ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ মোদির

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:২৯ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১


Thumbnail

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমল্যা হ্যারিস শপথ নেয়ার পর প্রথম বারের মতো তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ​বৈঠকে করোনা পরিস্থিতি থেকে শুরু করে উঠে এসেছে একাধিক বিষয়। এমনকী, দেশের উন্নয়ন নিয়ে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপাশি আফগানিস্তানের বর্তমান অবস্থা নিয়েও আলোচনা হয়েছে তাদের মধ্যে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউসে মুখোমুখি হন তারা। কমলা হ্যারিস যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ও দক্ষিণ এশীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট। তার মা ভারতীয়। 

বিবিসির খবরে জানা যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করার জন্য কমলা হ্যারিসকে অভিনন্দন জানান। তিনি তাঁকে ভারত সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান। মোদি বলেন, কমলা হ্যারিসকে স্বাগত জানাতে ভারতের জনগণ অপেক্ষা করছে। গত নভেম্বরে কমলা হ্যারিসের জয়ের খবরে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের তিরুভারুর এলাকার থুলাসেনদ্রাপুরাম গ্রামের বাসিন্দারা আতশবাজি উড়িয়ে আনন্দ করেন। ওই গ্রামে কমলা হ্যারিসের মায়ের বাড়ি।

এনডিটিভি জানায়, হোয়াইট হাউসে মোদি ও কমলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কৌশলগত অংশীদারত্ব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া গণতন্ত্র সমুন্নত রাখা, সন্ত্রাসবাদ ও আফগানিস্তান ইস্যুতে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া রয়টার্স জানায়, ভারতের আবার টিকা রপ্তানি শুরুর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন কমলা। করোনাভাইরাস মহামারিতে সহযোগিতার জন্য কমলা হ্যারিসকে প্রকৃত বন্ধু বলে অভিহিত করেন মোদি।

প্রসঙ্গত, মোদি ওয়াশিংটনে তিন দিনের সফরে রয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার তার সফর শেষ হবে। শুক্রবার মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রথমবার সাক্ষাৎ করবেন। একই দিনে মোদি কোয়াড সম্মেলনে অংশ নেবেন। সেখানে বাইডেনসহ অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্রিটিশ অস্ত্রে সরাসরি রাশিয়ায় হামলার অনুমতি দিল যুক্তরাজ্য

প্রকাশ: ০৮:৪৭ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে পুরো বিশ্বকে আবারও কঠিন নিরাপত্তা হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে যুক্তরাজ্য। যেখানে পুরো বিশ্ব ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করার উপায় খুঁজছে সেখানে এবার সরাসরি রাশিয়ায় হামলা করার সবুজ সংকেত দিয়ে বসেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু তিনি কি ভেবেছেন এর পরিণতি কী হতে পারে? যেখানে এর আগেই পরমাণু হামলার হুমকি পর্যন্ত দিয়ে রেখেছে মস্কো। শুধু তাই নয় কিয়েভকে অভূতপূর্ব সহায়তা করার কথাও ঘোষণা দিয়েছেন ডেভিড ক্যামেরন।

 

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যামেরন জানান, যুদ্ধে টিকে থাকার জন্য ইউক্রেনকে যেসব ব্রিটিশ সমরাস্ত্র দেয়া হচ্ছে, তা কীভাবে ব্যবহার করা হবে, তার সিদ্ধান্ত কিয়েভের ওপর। শুক্রবার কিয়েভ সফরে গিয়ে এ মন্তব্য করেছেন তিনি। জানান, ইউক্রেন চাইলে যুক্তরাজ্যের অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডেও হামলা চালাতে পারে।

 

ডেভিড ক্যামেরন জানান, ইউক্রেনের যত দিন প্রয়োজন হবে, যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে প্রতিবছর ৩৭৫ কোটি মার্কিন ডলার করে দেয়া হবে। এ সময় রাশিয়া যেভাবে ইউক্রেনের অভ্যন্তরে হামলা করছে, তাতে ইউক্রেন কেন আত্মরক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে, তা সহজে অনুমান করা যায় বলেও মন্তব্য করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

