ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

স্বাধীন কাতালোনিয়ার সক্ষমতা?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:৫৫ পিএম, ০৪ অক্টোবর, ২০১৭


Thumbnail

কয়েক দিনের মধ্যেই স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া হবে। স্পেন থেকে কাতালোনিয়ার স্বাধীনতা এখন শুধুই সময়ের ব্যাপার। বিবিসিকে এমনটাই জানিয়েছেন, কাতালোনিয়ার নেতা কার্লস পোয়েগডেমন।

স্পেনের মধ্যে থাকা স্বায়ত্বশাসিত একটি অঞ্চল এই কাতালোনিয়া। দীর্ঘ দিন ধরেই চলা স্বাধীনতার জন্য বিতর্ক, পরে গণভোট ও এই ভোটকে অবৈধ বলে সেখানে স্প্যানিশ পুলিশের বাধা এবং আরও অনেক ঘটনা পেরিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার প্রহর গুনছে তারা। স্পেন হয়তো কাতালোনিয়ার স্বাধীনতা আরও কিছুদিন আটকে রাখতে পারবে, কিন্তু প্রশ্ন হলো কাতালোনিয়া শিগগিরই স্বাধীনতা পেলে কী হবে তাদের অবস্থা? নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে থাকার সক্ষমতা কী আছে কাতালোনিয়ার?

সাাধারণ চোখে কাতালোনিয়া স্বাধীন বলেই কারও মনে হতে পারে। স্বাধীন দেশের মতো অনেক সুযোগই আছে কাতালোনিয়ার। আছে নিজস্ব পতাকা, পার্লামেন্ট এবং তাঁর নেতা কার্লস পোয়েগডেমন।

স্বাধীন হলেই প্রয়োজন

কাতালোনিয়ার নিজস্ব পুলিশ বাহিনী আছে। নিজেদের সম্প্রচার নীতিও আছে এমনকি বিশ্বজুড়ে কাতালোনিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে এমন কিছু দেশে পররাষ্ট্র সফরও করেন কাতালোনিয়ার কর্মকর্তারা। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবার মতো অনেক নাগরিক সেবাও দেওয়া হয় অঞ্চল পক্ষ থেকেই।

তবে স্বাধীন হওয়ার পর কাতালোনিয়াকেই আরও কিছু বিষয় নিশ্চিত করতে হবে, যার মধ্যে আছে সীমান্ত সুরক্ষা, কাস্টমস, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, প্রতিরক্ষা, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, অভ্যন্তরীণ শুল্ক ব্যবস্থা। বিষয়গুলো এখন স্পেন থেকেই দেখা হয়।

ধরা যাক, কাতালোনিয়া প্রতিষ্ঠানগুলো সৃষ্টি করল, এগুলো চালানোর মতো আর্থিক সক্ষমতা কি তাদের আছে?

আশার কথা

‘মাদ্রিদ আমাদের লুট করছে’-কাতালোনিয়ার জনপ্রিয় একটি স্লোগান। ধনী কাতালোনিয়ার কাছ থেকে স্পেন যা পাচ্ছে, তার খুব কমই কাতালোনিয়ার উন্নয়ন ও জনগণের সেবায় ব্যয় হচ্ছে বলে কথা প্রচলিত। এর পক্ষে যুক্তিও আছে।

স্পেনের অন্যান্য অংশের তুলনায় কাতালোনিয়া ধনী অঞ্চল। এখানে স্প্যানিশ জাতীয়তার মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৬ শতাংশ। তবে স্পেনের জিডিপির ১৯ শতাংশ এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের এক চতুর্থাংশ আসে কাতালোনিয়া থেকে। পর্যটনের ক্ষেত্রে বিশেষ আকর্ষণীয় কাতালোনিয়া। গত বছরের হিসাব অনুযায়ী, স্পেনে পর্যটন এসেছিল সাত কোটি ৫০ লাখ। এর মধ্যে এক কোটি ৮০ লাখ পর্যটক এসেছিলেন শুধুই কাতালোনিয়া ভ্রমণে। এটি বলার অপেক্ষা রাখেনা, স্পেনের অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় কাতালোনিয়া পর্যটক বেশি যান।

পণ্যের ওজনের হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শীর্ষ ২০ টি বন্দরের একটি বার্সেলোনা। কাতালোনিয়ার কর্মক্ষম জনগোষ্ঠির এক তৃতীয়াংশই তিন স্তরের শিক্ষা সমাপ্ত করা।

