ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নতুন রোগীর বিশ্বরেকর্ড, করোনায় দিশেহারা ভারত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ০৬ মে, ২০২১


Thumbnail

করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ খুব ভালো মতোই ভোগাচ্ছে ভারতকে। এবার করোনা শনাক্তে বিশ্বরেকর্ড গড়েছে তারা। এর ফলে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভারত। কেন্দ্রীয় সরকার তো বটেই ভারতের রাজ্য সরকারগুলোও করোনায় তাদের অসাহত্ব প্রকাশ করছে। অক্সিজেনে সংকট, ওষুধের সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। কোনো ভাবেই ঠাকানো যাচ্ছে না করোনা শনাক্ত বা মৃত্যুর সংখ্যা। এরই মধ্যে গত কিছু দিন ধরে দিল্লেতে লকডাউন চলছে। কিন্তু লকডাউনের কোনো প্রভাব দেখা যায় নি করোনা শনাক্ত বা মৃত্যুর সংখ্যা দেখে। এছাড়াও মহারাষ্ট্রে, উত্তর প্রদেশ, কর্ণাটক, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং তামিলনাড়ুর অবস্থা অনেক বেশি খারাপ। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রেই করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৯২০ জন। এই পরিস্থিতিতে কি করা হবে বা কি করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসবে সে নিয়ে চিন্তায় ভারত সরকার।

বুধবার দেশটিতে আক্রান্ত-মৃত্যুর নতুন রেকর্ড গড়েছে। এদিন সেখানে নতুন করে ৪ লাখ ১২ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন, যা এর আগের সর্বোচ্চ রেকর্ডের চেয়ে অন্তত ১০ হাজার বেশি। এছাড়া মারা গেছেন প্রায় চার হাজার রোগী।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর অনুসারে, বুধবার ভারতে নতুন করে ৪ লাখ ১২ হাজার ৭৮৪ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন, যা গোটা বিশ্বের মধ্যে কোনো দেশে একদিনে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্তের রেকর্ড। এর আগের রেকর্ডটিও অবশ্য ভারতেরই ছিল। গত ৩০ এপ্রিল বিশ্বে প্রথমবারের মতো একদিনে চার লক্ষাধিক রোগী শনাক্ত হয়েছিল সেখানে।

আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, ভারতে গত কয়েকদিন ধারাবাহিকভাবে করোনা টেস্টের সংখ্যা কমা সত্ত্বেও বুধবার সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে গত ৩০ এপ্রিল রেকর্ড রোগী শনাক্তের দিন সর্বোচ্চ ১৯ লাখ ৪০ হাজার নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল। কিন্তু গত সোমবার এর পরিমাণ প্রায় তিন লাখ কমে দাঁড়ায় ১৬ লাখ ৬০ হাজারে। আর গত মঙ্গলবার তা কমে হয়েছে ১৫ লাখ ৪০ হাজার।

ফলশ্রুতিতে গত তিনদিনে টেস্টে পজিটিভ শনাক্তের হার (টিপিআর) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ, যা গত সপ্তাহের একই তিনদিনের তুলনায় অন্তত দুই শতাংশ পয়েন্ট বেশি। কোনো অঞ্চলে টিপিআর বেড়ে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে, সেখানে সংক্রমণের হার অনেক বেশি এবং এ থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, ওই অঞ্চলে পর্যাপ্ত পরীক্ষার অভাবে অনেক রোগী অশনাক্ত থেকে যাচ্ছেন।

বুধবার ভারতে করোনায় মারা গেছেন অন্তত ৩ হাজার ৯৮০ জন। এদিন দেশটির পাঁচটি রাজ্যে একদিনে রেকর্ড মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে উত্তর প্রদেশে মারা গেছেন ৩৫৭ জন, কর্ণাটকে ৩৪৬ জন, পাঞ্জাবে ১৮২ জন, হরিয়ানায় ১৮১ জন এবং তামিলনাড়ুতে ১৬৭ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৯২০ জন।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় এই রাজ্যটিতে গত এক দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ হাজার ৬৪০ জন। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে সেখানে মারা গেছেন ৯২০ জন।

এই হিসেবে মহারাষ্ট্রের পরই আছে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটক। গত ২৪ ঘণ্টায় ওই রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত নতুন ররোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৫০ হাজার ১১২তে, আর এই সময়সীমার মধ্যে সেখানে মারা গেছেন ৩৪৬ জন।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভাইরাসটির অব্যাহত রূপ পরিবর্তনের কারণে দ্রুততম সময়ে করোনার টিকার আধুনিকায়নের বিকল্প নেই বলে মত ড. বিজয়রাঘবনের।