 

এদিকে ডেভিড ক্যামেরনের এমন মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। মস্কো বলেছে, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্য আরেকটি অত্যন্ত বিপজ্জনক বিবৃতি। ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ইউক্রেন সংঘাত ঘিরে এটি সরাসরি উত্তেজনা ছড়াবে, যা ইউরোপীয় নিরাপত্তার জন্য সম্ভাব্য হুমকি সৃষ্টি করবে।

 

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের পাশাপাশি পেসকভ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর বক্তব্যেরও নিন্দা জানান। এর আগে চলতি সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের ব্যবসাবিষয়ক ম্যাগাজিন ইকোনমিস্টকে বলেছেন, রুশ সেনারা যদি সামনে এগোতে থাকেন এবং ইউক্রেন অনুরোধ করলে সেখানে স্থলসেনা পাঠানো হবে কি না, তা পশ্চিমাদের বিবেচনা করতে হবে। রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জানান, মাখোঁর বক্তব্য ছিল বিপজ্জনক। তবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করে বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়া যদি জয়লাভ করে, তবে ইউরোপে কোনো নিরাপত্তা থাকবে না।

 

এর আগে, ইউক্রেনকে একাধিকবার রাশিয়ার অভ্যন্তরে তেল শোধনাগারগুলোতে হামলা চালাতে নিষেধ করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির আশঙ্কা, এতে উত্তেজনা আরও বাড়বে। রাশিয়ার সেনারা সম্প্রতি ইউক্রেনের কয়েকটি অঞ্চলে সামনে অগ্রসর হয়েছে। ইউক্রেনের অস্ত্র ও সেনা ঘাটতির সুযোগ নিয়ে বেশি কয়েকটি শহর ও গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ বাহিনী।


ব্রিটিশ   অস্ত্র   রাশিয়া   যুক্তরাজ্য  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা

প্রকাশ: ০৮:৪১ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আরও একটি গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। জনমত জরিপের পর এমন পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির খ্যাতনামা জরিপ সংস্থা রাসমুসেন। সংস্থাটি জানিয়েছে— বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যদি আবারও ক্ষমতায় আসেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ বেঁধে যাবে বলে মনে করেন ৪১ শতাংশ মার্কিন ভোটার। আর ১৬ শতাংশ ভোটার মনে করেন হয়তো এমনটা হতেও পারে। এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে বার্তাসংস্থা তাস।

তবে, জরিপে অংশ নেওয়া ৪৯ শতাংশ উত্তরদাতারা মনে করেন না যে, আগামী পাঁচ বছরে আরেকটি গৃহযুদ্ধের মুখে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র। আর ১০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তারা এ বিষয়ে নিশ্চিত নন। পক্ষান্তরে ২৫ শতাংশ মানুষ মনে করেন-সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হলেই বরং গৃহযুদ্ধেরে কবলে পড়তে পাড়ে ওয়াশিংটন।

তাস জানায়, আলোচিত জরিপটি ২১ থেকে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে করা হয়েছিল। যেখানে ১১শর বেশি মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। অংশগ্রহণকারী সবাই-ই আসন্ন মার্কিন নির্বাচনের ভোটার। ফলে, এই ফল যথেষ্ট গুরুত্ব পাচ্ছে।

চলতি বছরের ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এরইমধ্যে রিপাবলিকান দলের মনোনয়নে জয়ী হয়েছেন ট্রাম্প। আর দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য লড়ছেন ডেমোক্র্যাট পার্টির ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এবারের নির্বাচনে গাজা ইস্যু বাইডেনকে বেশ ভোগাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ৭ অক্টোবর থেকে উপত্যকায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। যেখানে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে আসছেন বাইডেন। এ নিয়ে দেশের অভ্যন্তরেই প্রচণ্ড চাপে রয়েছেন ৮১ বয়সী এই প্রেসিডেন্ট।