কর হিসেবে কাতালোনিয়া থেকে যে আয় হয় সেখানে ব্যয় হয় তার কম। গত ২০১৪ সালের হিসেব অনুযায়ী কাতালোনিয়া সেবায় যা ব্যয় হয়েছে তার চেয়ে এক হাজার কোটি ইউরো বেশি ট্যাক্স দিয়েছে কাতালানরা। স্বাধীন হলে এমন বিপুল পরিমাণ অর্থ নিজের কাছেই থাকবে।

অনেকের মতে, স্বাধীনতার মাধ্যমে কাতালোনিয়া বিপুল পরিমাণ করের অর্থ পেলেও, তা ব্যয় হয়ে যাবে সরকারি প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি এবং তা চালানোর জন্য। আবার অনেকেই মত দেন স্পেনের পক্ষে, কারণ ধনী অঞ্চল থেকে পাওয়া বাড়তি অর্থ গরীব অঞ্চলের উন্নয়নে ব্যয় করাই তো একটি রাষ্ট্রের কাজ।

ঝামেলাটা ঋণে

কাতালোনিয়ার স্বাধীন হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো স্পেনের কাছে ঋণ। সাত হাজার ৭০০ কোটি ইউরো ঋণ এই অঞ্চলের, যা কাতালোনিয়ার জিডিপির ৩৫ দশমিক ৪ শতাংশ। আর মোট ঋণের মধ্যে পাঁচ হাজার ২০০ কোটি ইউরো ঋণ স্প্যানিশ সরকারের কাছে।

২০১২ সালে বৈশ্বিক মন্দার সময় স্পেন সরকার বিশেষ ঋণ সেবা চালু করে। স্পেনের যে অঞ্চলগুলো আন্তর্জাতিক ঋণ নেওয়ায় সক্ষম ছিল না শুধু তাদের জন্যই ছিল ওই ঋণ। কাতালোনিয়া ছয় হাজার ৭০০ কোটি ইউরো ঋণ নিয়েছিল।

কাতালোনিয়া স্বাধীন হওয়ার আলোচনার টেবিলে এই ঋণ বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তারা স্বাধীন হলে স্পেনের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার অধিকার হারাবে। একই সঙ্গে আলোচনা হবে স্বাধীনতার পর কতোটা ঋণ তারা ফেরত দিবে।

বাণিজ্য সংকট?

কাতালোনিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্যের দুই তৃতীয়াংশই হয় ইউরোপের দেশগুলোতে। স্বাধীন হলে কাতালোনিয়াকে ইইউয়ের সদস্য হতে পুনরায় আবেদন করতে হবে। ইইউয়ের সদস্য হওয়া দীর্ঘ সময়ের প্রক্রিয়া। আবার এমন আবেদনে ইইউভুক্ত সব দেশের মতামত নেওয়া হয়। আর সদস্যের মধ্যে স্পেনও থাকবে। তাই স্পেন চাইলে স্বাধীন কাতালানদের জীবন দুর্বিসহ করে তুলতে পারে।


বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মাঝরাতে আইসক্রিম খাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো ইতালি

প্রকাশ: ১২:৪৮ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যরাতের পর আইসক্রিম খাওয়া নিষিদ্ধ করে একটি আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে ইতালির মিলানে। বাসিন্দাদের প্রশান্তির স্বার্থে এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে মিলানের স্থানীয় সরকার। 

ইতালির সংস্কৃতির অংশ হয়ে আছে আইসক্রিম। অনেকেই গভীর রাতে আইসক্রিম খেয়ে থাকেন। প্রস্তাবিত নতুন আইনের অধীন এভাবে আইসক্রিম খাওয়াকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।

মিলান শহরের স্থানীয় সরকার ইতিমধ্যে আইনের খসড়া তৈরি করে আইনসভায় জমা দিয়েছে। যদি প্রস্তাবিত আইনটি পাস হয়ে যায়, তাহলে আগামী মাস থেকে মধ্যরাতের পর আইসক্রিম খাওয়া নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে।

মিলানের ১২টি এলাকায় আইনটি কার্যকর হবে। এই আইনের অধীনে মধ্যরাতের পর পিৎজা, পানীয়সহ সব ধরনের খাবার বাড়িতে সরবরাহ করা নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। শহরের সড়কে রাতের বেলায় যাতে হইচই না হয় এবং বাসিন্দারা প্রশান্তিতে থাকতে পারেন, সে জন্য এই আইন করা হচ্ছে।