এ অবস্থায় বুধবার সরকারিভাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ড. বিজয়রাঘবন বলেন, ‘যে হারে ভাইরাসের বিস্তার বাড়ছে, তাতে থার্ড ওয়েভ অবধারিত। কিন্তু মহামারির তৃতীয় ধাক্কাটি ঠিক কখন আঘাত করবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আশা করছি যে থার্ড ওয়েভের আগেই যথাযথ প্রস্তুতি আমরা নিতে পারব। এজন্য টিকার আধুনিকায়নের কাজও চলছে।’

বৈশ্বিক মহামারির এ পর্যায়ে দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ভারত সরকার। গত এক সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে যত মানুষের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, তার অর্ধেকই ভারতে- জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

সংস্থাটির মহামারিবিষয়ক সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এক সপ্তাহে বিশ্বে করোনায় প্রাণহানির প্রায় ২৫ শতাংশ ঘটেছে ভারতে।

ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে করোনার টেস্ট কিট, ওষুধ, অক্সিজেনসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জামের। রোগীর বিপরীতে স্বাস্থ্য খাতে দেখা দিয়েছে ব্যাপক লোকবল সংকট।

হাসপাতালে বেডের অপেক্ষায় থাকতে থাকতে অ্যাম্বুলেন্স ও গাড়ি পার্কিং এলাকায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন অনেক মানুষ। মহামারির সেকেন্ড ওয়েভের দাপটে মৃত্যুর মিছিল কল্পনাতীতভাবে বাড়তে থাকায় মরদেহের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে বিভিন্ন শ্মশান ও কবরস্থানের কর্তৃপক্ষ।

স্বাস্থ্যবিদরা মহামারির দ্বিতীয় ধাক্কার পূর্বাভাস দেয়া সত্ত্বেও পরিস্থিতির ভয়াবহতা উপেক্ষা করার অভিযোগে সমালোচনার ঝড়ের মুখে পড়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের মাসব্যাপী ভোট গ্রহণ ও তার আগের দীর্ঘ প্রচারণা এবং কুম্ভমেলায় কোটি মানুষের সমাগমের ফলে ভারতে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে করোনার বিস্তার বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিস্তিনিদের ধাওয়ায় দৌড়ে পালালেন জার্মান রাষ্ট্রদূত

প্রকাশ: ০৯:১১ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনিদের ধাওয়ায় দৌড়ে পালালেন জার্মান রাষ্ট্রদূত ওলিভার ওকজা। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভিডিও। পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিন জাদুঘর পরিদর্শনে গিয়ে এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হন জার্মান রাষ্ট্রদূত।

ভিডিওতে দেখা গেছে, স্যুট-কোট পরিহিত এক ব্যক্তি জনরোষ থেকে বাঁচতে দৌড়ে পালাচ্ছেন। তিনি আর কেউ নন, ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ওলিভার ওকজা।

মঙ্গলবার পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিন জাদুঘর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি। এ সময় জনরোষে পড়েন তিনি। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জার্মান রাষ্ট্রদূত প্রাণভয়ে দৌড়াচ্ছেন। এ সময় তার পেছনে বেশ কয়েকজন বিক্ষুব্ধ যুবক ছুটে আসছে।

জনরোষ থেকে বাঁচতে দৌড়ে নিজের গাড়িতে আশ্রয় নেন জার্মান দূত। গাড়িতে ওঠার পর তার গাড়িকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে। ওই সময় ‘গুলির শব্দও’ শোনা যায়।

এদিকে এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট লিখেছেন ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ওলিভার ওকজা। তিনি লিখেছেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও সংলাপের জায়গা সব সময় থাকে। তবে বিরজেতের জাতীয় জাদুঘরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিশনপ্রধানদের বৈঠকটি প্রতিবাদকারীদের জন্য বাধাগ্রস্ত হওয়ায় আমরা দুঃখিত।
তবুও, আমরা আমাদের ফিলিস্তিনি অংশীদারদের সঙ্গে গঠনমূলক কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

গেল বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় গাজার স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী। ওইদিন থেকেই গোষ্ঠীটিকে নির্মূলের নামে গাজায় গণহত্যা শুরু করে তেল আবিব।

৭ অক্টোবরের ওই হামলার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দেখা করতে ও ইসরায়েলিদের প্রতি সংহতি জানাতে সরাসরি দেশটিতে ছুটে যান জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ। এ ছাড়া ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকা গণহত্যার যে অভিযোগ এনেছে, সেটির বিরুদ্ধেও লড়ার ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। ফলে, দেশটির ওপর তীব্র ঘৃণা ও ক্ষোভ থেকে রাষ্ট্রদূতকে ধাওয়া দিল ফিলিস্তিনি তরুণরা।

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ধসে পড়েছে শত শত ভবন। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে প্রায় ১০ হাজার মরদেহ পচে যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।


ফিলিস্তিন   জার্মান   রাষ্ট্রদূত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে মধ্যরাতে উত্তাল জর্ডান