বাইডেন প্রশাসনের গাজানীতির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ আন্দোলনে উত্তপ্ত ক্যাম্পাসগুলো। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা, ব্যাপক ধরপাকড়েও দমে যায়নি এসব শিক্ষার্থী। বরং দিনকে দিন স্ফূলিঙ্গের মতোই ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভ। ফলে, জনমত অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে ইহুদি-বিদ্বেষ বলে আখ্যা দেয় ইসরায়েলপন্থি মার্কিন নীতিনির্ধারকরা।

অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ইসরায়েলপন্থিরা। এতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার এক টেলিভিশন ভাষণে শিক্ষার্থীদের আইন মানার অনুরোধ করেন বাইডেন। তবে, তাদের ওপর হামলা ও পুলিশি নির্যাতন নিয়ে কোনো মন্তব্যই করেননি তিনি। এতে মুসলিম ভোটারদের থেকে আরও দূরে গেছেন বাইডেন, এমনটাই মনে করেন বিশ্লেষকরা। ফলে আসন্ন নির্বাচনে বাইডেনের জন্য বয়ে আনতে পারে নেতিবাচক ফল।


ভয়াবহ   গৃহযুদ্ধ   আমেরিকা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্রাজিলে ভারী বৃষ্টিতে নিহত ৩৯

প্রকাশ: ০৮:২৪ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্রান্দে দো সুল ভারী বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এ রাজ্যে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে ৭০ জন। 

শুক্রবার (০৩ মে) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের 

আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে সীমান্ত লাগোয়া রিও গ্রান্দে দো সুল রাজ্যে সোমবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। স্থানীয় এতে রাজ্যের ৪৯৭টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৃত্যু ও নিখোঁজের পাশাপাশি এসব শহরের অন্তত ২৪ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

রাজ্যের গভর্নর এদোয়ার্দো লেইতে গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, 'আগামী কয়েক দিনে আমরা অনেক এলাকায় পৌঁছাতে পারব। তখন মৃত্যুর সংখ্যায় পরিবর্তন আসতে পারে।'

বৃষ্টিতে রিও গ্রান্দে দো সুলের বেশ কয়েকটি শহরের রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি সড়ক ও সেতু। এ ছাড়া ঝড়ের কারণে ভূমিধস দেখা দিয়েছে। স্থানীয় একটি জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের জলাধারের আংশিক ধসে পড়েছে। আরেকটি জলাধারও ধসে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

ভৌগোলিক অবস্থানের রিও গ্রান্দে দো সুল প্রায়ই চরম আবহাওয়ার মুখে পড়ে। কখনো কখনো সেখানে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। কখনো আবার দেখা দেয় খরা। স্থানীয় বিজ্ঞানীদের ধারণা, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সেখানকার আবহাওয়া আরও চরম রূপ নিচ্ছে।

এদিকে দুর্যোগের মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার রাজ্যটি পরিদর্শনে যান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা। সেখান গিয়ে তিনি রাজ্যের গভর্নরের সঙ্গে উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে আলাপ করেন। 