মিলানের ডেপুটি মেয়র মার্কো গ্র্যানেলি বলেন, সামাজিকতা ও বিনোদনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা এবং বাসিন্দাদের শান্তি ও প্রশান্তির কথা বিবেচনায় নিয়ে এই আইনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত এই আইন 'মধ্য মে' থেকে কার্যকর এবং নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। 

সপ্তাহের কর্মদিবসে রাত সাড়ে ১২টা এবং সাপ্তাহিক ও অন্যান্য ছুটির দিনে রাত দেড়টা থেকে আইনটির প্রয়োগ শুরু হবে। সড়ককে কোলাহলমুক্ত রাখতে খোলা আকাশের নিচে বসানো খাবার টেবিলে এই আইনের প্রয়োগ করা হবে।

নাগরিকেরা চাইলে মে মাসের গোড়ার দিকে প্রস্তাবিত আইনের কোনো ধারার পরিবর্তন বা সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

মধ্যরাতে আইসক্রিম খাওয়া বন্ধে মিলানের স্থানীয় সরকার এবারই যে প্রথম উদ্যোগ নিচ্ছে, তা নয়। এর আগে ২০১৩ সালে তৎকালীন মেয়র জুইলিয়ানো পিসাপিয়া মধ্যরাতের পর আইসক্রিম নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তুমুল সমালোচনার মুখে তিনি পিছু হটতে বাধ্য হন।


আইসক্রিম   নিষিদ্ধ   ইতালি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জার্মানির বিরুদ্ধে মামলার রায় ৩০ এপ্রিল

প্রকাশ: ১১:৫৩ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল চলমান যুদ্ধে গণগত্যা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ইসরায়েলের এই অমানবিক কর্মকাণ্ডে সহায়তার অভিযোগ এনে জার্মানির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা করে মধ্য আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়া।

আগামী ৩০ এপ্রিল সেই মামলার রায়ের দিন ঘোষণা করেছে আইসিজে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইসিজে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে- ইসরায়েলকে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দিয়ে গণহত্যা ‘সহজতর’ করার দায়ে জার্মানিকে অভিযুক্ত করে ১ মার্চ নিকারাগুয়া যে মামলা করে তার রায় ৩০ এপ্রিল ঘোষণা করা হবে।

বিবৃতি অনুসারে, দ্য হেগের পিস প্যালেসে ওই দিন স্থানীয় সময় বিকাল তিনটায় আদালতের প্রধান বিচারপতি নওয়াফ সালাম মামলার রায় পাঠ করবেন।

নিকারাগুয়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের কাছে ‘জার্মানিকে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা বন্ধ করার নির্দেশ এবং গাজা উপত্যকায় আন্তর্জাতিক আইনের অন্যান্য বিধিনিষেধের বিষয়ে’ জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা জারি করার অনুরোধ জানিয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৪,৩৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। এছাড়াও আহত হয়েছে ৭৭,৩৬৮ ফিলিস্তিনি।


জার্মান   বিরুদ্ধে   মামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের সঙ্গে সশস্ত্র লড়াই বন্ধে ইচ্ছুক হামাস

প্রকাশ: ১১:৪৮ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের সঙ্গে সশস্ত্র লড়াই বন্ধে ইচ্ছুক ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তবে তাদের একটি শর্ত রয়েছে। সংগঠনটির কয়েকজন নেতা এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। তা হলো, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল যেসব অঞ্চল দখল করেছিল, ওই অঞ্চলগুলো নিয়ে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। 

২০০৭ সাল থেকে গাজা শাসন করেছে হামাস। ইসরায়েলের পতনের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। তবে গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় উপত্যকাটিতে হামাসের ভবিষ্যৎ অনেকটাই অনিশ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে সংগঠনটির নেতাদের এ ইঙ্গিতে বোঝা যায়, আগের অবস্থান নিয়ে সুর নরম করছেন তারা।

হামাসের এই নেতাদের একজন তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বসবাসকারী বাসেম নাইম। তিনি হামাসের রাজনৈতিক শাখার সদস্য। বৃহস্পতিবার নাইম যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, জেরুজালেমকে রাজধানী করে যদি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করা হয়, আর শরণার্থীদের সেখানে ফেরার অধিকার দেওয়া হয়, তাহলে আল কাশেম ব্রিগেডকে (হামাসের সামরিক শাখা) ভবিষ্যতে জাতীয় সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। 

