নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২৯ এএম, ২৮ অক্টোবর, ২০২১
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর প্রথম কাশ্মীর সফর শেষ হতে না হতেই দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কাশ্মীর উপত্যকা আবার অশান্ত হয়ে উঠতে পারে। যা আপাত দৃষ্টিতে বেশ অস্বস্তির কারণ ভারত সরকারের জন্য।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বার্তায় বলা হয়েছে, শ্রীনগরের ডাক্তারি পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার করা না হলে সন্ত্রাসী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট (ইউএলএফ) উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে ভারতের লজ্জাজনক হারের পর ভারতের কোনো কোনো শহরে কাশ্মীরি শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করা হয়। অভিযোগ, তাঁরা পাকিস্তানের জয়ে উল্লসিত হয়েছিলেন। শ্রীনগরের দুটি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা পাকিস্তানপন্থী স্লোগান দিতে দিতে সেদিন উল্লাস করেন বলে অভিযোগ।
উল্লাস প্রকাশের সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। এরপর পরই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ শ্রীনগরের গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও শের-ই-কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের হোস্টেল ওয়ার্ডেন, কলেজ দুটির ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের পাশাপাশি বেশ কিছু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দুটি পৃথক অভিযোগ দায়ের করে।
সন্ত্রাসী সংগঠন ইউএলএফ হুমকি দিয়ে জানিয়েছে, অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। যাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, তাঁদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে বলেও তারা জানিয়েছে। এই সংগঠন সম্প্রতি পরিযায়ী শ্রমিকসহ বেশ কয়েকজন হিন্দু-শিখকে হত্যার দায় নিয়েছে।
এদিকে ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদে সরব হয়েছেন দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি।
ছাত্রদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে মামলা করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। মন্ত্রণালয়ের এক সূত্রের কথায়, পুলিশি তদন্ত চলছে। কাউকে এখনো আটক করা হয়নি। সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সরকার দেশবিরোধী শক্তির মোকাবিলা কড়া হাতে করবে।
শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ প্রয়োগের খবর জানাজানি হতেই কেন্দ্রীয় নীতির সমালোচনায় মুখর হয়েছেন ফারুক আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি। ফারুক বলেছেন, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের সময় থেকে ধীরে ধীরে কাশ্মীরে একটা আগ্নেয়গিরি তৈরি হয়েছে। পাকিস্তানের জয়ে উল্লাস দেখানোর উদ্দেশ্য বিজেপিকে প্ররোচিত করা। এই ঘটনায় বিজেপির চোখ খুলে যাওয়া উচিত। বোঝা উচিত কেন ছোট ছেলেরা এমন করছে।
সরকারকে সতর্ক করে মেহবুবা বলেছেন, সরকারের আদৌ প্রতিশোধপরায়ণ হওয়া উচিত নয়। পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হলে তাদের আরও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। বরং সরকারের দেখা উচিত কেন এই সব অল্পবয়সী পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছে। মেহবুবা বলেন, দুর্ভাগ্য এটাই যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাশ্মীরিদের সঙ্গে মন খুলে কথা বলবেন বলার পরই পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে ইউএপিএর মতো কালাকানুনে অভিযোগ দায়ের করা হলো।
বিজেপির প্রদেশ নেতৃত্ব অবশ্য শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পক্ষপাতী। মেহবুবার সমালোচনা করে জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপি সভাপতি রবীন্দ্র রায়না বলেছেন, ওঁদের এই তালেবানি মনোবৃত্তি ঝেড়ে ফেলা উচিত। তিনি বলেন, যারা পাকিস্তানের জয়ে নাচ-গান করেছে, প্রত্যেককে দেশের বিরুদ্ধাচরণ ও ষড়যন্ত্রের অপরাধে জেলে পোরা দরকার।
মন্তব্য করুন
লোকসভা নির্বাচন আসাম বাঙালি মুসলমান
মন্তব্য করুন
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স নামক একটি হাসপাতালের কাছে গণকবর থেকে অন্তত ৩৯২ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত সেখানে তল্লাশি কার্যক্রম শেষ করেছে গাজা কর্তৃপক্ষ। মূলত তিনটি গণকবর থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা মরদেহের মধ্যে ১৬৫টি চিহ্নিত করা হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে খান ইউনিস থেকে সেনা প্রত্যাহার করে ইসরায়েল। এরপরই সেখানে গণকবরের সন্ধান মেলে। এদিকে হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ'র দিকে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