প্রকাশ: ০৯:০৪ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

জর্ডানে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে আবারও বিক্ষোভ করেছে হাজারো মানুষ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাতে আম্মানে এ বিক্ষোভ হয়।

ফিলিস্তিনি মিডিয়ার বরাতে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা ইরনা জানায়, গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে হামলা বন্ধে মধ্যরাতে উত্তাল হয়ে উঠে আম্মান। বিক্ষোভকারীরা তেলআবিবের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি জানায়।

বিক্ষোভকারীরা জানান, তারা গাজা উপত্যকার নিপীড়িত জনগণের পক্ষে। ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক সংঘটিত অপরাধের বিরুদ্ধে তারা নিন্দা জানান। ইসরায়েলকে এখনই থামাতে হবে। এ বর্বরতা চলতে থাকায় তারা মানসিক যন্ত্রণায় ঘরে শান্তিতে ঘুমাতে পারছেন না। বিবেকের তাড়নায় মধ্যরাতে রাস্তায় নেমে এসেছেন।

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আম্মান সফর করছেন। তিনি জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের এক ঘণ্টা পর এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

গত বছর গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে জর্ডানে ইহুদিবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারী কিছু দিন পর পরই ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন। এতে বিভিন্ন সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জর্ডানিদের দাবি, গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করতে হবে এবং অভিযানের নামে ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে ওঠা মানবাধিকার লঙ্ঘনের আন্তর্জাতিক বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া বাদশাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে সহায়তা করার অভিযোগ তুলছেন বিক্ষোভকারীরা। তারা শরণার্থী ফিলিস্তিনিদের গণহারে জর্ডানে আশ্রয় দেওয়ার দাবিও জানিয়ে আসছেন।

এ ছাড়া ইসরায়েলে হামলা করতে ইরানের ছোড়া ড্রোন ভূপাতিত করে মুসলমান বিশ্বে সমালোচিত হয় জর্ডান। জর্ডানিরা বলেন, ইসরায়েলকে সহায়তা করে জর্ডান সরকার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, যা লজ্জার।


ইসরায়েলবিরোধী   বিক্ষোভ   মধ্যরাত   জর্ডান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চুক্তি হলেও রাফায় ঢুকে হামাসকে নির্মূল করতে চায় ইসরায়েল

প্রকাশ: ০৮:২০ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

জিম্মি চুক্তি হোক বা না হোক, সম্পূর্ণ বিজয় অর্জনের জন্য আমরা রাফায় ঢুকব এবং হামাসকে নির্মূল করব বলেছেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) গাজায় নিহত সেনাদের পরিবার এবং জিম্মিদের স্বজনদের তিনি এ কথা বলেন। নেতানিয়াহু আরও বলেন, লক্ষ্য অর্জনের আগেই আমরা যুদ্ধ বন্ধ করে দেব, এমন ধারণা কোনো বিকল্প নয়। খবর আল জাজিরার।

এদিকে বেশ কিছু জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে গাজায় ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে। কায়রোয় সর্বশেষ আলোচনা শেষে কাতারে ফিরে হামাস জানিয়েছে- প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের মতামত জানাব।

অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, গোষ্ঠীগুলো নেতানিয়াহু এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এটি শেষ করতে আন্তর্জাতিক চাপ প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছে। ইসরায়েলের দুইটি লক্ষ্য হলো হামাসের সামরিক ও শাসন ক্ষমতা ধ্বংস করা এবং সব জিম্মিকে ফিরিয়ে নেয়া।


হামাস   নির্মূল   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মালয়েশিয়ায় কেএফসির শতাধিক আউটলেট বন্ধ

প্রকাশ: ০৮:১৩ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত কয়েকমাস ধরে দেশটিতে চলমান ফিলিস্তিন-ইসরাইল ইস্যুতে শুরু হওয়া ইসরাইল পণ্য বয়কটকারীদের অভিযোগ, প্রথম থেকে অন্যায্যভাবে ইসরাইলের প্রতি সমর্থন করে আসছে কেএফসি। ইসরাইলকে সমর্থন ও ক্ষোভের মুখে মালয়েশিয়ার অন্যতম ফাস্টফুড চেইন রেস্টুরেন্ট বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে কেএফসি। তারই জের ধরে, কিউএসআর ব্র্যান্ডস মালয়েশিয়া হোল্ডিংস বারহাদ, টানা কয়েক মাস খুলে রাখার চেষ্টার পর দেশব্যাপী ১০০ টিরও বেশি কেএফসি’র আউটলেট সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে।

