নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৮ পিএম, ১৫ জুলাই, ২০১৯
রংপুর মহানগরীর দর্শনা মোড়ের মহাসড়কের পাশেই অবস্থিত সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নিজ বাসভবন পল্লীনিবাস। রংপুরে পল্লীনিবাস ছাড়াও পিত্রালয় ‘স্কাই ভিউ’ও তার বাড়ি। তবে তিনি রংপুরে আসলে সব সময় পল্লীনিবাসেই উঠতেন এবং রাত যাপন করতেন। আর এই পল্লীনিবাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে রাজনৈতিক উত্থান-পতনের বড় একটি অংশ। আর স্কাই ভিউতে থাকেন তার ভাইয়েরা।
নতুন করে সংস্কার হচ্ছে পল্লীবন্ধুর সেই পল্লীনিবাস। পুরাতন ভবনটি সংস্কার করে তৃতীয় তলা ভবন তৈরি করা হচ্ছে। এতোদিন বাউন্ডারির মধ্যে আলাদা আলাদা ভবন ছিল। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ থাকতেন দ্বিতল ভবনে। আর অন্যান্য স্টাফদের ছিল একতলা ভবন। পুরনো ভবন ভেঙ্গে এখন তৃতীয় তলা কমপ্লেক্স করা হচ্ছে। দ্বিতীয় তলায় এরশাদ ও ছেলে এরিকের জন্য কক্ষ ছিল। ভবনটির দ্বিতীয় তলার কাজ শেষ, তৃতীয় তলার ফিনিশিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। বলা হচ্ছে, প্রায় বাড়ির ৮০ভাগ কাজ শেষের পথে।
গত ২৮ জুন রংপুর আসার কথা ছিল শুধু পল্লীনিবাসের নির্মাণ কাজ দেখার জন্য। তবে জীবনের শেষ সময়ে এসে দেখতে পারলেন না সেই ভবন। আগের স্থাপনা ভেঙ্গে তৈরী করা হচ্ছে বহুতল ভবন। বহুতল ভবন তৈরি করলেও তা দেখে যেতে কিংবা একরাত অবস্থান করতে পারলেন না সাবেক এ রাষ্ট্রপতি।
জানা যায়, সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনের পর গত ৩ মার্চ রংপুর সফরে এসেছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তখনও বাড়ির কাজ দেখতেই রংপুরে এসেছিলেন জাপা চেয়ারম্যান। সফরে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। বাড়ির নির্মাণ কাজ দেখতেই এবং নির্মাণাধীন বাড়িতেই এবার ওঠার কথা ছিল তার। দুই রাত অবস্থান শেষে ৩০ জুন তার ঢাকায় ফেরার কর্মসূচিও চূড়ান্ত হয়েছিল। কিন্তু অসুস্থতার কারণে এরশাদ আর রংপুরে আসতে পারেননি।
রংপুরের স্থানীয়রা বলছেন, তিনি শেষ জীবনের কিছু সময় রংপুরেই থাকতে চেয়েছিলেন। এজন্যই বাড়ির কাজ করছিলেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
ডা. সামন্ত লাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ঢাকা-৪ ড. আওলাদ হোসেন জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ববাজারের অস্থিতিশীলতা, বাজার ব্যবস্থাপনায় অসামঞ্জস্যতা এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সূত্রে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়ার শঙ্কা থাকে। এছাড়া, সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে পণ্য সরবরাহের সাপ্লাই-চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে মূলত ইরান বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট পরিবহন খরচ বাড়তে পারে। এতে পণ্য তৈরি ও সরবরাহ ব্যয় বাড়ায় রপ্তানিকারকরা কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে পারেন।’
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের আশঙ্কার বিষয়ে দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দেশ দিয়েছি যাতে প্রত্যেকে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখে এবং এ বিষয়ে নিজ নিজ করণীয় নির্ধারণ করে। সংঘাত দীর্ঘ হলে কোন কোন সেক্টরে প্রভাব পড়তে পারে তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো সংঘাত বা সংঘাতের খবর জ্বালানি তেলের বাজারকে প্রভাবিত করে। এতে পণ্যের জাহাজ ভাড়া বাড়ে। যা আমদানি ব্যয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। সার আমদানি ব্যয়ে প্রভাব পড়ে। এতে বিকল্প উৎস হিসেবে চীন, মরক্কো, তিউনেশিয়া, কানাডা, রাশিয়া ইত্যাদি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সংকট আরও ঘনীভূত ও দীর্ঘায়িত হলে তা বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ
মন্তব্য করুন
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিনয় মোহন কোয়াত্রা
মন্তব্য করুন
সারা জীবন চাকরি করছেন। চাকরি করলেও তিনি একজন ভিশনারি সরকারি চাকুরে ছিলেন। একটা লক্ষ্যে সারা জীবন নিজেকে নিবেদিত করেছেন। একটা লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তিনি জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। মানবসেবাই তাঁর ব্রত। বাংলাদেশে দগ্ধ মানুষের জন্য তিনি একজন ত্রাতা এবং দগ্ধ মানুষের চিকিৎসার জন্য তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বে সমাদৃত। একজন মানবিক চিকিৎসকের প্রতিরূপ তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’