তবে এই অভিযানের ফলে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে মিশরসহ বিভিন্ন দেশ। একই সতর্কতা উচ্চারণ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও। তবে সেদিকে কোনো কর্ণপাত করছেন না ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে ক্রমেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠছে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ইলিনয়, জর্জিয়াসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিক্ষোভ দমনে দেশজুড়ে কয়েকশ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রতিবাদের সূত্রপাত নিউইয়র্কের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে। সেখানে বিক্ষোভ দমনে পুলিশ ব্যাপক ধরপাকড় চালালে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ইলিনয়সহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। যুদ্ধবিরতি, গণহত্যা বন্ধ এবং ইসরাইলকে ঢালাও সমর্থনের বিরুদ্ধে স্লোগানে উত্তাল ক্যাম্পাসগুলো।
বিক্ষোভ দমনে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেফতারের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জের মতো ঘটনাও ঘটেছে। তবে এতো কিছুর পরও কোনোভাবেই আন্দোলন ঠেকাতে পারছে না প্রশাসন।
গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে এই আন্দোলনকে ইহুদিবিরোধী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু ইসরাইলপন্থি এবং ইহুদি সংগঠন। এই বিক্ষোভ তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে ফেলেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
গাজায় সংঘাত বন্ধের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে ব্যাপক হারে নৈতিক সমর্থন জানাচ্ছে মার্কিনীরা। এমন পরিস্থিতিতে ইসরাইলকে বাইডেন প্রশাসনের নতুন সহায়তা ঘোষণায় বিক্ষোভ আরও জোরালো হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয় ইসরাইল বিক্ষোভ
মন্তব্য করুন
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই ঝুঁকি মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ইউরোপের নেই।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ম্যাখোঁ বলেন, সামরিক, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য চাপ ইউরোপের ২৭ দেশকে দুর্বল করে দিতে পারে। ইউরোপের বর্তমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তিতে প্যারিসের সোরবোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় জোরদারের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই মহাদেশের মার্কিনিদের অধীন হওয়া উচিত হবে না। এ সময় তিনি বিশ্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দৃঢ় অবস্থানের রূপরেখা প্রদান করেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইউরোপের সাইবার নিরাপত্তা বৃদ্ধি, ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মীদের সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য ইউরোপীয় একাডেমি গঠনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে কোনোভাবে সফল হতে দেওয়া যাবে না।
ম্যাখোঁ বলেন, প্রতিরক্ষা শিল্প স্থাপন করতে হবে। এছাড়া কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই কাজে দেবে না। কয়েক দশক ধরে এ খাতে বিনিয়োগ কম হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামরিক সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
ম্যাখোঁ আরও বলেন, অধিক পরিমাণে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি করতে হবে। এটি দ্রুত করতে হবে। আর ইউরোপীয়দের জন্য এসব প্রস্তুত করতে হবে। ইউরোপকে দেখাতে হবে যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের অধীন নয়।
বর্তমানে মার্কিন সামরিক ছত্রছায়ার কোনো বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প নেই বলে অনেক ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্মকর্তা মনে করেন।
ইউরোপ ধ্বংস ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্রতিরক্ষা শিল্প
মন্তব্য করুন
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স নামক একটি হাসপাতালের কাছে গণকবর থেকে অন্তত ৩৯২ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত সেখানে তল্লাশি কার্যক্রম শেষ করেছে গাজা কর্তৃপক্ষ। মূলত তিনটি গণকবর থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা মরদেহের মধ্যে ১৬৫টি চিহ্নিত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে ক্রমেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠছে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ইলিনয়, জর্জিয়াসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিক্ষোভ দমনে দেশজুড়ে কয়েকশ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই ঝুঁকি মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ইউরোপের নেই। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ম্যাখোঁ বলেন, সামরিক, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য চাপ ইউরোপের ২৭ দেশকে দুর্বল করে দিতে পারে।