হামাসের শর্তগুলো মেনে নেওয়া হলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াই 'অবশ্যই' বন্ধ করা হবে বলেও জানিয়েছেন বাসেম নাইম। তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) যদি তাদের গঠনতন্ত্র ও প্রশাসনে 'সংস্কার' আনে, তাহলে সংগঠনটির সঙ্গে যোগ দিতে চায় হামাস।

তবে হামাসের নেতারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শর্ত সাপেক্ষে অস্ত্র প্রত্যাহারের কথা বললেও আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এখনো কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। আর বিদেশে অবস্থান করা হামাসের নেতাদের বক্তব্য গাজায় থাকা সংগঠনটির সামরিক শাখার নেতাদের চিন্তাভাবনার সঙ্গে মেলে কি না, তা স্পষ্ট নয়।

হামাস বরাবরই স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠায় দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের বিরোধিতা করে আসছে। দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান অনুযায়ী, ইসরায়েলের পাশাপাশি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করা হবে। এর বিপরীতে এত দিন  ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক সব অঞ্চল নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ে তোলার কথা বলে এসেছে হামাস। এসব অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে আজকের ইসরায়েল, অধিকৃত পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা।


ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতে দ্বিতীয় ধাপে ভোট পড়েছে ৬৩ শতাংশ

প্রকাশ: ১১:০৪ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ১৩টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলজুড়ে নির্বাচনের এই ধাপে ৮৮টি আসনের জন্য ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভোট হওয়ার কথা ছিল ৮৯ আসনে। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের বেতুল কেন্দ্রের বিএসপি প্রার্থীর মৃত্যুতে সেখানে ভোট স্থগিত রাখা হয়। তৃতীয় দফায় সেখানে ভোট নেয়া হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছে ৬৩ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গ, মণিপুর ও আসামে রেকর্ড ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে। 

তবে তাপদাহের কারণে কেরালায় দুজন ভোটার ও একজন পোলিং এজেন্টের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। যদিও তীব্র গরম উপেক্ষা করেই দক্ষিণী সিনেমার বড় বড় তারকাদেরকে ভোট দিতে দেখা যায়।

দ্বিতীয় দফার ভোটদের দিন তৃতীয় দফার নির্বাচনী এলাকাগুলোতে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বিজেপি, কংগ্রেস ও তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। এদিন পশ্চিমবঙ্গের মালদায় নির্বাচনী জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

দ্বিতীয় দফার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থীদের মধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থীরা হলেন- রাহুল গান্ধী, শশী থারুর ও হেমা মালিনী। আগামী ৭ মে হবে লোকসভার তৃতীয় দফার ভোট গ্রহণ।


ভারত   ভোট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্কিন পররাষ্ট্র মুখপাত্রের পদত্যাগ

প্রকাশ: ১০:০৬ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গাজা যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির প্রতিবাদ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের আরবি ভাষার মুখপাত্র হালা রারিত পদত্যাগ করেছেন। গাজায় ইসরাইলি হামলা শুরুর পর থেকে এটি মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের তৃতীয় পদত্যাগ।

হালা রাহারিত লিঙ্কডইন পোস্টে জানিয়েছেন,'পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মানজনক পদে ১৮ বছর চাকরি করার পর ২০২৪ সালের এপ্রিলে আমি পদত্যাগ করেছি। গাজা ইস্যুতে মার্কিন সরকারের নীতিই এর কারণ।'

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, হালা রাহারিত একসময় মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত সংস্থা দুবাই রিজিওনাল মিডিয়া হাবের উপ-পরিচালক ছিলেন। আরব বিশ্বের সংবাদমাধ্যমগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে সংস্থাটি। তারপর ২০০৬ সালে রাজনৈতিক ও মানবাধিকার কর্মকর্তা এবং আরবি ভাষার মুখপাত্র হিসেবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগ দেন হালা রাহারিত।

অবশ্য হালা রাহারিতই প্রথম কর্মকর্তা নন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন। একই কারণে গত মার্চে পদত্যাগ করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের মানবাধিকার ব্যুরোর কর্মকর্তা অ্যানেলি শেলিন। এর আগে গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তারিক হাবাশ পদত্যাগ করেছিলেন।


মার্কিন পররাষ্ট্র   মুখপাত্র   পদত্যাগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন