবেন। কিন্তু জাতীয় কংগ্রেস কখনো দেশকে ভাঙতে দেবে না। আমরা সবাই এক হয়ে লড়াই করবো দেশের জন্য।
নরেন্দ্র মোদী ভারত প্রধানমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা ইসরায়েলে আল জাজিরার কার্যক্রম বন্ধ করার পক্ষে সর্বসম্মতভাবে ভোট দিয়েছে। একটি সরকারি বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
চলমান গাজা যুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত বিদেশি টিভি চ্যানেল অস্থায়ীভাবে বন্ধ করার অনুমতি চেয়ে একটি আইন পাস করেছিল ইসরায়েলের সংসদ। এরপরই রবিবার দেশটির মন্ত্রিসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুমোদিত আইন অনুযায়ী নেতানিয়াহু ও নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ৪৫ দিনের জন্য ইসরায়েলে বিদেশি টিভির কার্যালয় বন্ধ করতে পারবে, যা নবায়নযোগ্য। এটি জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত বা গাজায় বড় সামরিক অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত বজায় থাকবে।
নেতানিয়াহু আল জাজিরাকে উস্কানিমূলক গণমাধ্যম বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলে উস্কানিমূলক চ্যানেল আল জাজিরা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
আল জাজিরা বন্ধ ইসরায়েল সংসদ ভোট
মন্তব্য করুন
পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ২২৮ জনে পৌঁছেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে গত কয়েকদিনে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে বলে রোববার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিপাতে কেনিয়াজুড়ে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে। দেশটিতে মে মাসে আরও খারাপ আবহাওয়া পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এক বিবৃতিতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বন্যায় আরও নিচু, নদী তীরবর্তী এলাকা ও শহরাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এ সময় খাড়া ঢালু, উঁচু পাহাড় ও গিরিখাত এলাকায় ভূমিধস অথবা কাদা ধস ঘটতে পারে।
বন্যায় পূর্ব আফ্রিকার বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটিতে অনেক বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, সেতু এবং অন্যান্য অবকাঠামো ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈরী আবহাওয়ায় আরও কমপক্ষে ১৬৪ জন আহত ও ২ লাখ ১৩ হাজার ৬৩০ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন
ইউক্রেনের খারকিভ ও দিনপ্রো ও ওডিশায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ হামলা দুইজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং একটি খাদ্য কারখানায় আগুন ধরে যায়। তাছাড়া বেশ কিছু বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনের পাশাপাশি অন্যান্য অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, হামলায় বিভিন্ন ধরনের আটটি ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রায় ৭০টি গাইডেড এরিয়াল বোম ব্যবহার করা হয়েছে।
এর আগে ইউক্রেনের এয়ার ফোর্স খারকিভ ও দিনপ্রো লক্ষ্য করে ছোড়া ১৩টি শাহেদ ড্রোন ভূপাতিত করে।
সম্প্রতি ইউক্রেনের জন্য সহায়তা বিল পাস হয়েছে মার্কিন সিনেটে। এরপরই কিয়েভের বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া।
মন্তব্য করুন
নিউইয়র্ক বাংলাদেশি হত্যা উইন রোজারিও
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা ইসরায়েলে আল জাজিরার কার্যক্রম বন্ধ করার পক্ষে সর্বসম্মতভাবে ভোট দিয়েছে। একটি সরকারি বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। চলমান গাজা যুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত বিদেশি টিভি চ্যানেল অস্থায়ীভাবে বন্ধ করার অনুমতি চেয়ে একটি আইন পাস করেছিল ইসরায়েলের সংসদ। এরপরই রবিবার দেশটির মন্ত্রিসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইউক্রেনের খারকিভ ও দিনপ্রো ও ওডিশায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ হামলা দুইজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং একটি খাদ্য কারখানায় আগুন ধরে যায়। তাছাড়া বেশ কিছু বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনের পাশাপাশি অন্যান্য অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, হামলায় বিভিন্ন ধরনের আটটি ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রায় ৭০টি গাইডেড এরিয়াল বোম ব্যবহার করা হয়েছে।