ব্রাজিল   বৃষ্টি   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্কিন ঘাঁটিতে রুশ সেনা নিয়ে মুখ খুললেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৫৭ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ার সেনারা আফ্রিকার দেশ নাইজারের একটি মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে প্রবেশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন মার্কিন ঘাঁটিতে রুশ সেনা উঠার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সদস্যরা নাইজারের একটি বিমানঘাঁটিতে ঢুকে পড়েছে যেখানে অবস্থান করছেন মার্কিন সেনারা। একজন সিনিয়র মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বরাতে এই তথ্য প্রকাশ করে বার্তা সংস্থাটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নাইজারের সেনা শাসকরা তাদের দেশ থেকে মার্কিন বাহিনীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের পর এ ঘটনা ঘটেছে। নাইজারে এক হাজারের মতো মার্কিন সেনা রয়েছেন। গত মার্চ মাসে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে এক বৈঠকে নাইজারের জান্তা সরকার এসব সেনা প্রত্যাহার করতে হবে বলে জানিয়েছে দেয়। ইতোমধ্যে নাইজারের নতুন জান্তা সরকার যুক্তরাষ্ট্রকে পাশ কাটিয়ে রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক গভীর করছে। এরই ধারাবাহিকতায় মার্কিন বাহিনীর ব্যবহৃত সামরিক ঘাঁটিতে রুশ বাহিনী উঠেছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে শুক্রবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অস্টিন বলেছেন, রাশিয়ার সেনারা প্রবেশ করায় বড় ধরনের সমস্যা হবে না। মার্কিন সেনা বা সরঞ্জামের তাদের প্রবেশের অধিকার দেওয়া হয়নি।

গত বছরের জুলাইয়ের সামরিক অভ্যুত্থানের আগে আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে জঙ্গিগোষ্ঠী ও আল-কায়েদার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় অংশীদার ছিল নাইজার। তবে সেনা অভ্যুত্থানের পর পশ্চিমাদের সঙ্গে দেশটির জান্তা সরকারের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। ইতিমধ্যে দেশটি থেকে ফরাসি সেনাদের বের করে দেওয়া হয়েছে। একই পরিণতি বরণ করতে হতে পারে মার্কিন সেনাদের।  

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, রুশ সেনারা ওই বিমানঘাঁটিতে মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে একত্রে অবস্থান করছেন না। কারণ হিসেবে জানা গেছে, তারা নাইজারের রাজধানী নিয়ামীতে দিওরি হামানি আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের পাশে অবস্থিত এয়ারবেস ১০১ নামে পরিচিত সামরিক স্থাপনায় আলাদা হ্যাঙ্গার ব্যবহার করছেন।

মার্কিন ঘাঁটি   রুশ সেনা   মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এবার অস্ট্রেলিয়াজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০৬:০৭ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

এবার অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) দেশটির সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইউনিভার্সিটি অব সিডনি) তাবু স্থাপন করে অবস্থান নেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। সেসময় তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।

এদিনের আন্দোলন থেকে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কযুক্ত সংস্থাগুলো থেকে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিচ্ছিন্ন করার দাবি তোলেন। বিক্ষোভকারীরা অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও তার সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের দাবি, অস্ট্রেলিয়ান সরকার গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট কাজ করেনি।

ব্রিটিশি বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মেলবোর্ন, ক্যানবেরাসহ অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও একই ধরনের শিবির গড়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলো থেকে পুলিশ ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীদের জোর করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও, অস্ট্রেলিয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।

বিক্ষোভের জায়গাগুলোতে স্বল্পসংখ্যক পুলিশের শান্তিপূর্ণ উপস্থিতিতে ছিল। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে বেশ কয়েকটি পুলিশের গাড়ি পার্ক করা থাকলেও বিক্ষোভে কোনো পুলিশ উপস্থিত ছিল না।

এদিকে, এই বিক্ষোভের কারণে অনিরাপদ বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অধ্যয়নরত ইহুদী শিক্ষার্থীরা। তাদের মতে এ ধরনের আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে করা উচিত।

ইউনিভার্সিটি অব সিডনির উপাচার্য মার্ক স্কট বলেছেন, ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাস আংশিকভাবে অবস্থান করতে পারে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কোনো সহিংসতা দেখা যায়নি।

কয়েক দফা দাবি নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা। অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে ক্যাম্পাস চত্বরেই তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি ও মিশরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে মিত্র দেশগুলো থেকে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা।


অস্ট্রেলিয়া   বিশ্ববিদ্যালয়   বিক্ষোভ   ফিলিস্তিন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন