নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২৯ পিএম, ০৪ এপ্রিল, ২০২১
গতকাল মন্ত্রীপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ সচিবদের নিয়ে লকডাউনের বিধিমালা চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকের একটি সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। কিন্তু এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী এই লকডাউনের প্রস্তাব পুনঃ অনুমোদন করে নি।
সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, লকডাউন না কঠোর বিধিনিষেধ এই নিয়ে সরকারের মধ্যেই দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে। বিশেষ করে ব্যবসায়ী মহল ঈদের আগের এই সময়ে লকডাউনের বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করছে এবং তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, লকডাউনের বদলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের একটি বিকল্প প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে, আন্তজেলা পরিবহন কঠোরভাবে বন্ধ করা হবে। এক জেলার লোক অন্য জেলায় যাতায়াত করতে পারবে না। এক তৃতীয়াংশ লোক নিয়ে অফিস-আদালত চলবে। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দোকান-পাট খোলা থাকবে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সময় জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হতে পারবে না। উন্মুক্ত স্থানে স্বল্পতম সময়ের জন্য কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য খোলা রাখা হবে। জরুরী কর্মসেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা কাজ করবেন।
এরকম একটি বিধিনিষেধ আরোপের মাধ্যমে করোনা মোকাবেলার প্রস্তাব দিয়েছে ব্যবসায়ী মহল। এখন প্রধানমন্ত্রী লকডাউন দেবেন না কঠোর বিধিনিষেধ দেবেন সেটির জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছু সময়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ডা. সামন্ত লাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ঢাকা-৪ ড. আওলাদ হোসেন জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ববাজারের অস্থিতিশীলতা, বাজার ব্যবস্থাপনায় অসামঞ্জস্যতা এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সূত্রে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়ার শঙ্কা থাকে। এছাড়া, সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে পণ্য সরবরাহের সাপ্লাই-চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে মূলত ইরান বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট পরিবহন খরচ বাড়তে পারে। এতে পণ্য তৈরি ও সরবরাহ ব্যয় বাড়ায় রপ্তানিকারকরা কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে পারেন।’
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের আশঙ্কার বিষয়ে দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দেশ দিয়েছি যাতে প্রত্যেকে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখে এবং এ বিষয়ে নিজ নিজ করণীয় নির্ধারণ করে। সংঘাত দীর্ঘ হলে কোন কোন সেক্টরে প্রভাব পড়তে পারে তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো সংঘাত বা সংঘাতের খবর জ্বালানি তেলের বাজারকে প্রভাবিত করে। এতে পণ্যের জাহাজ ভাড়া বাড়ে। যা আমদানি ব্যয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। সার আমদানি ব্যয়ে প্রভাব পড়ে। এতে বিকল্প উৎস হিসেবে চীন, মরক্কো, তিউনেশিয়া, কানাডা, রাশিয়া ইত্যাদি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সংকট আরও ঘনীভূত ও দীর্ঘায়িত হলে তা বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ
মন্তব্য করুন
ভোটের বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, দিনাজপুরের হাকিমপুরে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কামাল হোসেন ২২ হাজার ২৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ টেলিফোন প্রতীকে ১৯ হাজার ৩৭৮ ভোট পেয়েছেন।
সারা জীবন চাকরি করছেন। চাকরি করলেও তিনি একজন ভিশনারি সরকারি চাকুরে ছিলেন। একটা লক্ষ্যে সারা জীবন নিজেকে নিবেদিত করেছেন। একটা লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তিনি জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। মানবসেবাই তাঁর ব্রত। বাংলাদেশে দগ্ধ মানুষের জন্য তিনি একজন ত্রাতা এবং দগ্ধ মানুষের চিকিৎসার জন্য তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বে সমাদৃত। একজন মানবিক চিকিৎসকের প্রতিরূপ তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’