দেশটির গণমাধ্যমের বরাতে এমন খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মালয়েশিয়ায় সাময়িকভাবে ১০০টির বেশি আউটলেট বন্ধ করেছে কেএফসি। এসব আউললেটের বেশিরভাগ উত্তর-পূর্ব কেলান্টান রাজ্যে অবস্থিত। গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যে একতরফা সমর্থন তার প্রতিবাদে দেশটিতে কয়েক মাস ধরে ইসরায়েলি ও মার্কিন পণ্য বয়কটের আন্দোলন চলছে। জনগণের এই বয়কট আন্দোলনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে কেএফসি।

মালয়েশিয়ায় কেএফসি মালিক ও পরিচালক প্রতিষ্ঠান হলো কিউএসআর ব্র্যান্ডস। এই প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, সারা দেশে তারা ১০৮টি কেএফসি আউটলেটের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করছেন। মালয়েশিয়াজুড়ে কেএফসির ছয় শতাধিক আউটলেট রয়েছে। তবে সম্প্রতি এসব আউটলেটে মানুষের পদচারণা একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। কাস্টমার না পেয়ে শেষ পর্যন্ত তাদের ব্যবসা গুটিয়ে আনার পথে হাঁটতে হলো। এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন সমর্থনের প্রতিবাদে আলজেরিয়ায় প্রথম শাখা খোলার মাত্র দুদিনের মাথায় আউটলেট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কেএফসি।

উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর ইসরাইল, ফিলিস্তিনের উপর আক্রমণ চালাতে শুরু করে। তখন থেকেই তাদের আর্থিকভাবে সাহায্য করার অভিযোগ ওঠে কেএফসির বিরুদ্ধে। চলমান এই যুদ্ধে জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় বিষয়ক অফিস এবং এনবিসির তথ্য অনুসারে, গত ২৪শে এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে ৩৫,০০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪,২৬২ জন ফিলিস্তিনি এবং ১৪১০ জন ইসরায়েলি ছাড়াও ৯৭ জন সাংবাদিকের মধ্যে ৯২ জন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক, ২ জন ইসরায়েলি সাংবাদিক এবং ৩ জন লেবানিজ সাংবাদিক রয়েছেন। এছাড়া জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার ২২৪ জন কর্মীসহ ১৭৯ জনেরও বেশি কর্মচারী নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।


ইসরাইলি   পণ্য   বয়কট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রে শিখ নেতা পান্নুন হত্যাচেষ্টায় ভারতের ‘র’ জড়িত

প্রকাশ: ০৭:৩০ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ব্যর্থ চেষ্টায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিক্যাল উইং’ (র) জড়িত বলে দাবি করেছে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নাম ও হত্যার নির্দেশনার বিষয়ে এক বিশেষ প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে।  

মার্কিন নাগরিক পান্নুনকে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকারের বিরোধী হিসেবে তুলে ধরে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্রম যাদব নামে ‘র’ কর্মকর্তার ওপর তাকে হত্যার পরিকল্পনা কার্যকর করার দায়িত্ব ছিল। সাবেক ‘র’ প্রধান সামন্ত গোয়েল ওই পরিকল্পনা অনুমোদন করেন। ঘাতক দলকে বিক্রম ভাড়া করেছিলেন, পান্নুনের যাবতীয় গতিবিধির কথাও তাঁদের জানিয়েছিলেন তিনি। বিক্রম বার্তায় লিখেছিলেন, ‘এই হত্যা আমাদের অগ্রাধিকার।’

এই প্রতিবেদন তৈরিতে সাবেক ও বর্তমান ‘র’ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার দাবি করে ওয়াশিংটন পোস্ট বলেছে, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালও বিষয়টি জানতেন। বিদেশে অবস্থানরত ভারতবিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী ও জঙ্গিদের হত্যা করাই এখন ভারতের কৌশল। 

ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, মাদক ব্যবসায়ী নিখিল গুপ্তাকে বিক্রম যাদবই জোগাড় করেছিলেন। দুজন দুজনকে আগে থেকেই চিনতেন। পান্নুন হত্যার দায়িত্ব নিখিলকেই দিয়েছিলেন বিক্রম। কানাডায় নিহত খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারের মৃতদেহের ছবিও নিখিলকে পাঠানো হয়েছিল।

পান্নুন হত্যার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর বিক্রমকে ভারতের আধা সামরিক বাহিনীতেই ফিরিয়ে নেওয়া হয়। ওই ঘটনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে যে মামলা হয়েছে, তাতে ‘সিসি ওয়ান’ হিসেবে বিক্রমের পরিচয় দেওয়া হয়েছে।

পান্নুন হত্যার ষড়যন্ত্রে ভারতের যোগসূত্র থাকার সন্দেহের কথা যুক্তরাষ্ট্রই প্রথম বলেছিল। তার আগে কানাডায় নিহত খালিস্তানি নেতা নিজ্জারের হত্যায় ভারতের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সেই অভিযোগের পর থেকে ভারত-কানাডা সম্পর্কের অবনতি হয়।


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন